সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরার শিয়ালডাঙ্গায় বসতঘরে আগুন : ২ লক্ষ টাকার ক্ষতিদেবহাটায় তীব্র তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ মানুষসাতক্ষীরায় সরকারি গোরস্থান বায়তুল ফালাহ জামে মসজিদের ছাদ ঢালাইয়ের উদ্বোধনখাস জমি উদ্ধার পূর্বক ভ‚মিহীনদের মধ্যে বন্টনের দাবিতে সভাবাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আমরা আপোষহীন: জামায়াত নেতা ডাঃ তাহেরদেবহাটায় জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহের সমাপনীইছামতি নদী থেকে জালে ধরা পড়লো বিশাল এক কচ্ছপসার্চ কমিটি বাতিলের দাবিতে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা বিএনপির বিক্ষোভসাতক্ষীরার পৌর এলাকায় শনিবার সকাল ৫টা থেকে ১০টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ বন্ধ থাকবেতারেক রহমানের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য ও সাইদুরের প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় বিক্ষোভ

সাতক্ষীরায় মধু আহরনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন

নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরা মধু আহরনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। ৭ এপ্রিল বুড়িগোয়ালিনি ফরেস্ট প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা: রনি খাতুন।
বন বিভাগ সাতক্ষীরা রেঞ্জের আয়োজনে খুলনা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এ জেড এম হাসানুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন সহকারি কমিশনার ভূমি শ্যামনগর আব্দুল্লাহ আল রিফাত, শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির,বুড়িগোয়ালিনি ইউপি চেয়ারম্যান হাজি নজরুল ইসলাম, সিনিয়র সাংবাদিক কল্যাণ ব্যানার্জিসহ অন্যরা।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক মোশারফ হোসেন। ২০২৪-২৫ অর্থ আছে ১৫০০ কুইন্টাল মধু এবং ৪০০ কুইন্টাল মোম আহরণের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আলোচনা সভার শেষে অতিথিবৃন্দ মৌয়ালদের সঙ্গে বনের ভিতরে গিয়ে মধু সংগ্রহের উদ্বোধন করেন।
উল্লেখ্য: পহেলা এপ্রিল থেকে মধু সংগ্রহের পাশ দেওয়া শুরু করলেও পবিত্র ঈদ উল ফিতরের কারনে ৭ এপ্রিল আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে সাতক্ষীরা জামায়াতের বিক্ষোভ

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : গাজায় ইসরায়েলি নৃশংসা গণহত্যা ও বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে সাতক্ষীরা জামায়াত।

সোমবার (৭ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে পাঁচ টায় সাতক্ষীরা শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্ক থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবারও শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পাকে যেয়ে শেষ হয়।

মিছিলটির নের্তৃত্বদেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য অধ্যক্ষ মুহঃ ইজ্জত উল্লাহ।

মিছিল পূর্ববর্তি প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা জামায়াতের আমীর উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল, নায়েবে আমীর শেখ নূরুল হুদা, জেলা সেক্রেটারী মাওলানা আজিজুর রহমান, কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য ও জেলা সহকারী সেক্রেটারী প্রভাষক ওমর ফারুক,

সহকারী সেক্রেটারী প্রভাষক ওবায়দুল্লাহ, জেলা কর্মপরিষদ এড.আব্দুস সুবহান মুকুল, শহর জামায়াতের আমীর জাহিদুল ইসলাম, সদর জামায়াতের আমীর মাওলানা মোশারফ হোসেন, শহর শিবিরের সভাপতি আল মামুন, শহর নায়েবে আমীর ফখরুল হাসান লাভলু, শহর সেক্রেটারী খোরশেদ আলম, সদর সেক্রেটারী মাওলানা হাবিবুর রহমান প্রমুখ ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনিতে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনকারী রাজকে গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন

আশাশুনি প্রতিনিধি:
আশাশুনিতে টর্চার সেলে আটকে রেখে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্মমভাবে নির্যানকারী ব্যবসায়ী গাওছুল হোসেন রাজকে গ্রেফতার ও শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার বিকালে শোভনালী ইউনিয়নের ন’কাটি গ্রামে প্রথম দফা নির্যানের স্থানে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

এলাকার নারী পুরুষের সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, প্রত্যক্ষদর্শী জামায়াতে ইসলামী শোভনালী ইউনিয়ন আমীর জিয়াউল ইসলাম, প্রত্যক্ষদর্শী রবিউল ইসলাম, মজিলা খাতুন, নাছিমা খাতুন প্রমুখ। বক্তাগণ বলেন, নির্যাতনের শিকার আমিনুর রহমানের চক খলিশানী মৌজায় বসুখালী বিলে বিসমিল্লাহ হ্যাচারীর মালিক গাউছুল আজম রাজের মৎস্য ঘের সংলগ্ন ৫ বিঘা ডিডকৃত জমির মৎস্য ঘের আছে। রাজের ঘেরের মাছ কে বা কারা চুরি করেছে দাবী করে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে তাকে সন্দেহ করে ৩ এপ্রিল সকাল ৯টার দিকে বাড়ি থেকে উঠিয়ে ঘেরে নিয়ে অভিযুক্তরা মারপিট করে। খবর পেয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মাওঃ আবু বক্কর সিদ্দীক গ্রাম পুলিশ বিল্লালকে পাঠালে সে আমিনুরকে মোটর সাইকেলে করে নিয়ে যাওয়ার পথে ন’কাটিতে পৌছলে চেয়ারম্যানের চামচা তৌহিদ বাঁশ দিয়ে বাড়ি মেরে তাকে নামিয়ে নিয়ে নির্মম মারপিট করতে থাকে। গ্রাম পুলিশ চেয়ারম্যানের কথা বললে তৌহিদ বলে “কিসের চেয়ারম্যান! আমরা চেয়ারম্যান মানিনা”।

এসময় রাজের কুটুম সাইদুল আরও ৩/৪ জনকে নিয়ে সেখানে হাজির হয়ে মারপিট শেষে মোটর সাইকেলে করে আশাশুনির বিসমিল্লাহ হ্যাচারিতে নিয়ে টর্চার সেলে আটকে মারপিট করতে থাকে। আমীর জিয়াউর ও রবিউলদের সামনে সেখানে হাত-পা বেধে উপুর করে শুইয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় সন্ত্রাসী স্টাইলে অবর্ণনীয় নির্যাতন চালান হয়। আমরা হতবাক হয়ে পড়ি। এক পর্যায়ে জিয়াউল ইসলাম নিজেকে জামায়াতের ইউনিয়ন আমীর পরিচয় দিয়ে আইন হাতে তুলে নিচ্ছেন কেন, প্রয়োজনে থানায় দিন। বলার সাথে সাথে তিনি অশ্রাব্য ভাষায় কথা বলে তাদেরকে গেটের বাইরে বের করে দিতে হুকুম দিয়ে হুংকার দিয়ে ওঠেন। তার স্ত্রী নিরাপরাধ স্বামীকে ছেড়ে দিতে অনুনয় বিনয় করেন, কিন্তু কঠিন দিলকে স্পর্শ করেনি। বরং আয়না ঘরের মত টর্চার সেলে নির্মম টর্চার অব্যাহত রাখেন। বাধ্য হয়ে আমরা থানায় গিয়ে অভিযোগ করলে দীর্ঘ সাড়ে তিন ঘন্টা পর পুলিশ তাকে উদ্ধার ও আটকে রেখে নির্যাতনকারী রাজকে থানায় নিয়ে যায়।

পরবর্তীতে বিএনপি শীর্ষ নেতাদের মধ্যস্থতায় মিমাংসা করা হলেও হাসপাতালের বেডে শুয়ে কাতরানো আমিনুরকে চোর ডাকাতের মিথ্যা তকমা দিয়ে নির্যাতনের অপরাধ মুছে ফেলতে অপচেষ্টা চালান হচ্ছে। মানববন্ধন শেষে অমানবিক নির্যাতনকারী ও আইন অমান্যকারী রাজকে গ্রেফতার ও আইনের আওতায় নিতে জোর দাবী জানিয়ে শ্লোগানো শ্লোগানে আকাশ প্রকম্পিত করে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় ১৭ বিঘা  সরকারি খাস জমি উদ্ধার করেছে জেলা প্রশাসন

প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
আজ সকালে সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাক আহমেদের নেতৃত্বে সদর উপজেলার আলিপুর ইউনিয়নে সরকারি খাস জমি উদ্ধারকল্পে বিশেষ অভিযান চালানো হয়।

এসময় উক্ত ইউনিয়নের মাদারতলা মৌজার সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত ৫.৪৮ একর (১৬.৬ বিঘা) জমি অবৈধ দখলদারমুক্ত করা হয়। রোববার রাতে এনডিসি সাতক্ষীরার পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তি জানানো হয়েছে, সাতক্ষীরা জেলার সদর উপজেলার আলিপুর ইউনিয়নের ইটাগাছা গ্রামের বাসিন্দা আলহাজ্ব আব্দুস সাত্তারের ছেলে আব্দুস সবুর দীর্ঘদিন ধরে সরকারি খাস জমি অবৈধ ভাবে দখলে রাখেন। অবৈধভাবে দখলকৃত খাস জমিতে পার্শ্ববর্তী সরকারি জমির মাটি কেটে রাস্তা নির্মাণ করেন।

মাটি কাটার ফলে সৃষ্ট স্থানে দীর্ঘদিন ধরে মাছ চাষ করে আসছেন। তদুপরি, ব্যক্তিগত জমির সাথে সরকারি খাস জমি অবৈধভাবে দখল করে “আলীপুর ব্রিকস” নামে ইটভাটা তৈরি করে রেখেছেন। সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক সরকারি খাস জায়গায় খননকৃত মাটি স্তূপ করে রাখায় এবং খাস জমি অবৈধভাবে দখল করে রাখায় অবৈধ দখলদার আব্দুস সবুরকে আগামী এক মাসের মধ্যে মাটি দ্বারা জায়গাটি ভরাট করে দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করেছেন। অন্যথায় অবৈধ দখলদার হিসেবে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানানো হয়েছে ।

সরকারি খাস জমি উদ্ধারকল্পে বিশেষ অভিযানের সময় সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মঈনুল ইসলাম মঈন সহ সাতক্ষীরা সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি), সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ’এর আমির শহিদুল ইসলাম মুকুল ও জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা আজিজুর রহমান, জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব আবু জাহিদ ডাবলু, জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহবায়ক আরাফাত হোসেন’সহ অন্যান্য রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিশিষ্ট সমাজসেবক আলহাজ্ব আবুল কালাম বাবলা, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগে মাষ্টার ট্রাভেলসকে ভোক্তা অধিকারের জরিমানা

নিজস্ব প্রতিনিধি : পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে পরবর্তী ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্নে করার লক্ষ্যে সাতক্ষীরার পুলিশ, বিআরটিএ ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সমন্বয়ে গঠিত টিম অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগে শহরের মাষ্টার ট্রাভেলস কাউন্টারে অভিযান পরিচালনা করেছে।

রবিবার (৬ এপ্রিল ‘২৫) দুপুরে সাতক্ষীরা শহরের সঙ্গীতা মোড়ে অবস্থিত মাষ্টার ট্রাভেলস পরিবহণ কাউন্টারে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় হচ্ছে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে সাতক্ষীরা জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ মেহেদী হাসান তানভীর এর নেতৃত্বে, বিআরটিএ ও সঙ্গিয় পুলিশ ফোর্সদের সহযোগিতায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ অভিযানে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগে মাষ্টার ট্রাভেলস পরিবহণকে মামলাসহ ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এ অভিযান পরিচালনাকারী সাতক্ষীরার ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ মেহেদী হাসান তানভীর জানান, ঈদ পরবর্তী নির্বিঘ্নে যাত্রীসেবার মান নিশ্চিত করতে শহরের বিভিন্ন পরিবহন কাউন্টার সরকার নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত ভাড়া আদায় হচ্ছে মর্মে অভিযোগের প্রেক্ষিতে এ অভিযান চালানো হচ্ছে। ধার্যকৃত মূল্যের অধিক মূল্যে সেবা বিক্রয় করছেন (ধারা ৪০) ভঙ্গ করাই মাষ্টার ট্রাভেলস পরিবহণকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং পাশাপাশি কোনোভাবেই অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া যাবে না মর্মে সতার্ক করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, সাতক্ষীরার শহরে অবস্থিত পরিবহণ কাউন্টার ও কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে বাস কাউন্টারগুলোতে নির্ধারিত রুটভিত্তিক ভাড়ার তালিকা বড় আকারে প্রকাশ্যে টাঙ্গানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যাতে যাত্রীরা সহজেই নির্ধারিত ভাড়া দেখতে পারেন এবং অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার কোনো সুযোগ না থাকে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় পানিবন্দী ১০০ পরিবারে ছাত্রশিবিরের উপহার

প্রেস বিজ্ঞপ্তি :সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়নের খোলপেটুয়া নদীর বাঁধভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন ও ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে উপহার প্রদান করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সাতক্ষীরা জেলা শাখার নেতৃবৃন্দরা।

রবিবার (৬ এপ্রিল) সকালে সরেজমিনে গিয়ে পানিবন্দি ১০০ পরিবারের হাতে উপহার তুলে দেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাতক্ষীরা জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ।

সাতক্ষীরা জেলা সভাপতি ইমামুল ইসলাম’র সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা শহর শাখা সভাপতি আল মামুন, সাতক্ষীরা জেলা সভাপতি ইমামুল ইসলাম , সাতক্ষীরা জেলা শিবিরের সাবেক সভাপতি মাওলানা রুহুল আমিন, খুলনা জেলা দক্ষিণ সভাপতি আবু জার গিফারীসহ জেলা ও থানা পর্যায়ের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।

এবারের পাকেজে ১০০ পরিবারের কাছে চাল, ডাল, আলু,সয়াবিন তেল, পেঁয়াজ, লবনসহ জরুরী ওষুধ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনিতে জমি জবর দখল ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে মানববন্ধন

আশাশুনি প্রতিনিধি:

আশাশুনিতে অপপ্রচার, মিথ্যা মামলায় হয়রানি ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বড়দল ইউনিয়নের ফকরাবাদ গ্ৰামবাসীর আয়োজনে রবিবার বেলা ১১টায় উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের তেঁতুলিয়া ব্রীজ সংলগ্ন ফকরাবাদ হাবিবুর গাজীর মিলের পাশের মেইন সড়কে এ পৃথক কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ভুক্তভুগী ফকরাবাদ গ্ৰামের ছাইদ গাজীর পুত্র আমান উল্লাহ, ছাক্কার গাজীর পুত্র সালাম গাজী, ছাইদ গাজীর কন্যা ফুন্টি খাতুন ও মোজাম গাজীর পুত্র লিয়াকত গাজী প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, সাবেক এমপি রুহুল হকের ধরম ছেলে, আওয়ামী লীগের দোসর এবং বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ফকরাবাদ গ্ৰামের দাউদ গাজীর পুত্র মোঃ সোলায়মান গাজী ও হাবিবুর গাজী কতৃক চাচাতো ভাই আমান গাজী ও শাহাদাত গাজী গংদের জমি জবর দখল, মিথ্যা মামলা, অপপ্রচার ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করে প্রতিনিয়ত হয়রানি করে চলেছে। বক্তারা আরও বলেন, সোলাইমান গাজী ও হাবিবুর গাজী অসহায় ছবেদ গাজী গংদের ফকরাবাদ মৌজার ৫৪ নং খতিয়ানের ১৯ দাগে ১৪ শতক ডাঙা, ৫৫ খতিয়ানে ২১ দাগে ৫০ শতক ডাঙা এছাড়া ৭৪ দাগে ১ একর ৩৩ শতক চর ও ৫৩ খতিয়ানে ২০ দাগে ১ একর ৫৭ শতক ডাঙা জমির মধ্যে তাদের প্রাপ্পের চেয়ে ৩৩ শতক বেশি জমি দীর্ঘ দিন যাবত জোর পূর্বক জবর দখল করে আসছে। পৈত্রিক সম্পত্তি উদ্ধার করতে গেলেই তাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়।

৬ মাস পূর্বে তাদের মিথ্যা মামলায় ছাইদ গাজী, সালাম গাজী, ফুন্টি খাতুন ও তার চার বছরের কন্যা সন্তানকে জেল খাটিয়েছে। এতেও তারা খ্যান্ত হয়নি আমান উল্লাহর নামে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। মানববন্ধনে বক্তারা ও এলাকাবাসী প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আওয়ামী লীগের দোসর এই সোলাইমান ও হাবিবুরের জমি জবর দখল, মিথ্যা মামলা ও হয়রানির প্রতিকার প্রার্থনা করেছেন। মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় ভেজাল দুগ্ধজাত পণ্য তৈরির কারখানা থেকে বিপুল পরিমাণ ভেজাল দুধ ও ঘিসহ আটক-২

নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ফিংড়ি ইউনিয়নের একটি দুগ্ধজাত পণ্য তৈরীর কারখানায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান ভেজাল দুধ ও ঘিসহ দুই ভেজাল চক্রের সদস্যকে আটক করেছে। এসময় জব্দ করা হয় ২৬০ লিটার ভেজাল তরল দুধ ও ২০ লিটার ভেজাল ঘিসহ ক্রিম, সোডা, কাস্টিক, সয়াবিন তেল, পামওয়েল, জেলী ও দুধ তৈরির মেশিন।

রবিবার বেলা সাড়ে ১১টায় সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম এক প্রেস ব্রিফিং এ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। এর আগে শনিবার রাত ১১টার দিকে সদর উপজেলার ফিংড়ি ইউনিয়নের হাবাসপুর গ্রামে এ অভিযান চালানো হয়।
আটককৃতরা হলেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ফিংড়ী ইউনিয়নের হাবাসপুর গ্রামের কমল ঘোষ ও তার ভাই দিলীপ ঘোষ।

পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম জানান, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ফিংড়ি ইউনিয়নের হাবাসপুর গ্রামের একটি দুগ্ধজাত পণ্য তৈরীর কারখানায় একটি চক্র ভেজাল দুধ ও ঘি তৈরী করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তি শনিবার রাতে ডিবি পুলিশের একটি আভিযানিকদল সেখানে অভিযান চালায়। এসময় সেখান থেকে ২৬০ লিটার ভেজাল তরল দুধ ও ২০ লিটার ভেজাল ঘিসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।

এসময় হাতে নাতে গ্রেপ্তার করা হয় এ চক্রের অন্যতম সদস্য কমল ঘোষ ও তার ভাই দিলীপ ঘোষকে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ভেজাল দুধের কারবারি কমল ও দিলীপ এসব বিষয় স্বীকার করে তারা বলেন, এক কেজি দুধে ৫০০ গ্রাম দুধ ও ৫০০ গ্রাম পামঅয়েল দিয়ে তা বিক্রয় করা হয়। এছাড়া সয়াবিন তেল ও জেলীর সাথে মাখন মিশিয়ে জ্বাল দিয়ে ঘি বানাতেন তারা। দীর্ঘ ৭ বছর যাবত তারা এই ভেজাল ব্যবসা করে আসছেন। জেলার বিভিন্ন এলাকায় আরও ৩০ থেকে ৩৫ জন ব্যক্তি ভেজাল দুধ ও ঘি তৈরির সঙ্গে জড়িত বলে তারা স্বীকার করেন। এদের শনাক্ত করতে ডিবি পুলিশের গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রয়েছে। পুলিশ সুপার বলেন, এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে মিল্ক ভিটা ও ব্র্যাকের মতো নামকরা ব্র্যান্ডের বাজারে ভেজাল দুধ সরবরাহ করে আসছিল। এটি জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি তৈরি করছে। আমরা শুধু অভিযানই নয়, জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির কাজও চালিয়ে যাচ্ছি।

তিনি এসময় বলেন, জেলা পুলিশ ভেজাল খাদ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকারীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। এ ধরনের অপরাধ মানবস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি স্বরূপ। পুলিশ নিয়মিত এধরনের অভিযান পরিচালনা করবে।

তিনি সাধারণ জনগণকে সচেতন থাকার আহŸান জানান এবং কোনো ভেজাল চক্র বা তথ্য পেলে তা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানাতে অনুরোধ করেন।##

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest