সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরার চারটি আসনই ধানের শীষে ভোট দিয়ে বিজয়ী করতে হবে – হাবিবুল ইসলামসাতক্ষীরা সদরের দত্তবাগ টাইগার ক্লাবের নাইট ক্রিকেট টুর্ণামেন্টের উদ্বোধনজাতীয় সংহতি দিবস,এই দিনে বিভাজন নয়, ঐক্যের আহবান -কাজী আলাউদ্দিনসাতক্ষীরা-৩ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী কাজী আলাউদ্দিনকে বিজয়ী করতে গণমিছিলতরুণদের উদ্ভাবনী উদ্যোগকে উৎসাহিত সাতক্ষীরায় অনুষ্ঠিত হলো গ্রীন ইনোভেশন ফেয়ারExplorez les avis des utilisateurs sur gtbet et rejoignez la communautéΕξερευνήστε τις καλύτερες στρατηγικές καζίνο στο gtbet για μεγαλύτερα κέρδηCome registrarsi su Nixbet e iniziare a vincere in pochi passiদেবহাটায় কিশোর-কিশোরী ও যুবকদের সুরক্ষা নিশ্চিতকরণে খেলাধুলার আয়োজনগণমানুষের স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান নলতা হাসপাতাল হুমকির মুখে :রক্ষার দাবি

নির্বাচনী ইশতেহার শীর্ষক উপজেলা পর্যায়ে পরামর্শ সভা

নিজস্ব প্রতিনিধি :  সাতক্ষীরায় নির্বাচনী ইশতেহার শীর্ষক পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদ হলরুমে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সিডো বাস্তবায়নে এবং একশনএইড বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় নির্বাচনী ইশতেহার-২০২৫ এ সাতক্ষীরার প্রেক্ষাপট বিবেচনায় উপজেলা পর্যায়ে পরামর্শ সভায় সভাপতিত্ব করেন সিডো সাতক্ষীরার প্রধান নির্বাহী শ্যামল বিশ্বাস।

কর্মসূচির লক্ষ্য-উদ্দেশ্য বর্ননা করের প্রকল্প সমন্বয়কারী মো. তহিদুজ্জামান। বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার-২০২৫ এ সাতক্ষীরার প্রেক্ষাপট বিবেচনায় স্থানীয় উন্নয়নে চাহিদা নিরুপন প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন ইন্সপেরিটর একশনএইড সুইট খান।
সাতক্ষীরার প্রেক্ষাপটে স্থানীয়দের চাহিদার উপর বক্তব্য প্রদান করেন সাতক্ষীরা ইয়ূথ সভাপতি সাকিব হাসান।
নির্বাচনী ইশতেহারের উদ্দেশ্য ছিল স্থানীয় পর্যায়ে এফজিডি ও কেআই আই মাধ্যমে দাবিগুলো চিহ্নিত করে ইউনিয়ন ও উপজেলা কনসালটেশন মিটিংয়ে উপস্থাপন করা। এছাড়াও স্থানীয় পর্যায়ের চাহিদাগুলোর সাথে উপস্থিতিদের চাহিদা একত্রিত করে একটা শক্তিশালী চাহিদা সনদ তৈরী করা।

এসময় প্রোগ্রাম অফিসার চন্দ্র শেখর হালদার, ইয়ূথ পিয়ার গ্রুপ ফ্যাসিলিটেটর, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, নাগরিক কমিটির সদস্য, ব্যবসায়ী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, এনজিও, সাংবাদিক ও কমিউনিটির অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

স্থানীয় পর্যায়ে দাবী ঃ
সাতক্ষীরায় যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন সাতক্ষীরা জেলার রাস্তা-ঘাটের অবস্থা অনেক শোচনীয়। যোগাযোগ ব্যবস্থাকে উন্নত করতে রাস্তা-ঘাটের সংস্কার খুব জরুরী। সুন্দরবন কেন্দ্রিক টেকসই ইকোটুরিজম প্রতিষ্ঠা, সুন্দরবনের পরিবেশ ও সম্পদ সংরক্ষণ ও পর্যটন বৃদ্ধির মাধ্যমে টেকসই ইকোটুরিজম ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। সাতক্ষীরা বিজ্ঞান ও প্রযুুক্তি বিশ^বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে হবে, যা জেলার শিক্ষার্থীদের আধুনিক শিক্ষা সুবিধা দেবে। রেল সংযোজন সাতক্ষীরা জেলা দীর্ঘদিন ধরে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নে বৈষম্যের শিকার। সাতক্ষীরাকে দেশের রেল নেটওয়ার্কে অর্ন্তভুক্ত করতে হবে। যা জেলা ও দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ত্বরান্বিত করবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় উপক‚লীয় এলাকায় দীর্ঘমেয়াদী স্থায়ী বাঁধ নির্মানের ব্যবস্থা করতে হবে। সাতক্ষীরায় আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম ও ক্রীড়া কমপ্লেক্স নির্মান করা হোক। সীমান্তে মাদক প্রতিরোধে প্রযুক্তি নির্ভর নজরদারী ব্যবস্থা গড়ে তোলা জরুরী। স্থলবন্দরকে পূর্নাঙ্গ বন্দরে রুপান্তর, সাতক্ষীরার ভোমরাকে একটি আধুনিক আন্তর্জাতিক মানের স্থলবন্দর প্রতিষ্ঠা করে ব্যবসা-বানিজ্য বৃদ্ধি করতে হবে। নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য কার্যকর পৌরসভার ব্যবস্থাপনা । সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি উন্নয়নে রাজনৈতিক প্রতিশ্রæতি
সুন্দরবন বাঁচাতে জীবস্ম জ্বালানীকে পরিবর্তে নবায়ন যোগ্য জ্বালানী সংযোজন, জলবায়ু পরিবর্তন সহনশীল কৃষি ব্যবস্থাপনা, সবুজ উদ্যোক্তা তৈরী করার জন্য যথাযথ প্রশিক্ষণাগার তৈরী করতে হবে। প্রাণ সায়ের খালের দুই ধার সৌন্দর্যমন্ডিত করা। যুবদের মুক্ত চিন্তা, উন্নয়ন ভাবনা ও নিজস্ব সাংস্কৃতিক চর্চার জন্য শিক্ষালয় কেন্দ্রিক যুব বান্ধব স্পেস তৈরী ও কার্যকর করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা পৌরসভার প্রথম নির্বাচিত সাবেক মেয়র জলিল আর নেই

সাতক্ষীরা পৌরসভার প্রথম নির্বাচিত সাবেক মেয়র ও জেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক এমএ জলিল আর নেই।
ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন। সোমবার সকালে সাড়ে ৭ টার দিকে ব্লিস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন।

তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।

সোমবার দুপুর ২.১৫ মিনিটে সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে তার নামাজে জানাজ অনুষ্ঠিত হবে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।#

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শ্যামনগরে বিশ্ব নদী দিবসে নদী – খাল দখল মুক্ত করা : ইজারা বন্ধের দাবি

শ্যামনগর প্রতিনিধি :
বিশ্ব নদী দিবস উপলক্ষে সাতক্ষীরার শ্যামনগরে নদী দখল ও ইজারা মুক্তের দাবীতে মানববন্ধন, সমাবেশ ও নানা কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এসময় উপজেলার নদী ও খালগুলোকে বাঁচাতে এবং পরিবেশগত বিপর্যয় রোধে অবিলম্বে দখলদারদের উচ্ছেদ করার দাবি জানিয়েছেন পরিবেশবাদী সংগঠন ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।
যুব স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সিডিও’র আয়োজনে রবিবার শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাব চত্বর থেকে দিবসটি উপলক্ষে র‌্যালী শেষে উপজেলা প্রেসক্লাব চত্বরে এসে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ঘন্টাব্যাপি মানববন্ধনে সিডিও ইয়ুথ টিমের সিনিয়র ভলেন্টিয়ার হাফিজুর রহমান হাফিজ এবং সিনিয়র ভলেন্টিয়ার আনিছুর রহমান মিলন এর সঞ্চালনায় এবং শ্যামনগর আতরজান মহিলা মহা বিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন শ্যামনগর আতরজান মহিলা মহা বিদ্যালয়ের প্রভাষক মানবেন্দ্র দেবনাথ, শিক্ষক ও সাংবাদিক রনজিৎ বর্মণ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাষ্টার নজরুল ইসলাম, সিনিয়র সাংবাদিক আবু সাইদ, আনিসুজ্জামান সুমন, জিএম মোহামম্দ আলী, সিএনআরএস এর ফিল্ড ফ্যাসিলেটেটর মায়া রানী, সিডিও ইয়ুথ টিম ভূরুলিয়া ইউনিটের টিম লিডার সিনিয়র ভলেন্টিয়ার রাজা হোসেন রাজা, সিডিও ইয়ুথ টিম কৈখালী ইউনিটের টিম লিডার সিনিয়র ভলেন্টিয়ার মনি সহ অনেকে।

বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সিএনআরএস এর বাস্তবায়নে এবং সুইডিশ দূতাবাসের সহযোগিতায় উক্ত মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন সিডিও ইয়ুথ টিম মুন্সিগঞ্জ ইউনিটের টিম লিডার সিনিয়র ভলেন্টিয়ার মাফিজুর রহমান, সিডিও ইয়ুথ টিম সদর ইউনিটের ভলেন্টিয়ার নূর নাহার পারভীন নুহা, সিডিও ইয়ুথ টিম আটুলিয়া ইউনিটের ভলেন্টিয়ার রনী হোসেন হোসেন, সিডিও ইয়ুথ টিম নূরনগর ইউনিটের ভলেন্টিয়ার অরুপ দেবনাথ, আলোর পথে সমাজ কল্যান সমিতির সভাপতি প্রতিমা রানী সহ অনেকে।
মানববন্ধনে বক্তারা নদী এবং খালের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে নদী ও খালের গুরুত্ব তুলে ধরেন। কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া বক্তারা বলেন, উপজেলার নদ-নদী ও অধিকাংশ খাল আজ দখল, দূষণ ও অব্যবস্থাপনার কারণে মৃতপ্রায়। অবৈধ দখলদাররা নদীর পাড় দখল করে গড়ে তুলছে অবৈধ স্থাপনা।এতে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, যার ফলে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে।

বক্তারা বলেন, মাদার নদী ভরাট করে অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে। নদীকে দেখে এখন চেনার উপায় নেই। এছাড়া আদি যমুনা নদী তার নাব্যতা হারিয়ে একেবারেই মৃত প্রায়, এছাড়া আদি যমুনাকে বর্জ্য ফেলার স্থান তৈরি করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আনুলিয়ায় ঘরবাড়ি ভাংচুর – লুটপাট আহত ১: থানায় অভিযোগ

আশাশুনি প্রতিনিধি:
আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়নে ঘরবাড়ি ভাংচুর, মালামাল লুটপাট ও মারপিটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এব্যাপারে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।
কাকবাসিয়া গ্রামের আসমাউল গাজীর কন্যা আছমা খাতুন বাদী হয়ে একই গ্রামের হামিদ গাজী, জিন্নাত গাজী, হাফিজুল, মোর্তাজুল, আয়নুল সহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৪/৫ জনকে অভিযুক্ত করে জানান, বাদীর পিতা বিআরএস ২৫-৬২৭ খতিয়ানে ৮২৬ দাগে ১২ শতক জমির মধ্যে ০৪ শতক সম্পত্তিতে কয়েকযুগ বসবাস করে আসছেন। প্রতিপক্ষ জিন্নাত গাজীর বোন ছখিনার মৃত্যুর পর তার এক কন্যা ফরিদা বেগমের কাছ থেকে থার অংশ বাদীর পিতা তার ২ পুত্র রিয়াসাদ ও ইয়াছিনের নামে ১৬৩১ নং রেজিঃ কোবালা মূলে ১৯/৫/২৪ তাং ক্রয় করেন।

এবং সর্ব সাধারণের জ্ঞাতসারে চৌহদ্দি করে দখল বুঝে নেন। সেখানে তক্তা/কাঠের বেড়া দিয়ে, গাছগাছালি লাগিয়ে ৬০ বছরের বসতবাড়ির সাথে ভোগ দখল করছেন। অভিযুক্তরা কিছুদিন যাবৎ পিতার কাছে চাঁদা দাবী করে না দিলে এলাকা ছাড়া করার হুমকী দিচ্ছিল। গত ২৬ সেপ্টেম্বর সকাল ৬ টার দিকে তারা গুন্ডা বাহিনী নিয়ে তার পিতাকে মারধর করে ঘরে থাকা নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার, নগদ টাকা লুট করে নেয়। বাড়ির কাঠের প্রাচীর, ঘর, আসবাবপত্র লুটকরে নিয়ে যায়। গাছ কাটা করাত দিয়ে ৬০ বছর বয়সী তেঁতুল গাছ কেটে ভ্যানে করে নিয়ে যায়। গুরুতর আহত আসমাউলকে আশাশুনি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

একদল সাংবাদিক শনিবার ঘটনাস্থলে গেলে জিন্নাত গাজী ও হামিদ গাজীর বাড়িতে গিয়ে ঘর ভাঙ্গা কিছু মালপত্র দেখতে পায়। তারা সাংবাদিকদের জানান, জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। আদালতের নিষেধ অমান্য করে একটি ঘর নির্মান করা হয়। বারবার বলার পর ভেঙ্গে না নেওয়ায় আমরা ভেঙ্গে দিয়েছি এবং মালপত্র আমার বাড়িতে এনেছি। না আনলে ঝামেলা আরও বেশী হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা কোর্টের আইনজীবী সহকারির মৃত্যুতে জামায়াতের শোক

সাতক্ষীরা কোর্টের আইনজীবী সহকারী ইনকাম ট্যাক্সের আইনজীবী জামায়াতের রোকন পৌর ৯নং ওয়ার্ড জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারী মোঃ মোজাফফর মারা গেছেন।

২৮ সেপ্টেম্বর সন্ধায় ঢাকা ইবনে সিনা হাসপাতালে চিকিৎনাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তিকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫০ বছর। তিনি এক ছেলে এক মেয়ে স্ত্রীসহ বহু আত্মীয় স্বজনসহ গুণগ্রাহী রেখে যান

গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। মরহুমের মৃত্যুতে শহর জামায়াতের আমীর জাহিদুল ইসলাম ও সেক্রেটারী খোরশেদ আলম শোক জানিয়েছেন।

শোক বাণীতে নেতৃবৃন্দ মরহুমের জীবনের সকল নেক আমল কবুল করে তাকে জান্নাতবাসী করার জন্য মহান আল্লাহ রাব্বুল আ’লামীনের কাছে দোয়া করেন এবং মরহুমের শোক-সন্তপ্ত পরিবার-পরিজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে বলেন, মহান আল্লাহ তায়ালা তাদের এ শোক সহ্য করার তাওফিক দান করুন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম জোরদারকরণে সেমিনার

নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম জোরদারকরণ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে । রবিবার বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে উক্ত সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আক্তারুজ্জামান।
এসময় সেখানে আরো উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন ডাঃ আব্দুস সালাম, ট্রাস্ট এর পরিচালক আসিফ মাহমুদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিষ্ণুপদ পাল, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহি এসএম মাহফুজুর রহমান, সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাঃ ইসমত জাহান সুমনা, জেলা জামায়াতের আমীর শফিকুল ইসলাম মুকুল, সহকারী সেক্রেটারী ওমর ফারুক, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মমতাজ আহমেদ বাপী, প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কাসেম, সাধারন সম্পাদক আসাদুজ্জামানসহ সকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণ, স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাগণ, এনজিও প্রতিনিধি ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি এসময় বলেন, গ্রামীন জনগোষ্ঠি বিশেষ করে দরিদ্র, সুবিধা বঞ্চিত ও অসহায় মানুষ যারা ন্যুনতম স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত তারা তাদের একেবারে ঘরের কাছেই সম্পূর্ণ বিনামূল্যে মানসম্মত প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা পৌছে দেয়ার লক্ষে কমিউিনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। জনমুখি এ কার্যক্রম ১৯৯৯৬ সালে গৃহীত হয় এবং তা বাস্তবায়ন শুরু হয় ১৯৯৮ সালে। কমিউনিটি ক্লিনিক গড়ে উঠেছে জনগনের দান করা জমিতে। সরকার ভবন নির্মান, সেবাদানকারী নিয়োগ, ঔষধসহ প্রয়োজনীয় যাবতীয় যন্ত্রপাতি ও উপকরন সরবরাহ করছে। পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা করছে সরকার এবং জনগণ।
সেমিনারে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে স্বাস্থ্য সেবা দিতে কমিউনিটি ক্লিনিকের গুরুত্ব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।##

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
প্রথম আলোর বিভ্রান্তিকর রিপোর্টের প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন

দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় সাতক্ষীরার উন্নয়ন নিয়ে প্রকাশিত বিভ্রান্তিকর ও ষড়যন্ত্রমূলক প্রতিবেদনের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে সাতক্ষীরা উন্নয়ন ফোরাম। একই সঙ্গে জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি পালিত হয়। সাতক্ষীরা উন্নয়ন ফোরামের সদস্য মো. জাহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সদস্য সচিব প্রভাষক ওমর ফারুক।
মানববন্ধনে বক্তারা প্রথম আলোর প্রতিবেদনকে মিথ্যা, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও জেলার উন্নয়নের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হিসেবে আখ্যায়িত করেন।

সাতক্ষীরা উন্নয়ন ফোরামের সদস্য সচিব প্রভাষক ওমর ফারুক বলেন, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর সরকার যখন সাতক্ষীরার
উন্নয়নে প্রকল্প গ্রহণ করেছে, তখনই গাত্রদাহ শুরু হয়েছে প্রথম আলোর। ভারতীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী প্রথম আলো জেনে বুঝেই এমন বিভ্রান্তিকর তথ্য পরিবেশন করেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।

এড. আব্দুস সুবহান মুকুল বলেন, ভুল বা বিকৃত তথ্য দিয়ে সাতক্ষীরার ন্যায্য উন্নয়ন দাবিকে ছোট করা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। অবহেলিত এই জেলার মানুষকে উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত করার ষড়যন্ত্র চলছে। প্রথম আলো যে এজেন্ডা বাস্তবায়ন
করতে চাচ্ছে তা কখনোই সফল হতে দেওয়া হবে না।

মাওলানা হাবিবুর রহমান বলেন, মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নাম ব্যবহার করে যে অসত্য তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে তা সাতক্ষীরার মানুষের
সঙ্গে প্রতারণা ছাড়া আর কিছু নয়।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক আহ্বায়ক আরাফাত হোসেন বলেন, ফ্যাসিস্ট বিদায়ের পরেও প্রথম আলো সাতক্ষীরার
উন্নয়ন বাঁধাগ্রস্থ করতে যে বিভ্রান্তমূলক সংবাদ প্রকাশ করেছে তা কোন ভাবেই মেনে নেয়া যায় না। এই পত্রিকাটি প্রতিবার ই দেশের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র মূলক সংবাদ প্রকাশ করে আসল চরিত্র উন্মোচন করেছে।

মানববন্ধনে সাতক্ষীরার উন্নয়নের জন্য বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি উত্থাপন করা হয়, তা হলো- একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, একটি বিমানবন্দর নির্মাণ, কৃষিপণ্যের জন্য হিমাগার স্থাপন, ভোমরা স্থলবন্দর আধুনিকায়ন, পর্যটন কেন্দ্র স্থাপন ও সম্প্রসারণ এবং রাস্তাঘাট ও অবকাঠামো উন্নয়নে বিশেষ
বরাদ্দ। বক্তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন- সাতক্ষীরার উন্নয়ন নিয়ে কোন ষড়যন্ত্র বরদাশত করা হবে না।

সংবাদমাধ্যমকে সত্য তথ্য পরিবেশন করতে হবে এবং জনগণের ন্যায্য দাবি তুলে ধরতে হবে। মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সরকারের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়- সাতক্ষীরার উন্নয়ন কোন ব্যক্তিগত দাবি নয়, এটি একটি জাতীয় দাবী। তাই বিভ্রান্তিকর সংবাদ দিয়ে উন্নয়ন ব্যাহত করার অপচেষ্টা বন্ধ করতে হবে।  প্রেস বিজ্ঞপ্তি

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় নাগরিক সংলাপে সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পরিচ্ছন্ন নগর গড়ে তোলার দাবি

নিজস্ব প্রতিনিধি: ‘সাতক্ষীরা শহরের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা: সংকট ও সমাধান’ শীর্ষক এক নাগরিক সংলাপে সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পরিচ্ছন্ন নগর গড়ে তোলার দাবি জানানো হয়েছে।

রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে বাংলাদেশ রিসোর্স সেন্টার ফর ইন্ডিজেনাস নলেজ (বারসিক) এই সংলাপের আয়োজন করে।

এতে সভাপতিত্ব করেন সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব ও বাপা সাতক্ষীরার সভাপতি আবুল কালাম আজাদ।

সংলাপে বক্তারা বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অভাবে শহরের যত্রতত্র ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। নেই ড্রেনেজ ব্যবস্থা। বৃষ্টির পানি জমে ময়লা আবর্জনা ভেসে বেড়াচ্ছে। শহরে ময়লা আবর্জনা ফেলার কোনো নির্দিষ্ট স্থান নেই। গড়ে তোলা হয়নি কোনো ডাম্পিং স্টেশন। প্রথম শ্রেণীর পৌরসভা হওয়া সত্ত্বেও সাতক্ষীরা পৌরসভার সেবার মান তলানিতে। এ অবস্থা চলতে থাকলে সাতক্ষীরা পৌরসভা বসবাসের যোগ্যতা হারাবে।

এসময় বক্তারা ময়লা ফেলার জন্য নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং ডাম্পিং স্টেশন স্থাপনের মাধ্যমে সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন নগর গড়ে তোলার দাবি জানান।

সংলাপে ধারণাপত্রে বলা হয়, সোয়া দুই লাখ মানুষের সাতক্ষীরা শহরে ডাস্টবিন রয়েছে মাত্র ২০ থেকে ২২টি, যার বেশিরভাগই খোলা ও বেষ্টনীবিহীন। ফলে বর্জ্য একদিকে যেমন ডাস্টবিন উপচে পড়ে থাকে, অন্যদিকে যেখানে ডাস্টবিন নেই সেখানে নাগরিকরা বাধ্য হয়ে রাস্তায় বর্জ্য ফেলেন।

সংলাপে বক্তব্য রাখেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আসাদুজ্জামান, সাতক্ষীরা পৌরসভার কনভেন্সি ইন্সপেক্টর ইদ্রিস আলী, সনাক-সাতক্ষীরার সাবেক সভাপতি হেনরী সরদার, প্রাণ সায়ের খাল বাচাঁও আন্দোলনের সভাপতি প্রফেসর মোজাম্মেল হোসেন, সাংবাদিক কল্যাণ ব্যানার্জি, মমতাজ আহমেদ বাপ্পী, মিজানুর রহমান, গোলাম সরোয়ার, স্বদেশ পরিচালক মাধব চন্দ্র দত্ত, হেড পরিচালক লুইস রানা গাইন, নাগরিক নেতা আলী নুর খান বাবুল, সাংবাদিক বিপ্লব হোসেন, বারসিক কর্মকর্তা গাজী মাহিদা মিজান, যুব সদস্য তরিকুল ইসলাম, স্থানীয় বাসিন্দা কুমারেশ মজুমদার, বিউটি খাতুন প্রমুখ।#

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest