সর্বশেষ সংবাদ-
আশাশুনিতে এনসিটিবি’র অনুমোদনহীন বই বাজারজাতে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার অভিযোগদেবহাটায় ফেয়ার মিশনের অসহায় শীতার্তদেরকে কম্বল বিতরনদেবহাটার পারুলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির কর্মী ও মতবিনিময়আমতলা উদিয়মান ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধনসাতক্ষীরায় কায়পুত্র স¤প্রদায়ের ভূমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা সভাসাতক্ষীরা শহিদ আব: রাজ্জাক পার্ককে বর্জ্য ও জলাশয় ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন বিষয়ক কর্মশালাদেবহাটায় তারুণ্যের উৎসবে মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সামগ্রি বিতরণ ইউএনওরস্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ভিবিডি সাতক্ষীরার নেতৃত্বে ইব্রাহিম খলিলশ্রীউলায় ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভাসাতক্ষীরা আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ

দেবহাটায় ইউএনওর অভিযানে পুশকৃত ৩মন চিংড়িসহ ২জন আটক

কে এম রেজাউল করিম দেবহাটা : দেবহাটায় ইউএনওর ভ্রাম্যমান আদালতে ৩মন পুশকৃত চিংড়িসহ ২জনকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর দুপুরে পারুলিয়া মৎস্য সেডের আড়ত থেকে চিংড়িতে পুশ করার সময় পুশ করার যন্ত্রপাতিসহ তাদেরকে আটক করা হয়।

জানা গেছে, আমাদের দেশের রপ্তানি আয়ের অন্যতম উৎস চিংড়ি। সাদা সোনাখ্যাত এই চিংড়ি রপ্তানি করে আমরা অনেক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করি। সেই সুনাম নষ্ট করতে একশ্রেনীর অসাধু ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন চিংড়িতে সাবু ও জেলিসহ নানারকম অপদ্রব্য পুশ করে আসছে। প্রশাসন এবিষয়ে বিভিন্ন সময়ে একাধিক অভিযান পরিচালনা করে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করে৷ কিন্তু অসাধু ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম কমানো যাচ্ছেনা।

মঙ্গলবার ইউএনও মোঃ আসাদুজ্জামান গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দুপুর ২টার দিকে এই অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ হযরত আলী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে ছিলেন। অভিযানে পুশকৃত ৩ মন উপজেলার খেজুরবাড়িয়া গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম ও দক্ষিণ পারুলিয়া গ্রামের প্রশান্ত ঘোষের ছেলে উত্তম ঘোষকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়। পরে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে আটককৃত চিংড়ি আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়া হয় এবং আটককৃত ২জন অসাধু ব্যবসায়ীকে ২ লক্ষ টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় বিজিবি’র অভিযানে মাদকদ্রব্যসহ ১০ লাখ টাকার ভারতীয় পন্য জব্দ

নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরা ও কলারোয়া সীমান্তে চোরাচালান বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে মাদকদ্রব্যসহ প্রায় দশ লক্ষ টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ করেছে ৩৩ বিজিবির সদস্যরা।

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) ভোমরা, কালিয়ানী, তলুইগাছা, কাকডাঙ্গা, হিজলদী ও চান্দুরিয়া বিওপির সীমান্ত এলাকায় বিশেষ চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়ন (৩৩ বিজিবি) এর সদস্যরা এসব ভারতীয় মালামাল আটক করে।

সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়ন (৩৩ বিজিবি)র অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ আশরাফুল হক স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানা গেছে।

বিজিবি অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ আশরাফুল হক জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ভোমরা বিওপির বিশেষ আভিযানিক দল সীমান্ত পিলার ৩/১-এস হতে আনুমানিক ২০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সাতক্ষীরা সদর থানাধীন লক্ষীদাড়ী নামক স্থান হতে ১১ বোতল ভারতীয় মদ ও মেইন পিলার ৩ হতে আনুমানিক ৩০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সদর থানাধীন ফলমোড় নামক স্থান হতে ২৭ হাজার টাকা মূল্যের ভারতীয় শাড়ী আটক করে।

কালিয়ানী বিওপির বিশেষ আভিযানিক দল সীমান্ত পিলার ৯/৩-এস হতে আনুমানিক ১০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে খৈতলা নামক স্থান হতে ৪৭০ পিস ভারতীয় ইয়াবা আটক করে। তলুইগাছা বিওপির বিশেষ আভিযানিক দল মেইন পিলার ১৩ হতে আনুমানিক ২০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে তলুইগাছা মাঠ হতে ০৬ বোতল ভারতীয় মদ ও মেইন পিলার ১৩ এবং তলুইগাছা মাঠ এবং চৌরঙ্গী মোড় হতে ১ লাখ টাকা মূল্যের ভারতীয় ঔষধ এবং ভারতীয় শাড়ী আটক করে।

কাকডাঙ্গা বিওপির পৃথক তিনটি বিশেষ আভিযানিক দল সীমান্ত পিলার ১৩/৩-এস হতে আনুমানিক ৩০০- ৫০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কলারোয়া থানাধীন রাজ্জাকের মোড় নামক স্থান হতে ১০ বোতল ভারতীয় মদ এবং গেড়াখালী মোড় নামক স্থান হতে ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা মূল্যের ভারতীয় ঔষধ এবং ভারতীয় শাড়ী আটক করে।

হিজলদী বিওপির বিশেষ আভিযানিক দল সীমান্ত পিলার ১৩/৫-এস হতে আনুমানিক ২০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কলারোয়া থানাধীন হিজলদী নামক স্থান হতে ১ লাখ ৫ হাজার টাকা মূল্যের ভারতীয় ঔষধ আটক করে।

এছাড়া, চান্দুরিয়া বিওপির বিশেষ আভিযানিক দল সীমান্ত পিলার ১৭/৬-এস হতে আনুমানিক ১৫০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কলারোয়া থানাধীন আমবাগানের ভিতর হতে ৭০ হাজার টাকা মূল্যের ভারতীয় ঔষধ আটক করে। সর্বমোট ৯ লাখ ৬৩ হাজার ৫০০ টাকা মূল্যের বিভন্ন চোরাচালানী মালামাল আটক করে।

বিজিবি অধিনায়ক জানান, চোরাকারবারী কর্তৃক বর্ণিত মালামাল শুল্ককর ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে ভারত হতে বাংলাদেশে পাচার করায় জব্দ করা হয়। এভাবে ভারতীয় দ্রব্য সামগ্রী চোরাচালানের কারনে দেশীয় শিল্প ক্ষতিগ্রস্থ হবার পাশাপাশি দেশ উল্লেখযোগ্য রাজস্ব আয় হতে বঞ্চিত হচ্ছে। বিশেষ আভিযানিক দল কর্তৃক উদ্ধারকৃত ভারতীয় মালামাল সাতক্ষীরা কাস্টমস এ জমা ও মাদকদ্রব্য সমূহ সাতক্ষীরা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরে সাধারণ ডায়েরী করতঃ পরবর্তীতে জনসম্মুখে ধ্বংসের নিমিত্তে ষ্টোরে জমা হয়েছে।

উল্লেখ্য, দেশের রাজস্ব ফাঁকি রোধ করে স্থানীয় শিল্প বিকাশে এবং দেশের তরুন/যুব সম্প্রদায়কে মাদকের নির্মম ছোবল হতে রক্ষা করার মহতী উদ্যেগে বিজিবি’র এরূপ দেশপ্রেমিক ও জনস্বার্থে পরিচালিত অভিযানে উপস্থিত স্থানীয় জনগন সাধুবাদ জ্ঞাপন করে এ ধরণের অভিযান অব্যাহত রাখার জন্য অনুরোধ করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনির চাপড়ায় মূল নদীর উপর দিয়ে নদী খননের দাবীতে মানববন্ধন

বিএম আলাউদ্দীন আশাশুনি ব‍্যুরো:
আশাশুনি উপজেলার মধ্য চাপড়ায় মূল নদী বাদ দিয়ে ডিএস, এসএ ও আরএস রেকর্ডীয় জমির উপর নিয়ে নদী খননের কার্যক্রম বন্ধের দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে চাপড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে ভাঙ্গন কবলিত সড়কে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

এলাকাবাসীর আয়োজনে মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন, নদী ভাঙ্গন কবলিতদের মধ্যে আয়ুব আলী সরদার, রফিকুল ইসলাম, আজহারুল ইসলাম, আফজাল হোসেন, মমতাজ বেগম ও হেলেনা খাতুন। বক্তাগণ বলেন, আরএস নকশায় প্রবাহমান নদী বিদ্যমান ও সরকারী খাস জমি থাকার পরও অজ্ঞাত কারনে আমাদের ডিএস খতিয়ান, এসএ ও আরএস খতিয়ানের রেকর্ডীয় সমতল জমির মাঝখান বরাবর বর্তমান নদী খনন নকশা চূড়ান্ত করায় নদীর দুই তীরে আমাদের রেকর্ডীয় জমি বাদ পড়ায় আমরা শত শত পরিবার ক্ষতির সম্মুখীন হবো। ইতিপূর্বে আমাদের বাপ-দাদার আমলে জমি ও ভিটেবাড়ী বাংতে ভাংতে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বহু পরিবার বসতবাড়ি, জমি হারিয়ে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হয়েছে। বর্তমানে ১৫০-২০০ পরিবার তাদের শেষ সম্বল রেকর্ডীয় জমিতে বসবাস করছে এবং ছোট ছোট মৎস্য ঘেরে মাছ চাষ করে কোন রকমে সংসার নির্বাহ করছে।

খেটে খাওয়া দীনমজুর শ্রেণির অসহায় পরিবারের সদস্যরা সেখানে বসবাস করছে। অথচ নদী খনন নীতিমালা বর্হিভূত প্রবাহমান নদী স্রোত অনুসরন কিম্বা মূল নদীর নকশা মোতাবেক সীমানা চিহ্নত না করে লাল পতাকা টানানো হয়েছে। মূল নদীর স্থান দিয়ে খনন না করে নদী খননের দূরত্ব কমাতে সাধারণ জনগনের ডিএস, এসএ ও আরএস খতিয়ানের দাগের উপর নদী খননের লক্ষ্যে রেকর্ডীয় জমির উপরে লাল পতাকা টানানোয় রেকর্ডীয় মালিকেদের মরার উপর খাড়ার ঘা হয়ে দেখা দিয়েছে। নিয়ম বহির্ভুত খনন কাজ করা হলে কবর স্থান, ঘর বাড়ী, মৎস্য ঘের সহ জনসাধারনের মারাত্মক ক্ষতি হবে।

ডিএস রেকর্ডে ৮০০ থেকে ১১০০ ফুট পর্যন্ত নদী ছিল। সেখানে খনন না করে আমাদের রেকর্ডীয় জমির উপর দিয়ে নদী খননের পায়তারা করা হচ্ছে। বক্তাগণ বলেন, এব্যাপারে প্রতিকার প্রার্থণা করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত আবেদন করা হয়েছে। তারা নদী খনন নীতিমালা অনুসরণ করে ডিএস, এসএ ও আরএস রেকর্ডীয় মালিকের রেকর্ডীয় জমি এবং ঘরবাড়িসহ সকল সম্পদ রক্ষায় ন্যায়সঙ্গত আইনানুগ নদী খননের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জোর দাবী জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনিতে জলবায়ু পরিবর্তন ও আভ্যন্তরীন অভিবাসন শীর্ষক মিডিয়া এ্যাডভোকেসী সভা

আশাশুনি ব‍্যুরো:
আশাশুনিতে জলবায়ু পরিবর্তন এবং অভ্যন্তরীণ অভিবাসন/বাস্তুচ্যুতি শীর্ষক এ্যাডভোকেসী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১০.৩০ টায় উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এ এ্যাডভোকেসী সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘কারিতাস বাংলাদেশ’ খুলনা অঞ্চলের ডিআরআর এন্ড সিসিএ প্রজেক্টের আওতায় আয়োজিত এ্যাডভোকেসী সভায় সভাপতিত্ব করেন, উপজেলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার কৃষ্ণা রায়।

সভায় মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে মূল আলোচনা উপস্থাপন ও অংশ গ্রহনকারীদের মতামত গ্রহন করেন, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ইনস্টিটিউট অব ডিজিস্টার ম্যানেজমেন্ট এর সহকারী অধ্যাপক ড. মোঃ ইসমাইল হোসেন। সভায় উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ এস এম এনামুল ইসলাম, পিআইও আমিরুল ইসলাম, দৈনিক প্রথম আলোর স্টাফ রিপোর্টার কল্যান ব্যানার্জী, আশাশুনি প্রেস ক্লাব সভাপতি জি এম আল ফারুক, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জি এম মুজিবুর রহমান, সেক্রেটারী এসকে হাসান, সাবেক সেক্রেটারী সমীর রায়, রিপোর্টার্স ক্লাব সভাপতি রাবিদ মাহমুদ চঞ্চল, সাধারণ সম্পাদক বিএম আলাউদ্দীন, সাংগঠনিক সম্পাদক লিংকন আসলাম, সদস্য এস এম শরিফুল ইসলাম শরীফ ও আবু সালেহ, মাসুম বিল্রাহসহ সাতক্ষীরা, কয়রা উপজেলার কামাল হোসেন সহ সাংবাদিকবৃন্দ এবং প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যান হাজী আবু দাউদ ঢালী, প্রকল্প সমন্বয়কারী পবিত্র কুমার মন্ডল,

মিল কো-অর্ডিনেটর মোঃ ইব্রাহিম হোসেন, চাকলার ভুক্তভোগি পরিবারের সদস্য মোসলেমা খাতুন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সভায় নদী ভাঙ্গন, প্রচুর লবণাক্ততা, টেকসই বেড়ীবাঁধের অভাব, বনায়ন ধ্বংস, কাজের অভাব, প্রয়োজনের তুলনায়ন অধিক সম্পদ ক্রয়, সংস্কার বিহীন প্লাবিত রাস্তা, মৌসুমী আয়ের উপর অত্যাধিক আস্থা, দীর্ঘ মেয়াদী সুপরিকল্পনার অভাব, অপরিকল্পিত পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা, প্রয়োজনীয় স্লুইস গেটের অভাব, দুর্বল সরকারি পরিকল্পনা, অনুন্নত শিক্ষা, সাগরমুখী ও ইটের ভাটার আয়ের উপর নির্ভরতা ও যুগোপযোগি প্রশিক্ষণের অভাব এলাকার মানুষের বাস্তুচ্যুত হওয়ার কারণ হিসাবে উপস্থিত সকলের কথোপকথনের মাধ্যমে বেরিয়ে আসে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেবহাটায় আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবসের মানববন্ধন,বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও আলোচনা সভা

কে এম রেজাউল করিম দেবহাটা (সাতক্ষীরা): “দুর্নীতির বিরুদ্ধে তারুণ্যের একতা, গড়বে আগামীর শুদ্ধতা” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দেবহাটায় ৯ ডিসেম্বর ২৪ ইং সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় আন্তর্জাতিক দূর্নীতি বিরোধী দিবস পালিত হয়েছে।

শুরুতে উপজেলা গেটের সামনে মানববন্ধন ও পরবর্তীতে দেবহাটা উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির আয়োজনে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত আলোচনা সভায় দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি সাবেক প্রধান শিক্ষক এনামুল হক বাবলুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন দূর্নীতি দমন কমিশন খুলনার উপ-সহকারী পরিচালক আশিকুর রহমান।

উপজেলা দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারন সম্পাদক প্রভাষক চন্দ্রকান্ত মল্লিকের সঞ্চালনায় সভায় উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাসরিন জাহান, পারুলিয়া বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম, উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মোছাঃ মুনতাহা, দেবহাটা রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি আর কে বাপ্পা, সিনিয়র সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান কাজল, সাংগঠনিক সম্পাদক কে.এম রেজাউল করিম, বিভিন্ন এনজিও কর্মী সহ উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন। সভায় দূর্নীতি প্রতিরোধে করনীয় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনিতে আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস পালিত

বিএম আলাউদ্দীন, আশাশুনি ব‍্যুরো:
আশাশুনিতে আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস’ ২০২৪ পালিত হয়েছে।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টায় উপজেলা পরিষদের সামনে রোডে দুর্নীতি বিরোধী মানববন্ধন শেষে উপজেলা পরিষদ হলরুমে আলোচনা সভায় সম্মিলিত হয়। খুলনা দুর্নীতি দমন কমিশন সাজেকা, আশাশুনি উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির আয়োজনে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার কৃষ্ণা রায়।

‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে তারুণ্যের একতা: গড়বে আগামীর শুদ্ধতা’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি চিত্তরঞ্জন ঘোষের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, দুর্নীতি দমন কমিশন, খুলনার উপ-সহকারী পরিচালক মোঃ মহসীন আলী, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোঃ রফিকুল ইসলাম, নবাগত প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম,

উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা আরিফা খাতুন। শুরুতেই পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন শারমিন সুলতানা ও গীতা পাঠ করেন লোপা বসু। উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্য রোকনুজ্জামানের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক আজাদুল ইসলাম, সদস্য এইচ মমতাজ হেলেন ও জিএম মামুন হাসান। আলোচনায় বক্তাগন আগামী দিনে সকল পর্যায়ে দুর্নীতি প্রতিরোধে সকল শ্রেণী পেশার মানুষের উদ্বুদ্ধ করতে উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির কর্মকর্তা ও সদস্যদের বিভিন্ন কর্মসূচী হাতে নিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার আহবান জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা শহরের নিম্ন আয়ের মানুষের আবাসন সংকট ও সমাধানে করণীয় বিষয়ক সংলাপ

নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা শহরের নিম্ন আয়ের মানুষের আবাসন সংকট ও সমাধানে করণীয় বিষয়ক এক সংলাপে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন নাগরিকরা। সংলাপে উঠে আসে পৌরসভার বস্তি এলাকাগুলোতে প্রায় ৭০ হাজার মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছেন। আবাসন মানুষের মৌলিক অধিকার হওয়া সত্ত্বেও এই জনগোষ্ঠীর জন্য এখনো কার্যকর কোনো পরিকল্পনা নেওয়া হয়নি।

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক আয়োজিত সংলাপে অংশ নিয়ে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ এসব কথা বলেন।

সংলাপে ধারণাপত্র পাঠ করেন বারসিক কর্মকর্তা গাজী মাহিদা মিজান।

এতে বলা হয়, সাতক্ষীরা পৌরসভায় ৪৭টি বস্তি রয়েছে। যেখানে প্রায় ৭০ হাজার মানুষ বসবাস করে। যা পৌর এলাকার মোট জনসংখ্যার ৩৫ শতাংশ। এই জনগোষ্ঠীর বেশিরভাগই বিভিন্ন সময়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবে সর্বস্বান্ত হয়ে গ্রাম থেকে শহরের বস্তিতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন। এতে তাদেরকেও যেমন নানা সংকটের মধ্যদিয়ে জীবনযাপন করতে হচ্ছে, তেমনি কোনো পরিকল্পনা না থাকায় সংকট আরও বাড়ছে।

সংলাপে বক্তারা বলেন, বস্তিগুলোতে পয়নিষ্কাশন ব্যবস্থা অপ্রতুল, নেই বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কোন সঠিক পরিকল্পনা। বস্তিতে প্রতিটি টয়লেট একাধিক পরিবার ব্যবহার করে, যা কোনভাবেই স্বাস্থ্যসম্মত নয়। পরিবেশ অত্যন্ত অপরিচ্ছন্ন ও ঘিঞ্জি।

সংলাপে অংশগ্রহণকারীরা নগরের নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য নিরাপদ, পরিবেশবান্ধব ও দুর্যোগসহনশীল বাসস্থান নিশ্চিতকরণ, বস্তির শিশুদের শিক্ষা নিশ্চিতকরণ, দরিদ্রদের বিনামূল্যে চিকিৎসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রদান, দুর্যোগ ঝুঁকি মোকাবেলায় বিশেষ ঝুঁকি ভাতা ও প্রণোদনা প্রদান এবং সবার জন্য বাসযোগ্য নগর পরিকল্পনা গ্রহণের প্রস্তাব করেন।

সংলাপে সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির আহবায়ক আজাদ হোসেন বেলালের সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক এসএম বিপ্লব হোসেনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, পরিবেশ কর্মী অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, মানবাধিকার কর্মী অধ্যাপক পবিত্র মোহন দাস, স্বদেশ পরিচালক মাধব চন্দ্র দত্ত, নাগরিক নেতা আলী নূর খান বাবুল, উদীচীর সভাপতি শেখ সিদ্দিকুর রহমান, ভূমিহীন নেতা আব্দুস সামাদ, সিনিয়র সাংবাদিক কল্যাণ ব্যানার্জি, সাংবাদিক মিজানুর রহমান, গোলাম সরোয়ার, বস্তিবাসীদের মধ্যে রাজারবাগান ঋষিপাড়ার কুমারেশ সরদার, ইসলামপুরের ইসরাফিল হোসেন, আতির বাগানের আশরাফ আলী, কাজীপাড়ার এরশাদ আলী, ইটাগাছার খাদিজা খাতুন ও মুহিনুর ইসলাম, শিক্ষা, সংস্কৃতি বৈচিত্র্য রক্ষা টিমের সদস্য হৃদয় মন্ডল প্রমুখ। #

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বাংলাদেশের স্বাধীণতা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরায় প্রতিবাদ সমাবেশ

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : বাংলাদেশের স্বাধীণতা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরায় প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আমার বাংলাদেশ(এবি পার্টি) এর আয়োজনে সোমবার বিকাল ৪টায় সাতক্ষীরা নিউ মার্কেট চত্বরে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা কমিটির ক্রীড়া সম্পাদক মনঞ্জুরুল কবির রিপন।

প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, এবি পার্টি সাতক্ষীরা জেলার আহবায়ক ভিপি আব্দুল কাদের।
বক্তব্য রাখেন, পার্টির সদর থানার সভাপতি ডা: জি এম সালাউদ্দিন শাকিল, পার্টির সদস্য ভ‚মিহীন নেতা আব্দুস সাত্তারসহ অন্যরা। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন পার্টির জেলা সদস্য সচিব মো: আলমগীর হুসাইন।
বক্তারা বলেন, আপনারা দীর্ঘদিন বাংলাদেশের উন্নয়নের নামে দেশকে ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে পৌছে দিয়েছেন।

৫ আগস্ট ছাত্রজনতার রক্তের বিনিময়ে নতুন করে বাংলাদেশটাকে গঠন করার স্বপ্ন দেখছি। মানুষের সেই স্বপ্ন ভঙ্গের কারন হবে না। যদি আপনারা উস্কানি দিয়ে দেশকে আবারো অশান্ত করার পায়তারা করেন। এরপরিনতি কিন্তু ভালো হবে না। বাংলাদেশের মানুষ দাঁতভাঙ্গা জবাব দিবে। বক্তারা হুশিয়ারি প্রদান করে বলেন বাংলাদেশের স্বাধীণতা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের কোন ছাড় দেওয়া হবে না।##

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest