সর্বশেষ সংবাদ-
কলারোয়া’র কাঠের ব্রীজ পূর্ণ নির্মাণ করল কলারোয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতিদেবহাটায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিবসে আলোচনাযুব দিবসে সাতক্ষীরায় জামায়াতের যুব র‌্যালিইতিহাসের প্রভাষক হয়েও গার্হস্থ্য অর্থনীতিতে এমপিও : শিক্ষা উপদেষ্টার কাছে অভিযোগসাতক্ষীরায় পুত্রের মারপিটের হাত থেকে রক্ষা পেতে পিতার সংবাদ সম্মেলনদেবহাটায় মাদক-সন্ত্রাস-ভূমিদস্যু প্রতিরোধে বিট পুলিশিং সমাবেশসাতক্ষীরায় জামায়াতের উদ্যোগে বিনামুল্যে চক্ষু শিবিরবাবুলিয়ায় পৈত্রিক সম্পত্তিসহ তার সামনের সরকারি সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল চেস্টার অভিযোগসাতক্ষীরা বৈকারী সীমান্তে মানবপাচার প্রতিরোধ ও প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের উদ্বোধনসাতক্ষীরা সদর উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদকের মৃত্যু

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে পারভেজ মল্লিকের মতবিনিময়

প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

তেরখাদায় মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক সভাপতি পারভেজ মল্লিক। বৃহস্পতিবার বিকালে তেরখাদা কমপ্লেক্সে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে এ মতবিনিময় সভায় অংশ নেন তিনি। তেরখাদা থানার ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার শেখ শহিদুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।

মতবিনিময় সভায় পারভেজ মল্লিক বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ জাতীর শ্রেষ্ঠ ও সবচেয়ে সম্মানিত ব্যক্তি। বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ তেরখাদার সকল নাগরিকদের সেবা দিতে আমি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তিনি আরও বলেন, ‘আমার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল মজিদ মল্লিক আপনাদের সহযোদ্ধা। আমি আপনাদের সন্তানের মতো। দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময় আমি প্রবাস জীবন থেকে এখন আপনাদের সেবায় ফিরে এসেছি।’

মতবিনিময় সভায় সাচিয়াদাহ ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমানের সন্তান মোঃ ফারুখ তরফদারের চিকিৎসায় সর্বাত্মক সহযোগিতার ঘোষণা দেন।

শেখ তবিবুর রহমানের পরিচালনায় মতবিনিময় সভায় বক্তৃতা করেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা- সরদার আমির হোসেন, মো. বিল্লাল হোসেন, চৌধুরী আবুল খায়ের, সুনীল কুমার সাহা, লষ্কর অলিয়র রহমান, মকবুল হোসেন, মো. মিজানুর রহমান, শেখ এনায়েত হোসেন, গোলাম মোর্তুজা, মো. হুমায়ুন কবির ও মোল্লা মুজিবুর রহমান প্রমুখ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সংসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গালিব ইমতিয়াজ নাহিদ, তেরখাদা উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক মো. রবিউল হোসেন, তেরখাদা থানা ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠা সভাপতি মো. বিল্লাল হোসেন, তেরখাদা উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম মোস্তাক আহমেদ, তেরোখাদা উপজেলা বিএনপির সাবেক প্রচার সম্পাদক শেখ রবিউল ইসলাম লাকু, তেরোখাদা উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি সরদার জিয়াউর রহমান, তেরোখাদা উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ শরিফুল ইসলাম, তেরখাদা উপজেলা বিএনপি নেতা গোলজার আলম, লালিম শেখ, আরিফ শেখ, বাহার মোল্লা, এনামুল শেখ প্রমুখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেবহাটায় আকষ্মিক ঘূর্নিঝড়ে বসতঘর লন্ডভন

দেবহাটা প্রতিনিধি : দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নের সুবর্ণাবাদ গ্রামে মাত্র ১৫ থেকে ৩০ সেকেন্ড স্থায়ী এক আকস্মিক ঘূর্ণিঝড়ে একটি পরিবারের বসতঘর সম্পূর্ণরুপে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে।

শনিবার (২৬ জুলাই) রাত আনুমানিক সাড়ে তিনটার দিকে এ দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। স্থানীয়রা ও ক্ষতিগ্রস্থ বসতঘরের মালিক বীরেন্দ্রনাথ ঢালী জানান, শনিবার ভোররাতের দিকে বৃষ্টির মধ্যে আকষ্মিক ঘূর্নিঝড়ের কবলে পড়ে তার বসতঘরে আঘাত হানলে মুহূর্তেই ঘরের চাল উড়িয়ে নিয়ে যায় এবং ভেতরের সব আসবাবপত্র মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হঠাৎ শুরু হওয়া প্রবল বাতাস মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই পুরো ঘরটিকে উল্টে-পাল্টে দেয়। তারা আরও জানান, এমন ক্ষতিকর ঘূর্ণিঝড় এত অল্প সময়ের জন্য হলেও স্থানীয়দের আতঙ্কিত করেছে।

ক্ষতিগ্রস্ত বিরেন্দ্রনাথ ঢালী বলেন, “আমি কিছু বুঝে ওঠার আগেই হঠাৎ ঝড় শুরু হয়। ঘর কাঁপতে থাকে, এরপর ধ্বসে পড়ে। সব কিছু শেষ হয়ে গেছে। এখন স্ত্রী-সন্তান নিয়ে কোথায় থাকবো, কিছুই বুঝতে পারছি না”।এই ক্ষয়ক্ষতির পর ঘটনাস্থলে অনেক স্থানীয় মানুষ ছুটে আসেন এবং সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। তবে এখন পর্যন্ত কোনো সরকারি সহযোগিতা পৌঁছায়নি বলেও অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটি।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত সহায়তা এবং পুনর্বাসনের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ডি.বি. ইউনাইটেড হাইস্কুলের ফান্ড থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাত: অভিযোগের তীর প্রধান শিক্ষকের দিকে : নিশ্চুপ সভাপতি

নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা সদরের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ডি.বি. ইউনাইটেড হাইস্কুলে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। স্কুলের বিভিন্ন ফান্ডের অর্থ আত্মসাৎ ও বিভিন্ন অনুদানের ব্যয়ের স্বচ্ছতা না থাকায় অভিভাবক, স্থানীয় জনগণ ও শিক্ষক মহলে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অথচ বিষয়টি জানার পরও কার্যনির্বাহী কমিটি সভাপতি সম্পূর্ণ নিশ্চুপ, যা নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন।

বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানান, প্রধান শিক্ষক মমিনুর রহমান অত্র বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদানের পর ২০১৮ সাল থেকে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সেশন চার্জ, বেতন ও পরিক্ষার ফি আদায় করে ব্যাংক একাউন্টে জমা না দিয়ে নিজের কাছে গচ্ছিদ রাখেন। পরবর্তিতে ভুয়া বিল ভাউচার দিয়ে আদায়কৃত অর্থ সমন্বয় পূর্বক আত্মসাৎ করেন। সরকারি অনুদানের টাকা বিভিন্ন খাতে ব্যয় দেখানো হলেও বাস্তবে তার কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই। এছাড়াও বিদ্যালয়ের ৬ লক্ষ টাকার একটি এফডিআর কার্যনির্বাহী কমিটি এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়ায় নিজের ক্ষমতা বলে তিনি উত্তলন করে ভুয়া বিল ভাউচার দিয়ে সমন্বয় করে টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

শিক্ষকরা আরও জানান, বিদ্যালয়ের সামনে ১০টি দোকান ঘরের ভাড়াটিয়াদের কাছ থেকে প্রধান শিক্ষক মোট ১১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা অগ্রিম জামানত হিসেবে গ্রহণ করেন। কিন্তু এই জামানতের টাকা বিদ্যালয়ের কোন ব্যাংক একাউন্টে না জমা দিয়ে নিজে আত্মসাৎ করেছেন। এছাড়াও বিদ্যলয়ের আম বাগান ইজারা, মেহগনি গাছ বিক্রি, বই-খাতা বিক্রি, দোকান ভাড়া, স্কুল মাঠ ইজারাসহ বিভিন্ন উৎস থেকে আয়ের টাকা জেনারেল ফান্ডে জমা না করে নিজে আত্মসৎ করেছেন। এবং একই বিল ভাউচার বিভিন্ন খাতে ব্যায় হিসেবে দেখান তিনি। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমাদের স্কুলে অর্থ, আয়-ব্যায়, যাচাই-বাছাই ও নিরীক্ষা কোন কমিটি নেই। প্রধান শিক্ষক একাই নিজের সিদ্ধান্তে আর্থিক সকল কার্যক্রম পরিচালনা করেন। কিন্তু এ বিষয়েও কার্যনির্বাহী কমিটি’র সভাপতি কোন দেখভাল করেন না।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সিনিয়র শিক্ষক জানান, ১৯ মার্চ ২০২৫ তারিখে নতুন অ্যাডহক কমিটি হওয়ার পরে প্রধান শিক্ষক কোন রেজুলেশন ছাড়াই গত ১৬ এপ্রিল ২০২৫ ইং তারিখে বিদ্যালয়ের জেনারেল ফান্ড জনতা ব্যাংক ব্রহ্মরাজপুর শাখা হতে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা উত্তলন করেন এবং ২৬ জুন ২০২৫ তারিখে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সরকারি টিউশন ফি এর ২ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা অগ্রণী ব্যাংক সাতক্ষীরা শাখা হতে উত্তলন করেন। এছাড়াও অর্ধ বার্ষিক পরিক্ষার পূর্বে ২০২৫ সালের জুন মাসে ৬ষ্ঠ, ৭ম, ৮ম ও ৯ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায়কৃত বেতন, পরিক্ষার ফি ও সেশন চার্জ বাবদ আনুমাকি ৬ লক্ষ ২০ হাজার টাকা আদায় করলেও বিদ্যালয়ের জেনারেল ফান্ডে জমা না দিয়ে নিজে পকেটে করে বাড়ি নিয়ে গেছেন। যা সম্পূর্ণ নিয়ম বহিরভূত। কিন্তু নুতন এডহক কমিটি হওয়ার পরে এই সমস্ত টাকা আত্মসাৎ করলেও সভাপতি এই বিষয়ে কোন কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি যা আমাদের জন্য দুঃখ জনক।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরও একজন সিনিয়র শিক্ষক জানান, নিয়ম অনুযায়ী বিদ্যালয়ের ব্যাংক একাউন্টের অপারেটর হিসেবে সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের যৌথ স্বাক্ষরে টাকা উত্তলন করতে পারবে। কন্তু আমাদের স্কুলের জেনারেল ফান্ড জনতা ব্যাংক অ্যাকাউন্টের অপারেটর হিসেবে ২০২৩ সাল থেকে কমিটির কোন সদস্য না হয়েও তপন কুমার সাহা নামে এক অভিভাবক সদস্য ও প্রধান শিক্ষকের যৌথ স্বাক্ষরে অবৈধ ভাবে টাকা উত্তলন করে আসছেন প্রধান শিক্ষক। এছাড়াও বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সরকারি টিউশন ফি’র টাকা সাতক্ষীরা অগ্রণী ব্যাংক থেকে শেখ আব্দুল আহাদ (যিনি বর্তমান কমিটির কোন সদস্য নন) নামে একজনের স্বাক্ষরে টাকা উত্তল করেন প্রধান শিক্ষক মমিনুর রহমান। যা সম্পূর্ণ অবৈধ এবং নীতিমালা লঙ্ঘন।

এই বিস্তর অভিযোগের বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মমিনুর রহমানের ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ না করায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

এদিকে অ্যাডহক কমিটি হওয়ার পরে কোন রেজুলেশন ছাড়া প্রধান শিক্ষক এই লক্ষ লক্ষ টাকা উত্তলন ও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায়কৃত অর্থ জেনারেল ফান্ডে জমা না দিয়ে কিভাবে আত্মসাৎ করলেন? এমন প্রশ্নের জবাবে বিদ্যালয়ের কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি মো: নূরুল আমিন লাভলু বলেন, আমি দায়িত্ব গ্রহণের পর বা আমার স্বাক্ষরে কোন টাকা ওঠেনি। যা হয়েছে পূর্বের কমিটি থাকাকালিন সময়ে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মানুষ গড়ার কারিগর, কিন্তু সেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যদি হয় দুর্নীতি, তবে সেটি শুধু প্রশাসনিক ব্যর্থতা নয়, একটি প্রজন্মের ভবিষ্যতের ওপর সরাসরি আঘাত। তাই দ্রæত তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন অভিভাবক ও স্থানীয়রা।###

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

গত কয়েকদিন ধরে অনিবন্ধিত বিভিন্ন অনলাইন ও ফেসবুক পেজে “সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডাক্তার ও ওয়ার্ডবয়ের সিন্ডিকেটে জিম্মি রোগীরা: দেখার কেউ নেই: শিরোনামে” প্রকাশিত সংবাদটি আমার দৃষ্টি গোচর হয়েছে।

উক্ত সংবাদে আমাকে জড়িয়ে যেসব তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যে প্রণোদিত। প্রকৃতপক্ষে ইলিয়াস নামের একজন ব্যক্তি পাইলস এর চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরা মেডিকেলের ২৩৫ নং কক্ষে আসেন। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার পাইলস পরীক্ষা করার জন্য দু জোড়া নরমল হ্যান্ডগ্লোভস এবং জেল ক্রয় করতে বলেন।

যার আনুমানিক মূল্য ১৪০ টাকা। তার এক জোড়া ব্যবহার হওয়ায় দু জোড়া কেন কেনা হল এ নিয়ে তর্কবির্তক করতে থাকে এবং অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করে। পরে মিথ্যা তথ্য সম্বলিত একটি সংবাদ বিভিন্ন অনিবন্ধিত পেজে আমার ছবি এবং ভিডিও ছড়িয়ে দেয়। আমি উক্ত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

অহিদুজ্জামান (শাহীন)
ডাক্তার সহকারী ও ওটিবয়, সার্জারী ও ইউরোলোজি বিভাগ,
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ, হাসপাতাল।

0 মন্তব্য
1 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাংবাদিকতায় প্রযুক্তির ছোঁয়া: পিআইবিতে মোবাইল সাংবাদিকতায় প্রশিক্ষণ

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : সাংবাদিকদের পেশাগত দক্ষতা ও প্রযুক্তিনির্ভর সাংবাদিকতা চর্চাকে আরও কার্যকর করতে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো তিন দিনব্যাপী আবাসিক মোবাইল সাংবাদিকতা (MoJo) প্রশিক্ষণ কর্মশালা।

রাজধানীর পিআইবি সেমিনার কক্ষে এই প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয় ২৪ থেকে ২৬ জুলাই ২০২৫ পর্যন্ত। এতে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত নির্বাচিত ২৭ জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ভিডিও ধারণ, সম্পাদনা, স্ক্রিপ্ট রচনা, ভয়েস ওভার, ডিজিটাল নিরাপত্তা ও ফ্যাক্ট-চেকিং বিষয়ে হাতে-কলমে আধুনিক সাংবাদিকতার কৌশল শেখানো হয়।

প্রশিক্ষণ কর্মশালায় সাতক্ষীরা জেলা থেকে অংশ নেন দৈনিক আলোকিত সকালের বিশেষ প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর সরদার। প্রশিক্ষণ শেষে তাঁর হাতে সনদপত্র তুলে দেন চলতি দায়িত্বে থাকা তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা।

প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোঃ মাহফুজ আলম এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন সচিব মাহবুবা ফারজানা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পিআইবির মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ।

কোর্স কো-অর্ডিনেটর ও প্রশিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন পিআইবির প্রশিক্ষক মোঃ শাহ আলম সৈকত। এছাড়াও পিআইবির গবেষণা বিভাগের সিনিয়র অফিসার গোলাম মোর্শেদ একটি সেশন পরিচালনা করেন। প্রশিক্ষণে পিআইবির অন্যান্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও অংশ নেন।

মোবাইল সাংবাদিকতা সম্পর্কে প্রশিক্ষকরা বলেন, “MoJo হলো এমন এক সাংবাদিকতা পদ্ধতি, যেখানে স্মার্টফোন বা হালকা ডিভাইস ব্যবহার করে তাৎক্ষণিকভাবে সংবাদ সংগ্রহ, সম্পাদনা ও সম্প্রচার করা সম্ভব। এটি মাঠপর্যায়ের সাংবাদিকতার জন্য অত্যন্ত কার্যকর।”

পিআইবির মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ বলেন, “এই প্রশিক্ষণ সময়োপযোগী ও বাস্তবমুখী। মোবাইল সাংবাদিকতা মাঠ সাংবাদিকতায় একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে এ ধরনের প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হবে।”

অনুষ্ঠান শেষে সারাদেশ থেকে আগত প্রশিক্ষণার্থীদের হাতে সনদপত্র তুলে দেওয়া হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ধুলিহরে আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে জমি দখল চেষ্টার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি : আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ধুলিহরে মৎস্যজীবীলীগ নেতার নেতৃত্বে জমি দখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় প্রতিকার চেয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগী কালাম হোসেন।

অভিযোগ জানা গেছে, ধুলিহর মৌজায় এস এ ৩৮৪৬, সাবেক দাগ নং ৮৫৯১, হাল দাগ নং-১১১২৪ জমির পরিমান ১৩ শতক সম্পত্তি আবুল কাশেম সরদারের পুত্র কালাম হোসেনের কোবলাকৃত সম্পত্তি। উক্ত সম্পত্তি নিয়ে ধুলিহরের মনু গাজীর পুত্র মৎস্যজীবীলীগ নেতা আবু সাঈদ আইয়ুব আলীগং গায়ের জোরে অবৈধভাবে দখলের চেষ্টা করলে ভুক্তভোগী কালাম হোসেন বাদী হয়ে আদালতে পিটিশন ও দেওয়ানী মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- পি-৪১৭/২৫। ও দেং মামলা নং-৫৯/২৫। মামলা দুটি চলমান রয়েছে।

ইতোমধ্যে তফসিল জমিতে নিষেধাজ্ঞাও রয়েছে। উক্ত নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ২৬ জুলাই সকালে আবু সাঈদের নেতৃত্বে তার ভাই আইয়ুব আলী, শাহামত গাজীর পুত্র আবু তালেব, মৃত আফিল গাজীর পুত্র মোকাম গাজীসহ কতিপয় ব্যক্তি দলবদ্ধ হয়ে উক্ত বিরোধপূর্ণ সম্পত্তিতে প্রবেশ করে সেখানে থাকা গাছপালা কাটতে থাকে। এতে বাধা দেওয়ার চেস্টা করলে ভুক্তভোগী কালামকে কিল ঘুষি মেরে আহত করে এবং খুন জখমসহ বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদর্শন করেন। এঘটনায় প্রতিকার চেয়ে সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী কালাম হোসেন।

এবিষয়ে অভিযুক্ত আবু সাঈদের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, উক্ত সম্পত্তি নিয়ে আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সেখানে কেউ যেতে পারবে না। সকালে গাছপালা কাটার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করে বলেন, সেখানে এধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি। ##

0 মন্তব্য
1 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
তীর্যকের নেতৃত্বে নতুন পথচলা শুরু করলো এনসিটিএফ সাতক্ষীরা

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : শিশুদের স্বপ্ন, নেতৃত্ব আর অংশগ্রহণের এক উজ্জ্বল উদাহরণ হয়ে উঠলো সাতক্ষীরা। ন্যাশনাল চিলড্রেন’স টাস্কফোর্স (এনসিটিএফ) সাতক্ষীরা শাখার দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো উৎসবমুখর পরিবেশে। আর এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সভাপতি পদে দায়িত্ব পেলেন তীর্যক কুমার মন্ডল।

বুধবার (২৩ জুলাই) সাতক্ষীরা জেলা শিশু একাডেমির হলরুমে অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে অংশ নেয় ৫১ জন শিশু সদস্য। দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলা ভোটগ্রহণ শেষে ১১টি পদে নির্বাচিত হয় নতুন নেতৃত্ব। নির্বাচন পরিচালনায় রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্বে ছিলেন জেলা শিশু কর্মকর্তা *
মোঃ রিয়াজুল ইসলাম এবং নির্বাচন কমিশনার ছিলেন সামস ফাতাহ তুহিন, জেলা ভলান্টিয়ার, সেভ দ্য চিলড্রেন।

তীর্যক কুমার মন্ডল, যিনি ইতোমধ্যেই শিশুদের মধ্যে নেতৃত্বগুণ ও সচেতনতার জন্য পরিচিত, এবার পেয়েছেন সর্বাধিক ভোটে সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার গৌরব। ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর উপস্থিত শিশুদের করতালিতে মুখরিত হয়ে ওঠে হলরুম।

তীর্যক বলেন, “আমি গর্বিত এই দায়িত্ব পেয়ে। আমরা শিশুদের স্বপ্ন, নিরাপত্তা ও অধিকার নিয়ে আরও কার্যকরভাবে কাজ করবো। এনসিটিএফ হবে শিশুদের কণ্ঠস্বর।”

নির্বাচনে যারা বিজয়ী হয়েছেন সাধারণ সম্পাদক ফৌজিয়া নিশাত তাসনিম প্রিয়ন্তী, সহ-সভাপতি মাইসা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তানজিম রিয়াদ, সাংগঠনিক সম্পাদক রাহিব হুসাইন, শিশু সাংবাদিক (ছেলে) সুদীপ্ত দেবনাথ, শিশু সাংবাদিক (মেয়ে) সালাওয়া সালাম উর্মি, চাইল্ড পার্লামেন্ট (মেয়ে) তানিয়া আক্তার, চাইল্ড পার্লামেন্ট (ছেলে) ইব্রাহিম আহসান উল্লাহ, শিশু গবেষক (মেয়ে) আখি সুলতানা, শিশু গবেষক (ছেলে) নাহিন মুনকার।

এনসিটিএফ-এর বিদায়ী সদস্যদের সম্মাননা ও ফুলেল শুভেচ্ছায় বিদায় জানানোর মাধ্যমে শুরু হয় অনুষ্ঠান। উপস্থিত ছিলেন শিশু একাডেমির লাইব্রেরিয়ান শেখ রফিকুল ইসলাম-সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।

জেলা শিশু কর্মকর্তা রিয়াজুল ইসলাম বলেন,“তীর্যক ও তার টিমের কাছে আমাদের প্রত্যাশা অনেক। আমরা বিশ্বাস করি, তারা শিশুদের কল্যাণে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে।”

শিশু সাংবাদিক সালাওয়া সালাম উর্মি বলেন, “নির্বাচনে জয়ী হয়ে আমি আনন্দিত। শিশুদের কথা রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে তুলে ধরাই হবে আমার মূল লক্ষ্য।”

গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ব্যালট পেপার ও ব্যালট বাক্সের মাধ্যমে সম্পন্ন হওয়া এ নির্বাচন প্রমাণ করে, শিশুদের অংশগ্রহণ মানেই ভবিষ্যতের নেতৃত্বে শক্ত ভিত গড়া।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কালিগঞ্জে প্রেমের ফাঁদে ফেলে যুবতীকে ধর্ষণ ও গর্ভপাত: অভিযুক্ত ঢাকায় গ্রেফতার

নিজস্বপ্রতিনিধি :

সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের এক তরুণীকে বিয়ের প্রলোভনে একাধিকবার ধর্ষণ, গর্ভপাত এবং পরে প্রতারণার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় সাব্বির আহমেদ (২৫) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে ঢাকার খিলক্ষেত এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে ভুক্তিভোগী তরুণী বাদি হয়ে বৃহস্পতিবার সকালে কালিগঞ্জ থানায় মামলা করেন। মামলা নং-১৯।

গ্রেপ্তার যুবক কালিগঞ্জের নারায়ণপুর গ্রামের মহসিন গাজীর ছেলে। তিনি ঢাকায় একটি বে-সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বলে জানা গেছে।

লিখিত এজাহার থেকে জানা যায়, প্রায় পাঁচ বছর আগে তরুণীর সাথে বিয়ের অনুষ্ঠানে সাব্বির আহমেদের পরিচয় হয়। পরিচয়ের শুরু থেকেই আসামি প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে তাকে বিরক্ত করতো। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

বাদিনীর অভিযোগ, এই সম্পর্কের সুযোগে সাব্বির তাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জায়গায় এমনকি ঢাকায় নিজের কর্মস্থলে নিয়ে গিয়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করে। একপরযায়ে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে তাকে জোর করে উপজেলা একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নিয়ে গর্ভপাত করানো হয়।

পরবর্তীতে সাব্বির তাকে ঢাকার খিলক্ষেত থানাধীন নিকুঞ্জ-২, রোড-৬ এর একটি বাসায় নিয়ে যায় এবং ২১ জুন ২০২৫ থেকে ১ জুলাই ২০২৫ পর্যন্ত একত্রে অবস্থান করে। সেই সময়েও যুবক তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক চালিয়ে যায় এবং নানা ধরণের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। পরে তাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়ে বিদেশ যাওয়ার নাটক করে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় ।

এ বিষয়ে কালিগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান জানান, এজাহার দায়েরের পরপরই অভিযান চালিয়ে আসামি সাব্বির আহমেদকে ঢাকার খিলক্ষেত এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে গ্রেফতার করা হয়। রাতেই তাকে কালিগঞ্জ থানায় নিয়ে আসা হয়। আজ শুক্রবার তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest