সর্বশেষ সংবাদ-
আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) সাতক্ষীরা জেলা কমিটি পুর্নগঠনশিশুদের ‘নোবেল’ পুরস্কারে মনোনীত সাতক্ষীরার সুদীপ্তআশাশুনিতে পরিচর্চাকারীদের পজেটিভ প্যারেনটিং বিষয়ক প্রশিক্ষণদক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জলাবদ্ধতা মুক্তির একমাত্র পথ টিআরএম: আলোচনায় বক্তারাসাতক্ষীরায় তরুণ নেতৃত্বে নির্বাচনী সংলাপ: জনগণকেন্দ্রিক ইশতেহারে স্থানীয় উন্নয়নের চাহিদা উপস্থাপনদেবহাটার টাউনশ্রীপুর হাইস্কুলের শিক্ষক ও আয়াকে অপসারনের দাবিতে মানববন্ধনসাতক্ষীরায় সাংবাদিকদের সাথে সিভিল সার্জনের মতবিনিময়জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব ও ক্ষতি হ্রাসে করণীয় বিষয়ক এ্যাডভোকেসী সভায় গাছ লাগানোর আহ্বানতালায় সুপারি বাগানে মিললো বৈদ্য নাথের ম*র*দে*হপবিত্র কোরআন অবমাননার প্রতিবাদে কয়রায় বিক্ষোভ

 কালিগঞ্জে শিশুকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে আটক-৩

নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে ৫ বছরের শিশুকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে তিন কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে এঘটনা ঘটে।

গুরুতর অসুস্থ শিশুটিকে প্রথমে কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে অবস্থার অবনতিতে  সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আটককৃত ৩ কিশোর কালিগঞ্জের পিরোজপুর বস্তির বাসিন্দা।

ভুক্তভোগী শিশুটির মা জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে তার মেয়ে প্রতিবেশীর বাড়িতে খেলতে যায়। এ সময় প্রতিবেশী তিন কিশোর খেলার কথা বলে শিশুটিকে ডেকে নিয়ে পরিত্যক্ত একটি ঘরে যায়। এরপর তারা শিশুটিকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। পরে তার মেয়ের কান্নার শব্দ শুনতে পেয়ে তিনি ভেতরে ঢুকতেই ঘরের পেছনের দরজা দিয়ে ওই তিন কিশোর পালিয়ে যায় ।

তিনি আরও জানান,  তিনি মেয়েকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে কালিগঞ্জ থানায় নিয়ে আসেন। পরে থানা থেকে শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। পরে অবস্থার অবনতিতে তাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। ।

থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তিন কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় তদন্ত ও আইনি প্রক্রিয়া চলমান।এঘটনায় শিশুটির মা থানায় নারী ও শিশু নিরযাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের গাইনি চিকিৎসক ডালিয়া আক্তার বলেন, শিশুটির অবস্থা এখনো স্থিতিশীল নয়। তাকে কেবিনে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাংবাদিক কামরুজ্জামানের শ্যালকের মৃত্যুতে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের শোক

প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এড. এ কে এম শহীদউল্যাহ’র একমাত্র ছেলে ও প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম কামরুজ্জামানের শ্যালক আসাদুল্লাহ মনু (৫৫) আর নেই। বৃহস্পতিবার সকালে সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোলস্হ নিজ বাড়িতে তিনি ইন্তেকাল করেন। আসাদুল্লাহ মনু দীর্ঘদিন ধরে নানারোগে ভুগছিলেন।

বৃহস্পতিবার বাদ যোহর সাতক্ষীরা পাওয়ার হাউজ জামে মসজিদ চত্বরে প্রথম নামাজে জানাযা শেষে গ্রামের বাড়ি আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটিতে নিয়ে যায়। সেখানে কাদাকাটি সরদারপাড়া আহলে হাদিস জামে মসজিদে বাদ আছর দ্বিতীয় জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করে বিবৃতি দিয়েছেন, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কাশেম, সহ-সভাপতি আবুল কালাম, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান, যুগ্ম সম্পাদক এম. বেলাল হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন গোলদার, অর্থ সম্পাদক শেখ ফরিদ আহমেদ ময়না, সাহিত্য সাংস্কৃতিক সম্পাদক আকরামুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক মাসুদুরজামান সুমন, নির্বাহী সদস্য এড. খায়রুল বদিউজ্জামান, আবু তালেব, কাজী জামাল উদ্দীন মামুন, আব্দুস সামাদ ও সরদার আসাদুজ্জামান। ##

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় ভেজাল মাছের খাবার ও সার তৈরির অভিযোগে ২০ হাজার টাকা জরিমানা

ডেস্ক রিপোর্ট:  সাতক্ষীরার বিনেরপোতায় বিসিক শিল্পনগরীতে ভেজাল প্রাণি ও মাছের খাবার এবং কৃষিতে ব্যবহৃত সার তৈরি করার অভিযোগে রকিবুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। এর আগে বুধবার বিকেলে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে রকিবুলের কারখানায় অভিযান চালায়। এসময় তাঁর কারখানা থেকে ২ বস্তা ফিস জেল,৬০ বস্তা সালফার,৮৫ কার্টুন টপজিংক,৬০ কার্টুন ইকোজিংক প্লাস,২০ কার্টুন ওয়াটার ক্লেয়ার ও মিশ্রণ করা যন্ত্রসহ বিপুল পরিমাণ ভেজাল সার ও মাছের খাবার জব্দ করা হয়।

রকিবুল ইসলাম (৫৩) সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোল এলাকার রুস্তম আলী সরদারের ছেলে।
সাতক্ষীরা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিজামুদ্দিন মোল্যা জানান, রকিবুল ইসলাম বিসিক শিল্পনগরীতে প্লট বরাদ্দ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে লাইসেন্স গ্রহণ ব্যতীত ভেজাল প্রক্রিয়ায় প্রাণি ও মাছের খাবার এবং কৃষিতে ব্যবহৃত সার উৎপাদন করে আসছেন। তার এ অবৈধ প্রক্রিয়া বন্ধ করতে বুধবার বিকেলে কৃষি কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে অভিযান চালানো হয়। এসময় বিপুল পরিমাণ ভেজাল প্রাণি ও মাছের খাবার এবং কৃষিতে ব্যবহৃত সার জব্দ করা হয়। পরে তাকে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাজুল ইসলামের নেতৃত্বে গঠিত ভ্রাম্যমান আদালতে উপস্থাপন করা হয়।

সাতক্ষীরা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনির হোসেন জানান, কৃত্রিম ও ভেজাল উপাদানে তৈরিকৃত কৃষি ও অন্যান্য পণ্য মানুষ,প্রাণি ও মাছের জন্য বেশ ক্ষতিকর। কৃষি দপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে লাইসেন্স গ্রহণ ব্যতীত এসকল পণ্য উৎপাদন ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে তোলে।
তিনি আরও জানান, জব্দকৃত মালামালগুলো বিসিক শিল্পনগরীতে সংরক্ষণ করা আছে। পরে সময়মত সেগুলো বিনষ্ট করা হবে।

ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক ও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: তাজুল ইসলাম বলেন,২০০৬ সালের সার ব্যবস্থাপনা আইনের আওতায় আসামীকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে শ্যামনগরে প্রশাসনকে স্মারকলিপি

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : সাতক্ষীরার শ্যামনগরের বাদঘাটা গ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে উপজেলা প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছে উপকূলীয় সবুজ সংহতি ও সুন্দরবন স্টুডেস্ট সলিডারিটি টিমের সদস্যরা।

বুধবার শ্যামনগর উপজলো নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ রনী খাতুনের কাছে এই স্মারকলিপি পেশ করা হয়।

স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, বাদঘাটা গ্রামের জলাবদ্ধতা দু –এক বছরের নয়। এটি শ্যামনগর পৌর এলাকার দীর্ঘদিনের সমস্যা। এ বিষয়ে বিগত সময়েও প্রশাসনকে অবহিত করে কোন সুফল পাওয়া যায়নি।

স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়েছে, শ্যামনগর পৌরসভার বাদঘাটা কৃষি নির্ভর একটি গ্রাম। এখানে কৃষির সাথে সম্পৃক্ত সব রকমরে চর্চা ও ফসল উৎপাদন হয়। একই সাথে বাদঘাটা গ্রামেই সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তর রয়েছে। কিন্তু প্রতিবছর বর্ষার পানি নিষ্কাশিত না হওয়ায় ভয়াবহ জলাবদ্ধতার কবলে পড়ে মানুষ। এতে ভোগান্তির শেষ থাকে না। এই ভোগান্তির সাথে সাথে চলতি মৌসুমে আমন ধান চাষাবাদও ব্যাহত হচ্ছে। এই গ্রামের শ্যামনগর সদর হাসপাতালের পিছনে প্রায় ২০০ বিঘা কৃষি জমি অনাবাদি রয়েছে। এছাড়াও বসবাসকারী জনগোষ্ঠীর বসতভিটা পানির নিচে থাকায় নানা সমস্যা তৈরি হচ্ছে। পানি পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে চর্ম রোগসহ নানা পানিবাহিত রোগ।

স্মারকলিপিতে বাদঘাটা গ্রামের জলাবদ্ধতা দূরীকরণে স্থায়ী সমাধানের জন্য কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের দাবি জানানো হয়।

স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন উপকূলীয় সবুজ সংহতির আহবায়ক কুমুদ রঞ্জন গায়েন, শ্যামনগর পৌর শাখার সভাপতি প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণনন্দ মুখার্জী, সহসভাপতি ও সিনিয়র সাংবাদিক আফজালুল হক এবং দেলোয়ারা বেগম, সাধারণ সম্পাদক কিরণ শংকর চ্যাটার্জী,
সুন্দরবন স্টুডেন্ট সলিডারিটি টিমের আহবায়ক সাইদুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক তৃপ্তি রানী বিশ্বাস, কামরুল ইসলাম, কৃষক রাহুল, বারসিক কর্মকর্তা বিশ্বজিত প্রমুখ। #

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ছাত্রশিবিরের সাদিক ভিপি-ফরহাদ জিএস-মহিউদ্দীন এজিএস নির্বাচিত

অনলাইন ডেস্ক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে সহসভাপতি (ভিপি) পদে ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট প্যানেলের প্রার্থী সাদিক কায়েম, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে এস এম ফরহাদ এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে মহিউদ্দীন খান জয়ী হয়েছেন।

বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবন থেকে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করেন চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন।
ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রশিবিরের সাদিক কায়েম ১৪ হাজার ৪২ ভোট পেয়ে ভিপি পদে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলের আবিদুল ইসলাম খান পেয়েছেন ৫ হাজার ৭০৮ ভোট।

স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেলের প্রার্থী উমামা ফাতেমা পেয়েছেন ৩ হাজার ৩৮৯ ভোট পেয়েছেন। আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী শামীম হোসেন পেয়েছেন ৩ হাজার ৮৮৪ ভোট।

জিএস পদে ছাত্রশিবিরের নেতা এস এম ফরহাদ ১০ হাজার ৭৯৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল নেতা তানভীর বারী হামীম পেয়েছেন ৫হাজার ২৮৩ ভোট। এ ছাড়া প্রতিরোধ পর্ষদের মেঘমল্লার বসু ৪ হাজার ৯৪৯ ভোট, গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ সমর্থিত বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদের আবু বাকের মজুমদার ২ হাজার ১৩১ ভোট, আশিকুর ৫২৬ ভোট ও স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেলের আল সাদী ভূঁইয়া ৪৬ ভোট পেয়েছেন।

এজিএস পদে ছাত্রশিবিরের নেতা মুহা. মহিউদ্দীন খান ১১ হাজার ৭৭২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। ছাত্রদলের এজিএস প্রার্থী তানভীর আল হাদী মায়েদ পেয়েছেন ৫ হাজার ৬৪ ভোট।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় আদালতের নির্দেশ অমান্য করে অন্যের রেকর্ডীয় সম্পত্তি জরব দখলের অভিযোগ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে

নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরায় আদালতের নির্দেশ অমান্য করে অন্যের রেকর্ডীয় সম্পত্তি জরব দখলের অভিযোগ উঠেছে নজরুল নামের এক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এঘটনায় প্রতিকার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ সাতক্ষীরা শহরের ইটাগাছা গ্রামের আব্দুস সোবহান ঢালীর পুত্র আজিজুল ইসলাম। লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, পলাশপোল মৌজায় ২০১৬ সালে ৬৬২৮ নং রেজিষ্ট্রি কোবলা দলিল মূলে ক্রয় করে ভোগ দখল করে আসছি। একই মালিকের নিকট থেকে জমি ক্রয় করেন বাংলাদেশ পুলিশে কর্মরত শ্যামনগরের পদ্মপুকুর ইউনিয়নের ইসহাক আলী মোড়লের পুত্র নজরুল ইসলাম। সম্প্রতি তিনি সাতক্ষীরা পুলিশ লাইনে যোগদান করার পর থেকে তিনি নিজের জমির সীমানার বাইরে আমার সম্পত্তির কিছু অংশ দখল ছাড়াও অন্যান্য ব্যক্তিদেরও কিছু জমি দখল করে ভবন নির্মান শুরু করেন। এতে বাধা দিতে গেলে তিনি পুলিশের প্রভাব খাটিয়ে আমাদের মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানিসহ খুন জখমের হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে।

এঘটনায় আমি বাদী হয়ে সাতক্ষীরা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করলে আদালত সেখানে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। কিন্তু নজরুল ইসলাম নিজের পুলিশের কর্মকর্তা দাবি করে আইন আদালতের কোন তোয়াক্কা না করে নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেখেছেন। গত ৭/৯/২৫ তারিখে প্রকাশ্যে আমার স্ত্রীকে খুন জখমের হুমকি প্রদান করে। এনিয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি সাধারন ডায়েরিও করেছি। যার নং-৪৯৭। পুলিশ কর্মকর্তা নজরুল চাকুরি জীবনে দেশের বিভিন্ন স্থানে কর্মরত থাকা অবস্থায় নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। আগে যেমন পুলিশের প্রভাব খাটিয়ে অনিয়ম করেছেন তেমনিভাবেই আমাদের সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, বেপরোয়া পুলিশ পরিদর্শক নজরুল কোন আইনই মানতে চান না।

উপায়ন্তর হয়ে সাতক্ষীরা পুলিশের কাছের লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ সুপার মহোদয়ের মাধ্যমে কিছু শর্তস্বাপেক্ষে মিমাংসা হয়। কিন্তু কিছু দিন যেতে না যেতেই আবারো ওই পর সম্পদলোভী পুলিশ কর্মকতা নজরুল ইসলাম পূর্বের ন্যায় আবারো বেপরোয়া হয়ে আমার সম্পত্তি যবর দখল শুরু করেছেন। আমি অসহায় এবং নিরিহ প্রকৃতির মানুষ হওয়ায় ওই পুলিশ কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম আমাকে হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে দমিয়ে রাখতে চায়। তিনি আমি ওই অসৎপুলিশ কর্মকর্তা নজরুল ইসলামের কবল থেকে রেকর্ডীয় সম্পত্তি রক্ষা এবং নিজেদের নিরাপত্তার দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আগরদাড়ী ইউপি চেয়ারম্যানসহ ২৮ জনের নামে দ্রুত বিচার আদালতে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরায় হত্যার ভয় দেখিয়ে পাঁচ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবির ৮ বছর পর ইউপি চেয়ারম্যান ও সাবেক যুবলীগ নেতাসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত ৩ সেপ্টেম্বর সাতক্ষীরা সদরের কাশেমপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের পুত্র মারুফ হোসেন প্রান্ত বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
মঙ্গলবার সাতক্ষীরা অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক প্রণব কুমার গুহ উক্ত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে।

মামলার বিবরণে জানাগেছে, ২০১৮ সালে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁশদহ শহীদ স্মৃতি কলেজে ভুক্তভোগী মারুফ হোসেন প্রান্ত একাদশ শ্রেণিতে লেখাপড়া করতেন। সে সময় তিনি জেলা ছাত্রদলের আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক পদে দায়িত্ব ছিলেন। গত ২৪ ডিসেম্বর ২০১৮ সালে তার কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আগরদাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান কবির হোসেন মিলন, জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল মান্নান, আওয়ামীলীগ নেতা হান্নান, ছাত্রলীগ নেতা শাওন, মহিদুলসহ অন্যান্য ব্যক্তিরা। তাদের দাবিকৃত টাকা দিতে অস্বীকার করলে কলেজের সামনে ভুক্তভোগীকে মারধর ও শারিরীক নির্যাতন করতে থাকে। এক পর্যায়ে হুমকি প্রদর্শন করে বলে ওই কলেজে লেখাপড়া করতে ও দেশে থাকতে হলে দাবিকৃত চাঁদার টাকা পরিশোধ করতে হবে। দাবিকৃত চাঁদার টাকা না দিলে কলেজ, ভিটাবাড়ি ছাড়তে হবে এবং তোকে গুম, মামলা দিয়ে হয়রানি করা হবে। অন্যথায় তোর চাচা আগরদাড়ী ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম আনারুল ইসলাম ও শহিদুল ইসলামকে যে ভাবে হত্যা হয়েছে তোকেও সেই ভাবে হত্যা করা হবে বলে আসামীরা ঘটনাস্থল থেকে ত্যাগ করে চলে যায়।

সে সময়ে থানায় মামলা করতে গেলে তৎকালীন পুলিশ কর্মকর্তা মামলা নেননি, এমনকি আসামীদের ভয়ে আদালতে মামলা করতে পারেনি বলে জানান। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে মধ্যে দেশে স্থিতিশীল হওয়ার পর উক্ত বিষয়ে আসামীদের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা দ্রুত বিচার আদালতে মামলা করা হয়েছে বলে জানান ভুক্তভোগী।
মামলার আইনজীবী এড. অমিত কুমার রায় জানান, বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পুলিশকে রাজনৈতিক দলের লাঠিয়াল বাহিনী বানানো যাবে না: শিবির নেতা সিফাত

নিজস্ব প্রতিনিধি :
পুলিশ বাহিনীকে কোনো রাজনৈতিক দলের লাঠিয়াল বাহিনী না বানিয়ে তাদের নিরপেক্ষ থেকে জনগণের সেবায় নিয়োজিত থাকার আহবান জানিয়েছেন ছাত্র শিবিরের কেন্দ্রীয় মানবাধিকার বির্ষয়ক সম্পাদক সিফাত উল আলম।
তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা হলো মানুষের অধিকার, মর্যাদা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় কার্যকর হওয়া। সে লক্ষ্যে পুলিশকে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সাতক্ষীরা শহর শাখার উদ্যোগে “ফ্যাসিবাদী আওয়ামী দুঃশাসনে সাতক্ষীরা জেলা মানবাধিকার লঙ্ঘন” শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যেএসব কথা বলেন।

সোমবার ৮ সেপ্টেম্বর দুপুর একটায় শহরের মুন্সিপাড়াস্থ আল—আমিন ট্রাস্টের কাজী শামসুর রহমান মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন শহর শিবিরের সভাপতি মুহাম্মদ আল মামুন।

শহর শিবিরের সেক্রেটারি মেহেদী হাসানের সঞ্চালনায় সেমিনারে আওয়ামী লীগের বিগত ১৬ বছরের শাসনামলে সাতক্ষীরাতে জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের উপর হত্যা, খুন, গুম, মিথ্যা মামলা, নির্যাতন, ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের চিত্র তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা শহর ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আবু তালেব, মোঃ আব্দুল গফুর ও মোঃ আনিসুর রহমান। নির্যাতিত পরিবার ও শহীদ পরিবারের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন শহীদ আবু হানিফ ছোটনের পিতা মোঃ শহর আলী, সাবেক কলেজ কার্যক্রম সম্পাদক আমিনুর রহমান এবং স্পোর্টস সম্পাদক মোঃ আল আমিন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেনজেলা সেক্রেটারি নাজমুল ইসলাম, শহর শিবিরের অফিস সম্পাদক মোঃ নুরুন্নবী, অর্থ সম্পাদক মোঃ আরিফ বিল্লাহ, সাহিত্য সম্পাদক আবু সালেহ সাদ্দাম, এইচআরডি সম্পাদক আল রাজীব, প্রকাশনা সম্পাদক হাফেজ আনিসুর রহমান, দাওয়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মুহা. শারাফাত হুসাইন লিটিল, গবেষণা সম্পাদক মোঃ আফজাল হোসেন, তথ্য ও মিডিয়া সম্পাদক মুহা. মাসুদ রানা, তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রচার সম্পাদক হাফেজ ওয়ালীউল্লাহ, বিতর্ক সম্পাদক মোঃ মোর্শেদুল ইসলাম, আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক মোঃ আতিক মুজাহিদ, মাদ্রাসা সম্পাদক মোঃ শাহনেওয়াজ এবং মানবসেবা সম্পাদক মোঃ শামীম হোসেন।

সেমিনারে প্রধান অতিথি ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় মানবাধিকার সম্পাদক মোঃ সিফাত উল আলম ,আওয়ামী দুঃশাসনে দেশ একটি ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছিল। মত প্রকাশের স্বাধীনতা, রাজনৈতিক অধিকার ও মানবিক মর্যাদা বলে কিছুই ছিল না। তিনি সেমিনারে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে তিনটি দাবি উত্থাপন করেন, দাবীর মধ্যে ১। প্রত্যেক মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িতদেও খুজে বের করে শাস্তি নিশ্চিত করা ২। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারে ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা এবং ৩. বাংলাদেশের পুলিশ ব্যবস্থাকে সংস্কার করা যেন তারা কোন দলীয় ক্যাডারের ভূমিকায় অবতীর্ণ না হতে পারে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest