সর্বশেষ সংবাদ-
প্রাইভেট হাসপাতাল এন্ড ক্লিনিক ওনার্স এ্যাসোসিয়েশন সাতক্ষীরা জেলা শাখার ইফতারসাতক্ষীরায় ছাত্রদলকে শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ পদে অর্ঘ্য কে দেখতে চায় তৃণমূলের কর্মীরাএক মাস বন্ধ থাকার পর আশাশুনি সদরের টেঁকসই বেড়িবাঁধ নির্মানের কাজ চালুসাতক্ষীরায় শেখ মুজিবর রহমানের ম্যুরাল নিশ্চিহ্নশ্যামনগরে সাংবাদিকদের সম্মানে জামায়াতের ইফতারআইনজীবী ফোরাম সাতক্ষীরা জেলা ইউনিটের ইফতার বিতরণদেবহাটার পারুলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির ইফতারকলারোয়ায় দোকান ভাড়ার টাকা চাওয়ায় মাথা আঘাতের ৩৫ দিন পর ছাত্রদল নেতার মৃত্যুপলাশপোল আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি হলেন পল্টু চৌধুরীউপকূলীয় বাসিন্দাদের স্বাস্থ্যসেবার পথ দেখাচ্ছে সাতক্ষীরার ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল

বাটকেখালীতে মানসিক প্রতিবন্ধীকে মারপিটের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি :

সাতক্ষীরা শহরের বাটকেখালীতে মানসিক প্রতিবন্ধীকে মারপিটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাটকেখালী দাসপাড়া এলাকায় এঘটনা ঘটে। মারপিটের স্বীকার সোহাগ হোসেন বাটকেখালী গ্রামের আব্দুল হান্নানের পুত্র।

এঘটনায় ভুক্তভোগী সোহাগ হোসেনের খালা শাহনাজ খাতুন বাদী হয়ে সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত ১০ অক্টোবর মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে একই এলাকার গৌর দাসের পুত্র সন্দিপ দাস ও দিলিপ দাস সোহাগ হোসেনকে মারপিট করে গুরুতর আহত করে। সে সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে কুপিয়ে আহত করে। তার ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

এবিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মাহতাব উদ্দীন বলেন, তাকে মারপিট করা হয়েছে সঠিক। কিন্তু ছেলেটির বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে তুচ্ছ বিষয়ে অন্যের উপর হামলাসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ থাকলেই কাউকে মারপিট করা যাবে না।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কালিগঞ্জে শিক্ষকের অপসরণ চেয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

কালিগঞ্জ প্রতিনিধি :
কালিগঞ্জের কৃষান মজদুর ইউনাইটেড ইন্সটিটিউট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের অপসারণের দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় বিদ্যালয়ের মাঠে ঘন্টাব্যাপি এই মানববন্ধন করা হয়। বিক্ষোভ ও আন্দোলন চলাকালিন সময় শিক্ষার্থীদের বাঁধা দিতে এসে তোপের মুখে পড়েন সাবেক প্রতিনিধি।

এসময় শিক্ষকের অপসারণ ও বহিরাগতদের হুমকীর বিচার চেয়ে কর্মসূচি অব্যহত রাখতে পাল্টা হুমকী দেয় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। সরেজমিন সূত্রে জানা গেছে, পূর্বঘোষনা অনুযায়ি কৃষানমজদুর ইউনাইটেট ইন্সটিটিউটের শত শত শিক্ষার্থীরা বেলেডাঙ্গা বাজারের প্রধান প্রধান সড়কে একাধিক বার বিক্ষোভ প্রদর্শন করে ছাত্র ছাত্রীরা। পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নাজিম বাহারের অপসারণ, লেখাপড়ার মানউন্নয়ন, নিয়মিত ম্যানেজিং কমিটি গঠন এবং দ্রæত সময়ে শুন্য পদে শিক্ষক নিয়োগের দাবী জানিয়ে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাঈম হোসেন, মারুফ হোসেন, তাসকিন হোসেন, অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী তালেব রহমান,

নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী মারুফা পারভীন, সানজিদা পারভীন, তাসমিন পারভীন। এসময়ে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের নিবৃত করতে সাবেক মেম্বর আব্দুর রহমান মোল্লা, ফজের আলী গাজী, তপন মন্ডল ও যুবলীগ নেতা কাহারুলসহ কয়েকজন বাঁধা প্রদান করেন। একপর্যায়ে সাবেক মেম্বর তপন কুমার মন্ডল মানববন্ধনের ব্যানার কেড়ে নিয়ে শিক্ষার্থীদের নানা ধরণের ভয়ভীতি দেখান। সব মিলে ঐ এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। খোজ নিয়ে জানা যায়, ১৯৭৩ সালে এলাকার কিছু শিক্ষানুরাগী ব্যাক্তিরা বেলেডাঙ্গা বাজারের পাশেই বিদ্যালয়টি স্থাপিত করেন। সেই থেকে বিদ্যালয়ের নতুন ভবন,

শিক্ষার পরিবেশ এবং অবকাঠামোর উন্নয়ন হলেও দিনের পর দিন অবনতি হচ্ছে লেখা পড়ার। সাবেক মেম্বর আব্দুর রহমান ও ফজের আলী গাজী বলেন, স্কুলের দুই তিন জন শিক্ষক মিলে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে এসব করাচ্ছে। মূলত হাবিবুর মাষ্টার, দেবদাশ ও প্রশান্ত মাষ্টার নিজেদের স্বার্থে শিক্ষার্থীদের মাঠে নামিয়েছে। আমরা চাই স্কুলের শিক্ষার পরিবেশ ফিরে আসুক। এলাকার ছেলে মেয়েরা লেখাপড়া শিখে মানুষের মত মানুষ হোক। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নাজিম বাহার বলেন, আমার বিরুদ্ধে কতিপয় শিক্ষক ষড়যন্ত্র করছে এবং তাদের কাছে যারা প্রাইভেট পড়ে তাদের দিয়ে মানববন্ধন সহ বিভিন্ন ধরণের কর্মকান্ড করাচ্ছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেবহাটায় পানিফল চাষে আর্থিক সফলতা পেয়েছে শতশত কৃষক

কে এম রেজাউল করিম দেবহাটা : পানিফল একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর ফল।
এর ইংরেজি নাম ওয়াটার চেসনাট এবং বৈজ্ঞানিক নাম ট্রাপা বিসপিনোসা। পানিফলের আদিনিবাস ইউরোপ, এশিয়া ও আফ্রিকা হলেও এটি প্রথম দেখা যায় উত্তর আমেরিকায়। গত কয়েক বছর ধরে পানিফল বা পানি সিংড়ার চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন উপজেলাসহ দেবহাটা উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে। কম খরচে এই ফল চাষ করে বেশি দামে বিক্রি করতে পারার সুযোগ থাকায়, এই ফল চাষের দিকে ঝুঁকছে কৃষকরা। প্রতিবছর যে পরিমাণ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়, তার চেয়ে বেশি চাষ হচ্ছে বলে জানা গেছে। উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের হিসেবে দেখা যায়, গতবছর পানিফল চাষের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছিল ১৮ থেকে ২০ হেক্টর জমিতে। চলতি বছর লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে ধরা হয়েছে ২০ থেকে ২২ হেক্টর জমিতে।

বিগত বছরের তুলনায় জেলার সব উপজেলার পাশাপাশি দেবহাটা উপজেলার সখিপুর, গাজিরহাট, কামটা, কোঁড়া, দেবহাটা, পারুলিয়া, কুলিয়া, বহেরাসহ বিভিন্ন এলাকায় চাষ করা হয়েছে। এ ফলের চাষের উপযোগী জায়গা হল ডোবা, খানা ও মৎস্য ঘের। এক কথায় বলা যায়, পানির জলাবদ্ধতা আছে এমন জায়গায় এই ফল চাষের উপযোগী স্থান। পানি ফল সামান্য লবণাক্ত ও মিষ্টি পানিতে চাষ করার সুযোগ থাকায় দিনে দিনে চাষের পরিধি বেড়ে চলেছে। তাছাড়া পানিফলের গাছ দেখতে কচুরিপানার মত পানির উপরে ভেসে থাকে, পাতার গোড়া থেকে শিকড়ের মত ডগা বের হয়ে বংশ বিস্তার করে এবং তা থেকে ফল ধারণ করে। পানিফল চাষে খুব বেশি প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হয় না, সার ও কীটনাশকের পরিমাণ কম লাগে। উপজেলার পানিফল ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলাম বলেন, অল্প জমিতে পানিফল চাষ করছি। ভালো ফলন হলে আগামিতে আরও বেশি জমিতে এ চাষ করবো। চাষিরা আরো বলেন, পানিফল মৌসুমি ও অঞ্চলভিত্তিক হওয়ায় আমরা সঠিক মূল্য ও বাজার তৈরি করতে পারিনি। আমরা মনে করি, এটি দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের মৌসুমি ফল হিসেবে বাণিজ্যিকভাবে ব্যাপক চাষের পাশপাশি মার্কেট তৈরি হবে। দেবহাটার সখিপুর ব্রাক অফিসের সামনের পানিফল ব্যবসায়ী রুমা পারভিন জানান, তিনি নিজে ক্ষেত থেকে পানিফল কিনে এনে সেটা বিক্রি করেন। এতে তিনি ৩টি বাচ্চা নিয়ে কোনমতে বেঁচে আছেন। অপর ব্যবসায়ী অহিদুজ্জামান বলেন, চাষের মৌসুম আসার আগে তিনি ১৫ জন চাষিদের মাঝে অর্থ বিনিয়োগ করেন। পরবর্তীতে ফলন আসার পরে বাজার দর অনুযায়ী উৎপাদিত ফল ক্রয় করেন। এভাবে ৭ থেকে ৮ বছর তিনি পানিফল ব্যবসায় নিয়োজিত আছেন। প্রতিদিন তিনি ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, বরগুনা, চিটাগাং, সিলেট, রাজশাহী, বেনাপোল, যশোরসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় এ ফল রপ্তানি করেন। বর্তমান জেলার বাইরের বাজারে ৭০০- ৮০০ টাকা মণ দরে পাইকারি বিক্রি করছেন। তাছাড়া স্থানীয় বাজারে বর্তমানে খুবই কম দরে পানিফল পাওয়া যাচ্ছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, পানিফল চাষ এখনও কৃষি ফসলের আওতায় ধরা হয়নি। তবে মৌসুমি ফল হিসেবে গণ্য হচ্ছে। একদিকে কম খরচ অন্যদিকে অল্প পরিশ্রমে বেশ লাভবান হওয়ায় চহিদা বেড়েছে পানিফল চাষিদের। বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলায় পানিফলের বাণিজ্যিকভাবে চাষ অনেক আগেই শুরু হয়েছে। পানিফল একটি বর্ষজীবী জলজ উদ্ভিদ। জলাশয় ও বিল-ঝিলে এ ফলটি জন্মে। এর শেকড় থাকে পানির নিচে মাটিতে এবং পাতা পানির উপর ভাসতে থাকে। এক একটি গাছ প্রায় পাঁচ মিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। পানিফলের আরেক নাম ‘সিংড়া’। এ ফল চাষ শুরু হয় ভাদ্র-আশ্বিন মাসে। পানিফল কচি অবস্থায় লাল, পরে সবুজ এবং পরিপক্ক হলে কালো রং ধারণ করে। ফলটির পুরু নরম খোসা ছাড়ালেই পাওয়া যায় হৃৎপিন্ডাকার বা ত্রিভুজাকৃতির নরম সাদা শাঁস। কাঁচা ফলের নরম শাঁস খেতে বেশ সুস্বাদু। গবেষনা ও প্রাপ্ত তথ্য মতে, প্রতি ১০০ গ্রাম পানিফলে ৮৪.৯ গ্রাম পানি, ০.৯ গ্রাম খনিজ পদার্থ, ২.৫ গ্রাম আমিষ, ০.৯ গ্রাম চর্বি, ১১.৭ গ্রাম শরকরা, ১০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ০.৮ মিলিগ্রাম লৌহ, ০.১১ মিলি গ্রাম ভিটামিন বি-১, ০.০৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি-২ ও ১৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে। উপজেলায় জলাবদ্ধ এলাকার চাষিরা পানিফল চাষ করে অধিক লাভবান হচ্ছেন। ফলে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এ ফলের চাষ। সেই সঙ্গে বাড়ছে ফলটির জনপ্রিয়তা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় ২৭০ টি হারানো মোবাইল ফোন উদ্ধার করে মালিককে ফেরত দিলো পুলিশ

নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরায় ২৭০ টি হারানো মোবাইল ফোন ও বিকাশের মাধ্যমে প্রতারণা করে হাতিয়ে নেওয়া ৩ লাখ ৪০ হাজার ২০০ টাকা উদ্ধার করে তা প্রকৃত মালিককে ফেরত দিয়েছে জেলা পুলিশ। মঙ্গলবার (১০অক্টোবর) বেলা ১২টায় সাতক্ষীরা পুলিশ লাইন কনফারেন্স রুমে আনুষ্টানিকভাবে উক্ত মোবাইল ও নগদ টাকা গুলো ফেরত দেন, সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান।

এ সময় তিনি বলেন, সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের মাধ্যমে জনগণের হারানো ফোন উদ্ধার করে প্রকৃত মালিককে ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে হারানো ২৭০ টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে প্রকৃত মালিককে ফেরত দেওয়া হলো। যার আনুমানিক মূল্য ৪০ লাখ ৫০ হাজার টাকা। একই সাথে বিকাশের মাধ্যমে প্রতারণা করে হাতিয়ে নেওয়া ৩ লাখ ৪০ হাজার ২০০ টাকা উদ্ধার করে প্রকৃত মালিককে ফেরত দেয়া হলো। জনগণের সেবা দিতে পুলিশ পরিশ্রম করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত উল্লেখ করে তিনি এ সময় স্ব স্ব মূল্যবান জিনিসপত্রের প্রতি আরও বেশি যতœবান হওয়ার আহবান জানান। এ সময় হারানো মোবাইল ফোনের মালিকরা পুলিশের এমন মহতী কাজকে সাধুবাদ জানান।

উক্ত অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সজিব খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) আতিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মীর আসাদুজ্জামানসহ অন্যান্যরা।##

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কলারোয়ার হেলাতলা টেকনিক্যাল কলেজের চারতলা ভবনের ভিত্তিপ্রস্থর উদ্বোধন

কলারোয়া প্রতিনিধি:

দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে সাতক্ষীরা কলারোয়ার হেলাতলা টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট স্কুল ও কলেজের বহুতল বিশিষ্ট চারতলা ভবনের প্রথম তলার ভিত্তিপ্রস্থর উদ্বোধন করেছেন প্রধান অতিথি তালা কলারোয়া সাতক্ষীরা – ১ আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ।

মঙ্গলবার ( ১০ অক্টোবর ) দুপুরে কলেজের অধ্যক্ষ কবীর উদ্দিন বিশ্বাসের সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে কলেজের বাংলা শিক্ষক খালিদ হোসেন কলেজের ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।

উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিফাতুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু , সাতক্ষীরা জেলা সহকারী প্রকৌশলী আবু জায়েদ , কেরেলকাতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সম মোর্শেদ আলী ভিপি, হেলাতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন , যুগীখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল হাসান প্রমুখ। এ সময় অনুষ্ঠানে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানসহ রাজনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গনের ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়নে হেলাতলা টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট স্কুল ও কলেজটি ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন কলারোয়া পৌরসদরের বাসিন্দা প্রায়ত কাজী আব্দুল ওহাব। আজ তার স্ত্রী ফরিদা খাতুনকে অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা ও সম্মাননা জানান কলেজ কর্তৃপক্ষ ও অতিথিরা। কম্পিউটার অপারেশন ও মানবসম্পদ উন্নয়ন এ দুইটি ট্রেডে বর্তমান দুই শতাধিক শিক্ষার্থী পাঠদান করছে টেকনিক্যাল কলেজটিতে। দীর্ঘদিন যাবত যে শ্রেণীকক্ষ সংকটে ব্যাপক সমস্যার ভিতরে ছিল কলেজ কর্তৃপক্ষ সহ শিক্ষার্থীরা তার অতি দ্রুতই সমাধান হবে এমনটাই জানিয়েছেন অতিথিরা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
চার দফা দাবীতে সাতক্ষীরায় ম্যাটস শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন করে ধর্মঘট ও মানববন্ধন

আসাদুজ্জামান ঃ ইন্টার্নশিপ বহাল ও অসংগতিপূর্ণ কোর্স কারিকুলাম সংশোধনসহ চার দফা দাবিতে সারা দেশের ন্যায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস বর্জন করে ধর্মঘট ও মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করছে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল ইন্টার্ন ডিপ্লোমা (ম্যাটস) শিক্ষার্থীরা। সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে তারা এ ধর্মঘট ও মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করে।

সেখানে শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি তুলে ধরে শ্লোগান দিতে থাকেন।
বক্তারা বলেন, দাবি না মানা পর্যন্ত রাজপথে তাদের এ আন্দোলন চলবে। বক্তারা এ সময় অবিলম্বে ইন্টার্নশিপ বহাল রেখে কোর্স কারিকুলাম সংশোধন, এ্যালাইড হেলথ বোর্ড বাতিল করে ‘মেডিকেল এডুকেশন বোর্ড অব বাংলাদেশ’ নামে স্বতন্ত্র বোর্ড গঠন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও নিয়োগ প্রদান এবং বঙ্গবন্ধুর পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা অনুযায়ী উচ্চ শিক্ষার সুযোগ প্রদানের জোর দাবি জানান তারা।
মানববন্ধন ও ধর্মঘটে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ডিপ্লোমা মেডিকেল এ্যাসোসিয়েশন সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি মিজানুর রহমান, সাধারন সম্পাদাক মাসুম বিল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক তারিক আজিজ, সদস্য তন্ময় হোসেন প্রমুখ।##

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
গাজা সীমান্তবর্তী সব শহর দখলে নিয়েছে ইসরাইল

বিদেশের খবর : গাজার সীমান্তবর্তী কাঁটাতারের বেড়ার আশপাশের সব শহরের দখল নেওয়ার দাবি করেছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী।

ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ-এর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, গাজার বেষ্টনির কাছাকাছি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করতে পেরেছে সেনাবাহিনী। তবে সক্রিয় ফিলিস্তিনি বন্দুকধারীদের সঙ্গে বিচ্ছিন্নভাবে সংঘর্ষ অব্যাহত আছে।

হাগারি বলেছেন, সীমান্তের নিরাপত্তা রক্ষায় হেলিকপ্টার, ড্রোন ও ট্যাংক ব্যবহার করা হয়েছে। সীমান্তবর্তী ২৪টি শহরের মধ্যে ১৫টি থেকে মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

এদিকে গাজায় রোববার রাতভর ইসরাইলি বাহিনী তাণ্ডব চালিয়েছে। ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় সোয়া লাখ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছে। খবর এপির।

জাতিসংঘের বিবৃতিতে বলা হয়েছে— ইসরাইলের বিমান হামলায় এক লাখ ২৩ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

এর মধ্যে রোববার স্থানীয় সময় রাত ৯টা পর্যন্ত প্রায় ৭৪ হাজার গাজাবাসী ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডটির স্কুলগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

ইসরাইলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এ পর্যন্ত গাজার শতাধিক স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে। হামাস ও ইসরাইলি বাহিনীর পালটাপালটি হামলার প্রভাবে গাজার ১ লাখ ২৩ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়ে।

রোববার রাতে গাজায় ইসরাইলের প্রতিশোধমূলক হামলায় ফিলিস্তিনের ১৫৯টি বেসামরিক ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে যায়। আরও ১২শর বেশি আবাসিক স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সড়ক দুর্ঘটনা রোধকল্পে সাতক্ষীরার কালেক্টরেট ও পাবলিক স্কুলে গণসচেতনতা মূলক কর্মশালা

নিজস্ব প্রতিনিধি : ”আইন মেনে সড়কে চলি, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলি” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দিবসটির অংশ হিসেবে মাসব্যাপি গণসচেতনতা বৃদ্ধিমূলক ও সড়ক নিরাপত্তামূলক মাসব্যাপি বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বিআরটিএ সাতক্ষীরা সার্কেল।

জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস ২০২৩ উপলক্ষে এর অংশ বিশেষ সোমবার সকাল ১১ টায় সাতক্ষীরা শহরের কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজ ও বেলা ১২ টায় সাতক্ষীরা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে পৃথক দুটি গণসচেতনতা বৃদ্ধিমূলক ও সড়ক নিরাপত্তামূলক এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন, সুমনা আইরিন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাতক্ষীরা সদর, বিআরটিএ সাতক্ষীরা সার্কেলের সহকারী পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার কে এম মাহবুব কবীর, পুলিশ পরিদর্শক (ট্রাফিক) শাহাবউদ্দিন মোল্লা, সাতক্ষীরা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক কামাল উদ্দিন,সাতক্ষীরা শহরের কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের উপাধ্যক্ষ মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, বিআরটিএ’র অফিস সহকারী মোঃ সাইফুল ইসলাম।

পৃথক দুটি কর্মশালায় বক্তরা উপস্থিত ছাত্র-ছাত্রীদের সড়ক দুর্ঘটনার রোধকল্পের উপর বিভিন্ন দিক নির্দেশনা মূলক বক্তব্যে প্রদান করেন। কর্মশালা শেষে উপস্থিত ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে সড়ক দুর্ঘটনা রোধকল্পে বিভিন্ন প্রকার ট্রাফিক সাইন এর লিফলেট ও স্টিকার বিতরণ করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest