সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরা সদর উপজেলা শিক্ষক সমিতির নব নির্বাচিত কমিটির অভিষেকআন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে জেএসডি সাতক্ষীরার শ্রদ্ধাসাতক্ষীরা পৌর তাঁতীদলের আয়োজনে ৪৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালনসাতক্ষীরায় নিজের শিশু কন্যাকে পুড়িয়ে হত্যার পর মাকে পিটিয়ে হত্যা করল মানসিক ভারসাম্যহীনসাতক্ষীরায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সাথে দিগন্ত পরিবহনের ধাক্কা: আহত ১৩সাতক্ষীরায় দৈনিক যুগান্তরের রজতজয়ন্তী উদযাপনদেবহাটায় আ’লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভসাতক্ষীরা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক কমিটি অনুমোদন দেওয়ায় শুভেচ্ছা মিছিলতাঁতীদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে শ্যামনগরের র‌্যালি এবং বেগম জিয়ার সুস্থ্যতা কামনায় দোয়াসাতক্ষীরায় ৩৯০ কেজি চিংড়ী আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট: ৮০ হাজার টাকা জরিমানা

শ্যামনগরে সুপেয় পানির সংকট দূরীকরনে নবনির্মিত পিএসএফ’র উদ্বোধন

নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরার শ্যামনগরের উপক‚লীয় এলাকায় সুপেয় পানির সংকট দীর্ঘদিনের। পানি সংগ্রহ করতে বহু পথ পাড়ি দিতে হয় নারীদের। শ্যামনগরের আটুলিয়া ইউনিয়নের ৪টি গ্রামের সুপেয় পানির ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা প্রেরণা বাস্তবায়নে নির্মান করা হয়েছে পিএসএফ।

রোববার সকাল ১০ টায় আটুলিয়ার সাপেরদুনি গ্রামে নির্মিত পিএসএফের উদ্বোধন করেন, শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা: রনী খাতুন। এসময় আটুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু ছালেহ বাবু, প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জি। উপস্থিত ছিলেন, ইউপি সদস্য আব্দুল হাই খশরু, মোশাররফ হোসেন, সিরাজুল ইসলাম সানাসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

পিএসএফটি নির্মানের ফলে ৪ টি গ্রামের কয়েকশত পরিবারের সুপেয় পানির ব্যবস্থা নিশ্চিত বলে মনে করেন অতিথিবৃন্দ।

উল্লেখ্য: অত্র এলঅকার মানুষ সুপেয় পানি সংগ্রহের জন্য ১ থেকে ৪ কিলোমিটার পড়ি দিতে হতো। সময় ব্যয় হতো ৩ থেকে ৫ঘন্টা। সেই সমস্যা সমাধানের উদ্দেশ্যে এই পিএসএফটি স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও এই ইউনিয়নের ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ডে ৪টি টিউবওয়েল, ২টি সাঁকো, ২০টি শৌচাগার, ১৭টি পানির ট্যাংকি, ৩টি ন্যাপকিন কর্ণার ও ১৫ জনের মধ্যে আয়বৃদ্ধি মূলক উপকরণ বিতরণ, ১৬ জনের বাড়িতে সবজি চাষের ব্যবস্থা এবং একটি রাস্তা নির্মাণসহ ওই রাস্তার পাশে গাছ লাগানো হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় স্টার বৃত্তি উৎসবে বৃত্তিপ্রাপ্ত ৩৮২ জন শিক্ষাথীর সংবর্ধনা

নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরায় স্টার বৃত্তি উৎসবে অংশগ্রহনকারী বৃত্তিপ্রাপ্ত ৩৮২ জন শিক্ষাথীকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে।

স্টার কিডস, সাতক্ষীরার আয়োজনে শনিবার সকাল ১০ টায় সাতক্ষীরা সরকারী কলেজ প্রাঙ্গনে উক্ত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ আবুল হাশেম।

স্টার বৃত্তি উৎসবের পরিচালক এ.টি.এম আবু হাসানের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা সরকারী কলেজের উপধ্যক্ষ প্রফেসর আল মুস্তানছির বিল্লাহ, দিবানৈশ কলেজের অধ্যক্ষ এ.কে.এম সফিকুজ্জামান, শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মোঃ জাকির হোসেন, সাতক্ষীরা সরকারী কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মিয়ারাজ হুসাইন,

একই কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোঃ শাহিনুর রহমান, সাতক্ষীরা পাবলিক লাইব্রেরির সাধারন সম্পাদক কামরুজ্জামান রাসেল, ভোমরা স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক আবু মুছা, পাটকেলঘাটা আল-আমিন ফাজিল মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক ড. রুহুল আমিন, শ্যামনগর টেকনিক্যাল এন্ড বি এম কলেজের অধ্যক্ষ হাফিজুল আল মাহমুদ, বাংলাভিশন টিভি চ্যানেল ও বাসসের জেলা প্রতিনিধি আসাদুজ্জামান আসাদ প্রমুখ।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জানানো হয়, মেধাবী ছাত্র ছাত্রীদের উৎসাহ প্রদানের লক্ষ্যে গত ৮ নভেম্বর-২০২৪ তারিখে সম্পূর্ণ অলাভজনকভাবে সাতক্ষীরায় স্টার বৃত্তি উৎসব-২০২৪ এর আয়োজন করে স্টার কিডস। এতে জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১ম শ্রেনী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত ১৫০২ জন শিক্ষার্থী উক্ত বৃত্তি উৎসবে অংশ গ্রহন করে। যাছাই বাছাই শেষে ৩৮২ জন শিক্ষার্থী বৃত্তি পায়। এর মধ্যে ২২৬ জন শিক্ষার্থী ট্যালেন্টপুলে ও ১৫৬ জন শিক্ষার্থী সাধারন গ্রেডে বৃত্তি পায়। বৃত্তিপ্রাপ্ত এসব শিক্ষার্থীদের হাতে আজ শনিবার সকালে ক্রেস্ট ও মেডেল প্রদান করে তাদেরকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।##

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মুক্তিযোদ্ধা হাই কানুকে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানুকে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। এসময় তারা আব্দুল হাই কানুকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আয়োজনে শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১ টায় সাতক্ষীরা পাওয়ার হাউজের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা মোশারফ হোসেন মশু, মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ (অব.) সুভাষ সরকার, মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. মোস্তফা নুরুল আলম, মুক্তিযোদ্ধা শফিক আহমেদ প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান অবমাননা লাঞ্ছনার ঘটনা ঘটছে। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর দেশে এ ধরনের ঘটনা বেড়েছে। এক্ষেত্রে অবশ্যই সরকারকে কঠোর হতে হবে।

বক্তারা বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা জীবন বাজি রেখে ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে দেশ স্বাধীন করেছে। এখন আমাদেরই লাঞ্ছিত হতে হচ্ছে, অপমান অবহেলার শিকার হতে হচ্ছে। আমরা আবারও জীবন দিতে প্রস্তুত। আমাদের দেহে যতটুকু শক্তি সামর্থ আছে আমরা তাই দিয়েই প্রতিরোধ গড়ে তুলবো।
বক্তারা এসময় মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান রক্ষার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান।##

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মনের প্রশান্তি দিতে ঘুরে আসুন দেবহাটার রূপসী ম্যানগ্রোভ

কে এম রেজাউল করিম দেবহাটা: সাতক্ষীরার দেবহাটা রূপসী ম্যানগ্রোভ দর্শানার্থীদের বিনোদন নিশ্চিত করতে নানা প্রস্তুতি চলছে রূপসী ম্যানগ্রোভ পর্যটন কেন্দ্রে। ইছামতির কোল ঘেঁষে যেন একটি আজব চিড়িয়াখানা। উপজেলার সদর থেকে দুই কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ভারত সীমান ইছামতি কোল ঘেঁষে। মিনি সুন্দরবন নামে অবশিষ্ট, আর এমনি সুন্দরবন অর্থাৎ ম্যানগ্রফে মধ্যে হরেক রকমের হাঁস, মুরগী, খরগোশ, বানর, পাখি ও কেওড়া গোল গাছ-গাছালী ও ইছামতি নদী ভ্রমণেন জন্য আছে নৌকা,স্থলে বেড়ানোর জন্য আছে ঘোড়া,বাচ্চাদের আনন্দ উপভোগ করার জন্য ট্রেন,বাচ্চাদের দেখার জন্য আছে বিভিন্ন কাটুন বা ফেস্টুন,ফুলের বাগানে ভর্তি এক আজব চিড়িয়াখানাটি ও মিনি সুন্দরবন দেখতে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে আসছে আবাল-বৃদ্ধ- বনিতা। আছে গেস্ট হাউস,মুসলিমদের জন্য আছে নামাজের জায়গা দিন অতিবাহিত হওয়ার সাথে সাথে লোকজনের সংখ্যাও বেড়ে চলেছে। পশু-পাখির খামার বানিয়েছেন এর অনেক আগে থেকে। বিভিন্ন জাতের কবুতর, লাভ বার্ড, কোকাটেল, পাজেরিকা, টিয়া, কালিম পাখি, তোতামুখি,ইমু পাখিসহ বহু পাখির আছে। এ বিভিন্ন জাতের ফুল দ্বারা পরিবেষ্ঠিত সুন্দরবনটি সরেজমিনে চিড়িয়াখানাটি দেখলে মন জুড়িয়ে যাবে সকলের। সাতক্ষীরা দেবহাটা উপজেলার ইছামতি নদীর তীরে সুন্দরবনের আদলে গড়ে তোলা পর্যটন কেন্দ্রটি ১৫০ বিঘা জমিতে বিস্তৃর্ণ। এই বনের বুক চিরে প্রায় ১০ একর জমিতে অনামিকা লেক, পিকনিক স্পট, শিশুপার্ক, কনফারেন্স রুম, বনের ভিতরে পাকা ট্রেইল, সেলফি পয়েন্ট, প্যাডেল চালিত বোড, ইছমিতির পাড়ে বসে বৈকালিন, তিন নদীর মোহনা দেখার সুব্যবস্থা। এছাড়া নারী-পুরুষের জন্য আলাদা নামাজের স্থান, সুপেও পানির ব্যবস্থা ছাড়াও নতুন ভাবে যোগ হচ্ছে রাত্রিযাপনের জন্য কটেজ। নানামূখি বিনোদনের সুযোগ সৃষ্টি করা বনটিতে বর্তমানে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।

জেলার সদর হতে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দুরে ইছামতি নদীর তীরে শিবনগর মৌজায় অবস্থিত এ বনটি। এটি উপজেলার “রূপসী ম্যানগ্রোভ পর্যটন কেন্দ্র” নামে পরিচিত। ইছামতি নদীর তীরে কৃত্রিমভাবে সৃষ্টি এ ম্যানগ্রোভ পর্যটন কেন্দ্রটি এ উপজেলায় মানুষকে গর্বিত করে। উপজেলা প্রশাসনের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় টাউনশ্রীপুর এলাকায় ভারতের টাকী পৌরসভার বিপরীতে ইছামতি নদীর তীরে শীবনগর মৌজায় এ বনটি তৈরী করা হয়েছে। এই পর্যটন কেন্দ্রর সার্বিক উন্নয়নের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও বিভিন্ন সহযোগীতা প্রদান করা হয়েছে। এই বনটিতে বহু প্রজাতির ফলজ ও বনজ বৃক্ষ রয়েছে। সুন্দরবনের আদলে বিভিন্ন প্রজাতির বনজ বৃক্ষের চারা এনে রোপন করে ব্যাপক বনের সৃষ্টি করা হয়েছে। যার মধ্যে কেওড়া, বাইন, গোলপাতা, কাঁকড়া, নিম, সুন্দরী, হরকচাসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ ও বনজ উদ্ভিদ। বিনোদন প্রিয়াসীদের জন্য রয়েছে বসারস্থান। শিশুদের আনন্দ দেওয়ার জন্য কৃত্রিম বিভিন্ন প্রজাতীর পশুপাখি। স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করে এটি পরিপূর্ণ বনে পরিনত করতে উপজেলা প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে।

এদিকে, সাতক্ষীরা জেলার ইছামতি সীমান্তের ইছামতির তীরে গড়ে ওঠা দৃষ্টিনন্দিত মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক অপরূপ সৌন্দর্য ম্যানগ্রোভ মিনি সুন্দরবনটির পরপর পরিধি বাড়ছে। ২০০৯ সালে দেবহাটার সুঁশিলগাতী এলাকার নদীর বেড়িবাধ ভেঙ্গে প্লাবিত হলে বাধ রক্ষায় ২০১০ সালে উপজেলার প্রশাসনের উদ্যোগে বাধ রক্ষায় ও প্রাকৃতিক ভারসম্য রক্ষার জন্য তৈরী করা হয় ম্যানগ্রোভ বন। বেশ কয়েক বছর যেতে যেতে বনের আকার বৃদ্ধি পেতে থাকে। আর রক্ষা পায় আশে পাশের এলাকাবাসীরা। প্রতিবছরে উপজেলার ও জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ উপভোগ করতে আসে প্রকৃতির এই দৃর্শ্য। তাছাড়া বিভিন্ন উৎসবকে কেন্দ্র করে বনটিতে কানায় কানায় দর্শণার্থী পরিপূর্ণ হয়।

তাছাড়া শীতের প্রথম থেকে শুরু হয় পিকনিক উৎসব। অনেকে এসে রান্নাবান্না করে ধুমধাম চড়–ই ভাতিও করে। কয়েক মাস ধরে চলতে থাকে উৎসবের আমেজ। সেই আমেজ ছড়িয়ে পড়ে সকলের মাঝে। বর্তমান স্থানটিতে প্রবেশ করতে হলে উপজেলা প্রশাসনেকে টিকিটের মাধ্যমে ফি দিতে হয়। যার পুরো টাকা সরকারি রাজস্ব তহবিলে জমা হয়। স্থানটি ইছামতির তীরে নিরিবিলি হওয়ায় বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ এখানে সময় কাটাতে আসেন।

ঘুরতে আসা দর্শানার্থীরা জানান, বনটি ইছামতি নদীর পাড়ে হওয়ায় সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। এপাশে বাংলাদেশ অপরপাশে ভারত মাঝ খানে নদী। জায়গাটি অত্যান্ত নিরিবিলি হওয়ায় সব বয়সী মানুষের কাছে প্রিয়। তাছাড়া বিভিন্ন দিবস বা ছুটির দিনে বেশি দুরে যা যেয়ে দেবহাটায় এসে সুন্দরবনের স্বাদ পায়। নারী ও শিশুদের জন্য স্থানটি খুবই নিরাপদ বলেও দাবি দর্শানার্থীদের।

এই স্পটটিতে প্রতিদিন প্রায় হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। তাছাড়া ছুটি ও বিভিন্ন উৎসব ঘিরে দিনে ৩/৪ হাজার দর্শানার্থীদের পদাচরন ঘটে এই বিনোদন কেন্দ্রে। বর্তমানে পর্যটন কেন্দ্রে দায়িত্বে ম্যানেজার সোহেল বলেন, বিনোদন কেন্দ্রে এসে যাতে কেউ কোন প্রকার হয়রানি না হয় সেব্যাপারে আমাদের স্টাফরা নিরাপত্তা দিয়ে যাচ্ছেন। আমরা দর্শানার্থীদের বিনোদনের জন্য নতুন নতুন সুযোগ সৃষ্টি করছি। এদিকে নানা উদ্যোগ আর আশার কথা জানিয়ে দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: আসাদুজ্জামান বলেন, প্যারা সাইডে লোহার হাতল লাগানো, ইছামতি নদীর ধারে বসার জায়গা,
শিশু পার্কের ভিতরে এবং বাইরে রাইড সংযুক্ত করা হয়েছে, রাস্তা প্রশস্ত করা হয়েছে, থ্রি ফেজের বিদ্যুৎ লাইন সংযোগ দেওয়া হয়েছে, ভিতরের রাস্তার কার্পেটিং এর কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে পরে বড় গাড়ি গুলো ঢুকতে কোন অসুবিধা হবে না।
যেহেতু আমার সুন্দরবনের কাছাকাছি অবস্থান করি। সেকারনে রাজধানী সহ দেশ-বিদেশী পর্যটক সুন্দর ভ্রমনে আসেন। তাদের কথা বিবেচনা করে রূপসী ম্যানগ্রোভ পর্যটন কেন্দ্রটি দর্শানার্থীদের মত করে সাজানো হচ্ছে। আমাদের পক্ষ থেকে পর্যটন কেন্দ্রের উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। আমি অনুরোধ করব যারা শীতের ছুটিতে বাড়িতে ফিরবেন অর্ন্তত একবার হলেও দেবহাটা রূপসী ম্যানগ্রোভ পর্যটন কেন্দ্রটি ঘুরে যাবেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
৩১ দফা বাস্তবায়ন: জেলা বিএনপি’র মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটি বাতিলের দাবিতে সাতক্ষীরায় সভা

নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নের আলোকে একটি সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মানে এবং জেলা বিএনপির দীর্ঘ ৫ বছর আগের মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটি বাতিলের দাবিতে সাতক্ষীরায় আলোচনা সভা ও র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাতক্ষীরা জেলা বিএনপিসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় শহরের সংগীতা মোড়স্থ পরিবহন কাউন্টারের সামনে অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায় প্রধান অতিথিন বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও বর্তমান যুগ্ম আহবায়ক শেখ তারিকুল হাসান।

আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, শ্যামনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাস্টার আব্দুল ওয়াহেদ, দেবহাটা উপজেলার বিএনপি আহবায়ক শেখ সিরাজুল ইসলাম, সাবেক যুবদল সভাপতি আবুল হাসান হাদী, জেলা কৃষক দলের সাবেক সভাপতি আহসানুল কাদির স্বপন, জেলা যুবদলের সাবেক প্রধান সমস্বয়ক আইনুল ইসলাম নান্টা, পৌর বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল মামুন রাজু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক এড.কামরুজ্জামান ভুট্টো, জেলা ছাত্র দলের সাবেক সভাপতি শরিফুজ্জামান সজীব, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল ইসলাম চন্দনসহ অন্যান্যরা।

প্রধান অতিথি তারিকুল হাসান বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নের আলোকে একটি সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মানে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানিয়ে বলেন, বিগত দিনে রাজপথে থেকে যারা আন্দোলন সংগ্রাম তরান্বিত করেছে, যারা জেল খেটেছে, যারা যুদ্ধ করেছে তাদের মতো যোগ্যদেরকে বিবেচনায় এনে সে সমস্ত পরীক্ষিত সৈনিকদের নিয়ে সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির একটি কমিটি উপহার দিন। তিনি এ ব্যাপারে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

আলোচনা সভা শেষে সেখান থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালী বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে খুলনা রোড মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।##

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনি ফ্রেন্ডস স্পোর্টিং ক্লাবে নির্বাচনে তুহিন সভাপতি, বসু সম্পাদক

বিএম আলাউদ্দীন আশাশুনি ব‍্যুরো:

আশাশুনিতে ফ্রেন্ডস স্পোর্টিং ক্লাবে কার্যকরী পরিষদ নির্বাচন করা হয়েছে। ২০২৫-২০২৬ সালের জন্য নির্বাচিত কমিটির সভাপতি করা হয়েছেন মশিউল হুদা তুহিন ও সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন তুষার কান্তি বসু।

নির্বাচন কমিশন প্রধান মোঃ আব্দুর রহিম, নির্বাচন কমিশন সচিব ফজলুর রহমান ও সদস্য মোঃ সেলিম শাহরিয়ার স্বাক্ষরিত পত্রে জানাগেছে, কমিটির অন্য সদস্যবৃন্দরা হলেন, সহ-সভাপতি ফজলুর রহমান, সহ-সাধারণ সম্পাদক জুলফিকর আলী,

সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আলিম, ক্রীড়া সম্পাদক রুহুল আমিন, অর্থ সম্পাদক রনজিত বৈদ্য, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক আবুল কালাম, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আবু মোঃ শাহনেওয়াজ, দপ্তর সম্পাদক বজলুর রহমান বাবু, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান এবং কার্যকরী সদস্য আব্দুর রহিম ও জাকির হোসেন (ভুট্টো)।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনিতে অনলাইন সার্ভার বন্ধ : ভোগান্তির শিকার সাধারণ মানুষ

বিএম আলাউদ্দীন আশাশুনি ব‍্যুরো:
আশাশুনিতে অনলাইন সার্ভার বন্ধ থাকায় জমির কাগজপত্র সঠিক রাখতে নামজারী করা, ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করা ও জমি ক্রয়-বিক্রয় করার কাজ করতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে জনগণ। দীর্ঘ একমাস যাবৎ অনলাইন সার্ভার বন্ধ থাকায় ভূমি সেবা সেক্টরে বিপত্তির পাশাপাশি সরকারও হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব।
গত ২৬ নভেম্বর থেকে সারা দেশে ভূমি সেবা অন লাইন সার্ভার বন্ধ রয়েছে। সফটওয়ারগুলো ধীরগতি সম্পন্ন হওয়ায় ই-নামজারি, ভূমি উন্নয়ন কর ও খতিয়ান সেবা পেতে অসুবিধা হচ্ছে। সেবা প্রাপ্তিতে গতিবৃদ্ধি করতে কাজ করা হচ্ছে। অনলাইন সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় ম্যানুয়েল তৈরি করে সরবরাহ করা হচ্ছে। আর এই কাজ ভালভাবে সম্পন্ন করতে সার্ভার বন্ধ রাখা হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘ এক মাস যাবৎ সার্ভার বন্ধ থাকায় সারাদদেশের ন্যায় আশাশুনি উপজেলায় ভূমি সেবা কার্যক্রমে ব্যাপক প্রতিকূল প্রভাব পড়েছে।
উপজেলার ১১ ইউনিয়নের ৯টি ইউনিয়ন ভূমি অফিসগুলোতে প্রতিদিন বহু লোকজন ভূমি সেবা পেতে যাতয়াত করে থাকে। জমির কাগজপত্র ঠিক করা, ভূমি উন্নয়ন কর দেওয়া, ই-নামজারীর কাজ করা, খতিয়ান সেবা নিতে ভূমি মালিকরা ভূমি অফিসে গমন করে থাকে। অন লাইন সার্ভার বন্ধ থাকায় পরে আসেন, পরে আসেন খবর শুনতে শুনতে হতাশ হয়ে পড়েছে। ভূমি অফিসে হাটতে হাটতে নিরাশ হয়ে যাওয়া কুল্যা ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামের নিমাই চাঁদ রাজবংশী জানান, তিনি বুধহাটা ইউনিয়ন ভূমি অফিসে তিনি একমাস হাটছেন, কিন্তু সার্ভার কাজ করছে না শুনতে শুনতে হতাশ হয়ে গেছেন। তিনি চিকিৎসার খরচ মেটাতে জমি বিক্রয় করার জন্য নামজারির কাজ করতে এসেছেন। নামজারি হচ্ছেনা, চিকিৎসা নিতে না পেরে ভবিষ্যৎ চিন্তায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
যদুয়ারডাঙ্গা গ্রামের প্রদীপ কুমার সরকার জানান, তিনি প্রায় একমাস নামজারীর আবেদন করতে ভূমি অফিসে হাটছেন। অনলাইন সমস্যার কারনে অপেক্ষা করতে করতে চোখ ছানাবড়া হতে চলেছে। খাজরা ইউনিয়ন ভূমি অফিসে সেবা নিতে আসা তরুন কুমার সরকার, তরুন কুমার সরকার ও নমেদ জানান, খাজরা ইউনিয়ন ভূমি অফিসে হাটতে হাটতে পা খয় হয়ে হেল, কিন্তু নামজারী করানো হলোনা।
যদুয়ারডাঙ্গা গ্রামের উত্তম সরকার, কচুয়া গ্রামের আজীজ, কাদাকাটি গ্রামের আজাদ রহমান বাচ্চু ও মুজিবর জানান, অনলাইন সমস্যায় তারা নামজারী ও ভূমি উন্নয়ন কর দিতে পারছেনা।
আরার গ্রামের বিল্লাল হোসেন জানান, তিনি জমি বিক্রয় করার জন্য নামজারী করাতে হাটছেন। কিন্তু কবে কাজ করাতে পারব বুঝতে পারছিনা।
হাজীডাঙ্গা গ্রামের খাদেমুল ইসলাম জানান, তিনি তাদের ফুফু আকলিমার কাছ থেকে জমি ক্রয়ের জন্য দলিল রোজিস্ট্রী করতে ২০ দিন হাটছি। দলিল লেখার পর রেজিস্ট্রী করাতে পারছিনা।
এব্যাপারে ডিড রাইটার স্বপন কুমার মন্ডল ও তারক চন্দ্র সরকার জানান, নামজারি ও চেক দাখিলা কাটতে না পারায় জমি রেজিস্ট্রী কাজে ব্যাহত হচ্ছে। সপ্তাহে যেখানে ১৫০-২০০ দলিল রেজিস্ট্রী হতো এখন সেখানে ৪০/৫০ টিও হচ্ছেনা। কেউ জরুরী প্রয়োজনে দলিল করতে আসছেন, কেউ চিকিৎসা বা অন্য কোন কাজে টাকার প্রয়োজন মেটাতে জমি বিক্রয় করতে আসছেন। কিন্তু রজিস্ট্রী করতে না পেরে বারবার ফিরে যেতে হচ্ছে তাদের। এতে জমি ক্রেতা-বিক্রেতারা নাজেহাল ও সমস্যায় ভুগছেন। রেজিস্ট্রী অফিসের সাথে জড়িতরা বিপত্তিতে রয়েছেন। সরকারও হারাচ্ছেন রাজস্ব।
ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আঃ মজিদ জানান, একমাস যাবৎ সফটওয়ার সমস্যায় নামজারি আবেদন করা যাচ্ছেনা। মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন, আমরাও ঝামেলায় রয়েছি।
আশাশুনি উপজেলা ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাশেদ হোসাইন জানান, গত ২৬ নভেম্বর ২০২৪ সন্ধ্যা ৬ টা থেকে অনলাইন সার্ভার বন্ধ থাকায় আমরা সেবা প্রদান করতে পারছিনা। নামজারী, রাজস্ব আদায় ব্যাহত হচ্ছে। আগামী ১ জানুয়ারী ২০২৫ ভার্সন-২ উদ্বোধন করা হবে বলে জানতে পেরেছি। আরমাত্র কয়েকদিন পর থেকে আমরা উন্নত সেবার মাধ্যমে দ্রুত কাজ সম্পন্ন করতে স্বচেষ্ট হবো ইনশাল্লাহ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
এমপি জগলুলের ভাই জহিরুল হায়দার বাবু গ্রেফতার

ডেক্স রিপোর্ট:
সাতক্ষীরার শ্যামনগর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক (ইউপি) চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ.লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি এস এম জরুহুল হায়দার বাবুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার গভির রাতে খুলনা পশ্চিম বানিয়া খামার এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেন।

তিনি শ্যামনগর উপজেলার নকিপুর গ্রামে ডাঃ আব্দুল জলিলের পুত্র ও সাতক্ষীরা ৪ আসনের সাবেক আ.লীগের সংসদ সদস্য এস এম জগলুল হায়দারের ছোট ভাই।

যশোর কোতয়ালী থানার ওসি মোঃ আব্দুর রাজ্জাক সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শ্যামনগর উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামে হাসান মিয়া নামে এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ ও চাঁদাবাজির অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করে যশোর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest