সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরা সদর উপজেলা শিক্ষক সমিতির নব নির্বাচিত কমিটির অভিষেকআন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে জেএসডি সাতক্ষীরার শ্রদ্ধাসাতক্ষীরা পৌর তাঁতীদলের আয়োজনে ৪৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালনসাতক্ষীরায় নিজের শিশু কন্যাকে পুড়িয়ে হত্যার পর মাকে পিটিয়ে হত্যা করল মানসিক ভারসাম্যহীনসাতক্ষীরায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সাথে দিগন্ত পরিবহনের ধাক্কা: আহত ১৩সাতক্ষীরায় দৈনিক যুগান্তরের রজতজয়ন্তী উদযাপনদেবহাটায় আ’লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভসাতক্ষীরা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক কমিটি অনুমোদন দেওয়ায় শুভেচ্ছা মিছিলতাঁতীদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে শ্যামনগরের র‌্যালি এবং বেগম জিয়ার সুস্থ্যতা কামনায় দোয়াসাতক্ষীরায় ৩৯০ কেজি চিংড়ী আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট: ৮০ হাজার টাকা জরিমানা

আলীপুরে ইউনিয়ন পর্যায়ে গণতান্ত্রিক সংলাপ

প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
সদরের আলীপুরে ইউনিয়ন পর্যায়ে গণতান্ত্রিক সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

১৯ ডিসেম্বর রিইব হোপ প্রকল্পের আয়োজনে পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও রিইব হোপ প্রকল্প সমন্বয়কারী বিকাশ কুমার দাসের সঞ্চালনায় ইউনিয়ন এর বিভিন্ন গ্রামে সামাজিক সমস্যা সমুহ তুলে ধরেন বক্তারা। বিশেষ করে বাল্যবিবাহ, নারী নির্যাতন, মাদকদ্রব্যের দৌরাত্ম, উচ্ছেদ ঝুকি, শিক্ষা থেকে ঝরে পড়া, কমিউনিটি ক্লিনিকে অপর্যাপ্ত ঔষধ প্রভৃতি সমস্যাসমূহ তুলে ধরেন।

উল্লেখিত চিহ্নিত সমস্যা নিরসন কল্পে যৌথ উদ্যোগ গ্রহণের উপর গুরুত্বারোপ করে বক্তব্য রাখেন সুজন দাস, অধীর দাস প্রমূখ। চিহ্নিত এ সকল সামাজিক সমস্যা নিরসনে গণসচেতনতা বৃদ্ধি, সমস্যাসমূহ তুলে জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি প্রদানসহ কতিপয় উদ্যোগ উল্লেখপূর্বক সিএসও ও ইউনিয়ন পরিষদ এর যৌথ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। উক্ত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চেয়ারম্যান মো: আব্দুর রউফ। মানব সেবায় সকলকে এগিয়ে আসার জন্য তিনি আহবান জানান।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্যানেল চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান চান্দু, ইউপি সদস্য আফতাবুজ্জামান টুটুল, এবাইদুল্লাহ আল ফারুক, মোছা; মনোয়ারা খাতুন প্রমূখ। সভায় আলীপুর ইউনিয়ন প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ও সিএসও প্রতিনিধিবৃন্দসহ নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি, শিক্ষা স্বাস্থ্য উন্নয়ন কমিটি ও অন্যান্য স্টান্ডিং কমিটির সদস্যবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পৌরসভা মানবাধিকার সুরক্ষা কমিটির উদ্যোগে গণতান্ত্রিক সংলাপ

প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
নেটজ্ বাংলাদেশ ও বিএমজেড এর সহযোগীতায় রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ বাংলাদেশ (রিইব) এর আয়োজনে পৌরসভা মানবাধিকার সুরক্ষা কমিটির উদ্যোগে গণতান্ত্রিক সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
১৮ ডিসেম্বর সাতক্ষীরা সদর উপ-পরিচালক ডিডিএলজি, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি মোঃ লিয়াকাত আলী পিএনও সুন্দরবন পলিটেকনিক কলেজের কনফারন্স রুমে গণতান্ত্রিক সংলাপে রিইব হোপ প্রকল্পের এরিয়া সমন্বয়কারী রেহেনা পারভীন শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন এবং যৌথ পরিকল্পনা গ্রহণে সকলকে আহবান জানান।

সাতক্ষীরা জেলায় বাল্যবিবাহের প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধসহ নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সমাজের সর্বস্তরের প্রতিনিধিদের সোচ্চার ভূমিকা রাখার আহবান রেখে উপজেলা গণতান্ত্রিক সংলাপ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপ-পরিচালক ডিডিএলজি,সাতক্ষীরা প্রতিনিধি মোঃ লিয়াকাত আলী পিএনও,পৌরসভা, সাতক্ষীরা ।

ফিল্ড ফেসিলেটর সোনিয়া পারভীন এর সঞ্চালনায় পৌরসভার কমিটির অগ্রাধিকারভিত্তিতে চিহ্নিত সামাজিক সমস্যাসমূহ উপস্থাপন করেন উপস্থিত সদস্যরা সমস্যা ও ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে অভিজ্ঞতাসমুহ তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন উপস্থিত সিএসও সদস্যরা আলোচনার ভিত্তিতে পৌরসভার প্রান্তিক গজনগোষ্ঠী বিশেষ করে নারী ও কিশোরীদের সামাজিক অংশগ্রহণ বৃদ্ধিতে গণতান্ত্রিক সংলাপে সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ও মানবধিকার সুরক্ষা কমিটির যৌথ পরিকল্পনা গৃহীত হয়। বিশেষ করে বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ প্রতিরোধ, সামাজিক নিরাপত্তা বেস্টনী কর্মসূচীতে অনগ্রসর জনগোষ্টীর প্রবেশদম্যতা, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে সামাজিক সচেনতা বৃদ্ধি, জলাবদ্ধতা নিরসনপুর্বক চলতি মৌসুমে চাষ নিশ্চিত করা, যৌন হয়রানি প্রতিরোধে স্কুল ক্যাম্পেইন, কম্যুনিটির পুন:বাসন প্রভৃতি বিষয়ে যৌথ পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জনপ্রতিনিধি অনিমা রানী মন্ডল, নূরজাহান বেগম,রাবেয়া পারভীন, ইয়াসিন আরাফাত,নাজমুল হোসেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কালিগঞ্জে পানিতে ডুবে শিক্ষার্থীর করুন মৃত্যু

কালিগঞ্জ প্রতিনিধি :

মৃগী রোগী পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী আফসানা পারভিন (১০) ছোট বোনকে সাথে নিয়ে পুকুরে গোসল করতে যেয়ে ছোট বোন গোসল করে ফিরে আসলেও শিক্ষার্থী আফসানাকে ফিরতে হয়েছে লাশ হয়ে।

ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বেলা ১ টার দিকে কালিগঞ্জ উপজেলার মৌতলা ইউনিয়নের রানিতলা গ্রামে। নিহত আফসানা পারভিন রানিতলা গ্রামের মৃত মোস্তাক আহমেদের মেয়ে।

গোসল করে না ফেরায় অনেক খোঁজাখুঁজির পর পুকুরে জেলে এবং ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সদস্যদের জালে ধরা পড়ে আফসানার লাশ।

মৌতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফেরদৌস মোড়ল জানান, আফসানা প্রতিদিনের ন্যায় ছোট বোনকে সাথে নিয়ে পুকুরে গোসল করতে যায়। শীতের কারণে ছোট বোন গোসল করে দ্রুত ফিরে আসলেও আফসানা একা একা পুকুরে নেমে মৃগী রোগে আক্রান্ত হয়ে পানিতে ডুবে করুন মৃত্যু হয়। পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সদস্য ও জেলেদের খবর দেওয়া হয়। জেলেদের জাল টানায় আফসানার লাশ পাওয়া যায়।

শিক্ষার্থী আফসানার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

এ বিষয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ হাফিজুর রহমান জানান, স্থানীয় চেয়ারম্যান ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বলেন মেয়েটি মৃগী রোগে আক্রান্ত ছিল। এ বিষয়ে তার পরিবারের কোন সন্দেহ না থাকায় জানাজা নামাজ শেষে পারিবারিকভাবে তাকে দাফন করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ভোমরায় ট্রাস্টফোর্স অভিযান : ৩ টন রসুন উদ্ধার ও ১ লাখ টাকা জরিমানা

নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরার ভোমরায় ট্রাস্টফোর্স অভিযানে স্থলবন্দরের মেসার্স আরডি এন্টারপ্রাইজ হতে ৩ টন রসুন উদ্ধার ও ১ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুর ২ টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩ টা পর্যন্ত সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়ন (৩৩ বিজিবি)র অধীনস্থ ভোমরা বিওপির ভোমরা স্থলবন্দর সংলগ্ন মেসার্স আরডি এন্টারপ্রাইজে এ টাস্কর্ফোস অভিযান পরিচালনা করা হয়।

সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়ন (৩৩ বিজিবি)র অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ আশরাফুল হক স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

বিজিবি সুত্রে জানা যায়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিজিবি জানতে পারে স্থলবন্দরের মেসার্স আরডি এন্টারপ্রাইজ নামক প্রতিষ্ঠান দেশীয় রসুন ভারতে পাচার এবং বাজারে মূল্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃত্রিম সংকট তৈরীর জন্য গুদামজাত করছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোঃ আশরাফুল হক, পিবিজিএম, পিএসসি, জি এর সার্বিক দিক নির্দেশনায় ব্যাটালিয়ন সদর হতে বিজিডিও-২৫৩ সহকারী পরিচালক মোঃ মাসুদ রানার নেতৃত্বে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট প্রণয় বিশ্বাস, ১ প্লাটুন বিজিবি সদস্য এবং সাতক্ষীরা সদর থানার ৮ জন পুলিশ সদস্যের একটি দল সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভোমরা স্থলবন্দরের মেসার্স আরডি এন্টারপ্রাইজ প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করে। টাস্কফোর্স অভিযান পরিচালনাকালে টাস্কফোর্স দল কর্তৃক মেসার্স আরডি এন্টারপ্রাইজ প্রতিষ্ঠানের গোডাউন থেকে ৩ টন রসুন উদ্ধার করে, যার আনুমানিক সিজার মূল্য ৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা ।

বিজিবি অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ আশরাফুল হক জানান, টাস্কফোর্স দল মেসার্স আরডি এন্টারপ্রাইজ প্রতিষ্ঠানের মালিক পংকজ দত্ত’কে দেশের রসুন ভারতে পাচার এবং দেশীয় বাজারে মূল্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃত্রিম সংকট তৈরীর জন্য গুদামজাত করার দায়ে ১ লাখ টাকা জরিমানা করে।

তিনি আরো জানান, দেশের রাজস্ব ফাঁকি রোধ করে স্থানীয় শিল্প বিকাশ এবং নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির কৃত্রিম সংকট ও দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি রোধকল্পে মহতি উদ্যেগে বিজিবির এমন দেশপ্রেমিক ও জনস্বার্থে পরিচালিত অভিযানে উপস্থিত স্থানীয় জনগন সাধুবাদ জানিয়ে অভিযান অব্যাহত রাখার জন্য অনুরোধ করে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
চাঞ্চল্যকর শিশু রাহি হত্যার আসামীর ফাঁসির দাবিতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিনিধি :
চাঞ্চল্যকর শিশু রাহি হত্যার আসামীর ফাঁসির দাবীতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন হয়। বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ, সাতক্ষীরা জেলা শাখা ও কুল্যা ইউনিয়নবাসী আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, সাতক্ষীরা জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি আল ইমরান, সাধারণ সম্পাদক শারাফাত হোসেন, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ শাখার আহবায়ক মো: আল-শাহারিরয়ার, যুগ্ন সিনিয়র সদস্য সচিব নূর আলোম সোহাগ ও জাহাঙ্গীর আলম, নিহতের পিতা রবিউল ইসলাম, মাতা সাবিনা খাতুন, এলাকাবাসীর পক্ষে সুজন হোসেন প্রমুখ। মানববন্ধনে বক্তারা দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি করে আসামিকে ফাঁসির দাবি জানান।

উল্লেখ্য, গত শনিবার শিশু রাহিকে বাড়ির পাশে হলুদ ক্ষেতে ডেকে নিয়ে স্বর্নের দুল খুলে দিতে বলে মাদকাসক্ত রেজোয়ান আহমেদ জনি (২২)। এতে সে অস্বীকার করে বিষয়টি বাড়িতে বলে দেওয়ার কথা জানালে রাহিকে হত্যা করে হাত পা বেঁধে পুকুরে ফেলে দেয়।

পরে দুল দুটি বুধহাটা বাজারে বিক্রি করে দেয় ঘাতক জনি। হত্যার শিকার রাহি খাতুন (৯) আশাশুনি উপজেলার ৩নং কুল্যা ইউনিয়নের আগরদাঁড়ী গ্রামের ভ্যানচালক রবিউল ইসলামের মেয়ে। সে স্থানীয় সরকারি প্রাইমারি বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রি। ঘাতক জনির বাড়ি একই গ্রামে। সে আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। ঘাতক রেজোয়ান আহমেদ জনি মাদকাশক্ত। নেশার টাকা জোগার করার জন্য এমন নৃংশ হত্যার ঘটনা ঘটিয়েছে বলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শ্যামনগর অঞ্চলে সুপেয় পানির সংকট বিষয়ক গবেষণা: জলাধার খনন-সংরক্ষণ- রক্ষণাবেক্ষণের সুপারিশ

নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরায় উপকূলে সুপেয় পানি সংকট বিষয়ক গবেষণাপত্র উপস্থাপন ও সমাধানে করণীয় বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সাতক্ষীরা পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা বাংলাদেশ রিসোর্স সেন্টার ফর ইন্ডিজেনাস নলেজ (বারসিক) এই সেমিনারের আয়োজন করে।

সেমিনারে গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন সাংবাদিক ও গবেষক তানজির কচি এবং সুলতান শাহাজান।

গবেষণাপত্রে বলা হয়, ভূগর্ভস্থ পানি লবণাক্ত হওয়ার কারণে সাতক্ষীরার শ্যামনগরে বরাবরই সুপেয় পানির সংকট বিদ্যমান। সুন্দরবনের কোলে এ অঞ্চলে জনবসতির শুরু থেকেই মানুষ সুপেয় পানি সংগ্রহের সংগ্রামে লিপ্ত। তৎকালীন সময়ের রাজা, পরবর্তীতে জমিদার ও ধর্ণাঢ্য ব্যক্তিরা পুকুর, দিঘি বা কুয়া খনন করে সুপেয় পানির সংকট দূরীকরণ বা জীবন বাঁচানোর জন্য উদ্যোগী হয়েছিলেন। জনবসতি শুরুর পর থেকে অদ্যাবধি শ্যামনগর অঞ্চলের মানুষের জীবনধারণের প্রধান উৎস পুকুর বা দিঘির পানি। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উপকূলীয় এ অঞ্চলে প্রতিনিয়ত প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘনঘটা, লবণাক্ততার আওতা বৃদ্ধি, অপরিকল্পিতভাবে লোনা পানির চিংড়ি চাষের ক্ষেত্র সম্প্রসারণ, পুকুর ও দিঘিগুলো সংস্কার না করা, প্রয়োজন অনুযায়ী নতুন পুকুর ও দিঘি খনন না করাসহ নানা কারণে শ্যামনগর অঞ্চলে সুপেয় পানির সংকট প্রকট হয়েছে। এই সংকট দূরীকরণে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে নানা উদ্যোগ গৃহীত ও বাস্তবায়ন হয়েছে। কিন্তু সুপেয় পানির সংকট দূরীকরণের টেকসই কোনো সমাধান হয়নি। বরং এসব উদ্যোগ ঘিরে নতুন নতুন সংকট তৈরি হয়েছে।

পুকুর বা দিঘি সুপেয় পানির মূল উৎস হলেও তা রক্ষণাবেক্ষণ বা জনসাধারণের ব্যবহারে যথেষ্ট প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। সরকারি জলমহালগুলো প্রভাবশালীরা দখলে রেখেছে।

সুপেয় পানি সংকট নিরসনে সরকারি বেসরকারি উদ্যোগে পিএসএফ স্থাপন বা সংস্কার, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের জন্য ট্যাংক বিতরণ, রিভার্স অসমোসিস প্লান্ট স্থাপন ইত্যাদি কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। কিন্তু নানা কারণে আধুনিক প্রযুক্তি সুপেয় পানির সংকট নিরসনে সফলভাবে ভূমিকা রাখতে পারছে না।

একই সাথে স্বাদু বা মিষ্টি পানির উৎস কমে যাওয়ায় শ্যামনগর অঞ্চলের কৃষিতে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। স্বাদু বা মিষ্টি পানির উৎস কমে যাওয়ায় লবণাক্তার প্রভাবে কৃষি জমি কমে লোনা পানির ঘেরে রূপান্তর হচ্ছে। ফসল উৎপাদন কমে যাচ্ছে। কৃষকের খরচ বাড়ছে। দিন দিন কৃষি বিমুখ হয়ে পড়ছে মানুষ। হারাচ্ছে পেশা। বর্ষা মৌসুম ব্যতীত অন্যান্য মৌসুমে চাষাবাদ হচ্ছে না। এতে আর্থিক ক্ষতি বাড়ছে। উদ্ভিদ-প্রাণবৈচিত্র্য বিলুপ্ত হচ্ছে। বাস্তুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দেশীয় মাছ বিলুপ্ত হচ্ছে। ফলজ বৃক্ষ হ্রাস পাচ্ছে। গবাদি পশু কমে যাচ্ছে। প্রকৃতি থেকে শামুক, কেচো, জোক, ব্যাঙ হারিয়েছে যাচ্ছে। পশু-পাখি হারিয়ে যাচ্ছে। গাছপালা জন্মাতে অসুবিধা হচ্ছে। স্বাদু পানির কচ্ছপ পাওয়া যাচ্ছে না। জ¦ালানি সংকট বাড়ছে। প্রচুর গরম অনুভূত হচ্ছে। এক কথা নষ্ট হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য।

উদ্ভিদ-খাদ্য বৈচিত্র্য কমে যাওয়ায় শ্যামনগর অঞ্চলে অপুষ্টি বেড়েছে। কর্মসংস্থান কমে গেছে। মানুষ পেশা বদলাতে বাধ্য হচ্ছে। বেড়েছে পানিবাহিত চর্মরোগ, রাতকানা, অন্ধত্ব, ডায়ারিয়া, আমাশয়। নারীদের ঋতুকালীন সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে। এক কথায় স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ছে। সেই সাথে বাড়ছে চিকিৎসা খরচও।

সুপেয় পানির সংকট নিরসনে শ্যামনগরের মানুষের শেষ ভরসা পুকুর। কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও নদী ভাঙন ছাড়াও অপরিকল্পিত চিংড়ি চাষ ও মৎস্য ঘেরগুলোর আউট ড্রেন না থাকায় ঘেরের লোনা পানি চুইয়ে চুইয়ে মিষ্টি পানির পুকুরগুলো লবণাক্ত করে তুলছে। অনেক পুকুর দীর্ঘদিন সংস্কার করা হয় না, আছে অযতœ অবহেলায়। অনেকগুলো ভরাট হওয়ার উপক্রম, কিছু কিছু মজে গেছে। অনেকগুলোর পানি এখন আর খাওয়া যায় না। অনেকগুলোই প্রভাবশালীরা দখল করে মাছ চাষ করছেন। এসব পিএসএফ বা পুকুরগুলো রক্ষণাবেক্ষণের কমিটিগুলো সক্রিয় থাকায় তদারকির অভাব রয়েছে।

সভ্যতা বিকাশের সাথে সাথে আধুনিক প্রযুক্তির উদ্ভব এই বিশ^ায়নের যুগে মানুষের জীবনকে নানাভাবে প্রভাবিত করলেও শ্যামনগর অঞ্চলে সুপেয় পানির সংকট নিরসনে তা অনেকটা অকার্যকর। কারণ শ্যামনগর উপকূলে আধুনিক প্রযুক্তি সমৃদ্ধ রিভার্স অসমোসিস (আরও) প্লান্টও অকেজো হয়ে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর উপর বোঝা হয়ে দাড়াচ্ছে। বা এর পরিচালন ব্যয় ও কারিগরি সক্ষমতাও উপকূলবাসীর জন্য সহায়ক নয়। এছাড়া রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং সিস্টেম পরিবেশসম্মত প্রযুক্তি হলেও তা সারাবছরের চাহিদা মেটাতে ব্যর্থ হচ্ছে। যা বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে কার্যকর। এছাড়া অনেকেই অ্যাসবেস্টস এর ছাউনি (চাল) থেকে বৃষ্টির পানি ধরে খায়, যা মানবজীবনের জন্য হুমকির কারণ হতে পারে। এর বাইরে পন্ড স্যান্ড ফিল্টার ও বায়ো স্যান্ড ফিল্টার মূলত পুকুর নির্ভর।

গবেষণায় শ্যামনগর উপকূলীয় অঞ্চলে ব্যবহার্য পানির সংকট মোকাবেলায় নি¤œলিখিত সুপারিশ করা হয়, প্রতিটি গ্রামে বড় বড় পুকুর বা জলাধার খনন, সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। পুকুর বা জলাধারগুলো অবশ্যই দুর্যোগ সহনশীল হতে হবে। পুকুর বা জলাধারগুলোতে যেন বন্যা বা প্লাবনের পানি প্রবেশ করতে না পারে, সেজন্য অবশ্যই পাড় প্রয়োজনীয় উচ্চতা ও প্রস্থ বিশিষ্ট এবং মজবুত হতে হবে। বিদ্যমান ও নতুন করে খননকৃত পুকুর বা জলাধারগুলো রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনায় স্থানীয় সরকারের নেতৃত্বে স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করতে হবে। এজন্য স্থানীয় সরকারকে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ দিতে হবে। পুকুর ভরাট নয়, আরও পুকুর খননে স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে উৎসাহিত করতে হবে। অপরিকল্পিতভাবে লবণ পানির চিংড়ি চাষ বন্ধ করে নীতিমালা অনুযায়ী চিংড়ি চাষে বাধ্য করতে হবে এবং লবণ পানির মাছ চাষের জন্য জোনিং সিস্টেম প্রবর্তন করতে হবে। চিংড়ি ঘেরগুলোতে অবশ্যই কার্যকর আউট ড্রেন রাখা বাধ্যতামূলক করতে হবে। যাতে ঘেরের পানি পাশর্^বর্তী পুকুর বা কৃষি জমিতে চুইয়ে যেতে না পারে। বিদ্যমান পুকুর বা জলাধারগুলো প্রকৃত রূপে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে। উপজেলার জলমহাল ঘোষিত খালগুলোর ইজারা বাতিল করে সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে। এসব খালে লবণ পানি উত্তোলন করা যাবে না। খালগুলোতে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে কৃষিসহ নানামুখি ব্যবহারে উন্মুক্ত করতে হবে। উপকূল রক্ষা বাঁধ টেকসই ও মজবুত করতে হবে। সুপেয় পানির সংকট নিসরনে বরাদ্দকৃত অর্থের সিংহভাগ পুকুর বা জলাধার খনন, সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণে ব্যয় করতে হবে।

সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির আহবায়ক আজাদ হোসেন বেলালের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বারসিকের পরিচালক পাভেল পার্থ।

অতিথি হিসেবে আলোচনা করেন বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বীর মুক্তিযোদ্ধা কামরুল ইসলাম ফারুক, সাংবাদিক ও গবেষক গৌরাঙ্গ নন্দী, সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক অধিকার ও উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সহসভাপতি অধ্যাপক মোজাম্মেল হোসেন, সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আবুল কালাম আজাদ, সনাক-সাতক্ষীরার সভাপতি হেনরী সরদার, অধ্যাপক পবিত্র মোহন দাস, সিনিয়র সাংবাদিক কল্যাণ ব্যানার্জি, এম কামরুজ্জামান, শরীফুল্লাহ কায়সার সুমন, গোলাম সরোয়ার, আহসান রাজীব, গাজী আল ইমরান, মো: কামরুজ্জামান, শেফালী বেগম প্রমুখ।

এতে বক্তারা বলেন, শ্যামনগর অঞ্চলের পানির সংকট নিরসনে রাজনৈতিক কমিটমেন্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রাষ্ট্রকেই এই দায়িত্ব নিতে হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় বালিবাহী ট্রাকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরায় বালিবাহী ট্রাকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুর ৩টার দিকে সাতক্ষীরা সদরের ছয়ঘোরিয়া এলাকায় এঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন সাতক্ষীরা শহরের মুনজিতপুর গ্রামের জামাল উদ্দিনের পুত্র জয় (২০)ও তার বন্ধু শিবতলা গ্রামের হাবিবুল্লাহ গাজীর পুত্র তানজিমুল হাসান শিহাব (১৯)|

স্থানীয়রা জানান দুপুর ৩ টার দিকে মোটর সাইকেল যোগে কলারোয়ার দিক থেকে শহরের দিকে আসছিলেন দুই বন্ধু জয় ও শিহাব। পথিমধ্যে সাতক্ষীরা থেকে ছেড়ে আসা বালিবাহী ট্রাক (খুলনা মেট্টো-ট -১১-২২০৫) এর সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়। দুমড়ে মুচড়ে যায় তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি।

সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামিনুল হক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন ঘটনাস্থল থেকে নিহতদের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ট্রাকটির চালক পলাতক রয়েছে।##

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সাতক্ষীরায় এবি পার্টির আলোচনাসভা

প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আমার বাংলাদেশ পার্টি(এবি পার্র্র্র্র্র্র্টি) এর আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় পুরাতন সাতক্ষীরায় অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায় সভাপতিত্ব করেন, আগরদাড়ী ইউনিয়নের সভাপতি মজনুর রহমান এল এল বি।

প্রধান অতিথি ছিলেন, এবি পার্টির সাতক্ষীরা জেলা শাখার আহবায়ক ভিপি আব্দুল কাদের। বক্তব্য রাখেন, সদর থানার আহবায়ক ডা: জি এম সালাউদ্দিন শাকিল, দেবহাটা থানার আহবায়ক আজহারুল ইসলাম, জেলা কমিটির সদস্য মো: শফিকুল ইসলাম, ভ‚মিহীন নেতা পার্টির সদস্য আব্দুস সাত্তার। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা পার্টির সদস্য সচিব আলমগীর হোসেন।

এসময় প্রধান অতিথি বলেন, স্বাধীন দেশে বসবাস করলেও ৫ আগস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীণ ভাবে কথা বলতে পারতো না, মনের ভাব প্রকাশ করতে পারতো না। ছাত্রজনতার বিপ্লবের কারনে মানুষ স্বাধীনতার সাধ অনুভব করছে। এই স্বাধীন দেশে যাতে আর কোন স্বৈরাচারের জন্ম না হয় সে বিষয়ে সকলকে সচেতন হতে হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest