সর্বশেষ সংবাদ-
ব্যবসায়ীকে মারধরের ঘটনার ভিডিও করায় সাংবাদিকদের মারপিটের অভিযোগ ডা; ফয়সালের বিরুদ্ধেতাপদাহে রিকশাচালক-পথচারী‌দের‌ মাঝে ড্রিম সাতক্ষীরার পা‌নি ও স্যালাইন বিতরণআন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনাসাতক্ষীরা সদর সাব রেজিষ্ট্রি অফিস চত্বরে মরা শিশু গাছে ঝুঁকি বাড়ছেকলারোয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী আলতাফ হোসেন লাল্টুর গণ সমাবেশএডভোকেসি নেটওয়ার্ক এবং সিভিল সোসাইটি অর্গানাইজেশন সদস্যদের ত্রৈমাসিক সমন্বয় সভাশ্যামনগরের কৈখালী পোলের খাল খনন কর্মসূচির উদ্বোধনশ্যামনগরে সালাতুল ইস্তেকার নামাজ আদায়তীব্র তাপদাহে পুড়ছে উপকুলীয় জেলা সাতক্ষীরা, তাপমাত্রা আজ সর্বোচ্চ ৩৯.৩ ডিগ্রিদেবহাটায় উন্নয়ন কার্যক্রমে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্তি বিষয়ক মতবিনিময়

সাতক্ষীরায় দেশ সেরা পাঁচ নারী ক্রীড়াবিদকে সংবর্ধনা

নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় দেশ সেরা পাঁচ নারী ক্রীড়াবিদকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (১৩ এপ্রিল) জেলা প্রশাসকের বাংলো নীহারিকার কনফারেন্স রুমে তাদের সংবর্ধনা দেয় সাতক্ষীরা জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থা।

সংবর্ধনাপ্রাপ্তরা হলেন, বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা ফুটবল দলের ক্যাপ্টেন সাবিনা খাতুন, ষোলবার দ্রুততম মানবীর খেতাবপ্রাপ্ত অ্যাথলেট এবং বাংলাদেশের দ্রুততম মানবী শিরিন আক্তার, অনুর্ধ্ব ১৯ জাতীয় মহিলা ফুটবল দলের ক্যাপ্টেন আফঈদা খন্দকার প্রান্তি, বক্সিং এ গোল্ড মেডেলপ্রাপ্ত বক্সার আফরা খন্দকার প্রাপ্তি এবং বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা ফুটবল দলের ডিফেন্ডার মোছাঃ মাছুরা খাতুন।

এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, সাতক্ষীরা জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সভানেত্রী ও জেলা প্রশাসক পত্নী মিসেস জেসমিন জাহান। এছাড়াও জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ফারহা দিবা খান সাথীসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে মিসেস জেসমিন জাহান বলেন, সাতক্ষীরার মেয়েরা দেশের মহিলা ক্রীড়াঙ্গনের রোল মডেল। সাতক্ষীরার মেয়েদের সাফল্য বাংলাদেশকে যেমন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সম্মান এনে দিয়েছে, তেমনি দেশের সকলের কাছে সাতক্ষীরার ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে। যা জেলার মানুষকে গর্ব করার সুযোগ করে দিয়েছে। বৈষম্য নয়, নারীরা যেন ক্রীড়াক্ষেত্র থেকে শুরু করে সবজায়গাতেই সমান অধিকার পায়, সেটা নিশ্চিত করা জরুরী।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আসক ফাউন্ডেশন জেলা কমিটির পক্ষে দুঃস্থ ও ভুমিহীন পরিবারের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ

প্রেসবিজ্ঞপ্তি: পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঈদকে ভাগাভাগি করতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার আইনী সহায়তা কেন্দ্র আসক ফাউন্ডেশন সাতক্ষীরা জেলা কমিটির পক্ষ থেকে দুঃস্থ ও ভুমিহীন পরিবারের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। ৩০ রমজান সাতক্ষীরা শহরের কামালনগর এলাকায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার আইনী সহায়তা কেন্দ্র আসক ফাউন্ডেশন সাতক্ষীরা জেলা কমিটির অস্থায়ী কার্যালয়ে দুঃস্থ ও ভুমিহীন পরিবারের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

দুঃস্থ ও ভুমিহীন পরিবারের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেছেন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার আইনী সহায়তা কেন্দ্র আসক ফাউন্ডেশন সাতক্ষীরা জেলা কমিটির সভাপতি গোলাম রসুল রাসেল।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার আইনী সহায়তা কেন্দ্র আসক ফাউন্ডেশন সাতক্ষীরা জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মফিজুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিম হোসেন, জেলা নদী বন ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির সভাপতি আদিত্য মল্লিক, জেলা ভুমিহীন সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ গাজী, স্বপন পান্ডে, কুমারেশ মন্ডল, সদর উপজেলা ভুমিহীন সমিতির আহবায়ক শাহাআলম হাওলাদার, সদস্য সচিব সোহাগ হোসেন সহ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার আইনী সহায়তা কেন্দ্র আসক ফাউন্ডেশন সাতক্ষীরা জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ ও ভুমিহীন নেতৃবৃন্দ প্রমূখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কাশিমাড়ীতে যুব ফোরাম শান্তি সংঘ একাডেমীর ঈদ উপহার বিতরণ

নিজস্ব প্রতিনিধি : ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে উপকূলীয় অঞ্চলের এতিম, প্রতিবন্ধী, অসহায় এবং ছিন্নমুল মানুষদের মাঝে ঈদ উপহার হিসেবে নতুন পোশাক বিতরন করা হয়েছে।

ঈদের পূর্বের দিনে উপকূলীয় অঞ্চলের শ্যামনগরের কাশিমাড়ী অংশের অর্ধ শতাধিক এতিম, প্রতিবন্ধী শিশু, অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষের মাঝে প্রতিবারের ন্যায় এবারও ঈদ উপহার হিসেবে নতুন পোশাক বিতরণ করেছে ঘোলা ওয়ার্ড যুব ফোরাম শান্তি সংঘ একাডেমি নামক সংগঠনটি।

নতুন পোশাক বিতরনকালে উক্ত সংগঠনের সদস্যরা “শান্তির স্বপক্ষে তরুণ ও যুবরা ঐক্যবদ্ধ হও” এই মূলনীতি নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার পক্ষে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়। এবং প্রতিবছর রমজানের ঈদে এই মহৎ উদ্যোগকে সফল করার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ড যুব ফোরাম শান্তি সংঘ একাডেমির সদস্যরনাজমুল হাসান সুজন, রেজাউল করিম রাজু, তৈয়বুর রহমান, মুজাহিদুল ইসলাম, জিসান, ইমান হোসেন, বাবু ও গ্রাম পুলিশ সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ঈদের ছুটিতে মনের প্রশান্তি দিতে ঘুরে আসুন দেবহাটার রূপসী ম্যানগ্রোভ

কে এম রেজাউল করিম দেবহাটা :

ঈদের আগেই দর্শনার্থীদের জন্য নতুন রূপে প্রস্তুত করা হয়েছে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের তত্বাবধানে পরিচালিত পিকনিক স্পট রূপসী দেবহাটা ম্যানগ্রোভ পর্যটন কেন্দ্রটিকে।

প্রতিবছর পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন থেকে শুরু করে পরবর্তী অন্তত ১৫ দিন দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর থাকে এ পর্যটন কেন্দ্রটি। ধর্ম-বর্ণের ভেদাভেদ ভুলে একটু বিনোদন আর আনন্দ উপভোগের জন্য দর্শনার্থীরা সদলবলে ভিড় জমান এখানে। বিশেষ করে পর্যটন কেন্দ্রটির কোলঘেঁষে প্রবহমান ¯ ইছামতি নদীর নৈসর্গিক সৌন্দর্য যেন বারবার কাছে টানে পর্যটকদের। পড়ন্ত বিকেলে ইছামতির পানিতে অস্তমিত রক্তিম সূর্যের আলোর ঝলকানি, নদীর তীরে প্রিয়জনের সাথে রোমাঞ্চকর কিছু সময় কাটানো, ইচ্ছে হলেই প্রিয়জনকে সাথে নিয়ে নদীর বুকে নৌকায় ভেসে বেড়ানো, ট্রেইল বেঁয়ে প্রিয়জনের হাতে হাত রেখে ম্যানগ্রোভ বনের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে ঘুরে বেড়ানো, সন্ধ্যায় ঝাঁকে ঝাঁকে আবাসস্থলে ফেরা নানা প্রজাতির পাখির কলকাকলি, আর ভাটির টানে নদীর পানি কমে গেলে ইছামতির বুকে জেগে ওঠা বিস্তৃর্ণ বালু চরে ছুটে বেড়ানো অনেকটা সমুদ্র সৈকতের মতো অনুভূতির সঞ্চার করে সব বয়সের মানুষের মনে, তাতেই যেন বিমোহিত হয়ে এ পর্যটন কেন্দ্রটির প্রেমে পড়েন দর্শনার্থীরা।

এতো গেল প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। দর্শনার্থীদের পছন্দ আর প্রত্যশাকে প্রধান্য দিয়ে রূপসী ম্যানগ্রোভ পর্যটন কেন্দ্রের বাড়তি সৌন্দর্য ফুঁটিয়ে তুলতে সর্বদা সচেষ্ট রয়েছে সাতক্ষীরা জেলা ও দেবহাটা উপজেলা প্রশাসন।
তাইতো জেলা শহর থেকে ২৫ কিঃমিঃ দুরের এ পর্যটন কেন্দ্রে ২০ বিঘা জমিতে অনামিকা লেক, শিশুদের জন্য বঙ্গবন্ধু শিশু পার্ক ও মিনি চিড়িয়াখানা, সভা-সমাবেশের জন্য কনফারেন্স রুম, ফটোসেশনের জন্য আকর্ষনীয় ও ব্যতিক্রমী একাধিক সেলফি পয়েন্ট, লেকের পানিতে প্যাডেল বোট, কফিশপ, নানা ধরনের কৃত্রিম জীবযন্তু, ঘোড়ার গাড়ি, রাত্রিযাপনের জন্য কটেজ ইত্যাদির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
শুধু তাই নয়, সীমান্ত এলাকা হওয়া স্বত্তে¡ও ইতোমধ্যেই বিদ্যুতায়নের পাশাপাশি সেখানে পৌঁছেছে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা। নারী-পুরুষের আলাদা আলাদা নামাজের স্থান, ওয়াশ বøক এমনকি দর্শনার্থীদের জন্য সুপেয় পানির ব্যবস্থাও এখানে রেখেছে দেবহাটা উপজেলা প্রশাসন।
আর ঈদ কিংবা অন্যকোন উৎসব এলেই

আলোকসজ্জা সহ নানা আয়োজনে পর্যটন কেন্দ্রটিকে দর্শনার্থীদের জন্য সাজিয়ে তুলতে মোটেও কালবিলম্ব করেননা কর্তৃপক্ষ। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ইতোমধ্যেই রূপসী ম্যানগ্রোভ পর্যটন কেন্দ্রকে নতুন রূপে সাজাতে তোড়জোড় শুরু করেছে উপজেলা প্রশাসন।

দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, ‘প্রতিবছরের মতো ঈদকে ঘিরে এবারও দর্শানার্থীদের জন্য পর্যটন কেন্দ্রটিকে নতুন রূপে সাজানোর পরিকল্পনা নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। পর্যটন কেন্দ্রে অবস্থানকালীন দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টিও গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। ঈদের ছুটিতে পরিবার পরিজন নিয়ে একবারের জন্য হলেও রূপসী ম্যানগ্রোভ পর্যটন কেন্দ্রের সৌন্দর্য উপভোগের জন্য সকলের প্রতি আহŸানও জানিয়েছেন তিনি।’

উল্লেখ্য, নদী ভাঙন রোধের পাশাপাশি সুপার সাইক্লোনের তান্ডব থেকে এ জনপদকে রক্ষায় ২০১০ সালের দিকে দেবহাটা উপজেলার শিবনগরে বাংলাদেশ-ভারতের আর্ন্তজাতিক সীমানা নির্ধারনী ইছামতি নদীর অববাহিকায় সারি সারি সুন্দরী, কেওড়া, গরান, গেওয়া ও গোলপাতা সহ নানা প্রজাতির বনজ বৃক্ষের চারা রোপনের মধ্যদিয়ে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল সুন্দরবনের আদলে কৃত্রিম এ বনটি সৃষ্টির উদ্যোগ নিয়েছিলেন তৎকালিন ইউএনও বর্তমান ক্রীড়া পরিদপ্তরের পরিচালক উপসচিব আ.ন.ম তরিকুল ইসলাম। পরে সাতক্ষীরার পর্যটন খাতকে সমৃদ্ধকরণের পরিকল্পনায় এ বনাঞ্চলকে আধুনিকায়নের মাধ্যমে রূপসী ম্যানগ্রোভ পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হয়। তৎপরবর্তী সময়ে হাফিজ আল আসাদ ও এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী দেবহাটাতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে কর্মরত থাকাকালেও এ পর্যটন কেন্দ্রটির উন্নয়ন ও আধুনিকায়নে নিরালস কাজ করেছেন। তাছাড়া বর্তমান উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আসাদুজ্জামানও যোগদানের পর থেকে এটিকে আরও আধুনিকায়ন করে দর্শনার্থীদের কাছে আকর্ষনীয় করে তুলতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যহত রেখেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
তালায় প্রতারণা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ইষ্টম দাস পুলিশের খাঁচায়

নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানাধীন দাতপুর গ্রামের আজাহারুল ইসলামকে স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী পদে চাকরি পাইয়ে দিতে ব্যর্থ হওয়ায় টাকা ফেরতের পরিবর্তে দেওয়া ১০ লাখ টাকা চেক ডিজঅনারের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামী ১৬৭ নং ফতেপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ইষ্টম দাসকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে তালা থানার পুলিশ তাকে ফতেপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারকৃত ইষ্টম দাস তালা উপজেলার খলিলনগর ইউনিয়নের ফতেপুর গ্রামের নগেন্দ্রনাথ দাসের ছেলে।
সরেজমিনে বুধবার দুপুরে পাটকেলঘাটা থানাধীন দাতপুর গ্রামে গেলে রফিকুল ইসলামের ছেলে আজাহারুল ইসলাম জানান, পার্শ্ববর্তী সেনপুর গ্রামের চাচা রহিমের সঙ্গে পরিচয় সূত্রে ২০২১ সালের ২ ফেব্রæয়ারি তাদের বাড়িতে আসেন ফতেপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৎকালিন সহকারি শিক্ষক ইষ্টম কুমার দাস। একপর্যায়ে পরবর্তীতে কয়েকবার মোবাইল ফোনে কথা হয় ইষ্টম দাসের। কথা বলার একপর্যায়ে তাদের মধ্যে সখ্যতা গড়ে ওঠে। দাতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী পদে চাকুরি পাইয়ে দেওয়ার ব্যাপারে নিশ্চয়তা দিয়ে তার কাছে ১০ লাখ টাকা দাবি করেন তিনি। তিন মাসের মধ্যে ওই পদে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার শর্তে ২০ মার্চ তাদের বাড়িতে এসে কয়েকজনের উপস্থিতিতে ১০ লাখ টাকা নিয়ে যান ইষ্টম দাস। তিন মাস হয়ে যাওয়ার পর চাকরি না হওয়ায় টাকা ফেরৎ চান তিনি(আজাহারুল)। একপর্যায়ে অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি নাগাদ ইষ্টম দাস তাকে সোনালী ব্যাংকের তালা শাখার ১০ লাখ টাকার একটি চেক দেন। হিসাব নম্বরে টাকা না থাকায় তিনি বাদি হয়ে ২০২১ সালের ২৪ ডিসেম্বর সাতক্ষীরার আমলী আদালত -৩ এ একটি চেক ডিজঅনারের মামলা করে ইষ্টম দাসের বিরুদ্ধে। পরবর্তীতে জামিন পেয়েও ২০২৩ সালের শেষের দিকে আদালতে না আসায় আদালত ইষ্টম দাসের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেন।

বেগতিক দেখে ইষ্টম দাস, তার রুপবতী স্ত্রী অঞ্জলী দাস, একই গ্রামের প্রদীপ দাসের ছেলে তাদের সহযোগী আকাশ দাস ডাঙা নলতা গ্রামের তার শ্বশুর আব্দুর রউফের কাছে যান। সেখানে টাকা পরিশোধের প্রতিশ্রæতি দিয়ে আকাশ দাস মামলা তুলে নিতে জামাতা আজাহারুলকে বলার জন্য তাকে সুপারিশ করেন। একপর্যায়ে চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি আদালতের কাঠগড়ায় অনুপস্থিত থাকাকালিন জেলা যুগ্ম জজ প্রথম আদালতের বিচারক বেলাল হোসেন তাকে ওই টাকা ফেরৎ দেওয়ার নির্দেশসহ দুই মাসের কারাদÐাদেশ দেন। এরপর থেকে ইষ্টম দাস গ্রেপ্তারি এড়াতে বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপান করতেন। আর তাদের বাড়িসহ বিভিন্ন স্থানে প্রতারণার টাকা পরিশোধের নামে কান্নাকাটি করতে আকাশ দাস মটর সাইকেলে করে অঞ্জলীকে বহন করে বেড়াতেন। তবে মঙ্গলবার রাতে ইষ্টম দাস গ্রেপ্তার হওয়ার পর আকাশ দাসের মা নবিতা দাস থানায় গেলেও মক্ষীরানী অঞ্জলী স্বামীকে দেখতে যাননি। তবে আকাশ দাসের ভাই টেকনাফ থানার আর্মড ব্যাটালিয়ন পুলিশে কর্মরত প্রকাশ দাস তালা থানা ও চয়ারম্যান প্রণব ঘোষকে ফোন করে ইষ্টম দাসকে ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।

অপরদিকে সেনপুর গ্রামের আব্দুর রহিম বলেন, ২০২০ সালে ব্যাংকে লেনদেন করার সময় তার সঙ্গে ইষ্টমের পরিচয় ঘটে। একপর্যায়ে তার প্রতিবেশি আপিল হোসেনের ছেলে ইমদাদুলকে পরিসংখ্যান বিভাগে চাকরি পাইয়ের দেওয়ার কথা বলে ২০২১ সালের প্রথম দিকে সাড়ে আট লাখ টাকা নেন ইষ্টম দাস। চাকরি না হওয়ায় টাকা ফেরৎ চাইলে আট লাখ চেক দেন ইষ্টম দাস। হিসাব নম্বরে টাকা না থাকায় ২০২১ সালের আগষ্ট মাসে আদালতে ইষ্টম দাসের বিরুদ্ধে চেক ডিজঅনারের মামলা করেন। ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করায় অঞ্জলী দাস ও তার সহযোগী একই গ্রাম ফতেপুরের আকাশ দাস তাদের সাত লাখ টাকা পরিশোধ করে হাতে ও পায়ে ধরে মামলা প্রত্যাহার কারিয়ে নেন।
প্রসঙ্গত, তথ্য অনুসন্ধানে এ পর্যন্ত জানা গেছে গ্রেপ্তারকৃত ইষ্টম দাস ফতেপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি ও খলিলনগর ইউপি’র সাবেক সদস্য ছিদ্দিকুর রহমানের ভাই আনিসুর রহমানকে চাকরি দেওয়ার নামে ১৩ লাখ, নুরুল্লাহপুর গ্রামের সহ. শিক্ষক সুভাষ দাসের মেয়ে রমা দাসকে চাকুরি দেওয়ার নাম করে এক লাখ , তারপদ দাসের ছেলে রঞ্জুকে চাকুরি দেওয়ার নামে ছয় লাখ, বিশেষ সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার নামে হরিশ্চন্দ্রকাটি গ্রামের দীপঙ্কর ঘোষের কাছ থেকে ১৫ লাখ, আড়ংপাড়া গ্রামের সোহরাব হোসেনের ভাইপো মোশাররফ হোসেনের স্ত্রী তাহমিনা খাতুনের প্রাইমারী স্কুলে চাকুরি দেওয়ার কথা বলে ১০ লাখ. একই গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নরিম উদ্দিনের স্ত্রী শিরিনা আক্তারকে প্রাইমারী স্কুলে চাকুরি দেওয়ার নামে সাত লাখ, খেশরার কার্তিক দাসের মেয়ে শিখা দাসকে চাকুরি দেওয়ার নামে সাড়ে সাত লাখ, পাঁচরকি গ্রামের গ্রাম পুলিশ রফিকুলের মেয়ে নাজমা খাতুনকে চাকুরি দেওয়ার নামে দুই লাখ ১০ হাজার, হাতবাস গ্রামের আব্দুল বারির ছেলেকে কারারক্ষীতে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে ১৫ লাখসহ কমপক্ষে ২০ জনের কাছ থেকে পৌনে দুই কোটির ও বেশি টাকা প্রতারণা করেছেন। টাকা ফেরৎ না দিয়ে কয়েকজনকে দিয়েছেন চেক। এর মধ্যে নরিমউদ্দিন ও সোহরাব হোসেনসহ চারজন ইষ্টম দাসের বিরুদ্ধে আদালতে ৩২ লাখ টাকা প্রতরারণার মামলা করেছেন। তবে পাওনাদারদের চাপে রাখতে অঞ্জলী দাসের ঘণিষ্ট আকাশ দাসকে দিয়ে তার চতুর্থ শ্রেণীর মেয়েকে দিয়ে সুভাষ দাসকে শ্লীলতাহানির মামলা দিয়ে জেলে পাঠিয়েছেন। যদিও গত ৮ এপ্রিল সুভাষ দাস জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। তবে সাতক্ষীরা আদালতে আনার পর ইষ্টম দাস একান্তে এক পুলিশ সদস্যকে বলেন, দুই মাস তাকে জেল খাটতে হবে। আরো কয়েকটি প্রতারণার মামলায় পরপর তার সাজা হবে। চাতক পাখি হিসেবে আকাশ দাস যেভাবে তার জেলে যাওয়ার প্রহর গুণছিলো, তাতে মনে হয়েছে কারামুক্ত হয়ে তিনি অঞ্জলীকে দেখতে পাবেন কিনা ! সুভাষ দাসকে মারপিট ও আকাশ দাসের চতুর্থ শ্রেণীতে পড়–য়া মেয়েকে দিয়ে শ্লীলতাহানির মামলা করানো ভাল হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওটা ছিল আকাশ -অঞ্জলীর পরিকল্পনা।
তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মমিনুল ইসলাম জানান, আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পেয়ে ইষ্টম দাসকে কয়েকদিন যাবৎ গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছিল। মঙ্গলবার রাত ১২টার দিতে তাকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে বুধবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজকে পাঠানো হয়েছে।#

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বিআরটিএ খুলনার পরিচালক কর্তৃক সাতক্ষীরা অফিস পরিদর্শন

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের সদ্য যোগদান কারি পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ জিয়াউর রহমান কর্তৃক বিআরটিএ সাতক্ষীরা সার্কেল পরিদর্শন করেছেন। মঙ্গলবার সাতক্ষীরা বিআরটিএ কার্যালয়ের দাপ্তরিক কাজের মনিটরিং, দালালদের দৌরাত্ম্য ও গ্রাহকদের হয়রানি বন্ধে এবং সেবার মান বৃদ্ধিসহ কাজের স্বচ্ছতা আনতে কার্যালয় পরিদর্শনে আসেন পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ জিয়াউর রহমান। পরিদর্শন কালে যারা প্রবেশ করেছে তাদের সাথে কথা বলে আসার উদ্দেশ্যসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন।

পরিদর্শনকালে তিনি অফিসের প্রতিটি কাউন্টারের সামনের সেবা প্রত্যাশিদের সাথে কথা বলেন। এ সময় তিনি কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতরে নির্বিঘ্নে ঘরে ফেরা মানুষের সেবা প্রদান, অফিস টাইম, কাজের গতিবিধি, সেবা নিতে আসা গ্রাহকদের সাথে আচারণ সহ বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজ খবর নেন। পরে তিনি প্রতিষ্ঠানটিকে দালালমুক্ত করতে এবং স্বচ্ছতার সাথে অর্পিত দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের কর্মকতাদের সাথে মতবিনিময় করেন।

এর আগে বিআরটিএ খুলনার পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ জিয়াউর রহমানকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।

এসময় বিআরটিএ খুলনার পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ জিয়াউর রহমান বলেন, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসাবে আমাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব ও কর্তব্য সততা, নিষ্ঠা ও জবাবদিহিতা এবং দায়িত্বশীলতার সাথে পালন করতে হবে। এ সময় বিআরটিএ সাতক্ষীরা সার্কেলের সহকারী পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার কে এম মাহবুব কবির সহ অফিসের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীগন উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় এসএসসি ১৯৯৩ ব্যাচের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের ইফতার

নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরায় এসএসসি ১৯৯৩ ব্যাচের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে  ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শহরের রাজার বাগান কলেজ মোড় এলাকার সরদার কমিউনিটি সেন্টারে উক্ত ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন, এসএসসি ৯৩ এর বন্ধু ওবায়দুর রহমান লিটন, হাবিবুল্লাহ, মাসুদ বাবু, মোফাজ্জেল বাবু, আসাদুজ্জামান আসাদ, সাব্বির হোসেন, হাসানুজ্জামান,  আমিনুল হক সান্টু,  বখতিয়ার রহমান বকুল, নাসির উদ্দিন, রমজান আলী, তোরাবুল ইসলাম, আব্দুল কাইয়ুম, আব্দুল কাদের, কামরুজ্জামান, খুরশিদ আলী সুজা, ইদ্রিস আলী শোভন, আব্দুল গফুর, নাহিদা পান্না, নাজমা, সালমা মুক্তাসহ অন্যান্যরা। 

এর আগে পুরো রমজান মাস জুড়ে বিভিন্ন এতিমখানা ও অসহায় দুস্থদের মাঝে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। আগামীতে অসহায় ও দুঃস্থদের মাঝে এ ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে জানান ৯৩ এর বন্ধুরা। ##

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় আকস্মিক আগুনে পুড়ে ছাই হলো ব্যবসায়ীর স্বপ্ন

নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় আকস্মিক আগুনে পুড়ে ছাই হয়েছে ৩০ লক্ষাধিক টাকার পোষাক। সেই সাথে পুড়েছে তরুণ ব্যবসায়ীর স্বপ্ন। সোমবার দিবাগত রাতের কোন এক সময় সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর বাজারে তানহা বস্ত্রালয়ে এ ঘটনা ঘটে। আগুনে পুড়ে নি:শ^ হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির মালিক মাহমুদ হোসেন মিলন (৩৮) মেল্লেকপাড়া গ্রামের শামছুর রহমানের পুত্র। এঘটনার পর থেকে বার বার অচেতন হয়ে পড়ছেন ব্যবসায়ী মিলন।

ভুক্তভোগীর ভাই মাহমুদ হোসেন লিটন জানান, তার ভাই প্রতিদিনের ন্যায় সোমবার রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ি চলে যান। পরে রাত আড়াইটার দিকে বাজারের ব্যবসায়ীদের ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন দোকানে দাউ দাউ করে আগুন জ¦লছে। ফায়ার সার্ভিসের সদস্য আগুন নিয়ন্ত্রনে আসতে সক্ষম হলেও ততক্ষণে দোকান ভিতরে থাকা ঈদ উপলক্ষে উঠানো প্রায় ৩০ লক্ষাধিক টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে তাদের পরিবারটি পথে বসেছে। স্থানীয় শত্রæতার কারনে রাতের কোন এক সময় প্রতিপক্ষরা আগুন লাগিয়েছে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
ধুলিহর-ব্রহ্মরাজপুর বাজারের ব্যবসায়ী আবু রায়হান বলেন, বিদ্যুতের সর্ট সার্কিটের কারনে এটি হতে পারে না। শত্রæতা মূলকভাবে কেউ আগুন ধরিয়ে ওই ব্যবসায়ীকে পথে বসানো হয়েছে।
ধুলিহর-ব্রহ্মরাজপুর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সেক্রেটারী নাজমুল হোসেন, বিদ্যুতের সর্ট সার্কিট বা গেøাবের আগুন থেকে হওয়ার মত কোন প্রমান পাওয়া যায়নি। ধারনা করা হচ্ছে আগুন লাগানো হয়েছে। তিনি বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক প্রকৃতঘটনা উৎঘটের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।
সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মহিদুল ইসলাম বলেন এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest