সর্বশেষ সংবাদ-
খালেদা জিয়ার রুহের মাগফেরাত কামনায় সাতক্ষীরায় তাঁতীদলের দোয়াসাতক্ষীরার ৪টি সংসদীয় আসনে বিএনপির ২ বিদ্রোহী প্রার্থীসহ ২৯ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিলসাতক্ষীরা-০১ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আ’লীগ নেতা মুজিবের মনোনয়ন জমাসাতক্ষীরা জেলা কিন্ডার গার্টেন এ্যাসোসিয়েশনের ফলাফল প্রকাশExploring the Flavorful Journey of Ground Beef Enchiladasজেলা ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি গঠনচোরের উপদ্রবে অতিষ্ঠ কাটিয়া রেজিস্ট্রি অফিসপাড়ার বাসিন্দারা : মিথ্যা মামলার অভিযোগসাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের পিতার মৃত্যুতে শােকসাতক্ষীরায় পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা: আসামী ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগশ্যামনগরে কোস্টগার্ডের অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দ

কলারোয়া কলেজ পাড়া ঈদগাহের প্রবেশদার উম্মোচন করলেন জেলা প্রশাসক
হোসেন আলী (কাকডাঙ্গা) :
শুক্রবার জুম্মাবাদ কলারোয়ার বোয়ালিয়া কলেজ পাড়া ঈদগাহের প্রবেশদার উম্মোচন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় মাওলানা শাহাদত হোসেনের উপস্থাপনায় সভাপতিত্ব করেন উক্ত ঈদগাহ কমিটির সভাপতি আফজাল হোসেন হাবিল, চেয়ারম্যান কেড়াগাছি ইউনিয়ন পরিষদ।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ ইফতেখার হোসেন,জেলা প্রশাসক সাতক্ষীরা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলারোয়া নির্বাহী অফিসার, মনিরা পারভিন, অধ্যাপক এম এ ফারুক,সভাপতি কলারোয়া বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজ। উপাধ্যক্ষ মাওলানা গজনফর, সভাপতি জমঈয়াতে আহলেহাদীস সাতক্ষীরা। ডাঃ আব্দুল বারী অধ্যক্ষ কলারোয়া হোমিও প্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। শাহিদুল ইসলাম, সহকারি শিক্ষা অফিসার কেশবপুর। আবুল খায়ের, সহকারি অধ্যক্ষ বোয়ালিয়া মুক্তিযোদ্ধা ডিগ্রী কলেজ। শাহিনুর রহমান, প্রদর্শক বোয়ালিয়া মুক্তিযোদ্ধা ডিগ্রী কলেজ। বদরুর রহমান, প্রধান শিক্ষক বোয়ালিয়া ইউনাইটেড হাই-স্কুল। এ্যাডভোকেট আবুল বাশার সাতক্ষীরা জজকোর্ট।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম, একজন মুসলিম হিসেবে আমাদের দায়িত্ব কর্তব্য ভুলে যাওয়া চলবে না। আপনাদের শিক্ষার্থী ছেলে মেয়েদের উপর দৃষ্টি রাখবেন, তারা যেন কোন ভাবে জঙ্গী কর্মকান্ড ও মাদকের সাথে জড়িয়ে না পড়ে। এছাড়াও তিনি উক্ত ঈদগাহের সকল উন্নয়ন কল্পে সর্বচ্চ সহযোগীতা করার আশ্বাস দেন।
0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ঢাকায় পথচারীদের ট্রাফিক আইন মানানো সহজ নয়

দেশের খবর: শনিবার ট্রাফিক সপ্তাহ শুরু হওয়ার পর থেকে প্রতিবারের মত এবারও লক্ষ্য করা যায় রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশের ব্যাপক তৎপরতা।
প্রতিবছরের মত এবারও বাংলাদেশে ট্রাফিক সপ্তাহে পুলিশের পাশাপাশি রোভার ও স্কাউটদের রাস্তায় দেখা যায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখতে।
স্কুল কলেজে পড়া এই রোভার ও স্কাউটদের দেখা যায় গণপরিবহনগুলোকে রাস্তায় নিয়মমাফিকভাবে যাত্রী তোলা ও থামানোর বিষয়ে নির্দেশনা দিতে। পাশাপাশি পথচারীরা যেন রাস্তায় চলাচলের নিয়ম মানে সেবিষয়েও নির্দেশনা দিচ্ছিলেন স্কাউটরা।
পথচারীদের নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে নিয়োজিত কয়েকজন স্কাউট মনে করেন যে শিক্ষার্থীদের সাম্প্রতিক আন্দোলনে উদ্বুদ্ধ হয়ে সাধারণ মানুষ আগের চেয়ে ট্রাফিক আইন মানতে বেশী অনুপ্রাণিত হচ্ছে।
তবে এবিষয়ে স্কাউটদের অধিকাংশেরই মত ছিল ভিন্ন।
তারা বলছেন সাধারণ মানুষের মধ্যে ট্রাফিক আইন না মানার প্রবণতা প্রবল। পথচারীদের আইন না মানার প্রধান কারণ সময় বাঁচানোর চেষ্টা এবং অলসতা বলে মন্তব্য করেন স্কাউটরা।
মমিনুর নামের একজন স্কাউট বলেন, “নিয়ম মেনে একটু বেশী হেঁটে গিয়ে কিছুটা বেশী দূরত্ব অতিক্রম করতে রাজী হন না অধিকাংশ পথচারীই।”
যারা ট্রাফিক আইন ভাঙে তাদের অনুসরণ করার প্রবণতা মানুষের মধ্যে থাকলেও নিয়ম মেনে চলা মানুষদের খুব কম সংখ্যক লোকই অনুসরণ করে বলে মন্তব্য করেন মি. মমিনুর।
নিরাপদ সড়কের দাবীতে শিক্ষার্থীদের সাম্প্রতিক আন্দোলন মানুষের মধ্যে কিছুটা সচেতনতা তৈরী করলেও সড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তা যথেষ্ট নয় বলে মনে করেন স্কাউটদের অধিকাংশই।
সুহার্তো নামের একজন রোভার বলেন, “আজ সারাদিন যতজনকে ফুট ওভারব্রিজ দিয়ে রাস্তা পার হতে অনুরোধ করেছি বা নির্দিষ্ট জায়গায় বাসের জন্য অপেক্ষা করতে বলেছি, তাদের বেশীরভাগই আমাদের কথা শোনেনি।”
আরেকজন রোভার জানান, শাস্তির ভয় দেখানোর আগ পর্যন্ত প্রায় কেউই আইনের পরোয়া করেন না।
সবচেয়ে বেশী হতাশা ছিল থিওটোনিয়াস নামের একজন রোভারের কন্ঠে। তিনি বলেন, “আমরা এখানে আছি, মানুষজনকে অনুরোধ করছি বলে মানুষ তাও কিছুটা আইন মানছে। দুই মিনিট আমরা না থাকলে দেখেন কি অবস্থা হয়। আবার আগের মত অবস্থা হবে।”
ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে পুলিশের সহায়তা করতে রাস্তায় নামা কিশোর স্কাউটদের মতে, সড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাধারণ মানুষের নিজেদের মধ্যে সচেতনতা তৈরীর বিকল্প নেই।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পাকিস্তান ভারতের কাছে পাচ্ছে ৫৯১ কোটি টাকা!

খেলার খবর: আইনি লড়াইয়ে বিসিসিআইকে হারানোর সুবাস পাচ্ছে পিসিবি। এই লড়াই জিতলে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৭০ মিলিয়ন ডলার পাবে পিসিবি। ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেটীয় দ্বৈরথ এখন কালেভদ্রে দেখা যায়। তারপরও সাম্প্রতিক বছরগুলোয় আইসিসির বিভিন্ন টুর্নামেন্টে যে কয়েকবার দেখা হয়েছে দুই দলের অধিকাংশ ম্যাচে শক্তিতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের ছাপিয়ে গেছে ভারত। তবে আইনি লড়াইয়ে হয়তো না। ক্রিকেটীয় ময়দানের বাইরে আদালতে দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ডের যে লড়াই চলছে সেখানে পিসিবি জয় তুলে নেওয়ার দ্বারপ্রান্তে।

ক্রিকেটে ‘তিন মোড়ল’-এর রাজত্বকালে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক চুক্তি (এমওইউ) সই করেছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। সেই চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ২০১৫-২০২৩ সময়ের মধ্যে ছয়টি দ্বিপক্ষীয় সিরিজে মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল ভারত-পাকিস্তানের। এর মধ্যে চারটি সিরিজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল পাকিস্তানের মাটিতে। কিন্তু বিসিসিআইয়ের অসম্মতির কারণে একটি সিরিজও মাঠে গড়ায়নি।

রাজনৈতিক জটিলতার জন্য সরকারের অনুমতি নেই—সিরিজ না খেলার কারণ হিসেবে এই অজুহাত দেখিয়েছিল বিসিসিআই। এতেই জটিলতার সৃষ্টি হয় এবং সিরিজ মাঠে না গড়ানোর ক্ষতিপূরণ চেয়ে আইসিসির কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করে পিসিবি। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, আইনি এ লড়াইয়ে জয়ী হয়ে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বোর্ডের কাছ থেকে ৭০ মিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫৯১ কোটি টাকা) পাওয়ার সুবাস পাচ্ছে পিসিবি।

কারণ, পিসিবির অভিযোগের জবাবে বিসিসিআই কোনো শক্ত কারণ দেখাতে পারেনি। আইসিসি এবং এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) আয়োজিত টুর্নামেন্টে ঠিকই পাকিস্তানের মুখোমুখি হচ্ছে ভারত। তখন সরকারের আপত্তি না ওঠায় দ্বিপক্ষীয় সিরিজে রাজনৈতিক বৈরিতার অজুহাত ধোপে টিকছে না। অক্টোবরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে তিন দিনের শুনানিতে এই আইনি সমস্যার রায় দেবে আইসিসির বিরোধ নিরসন কমিটি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ঐশ্বরিয়াকে সালমানের ‘না’

বিনোদনের খবর: অনেক প্রত্যাশা তৈরি হলেও ‘ফ্যানে খান’ ছবি বক্স অফিসে সেভাবে সাড়া পায়নি। তবে ছবির নায়িকা ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন ছবির প্রচারণায় কোনো ত্রুটি রাখেননি। এই ছবিতে ঐশ্বরিয়া ছাড়া আরও আছেন অনিল কাপুর, রাজকুমার রাও এবং দিব্যা দত্ত। ‘ফ্যানে খান’ ছবির প্রচারণার সময় সাবেক এই বিশ্ব সুন্দরী তাঁর ক্যারিয়ারের সঙ্গে জড়িত নানা তথ্য প্রকাশ করেন।

সম্প্রতি মুম্বাইয়ে ‘ফ্যানে খান’ ছবির প্রচারণার এক অনুষ্ঠানে ঐশ্বরিয়া তাঁর ক্যারিয়ারের নানা কথা জানান সাংবাদিকদের। উঠে আসে তাঁর ক্যারিয়ারের গোড়ার দিকের ছবি ‘জোশ’-এর কথা। এই ছবিতে শাহরুখ খান ছিলেন ঐশ্বরিয়ার ভাই। আর তাঁর প্রেমিক ছিলেন চন্দ্রচূড় সিং। এই বলিউড সুন্দরী ‘জোশ’ ছবির প্রসঙ্গে বলেন, ‘ছবিটা প্রথমে সালমান খান এবং পরে আমির খানকে করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু সালমান আর আমির দুজনই না করে দেন। এরপর ছবিটা শাহরুখ করেছেন।’
‘জোশ’ ছবিতে প্রথম ঐশ্বরিয়া ও শাহরুখ একসঙ্গে পর্দায় আসেন। যদিও ‘জোশ’ ছবিটা বক্স অফিসে সেভাবে সাফল্য পায়নি। তবে এই ছবির চরিত্রগুলো আজও দর্শক মনে রেখেছে। এরপর ‘মোহব্বতেঁ’ ছবিতে কিং খানের প্রেমিকা হিসেবে দেখা যায় অ্যাশকে।
সালমান এবং ঐশ্বরিয়ার প্রেমের কথা একসময় বলিউডের আকাশে-বাতাসে উড়ে বেড়াত। সঞ্জয় লীলা বানসালির ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ ছবির সেটে তাঁরা একে অপরকে দিল (হৃদয়) দিয়ে বসেন। তবে ভাইজান এবং বিশ্ব সুন্দরীর সম্পর্কের ভাঙনের পর তাঁরা একসঙ্গে আর সিনেমা করেননি।

সেদিন ‘জোশ’ ছাড়া আরও তথ্য ফাঁস করেন ঐশ্বরিয়া। সঞ্জয় লীলা বানসালির ‘বাজিরাও মাস্তানি’ এবং ‘পদ্মাবত’ ছবির জন্য প্রথম পছন্দ ছিলেন অ্যাশই। কিন্তু সাবেক বিশ্ব সুন্দরীর সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার মতো ‘বাজিরাও’ আর ‘আলাউদ্দিন’ খুঁজে পাননি পরিচালক। তাই পরে এই দুটি ছবিতে ঐশ্বরিয়ার বদলে দীপিকা পাড়ুকোনকে নেন তিনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বিএনপি নেতারা গাড়িচালকের মতো বেপরোয়া হয়ে পড়েছেন

দেশের খবর: মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতারা গাড়িচালকের মতো বেপরোয়া হয়ে পড়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেছেন, বিএনপি গত ৯ বছরে ৯ মিনিটের আন্দোলন করতে পারেনি। তারা কোটা সংস্কার আন্দোলন ও ছাত্র আন্দোলনের ওপর ভর করেও ব্যর্থ হয়েছেন। সবশেষ নিরাপদ সড়কের আন্দোলনেও ব্যর্থ হয়েছেন তারা। তাই আন্দোলনে হতাশ বিএনপি নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করতে সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছে। কিন্তু সরকার এতে ভীত নয়।

শুক্রবার (১০ আগস্ট) বিকেলে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও চালকদের গাড়ির কাগজপত্র পরীক্ষার অভিযান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ করছিলেন কাদের।

মন্ত্রী বলেন, নতুন লাইসেন্স ও লাইসেন্স নবায়নসহ বিভিন্ন সেবার জন্য বিআরটিএতে (বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি) মানুষের ভিড় বেড়েছে। দুর্ভোগ কমাতে বিআরটিএ’র সেবা গ্রহীতাদের সুবিধার্থে টাকা জমা দেওয়ার জন্য মোবাইল ব্যাংকিং চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা বিভাগীয় সড়ক ও জনপথের (সওজ) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সবুজ উদ্দিন খান, সাসেক প্রকল্পের পরিচালক মো. ইসহাকসহ সড়ক বিভাগ ও স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
চায়না রানীর মৃত্যুতে শোক

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : সাতক্ষীরা জেলা মন্দির সমিতি, জয়মহাপ্রভূ সেবক সংঘ জেলা শাখা সাতক্ষীরা ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ সাতক্ষীরা জেলা শাখার সহ-সভাপতি গোষ্ট বিহারী মন্ডলের সহধর্মিনী চায়না রাণী মন্ডল শুক্রবার ভোর ৩টা ৫৭ মিনিটে দুরারোগ্য ব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে পরলোক গমন করেছেন। (দিব্যান লোকান্ স্বগচ্ছতু।)
মৃত্যুকালে দুইপুত্র, ১কন্যা, নাতি, নাতনীসহ, অনেক গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। তাঁর অকাল মৃত্যুতে,শোক সন্তপ্ত পরিবারের সহিত সমবেদনা জ্ঞাপন করে বিবৃতি দিয়েছেন, সাতক্ষীরা জেলা মন্দির সমিতির সভাপতি বিশ্বনাথ ঘোষ, সহ-সভাপতি এড. সোমনাথ ব্যানার্জী, সোনাতন দাশ, এড. অনিত মুখার্জী, সাধারণ সম্পাদক রঘুজিৎ গুহ, যুগ্ম সম্পাদক নিত্যানন্দ আমিন, সহ-সম্পাদক বিকাশ চন্দ্র দাশ, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রাণনাথ দাশ, অডিটর অসীম কুমার দাশ(সোনা), সঞ্জীব কুমার ব্যানার্জী, ডা: অসীম বিশ্বাস, রনজিৎ সরকার, অলোক কুমার তরফদার, কার্ত্তিক চন্দ্র বিশ্বাস, গঙ্গাধর দফাদার, বিশ্বনাথ দেবনাথ, নারায়ন অধিকারী ও জয় মহাপ্রভূ সেবক সংঘের কেন্দ্রীয় পরিষদের সহ-সভাপতি ডা: সুশান্ত ঘোষ, জেলার সহ-সভাপতি জীতেন্দ্র নাথ ঘোষ, গোবিন্দ প্রসাদ ঘোষ, উপদেষ্টা ধীরু ব্যানার্জী, বিল্লমঙ্গল দেবনাথ, বিনয় কৃষ্ণসাহা, কোষাধ্যক্ষ নারায়ন ভাস্কর শিকদার, কার্যনির্বাহী সদস্য নারায়ন অধিকারী, তাপস সরকার, কিরন্ময় সরকার, রবীন্দ্র নাথ রায়, যুব কমিটির রণজিৎ ঘোষ, সুমন অধিকারী, মিলন কুমার বিশ্বাস, সুমন সাহা, তন্ময় সাহা, সুজন বিশ্বাস, ধীমান, সুজয় প্রমুখ। বাংলাদেশ হিন্দু- বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি বিশ্বজিৎ সাধু, সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার শীল, প্রদ্যুৎ ঘোষ, নারায়ন মজুমদার প্রমুখ। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ সাতক্ষীরা জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুভাষ চন্দ্র ঘোষ, সহ-সভাপতি মঙ্গল কুমার পাল, স্বপন কুমার শীল, এড. অনিত মুখার্জী, নয়ন কুমার সানা, কোষাধ্যক্ষ গৌর চন্দ্র দত্ত, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য তপন কুমার হালদার, অরুন কুমার ঘোষ, কার্যনির্বাহী সদস্য অপারেশ পাল, পলাশ দেবনাথ প্রমুখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
‘শহিদুলের মিথ্যে পোস্টেই শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে পড়ে’

দেশের খবর: নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের ভূমিকার সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে এবং তার তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

তিনি বলেছেন, শহিদুল আলমের দেওয়া মিথ্যে পোস্ট ও অভিযোগের কারণেই শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে পড়ে এবং পুলিশের ওপর ও (আওয়ামী লীগের) পার্টি অফিসে হামলা চালায়।

শুক্রবার (১০ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জয় এ কথা বলেন।

গত ৫ আগস্ট রাতে দৃক গ্যালারির প্রতিষ্ঠাতা শহিদুলকে তারা ধানমন্ডির বাসা থেকে উঠিয়ে নেওয়া হয়। পরদিন ৬ আগস্ট (সোমবার) শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে উসকানি দেওয়ার অভিযোগে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে মামলা দিয়ে তাকে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ। এ মামলায় সাত দিনের রিমান্ডে রয়েছেন শহিদুল।

প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা জয় তার পোস্টে বলেন, ‘ধরুন বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় ও সফল ব্যক্তি হিসেবে আন্দোলনের সময় আমি ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে বলতাম, আন্দোলনরত তরুণরা আমাদের কর্মীদের একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে আক্রমণ করে হত্যা করেছে এবং সেই কথার প্রেক্ষিতেই আমাদের কর্মীরা উত্তেজিত হয়ে সেই বিশ্ববিদ্যালয়টি আক্রমণ করতো। তাহলে কি বলা যেত আমি সহিংসতা উস্কে দিয়েছি? নাকি আমি বাকস্বাধীনতার অধিকার দ্বারা সুরক্ষিত থাকতাম?’

‘আমার কোনো সন্দেহ নেই আজ যেই সুশীল সমাজ, বিদেশি বন্ধু ও সাংবাদিকরা শহিদুল আলমের পক্ষে কথা বলছেন, তারা তখন ঠিকই বলতেন প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সহিংসতা উস্কে দিয়েছেন। শুধুমাত্র সফল ও জনপ্রিয় হওয়ার জন্যই কি আজ শহিদুল আলমকে আইনের ঊর্ধ্বে রাখার কথা বলা হচ্ছে? তাহলে কি আমিসহ সকল সফল ও জনপ্রিয় মানুষই আইনের ঊর্ধ্বে?’

প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি যেই উদাহরণ দিয়েছি, শহিদুল আলম ঠিক তাই করেছেন। তার দেওয়া মিথ্যে পোস্ট ও অভিযোগের কারণেই শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে পড়ে এবং পুলিশের উপর ও পার্টি অফিসে হামলা চালায়। একাধিক পুলিশ সদস্য ও আমাদের কর্মীরা আহত হন। আরাফাতুল ইসলাম বাপ্পি নামের আমাদের এক কর্মী তার দৃষ্টিশক্তি চিরতরে হারিয়েছেন।’

পোস্টের শেষে জয় প্রশ্ন ছুড়ে দেন, ‘বাপ্পি কি ন্যায়বিচার পাওয়ার যোগ্য না?’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শ্যামনগরে ব্যবসায়ী কালামের বাড়ি-ঘর ভাংচুরের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক : আদালতের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ব্যবসায়ী আবুল কালামের ভিটেবাড়ি দখল করার জন্য বাড়ি-ঘর ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় হামলাকারীরা তাদের ঘরে থাকা নগদ দেড় লক্ষাধিক টাকা, ৫/৬ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। বাড়িতে থাকা টিভি, ফ্রিজসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাংচুর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার সময় স্কুল ছাত্রী ও মহিলাসহ উভয় পক্ষের ৮/১০ আহত হয়েছে। শুক্রবার সকালে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা সদরের বাধঘাটা গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। বর্তমানে উভয়পক্ষের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, গত ৩ মে ব্যবসায়ী আবুল কালাম বাধঘাটা গ্রামের আব্দুস সবুরের স্ত্রী সাবিনা ও ছেলে এমদাদুল হকের ২২ শতক জমির মধ্যে ৬ শতক জমি ক্রয় করেন। যার মধ্যে একটি ঘর ছিল। জমি ক্রয়ের পরপরই তারা দখলে যায়। সেখানে আবুল কালাম, তার ভাই নূর ইসলাম, আব্দুস ছালাম ও আব্দুস সাত্তার আরো ৫টি ঘর তৈরী করে বসবাস করে আসছিলেন। সাবিনার সাথে তার দেবর আব্দুল বারীর একটি বাটোয়ারা মামলা নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। শুক্রবার হঠাৎ করে আব্দুল বারী তার ভাই ও লোকজন নিয়ে সাবিনার বিক্রি জমি দখল নিতে যায়। এ সময় তারা সীমানা প্রাচীর ভেঙে ঘর-বাড়ি ও আসবাব পত্র ভাংচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়। ঘরে মধ্যে থাকা আবুল কালামের প্যারালাইসড বৃদ্ধ বাবা নূর আলী গাজী ও বৃদ্ধা মা জহুরা বেগমকে মারধর করে উঠানে ফেলে দেয়। এ ঘটনার প্রতিবাদ করতে গেলে আব্দুস সালামের স্ত্রী সাবিকুন নাহারের মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মারে। এতে সে রক্তাক্ত জখম হয়। এ ছাড়া নূর ইসলামের কলেজপড়–য়া মেয়ে সুমাইয়া ইয়াসমিন ও দশম শ্রেণীর ছাত্রী ফাতেমা খাতুন, আব্দুস সাত্তারের স্ত্রী রাশিদা বেগম ও আবুল কালামের স্ত্রী পারভীন বেগম আহত হয়। আহতদেরকে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, ঘটনার সময় শ্যামনগর থানার এসআই রাজ কিশোরসহ ৬/৭জন পুলিশ সদস্য উপস্থিত ছিলেন। এতবড় ঘটনা ঘটলেও তারা নীরব দর্শকের ভুমিকা পালন করেন। এ সময় তারা হামলাকারীদের আটক না করে উপরন্ত সাবিনার স্কুল পড়–য়া ছেলে এমদাদুল, আব্দুস সালাম ও আবুল কালামকে থানায় নিয়ে যায়। একপর্যায়ে পুলিশ তাদেরকে মুচলেকা দিয়ে জুম্মার নামাজের আগে ছেড়ে দেয়। পরে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসীকে শান্ত করতে আব্দুল বারীর বাড়ির কাজের ছেলে মুজিবরকে থানায় নিয়ে যায়। কিছুক্ষন পর আবার তাকেও ছেড়ে দেয়। জুম্মার নামাজের পর হাসপাতালে আহতদের দেখতে গেলে আবুল কালামের ভাগ্নে জাবের হোসেনকে আটক করে। এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত জাবের থানা হাজতে ছিল। এ ঘটনায় থানায় পৃথক দু’টি লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
মো. আব্দুস সালাম গাজী অভিযোগ করে বলেন, আবুল কাশেম তরফদারের ছেলে মো. আব্দুল বারী তরফদার, মো. আব্দুর রাজ্জাক তরফদার, মো. আব্দুল হাই, আব্দুল বারী তরফদারের স্ত্রী রেহানা বেগম, মেয়ে বিভা খাতুন, আব্দুল বারী, মো. মজু খাঁসহ আরো ৫০/৬০জন শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে তারা লাঠিসোটা, লোহার রড নিয়ে তাদের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় তারা রান্না ঘরসহ আটটি ঘর ভাংচুর, লুটপাট করে আগুন ধরিয়ে দেয়। তাতে বাধা দিতে গেলে আমাদের সকলের রক্তাক্ত জখম করে। আমরা নিরূপায় হয়ে বিভিন্ন জায়গায় ছোটাছুটি করি। তবে আমাদের পাশে কেউ এগিয়ে আসেনি।
অপরদিকে মাস্টার আব্দুল বারী অভিযোগ করে বলেন, আমার ভাই আব্দুস সবুরের কাছ থেকে আবুল কালাম ৬ শতক জমি ক্রয় করে। এ নিয়ে বাটোয়ারা মামলা চলছিল।
শুক্রবার আমার বাড়ির সাথে দেয়া প্রাচীরটি ভেঙে দিতে বলি। এ সময় আমার বড় ভাই আব্দুস সবুরের ছেলে এমদাদুলসহ আবুল কালামের লোকজন আমাদের উপর হামলা করে। এতে আমার বৃদ্ধা আম্মা সায়েরা ও মেয়ে রিভা খাতুন, ভাই মাওলানা মো. আব্দুর রাজ্জাক ও মো. আব্দুল হাই আহত হয়েছে। আগতদেরকে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত শ্যামনগর থানার এসআই রাজ কিশোর বলেন, ঘটনা শুনে আমি ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই। সেখান থেকে কয়েকজনকে থানায় নিয়ে আসা হয় এবং মিমাংসার জন্য চেষ্টা চলছে। আপনার উপস্থিতিতে একজন ব্যবসায়ীর বাড়ি-ঘর ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি অসম্ভব। আমি একজন প্রশাসনের লোক। জনগণের জানমালের নিরাপত্তার দেয়া আমার দায়িত্ব।
এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

১০-০৮-১৮

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest