সর্বশেষ সংবাদ-
নাসিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর বিলুপ্তির প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় বিক্ষোভদৈনিক আমাদের মাতৃভূমি পত্রিকার ৯ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সাতক্ষীরায় আলোচনা সভা  দেবহাটায় জাতীয় প্রাণি সম্পদ সপ্তাহ ও প্রাণি সম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধনসাতক্ষীরায় জাতীয় দৈনিক রুপালী বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনসাতক্ষীরার মিঠু খানের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করল বিএনপিকালিগঞ্জে পুকুরের পানিতে দুই শিশুর মৃত্যুদেবহাটায় ৪০ জন উপকার ভোগীর মাঝে ছাগল বিতরণদেবহাটার সরকারি কর্মকর্তা-সুধীজনদের সাথে ডিসির মতবিনিময়সাতক্ষীরার ১৮৫টি ভোটকেন্দ্রের স্কুল সংস্কারে বরাদ্দ প্রায় ৬৪ লাখ টাকাসাতক্ষীরা জেলা রোভারের ৪১ তম কোর্স ফর রোভারমেট এর মহাতাঁবু জলসা

ইতিহাসের মহাতারকা হয়েও বিশ্বকাপে যাদের স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে

খেলার খবর: উত্তাপ-উন্মাদনার মধ্য দিয়ে রাশিয়া বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব শেষে শনিবার থেকে শেষ ষোলোর খেলা শুরু হয়েছে। ওইদিনই বিশ্বকাপ মঞ্চ থেকে ছিটকে গেছেন ফুটবল বিশ্বের দুই মহাতারকা মেসি-রোনালদো। নক-আউট পর্বের প্রথম ম্যাচে ফ্রান্সের সামনে ৪-৩ ব্যবধানে হারে আর্জেন্টিনা। আর দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে ‘কাভানি গোলায়’ বিধ্বস্ত হয় ফুটবল গ্রহের আরেক দেবতা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর দল পর্তুগাল। ফলে এই দুই তারকার বিদায়ে রঙ হারিয়েছে বিশ্বকাপ। একই সঙ্গে তাদের এটা অঘোষিত শেষ বিশ্বকাপ মনে করা হচ্ছে। ফলে ক্লাব ফুটবলে নিজেদের দলকে অসংখ্যবার বিভিন্ন ধরনের ট্রফি উপহার দেওয়ায় মহাতারকা বনে যাওয়া মেসি-রোনালদো নিজ নিজ দেশকে সফলতা এনে দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। এতে দেশ ও দেশের বাইরে কোটি কোটি দর্শক হতাশ হয়েছেন। মহাতারকা হয়েও বিশ্বকাপে দলকে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য এনে দিতে না পারায় স্বপ্নভঙ্গ মেসি-রোনালদোরও।

ফলে ‘গ্রেটেস্ট ফুটবলার নট টু উইন এ ওয়ার্ল্ড কাপ’ তকমাটা জুড়ে যাচ্ছে মেসি ও রোনালদোর নামে। এ নিয়ে হয়তো বছরের পর বছর ধরে চলবে তর্ক-বিতর্ক। এই সাধের বিশ্বকাপ ট্রফি ছুঁতে না পারা সেরা তারকাদের তালিকায় সবার প্রথম সারিতেই উচ্চারিত হবে মেসিদের নাম। যদিও এই তালিকায় অাগে থেকেই জায়গা নিয়ে বসে আছেন অনেক তারকা। পাঠকদের সামনে সেই তালিকা তুলে ধরা হলো।

জোহান ক্রুয়েফ : টোটাল ফুটবলের অন্যতম ধারক ও বাহক জোহান ক্রুয়েফ। ডাচ ফুটবল ঘরানাকে বিশ্বমঞ্চে প্রথম তুলে ধরেছিলেন তিনিই। তিনবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী এই মহাতারকা আয়াখস এবং বার্সেলোনার হয়ে ক্লাব ফুটবলে চূড়ান্ত সাফল্য পান। কিন্তু বিশ্বকাপের সোনালি ট্রফিতে হাত ছোঁয়াতে পারেননি। সম্ভবত পৃথিবীর সবচেয়ে আনলাকি ফুটবলার তিনিই। ১৯৭৪’-এর বিশ্বকাপে দলকে ফাইনালে তুলেও জেতাতে পারেননি ক্রুয়েফ। পশ্চিম জার্মানির বিরুদ্ধে ফাইনালে ১-০ গোলে এগিয়ে গিয়েও হারতে হয়েছিল ডাচদের। টুর্নামেন্টের সোনার বল পেয়েছিলেন ক্রুয়েফই। কিন্তু সোনালি ট্রফি তার অধরাই থেকে যায়। এরপর একাধিকবার ফাইনালে গেছে নেদারল্যান্ডও, তবু এখনও কোনো ডাচ অধিনায়ক বিশ্বকাপ ট্রফি তোলার সুযোগ পাননি।

পাওলো মালদিনি : একসময় বলা হত ইউরোপের সবচেয়ে সহজ চাকরি হল ইতালির গোলরক্ষকের চাকরি, কারণ ইতালির গোলক্ষকদের তেমন কোনো কাজই করতে হয় না। কারণ ইতালির বিখ্যাত কাত্তানেচ্চিও রক্ষণ। সেই রক্ষণের স্তম্ভ ছিলেন মালদিনি। এসি মিলানের হয়ে ক্লাব পর্যায়ে সব টুর্নামেন্ট জিতেছেন। অথচ দেশের হয়ে কোনো খেতাবই জিততে পারেননি মালদিনি। ১৯৯৪-বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেও হারতে হয়েছিল ব্রাজিলের কাছে।

আলফ্রেডো ডি স্টোফানো : রিয়াল মাদ্রিদের সর্বকালের সেরা তারকাদের মধ্যে একজন। শুধু ব্যালন ডি’অর নয়, তিনি জিতেছেন সুপার ব্যালন ডি’অর। যা শুধুমাত্র ডি’স্টেফানোকে দেওয়ার জন্যই তৈরি করেছিল ফ্রেঞ্চ ফুটবল, আর কাউকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়নি। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে তিনটি দেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন, খেলেছেন আর্জেন্টিনা, কলম্বিয়া এবং স্পেনের হয়ে। কোনো দলের জার্সিতেই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হতে পারেননি স্টেফানো।

ফেরেঙ্ক পুসকাস : বিশ্বকাপ ১৯৫৪’ ফাইনালে পশ্চিম জার্মানির কাছে হাঙ্গেরির হার আজও ফুটবল বিশ্বের কাছে ‘মিরাকল অব বার্ন’ নামে পরিচিত। সেসময় ছিল হাঙ্গেরির স্বর্ণযুগ। সেরা তারকা ছিলেন ফেরেঙ্ক পুসকাস৷ পুসকাসের হাঙ্গেরির বিরুদ্ধে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বিধ্বস্ত পশ্চিম জার্মানির কোনো সম্ভাবনায় দেখছিলেন না বিশেষজ্ঞরা। অথচ সেই জার্মানিই চমকে দিল গোটা বিশ্বকে। বিশ্বকাপ অধরা রইল আরও এক মহাতারকার।

ইউসেবিও : ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর আগে পর্তুগালের সবচেয়ে সফল তারকা ছিলেন উইসেবিও। লুইস ফিগোর চেয়েও তার জনপ্রিয়তা বেশি ছিল অনেকাংশেই। ১৯৬৫ তে ব্যালন ডি’অর-ও জিতেছিলেন ইউসেবিও৷ ক্লাব পর্যায়ে টানা ১১ বার লিগ জিতেছিলেন বেনফিকার হয়ে। কিন্তু জাতীয় দলের জার্সি চাপিয়ে তিনিও দলকে সাফল্য এনে দিতে পারেননি। ১৯৬৬ বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল পর্যন্ত গিয়েছিল ইউসেবিওর পর্তুগাল। সেমিফাইনালে পেনাল্টি থেকে গোলও করেন তিনি৷ কিন্তু শেষ পর্যন্ত জর্জ বেস্টের ইংল্যান্ডের কাছে পরাস্ত হতে হয় পর্তুগালকে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
প্রধানমন্ত্রী সংসদে কর্মরতদের ‘হিমসাগর’ উপহার দিলেন

ভিন্ন স্বাদের খবর: বাংলাদেশে বিভিন্ন জাতের ফল আছে। তবে আমের মতো এত সুস্বাদু ফল আর নেই। আমের যেমন ঘ্রাণ, তেমনি মজাদারও বটে। তাই তো বলা হয়, ফলের রাজা আম।

পৌষে কুশি, মাঘে বোল, ফাল্গুনে গুটি, চৈত্রে আটি, বৈশাখে কাটিকুটি, জ্যৈষ্ঠে দুধের বাটি। আমের ফুল বা কুশি আসা থেকে শুরু করে দুধ দিয়ে খাওয়ার মতো মিষ্টি হওয়ার সময়কাল নিয়ে এই বচন এখন প্রায় অচল। কেননা বৈশাখের শুরুতে অর্থাৎ এপ্রিল থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রামের বাজারে ‘পাকা’ আম পাওয়া যাচ্ছে।

আম-কাঁঠালের এ মৌসুমে গ্রামে গ্রামে চলে উৎসব। আর সেই উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়ল ইট-পাথরের জাতীয় সংসদেও। কারণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বয়ং সংসদে কর্মরত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য উপহার হিসেবে পাঠিয়েছেন এই আম।

সংসদের মিডিয়া সেন্টার থেকে সোমাবার (২ জুলাই) সকাল থেকে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া এই আম বিতরণ করা হয়।

জানা যায়, সংসদে কর্মরত প্রায় এক হাজার ২০০ কর্মকর্তার জন্য দুটি করে হিমসাগর আম উপহার পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কোটার প্রজ্ঞাপন নিয়ে আনুষ্ঠানিক অগ্রগতি নেই : মন্ত্রিপরিষদ সচিব

দেশের খবর: কোটা সংস্কার নিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক অগ্রগতি নেই বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম। আজ সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

সাংবাদিকদের উদ্দেশে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘কোটা সংস্কার বা বাতিলের বিষয়টি সরকারের উচ্চপর্যায়ে বিবেচনাধীন রয়েছে। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে সময় লাগবে। বিষয়টি আসলে আপনারা যতটা সহজ ভাবছেন ততটা সহজ নয়, জটিল আছে।’

কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে এ বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে একটি কমিটি গঠন করার কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতা। এই কমিটি গঠনের কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাইলে শফিউল আলম বলেন, ‘কমিটির পর্যায়ে এর আনুষ্ঠানিক কোনো কার্যক্রম নেই। সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে এই পর্যায়ে কোনো ঘোষণা আসেনি। এটি উচ্চপর্যায়েই রয়েছে। তবে শুরু হয়ে যাবে বলে আশা করছি।’

কোটা সংস্কারের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষার্থীরা। তবে এপ্রিল মাসের শুরুতে এই আন্দোলন জোরদার হয়। গত ৯ এপ্রিল সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে বৈঠক করে ৭ মে পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত করেন আন্দোলনকারীরা। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে কোটা বাতিলের ঘোষণা দেন। আন্দোলনকারীরা এজন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে আনন্দ মিছিলও করে। কিন্তু সেই প্রজ্ঞাপন এখনো জারি হয়নি।

প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে গত শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের পূর্বঘোষিত সংবাদ সম্মেলনে বাধা দিয়ে ব্যাপক মারধর করা হয়। এতে ১০ জনের মতো আহত হন। আহতরা অভিযোগ করেছেন, হামলাকারীরা ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। তবে হামলা ও মারধরের ব্যাপারে ছাত্রলীগের নেতাদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এর পরই কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ সাধারণ অধিকার ছাত্র সংরক্ষণ পরিষদের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে বাধা ও হামলার প্রতিবাদে রোববার থেকে সব বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন ও সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
প্রসংশিত হচ্ছে রিয়াজ-তানিয়ার ‘কলুর বলদ’

বিনোদন সংবাদ: একটা নাটকের কথা মুখে মুখে শোনা যাচ্ছে। দর্শকের প্রসংশায় ভাসছে নাটকটি। মিডিয়ার আড্ডাতে উঠে এসেছে নাটকটির নাম। প্রতিদিনই অসংখ্য নাটক প্রচার হয় টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে। মাঝে মধ্যে কিছু কিছু নাটক হয় আলোচনার শিরোনাম। সম্প্রতি প্রচার হওয়া এমনই একটি নাটক রিয়াজ-তানিয়া অভিনীত ‘কলুর বলদ’।

এবারের ঈদুল ফিতরে চ্যানেল আইয়ে প্রচার হয় মেজবাহ উদ্দিন সুমন রচিত ও সাজ্জাদ সুমন পরিচালিত নাটক ‘কলুর বলদ’। প্রচারের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সর্বমহলে নাটকটি এসেছে আলোচনায়। গত ২০ জুন চ্যানেল আই তাদের ইউটিউব চ্যানেলেও প্রকাশ করে নাটকটি। এরই মধ্যে সাড়ে ৭ লক্ষরও অধিক বার দেখা হয়েছে এটি।

নাটকটি কেন পছন্দ করছেন দর্শক? কী আছে এই নাটকে? কলুর বলদের গল্পে একটু চোখ বুলালেই সেটা স্পষ্ট হয়ে উঠবে। প্রবাসী এক যুবকের দেশে ফেরার মধ্য দিয়ে ‘কলুর বলদ’ নাটকটির গল্প শুরু হয়। গল্পটির প্রধান চরিত্র মধ্যবিত্ত পরিবারের বড় ছেলে রাজু। যে কাজের উদ্দেশ্যে বিদেশে পাড়ি দেয়। এদিকে চাকরি থেকে তার বাবা অবসর নিয়েছেন। অন্যদিকে এক বোনের বিয়ে হয়েছে এবং আরো দুজন ছোট ভাই-বোন আছে রাজুর।

পরিবারে উপার্জনক্ষম ব্যক্তি বলতে বড় ছেলেটিই। যার কারণে বাধ্য হয়ে ভালো আয় রোজগারের আশায় বিদেশে পাড়ি জমায় সে। দীর্ঘদিন বিদেশে থেকে রাজু দেশে টাকা পাঠায়। তার উপার্জিত অর্থে বাবা দেশে বাড়ির কাজ শুরু করেন। তা ছাড়া পুরো পরিবারের খরচও বহন করে রাজু। প্রেমিকা শোভাকে না বলে বিদেশ গিয়েছিল সে। যাওয়ার সময় শোভার জন্য একটি চিঠি রেখে গিয়েছিল।

মধ্যবিত্তের অর্থনৈতিক টানাপোড়েনের জন্য কাপুরুষের মতো নিজের ভালোবাসাকে বিসর্জন দেয় রাজু। দীর্ঘদিন বিদেশে থেকে দেশে ফিরেছে সে। দেশে ফেরার পর বাবা, ভাই, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সবাই জিজ্ঞেস করে ‘আবার কবে বিদেশে ফিরে যাবি’। বাবার তাগিদ বাড়িটির আরেক তলা উঠাতে হবে, মেয়েটির বিয়ে দিতে হবে, ছোট ছেলেটিকে মেডিক্যালে ভর্তি করাতে হবে। এজন্য আরো টাকা লাগবে।

শুধু মা আর শোভা চায় রাজু বিয়ে করে দেশে সেটেল হোক। রাজু নিজেও দেশে স্থায়ীভাবে থেকে যাওয়ার ভাবনা নিয়েই দেশে ফিরেছে। কারণ দীর্ঘ সময় আপনজনদের কাছ থেকে দূরে থেকে রাজু অনেক ক্লান্ত। কিন্তু সবার চাওয়া আর রাশি রাশি সমস্যার সামনে নিজের কোনো ইচ্ছের কথাই আর বলতে পারে না। নিজের সমস্ত চাওয়া, স্বপ্ন, ভালোলাগা, হৃদয়ের খুব গোপনে লালিত কষ্ট অগোচরে জমা রেখেই আবার বিদেশে চলে যায় রাজু। তারপর কী হয়? নাটকেই দেখতে হবে।

নাটকটি সম্পর্কে নির্মাতা সাজ্জাদ সুমন বলনে, ‘‘সামাজকি দায়বদ্ধতা থেকেই এমন একটি নাটক নির্মাণ করার চেষ্টা করেছি। প্রবাসীরা আমাদের অর্থনৈতিক ভাবেেএগিয়ে নিচ্ছেন। তাদের না বলা কথাই আমি এই নাটকটির মাধ্যমে বলতে চেয়েছি । নাটকটি নিয়ে দর্শকের ভালোবাসায় আমি মুগ্ধ।’’

নাটকটিতে রিয়াজ আহমেদ ও তানিয়া আহমেদ ছাড়াও আরও বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন মামুনুর রশিদ, দিলারা জামান , আজম খান,হিমি হাফিজসহ আরও অনেকে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর আবারও হামলা

দেশের খবর: সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পূর্ব নির্ধারিত পতাকা ও বিক্ষোভ মিছিলে আবারো চড়াও হয়ে হামলা করেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

আজ সোমবার সকালে আন্দোলনকারীদের বেধড়ক পিটুনি দেয় ছাত্রলীগ। এতে শিক্ষার্থীদের পূর্ব নির্ধারিত পতাকা ও বিক্ষোভ মিছিল পণ্ড হয়ে গেছে।

জানা যায়, পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী পতাকা মিছিল ও বিক্ষোভ করার জন্য সোমবার সকাল ১০টা থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আন্দোলনকারীরা জড়ো হতে থাকে। এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ আশপাশের বেশ কিছু কলেজের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। এরা বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হোসেনকে মারধর করে এবং মোটরসাইকেলে করে তুলে নিয়ে যায়।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক লুৎফর নাহার মিলা সাংবাদিকদের জানান, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমাদের উপর হামলা করেছে। মেয়েদেরকেও তারা লাথি-ঘুষি মেরেছে। একজন মেয়ের মাথাও ফেটে গেছে।

উল্লেখ্য, গত শনিবার বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে সংবাদ সম্মেলন ডাকে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। সংবাদ সম্মেলন শুরুর ঠিক আগমুহূর্তে কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এতে পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল্লাহ নূরসহ সাত শিক্ষার্থী আহত হন।

এরপর গতকাল কোটা সংস্কার আন্দোলনের আরেক নেতা রাশেদ খানকে মিরপুর থেকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। রাজধানী শাহবাগ থানায় তথ্যপ্রযুক্তি আইনে ছাত্রলীগের এক মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পরে গতকাল সন্ধ্যা ৬টার দিকে রাজধানীর পরীবাগে এক সংবাদ সম্মেলনে আজকের কর্মসূচির ঘোষণা দেন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক লুৎফর নাহার নীলা ও শফিউল আলম।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বেলজিয়ামের অভ্যুদয় নাকি জাপানি সূর্যোদয়

খেলার খবর: সোনালি প্রজন্ম নিয়ে রাশিয়ায় বেলজিয়াম। এডেন হ্যাজার্ড, রোমেলু লুকাকু, কেভিন ডি ব্রুইন, থিবো কর্তোয়াদের মতো তারকা নিয়ে শিরোপাস্বপ্নে বিভোর তারা। জাপান অবশ্য শিরোপা নিয়ে ভাবছে না। এত দিন শেষ ষোলোর গণ্ডি পার হতে না পারা দলটির কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়াই বিশেষ কিছু। সেন্টার ব্যাক মায়া ইউসিদা তাই বাস্তববাদী, ‘আমরা কখনো কোয়ার্টার ফাইনাল খেলিনি। এবার নতুন চ্যালেঞ্জ, যেখানে জিতে ইতিহাস গড়তে চাই সবাই।’

বেলজিয়ামের ফুটবল ইতিহাস সমৃদ্ধ অনেক। ১৯৮৬ বিশ্বকাপে খেলেছে সেমিফাইনাল। গত আসরে পৌঁছে শেষ আটে। টানা ২৩ ম্যাচ অপরাজিত থাকায় ফিফা র্যাংকিংয়ে এখন তিনে। ১৯৯৮ সালে ফ্রান্স ও ২০১০-এ স্পেনের পর নতুন দল হিসেবে শিরোপাস্বপ্ন দেখতেই পারে বেলজিয়াম। তবে কোচ রবার্তো মার্তিনেস সবার আগে পেরোতে চান জাপান বাধা, ‘টেকনিক্যালি জাপানের ফুটবল অনেক শক্তিশালী। ৯০ মিনিট একইভাবে লড়াই চালিয়ে যাবে জাপান। ওরা ছেড়ে কথা বলবে না। আর জাপান জিতলে বিস্ময়েরও কিছু হবে না।’

ইতিহাসের দিকে তাকিয়েই মার্তিনেজের এমন সতর্কতা। দুই দলের পাঁচ দেখায় বেলজিয়াম জিতেছে শুধু এক ম্যাচ। সেটাও সবশেষ দেখায় গত বছর নভেম্বরে। রোমেলু লুকাকুর গোলে স্বস্তি নিয়ে মাঠ ছাড়ে বেলজিয়ামের সোনালি প্রজন্ম। ম্যাচের স্মৃতি ধূসর হয়নি মার্তিনেসের, ‘উপভোগ্য এক ম্যাচ খেলেছিলাম গত বছর। ওদের কোচ বদল হয়েছে কিন্তু মানসিকতা একই রয়েছে।’
বিশ্বকাপের মতো গত ইউরোয় ফেভারিট ছিল বেলজিয়াম। স্বপ্ন ভাঙে কোয়ার্টার ফাইনালে ওয়েলসের কাছে হেরে। ১৩ মিনিটের গোলে উড়ন্ত সূচনার পরও বিধ্বস্ত ১-৩ ব্যবধানে। এর পর থেকে সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে চূড়ায় উঠছে বেলজিয়াম। ১০ ম্যাচের বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে গ্রুপে হয়েছে চ্যাম্পিয়ন। পয়েন্ট হারিয়েছে মাত্র ২টি আর গোল ৪৩টি। প্রীতি ম্যাচে দাপট দেখানো বেলজিয়াম বিশ্বকাপ শুরু করে পানামাকে ৩-০ গোলে হারিয়ে।

এরপর তিউনিসিয়ার বিপক্ষে ৫-২ আর ইংল্যান্ডকে হারিয়েছে ১-০ গোলে। গ্রুপ পর্বে তেমন পরীক্ষায় পড়তে না হওয়াটা ভোগাতে পারে আজ। প্রতিপক্ষ জাপান হলেও মার্তিনেস সেরাটা খেলার কথা বললেন এ জন্যই, ‘এ ধরনের টুর্নামেন্টে সহজ কোনো অর্ধ নেই। গত ইউরোয় বলা হচ্ছিল বেলজিয়াম সহজ পথে পড়েছে অথচ আমরা হেরে যাই ওয়েলসের কাছে। কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল নিয়ে ভাবছি না, জাপানকে হারানোই লক্ষ্য এখন।’

বেলজিয়ামের উল্টো ছবি জাপানে। বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে নিজেদের গ্রুপে হারিয়েছে ১০ পয়েন্ট। গত ডিসেম্বরে ইস্ট এশিয়ান কাপে দক্ষিণ কোরিয়া বিধ্বস্ত করে ৪-১ গোলে। নিষ্প্রভ প্রস্তুতি ম্যাচগুলোতেও। প্যারাগুয়েকে ৪-২ গোলে হারানোটা ছিল ২০১৮ সালে তাদের প্রথম জয়। আগের কোচ বদলে নিয়োগ দেওয়া হয় আকিরো নিশিনোকে। গ্রুপে পোল্যান্ড আর কলম্বিয়া থাকায় জাপান ছিল আন্ডারগড। সেই জাপানের সূর্যোদয় বিশ্বকাপে। প্রথম ম্যাচেই হারিয়ে দেয় কলম্বিয়াকে, যা ছিল বিশ্বকাপে কোনো লাতিনের বিপক্ষে এশিয়ান দলের প্রথম জয়। সেনেগালের বিপক্ষে রোমাঞ্চকর ড্রর পর হার পোল্যান্ডের সঙ্গে। সেনেগালের সমান পয়েন্ট হলেও কম হলুদ কার্ডে শেষ ষোলোর পৃথিবীতে জাপান। বেলজিয়ামকে ভয় করে নামছেন না সেন্টার ব্যাক মায়া ইউসিদা, ‘লুকাকুকে থামাতে হবে আমাদের। আমি একাই পারব না, দল হয়ে থামাতে হবে। তেমনি দল হয়ে আক্রমণও করতে হবে। এটা করতে পারলেই সম্ভব প্রথমবার কোয়ার্টার ফাইনাল খেলা।’

দুই ম্যাচে চার গোল করা রোমেলু লুকাকু চোট পেয়েছিলেন সামান্য। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বিশ্রামে ছিলেন তাই। আজ শতভাগ ফিট হয়ে ফিরবেন তিনি। কোচ রবার্তো মার্তিনেজকে স্বস্তি দিচ্ছে অধিনায়ক ভিনসেন্ট কোম্পানি আর থমাস ভারমিউলেনের পুরো ফিট হয়ে ওঠা। সেরা তারকা এডেন হ্যাজার্ডও ছন্দে। দুটো অ্যাসিস্ট হয়ে গেছে কেভিন ডি ব্রুইনেরও। মার্তিনেস তাই স্বপ্ন দেখাচ্ছেন বেলজিয়ামকে, ‘নক আউটে সবাই ভয়ংকর, বিশ্বের সেরা ১৬ দল আছে এখানে। নিজেদের ওপর আস্থা আছে আমাদের। এত দিন যেভাবে খেলে এসেছি, সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে।’ তাহলেই সম্ভব বেলজিয়ামের অভ্যুদয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ব্রাজিল-মেক্সিকো : আজকের সম্ভাব্য একাদশ

খেলার খবর: কোয়ার্টার ফাইনালে যাবার লড়াইয়ে আজ রাতে মুখোমুখি হচ্ছে ব্রাজিল-মেক্সিকো। যদিও ইতিহাস ও ফর্ম বলছে, মেক্সিকোর সঙ্গে দ্বিতীয় রাউন্ডের বাধা পেরুতে ব্রাজিলের খুব একটা কষ্ট হওয়ার কথা নয়। কিন্তু এবারের বিশ্বকাপে ছোট দল আর বড় দলের মধ্যে খুব বেশি পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়নি। যার প্রমাণ গ্রুপ পর্বেই জাপানের কাছে হেরে বাদ যাওয়া গতবারের চ্যাম্পিয়ন জার্মানি। যারা এবারো বিশ্বকাপের বড় দাবিদার ছিল।

সামারায় আজ সোমবার বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে ব্রাজিল-মেক্সিকো।

বিশ্বকাপে এর আগে চার বার দেখা হয়েছিল ব্রাজিল-মেক্সিকোর। এর মধ্যে তিন বারই জিতেছে ব্রাজিল, একটি ড্র। খায়নি কোনো গোলও। মেক্সিকো নিয়মিত শেষ ষোলোতে উঠলেও সেখান থেকে বাদ পড়াটাই তাদের নিয়তি হয়ে গেছে। সেখান থেকে আজ তারা নতুন কিছু করে দেখাতে চায়। অন্যদিকে ব্রাজিলও তাদের জয়ের ধারা ধরে রাখতে চায়।

এবার দেখে নেওয়া যাক দুদলের আজকের একাদশ :

ব্রাজিল (৪-৩-৩): অ্যালিসন; ফাগনার, সিলভা, মিরান্ডা, লুইজ; পাওলিনহো, কৌতিনহো, কাসেমিরো; উইলিয়ান, হেসুস, নেইমার।

মেক্সিকো (৪-২-৩-১): ওচোয়া; সালসিদো, আয়ালা, গায়ার্দো, আলভারেজ; লায়ুন, গুয়ার্দাদো; ভেলা, হেরেরা, লোজানো; চিচারিতো।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনকে ‘অকল্পনীয়’ বললেন জাতিসংঘের মহাসচিব

দেশের খবর: বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া কয়েক লাখ রোহিঙ্গাদের দুর্দশার করুণ চিত্র স্বচক্ষে দেখতে কক্সবাজারের কুতুপালংয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস ও বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম। পরিদর্শনকালে রোহিঙ্গার মুখ থেকে হত্যা ও নির্যাতনের নানা বর্ণনা শুনছেন তারা।

রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পে ক্যাম্পে ঘোরার ফাঁকেই জাতিসংঘ মহাসচিব এক টুইটে বললেন তার অভিজ্ঞতার কথা।

তিনি লিখেছেন, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা এই রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে হত্যা আর ধর্ষণের যে বিবরণ তিনি শুনেছেন তা ‘অকল্পনীয়’। তারা বিচার চায়, নিরাপদে বাড়ি ফিরে যেতে চায়।

এ সময় রোহিঙ্গারা বলেন, নাগরিক হিসেবে পূর্ণ অধিকার ছাড়া মিয়ানমার কখনো রোহিঙ্গাদের জন্য নিরাপদ হবে না। তাই সব অধিকার নিয়েই আমরা নিজ দেশে ফিরে যেতে চাই।

এর আগে আজ সকাল ১১টার দিকে উখিয়ার বালুখালী ক্যাম্পে পৌঁছেছে তাদের গাড়িবহর। সেখানে নেমেই তারা প্রথমে ক্যাম্পের ট্রানজিট পয়েন্ট পরিদর্শন করেন। এরপর তারা কুতুপালং মেইন রোহিঙ্গা ক্যাম্প এবং নারীদের আলাদা আশ্রয়স্থল পরিদর্শন করেন।

রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি দেখতে দুই দিনের সফরে গত শনিবার ঢাকায় আসেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ও বিশ্ব ব্যাংক প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম। গতকাল রবিবার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন তারা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest