সর্বশেষ সংবাদ-
দেবহাটায় জাতীয় প্রাণি সম্পদ সপ্তাহ ও প্রাণি সম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধনসাতক্ষীরায় জাতীয় দৈনিক রুপালী বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনসাতক্ষীরার মিঠু খানের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করল বিএনপিকালিগঞ্জে পুকুরের পানিতে দুই শিশুর মৃত্যুদেবহাটায় ৪০ জন উপকার ভোগীর মাঝে ছাগল বিতরণদেবহাটার সরকারি কর্মকর্তা-সুধীজনদের সাথে ডিসির মতবিনিময়সাতক্ষীরার ১৮৫টি ভোটকেন্দ্রের স্কুল সংস্কারে বরাদ্দ প্রায় ৬৪ লাখ টাকাসাতক্ষীরা জেলা রোভারের ৪১ তম কোর্স ফর রোভারমেট এর মহাতাঁবু জলসাশ্যামনগরে বুনো শাকের রান্না প্রতিযোগিতাসাতক্ষীরায় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে রাস্তা সংস্কার কার্যক্রমের উদ্বোধন

সাতক্ষীরায় ১২ মাদক ব্যবসায়ীসহ আটক-৪৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা জেলাব্যাপী পুলিশের সন্ত্রাস, নাশকতা ও মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযানে ১২ মাদক ব্যবসায়ীসহ ৪৪ জনকে আটক করা হয়েছে।
রবিবার সন্ধ্যা থেকে সোমবার সকাল পযর্ন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এ সময় উদ্ধার করা হয়েছে বেশ কিছু মাদক দ্রব্য।
আটককৃতদের মধ্যে, সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ৬ জন, কলারোয়া থানা থেকে ৬ জন, তালা থানা ৩ জন, কালিগঞ্জ থানা ৫ জন, শ্যামনগর থানা ১৩ জন, আশাশুনি থানা ৬ জন, দেবহাটা থানা ৩ জন ও পাটকেলঘাটা থানা থেকে ২ জনকে আটক করা হয়।
সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতা ও মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
তালার কপোতাক্ষ পাড় থেকে নবজাতকের লাশ উদ্ধার

আসাদুজ্জামান : সাতক্ষীরার তালার কপোতাক্ষ নদের পাড় থেকে এক নবজাতকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার দুপুরে কপোতাক্ষ নদের তালা বাজার সংলগ্ন এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকালে তালা উপজেলা সদরের পুরাতন ফালগুনী সিনেমা হলের পিছনে বেড়িবাঁধ সংলগ্ন কালভার্টের নিচে একটি নবজাতকের রক্তাক্ত লাশ পলিথিনের উপর পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়া হয়। পরে তালা থানার ওসি (তদন্ত) কাজী মোঃ শহিদুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।
তালা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেহেদী রাসেল বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ময়না তদন্তের জন্য শিশুটির লাশ সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের তৈরি জ্যাকেট পড়বে যে দলগুলো

ন্যাশনাল ডেস্ক: স্বাগতিক রাশিয়াসহ মোট ৩২টি দল অংশ নিচ্ছে এবারের ফুটবল বিশ্বকাপে। আগামী ১৪ জুন মাঠে গড়াচ্ছে জমকালো এই আসর। ফুটবলের এই মহাযজ্ঞ শুরু হতে আর মাত্র বাকি ১৭ দিন। অন্যান্য দেশের মতো বাঙালিও মেতে উঠছে বিশ্বকাপ ফুটবলের উন্মাদনায়। তবে বিশ্বকাপ ফুটবলের সর্বোচ্চ আসরে হয়তো খেলার সৌভাগ্য হচ্ছে না বাংলাদেশের কিন্তু লাল-সবুজের দল বাংলাদেশ না থেকেও থাকবে লিওনেল মেসি, মেসুত ওজিল, আন্দ্রেস ইনিয়েস্তাদের সঙ্গে। বিশ্বের এই সেরা ফুটবলাররা পরবেন ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ লেখা জ্যাকেট।

রাশিয়া বিশ্বকাপে বাংলাদেশে তৈরি জ্যাকেট পরবেন বিশ্বের নামী ফুটবলাররা। এই জ্যাকেট তৈরি হয়েছে চট্টগ্রামের কেইপিজেডের ইয়াংওয়ানের অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী শু ইন্ডাস্ট্রিজের একটি কারখানায়। বাংলাদেশি শ্রমিকদের হাতেই তৈরি হয়েছে আর্জেন্টিনা, জার্মানি, স্পেন, বেলজিয়াম, কলম্বিয়া, মেক্সিকো, স্বাগতিক রাশিয়া দলের অফিশিয়াল জ্যাকেট। এই দেশগুলোর জ্যাকেট, জার্সিসহ অন্যান্য জিনিসপত্র সরবারহ করেছে খেলার সামগ্রী প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান অ্যাডিডাস। তবে বাংলাদেশ শুধুমাত্র জ্যাকেট তৈরি করে দিয়েছে অ্যাডিডাসকে।

এ ব্যাপারে দেশের একটি প্রথম সারির গণমাধ্যমে অ্যাডিডাস বাংলাদেশের মার্চেন্ডাইজার ব্যবস্থাপক এ এস এম রিফাত হক বলেন, অ্যাডিডাস আর্জেন্টিনা, জার্মানি, স্পেন, বেলজিয়াম, কলম্বিয়া, মেক্সিকো, স্বাগতিক রাশিয়া দলের অফিশিয়াল স্পনসর। সে সুবাদে বাংলাদেশে এই দলগুলোর কিছু জ্যাকেট তৈরি হয়েছে। এ ছাড়া জার্সি, মোজাসহ অন্যান্য সামগ্রী অন্যান্য দেশে তৈরি হয়েছে। অফিশিয়াল এই জ্যাকেট পরেই খেলার সময় সাইড বেঞ্চে থাকবেন ফুটবলার ও কর্মকর্তারা।

এসব জ্যাকেটের কলারের নিচে যে ট্যাগ লাগানো রয়েছে তার মধ্যে লিখা আছে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’। গত বছরের আগস্ট থেকে এই পোশাক তৈরি শুরু হয়। ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এসব পোশাকের জাহাজীকরণ শেষ হয়। অত্যন্ত গোপনীয়তার মাধ্যমে এসব কাজ করা হয়।

এই জ্যাকেটগুলোর কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যেমন চারবারের চ্যাম্পিয়ন জার্মান দলের জ্যাকেটের বাঁ পাশে চারটি তারকাচিহ্ন ও দুবারের চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা দলের জ্যাকেটের বাঁ পাশে দুটি তারকাচিহ্ন রয়েছে। একটি তারকাচিহ্ন রয়েছে স্পেনের জ্যাকেটেও।

দলগুলোর কাছে পৌঁছানোর আগে যেন এসব জ্যাকেট বাজারে না যায়, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো। শ্রমিক থেকে শুরু করে কোনো কর্মকর্তা এ বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ। তবে বিশ্বকাপের দলগুলোর পোশাক তৈরি করে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানটি খুব উচ্ছ্বাসিত।

কর্ণফুলী শু ইন্ডাস্ট্রিজের উপমহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন ও নিরাপত্তা) স্কোয়াড্রন লিডার (অব.) মো. শামসুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশ বিশ্বকাপে নেই। তবে বিশ্বকাপের অনেক ফুটবল দল এখানকার তৈরি পোশাক পরবে, সেটা অনেক গর্বের। ওই পোশাক আমাদের প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছে। আমাদের শ্রমিকেরাও যখন সেটা দেখবেন, তখন তাঁদেরও ভালো লাগবে।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
খালেদা জিয়ার জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল

ন্যাশনাল ডেস্ক: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কুমিল্লায় হত্যা ও নাশকতার দুই মামলায় হাইকোর্টের দেয়া ছয় মাসের জামিন স্থগিত চেয়ে চেম্বার আদালতে আপিল করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।

সোমবার দুপুরে এ আপিল আবেদন করা হয় বলে নিশ্চিত করেছে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়।

এর আগে বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি জেবিএম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদা জিয়ার জামিন আদেশ দিয়েছিলেন। তবে একই বেঞ্চ নড়াইলের মানহানির একটি মামলায় তার আবেদন খারিজ করেন।

এ আদেশের পর অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেছিলেন, আমি আজকের এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিলে যাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছি। পিটিশন রেডি হয়ে গেছে। অন্য ফরমালিটিজ শেষ হলে আজকেই চেম্বারে যাব।

উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে ৮ ফেব্রুয়ারি পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। সেই দিন থেকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন তিনি।

ওই মামলায় আপিলের পর খালেদা জিয়াকে চার মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট। এ আদেশের বিরুদ্ধে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে খালেদা জিয়ার জামিন স্থগিত হয়ে যায়। তবে গত ১৭ মে জামিন বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।

সর্বোচ্চ আদালতের এ রায়ের ফলে কারাবন্দি খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছিল। কিন্তু দেশের বিভিন্ন আদালতে নাশকতা ও মানহানির মামলায় তাকে শোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়েছে। ফলে মুক্তি পেতে হলে তাকে এসব মামলায় জামিন পেতে হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত কাউন্সিলর একরাম বদির বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন, মামলাও ছিল না

ন্যাশনাল ডেস্ক: টেকনাফ সীমান্তে শনিবার রাতে র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত টেকনাফ পৌরসভার কাউন্সিলর একরামুল হক (৪৬) ইয়াবার কারবারি ছিলেন না, বলছে এলাকার মানুষ। বরং তিনি স্থানীয় সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি ও শীর্ষস্থানীয় ইয়াবা কারবারিদের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন বলে এলাকার সাবেক একজন সংসদ সদস্য জানিয়েছেন। টেকনাফ থানার পুলিশ জানিয়েছে, কাউন্সিলর একরামুলের বিরুদ্ধে ইয়াবাসংক্রান্ত কোনো মামলা নেই। তিনি ইয়াবা কারবারি ছিলেন বলে তাঁদের কাছে কোনো তথ্য নেই। উপজেলার আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয় দলের নেতারাই বলছেন, একরামুল ইয়াবা কারবারি ছিলেন না, সেটা হলে তাঁরা জানতেন। তিনি অর্থনৈতিকভাবেও তেমন সচ্ছল ছিলেন না।

ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে আসার পর তিনবার নির্বাচিত এই কাউন্সিলরের নিহত হওয়ার ঘটনায় এলাকাবাসীর অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করে চলেছে। কোথাও ভুল হলো কি না সে সন্দেহ করছে অনেকে।

র‌্যাব একরামুলের নিহত হওয়ার বিষয়ে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত শীর্ষ মাদক কারবারি এবং ইয়াবার শীর্ষ গডফাদার। র‌্যাবের কক্সবাজারের কম্পানি কমান্ডার মেজর মো. রুহুল আমিন জানিয়েছেন, শনিবার দিবাগত রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মিঠাপানির ছড়া এলাকায় র‌্যাবের সঙ্গে এক বন্দুকযুদ্ধে একরামুল নিহত হন। পরে সেখান থেকে একটি বিদেশি রিভলবার, পাঁচটি গুলি ও ১০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

জানতে চাওয়া হলে টেকনাফ থানার ওসি রনজিত কুমার বড়ুয়া বলেন, ‘নিহত পৌর কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ইয়াবাসংক্রান্ত কোনো মামলা নেই। তবে একটি মদের মামলা ছিল, সেটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে।’ ওসি বলেন, ‘একরামুল ইয়াবা কারবারি ছিলেন মর্মে পুলিশের কাছে তেমন কোনো রেকর্ড নেই।’

টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মোহম্মদ আলী বলেন, ‘টেকনাফের রাজনীতির মাঠে এমপি বদির পরিবার ও সাবেক এমপি গণির পরিবারের দ্বন্দ্ব দীর্ঘকালের। নিহত একরামুল হক ছিলেন বরাবরই এমপি বদিসহ স্থানীয় ইয়াবা ডনদের বিরুদ্ধে সোচ্চার। এ কারণেই একরামুলের মৃত্যুকে সীমান্তের লোকজন সহজভাবে মেনে নিতে পারছে না।’

টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল বশর বলেন, ‘পৌর কাউন্সিলর একরাম অত্যন্ত স্বচ্ছতার মাধ্যমে জীবন যাপন করতেন। দলের প্রতি তাঁর আনুগত্য ছিল অত্যন্ত চমৎকার। তাঁর ইয়াবা কারবারে জড়িত থাকার কথা কোনো দিনই শুনিনি। তদুপরি অর্থনৈতিকভাবেও তিনি ছিলেন অত্যন্ত দুর্বল।’ টেকনাফ পৌর বিএনপির সভাপতি আবদুর রাজ্জাক মেম্বার বলেন, ‘একরামুল ইয়াবা কারবারে জড়িত থাকলে আমরা অবশ্যই জানতাম। কিন্তু কোনো দিন শুনিনি তিনি ইয়াবা কারবারে জড়িত ছিলেন।’

শনিবার রাতে বন্দুকযুদ্ধে টেকনাফ ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর একরামুল নিহত হওয়ার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। বলা হচ্ছে, ক্রসফায়ারের নামে ত্যাগী রাজনীতিকদের হত্যা করা হচ্ছে। এসব ত্যাগী রাজনীতিকরা সারা জীবন ইয়াবার বিরুদ্ধে এবং আবদুর রহমান বদির পরিবারের ইয়াবা কারবারিদের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করে আসছেন। অথচ এক দিন আগে এমপি আবদুর রহমান বদির বেয়াই আকতার কামাল মেম্বারের বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ার ঘটনায় ফেসবুকে ‘সঠিক সিদ্ধান্ত’ বলে অনেকে মন্তব্য করেছিলেন।

র‌্যাবের দেওয়া তথ্যে কাউন্সিলর একরামুলের বাবার নাম ও ঠিকানা না মেলায় অনেকে সন্দেহ করছে, নিরীহ লোক বন্দুকযুদ্ধের শিকার হলেন কি না! র‌্যাব নিহত কাউন্সিলরের বাবার নাম-মোজাহার মিয়া ওরফে আব্দুস সাত্তার এবং তিনি কক্সবাজার জেলার টেকনাফের নাজিরপাড়া এলাকার বাসিন্দা বলে জানিয়েছে। কিন্তু পরিবারের সদস্যরা জানায়, নিহত কাউন্সিলরের বাবার নাম আব্দুস সাত্তার এবং তিনি টেকনাফ পৌরসভার কাইয়ুকখালী (৩ নম্বর ওয়ার্ড) এলাকার বাসিন্দা। টেকনাফ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. শফিক মিয়া বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাদকের তালিকায় টেকনাফের মৌলভীপাড়া এলাকার একজন একরামুল হকের নাম তালিকাভুক্ত রয়েছে। তাঁর বাবার নাম ফজল আহমদ। র‌্যাব সম্ভবত সেই একরামুলের নামের মিল থাকায় একজন নিরীহ ব্যক্তিকে বন্দুকযুদ্ধের নামে হত্যা করেছে।’ শফিক মিয়া বলেন, তিনি একটানা ২১ বছর ধরে টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনকালে একরামুল ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং পরে আওয়ামী লীগে যোগদান করে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে রাজপথ কাঁপিয়েছেন। আজ এমন একজন রাজনৈতিক কর্মী ইয়াবার নামে খুনের শিকার হলেন। অথচ রাতারাতি কোটিপতি বনে যাওয়া অগণিত ইয়াবা কারবারি বহাল তবিয়তে রয়েছে। নিহত একরামুলের জ্যেঠাতো ভাই, স্থানীয় সাবেক এমপি আবদুল গনির ছেলে সাইফুদ্দিন খালেদ বলেন, ‘আমার চাচাতো ভাই একরামুল হক বাস্তবে ইয়াবার বিরুদ্ধেই সোচ্চার ছিলেন সব সময়। আমাদের পরিবারের সঙ্গে এমপি বদির পরিবারের সম্পর্কও মোটেই ভালো নেই। এ কারণেই আমার ভাই বলি হলেন কি না আমাদের সন্দেহ।’

সূত্র: কালের কণ্ঠ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ ইচিপ’র কার্যক্রম স্থগিত

সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ ইন্টার্ণ চিকিৎক পরিষদ(ইচিপ) এর কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। ২৪ মে’২০১৮ তারিখে বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন(বিএমএ) সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি ডাঃ আজিজুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক ডাঃ এস জেড আতীক স্বাক্ষরিত এক পত্রে অনিবার্য কারণ বশত গত ২২মে১৮ তারিখে গঠিত কমিটির কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করেছেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ইফতারে ফ্রুটস ফিরনি

স্বাস্থ্য ডেস্ক: ইফতারে বিভিন্ন আইটেমের সঙ্গে মিষ্টি জাতীয় কোনো রেসিপি যদি থাকে তবে তা মন্দ নয়।বিশেষ করে শিশুরা মিষ্টি খেতে পছন্দ করে। আর এই মিষ্টি জাতীয় রেসিপি যদি হয় ফিরনি তবে তো কথাই নেই।

ফিরনি তৈরি করুন সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের ফল দিন। খুব সহজেই তৈরি করতে পারেন পুষ্টিকর সুস্বাদু ফ্রুটস ফিরনি।

আসুন জেনে নেই কীভাবে তৈরি করবেন ফ্রুটস ফিরনি।

উপকরণ:

দুধ ১ লিটার, গুঁড়া দুধ ১কাপ, পোলাও-এর চাল আধা ভাঙ্গা ১/৪কাপ, সাগুদানা(১ঘণ্টা ভিজিয়ে ধুয়ে নিতে হবে) ১/৪ কাপ,কাজু বাদাম বাটা ১ টেবিল চামচ, এলাচ গুঁড়া ১চিমটি, কনডেন্স মিল্ক ১কাপ, ক্রিম ১কাপ,

পাকা আম কিউব করে কাটা ১কাপ, আপেল কিউব করে কাটা ১কাপ, কলা কিউব ১কাপ, লাল-সবুজ আঙ্গুর কিউব ১কাপ, জাফরান ১চিমটি,

মাওয়া ১/২কাপ, পেস্তা বাদাম বাটা ১টেবিল চামচ, পেস্তা বাদাম কুচি ১টেবিল চামচ, কাঠ বাদাম কুচি ১টেবিল চমচ।

প্রস্তুত প্রণালী:

তরল দুধের সাথে গুঁড়া দুধ, কনডেন্স মিল্ক মিশিয়ে জ্বাল দিতে হবে। ফুটে উঠলে বাদাম বাটা জাফরান, পোলাও-এর চাল ও সাগু দিয়ে নাড়তে হবে।

চাল সেদ্ধ হলে ক্রিম দিয়ে মিশ্রণটাকে অল্প ঠাণ্ডা করে কাটা ফল মিশিয়ে নামিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করতে হবে।

পছন্দমতো মৌসুমী ফল দিয়ে তৈরি করতে পারেন দারুণ মজার-স্বাস্থ্যকর ফ্রুটস ফিরনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
২৫ লাখ টাকায় এক জোড়া তরমুজ

ভিন্ন স্বাদের সংবাদ: সম্প্রতি জাপানে উন্নত জাতের একজোড়া তরমুজ বিক্রি হয়েছে ৩২ লাখ ইয়েন মূল্যে। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৪ লাখ ৭৬ হাজার টাকারও বেশি! কিন্তু এত ফল থাকতে তরমুজই কেন দামের হবে?

জাপানের সংস্কৃতিতে তরমুজ মানুষের খানদান প্রকাশ করে। ফলের মৌসুমে এ ধরনের দামি ফলের কেনা-বেচা শুরু হয় জাপানে। তখন উচ্চবিত্ত ক্রেতারাও সামাজিক অবস্থান ও সম্মানের জানান দিতে দামি ফল খুঁজে থাকেন। বিক্রেতারাও এই ক্রেতাদের কথা মাথায় রেখে দোকান সাজাতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ফল সংগ্রহ করেন।

উত্তর হক্কাইদোর সাপ্পোরো সেন্ট্রাল পাইকারি বাজারে মৌসুমের প্রথম ‘ইউবারি তরমুজ’ ওঠে। সেখানেই দামি তরজুম নিলামে ওঠে। স্থানীয় আরেকটি ফ্রুট প্যাকিং ফার্ম সর্বোচ্চ দাম হাঁকিয়ে কিনে নেয় এই বহুমূল্যের দুটো তরমুজ।

সেরা মানের ইউবারি তরমুজ সবচেয়ে ভালো স্মুথি বানানোর জন্যে। এই তরমুজের বৃন্তের আকৃতি থাকে ইংরেজি ‘টি’ অক্ষরটির মতো। এই তরমুজ সাধারণত অলংকৃত বাক্সে বিক্রি করা হয়। জাপানে অন্যান্য সাধারণ ফলের দামও তুলনামূলক অনেক বেশি। সেখানে একটি আপেল কিনতেই গড়ে ৩ ডলার গুনতে হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest