সর্বশেষ সংবাদ-
দেবহাটায় জাতীয় প্রাণি সম্পদ সপ্তাহ ও প্রাণি সম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধনসাতক্ষীরায় জাতীয় দৈনিক রুপালী বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনসাতক্ষীরার মিঠু খানের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করল বিএনপিকালিগঞ্জে পুকুরের পানিতে দুই শিশুর মৃত্যুদেবহাটায় ৪০ জন উপকার ভোগীর মাঝে ছাগল বিতরণদেবহাটার সরকারি কর্মকর্তা-সুধীজনদের সাথে ডিসির মতবিনিময়সাতক্ষীরার ১৮৫টি ভোটকেন্দ্রের স্কুল সংস্কারে বরাদ্দ প্রায় ৬৪ লাখ টাকাসাতক্ষীরা জেলা রোভারের ৪১ তম কোর্স ফর রোভারমেট এর মহাতাঁবু জলসাশ্যামনগরে বুনো শাকের রান্না প্রতিযোগিতাসাতক্ষীরায় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে রাস্তা সংস্কার কার্যক্রমের উদ্বোধন

মাদকবিরোধী ‘রাশ ড্রাইভে’ ৫২ জন আটক

ন্যাশনাল ডেস্ক: রাজধানীর মহাখালীর কড়াইল বস্তি ও কমলাপুরের মাদকবিরোধী অভিযানে মোট ৫২ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন ইউনিটের সমন্বিত একটি দল। আটককৃতদের মধ্যে কড়াইল বস্তির ৩০ জন ও টিটিপাড়ার ২২ জন মাদকব্যবসায়ী ও মাদকসেবী রয়েছে। ডিএমপির এই অভিযানকে ‘রাশ ড্রাইভ’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

শনিবার সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত চলে এই অভিযান।

অভিযান শেষে টিটিপাড়ায় এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, অভিযানে মহাখালী ও কমলাপুর থেকে মোট ৫২ জনকে আটক করা হয়েছে। এছাড়াও ৩০ হাজার পিস ইয়াবা ও ৪০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। পৃথক দুইটি অভিযানে এক হাজার করে ডিএমপির সদস্য, থানা পুলিশ, কাউন্টার টেররিজম এবং মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সদস্যরা অংশ নেন।

অভিযানের নামে কাউকে হয়রানি করা হচ্ছে কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আটকদের তথ্য যাচাই-বাছাই করে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া না গেলে তাদের ছেড়ে দেয়া হবে। কাউকেই হয়রানি করা হচ্ছে না।

অভিযানে মাদক বিক্রির কোনো গডফাদারকে ধরতে না পারার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘মাদক বিক্রির স্পটে গডফাদাররা থাকে না। তাদেরকে ধরতে সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ওপর নির্ভর করা হচ্ছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতেই তাদেরকে ধরা হবে। জঙ্গি নির্মূল করতে যেভাবে অভিযান চালানো হয়েছে, মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীদের বিরুদ্ধেও সেরকম অভিযান চলছে এবং তা অব্যাহত থাকবে। এর মাধ্যমে জঙ্গিবাদের মতো মাদককেও নির্মূল করা হবে। মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের জিরো টলারেন্স অবস্থান রয়েছে। এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।

এর আগে শুক্রবার সকাল থেকে শনিবার ভোর ৬ টা পর্যন্ত মোট ৭৪ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে ডিএমপি। এসময় তাদের কাছ থেকে ২ হাজার ২২৯ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৯৭১ গ্রাম হেরোইন, ৭ কেজি ৫২০ গ্রাম গাঁজা, ৩০০ বোতল ফেন্সিডিল ও ১৫ পিস নেশাজাতীয় ইনজেকশন উদ্ধার করা হয়।

এদিকে সারাদেশে র‍্যাব-পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযানে এবং বন্দুকযুদ্ধে শনিবার মধ্যরাত পর্যন্ত মোট ৬৪ জন মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
এগারো জেলায় বন্দুকযুদ্ধে পৌর কাউন্সিলরসহ নিহত ১১

ন্যাশনাল ডেস্ক: দেশের এগারোটি জেলায় মাদক বিরোধী অভিযানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে বন্দুকযুদ্ধে ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ ১১ জন নিহত হয়েছে। শনিবার দিবাগত রাতে বাগেরহাট, ঝিনাইদহ, মেহেরপুর, নোয়াখালী, চাঁদপুর, কুষ্টিয়া, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, খুলনা, ঠাকুরগাঁও ও টেকনাফে এসব ঘটনা ঘটে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
চোটে শঙ্কায় সালাহ-কারভাহালের বিশ্বকাপ!

স্পোর্টস ডেস্ক: বিশ্বকাপ শুরু হতে আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। তার আগে চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে গুরুতর চোটে পড়লেন লিভারপুল ফরোয়ার্ড মোহাম্মদ সালাহ। রিয়াল মাদ্রিদ অধিনায়ক সের্হিয়ো রামোসের টানে কাঁধে ব্যথা নিয়ে মাঠে পড়ে যান মিশরীয় ফরোয়ার্ড। অনেক চেষ্টা করেও আর মাঠে থাকতে পারেননি তিনি। কেঁদে ড্রেসিংরুমে ফিরতে হয়েছে তাকে।

এই মৌসুমে ৪৪ গোল করা সালাহ ছিলেন লিভারপুলের প্রাণভোমরা। কিয়েভে শনিবারের ফাইনালেও তিনিই ছিলেন ভরসা। অথচ মাত্র ৩০ মিনিট পরই তাকে মাঠ ছাড়তে হয় নির্মম এক ইনজুরিতে।

কিয়েভেও দারুণ পারফরম্যান্স করছিলেন সালাহ। কিন্তু আচমকা ইনজুরিতে বিদায় নিতে হয় প্রিমিয়ার লিগের গোল্ডেন বুট জয়ীকে।

২৫ মিনিটে স্পেনের ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে সামনে বল নিয়ে এগিয়ে যেতে চেয়েছিলেন সালাহ। কিন্তু রামোসের কঠিন চ্যালেঞ্জে আর পেরে ওঠেননি। তার হাত আটকা পড়ে রিয়াল অধিনায়কের হাতের মধ্যে। এরপর ভারসাম্য রক্ষা করতে পারেননি কেউ। দুজনেই মাটিতে পড়ে যান। কাঁধে হাত দিয়ে ব্যথায় কুঁকড়ে যান সালাহ। প্রায় ৫ মিনিট চেষ্টা করেও তার ব্যথা সারাতে পারেননি চিকিৎসকরা।

যেই রাতটা নিজের করে নেওয়ার কথা, সেই রাতে এমন ইনজুরিতে আবেগ লুকাতে পারেননি সালাহ। কেঁদে বুক ভাসিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। অ্যাডাম লালানা তার বদলি হয়ে মাঠে নামেন।

সালাহর ইনজুরির কয়েক মিনিট পর মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন রিয়ালের রাইট ব্যাক দানি কারভাহাল। হ্যামস্ট্রিংয়ের গুরুতর চোট নিয়ে স্পেনের জার্সিতে বিশ্বকাপ খেলা অনিশ্চিত হয়ে পড়ল তার।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ঈদে আবারো আফজাল-সুবর্ণা

বিনোদন ডেস্ক: দেশের টেলিভিশন নাটকের সবচেয়ে জনপ্রিয় জুটি আফজাল হোসেন ও সুবর্ণা মুস্তাফা দীর্ঘদিন পর আবারো একসঙ্গে অভিনয় করলেন। আসছে ঈদের জন্য নির্মিত একটি বিশেষ নাটকে জুটিবদ্ধ হয়ে অভিনয় করেছেন তারা দু’জন। নাটকে নূরুল আলমের চরিত্রে অভিনয় করেছেন আফজাল হোসেন। আর সুবর্ণা মুস্তাফাকে দেখা যাবে মহিলা ঘটকের চরিত্রে। বদরুল আনাম সৌদের রচনা এবং আরিফ খানের পরিচালনায় নির্মিত এই নাটকটির নাম ‘নূরুল আলমের বিয়ে’। ঈদের বিশেষ অনুষ্ঠানমালায় স্যাটেলাইট চ্যানেল এটিএন বাংলায় ঈদের পরদিন রাত ৮টা ৩০ মিনিটে প্রচার হবে নাটকটি।

নাটকে দেখা যাবে, নূরুল আলম দীর্ঘদিন ধরে বিপত্নিক। দুই ছেলে তার, দু’জনই থাকেন দেশের বাইরে। এর মাঝে কখনো কখনো নিজের একজন জীবনসঙ্গীর অভাব বোধ করলেও বয়সের কারণে কাউকে কখনো বলে উঠতে পারেননি কথাটা। আর বলবেনই বা কিভাবে? বয়স তো বেলাশেষে কম হলো না তার। কিন্তু এবার অস্ট্রেলিয়ার প্রবাসী ছেলে বেড়াতে এসে যাওয়ার সময় নূরুল আলমকে বলে বিয়ে করতে। মনে মনে অনেক খুশি হলেও অনেক অনিচ্ছা দেখায় বিয়ে করতে। তবে ছেলেকে বলে সে পুরো ব্যাপারটা ভেবে দেখবে।

ছেলে চলে যেতেই ঘটকের খোঁজ করেন নূরুল আলম। সেরা ঘটক চাই তার। কারণ নিজের জন্য যথাযথ স্ত্রী চান এবার। কেননা, আগের স্ত্রী বড়ই দজ্জাল ছিল। যতদিন বেঁচে ছিল জীবনটা তার জ্বালিয়ে পুড়িয়ে কয়লা করে দিয়েছিল। ঘটক আসে, মহিলা ঘটক। যদিও মহিলাকে একেবারেই পছন্দ হয় না নূরুল আলমের, কিন্তু কি আর করা? শহরের সেরা ঘটক বলে কথা। ঘটক জানতে চায় কেমন পাত্রী চাই নূরুল আলমের। নিজের কল্পনার সব রঙ মিশিয়ে পাত্রীর বর্ণনা দেন নূরুল আলম। খোঁজ শুরু হয় পাত্রীর। নূরুল আলম ও ঘটক একের পর এক কনে দেখে যায়, কিন্তু কোনোটাই পছন্দ হয় না নূরুল আলমের। কারো বয়স বেশি তো কারো কম। কেউ বেশি শান্ত কেউ আবার বড়ই মুখরা। এই পাত্রীর খোঁজে দিন পার করতে করতে এক সময় নূরুল আলম আবিষ্কার করেন, ঘটকেরই প্রেমে পড়ে গেছেন তিনি। কিন্তু সমস্যা হলো বলবেন কিভাবে? একে তো তার কল্পনার স্ত্রীর সঙ্গে কোনোই মিল নেই এই মহিলার, তার ওপর আবার ভীষণ দজ্জাল আর মুখরা। এমনকি তার প্রথম স্ত্রী, যে কি-না জীবনটা কয়লা করে দিয়েছিল তার, তার থেকেও ভয়ানক এই ঘটক মহিলা। নূরুল আলম বুঝে পান না কি করবেন তিনি, আর তার কপালটাই বা এমন কেন?

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আ. লীগে অনুপ্রবেশকারীদের তালিকা শেখ হাসিনার হাতে, ব্যবস্থা নিতে কমিটি

ন্যাশনাল ডেস্ক: ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশের অভিযোগ খোদ দলটির কেন্দ্রীয় নেতারাও করে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে। তারা অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে বেশ কয়েকবার বিব্রতবোধ করার কথা জানিয়েছেন। এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে একাদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরই মধ্যে অনুপ্রবেশকারীদের একটি তালিকা শেখ হাসিনার হাতে এসেছে। সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সাহায্যে সংগ্রহ করা তালিকাভুক্ত এসব ব্যক্তির নাম-পরিচয় যাচাই-বাছাইয়ের জন্য শেখ হাসিনা দায়িত্ব দিয়েছেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মণির নেতৃত্বে গঠিত ছয় সদস্যের কমিটিকে। এই কমিটি অনুপ্রবেশকারীদের বিষয়ে যাচাই-বাছাই করবে। আওয়ামী লীগের নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক নেতা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ক্ষমতাসীন দলের কেন্দ্রীয় নেতারা জানান, অনুপ্রবেশকারীরা আওয়ামী লীগের কোন নেতার সহায়তায় দলে ঢুকেছেন এবং কী পদ পেয়েছেন সেসব তথ্য যাছাই কমিটি খতিয়ে দেখবে। একই সঙ্গে খতিয়ে দেখা হবে, অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে বিএনপি-জামায়াত জোটের পক্ষ হয়ে জ্বালাও-পোড়াওয়ের অংশ নেওয়া অভিযোগসহ সুনির্দিষ্ট কোনও মামলা আছে কিনা। এছাড়া, এসব অনুপ্রবেশকারীর বিরুদ্ধে অতীতে আওয়ামী লীগ নেতাদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে কিনা সে বিষয়েও অনুসন্ধান চালাবে এই যাছাই কমিটি।

অনুপ্রবেশকারীরা আওয়ামী লীগে প্রকাশ্যে না গোপনে যোগ দিয়েছেন, তারা দলের ভাবমূর্তি ধ্বংস করছেন কিনা তা খতিয়ে দেখবে এই যাছাই কমিটি। পাশাপাশি অনুপ্রবেশকারীরা অবৈধ উপায়ে অর্জন করা অর্থ সম্পদ রক্ষা করা বা অর্থ সম্পদের মালিক হতে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন কিনা, তাও যাচাই-বাছাই করে চিহ্নিত করার জন্য যাছাই কমিটিকে দায়িত্ব দিয়েছেন দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা।

যাছাই কমিটির একজন সদস্য বলেন, ‘‘মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে গণভবনে কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে এক বৈঠকে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সারাদেশে কোথায় কোথায় সংগঠনের ভেতরে অনুপ্রবেশ ঘটেছে, সেই তথ্য আমি বের করে এনেছি। আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনগুলোয় এই সংখ্যা কত, সেই তথ্যও আমার কাছে আছে।’ এমন তথ্য দিয়েই দু’টি পাটের ব্যাগ থেকে দু’টি বই বের করে আমাদের দেখান আওয়ামী লীগ সভাপতি।’’

এই নেতা আরও বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী ওই সময় আরও বলেন, ‘এখানে অনুপ্রবেশকারীদের সব তথ্য উঠে এসেছে। এগুলো আবার যাচাই-বাছাই করা হবে। এরপরই অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।’ ওই সময় একজন কেন্দ্রীয় নেতা এই বইগুলো দেখতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেখতে হলে এখানে বসেই দেখতে হবে। নেওয়া যাবে না।’ তিনি এও বলেন, ‘অবশ্য, আমার কাছে সফট কপিও আছে।’ পরের দিন দীপু মণিকে প্রধান করে ছয় নারী নেতাকে অনুপ্রবেশকারীদের বিষয়ে যাচাই-বাছাইয়ের দায়িত্ব দেন শেখ হাসিনা।’’

দলীয় সূত্র জানায়, অনুপ্রবেশকারীরা আওয়ামী লীগের নাম ভাঙিয়ে কোনও অপরাধের সঙ্গে জড়িয়েছেন কিনা, দলের ভেতরে দ্বন্দ্ব-কোন্দলে তাদের ভূমিকা রয়েছে কিনা—গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন দেখে এসব যাচাই-বাছাই করতে নির্দেশ দিয়েছেন শেখ হাসিনা। গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট ধরে ও দলীয় যাছাই-বাছাই শেষ করে তাদের ছাঁটাই করা হবে। অনুপ্রবেশকারী এসব নেতার বিরুদ্ধে মামলা থাকলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান দলের একজন কেন্দ্রীয় নেতা।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে যাছাই কমিটির দুই নেতা বলেন, ‘যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
গ্যারেথ বেল যাদুতে রিয়ালের টানা তৃতীয় শিরোপা জয়

স্পোর্টস ডেস্ক: এক গ্যারেথ বেলই লিভারপুলকে তছনছ করে দিলেন। তারই জোড়া গোলে অলরেডদের ৩-১ গোলে হারিয়ে টানা তিন মৌসুম উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা জিতলো স্প্যানিশ রয়্যাল রিয়াল মাদ্রিদ।  এটি তাদের ১৩তম চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা।

এরফলে ব্যক্তিগত শিরোপার আধিক্যে এগিয়ে গেলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোও। ক্যারিয়ারের ৫ম চ্যাম্পিয়ন লিগ জিতলেন এই পর্তুগিজ উইঙ্গার। এরআগে ২০০০৯ সালে ম্যানইউর হয়ে জেতার পর ২০১৪, ২০১৬ ও ২০১৭ সালে রিয়ালের হয়ে আরও তিনটি শিরোপা জিতেছিন।

এরআগে শনিবার (২৬মে) কিয়েভে প্রথমার্ধের শুরু থেকে ঘরের মাঠের মতোই দাপুটে খেলা উপহার দিতে থাকে লিভারপুল। মুহুর্মুহু আক্রমনে কাঁপিয়ে তুলেছে রিয়ালের রক্ষণ। কিন্তু ফাঁটল ধরাতে পারেনি একবারও।  তবে ২৪ মিনিটে প্রায় পেরেছিলো। জেমস মিলনারের এগিয়ে দেয়া বল ফার্মিনহো জালে শট নিলে তা ডিফেণ্ডারের গায়ে লেগে ফিরে যায়। ফিরে আসা বলটি আলেক্সান্ডার আর্নল্ড মাটি কামরানো শটে জালে পাঠাতে চাইলে তা ঝাঁপিয়ে পড়ে বাহুবন্দি করেন কেইলর নাভাস।

১৪ মিনিটে  সুযোগ এসেছিলো রিয়াল শিবিরেও। টনি ক্রুসের বাড়ানো বল থেকে গোলবারের ডান দিক দিয়ে যেয়ে গতিময় শট নিয়েছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। কিন্তু বলটি গোলবারে কিছুটা উপর দিয়ে বল চলে গেলে এই যাত্রায় বেঁচে যায় ইয়র্গেন ক্লপের শিষ্যরা।

২৬ মিনিটে ম্যাচে নেমে আসে স্থবিরতা। রিয়াল ও লিভারপুলের স্কোর লাইন তখন ০-০।  মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে রিয়াল গোলবারের দিকে ছুটছিলেন সালাহ। তার পা থেকে বল নিতে সার্জিও রামোস তার ডান হাত ধরে একই সমান্তরালে ছুটলে এক সময় ভারসাম্য হারিয়ে পড়ে যান  এই নন্দিত লিভারপুল স্ট্রাইকার।

পড়ে গিয়ে বেশ কিছুক্ষণ কাতরানোর পর ফিজিও এসে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে মাঠের বাইরে নিয়ে যান। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সান্তনা পেয়ে বহুদিনের বহুযত্নে লালিত স্বপ্ন ভঙ্গের বেদনা নিয়ে কাঁদতে কাঁদতে মাঠ  ছেড়ে বেরিয়ে যান।

১০ মিনিট যেতে না যেতেই হ্যামস্ট্রিংয়ের ইনজুরিতে পরে মাঠ থেকে বেরিয়ে যান রিয়ালের রাইটব্যাক ড্যানি কারবাহাল।

প্রথমার্ধের একেবারে শেষে এগিয়ে যাওয়ার আরেকটি সুযোগ পেয়েছিল রিয়াল। অলেরেডদের গোলবারের একেবারে সামনে থেকে রোনালদোর হেড থেকে করিম বেঞ্জেমা পোস্টে বল থেলে দেন। কিন্তু রেফারি ফ্ল্যাগ তুলে জানিয়ে দেন, অফসাইড ছিলো।

ফলে গোলশূণ্য সমতা নিয়েই প্রথমার্ধ শেষে মাঠ ছাড়ে দুই দল।

দ্বিতীয়ার্ধে এসে জাল খুঁহে পায় দু’দলই। ৫১ মিনিটে লিভারপুল গোলরক্ষকের হেয়ালিপনার সুযোগ শতভাগ কাজে লাগিয়ে হোয়াইটদের ১-০ তে এগিয়ে দেন করিম বেঞ্জেমা। মাথায় হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়েন অলরেডদের হাজার হাজার সমর্থক।

তবে তাদের সেই হতাসাকে উ‍ৎসবে রুপ দিতে খুব বেশি সময় নেয়নি লিভারপুল। ৫৫ মিনিটে জেমস মিলনারের কর্ণার কিক থেকে দিহান লোভরেন হেড দিয়ে সাদিও মানের কাছে বল দিলে গোলপোস্টের একেবারে সামনে থেকে তা পা বাড়িয়ে জালে জড়িয়ে ম্যাচে ১-১ সমকা আনেন।

অবশ্য সমতাটি খুব বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি লিভারপুল। ৬৩ মিনিটে মার্সেলোর ক্রস থেকে বাইসাইকেল শটে গোল করে রিয়ালকে ২-১ এ ব্যবধান এনে দেন গ্যারেথ বেল।

রিয়ালের তৃতীয় গোলটিও আসে বেলের প‍া থেকে। ৮৩ মিনিটে ৩০ মিটার দুরে থেকে তার নেয়া শট গোলরক্ষকের হাত ফসকে গেলে ম্যাচ ৩-১ ব্যবধানে পিছিয়ে ম্যাচ থেকেই ছিটকে যায় লিভারপুল।

আর লিভারপুল মাঠ ছাড়ে ১৩ তম চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা জয়ের উল্লাসে মেতে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বাটলার-বেসের ফিফটিতে ইংল্যান্ডের প্রতিরোধ

স্পোর্টস ডেস্ক: দ্বিতীয় ইনিংসেও শুরুতেই ভেঙে পড়েছিল ইংল্যান্ডের ব্যাটিং লাইনআপ। তবে জস বাটলার ও ডোমিনিক বেসের ফিফটিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রতিরোধ গড়েছে তারা।

তাতে লিড নিলেও হারের শঙ্কা কাটাতে পারেনি ইংল্যান্ড। ৪ উইকেট হাতে রেখে ৫৬ রানে দ্বিতীয় ইনিংসে এগিয়ে স্বাগতিকরা।

প্রথম ইনিংসে ১৮৪ রান ইংল্যান্ডকে অলআউট করার পর পাকিস্তান করে ৩৬৩ রান। ১৭৯ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস খেলতে নেমে ইংলিশরা করে ৬ উইকেটে ২৩৫ রান।

৮ উইকেটে ৩৫০ রানে শনিবারের খেলা শুরু করেছিল পাকিস্তান। ১৩ রান করতেই বাকি দুই উইকেট হারায় তারা।

ইংল্যান্ডের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট নেন বেন স্টোকস ও জিমি অ্যান্ডারসন। দুটি পান মার্ক উড।

বেশ বড় লিড নিয়ে পাকিস্তানের বোলাররা ১১০ রানের মধ্যে ইংল্যান্ডের ৬ উইকেট তুলে নেন। তবে বাটলার ও বেসের অপরাজিত ১২৫ রানের জুটিতে শুরুর এই লজ্জা কাটিয়ে ওঠে স্বাগতিকরা। বাটলার ৬৬ ও বেস ৫৫ রানে অপরাজিত ছিলেন।

তার আগে অধিনায়ক জো রুট ৬৮ রানের ধীর ইনিংস খেলেন।

পাকিস্তানের পক্ষে মোহাম্মদ আমির, মোহাম্মদ আব্বাস ও শাদাব খান দুটি করে উইকেট নেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
‘বন্দুকযুদ্ধে’ যুবলীগ নেতা পৌর কাউন্সিলর নিহত

ন্যাশনাল ডেস্ক: কক্সবাজারের টেকনাফে মেরিন ড্রাইভ সড়কের নোখায়ালিয়া পাড়ায় “বন্দুকযুদ্ধে” নিহত যুবকের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।

শনিবার দিনগত রাত সাড়ে ১২ টায় কক্সবাজার- টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কে নোয়াখালিয়াপাড়ায় ওই ঘটনা ঘটে। ওই সময় মরদেহের পাশ থেকে একটি পিস্তল, একটি এলজি, ৬ রাউন্ড গুলি এবং ৭ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানায়, নিহত যুবক টেকনাফ পৌরসভার কাউন্সিলর একরামুল হক (৪৬)। একরাম টেকনাফ পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের খায়ুকখালীপাড়ার পরপর তিনবার নির্বাচিত কাউন্সিলর। এছাড়াও তিনি টেকনাফ উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও টেকনাফ বাস স্টেশন ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি এবং টেকনাফ মাইক্রো শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক আহবায়ক। তার বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের একটি ইয়াবা মামলা রয়েছে।

র‌্যাব সূত্র জানায়, একরাম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত শীর্ষ ইয়াবা পাচারকারী। ঢাকা শহরে তার বাড়ি-গাড়ি রয়েছে।

রাতের অন্ধকারে নোয়াখালিয়া পাড়া থেকে একটি ইয়াবার চালান কক্সবাজার শহরে যাওয়ার কথা ছিল। এমন তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব মেরিন ড্রাইভে অবস্থান নেয়। কিন্তু র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে ইয়াবা পাচারকারীরা র‌্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। র‌্যাবও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। এক পর‌্যায়ে পাচারকারীদল পিছু হটে। পরিস্থিতি শান্ত হলে সেখানে এক যুবকের মৃতদেহ দেখতে পায়।

র‌্যাব ৭ এর কক্সবাজার ক্যাম্প কমান্ডার মেজর রুহুল আমিন বলেন, ঘটনাস্থল থেকে ১ টি পিস্তল, ১ টি এলজি, ৬ রাউন্ড গুলি এবং ইয়াবা ভর্তি কিছু প্যাকেট উদ্ধার করা হয়।

টেকনাফ থানার ওসি রনজিৎ বড়ুয়া বলেন, নোয়াখালিয়াপাড়ায় বন্দুকযুদ্ধের খবর পুলিশ পৌঁছালে একজনের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে। পরে এলাকাবাসীর সহায়তায় এটি পৌর কাউন্সিলর একরামের মরদেহ বলে সনাক্ত করা হয়।

তিনি আরও বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, একটি এলজি, ৬ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest