সর্বশেষ সংবাদ-
দেবহাটায় জাতীয় প্রাণি সম্পদ সপ্তাহ ও প্রাণি সম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধনসাতক্ষীরায় জাতীয় দৈনিক রুপালী বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনসাতক্ষীরার মিঠু খানের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করল বিএনপিকালিগঞ্জে পুকুরের পানিতে দুই শিশুর মৃত্যুদেবহাটায় ৪০ জন উপকার ভোগীর মাঝে ছাগল বিতরণদেবহাটার সরকারি কর্মকর্তা-সুধীজনদের সাথে ডিসির মতবিনিময়সাতক্ষীরার ১৮৫টি ভোটকেন্দ্রের স্কুল সংস্কারে বরাদ্দ প্রায় ৬৪ লাখ টাকাসাতক্ষীরা জেলা রোভারের ৪১ তম কোর্স ফর রোভারমেট এর মহাতাঁবু জলসাশ্যামনগরে বুনো শাকের রান্না প্রতিযোগিতাসাতক্ষীরায় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে রাস্তা সংস্কার কার্যক্রমের উদ্বোধন

পৃথিবীর হয়ে যুক্তরাষ্ট্র সিদ্ধান্ত নেবে না, রুহানির হুঙ্কার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পরমাণু ইস্যুতে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান। চলছে পাল্টাপাল্টি হুমকি। আর তারই জের ধরে ইরান স্পষ্ট জানিয়ে দিল, যুক্তরাষ্ট্রের কোনো নতুন শর্ত মানবে না তেহরান।

ইরানের সঙ্গে হওয়া পরমাণু চুক্তি থেকে চলতি মাসের শুরুর দিকেই বেরিয়ে এসেছিল যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটনের এই একতরফা চুক্তিভঙ্গের তীব্র নিন্দায় সরব হয়েছিল তেহরান। সমালোচনা শোনা গিয়েছিল ওই চুক্তির অন্য অংশীদার রাষ্ট্রগুলোর মুখেও।

তবে সোমবার যুক্তরাষ্ট্র জানায়, ইরানের সঙ্গে নতুন করে পরমাণু চুক্তি হতে পারে। কিন্তু তার জন্য ১২টি নতুন শর্ত ইরানকে মানতে হবে বলে মার্কিন পররাষ্ট্র সচিব মাইক পম্পেও ঘোষণা করেন। তার পরেই কঠোর বয়ান দিয়েছে ইরান। প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি নিজেই জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের চাপানো আর কোনো নতুন শর্ত ইরান মানবে না ইরান।

যুক্তরাষ্ট্রের ‘একাধিপত্য’ আর মানবে না পৃথিবী, মন্তব্য করেছেন প্রেসিডেন্ট রুহানি। তিনি বলেছেন, গোটা পৃথিবীর হয়ে সব সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রই নেবে, সে যুগ শেষ হয়ে গেছে।

প্রেসিডেন্ট রুহানির কথায়, ‘‘সব দেশই স্বাধীন…। আমাদের জাতির সমর্থনে বলীয়ান হয়ে আমরা নিজেদের পথেই চলব।’’

যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে ইরানের প্রেসিডেন্টের প্রশ্ন, ‘‘ইরানের হয়ে এবং গোটা পৃথিবীর হয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার তোমরা কে?’’

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। ইরান ও যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ব্রিটেন ও রাশিয়া ওই চুক্তির অংশীদার ছিল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আওয়ামীলীগের নতুন ভবনের কাজ শেষ, উদ্বোধনের অপেক্ষা

ন্যাশনাল ডেস্ক: এশিয়ার ঐতিহ্যবাহী পুরনো ও বৃহৎ দল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নতুন ভবনের কাজ শেষ। এখন অপেক্ষা উদ্বোধনের। জানা গেছে, আসন্ন ২৩ জুন দলটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিনে এ অফিস উদ্বোধন করবেন দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার সকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নতুন এ অফিস ভবন পরিদর্শন করেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। এ সময় তারা ভবনের বিভিন্ন ফ্লোর ঘুরে দেখেন এবং নির্মাণসংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেন।

আওয়ামী লীগ কার্যালয় ঘুরে দেখা গেছে, আরও সপ্তাহখানেক আগেই মূল ভবনের কাজ শেষ হয়েছে। এখন চলছে শোভাবর্ধনের কাজ। ভবনের সামনে দলের নাম ও প্রতীকও স্থাপন করা হয়েছে। ভেতরের টুকিটাকি সাজগোজের কাজ চলছে এখন।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ জানিয়েছেন, দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিন ২৩ জুন কার্যালয় উদ্বোধনের সম্ভাব্য দিন ঠিক করা হয়েছে।

ভবনের গায়ে ফুটন্ত ফুলের মতো টেরাকোটায় ফুটে উঠবে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি। তার পাশেই ইতিহাসের প্রতিচ্ছবি মনে করিয়ে দেবে ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারির সেই দৃশ্য। ভবনের দেয়ালে ভেসে থাকবে বিশ্ব ঐতিহ্যের সেই প্রামাণ্য দলিল, রাজনীতির কবির সেই বজ্রকণ্ঠের উদ্ভাসিত জনস্রোতের চিত্র।

ভবনটির প্রবেশ মুখে দেখা যাবে চলন্ত নৌকা। তার পাশেই দেয়ালে স্মৃতিচিহ্নের মতো স্মরণীয় হয়ে থাকবে দেশের রাজনীতির ইতিহাসের এক কালো দিন।ভবনটির একপাশে লেখা থাকবে স্বাধীনতা সংগ্রামের মধ্যদিয়ে অর্জিত ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’, ‘জাতীয়তাবাদ’, ‘গণতন্ত্র’ ও ‘সমাজতন্ত্র’ এই চারমূল নীতির রক্তাক্ত শপথ। ভবনের প্রতিটি তলায় থাকবে ইতিহাস-ঐতিহ্যের নানা চিহ্ন।

আটষট্টি বছর বয়সের এক রাজনৈতিক দলের প্রাণকেন্দ্র এই ভবন। রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের এই ঠিকানায় দলটির কেন্দ্রীয় কার্যক্রম শুরু হয় ৩৭ বছর আগে। ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে শেখ হাসিনা দেশের ফেরার পর পুরনো ভবনের এই জায়গাটিতে কেন্দ্রীয় কার্যালয় স্থাপন করা হয়।

২০১৭ সালের ২৩ জুন দলের ৬৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিনে ভবনটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চলতি বছরের দলের ৬৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে নতুন এই ভবনের উদ্বোধন করার পরিকল্পনা রয়েছে।

ভবনটির প্রবেশমুখের বামপাশে লেখা থাকবে ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’, ‘জাতীয়তাবাদ’, ‘গণতন্ত্র’, ‘সমাজতন্ত্র’- এই চার মূলনীতি। তার পাশে দেয়ালে মাটি অথবা টাইলসে খোঁচিত হবেন নারীনেত্রী আইভী রহমান। ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা নিহত হওয়া এই নারীনেত্রীর স্মৃতিচিহ্নই এটি। ভবনে প্রবেশ মুখ থেকে যে দেয়ালটি দেখা যাবে সেখানে বাংলাদেশের মানচিত্র খোঁচিত হওয়ার কথা রয়েছে।

আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, দলের নিজস্ব ফান্ড থেকে ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিতব্য বিশ্বমানের ভবনটি সামনের দু’পাশের দেয়াল কাচ দিয়ে ঘেরা থাকবে। আর মাঝখানে সিরামিকসের ইটের বন্ধনে গড়ে উঠবে। এর সামনের দেয়ালজুড়ে দলের সাইনবোর্ডসহ দলীয় স্লোগান ‘জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু’, চার মূলনীতি, ভাষা আন্দোলন’৫২, মুক্তিযুদ্ধ’৭১ প্রভৃতি শব্দ খোদাই করে লেখা থাকবে। ভবনের সামনে-পেছনে হবে ফুলের বাগান।

জানা গেছে, ১০তলা বিশিষ্ট এ ভবনে চার ও পাঁচতলায় থাকবে আওয়ামী লীগের সহযোগী অঙ্গ-সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিমসহ সমমনা অন্যান্য সংগঠনের কার্যালয়। সাত, আট ও নয়তলায় দলীয় সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক, বিষয়ভিত্তিক সম্পাদকসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের কক্ষ থাকবে।

ভবনের বিভিন্ন তলায় থাকবে ডিজিটাল লাইব্রেরি, সেমিনার রুম এবং সাংবাদিক লাউঞ্জ। আধুনিক প্রযুক্তিতে নির্মিতব্য ভবনটিতে থাকবে দুটি স্বতন্ত্র কারপার্কিং, একাধিক লিফট, সিঁড়ি, কারলিফটসহ ভূমিকম্প ও অগ্নিপ্রতিরোধ ব্যবস্থা। ভবনের ছাদে থাকবে হেলিপ্যাড, যেখানে সরাসরি হেলিকপ্টার অবতরণ করতে পারবে।

আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মাহবুব উলআলম হানিফ বলেন, আমরা আশা করছি, ২৩ জুন দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে দলীয় সভাপতি আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন ভবনটির কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ইথোফেন দিয়ে আম পাকালে স্বাস্থ্যঝুঁকি নেই

স্বাস্থ্য ডেস্ক: ইথোফেন দিয়ে ফল পাকালে তাতে স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে বলে সম্প্রতি বাজারে অভিযান চালিয়ে কয়েক হাজার মণ আম ও কলা ধ্বংস করা হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ (বিএফএসএ) বলেছে, এতে কোনো প্রকার স্বাস্থ্যঝুঁকি নেই। যারা এটাকে সমস্যা মনে করে ফলমূল ধ্বংস করছে তাদের কাছে প্রকৃত তথ্য নেই বলেও জানায় প্রতিষ্ঠানটি।

গতকাল বুধবার রাজধানীর বিজ মিলনায়তনে বিএফএসএ আয়োজিত ‘মৌসুমি ফল পাকাতে বিভিন্ন রাসায়নিকের ব্যবহার ও জনস্বাস্থ্য’ শীর্ষক এক কর্মশালায় এ দাবি করা হয়। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বিএফএসএর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাহফুজুল হক। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল রউফ মামুন। বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ড. শাহ মনির, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের পরিচালক (পুষ্টি) ড. মো. মনিরুল ইসলাম, একই প্রতিষ্ঠানের হর্টিকালচার বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক শাহ মো. আকরামুল হক, বারির প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মনোরঞ্জন ধর, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি (অপারেশন) শাহেদ আলম, বিএসটিআইএর সহকারী পরিচালক এ এস এম আবু সাইদ, ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবীর ভুইয়া, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের আব্দুর রশিদ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা এবং বিএফএসএর ফুড ইন্সপেক্টর কামরুল হাসান প্রমুখ।

কর্মশালায় বিজ্ঞানভিত্তিক তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখানো হয়, ইথোফেন আসলে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়। প্রবন্ধে সারা বিশ্বে ইথোফেনের মাধ্যমে ফল পাকানোর বহু তথ্য তুলে ধরা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে যেভাবে ফল ধ্বংস করা হচ্ছে সেটা মূলত ইথোফেন সম্পর্কে সঠিক তথ্য না জানার কারণেই করা হচ্ছে। পাশাপাশি ইথোফেন ফরমালিনের চেয়েও ক্ষতিকর এ তথ্যও সঠিক নয় বলে দাবি করা হয়েছে।

মোহাম্মদ মাহফুজুল হক বলেন, “ফল পাকাতে নির্দিষ্ট মাত্রায় ইথোফেন ব্যবহার বৈধ। এটি ব্যবহার করার ফলে এর কোনো ‘রেসিডিউয়াল ইফেক্ট’ থাকে না, তাই ক্ষতি নেই। কার্বাইড ব্যবহারেও কোনো ক্ষতি নেই, যদি সেটা ফুড গ্রেডের (খাদ্য উপযোগী) হয়। তবে বাংলাদেশে ইন্ডাস্ট্রিয়াল কার্বাইড ব্যবহার করা হয়, যা নিম্নমানের। ফুড গ্রেডের কার্বাইডের ব্যবহার দেখা যায় না, কারণ তা অনেক ব্যয়বহুল। যে কারণে কার্বাইড সরকার নিষিদ্ধ করেছে।” ড. মো. ইকবাল রউফ মামুন বিভিন্ন গবেষণার প্রতিবেদন এবং ইথোফেনের বৈজ্ঞানিক কাঠামো বর্ণনা করে বলেন, ‘ফল পরিপক্ব হয়ে যখন পাকতে শুরু করে তখন প্রাকৃতিকভাবেই ইথোফেন তৈরি হয়। এই ইথোফেনই ফল পাকায়। এর বিক্রিয়ার কারণেই ফলের রং পরিবর্তন হয়, ফলে ঘ্রাণ তৈরি হয়। সারা বিশ্বেই নির্দিষ্ট চেম্বারে ইথোফেন ব্যবহার করে ফল পাকানো হয়। যার কোনো স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি নেই।’

অনুষ্ঠানে পুলিশের প্রতিনিধি শাহেদ আলম এবং বিএসটিআইএর সহকারী পরিচালক এ এস এম আবু সাইদ স্বীকার করেন, তাঁরা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করলেও ইথোফেন নিয়ে তাঁদের সঠিক ধারণা নেই। এ বিষয়ে তাঁদের আরো বেশি প্রশিক্ষণ দরকার বলে জানান তাঁরা। বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘যে আমগুলো ধ্বংস করা হচ্ছে সেগুলোর আঁটিই শক্ত হয়নি। কেমিক্যাল দিয়ে পাকিয়ে বাজারে এনেছেন ব্যবসায়ীরা। নিরাপদ খাদ্য আইনে আছে, ফলে ক্যালসিয়াম কার্বাইড ব্যবহার করা যাবে না। আর ইথোফেনের ক্ষেত্রে কেউ বলেন, এটা বেশি ক্ষতিকারক না, কেউ বলেন ক্ষতিকারক।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জনপ্রিয় প্রার্থীর খোঁজে আ’লীগ; সাতক্ষীরা-৩ ও ৪সহ ১০০ আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত

* ২০০ আসনের তালিকা নিয়ে কাজ চলছে, ঈদের পর চূড়ান্ত  * বাদ পড়ার শঙ্কায় অনেক প্রভাবশালী এমপি ও নেতা

ন্যাশনাল ডেস্ক: দশম সংসদের ২৩৪ দলীয় এমপি থেকে সাতক্ষীরা-৩, সাতক্ষীরা-৪ আসনসহ ১০০ প্রভাবশালী, ত্যাগী ও জনপ্রিয় নেতার নাম ফের মনোনয়নের জন্য স্থির করেছে আওয়ামী লীগ। আরও ৫০ এমপির আমলনামা যাচাই-বাছাই শেষে মনোনীতদের তালিকায় স্থান দেবেন দলের হাইকমান্ড।

বাকিদের ভাগ্যে একাদশ জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়ন জুটছে না বলেই আভাস দিচ্ছেন ক্ষমতাসীন পার্টির নীতিনির্ধারকরা। দল ও সরকারের ইমেজ ক্ষুণ্ণকারীরা আছেন বাদ পড়ার তালিকায়। এসব আসনে সন্ধান করা হচ্ছে নতুন মুখ।

এছাড়া অন্যান্য ও জোট বন্ধুদের ৬৬ আসনেও বরাবরের মতো দলীয় প্রার্থী দেবে শাসক দল। অক্টোবরের আগেই ৩০০ আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত হবে। সংসদ নির্বাচনের তফসিলের পরপরই প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হবে।

আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের একাধিক সদস্যের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবার ‘গডফাদার’ ও ‘জনবিচ্ছিন্ন’ সংসদ সদস্যদের মনোনয়ন না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যেসব এমপির বিরুদ্ধে এলাকায় খুন, দুর্নীতি, মাদক ব্যবসা, ঋণ খেলাপি, টেন্ডার-চাঁদাবাজিসহ দখলদারিত্বের মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে তারা কেউ মনোনয়ন পাবেন না।

এ ধরনের বিতর্কিত এমপি শনাক্তে সরকারি ও বেসরকারি কয়েকটি সংস্থা কাজ করছে। অনেকের রিপোর্ট এখন প্রধানমন্ত্রীর হাতে। এর বাইরেও দলের সাংগঠনিক সফরে থাকা ১৫টি টিমের হালনাগাদ তথ্যও সংযোজিত হচ্ছে মূল তালিকায়। দলীয় সভাপতির নির্দেশে সাংগঠনিক সম্পাদকরা ও কয়েকটি বিশেষ টিম আসন ধরে ধরে প্রার্থীদের বায়োডাটা সংগ্রহ করছেন। সেগুলো পর্যালোচনা করে তালিকা তৈরি হচ্ছে।

তারা আরও বলেন, ইতিমধ্যে অভিযুক্তদের তালিকার কাজ শেষ হয়েছে। অভিযুক্তদের অনেকেই আইনের আওতায় আছেন। বাকিদের বিরুদ্ধেও আইনি প্রক্রিয়া চলছে। বিতর্কিতদের অধিকাংশই আইনি জটিলতায় বাদ পড়বেন। চাইলেও তাদের মনোনয়ন দেয়া সম্ভব হবে না। সেক্ষেত্রে বর্তমান সংসদের কমপক্ষে ১০০ এমপি বাদ পড়ার তালিকায় আছেন বলেও জানায় আওয়ামী লীগের এ নির্ভরযোগ্য সূত্রটি।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ সংসদীয় মনোনয়নের বোর্ডের অন্যতম সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ বুধবার বলেন, আমরা ১০০’র মতো আসনে এমপি প্রার্থী চূড়ান্ত করেছি। এসব আসনে মনোনীত প্রার্থীদের গ্রিন সিগন্যাল দিয়েছেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা। বাকি ২০০ আসনে প্রার্থী চূড়ান্তের কাজ চলছে। আগামী ঈদের পরেই এসব আসনের বিপরীতে প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ শেষ হবে। তবে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে ৩০০ আসনের প্রার্থীর নাম প্রকাশের কোনো সম্ভাবনা নেই।

আওয়ামী লীগ জরিপ টিমের সঙ্গে সম্পৃক্ত একাধিক শীর্ষ নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে গত দেড় বছর ধরে ৩ মাস পরপর মাঠ জরিপ করছেন। সেখানে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে আলোচিত-সমালোচিত মন্ত্রী-এমপিদের নাম ওঠে এসেছে।

রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে- এসব আসনে ফের তাদের মনোনয়ন দেয়া হলে প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়া অসাধ্য হবে। এসব মন্ত্রী-এমপিকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ প্রার্থী’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের কারও বিরুদ্ধে এলাকায় জনপ্রিয়তা হ্রাস, জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া, অনেকের বিরুদ্ধে দখল, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, মাদক ব্যবসা, অনৈতিকভাবে বিত্তবৈভব গড়ার মতো অভিযোগ আনা হয়েছে। কারও বিরুদ্ধে আনা হয়েছে সন্ত্রাস ও দলীয় কোন্দল সৃষ্টির অভিযোগ।

দলীয় নেতাকর্মীদের উপেক্ষা করে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি এমনকি বিএনপি-জামায়াত নেতাদের নিয়েও নিজস্ব বলয় সৃষ্টির অভিযোগও আছে কারও বিরুদ্ধে। আর এসব কারণে প্রার্থী বাছাইয়ে সময় নিচ্ছে আওয়ামী লীগ।

আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারক পর্যায়ের দুই নেতা জানান, দলের কার্যনির্বাহী কমিটির প্রতিটি সভায় বিতর্কিতদের মনোনয়ন না দেয়ার কথা বলেছেন দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দলে কে কি করেন, কার জন্য দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ হচ্ছে সে তালিকাও আছে দলীয় সভাপতির কাছে। জনবিচ্ছিন্ন ও অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব সৃষ্টিকারীদের শেষ সুযোগও দিয়েছেন তিনি। এরপরও নিজেদের শোধরাতে পারেননি বিতর্কিত অনেক এমপি।

৩১ মার্চ দলের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় পুনরায় বিতর্কিত নেতাদের তালিকা তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন। ওই সব এলাকায় ক্লিন ইমেজ ও জনপ্রিয় প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য সাংগঠনিক সম্পাদকদের নির্দেশ দেন দলের সভাপতি।

একই বিষয়ে বিভিন্ন সভা-সেমিনারে হুশিয়ারি উচ্চারণ করে সংশোধনের কথা বলছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনটি বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে আগামী জাতীয় সংসদের প্রার্থী নির্ধারণ করা হচ্ছে বলে বুধবার জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান। তিনি বলেন, প্রতি নির্বাচনের আগে এমপি-মন্ত্রীদের অনেকেই বাদ পড়েন, তারা মনোনয়ন পান না। এবারও ব্যতিক্রম হবে না। জনপ্রিয়তা, দলে সম্পৃক্ততা ও কাজের দক্ষতা দেখে দলীয় মনোনয়ন দেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। এই তিন ক্ষেত্রে যোগ্যতা অর্জনে যারা ব্যর্থ হবেন তারা এমপি মনোনয়ন থেকে ছিটকে পড়বেন।
তিনি বলেন, বিগত এক বছর থেকে মনোনয়ন বাছাইয়ের কাজ চলছে। নির্বাচন কমিশনের তফসিল ঘোষণার পর দলীয় প্রার্থীদের তালিকা ঘোষণা করবে আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগ নীতিনির্ধারক সূত্রে কথা বলে জানা যায়, গ্রিন সিগন্যাল দেয়া ১০০ আসনের প্রার্থীরা ইতিমধ্যে নিজ নিজ এলাকায় কাজ করছেন। দল ও সমাজে কর্মদক্ষতার স্বাক্ষর রাখা এসব নেতা প্রতিপক্ষেরে যে কোনো নেতার চেয়ে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে আছেন। আগামী নির্বাচনে তৈরি থাকার বিষয়ে এমন নেতাদেরই গ্রিন সিগন্যাল দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

নীতিনির্ধারকদের দেয়া তথ্য মতে- সাতক্ষীরা-৩, সাতক্ষীরা-৪, ঠাকুরগাঁও-১, দিনাজপুর-১, দিনাজপুর-২, দিনাজপুর-৩, দিনাজপুর-৫, নীলফামারী-২, লালমনিরহাট-১, লালমনিরহাট-২, রংপুর-৪, গাইবান্ধা-২, বগুড়া-১, বগুড়া-৫, নওগাঁ-১, রাজশাহী-৪, রাজশাহী-৬, নাটোর-৩, সিরাজগঞ্জ-১, সিরাজগঞ্জ-২, সিরাজগঞ্জ-৬, পাবনা-৫, কুষ্টিয়া-৩, ঝিনাইদহ-২, ঝিনাইদহ-৪, যশোর-৫, মাগুরা-২, বাগেরহাট-১, খুলনা-১, বরগুনা-১, পটুয়াখালী-২, ভোলা-১, ভোলা-২, ভোলা-৩, ভোলা-৪, বরিশাল-১, বরিশাল-২, ঝালকাঠি-২, টাঙ্গাইল-১, টাঙ্গাইল-৫, টাঙ্গাইল-৮, জামালপুর-৩, শেরপুর-২, ময়মনসিংহ-১, ময়মনসিংহ-১০, কিশোরগঞ্জ-১, কিশোরগঞ্জ-৪, কিশোরগঞ্জ-৫, কিশোরগঞ্জ-৬, মানিকগঞ্জ-২, মানিকগঞ্জ-৩, মুন্সীগঞ্জ-৩, ঢাকা-২, ঢাকা-৩, ঢাকা-৯, ঢাকা-১০, ঢাকা-১১, ঢাকা-১২, ঢাকা-১৩, ঢাকা-১৪, গাজীপুর-১, গাজীপুর-২, গাজীপুর-৪, গাজীপুর-৫, নরসিংদী-১, নরসিংদী-৪, নারায়ণগঞ্জ-১, নারায়ণগঞ্জ-২, নারায়ণগঞ্জ-৪, রাজবাড়ী-১, রাজবাড়ী-২, ফরিদপুর-১, ফরিদপুর-৩, গোপালগঞ্জ-১, গোপালগঞ্জ-২, গোপালগঞ্জ-৩, মাদারীপুর-১, মাদারীপুর-২, শরীয়তপুর-১, শরীয়তপুর-৩, সুনামগঞ্জ-৩, সিলেট-৩, সিলেট-৬, হবিগঞ্জ-২, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬, কুমিল্লা-২, কুমিল্লা-৩, কুমিল্লা-৪, কুমিল্লা-৫, কুমিল্লা-৯, কুমিল্লা-১০, কুমিল্লা-১১, চাঁদপুর-২, চাঁদপুর-৪, নোয়াখালী-৪, নোয়াখালী-৫, চট্টগ্রাম-১, চট্টগ্রাম-৭, চট্টগ্রাম-১২, চট্টগ্রাম-১৩ ও কক্সবাজার-৩ আসনের প্রার্থীদের নাম চূড়ান্ত তালিকায় রাখা হয়েছে।

প্রার্থী বাছাইয়ে এবার কাউকে ছাড় দেয়া হচ্ছে না জানিয়ে আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক বলেন, বিভিন্ন জরিপ সংস্থার পাশাপাশি দেশের সুশীল সমাজ ও দলের একটি টিম দিয়েও প্রার্থীদের জরিপ কাজ করছেন দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দলটি মাঠপর্যায়ে গিয়ে প্রার্থীদের তথ্য সংগ্রহ করছেন। এসব তথ্য যাচাই-বাছাই করছেন নেত্রী (শেখ হাসিনা) নিজেই।

তিনি বলেন, দলে যারা বিতর্কিত ও বিভিন্ন সময়ে দল ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছেন তারা এবার মনোনয়ন পাবেন না। বিতর্কিতদের বাদ দিয়ে এসব আসনে নতুনদের সন্ধান করা হচ্ছে। আগামী নির্বাচনে জয় নিশ্চিতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমন দৃঢ় পদক্ষেপ নিয়েছেন বলেও জানান তিনি।

আওয়ামী লীগের আরেকটি সূত্র বলছে, নির্ধারিত ১০০ আসনের বাইরে থাকা আসনগুলোর প্রত্যেকটির বিপরীতে তিনজন করে প্রার্থীর নাম নিয়ে তালিকা তৈরি হচ্ছে। অনেক আসনে এ তিনজনের তালিকায় বর্তমান এমপিদের নাম নেই। নবীন ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, পেশাজীবী নেতা, সাবেক পুলিশ ও সেনা কর্মকর্তা, আমলা ও রাজনৈতিক নেতা এ তালিকায় আছেন। বিএনপির বিভিন্ন আসনের সাবেক এমপি ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ের কিছু নেতাও আওয়ামী লীগের সঙ্গে যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে শোনা যাচ্ছে।

এদিকে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল নেতারা সংসদ সদস্যদের তালিকা ধরে ধরে কমপক্ষে ১০০ বিতর্কিত এমপির নাম তুলে এনেছেন, যাদের আসনে উল্লিখিত নতুনদের জনপ্রিয়তার মাপ কাঠিতে মনোনয়ন দেয়া হবে। আর এসব আসনেই সরকারি, বেসরকারি জরিপ সংস্থা ও দলের সাংগঠনিক টিম প্রার্থী বাছাইয়ে বেশি বেশি করে কাজ করছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার হতে পারেন এমপিসহ সাড়ে ৪শ’ জনপ্রতিনিধি

ন্যাশনাল ডেস্ক: মাদক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে গ্রেফতার হতে পারেন সাড়ে ৪শ’ জনপ্রতিনিধি। এই তালিকায় আছে ১০ জন এমপি, ১৫ জন সাবেক এমপি, অর্ধশতাধিক পৌর মেয়র, দুই শতাধিক কাউন্সিলর এবং দেড় শতাধিক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের নাম।

তালিকাটি ইতিমধ্যে পুলিশের সংশ্লিষ্ট ইউনিটগুলোতে পাঠানো হয়েছে। তবে এখনই তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না। ঈদের পরই এদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং পুলিশ সদর দফতরের সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, চলমান মাদকবিরোধী অভিযানে (রমজান মাসজুড়ে) প্রাথমিকভাবে শীর্ষ পর্যায়ের ৩ শতাধিক মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে চূড়ান্ত ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিশেষ বৈঠকে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য ঈদের আগের দিন পর্যন্ত সময় পাবেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এরপর মাদকের এক হাজার গডফাদার এবং তালিকাভুক্ত আড়াই হাজার মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ওই এক হাজার গডফাদারের মধ্যে সাড়ে ৪শ’ জনপ্রতিনিধি আছেন।

পুলিশ সদর দফতর থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সারা দেশে চলমান মাদকবিরোধী অভিযানে গত ১০ দিনে ৫৫ জন নিহত হয়েছে।

এছাড়া ১ রমজান থেকে বুধবার পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছে প্রায় ৫ হাজারের বেশি মাদক ব্যবসায়ী। মামলা হয়েছে প্রায় চার হাজার জনের বিরুদ্ধে। র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজা দেয়া হয়েছে ২ হাজার ৭২১ জনের।

সূত্র আরও জানায়, মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযান চালাতে ১৩ মে পুলিশের রেঞ্জ ডিআইজি, মেট্রোপলিটন কমিশনার এবং এসপিদের কাছে পুলিশ সদর দফতর থেকে চিঠি দেয়া হয়েছে। ওই চিঠির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রেঞ্জ, জেলা বা মেট্রোপলিটন এলাকার মাদক ব্যবসায়ী, মাদক সংশ্লিষ্ট রাজনীতিবিদ এবং পুলিশ কর্মকর্তাদের নামের তালিকাও পাঠানো হয়।

সম্প্রতি র‌্যাবের পক্ষ থেকে সারা দেশের মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকা তৈরি করে তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দেয়া হয়। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অন্যান্য ইউনিটের পক্ষ থেকেও একই ধরনের তালিকা মন্ত্রণালয়ে জমা পড়ে।

সবগুলো তালিকার সমন্বয়ে এরই মধ্যে একটি সমন্বিত তালিকা তৈরি করেছে মন্ত্রণালয়। ওই তালিকাটি পুলিশ সদর দফতরের মাধ্যমে পাঠানো হয় র‌্যাব-পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে। এরপরই মাঠে নামে র‌্যাব এবং পুলিশ।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ ও র‌্যাবের দাবি- নিহতরা সবাই শীর্ষ পর্যায়ের মাদক ব্যবসায়ী। তাদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মাদক মামলা রয়েছে। তবে এসব ঘটনাকে ‘বিচারবহির্ভূত হত্যা’ হিসেবে উল্লেখ করেছে একাধিক মানবাধিকার সংগঠন।

নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে, গ্রেফতারের পর তাদের হত্যা করা হচ্ছে। বিএনপির দাবি- এর পেছনে সরকারের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে।

এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল তার নিজ দফতরে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন, কাউকে বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা করা হচ্ছে না। মাদকের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বিশেষ অভিযানে রয়েছে। অভিযান চলাকালে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীরা র‌্যাব-পুলিশের ওপর আক্রমণ চালাচ্ছে। আর র‌্যাব-পুলিশ আত্মরক্ষার্থে গুলি ছুড়ছে।

তিনি বলেন, মাদক ব্যবসায়ী বা তাদের গডফাদাররা যত শক্তিশালীই হোক না কেন, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ক্ষেত্রে কেউ ছাড় পাবে না।

জানতে চাইলে পুলিশ সদর দফতরের এআইজি সহেলী ফেরদৌস বলেন, সারা দেশে মাদকের ভয়াবহ আগ্রাসন রোধে পুলিশের পক্ষ থেকে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে আমরা সারা দেশে মাদকের গডফাদার, শীর্ষ পর্যায়ের ব্যবসায়ী, পাইকারি ব্যবসায়ী এবং খুচরা বিক্রেতাদের তালিকা করেছি। সেই তালিকা অনুযায়ী অভিযান চলছে। এক্ষেত্রে গডফাদার এবং শীর্ষ পর্যায়ের মাদক ব্যবসায়ীদের দিকে পুলিশের নজর থাকবে বেশি। তালিকায় যেসব পুলিশ সদস্য বা জনপ্রতিনিধির নাম রয়েছে তাদেরও গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।

র‌্যাব সদর দফতরের উপপরিচালক মেজর আবদুল্লাহ আল মেহেদী বুধবার জানান, বিশেষ অভিযান শুরুর পর থেকে র‌্যাব এ পর্যন্ত ২ হাজার ৭২১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছে। আর বিশেষ অভিযান চলাকালে বন্দুকযুদ্ধে ৯ দিনে ৪৭ জন মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে।

আরেকটি সূত্র জানায়, ১২ ফেব্র“য়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগে মাদকের ভয়াবহ আগ্রাসন ঠেকাতে গঠিত এনফোর্সমেন্ট কমিটির চতুর্থ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভার আলোকে পুলিশের উদ্যোগে কক্সবাজার জেলার মাদক ব্যবসায়ীদের ১ হাজার ১৫১ জনের তালিকা প্রস্তুত করা হয়।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রস্তুত করা এক তালিকা অনুযায়ী রংপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৪৩৮ জন মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকের পৃষ্ঠপোষক রয়েছে। এই পাঁচ জেলার পৃষ্ঠপোষকদের মধ্যে দু’জন বর্তমান এমপি ও দু’জন সাবেক এমপির নাম রয়েছে। এসব জেলায় আছে দেড় শতাধিক মাদকের হাট বা স্পট।

গত বছরের ২ থেকে ৭ অক্টোবর ভারতের নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত বিজিবি-বিএসএফ ডিজি পর্যায়ের ৪৫তম সম্মেলনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিজিবির পক্ষ থেকে দেশের ২৫টি জেলার ৩৩৭ জন শীর্ষ মাদক পাচারকারীর তালিকা তৈরি করা হয়। ক্রমবর্ধমান আগ্রাসন রোধে গঠিত কোর কমিটির বিশেষ সভা গত নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হয়।

ওই সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলের ৭০৬ মাদক ব্যবসায়ীর তালিকা প্রস্তুত করা হয়। এসব তালিকার মধ্যে একাধিক তালিকায় যাদের নাম এসেছে তাদের ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে সরকার।

সূত্র: যুগান্তর, ২৪ মে ২০১৮।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রাতভর মাদকবিরোধী অভিযান, ফের নিহত ৮

ন্যাশনাল ডেস্ক: দেশব্যাপী মাদকবিরোধী অভিযানে দেশের পাঁচ জেলায় পুলিশ ও মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ৮ মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যও। এছাড়া পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় মাদক বিক্রেতাদের ছোড়া ককটেল বিস্ফোরণে পুলিশের ৫ সদস্য আহত হয়েছেন।

বুধবার দিবাগত রাত থেকে বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত ফেনী, মাগুরা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নারায়ণগঞ্জ ও কুমিল্লায় এসব ‘বন্দুকযুদ্ধে’র ঘটনা ঘটে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
যুক্তরাষ্ট্রে সিনেটর পদে বিজয়ী বাংলাদেশি চন্দন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের ডিসট্রিক্ট ৫ নির্বাচনী এলাকা থেকে রাজ্যের সিনেটর প্রার্থীর মনোনয়ন নিয়ে প্রাথমিক বাছাইপর্বে বিজয়ী হয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক শেখ মোজাহিদুর রহমান চন্দন।

যুক্তরাষ্ট্রে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির শেখ রহমান চন্দন ৪ হাজার ২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম অপর ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী কার্ট থম্পসন পেয়েছেন ২ হাজার ১১৭ ভোট। প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ৪ হাজার দুইটির মধ্যে শেখ রহমান ৬৮ শতাংশ ভোট পেয়েছেন।

নরক্রস, লিলবার্ন ও লরেন্সভিল শহর নিয়ে গঠিত এই এলাকায় গত ৮ বছর ধরে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির পক্ষ থেকে কার্ট থম্পসন সিনেটর হিসেবে নির্বাচিত হয়ে আসছিলেন। তবে এবার নির্বাচনে হেরে যাওয়ায় সিনেটর পদটি দীর্ঘদিন পর হারাচ্ছেন তিনি।

বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার কৃতিসন্তান শেখ মোজাহিদুর রহমান চন্দন রিপাবলিকান পার্টির হাউস ককাস চেয়ারম্যান ম্যাট হেচেটের সঙ্গে লরেন্স, উইয়িলকিন্স ও থান্ডুলেন কাউন্টিতে এর আগে ২০১২ সালে জর্জিয়া স্ট্রেট রিপ্রেজেন্টেটিভ প্রার্থী হিসেবে একবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। সেই সময় অল্প ভোটের ব্যবধানে তিনি পরাজিত হন।

তবে এবার মাত্র দুই বছর আগে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির জাতীয় কমিটির কার্যকরী সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েও সকলের নজর কেড়েছেন। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় শেখ রহমান এ বিজয়কে বাংলাদেশিদের বিজয় বলে উল্লেখ করেছেন। একই সঙ্গে সকল বাংলাদেশি ও এশিয়ান ভোটারসহ ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সংগঠক ও সদস্যদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

আগামী নভেম্বরে জাতীয় নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের কোনো প্রার্থী না থাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে তিনিই হবেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ইতিহাস সৃষ্টিকারী যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম বাংলাদেশি সিনেটর।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কালিগঞ্জে মাদক ব্যবসায়ির গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরায় পুলিশ অজ্ঞাত এক মাদক ব্যবসায়ির গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে। বৃহষ্পতিবার সকালে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার ভাড়াশিমলা ইউনিয়নের চৌবাড়িয়া গ্রামের সিদ্ধের পুকুর নামক স্থান থেকে এ লাশ উদ্ধার করা হয়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশীয় পিস্তল, পাঁচ রাউণ্ড গুলি ও ৪৮ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহতের নাম আব্দুল আজিজ (৪৫)। সে সদরের পরানদহ গ্রামের কেরামত আলির ছেলে।
ভাড়াশিমলা ইউপি সদস্য পিয়ার আলী জানান, বৃহষ্পতিবার ভোরে চৌবাড়িয়া গ্রামের সিদ্ধেরপুকুর নামকস্থানে পাকা রাস্তার পাশে গুলিবিদ্ধ এক ব্যক্তিকে(৪৮) মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা তাকে খবর দেয়। বিষয়টি তিনি থানায় জানালে সকাল সাতটার দিকে কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাসান হাফিজুর রহমান, তদন্ত ওসি রাজীব হোসেন ও উপপরিদর্শক আলমগীর হোসেন ঘটনাস্থলে এসে ওই লাশ উদ্ধার করেন। লাশের চোয়ালে ও গলায় দু’টি গুলি লেগেছে। লাশের পাশ থেকে একটি দেশী তৈরি পিস্তল, পাঁচ রাউণ্ড গুলি, একটি নতুন গামছা ও একটি পলিথিনের বস্তায় থাকা ৪৮ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল উদ্ধার করে পুলিশ।
তবে স্থানীয়রা জানান, সারা দেশব্যাপি মাদক বিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে আইনপ্রয়োগকারি সংস্থার সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ওই মাদক ব্যবসায়ির মৃত্যু হতে পারে।
এদিকে নিহতের পারিবারিক সুত্রে জানা যায় বুধবার রাত ১০ টার দিকে সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশ তাকে আটক করে নিয়ে যায়। আজ বৃহস্পতিবার তার গুলিবিদ্ধ লাশ কালিগঞ্জ থেকে উদ্ধার করা হয়।
কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাসান হাফিজুর রহমান জানান, গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত্যু সম্পর্কে এই মুহুর্তে কিছু বলা যাবে না।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest