সর্বশেষ সংবাদ-
দেবহাটায় জাতীয় প্রাণি সম্পদ সপ্তাহ ও প্রাণি সম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধনসাতক্ষীরায় জাতীয় দৈনিক রুপালী বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনসাতক্ষীরার মিঠু খানের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করল বিএনপিকালিগঞ্জে পুকুরের পানিতে দুই শিশুর মৃত্যুদেবহাটায় ৪০ জন উপকার ভোগীর মাঝে ছাগল বিতরণদেবহাটার সরকারি কর্মকর্তা-সুধীজনদের সাথে ডিসির মতবিনিময়সাতক্ষীরার ১৮৫টি ভোটকেন্দ্রের স্কুল সংস্কারে বরাদ্দ প্রায় ৬৪ লাখ টাকাসাতক্ষীরা জেলা রোভারের ৪১ তম কোর্স ফর রোভারমেট এর মহাতাঁবু জলসাশ্যামনগরে বুনো শাকের রান্না প্রতিযোগিতাসাতক্ষীরায় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে রাস্তা সংস্কার কার্যক্রমের উদ্বোধন

কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন কুমারস্বামী

কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিলেন জনতা দল (সেকুলার) নেতা এইচ.ডি.কুমারস্বামী (৫৮)। তিনি হলেন রাজ্যটির ২৪ তম মুখ্যমন্ত্রী।
বুধবার বিকাল ৪.৩০ মিনিট নাগাদ বেঙ্গালুরুর বিধান সৌধে কুমারস্বামীকে শপথ বাক্য পাঠ করান রাজ্যটির রাজ্যপাল বজুভাই বালা। উপ-মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন কর্নাটকের কংগ্রেস সভাপতি জি.পরমেশ্বর।
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এইচ.ডি.দেবগৌড়ার ছেলে হলেন এই কুমারস্বামী। কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে এটা তার দ্বিতীয় মেয়াদ। এর আগে ২০০৭ সালে ২০ মাসের জন্য জেডিএস-বিজেপি জোট সরকারের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
তবে নতুন সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হলেও এদিনের অনুষ্ঠান মঞ্চ হয়ে ওঠে বিজেপি বিরোধী দলগুলির ঐক্যমঞ্চ। আগামী বছরের দেশটিতে লোকসভার নির্বাচনের আগে কেন্দ্রের মোদি সরকারের উদ্যেশ্যে খোলা বার্তা দিল এই বিজেপি বিরোধী সমাবেশ।
নতুন সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস নেত্রী ও ইউপিএ চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধী, কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেস প্রধান মমতা ব্যানার্জি, অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ও তেলেগু দেশম পার্টির সভাপতি এন.চন্দ্রবাবু নাইডু, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ও আপ নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল, কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন, বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি) প্রধান মায়াবতী, সমাজবাদী পার্টি (এসপি)-এর নেতা ও উত্তরপ্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব, সিপিআইএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও জনতা দল (সেকুলার) নেতা এইচ.ডি.দেবগৌড়া, ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি) প্রধান শরদ পাওয়ার, রাষ্ট্রীয় জনতা দল নেতা তেজস্বী যাদব, রাষ্ট্রীয় লোক দল নেতা অজিত সিং সহ ছোট-বড় রাজনৈতিক দলের প্রতিধিরা। সাধারণ মানুষও যাতে এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের সাক্ষী হতে পারেন সেদিকে খেয়াল রেখে জায়ান্ট স্ক্রিন লাগানো হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ব্রিটেনে জোর করে বিয়ে, তালিকায় দ্বিতীয় বাংলাদেশি কমিউনিটি

ব্রিটেনে বাঙ্গালি পরিবারগুলোতে ফোর্স ম্যারিজের লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছে না। ২০১৭ সালে বাংলাদেশি কমিউনিটিতে ১২৯টি ফোর্সড ম্যারিজের ঘটনা ঘটেছে। ফোর্সড ম্যারিজ ঘটনার তালিকায় বাংলাদেশি কমিউনিটি ২য় অবস্থানে রয়েছে।

মূলত পরিবার বা অন্যকোন পক্ষের ইচ্ছায় জোর করে কাউকে বিয়ে দেয়ার ঘটনাকে ফোর্সড ম্যারিজ বা জোড় পূর্বক বিয়ে হিসেবে গণ্য করা হয়। যুক্তরাজ্যে ইমিগ্রেন্ট পরিবারগুলোতে এ ধরনের বিয়ের ঘটনা বেশি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে জোড়পূর্বক বিয়ের ঘটনাগুলো ঘটে যুক্তরাজ্যের বাইরে। অনেক বাংলাদেশি অভিভাবক ধর্মীয় বা সংস্কৃতিগত কারনে বাংলাদেশে নিয়ে বিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন, যেখানে সংশ্লিষ্ট পাত্র বা পাত্রীর পছন্দকে গুরুত্ব দেয়া হয় না। যুক্তরাজ্য জোড় করে বিয়ে দেওয়াকে ক্রিমিনাল অফেন্স বা ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়।

ফরেন অফিস ও হোম অফিস যৌথভাবে গঠন করা একটি ফোর্সড ম্যারিজ ইউনিটের মাধ্যমে জোর করে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা রোধে সহায়তা দেয়। সম্প্রতি তাদের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ফোর্সড ম্যারিজ ইউনিট ২০১৭ সালে ১১শ ৯৬টি সম্ভাব্য ফোর্সড ম্যারিজের ঘটনা মোকাবেলা করেছে। এরমধ্যে চার ভাগের ১ ভাগ ঘটনার শিকার ১৮ বছরের কম বয়সী। কেবল মেয়েরা যে এই ঘটনার শিকার হচ্ছেন তা কিন্তু নয়। প্রতি ৫টি ঘটনার একটির শিকার হচ্ছেন ছেলেরা। তবে সামগ্রিকভাবে ২০১৬ সালের চেয়ে ২০১৭ সালের ফোর্সড ম্যারিজের সংখ্যা ১৯ শতাংশ কম হলে বাংলাদেশি কমিউনিটিতে এই সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।

২০১৬ সালে বাংলাদেশি কমিউনিটিতে ফোর্সড ম্যারিজের সংখ্যা ১২১টি ছিলো কিন্তু ২০১৭ সালে এর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১২৯টিতে! পরিসংখ্যান অনুযায়ী জোড় পূর্বক বিয়ের ৪৩৯টি ঘটনা নিয়ে শীর্ষে রয়েছে পাকিস্তানি কমিউনিটি, ১২৯টি ঘটনা নিয়ে ২য় অবস্থানে বাংলাদেশি কমিউনিটি। ৯১টি ঘটনা নিয়ে এই তালিকার ৩য় স্থানে রয়েছে সোমালিয়া এবং ৮২টি ঘটনা নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে ভারত!

এদিকে ফোর্সড ম্যারিজের এই পরিসংখ্যান যখন বের হয় তখন লিডসের আদালতে কাঠগড়ায় ফোর্সড ম্যারিজের অভিযোগ নিয়ে বিচারের মুখোমুখি এক বাংলাদেশি বাবা-মা। তাদের ১৯ বছরের মেয়ে অভিযোগ করে তাকে জোড় করে বাংলাদেশে নিয়ে বিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছেন তাদের বাবা মা। আইনি কারনে নাম প্রকাশ না করার শর্তে মেয়েটি জানায়, তার চাচাতো ভাইয়ের সাথে জোর করে বিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন তার বাবা-মা। এমনকি ওই ছেলেটির একটি সন্তানও রয়েছে।

মেয়েটির রেকর্ডকৃত বক্তব্য লিডস ক্রাউন কোর্টে বিচারকদের শুনানো হয়। এতে জানা যায়, ২০১৬ সালের জুলাই মাসে বাংলাদেশে ঈদ উদযাপনের কথা বলে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। দেশে যাওয়ার পরদিনই ৩ জুলাই বাবা জানায়, তাকে দেশে চাচাতো ভাইকে বিয়ে করতে হবে। পাত্র হিসাবে সে খুবই যোগ্য। সে যদি ঐ ছেলেকে বিয়ে করে তাহলে সে রানীর মতো জীবন যাপন করবে আর বিয়ে না করলে পুরো পরিবারের জন্য বিষয়টি কলঙ্কের হবে। বিয়ের এই অব্যাহত চাপে সে আত্মহত্যার পরিকল্পনা করেছিলো।

মেয়েটি তার বক্তব্যে আরো জানায়, তারা বাবা তাকে বলেন তোমাকে ১৮ বছর লালন পালন করেছি, এখন যদি কথা না শুনো তাহলে ১৮ সেকেন্ডও লাগবে না তোমাকে কেটে টুকরো টুকরো করতে। একপর্যায়ে মৌখিক নির্যাতন শারিরীক নির্যাতনেও রূপ নেয়। একদিন মেয়েটির বাবা তার মাথায় আঘাত করেন। মেয়েটি ভয়ে ঘুম ও খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দেয়। অবশেষে ব্রিটেনে থাকা বোন ও বন্ধুর সহযোগিতায় বাংলাদেশস্থ ব্রিটিশ হাই কমিশনের হস্তক্ষেপে বিয়ের আগের দিন মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়।

নির্যাতিতা মেয়েটি তার বক্তব্যে বলে, সে চায় তার বাবার উপযুক্ত শাস্তি হোক। সে কখনোই তার বাবার সাথে কথা বলতে চায় না।

মেয়েটির বাবা মায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ হচ্ছে মেয়েকে জোড় পূর্বক বিয়ে দিতে চেয়ে সহিংস আচরণ ও শারিরীক নির্যাতন এবং হুমকি প্রদান। এখনও এই মামলার শুনানি চলছে।

উল্লেখ্য, গত দশকে বাংলাদেশি কমিউনিটিতে ফোর্সড ম্যারিজের সংখ্যা মারাত্নক আকার ধারণ করলে বাংলাদেশস্থ ব্রিটিশ হাই কমিশন, ব্রিটিশ হোম অফিস, ব্রিটেনের স্থানীয় সরকার এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থান নেয় ও নানা ধরনের সচেতনতামূলক কার্যক্রম করে এর সংখ্যা কমিয়ে আনে। তবে সম্প্রতি আবারো ফোর্সড ম্যারিজের সংখ্যা বাড়ছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
অতিরিক্ত জেলা জজ হলেন ৬৯ বিচারক

ন্যাশনাল ডেস্ক: ৬৯ জন যুগ্ম জেলা জজ ও সমপর্যায়ের বিচারককে অতিরিক্ত জেলা জজ পদে পদোন্নতি দিয়েছে সরকার।

সাতক্ষীরার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এম, জাহিদ হাসান পদোন্নতি পেয়ে অতিরিক্ত জেলা জজ হয়েছেন। তাকে বরগুনার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে পদায়ন করে বদলি করা হয়েছে।

আইন ও বিচার বিভাগ থেকে ১৬ মে স্বাক্ষরিত পদোন্নতির আদেশটি বুধবার প্রকাশ করা হয়। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শ করে এই পদোন্নতি দেয়া হয়েছে বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।

জুডিশিয়াল সার্ভিসের এই কর্মকর্তাদের পদোন্নতির সঙ্গে নতুন কর্মস্থলে পদায়নও করা হয়েছে।

এছাড়া কুমিল্লার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হেমায়েত উদ্দিনকে অতিরিক্ত জেলা জজ থেকে জেলা জজ পদে পদোন্নতি দিয়ে আরেকটি আদেশ জারি করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রাজস্থানকে বিদায় করে ফাইনালের পথে কলকাতা

স্পোর্টস ডেস্ক: আইপিএলের এলিমিনেটর ম্যাচে রাজস্থান রয়েলসকে ২৫ রানে হারিয়ে ফাইনালের আশা টিকে রাখল কলকাতা নাইট রাইডার্স।

এই জয়ের ফলে শনিবার দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচের টিকিট নিশ্চিত হলো দিনেশ কার্তিকদের।

শনিবার সাকিব আল হাসানদের সানরাইজার্স হায়দরাবাদ এবং কলকাতা নাইট রাইডার্সের মধ্যকার খেলায় যারা জিতবে তারা ২৭ মে মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বাধীন চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে ফাইনালে খেলবে।

বুধবার আগে ব্যাটিংয়ে নেমে চমর বিপর্যয়ে পড়ে কলকাতা। প্রথম দিকে চরম ব্যাটিং বিপর্যয় থেকে দলকে টেনে তুলেন দিনেশ কার্তিক ও আন্দ্রে রাসেল। তাদের অনবদ্য ব্যাটে শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটে ১৬৯ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে নাইট রাইডার্স।

টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৪ উইকেটে ১৪৪ রান করতে সমর্থ হয় আজিঙ্কা রাহানের নেতৃত্বাধীন রাজস্থান রয়েলস।

রাজস্থানের শুরুটা অবশ্য খারাপ হয়নি। উদ্বোধনীতে ৫.১ ওভারে ৪৭ রান তুলে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার রাহুল ত্রিপাথি। তিনে ব্যাটিংয়ে নামা সাঞ্জু স্যামসনকে সঙ্গে নিয়ে ৬২ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক রাহানে। ৪১ বলে ৪৬ রান করে রাহানে বিদায় নিলেও ব্যাটিং তাণ্ডব চালিয়ে যান স্যামসন।

শেষ দিকে ২০ বলে প্রয়োজন ছিল ৪৪ রান। তখনও দলকে জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন সাঞ্জু। কিন্তু ১৭তম ওভারে পিযুষ চাওলার গুগলি বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন ৩৮ বলে দুই ছক্কা এবং চার বাউন্ডারিতে ৫০ রান করা স্যামসন।

তার বিদায়ের মধ্য দিয়ে পরাজয় নিশ্চিত হয়ে যায় রাজস্থানের। শেষ পর্যন্ত লড়াই করেও দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছাতে পারেননি হেনরি ক্লাশেন।

বুধবার কলকাতার ইডেন গার্ডেনে টসে জিতে কলকাতাকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠায় রাজস্থান। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে কলকাতা।

ইনিংসের প্রথম বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে উড়ন্ত সূচনার আভাস দিয়ে ঠিক পরের বলে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার সুনিল নারিন।

এরপর ২০ রানের ব্যবধানে ফেরেন রবিন উথাপ্পা এবং নিথিস রানা। স্কোর বোর্ডে ৫১ রান জমা করতেই ফেরেন অন্য ওপেনার ক্রিস লিন।

৫১ রানে ৪ ব্যাটসম্যানের উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়া দলটিকে খেলায় ফেরান অধিনায়ক কার্তিক ও রাসেল। তাদের কল্যাণে সম্মান জনক স্কোর গড়তে সক্ষম হয় কলকাতা। দলের হয়ে ৩৮ বলে দুই ছয় এবং চার বাউন্ডারিতে ৫২ রান করে ফেরেন কার্তিক।

ইনিংসের শেষ বল পর্যন্ত খেলে যাওয়া অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেল ২৫ বলে পাঁচ ছক্কা এবং তিন বাউন্ডারিতে ৪৯ রান করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা সোহেলের উপর হামলা

ন্যাশনাল ডেস্ক: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা এপিএম সোহেলের উপর হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। সোহেল বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম-আহবায়ক।

বুধবার (২৩ মে) বিকাল ৩টার দিকে পরীক্ষা শেষ করে বাসায় ফেরার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে হামলার শিকার হন সোহেল।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের বাইরে এলে সন্ত্রাসীদের ১০-১২ জন তার ওপর হামলা চালায় বলে দাবি করেন সোহেল। গুরুতর আহত অবস্থায় তিনি এখন রাজধানীর গেন্ডারিয়া আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাইসুল ইসলাম নয়ন বলেন, ‘আহত সোহেল আমাদের কোটা সংস্কার আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক। বিকাল ৩টার দিকে তার ওপর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘রড ও লাঠির আঘাতে সোহেলের ঠোঁট ও নাক ফেটে গেছে। তাছাড়া পা ও পিঠে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ঠোঁটে পাঁচটি সেলাই করা হয়েছে। সে এখন একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি আছে।’

নয়ন আরও জানান, কোটা সংস্কার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার কারণেই তার ওপর হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। আমরা এ হামলার নিন্দা জানাচ্ছি এবং দ্রুত হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবি করছি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সুস্থ থাকতে চাই আদর্শ খাদ্যাভ্যাস

স্বাস্থ্য ডেস্ক: নিয়মিত একটি সুস্থ খাদ্যাভ্যাস মেনে চলার কোনো বিকল্প নেই। তা না হলে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। তবে অনেকেই প্রকৃত খাদ্যাভ্যাস কি তা জানেন না এবং কিভাবে তা গড়ে তুলবেন এ ব্যাপারে জ্ঞান রাখেন না। নিচে তেমনই কয়েকটি উপায় নিয়ে আলোচনা করা হলো :

কি খাবেন তার ডায়েরি করুন :
আপনার প্রতিদিনের খাবারের বিস্তারিত লিপিবদ্ধ করুন ফুড ডায়েরিতে। এতে আপনার দৈনন্দিন ক্যালরি গ্রহণের তালিকাও সংরক্ষণ করুন। এরপর আপনার দৈনন্দিন কতখানি ক্যালরি দরকার এবং বাস্তবে কতখানি গ্রহণ করছেন, তার তুলনা করুন। সততার সঙ্গে এ হিসাবটি করতে পারলে আপনার ক্যালরি গ্রহণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ যেমন সম্ভব হবে তেমন অন্যান্য পুষ্টিও কতখানি গ্রহণ করছেন তা জানা সম্ভব হবে।

খাবারে পরিবর্তন আনুন :
ওজন নিয়ন্ত্রণে যদি খাবার কিংবা পানীয় বাড়াতে বা কমাতে হয় তাহলে ছোট ছোট পরিবর্তন করুন। যেমন সাধারণ দুধের বদলে কম ফ্যাটযুক্ত দুধ খাওয়া, মিষ্টি সপ্তাহে শুধু একবার খাওয়া, চা থেকে চিনি বাদ দেওয়া, ভাজা-পোড়ার বদলে তাজা ফলমূল খাওয়া, মাংসের বদলে মাছ খাওয়া ইত্যাদি।

প্র্যাকটিক্যাল লক্ষ্য নির্ধারণ করুন :
অনেকেই ওজন নিয়ন্ত্রণে কিংবা সুস্বাস্থ্যের জন্য এমন লক্ষ্য নির্ধারণ করেন, যা পালন করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। আর তখনই সম্পূর্ণ বিষয়টি বাদ দিতে হয়। এ কারণে লক্ষ্য নির্ধারণে সাবধান থাকতে হয় যেন সম্পূর্ণ বিষয়টি ভণ্ডুল হয়ে না পড়ে।
আমিষ ও আঁশজাতীয় খাবার খান :
সকালের নাস্তায় বেশি করে প্রোটিন গ্রহণ করলে তা দিনের অন্য সময়ে ক্ষুধা কম রাখতে সহায়তা করে। এছাড়া রয়েছে উচ্চমাত্রায় আঁশজাতীয় খাবার খাওয়া। এটিও সুস্থ থাকতে সহায়তা করে।

খাবারকে অবহেলা নয় :
খাওয়ার সময় খাবারের দিকেই মনোযোগী হোন। খাবার হিসেবে আপনি কী কী গলাধঃকরণ করছেন সেদিকে লক্ষ্য রাখুন। ভালোভাবে চিবিয়ে খান। এ সময় টিভি দেখা, পড়াশোনা করা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিচরণ কিংবা কম্পিউটারে কাজ করা থেকে বিরত থাকুন।

পানিযুক্ত খাবারে অগ্রাধিকার দিন :
যেসব খাবারে বেশি পানি রয়েছে সেসব খাবার বেশি করে খান। টমেটো, রসালো ফলমূল, ডাল ও ঝোলযুক্ত খাবার, সুপ ইত্যাদি আপনার পেট দ্রুত ভর্তি হওয়ার অনুভূতি দেবে। তাই এসব খাবারে অগ্রাধিকার দিন।
চিনি ও সাদা কার্বহাইড্রেট বাদ দিন :
চিনি কিংবা মিষ্টি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। সাদা ময়দায় তৈরি ধবধবে রুটি, বিস্কুট ইত্যাদি খাবার। এসব খাবার যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন।
সীমিত মাত্রায় শর্করা গ্রহণ করুন :
মূল খাবারে কার্বহাইড্রেট বাদ দেওয়ার উপায় নেই। এটি সীমিত মাত্রায় প্রয়োজন রয়েছে। তবে তা যেন সঠিক উৎস থেকে আসে সেদিকে লক্ষ্য রাখুন। এক্ষেত্রে ঢেঁকিছাটা চাল, লাল আটা, মিষ্টি আলু, ডাল, সালাদ ইত্যাদি গ্রহণ করতে পারেন।
বেশি ওজন নিয়ে উদ্বিগ্ন হবেন না :
দেহের ওজন বেশি হলেই যে সেজন্য উদ্বিগ্ন হয়ে পড়তে হবে এমন কোনো কথা নেই। একইভাবে কম ওজনের ক্ষেত্রেও উদ্বিগ্ন না হয়ে সমস্যা সমাধানে মনোযোগী হতে হবে। অন্যথায় বাড়তি উদ্বেগ সমস্যা সমাধান না করে বরং আপনাকে মানসিকভাবেও বিপর্যস্ত করতে পারে।
খাবারে বৈচিত্র অানুন :
একঘেয়ে খাবারে নানা বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। এ কারণে আপনার খাবারের প্লেট যেন প্রতিনিয়ত নিত্যনতুন খাবার ওঠে, সেজন্য মনোযোগী হন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রিয়াজ-জেনির ‘সমান্তরাল’

ন্যাশনাল ডেস্ক: নির্মাতা সকাল আহমেদের নির্দেশনায় নির্মিত হয়েছে নাটক ‘সমান্তরাল’। নাটকটিতে প্রথমবারের মতো জুটিবদ্ধ হয়েছে চিত্রনায়ক রিয়াজ ও ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জেনি।

নাটকের গল্পে দেখা যাবে, একটি ছেলের দ্বিতীয় বিবাহ এবং একটি মেয়ের প্রথম বিবাহ নিয়েই মূলত নাটকটির গল্প এগিয়ে যায়। ছেলেটির একটি সন্তান থাকে। ছেলেকে ঘিরেই তার যত ভাবনা। অন্যদিকে মেয়েটি নিজের মতো অধিকার আদায় করে সংসার করতে চায়। এমনই গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে ‘সমান্তরাল’ নাটকটি।

এটি রচনা করেছেন জারজিস আহমেদ। নাটকটিতে স্বামী-স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন রিয়াজ ও জেনি। আগামী ঈদে চ্যানেল নাইনে নাটকটি প্রচার হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মালয়েশিয়ায় মন্ত্রীদের বেতন ১০ শতাংশ কমানোর ঘোষণা মাহাথিরের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মালয়েশিয়ার নতুন প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ সরকারি খরচ কমাতে মন্ত্রীদের বেতন ১০ শতাংশ কমিয়ে ফেলার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। মাহাথির দ্বিতীয়বারের মতো মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর আজ মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়ে সাপ্তাহিক বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন।

এর আগে মালয়েশিয়ার সপ্তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর এক সংবাদ সম্মেলনে মাহাথির জানিয়েছিলেন, কয়েকটি সরকারি দফতরের প্রধানদের বাদ দেওয়া হবে। তিনি বলেন, নির্দিষ্ট কয়েকটি দফতরের প্রধানদের অবশ্যই বাদ পড়তে হবে। আমরা দেখেছি কিছু লোক সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে সহায়তা করেছে, পোষণ করেছে। অথচ সারা বিশ্ব তাকে ক্লেপটোক্রাট বা সম্পদ চুরি করা শাসক আখ্যা দিয়েছে।

মন্ত্রীদের বেতন কমানোর ব্যাপারে মাহাথির আরও বলেন, আমাদের দেশের অর্থনৈতিক সমস্যা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। আমি যখন ১৯৮১ সালে প্রধানমন্ত্রী হয়েছি, তখনও মন্ত্রী ও আমলাদের বেতন কমিয়েছিলাম। এবারও তা করতে যাচ্ছি। যদিও আমলাদের তুলনায় মন্ত্রীদের বেতন কম। তবু আমরা মন্ত্রীদের বেতন আরো কমাব।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest