সর্বশেষ সংবাদ-
দেবহাটায় জাতীয় প্রাণি সম্পদ সপ্তাহ ও প্রাণি সম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধনসাতক্ষীরায় জাতীয় দৈনিক রুপালী বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনসাতক্ষীরার মিঠু খানের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করল বিএনপিকালিগঞ্জে পুকুরের পানিতে দুই শিশুর মৃত্যুদেবহাটায় ৪০ জন উপকার ভোগীর মাঝে ছাগল বিতরণদেবহাটার সরকারি কর্মকর্তা-সুধীজনদের সাথে ডিসির মতবিনিময়সাতক্ষীরার ১৮৫টি ভোটকেন্দ্রের স্কুল সংস্কারে বরাদ্দ প্রায় ৬৪ লাখ টাকাসাতক্ষীরা জেলা রোভারের ৪১ তম কোর্স ফর রোভারমেট এর মহাতাঁবু জলসাশ্যামনগরে বুনো শাকের রান্না প্রতিযোগিতাসাতক্ষীরায় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে রাস্তা সংস্কার কার্যক্রমের উদ্বোধন

রোজায় ডায়াবেটিস রোগীর করণীয়

ডায়াবেটিসের রোগীরা খাদ্যাভ্যাস, ব্যায়াম ও ওষুধের নিখুঁত সময়সূচি ও নিয়ম-শৃঙ্খলা মেনে চলেন। তাই রমজান মাসে তাদের বেশ অসুবিধায় পড়তে হয়। কেননা অনিয়মের কারণে কখনও কখনও তাদের রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে কিংবা কমে যেতে পারে।

বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গেছে, রমজান মাসে ডায়াবেটিক রোগীদের শরীরে হাইপোগ্লাইসেমিয়ার মাত্রা বেড়ে যায়। দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকায় পানি শূন্যতাই এর মূল কারণ। ফলে শরীরের ব্লাড পেশার কমে গিয়ে অজ্ঞান হওয়া, পড়ে গিয়ে আঘাত পাওয়া, হাড় ভেঙে যাওয়াসহ বিভিন্ন জটিলতা দেখা দিতে পারে। কাজেই রোজা রাখার জন্য ডায়াবেটিস রোগীদের পূর্ব-প্রস্তুতি ও প্রশিক্ষণ গ্রহণ করা দরকার।

রমজানে ডায়াবেটিস রোগীদের করণীয় : রোজা রাখার জন্য শরীর উপযুক্ত কি না এটাই সর্বপ্রথম ডায়াবেটিস রোগীদের জেনে নেওয়া উচিত। শরীরে শর্করার মাত্রা খুবই অনিয়ন্ত্রিত হলে অর্থাৎ তিন মাসের মধ্যে মারাত্মক হাইপোগ্লাইসেমিয়া বা শর্করাস্বল্পতা, কিটোঅ্যাসিডোসিস বা শর্করার মারাত্মক আধিক্য থাকলে রোজা রাখা উচিত নয়। ডায়াবেটিস ছাড়াও অন্যান্য শারীরিক সমস্যা যেমন যকৃতের সমস্যা, হৃদরোগ ও কিডনি সমস্যায় আক্রান্ত হলেও রোজা না রাখাই ভালো। এই তালিকায় অবশ্য গর্ভবতী ডায়াবেটিস রোগী ও ডায়ালাইসিস নিচ্ছেন এমন রোগীরাও পড়বেন।

অন্যদের মধ্যে যারা কেবল খাদ্যাভ্যাস ও ব্যায়ামের মাধ্যমেই শর্করা নিয়ন্ত্রণ করছেন বা মেটফরমিন, ডিপিপি ৪ ইনহিবিটর বা গ্লিটাজন শ্রেণির ওষুধ খান তাদের রোজা রাখা বেশ নিরাপদ। যারা ইনসুলিন বা ওষুধ ব্যবহার করেন তাদের ক্ষেত্রে কিছুটা ঝুঁকি রয়েছে। এক্ষেত্রে তাদের অবশ্যই নতুন করে ওষুধের মাত্রা ও সময় জেনে নিতে হবে।

খাদ্যাভ্যাস : রমজানে ডায়াবেটিস রোগীদের ক্যালরির চাহিদা আগের মতোই থাকবে। শুধু খাবার গ্রহণ ও সময়ের কিছুটা পরিবর্তন হবে। ইফতারে বিকল্প চিনি দিয়ে ইসবগুলের ভুষি, তোকমা, লেবু কাঁচা আম বা তেঁতুল শরবত এসব রোগীদের জন্য উপকারী। ডাব ছাড়া অন্যান্য মিষ্টি ফলের রস না খাওয়াই ভালো। টক ও মিষ্টি উভয় ধরনের ফলের সালাদ খাওয়া যেতে পারে, এতে খনিজ লবণ ও ভিটামিনের অভাব পূরণ হবে। কাঁচা ছোলার সঙ্গে আদাকুচি, টমেটো কুচি, পুদিনা পাতা ও লবণের মিশ্রণ বেশ সুস্বাদু খাবার। কাঁচা ছোলা রক্তের কোলেস্টেরল কমাতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।

সন্ধ্যা রাতে (ইফতার পরবর্তী) খাবার একেবারে বাদ দেওয়া উচিত নয়। কম করে হলেও খেতে হবে। অন্য সময়ের রাতের খাবারের সমপরিমাণ হবে রমজানে ডায়াবেটিস রোগীর খাবার। রোগী ভাত খেতে পারবে তবে চিকিৎসক কর্তৃক বরাদ্দ খাবারের পরিমাণের দিকে সর্বদা সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। হালকা মসলায় রান্না যে কোনো ছোট-বড় মাছ এবং সবজি নিয়মিত খাওয়া যেতে পারে।

সেহরিতে (ভোররাতের খাবারে) রুটি অথবা ভাত রুচি অনুযায়ী গ্রহণ করুন। সেহরির খাবারের পরিমাণ হওয়া উচিত অন্যদিনের দুপুরের খাবারের সমপরিমাণ। সেহরিতে মাছ ও সবজি থাকতে পারে। দুধ অথবা ডাল যে কোনো একটা থাকলে ভালো হয়।

ইফতারে একসঙ্গে বেশি না খেয়ে অনেক খাবার ধাপে ধাপে ভাগ করে খান। এতে রক্তে হঠাৎই শর্করার মাত্রা বেড়ে যাবে না।

ওষুধ ও ইনসুলিন : রমজানে খাবারের সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ওষুধ এবং ইনসুলিনের মাত্রা ও সময়সূচির অবশ্যই পরিবর্তন হবে। ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে দিনের ওষুধগুলোর সময় পরিবর্তন করে রাতে তা গ্রহণ করতে হবে। কারণ ওষুধের মাত্রা রক্তে শর্করার পরিমাণের ওপর অনেকটাই নির্ভর করে। এ কারণে নিজ থেকেই ওষুধের সময়সূচি পরিবর্তন করা যাবে না। অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

ব্যায়াম : ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে যারা প্রতিদিন রুটিনমাফিক ব্যায়াম ও হাঁটাহাঁটি করেন। রমজান মাসে তাদের সে রুটিনেও পরিবর্তন আনতে হবে। রোজা রেখে ব্যায়াম ও খুব বেশি হাঁটাহাঁটি করা যাবে না। তবে ইফতারের একঘণ্টা পর ও সেহরির আগে ব্যায়াম করতে পারেন।

সর্তকতা : ১. ডায়াবেটিসের সঙ্গে অন্য কোনো জটিলতা, যেমন- কিডনির রোগ, উচ্চমাত্রার ইউরিক থাকলে ডালের তৈরি খাবার থেকে বিরত থাকুন।

২. আলসার বা গ্যাসট্রাইটিসের সমস্যা থাকলে ডুবো তেলে ভাজা ও ঝাল যুক্ত খাবার পরিহার করুন।
৩. শরীরের ওজন বেশি থাকলে যতটা সম্ভব কম খাবার গ্রহণ করুন এবং খাবারে তেলের পরিমাণ কমিয়ে দিন।
৪. রোজা রেখে অত্যধিক হাঁটা বা ভারী ব্যায়াম থেকে বিরত থাকুন। কারণ এতে শরীরে রক্তের শর্করার মাত্রা নিচে নেমে গিয়ে বিপদ হতে পারে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
‘হি ইজ অসাম’ -কোহলিকে নিয়ে প্রীতির টুইট
বিরাট কোহলিকে নিয়ে তিন শব্দের টুইট করে ভাইরাল পঞ্জাবের প্রীতি জিনতা। ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে নিয়ে কী ভাবেন? টুইটে এক অনুরাগীর এই প্রশ্নের উত্তরে তিন শব্দের টুইটে প্রীতি লিখেছেন, ‘হি ইজ অসাম’।
এবারের মৌসুমটাও ভালো গেল না প্রীতির পঞ্জাবের। শুরুটা ভাল হলেও তীরে এসে তরি ডুবেছে অশ্বিনদের। লোকেশ রাহুলের ওয়ান ম্যান শো ছাড়া আর বিশেষ কিছুই দেখাতে পারেনি বীরেন্দ্র শেবাগের দল। ডু অর ডাই ম্যাচে হেরে প্লে অফের দরজাও নিজে হাতে বন্ধ করেছে পঞ্জাব।
এমন অবস্থায় কোচ শেবাগের ওপরে চটতেও দেখা গিয়েছে দলের স্বত্বাধিকারী প্রীতিকে। আবার আম্বানির দল মুম্বইয়ের হারে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেও ভাইরাল হয়েছিলেন তিনি। এবার আরও একবার শিরোনামে প্রীতি জিন্তা। এবার উপলক্ষ্য বিরাট কোহলি।
0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জীবাণুমুক্ত পরিবেশ শিশুদের ক্যান্সারের কারণ!

ক্যান্সার শুধু বয়স্ক মানুষেরই হয়, এমন ধারণা ভেঙে দিয়ে আজকাল বাচ্চাদেরও ক্যান্সারের খবর সংবাদমাধ্যমে আসছে। বিশেষ করে লিউকেমিয়া বা ব্লাড ক্যান্সার – বলা হয় প্রতি ২ হাজার শিশুর মধ্যে একজন এ ধরনের ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে পারে।

কিন্তু শিশুদের ক্যান্সারের কারণ নিয়ে সম্প্রতি এমন একটি গবেষণা রিপোর্ট বেরিয়েছে যার বক্তব্য অত্যন্ত নাটকীয়। রিপোর্টটি আধুনিক যুগের অত্যন্ত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশে শিশুদের বড় হবার সাথে ক্যান্সারের এক যোগসূত্র আবিষ্কার করেছে।

যুক্তরাজ্যের একজন নেতৃস্থানীয় ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মেল গ্রিভস বলছেন, আধুনিক যুগের ‘জীবাণুমুক্ত’ জীবন শিশুদের লিউকেমিয়া হবার একটি কারণ।

ইনস্টিটিউট অব ক্যান্সার রিসার্চের এই বিজ্ঞানী বলছেন, ৩০ বছরের তথ্য-উপাত্ত পরীক্ষা করে দেখা যাচ্ছে, মানুষের দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার যদি শিশু বয়সে ‘যথেষ্ট পরিমানে জীবাণু মোকাবিলার অভিজ্ঞতা’ না হয়, তাহলে তা দেহে ক্যান্সার তৈরি করতে পারে।

একিউট লিম্ফোব্লাস্টিক লিউকেমিয়া নামের যে ব্লাড ক্যান্সার – তা প্রধানত উন্নত এবং ধনী সমাজগুলোয় দেখা যায় – যার অর্থ হলো আধুনিক জীবনযাপনের সাথে এর একটা সম্পর্ক আছে।

অতীতে ক্যান্সারের কারণ হিসেবে বিচিত্র সব তত্ত্ব দেয়া হয়েছে- যার মধ্যে বৈদ্যুতিক কেবল, তড়িৎ-চৌম্বকীয় তরঙ্গ এবং রাসায়নিক পদার্থকে ক্যান্সার কারণ বলে দাবি করা হয়েছে। তবে সবশেষ এই জরিপে এসব তত্ত্ব নাকচ করে দেয়া হয়।

অধ্যাপক গ্রিভস বলছেন, এ গবেষণায় আমরা জোরালো আভাস পাচ্ছি যে লিম্ফোব্লাস্টিক লিউকেমিয়ার একটা বায়োলজিক্যাল কারণ আছে এবং কোন শিশুর রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা যদি সংক্রমণ মোকাবিলার জন্য যথাযথভাবে তৈরি না হয়ে থাকে – তাহলে তার দেহে লিউকেমিয়া দেখা দিতে পারে।

দৃষ্টান্ত হিসেবে বলা হয়: ইতালির মিলানে সোয়াইন ফ্লু ছড়িয়ে পড়ার পর সাতটি শিশুর লিউকেমিয়া দেখা দেয়।

যেসব শিশু নার্সারিতে গেছে, বা যাদের বড় ভাই-বোন আছে – তাদের মধ্যে লিউকেমিয়ার হার কম।

যে শিশুরা মায়ের বুকের দুধ খায় তা লিউকেমিয়া ঠেকাতে সহায়ক – কারণ এর ফলে অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়া তৈরি হয়।

যে শিশুরা নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে জন্ম নিয়েছে তাদের মধ্যে লিউকেমিয়ার হার কম। কারণ তারা মায়ের দেহ থেকে অণুজীব পেয়েছে বেশি – যাদের সিজারিয়ান অপারেশনে জন্ম হয়েছে তাদের তুলনায়।

যে প্রাণীরা মাইক্রোব বা অণুজীব-বিহীন পরিবেশে জন্ম নিয়েছে তাদের কোন কোন সংক্রমণ হলে তা লিউকেমিয়ার সৃষ্টি করেছে।

প্রফেসর গ্রিভস বলছেন, এর অর্থ অবশ্য এই নয় যে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন অভিভাবকদের লিউকেমিয়ার জন্য দোষ দেয়া হচ্ছে। বরং তিনি বলছেন, শিশুদের বাবা-মায়ের উচিত হবে সাধারণ সংক্রমণ নিয়ে বেশি চিন্তিত না হওয়া, অন্য বাচ্চাদের সাথে মেলামেশা করতে দেয়া – যাতে তাদের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা নানা রকম অণুজীবের সংক্রমণ মোকাবিলার জন্য যথেষ্ট ‘প্রশিক্ষণ পায়।’

তিনি বলেন, তারা দেখেছেন যে শিশুদের রক্তের ক্যান্সারের তিনটি পর্ব আছে।

• শিশুরা যথন মাতৃগর্ভে থাকে তখনই তার দেহকোষের এমন একটা অস্বাভাবিক বৃদ্ধি ঘটে যা থামানো যায় না।

• জন্মের পর প্রথম বছরে শিশু যদি বিভিন্ন অণুজীবের সংস্পর্শে না আসে – তাহলে তার রোগ-প্রতিরোধ ব্যবস্থার উপযুক্ত ‘প্রশিক্ষণ’ হয় না যে কিভাবে এসব হুমকির মোকাবিলা করতে হবে।

• এর ফলে শৈশবেই তার দেহে এমন কোন একটা সংক্রমণ হতে পারে যার ফলে তার রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা ঠিকভাবে কাজ করবে না, এবং লিউকেমিয়া দেখা দেবে।

সূত্র: বিবিসি বাংলা

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সংসদেই মাদক সম্রাট রয়েছে: এরশাদ

মাদক নির্মূলের নামে যাদের হত্যা করা হচ্ছে তারা কারা আমরা জানি না। মাদক সম্রাটতো সংসদেই আছেন। তাদেরকে বিচারের মাধ্যমে ফাঁসিতে ঝোলানোর দাবি জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।

বুধবার (২৩ মে) আইডিইবি ভবনে জাতীয় পার্টি আয়োজিত আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ দাবি জানান।

এরশাদ বলেন, এভাবে বিনা বিচারে মানুষ হত্যা করতে পারেন না। প্রত্যেক নাগরিকেরই সাংবিধানিকভাবে বিচার পাওয়ার অধিকার আছে। কোথাও এর নজির নেই। বিশ্ব এটা মেনে নেবে না।

মাদক নির্মূলে আগামী অধিবেশনেই সর্ব্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে আইন করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান এরশাদ।

তিনি বলেন, যানজটের কারণে প্রতিদিন ৫১ লাখ কর্মঘণ্টা অপব্যয় হচ্ছে। হাজার হাজার কোটি টাকা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে দেশ। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে। প্রাদেশিক শাসন ব্যবস্থা কায়েম করতে হবে। জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় এলে এগুলো বাস্তবায়ন করে ঢাকাকে যানজটমুক্ত করবো।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
অবশেষে সামনে এলেন সৌদি যুবরাজ!

নানা জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের ছবি প্রকাশ করেছে সৌদি রাজপরিবার। বুধবার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) কয়েকটি ছবি প্রকাশ করে জানায়, মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন মোহাম্মদ বিন সালমান।

ছবিতে দেখা যাচ্ছে, বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজের পাশে মন্ত্রিসভার বৈঠকে অন্যদের সাথে রয়েছেন বিন সালমানও। রাজপরিবার বলছে এটি গতকাল মঙ্গলবারের ছবি।

গত ২১ এপ্রিল সৌদি রাজপ্রাসাদের খুবই নিকটবর্তী এলাকায় গোলাগুলির আওয়াজ শোনা যাওয়ার পর গত এক মাসে বিন সালমানকে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। এতে ইরান ও রাশিয়ার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সূত্রে নানা গুজব ছড়াতে থাকে। কোনো কোনো খবরে দাবি করা হয় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মারা গেছেন যুবরাজ।

এছাড়া অন্যান্য কিছু বিষয় সামনে রেখে অনেকেই সন্দেহের মধ্যে ছিলেন। তবে বুধবার ছবি প্রকাশ করলেও গত এক মাস বিন সালমান কোথায় কী অবস্থায় ছিলেন সে বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।

এর আগে সৌদি আরবের রাজপরিবারের বরাত দিয়ে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান সুস্থ ও নিরাপদে আছেন বলে খবর জানিয়েছিল ডেইলি পাকিস্তান।

সৌদি যুবরাজ নিরাপদে ও সুস্থ আছেন। তিনি ওই সময় মিসরে অবকাশ যাপন করছেন বলে জানিয়েছিল সংবাদ মাধ্যমটি।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল, মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসির বিশেষ আমন্ত্রণে সৌদি যুবরাজ সপরিবারে সেখানে গিয়েছেন এবং তার সঙ্গে আবুধাবি ও বাহরাইনের নেতারাও রয়েছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কিমের সঙ্গে বৈঠক নাও হতে পারে

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের সঙ্গে তার পরিকল্পিত বৈঠকটি নাও হতে পারে। দুই দেশের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে বহুল প্রত্যাশিত বৈঠকটি বাতিল হয়ে যেতে পারে বলে যে জল্পনা চলছিল ট্রাম্প এ বক্তব্য দিয়ে সে আশঙ্কা বাড়িয়ে দিলেন।

মঙ্গলবার (২২ মে) হোয়াইট হাউজে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইনের সঙ্গে বৈঠকে ট্রাম্প এ কথা ঘোষণা করেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট পরিষ্কার করে বলেন, “আমরা কিছু শর্ত দিয়েছি। উত্তর কোরিয়া সেসব শর্ত মানবে বলে আমরা আশা করছি। কিন্তু তারা যদি তা না মানে তাহলে কোনো বৈঠক হবে না।”

আগামী ১২ জুন সিঙ্গাপুরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়া নেতা কিম জং-উনের মধ্যে শীর্ষ বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু তার আগে পিয়ংইয়ংয়ের প্রতি ওয়াশিংটন শর্ত দিয়েছে বলে জানালেন ট্রাম্প। তবে সেসব শর্তে কি রয়েছে ট্রাম্প তা জানাননি।

উত্তর কোরিয়ার নেতা এর আগে আমেরিকার সঙ্গে শর্ত মেনে যেকোনো আলোচনায় বসার বিরোধিতা করে এসেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ভারতে নিপা ভাইরাসে ১০ জনের মৃত্যু

ভারতের কেরালায় নিপা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ইতিমধ্যেই ১০ ছাড়িয়েছে। কোঝিকোড়ের হাসপাতালে আক্রান্তদের স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছিলেন যিনি, সেই নার্সেরও মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি ৯ জনের মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই কোমায় চলে যাচ্ছেন রোগী। ঢলে পড়ছেন মৃত্যুর কোলে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মূলত ফ্রুট ব্যাটস বা ফলখেকো বাদুড়দের থেকেই এই নিপা ভাইরাস ছড়াচ্ছে। তবে শুয়োর থেকেও ছড়ায় এই ভাইরাস। ওই ভাইরাসে আক্রান্ত বাদুড়ের ছোঁয়া/কামড়ানো ফল যদি কেউ খান/ছোঁন, তা হলেই তিনি আক্রান্ত হবেন নিপা ভাইরাসে।

কেরালার সরকারি সূত্রের খবর, আপাতত দু’টি জেলা কোঝিকোড় ও মালাপ্পুরমে ওই ভাইরাসের হানাদারির প্রমাণ মিললেও দ্রুত তা রাজ্যের একটি বড় অংশে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। শুধু কোঝিকোড়েই মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের। কোঝিকোড় ও মালাপ্পুরমে অন্তত ৯৪ জন আক্রান্তের চিকিৎসা চলছে বাড়িতে।

গত ২৪ ঘণ্টায় যে ১৮ জনের রক্তের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, তাদের ১২ জন আক্রান্ত হয়েছেন নিপা ভাইরাসে। তাই মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
কেরালার স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে কে শৈলজা জানিয়েছেন, কোঝিকোড়ের পেরাম্বারায় যে পরিবারের দুই ভাই ও তাদের এক নারী আত্মীয়ের মৃত্যু হয়েছে, তাদের বাড়ির কুয়োতেই একটি মৃত বাদুড়ের সন্ধান মিলেছে।

কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের অফিস থেকে এ দিন টুইট করে জানানো হয়েছে, ওই রোগের চিকিৎসার জন্য বহু চিকিৎসক স্বেচ্ছায় কাজ করতে রাজি হয়েছেন। এ ব্যাপারে কেরালার চিকিৎসকদের কাছে অনুরোধ জানিয়েছিলেন বিশিষ্ট চিকিৎসক কাফিল খান। নিপায় আক্রান্তদের চিকিৎসায় ইচ্ছুক রাজ্যের চিকিৎসকদের স্বাস্থ্য দফতরের কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করতে বলেছেন কেরালার মুখ্যমন্ত্রী।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
যে কারণে রমজানে দই খাবেন!

শুধু ভোজনরসিকদের কাছেই নয়, বেশির ভাগ মানুষের কাছেই দই পছন্দের খাবার। দই সুস্বাদু মুখরোচক মিষ্টি হিসেবে খাওয়া হলেও এটি একটি পুষ্টিমানসমৃদ্ধ স্বাস্থ্যকর খাবারও। এখন গরমকাল, এবার গরমকালে রোজা। তাই রোজা রাখার পর খাদ্যতালিকায় দুগ্ধজাত এ খাবারটি নিয়মিত রাখলে পুষ্টিগতভাবে ঠিক থাকবে শরীর।

রোজার সময় শরীরে প্রচুর পানির চাহিদা থাকে। আর দইয়ে রয়েছে জলীয় ও পুষ্টিগত উপাদান, যা শরীরের জন্য বিশেষ উপকারী। অন্যান্য উপাদানের পাশাপাশি, দইয়ে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন। বিশেষ করে উল্লেখযোগ্য মাত্রায় ভিটামিন ‘বি৫’, জিংক, পটাশিয়াম, ফসফরাস, আয়োডিন ও রিবোফ্লাভিন।

ইফতারে দই দিয়ে বেশ কয়েকরকম শরবত বানাতে পারেন। তাছাড়া চিড়া-দই খেতে পারেন শরীরে পরিমিত পুষ্টির যোগান পেতে।

আসুন জেনে নেয়া যাক খাবারটির আরও কিছু উপকারিতা সম্পর্কে-

* ওজন কমাতে সাহায্য করে

প্রতিদিন দই খাওয়া শুরু করলে হজমের ক্ষমতা বাড়তে থাকে। নিয়মিত দই খেলে শরীরে মেদ জমার আশঙ্কা যায় কমে। তাই অতিরিক্তি ওজনের কারণে যদি চিন্তায় থাকেন, তাহলে নিয়মিত দু-কাপ করে দই খেতে পারেন।

* ক্যান্সার প্রতিরোধ করে

বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে দইয়ে উপস্থিত ল্যাকটোব্যাসিলাস এবং স্ট্রেপটোকক্কাস থ্রেমোফিলাস নামক দুটি ব্যাকটেরিয়া শরীরে ক্যান্সার সেলের জন্ম প্রতিরোধ দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে।

* হজম শক্তি বৃদ্ধি

বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে দইয়ে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা পাকস্থলিতে হজমে সহায়ক ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। এ কারণেই বদ-হজম এবং গ্যাসের সমস্যা কমাতে দই খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।

* মানসিক চাপ মুক্ত রাখে

বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে দই খাওয়ার পর আমাদের মস্তিষ্কের ভেতরে এমন কিছু পরিবর্তন হয় যা মানসিক চাপ এবং অ্যাংজাইটি কমতে শুরু করে। তাই মানসিক চাপ কমাতে দইয়ের কোনো বিকল্প নেই।

* হার্টের ভালো রাখে

রক্তে খারাপ কোলেস্টরল কিংবা এলডিএলের মাত্রা কমানোর পাশাপাশি রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখে দই। তাই নিয়মিত দই খেলে হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রায় থাকে না বললেই চলে।

* রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি

দইয়ে উপস্থিত উপকারি ব্যাকটেরিয়া শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে এতটাই শক্তিশালী করে যে সংক্রমণ থেকে ভাইরাল ফিবার, কোনো কিছুই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না।

* দুধের বিকল্প

এমন অনেকই আছেন যারা একেবারে দুধ খেতে পারেন না। কারও গন্ধ লাগে, তো কারও বমি আসে। এই ধরনের সমস্যাকে ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স বলা হয়। দুধ থেকে দই হওয়ার সময় ল্যাকটোজ, ল্যাকটিক অ্যাসিডে রূপান্তরিত হয়ে যায়। ফলে দই খেলে না গা গোলায়, না বমি পায়।

* ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়

দইয়ে পরিমাণ মতো বেসন এবং অল্প করে লেবুর রস মিশিয়ে যদি মুখে লাগালে ত্বক নিয়ে আর কোনো চিন্তা নেই। দইয়ে থাকা জিঙ্ক, ভিটামিন ই এবং ফসফরাস ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে।

* হাড়ের জন্য খুব উপকারি

দুধের মতো দইয়েও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফসফরাস এবং ক্যালসিয়াম। এই দুটি উপাদান দাঁত এবং হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest