সর্বশেষ সংবাদ-
দেবহাটায় জাতীয় প্রাণি সম্পদ সপ্তাহ ও প্রাণি সম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধনসাতক্ষীরায় জাতীয় দৈনিক রুপালী বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনসাতক্ষীরার মিঠু খানের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করল বিএনপিকালিগঞ্জে পুকুরের পানিতে দুই শিশুর মৃত্যুদেবহাটায় ৪০ জন উপকার ভোগীর মাঝে ছাগল বিতরণদেবহাটার সরকারি কর্মকর্তা-সুধীজনদের সাথে ডিসির মতবিনিময়সাতক্ষীরার ১৮৫টি ভোটকেন্দ্রের স্কুল সংস্কারে বরাদ্দ প্রায় ৬৪ লাখ টাকাসাতক্ষীরা জেলা রোভারের ৪১ তম কোর্স ফর রোভারমেট এর মহাতাঁবু জলসাশ্যামনগরে বুনো শাকের রান্না প্রতিযোগিতাসাতক্ষীরায় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে রাস্তা সংস্কার কার্যক্রমের উদ্বোধন

লুটপাট করে পার পেয়ে যায় রাঘব বোয়ালরা- জেলা প্রশাসক ইফতেখার হোসেন

মোঃ আরাফাত আলী, কালিগঞ্জ: বিভিন্নখাতে সরকারি কাজের যে বরাদ্দ আসে তার একশ ভাগের দশ ভাগ ও কাজ হয়না সব টাকা লুটপাট হয়ে যায় এসব টাকা লুটপাট করে পার পেয়ে যায় রাঘব বোয়ালরা কালিগঞ্জে অফিসার্স ক্লাবে বুধবার সকাল ১০ টায় এক মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন জেলা প্রশাসক সৈয়দ ইফতেখার হোসেন।
এসময় কালিগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে নদী ভাঙ্গন রোধে বাঁধ নির্মাণ,আমে বিষাক্ত ফরমালিন রোধে কঠোর ভূমিকা গ্রহণ, মৎস্য ঘেরে ভেঁরিবাধ না দিয়ে সরকারি রাস্তা বাঁধ হিসেবে ব্যবহার কারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ,চিংড়ি মাছে অপদ্রব্য পুষ কারিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া এবং বিভিন্ন সমাস্যার সমাধান করনীয় পদক্ষেপ নিয়ে সর্বসাধরনের প্রশ্নের জবাব দেন তিনি। এছাড়া উপজেলায় কোন দপ্তর যদি দূর্নীতির আশ্রয় নেয় তাহলে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে অভিযোগ জানাতে বলেন উপজেলার সর্বসাধারন মানুষকে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম মাঈনউদ্দীন হাসানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শেখ অহেদুজ্জামান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার ও পরিকল্পনা অফিসার ডাক্তার আকছেদুর রহমান, কৃষি অফিসার ফজলুল হক মনি, সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম, কালিগঞ্জ থানার নবাগত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাসান হাফিজুর রহমান, যুব-উন্নয়ন কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম, সমাজসেবা অফিসার জেসিয়া জামান, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শারমিন আক্তার, প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার শাহরিয়ার রনজু। কালিগঞ্জ রোকেয়া মুনসুর মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ এ.কে.এম জাফরুল আলম, কালিগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের অবসর প্রাপ্ত অধ্যাপক গাজী আজিজুর রহমান, প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুল বারী সফু, রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শেখ ইকবাল আলম বাবলু, বড়শিমলা কারবালা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গাজী মিজানুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা এস.এম শাহাদাত হোসেন, এ্যাডঃ জাফরউল্ল্যাহ ইব্রাহিম, পূজা উদযাপন কমিটির সাধারন সম্পাদক মিলন কুমার ঘোষ, উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি মাহবুবুর রহমান, কুশুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি কাজী কাওফিল অরা সজল ও ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা আব্দুর গফুর। অনুষ্ঠানের শেষে উপজেলার ১১ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসের জন্য ল্যাপটপ ও প্রজেক্টর প্রদান করেন প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিবৃন্দ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মায়ের কাছে পানি চেয়ে চিরনিদ্রায় মুক্তামণি

নিজস্ব প্রতিবেদক: ফজরের আজানের সাথে সাথে মুক্তামণির ঘুম ভেঙে যায়। সকালে মন সায় দিলে কিছু মুখে দেয়, না হলে যন্ত্রণার সাথে জীবনের নীরব যুদ্ধ করে ফের আরো একটু ঘুমানোর চেষ্টা করে সে।

আজো ব্যতিক্রম হয়নি তার। একই সময় ঘুম ভাঙে। তবে অন্য দিনের সাথে আজ সকালের নিয়মে ছন্দপতন হয়। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে চিৎকার করে বাড়ির সবাইকে কাছে ডাকে মুক্তামণি। দৌড় ঝাঁপ করে বাড়ির সবাই ছুটে আসে তার পাশে। এক পলক দেখে নেয় প্রিয় মুখগুলো। তারপর মাকে পানি খাওয়ার কথা বলে এক গ্লাস পানি আনতে বলে সে। বাবা দাঁড়িয়ে থাকেন তার মাথার কাছে।

পানি নিয়ে আসার পর বাবার হাতে পানির গ্লাস দিয়ে সবাইকে ঘর থেকে বাইরে যেতে বলে। ঘরের মধ্যে থাকা বাবাকে বলে ‘আমার ঘুম পাচ্ছে। ঘুম থেকে উঠে পানি খাবো। তোমরা তোমাদের কাজে যাও’। মুক্তা ঘুমিয়ে পড়ে। ঘুমের মধ্যেই সে চলে যায় পৃথিবীর মায়ালোক ছেড়ে।

আজ বুধবার সকালে মুক্তামণির বাবা ইব্রাহিম হোসেন ক্রন্দনরত অবস্থায় এসব কথা জানান।

মুক্তামণির চাচি খাদিজা খাতুন বিলাপ করছিলেন পাশের রান্নাঘরের বারান্দায় বসে। তিনি শোকে জ্ঞান হারিয়ে ফেলছিলেন বার বার। জ্ঞান ফিরে স্বজনদের তিনি বলছিলেন, ঢাকা থেকে উন্নত চিকিৎসা শেষে এক মাসের ছুটিতে বাড়ি ফিরে মুক্তামণি তাকে বলেছিল ‘ভাগ্য ভালো চাচি। আমার কথা প্রধানমন্ত্রী জানতে পেরেছেন। না হলে হয়তো এতদিনে মরেই যেতাম’। এর পর তার বাড়ি আসার খবর শুনে যারাই দেখতে এসেছে সরকারের সুদৃষ্টির কথা বলে ভালো হয়ে সে আবারো স্কুলে যাওয়ার কথা বলেছে মুক্তা।

মুক্তাকে দেখতে আসা শত শত মানুষ জানে চাচির বলা এসব এখন কথার কথা। সে বেঁচে থাকলে ভালো হতো। সবাইকে কাঁদিয়ে সে এখন না ফেরার দেশে। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়াইয়ে যমদূতেরই জয় হয়েছে। রক্তনালীতে টিউমার আক্রমণ করায় সাতক্ষীরার বহুল আলোচিত মুক্তামণি মৃত্যুর কাছে শেষ পর্যন্ত পরাজয় বরণ করেছে।

মুক্তার মৃত্যুর খবর পেয়ে তাকে শেষবারের মতো দেখতে আসেন সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মো. সজ্জাদুর রহমান, উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. শওকত হোসেন, জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা।

আজ বুধবার সকাল ৮টার দিকে মুক্তামণি তার নিজ বাড়ি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কামারবায়সা গ্রামে মারা যায়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে সাতক্ষীরার মানুষ শোকাতুর হয়ে ওঠে। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছিল।

কামারবায়সা গ্রামের মুদি দোকানি ইব্রাহিম হোসেনের মেয়ে ১৩ বছরের মুক্তামণির হাতে দেড় বছর বয়সে একটি মার্বেলের মতো গোটা দেখা যায়। সেটি পরে বড় আকার ধারণ করে। কয়েক বছর আগে থেকে তার আক্রান্ত ডান হাতটি একটি গাছের ডালের আকার ধারণ করে পচে উঠতে থাকে।

২০১৭ সালের জুলাই মাসের প্রথম দিকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে মুক্তামণির রোগের কথা প্রচারিত হয়। ওই বছরের ১১ জুলাই সরকারি উদ্যোগে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নেওয়া হয়। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছিল।

টানা ছয় মাসের চিকিৎসায় খানিকটা উন্নতি হওয়ায় ২০১৭ সালের ২২ ডিসেম্বর মুক্তামণিকে এক মাসের ছুটিতে বাড়ি পাঠানো হয়। বাড়িতে আসার পর থেকে তার অবস্থা ক্রমেই অবনতির দিকে যেতে থাকে। শরীরে নতুন করে পচন ধরে। তাতে পোকা জন্মায়। এমনকি রক্তও ঝরতে থাকে।

মুক্তামণির বাবা ইব্রাহিম হোসেন বলেন, আজ বুধবার সকাল সোয়া ৮টার দিকে মুক্তামণি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে। তার মৃত্যুতে সাতক্ষীরা জেলাসহ দেশজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। জোহরের নামাজের পর জানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়েছে মুক্তামণিকে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ভারতের ৪ রুপির পেঁয়াজ বাংলাদেশে ৩০ টাকা!

ন্যাশনাল ডেস্ক: ভারতের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার লাসাগাঁওয়ে পেঁয়াজের দামে ব্যাপক ধস নেমেছে। গত দুই দিনে সেখানে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজি চার টাকায়! ব্যাপক লোকসানে পেঁয়াজ বিক্রি করতে গিয়ে সেখানে কৃষকের কান্না ঝরছে। অথচ সেই আমদানি হওয়া পেঁয়াজ বাংলাদেশের বাজারে পৌঁছতেই বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়! আর খুচরা বাজারে ভোক্তাকে কিনতে হচ্ছে ৩০ টাকায়। চড়াদামে কিনতে গিয়ে দেশের ভোক্তাদেরও চোখে কান্না ঝরছে।

ভারতের শীর্ষ গণমাধ্যমগুলো বলছে, গ্রীষ্মকালীন মৌসুমে পেঁয়াজের ব্যাপক উৎপাদন, সরবরাহের পাশাপাশি রমজানে চাহিদা কমে যাওয়ায় দামে এই ধস নেমেছে।

জানতে চাইলে হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক শহীদুল ইসলাম বলেন, রমজান শুরুর কয়েক দিন আগে পেঁয়াজের দাম কিছুটা চড়া ছিল। তখন হিলি স্থলবন্দরে ট্রাক সেলে কেজি ২২ টাকায় বিক্রি হয়েছিল, দাম কমতে কমতে গতকাল সেই পেঁয়াজ কেজি ১২ থেকে ১৬ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

ভারতে পেঁয়াজের দামে ধস নামার কথা স্মরণ করিয়ে দিলে তিনি বলেন, এখনো সেই দামে পেঁয়াজ দেশে আসেনি। সেই দামে আসতে আরো কয়েক দিন সময় লাগবে। তখন দাম হয়তো আরো কমবে।

ব্যবসায়ীরা জানায়, হিলি, ভোমরা, সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ট্রাকে করে পেঁয়াজ চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ পৌঁছে। ফলে স্থলবন্দরে দামের ওপর নির্ভর করেই চট্টগ্রাম কিংবা ঢাকার বাজারে পেঁয়াজের দাম। স্থলবন্দরে বিক্রি হওয়া পেঁয়াজ গতকাল মঙ্গলবার খাতুনগঞ্জে বিক্রি হচ্ছে সর্বনিম্ন ১৪ থেকে সর্বোচ্চ ১৮ টাকায়।
জানতে চাইলে খাতুনগঞ্জের কাঁচা পণ্য আড়তদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস বলেন, পেঁয়াজের বাজারে এখন চরম মন্দাবস্থা, রমজানের শুরুতে দাম কিছুটা ছিল। তখন পাইকারিতেই ৩২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল, আর খুচরাতে সেটি ৪০ টাকা ছাড়িয়েছিল। তিনি বলছেন, তখনো ভারতের বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়েনি, কিন্তু চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কে ব্যাপক যানজটের কারণে পেঁয়াজের দাম বেড়েছিল। এখন বাজারে নাসিক জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৭ থেকে ১৮ টাকা। আর বেলডাঙ্গা, সুখসাগর, শেখপুর ও ভেলোর জাতের ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৩ থেক ১৪ টাকায়।

খাতুনগঞ্জের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী আকরাম উদ্দিন বলছেন, ‘চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কে যানজট স্বাভাবিক হওয়ার পর এত পেঁয়াজ বাজারে এসেছে, কেনার মানুষ নেই। ফলে লোকসান দিয়েই আমাদের ছেড়ে দিতে হচ্ছে, কারণ পচনশীল পণ্য গুদামে জমিয়ে রাখার কোনো সুযোগ নেই। এই অবস্থা অন্তত এই সপ্তাহ চলবে।’

দেশের পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমলেও খুচরা বাজারে এর একেবারেই কোনো প্রভাব নেই। গতকাল কাজীর দেউড়ী বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩১ টাকা। কেন জানতে চাইলে কাজীর দেউড়ী আল মদিনা স্টোরের নাসির উদ্দিন বলছেন, সোমবার খাতুনগঞ্জ থেকে কিনেছি ২৩ টাকা দরে, গতকাল বিক্রি করেছি ৩১ টাকা কেজিতে।

ভারতের টাইমস অব ইন্ডিয়ার গতকালের খবর বলছে, পেঁয়াজের ব্যাপক সরবরাহের কারণে ভারতে পেঁয়াজের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার লাসাগাঁওয়ে পেঁয়াজের দাম গত তিন মাসে ৬৫ শতাংশ কমেছে। ২১ ফেব্রুয়ারি যে পেঁয়াজের গড়দাম ছিল কুইন্টালপ্রতি এক হাজার ৭০০ রুপি, গত ২১ মে সেটির গড়দাম কমে ৬০০ রুপিতে নেমেছে। সেই বাজারে পেঁয়াজ কুইন্টালপ্রতি সর্বনিম্ন ৪০০ রুপি থেকে ৮৬১ রুপিতে বিক্রি হয়েছে। অর্থাৎ কুইন্টাল মানে ১০০ কেজির দাম সর্বনিম্ন ৪০০ রুপি, কেজি চার রুপি।

প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়ার খবর বলছে, মধ্য প্রদেশে কৃষকরা কেজি ৫০ পয়সা থেকে ৫ রুপিতে পেঁয়াজ বিক্রি করতে গিয়ে কান্না ঝরছে। এ জন্য সরকারের কাছে আর্থিক সহায়তা দাবি করেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মস্তিষ্ক ও লিভারের অসুখ সারাতে ফোটানো হলুদ-পানি

স্বাস্থ্য ডেস্ক: প্রতিদিনের রান্নায় আমরা যে সকল মশলা ব্যবহার করি তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভেষজ গুণ রয়েছে হলুদের মধ্যে। সুস্বাস্থ্য রক্ষায় হলুদের ভূমিকা নানাবিধ। প্রায় ৩০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে (আজ থেকে ৫ হাজার বছর আগে) হলুদের সন্ধান পায় মানুষ। ট্রপিক্যাল আবহাওয়ায় হলুদের চাষ ভালো হয়।

হলুদ যে ভালো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট তা তো জানেন। এশিয়ার বহু দেশে ডায়েটারি সাপ্লিমেন্ট হিসাবে হলুদ ব্যবহার করা হয়। কারণ হলুদে প্রচুর পরিমানে পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ভিটামিন সি রয়েছে। হলুদ রান্নায় খেলে ভালো। কাঁচা হলুদ বেটে মাখলে তা ত্বকের পক্ষে ভালো। ব্যাথার উপশমে হলুদ সাহায্য করে। এতো গেল হলুদের কথা।
যদি এক চামচ হলুদ গরম পানিতে গুলে খান তার যেসব উপকারিতা রয়েছে জানেন কি… জেনে নিন…

এক্ষেত্রে বাজারের কেনা প্যাকেট হলুদের বদলে যদি কাঁচা হলুদ কিনে শুকনো করে গ্রাইন্ডারে গুঁড়ো করে নিতে পারেন, তাহলে ভালো ফল পাবেন।

আমেরিকার একটি গবেষণা পত্র থেকে জানা গিয়েছে, ব্রেনের জটিল অসুখ, অ্যালঝাইমার্স, ব্রেন টিউমার ৪০ শতাংশ পর্যন্ত সেরে যায় যদি প্রতিদিন গরম পানিতে হলুদ খান। তবে একেবারে গরম নয়, ইষদুষ্ণ গরম পানিতে এক চামচ হলুদ ফেলে গুলে খান। সকালে খালি পেটে খেতে পারলে ভালো। এছাড়াও দিনের যেকোনও সময় খেতে পারেন।

জন্ডিস, হেপাটাইটিস, লিভার বড় হয়ে যাওয়া, হজমের সমস্যা ইত্যাদি ক্ষেত্রেও খুব কাজে দেয় হলুদের পানি। যাদের হজম, গ্যাস ইত্যাদির ক্রনিক সমস্যা রয়েছে তারা প্রতিদিন খেতে পারেন হলুদ পানি। খেয়াল রাখবেন হলুদ মেশানোর পর তা যেন অন্তত দশ মিনিট ধরে ফোটে।

এছাড়াও যে উপকার গুলি পাবেন-

স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধকারী ও অন্ত্রের ক্যান্সার নিরাময় করে।

শিশুদের লিউকেমিয়ার ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।

গবেষণায় দেখা গেছে, হলুদ অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সার উপশমে চমৎকার কাজ করে।

কোমো থেরাপির পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রোধে সাহায্য করে।

টিউমার হওয়া বন্ধ ও নতুন রক্ত উৎপাদন বৃদ্ধি করে।

এটি চর্বি বিপাকে সাহায্য করে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণ করে।

হলুদের গাঠ পিষে, ঘিয়ে ভেজে চিনি মিশিয়ে কিছু দিন খেলে (নিয়মিত) ডায়াবেটিস সারে।

যে কোনো চর্ম রোগের জন্য হলুদ অনেক উপকারী। কাঁচা হলুদের সাথে কাঁচা দুধ মিশিয়ে শরীরে মাখলে একজিমা, অ্যালার্জি, চুলকানি ইত্যাদি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

মানসিক অবসাদ রোধে সাহায্য করে।

সর্দি-কাশির ক্ষেত্রে খুব ভালো কাজ দেয় হলুদ। কাশি কমাতে হলে হলুদের রস খেয়ে নিন কয়েক চামচ, কিংবা এক টুকরো হলুদের সাথে মধু মাখিয়ে তা মুখের মাঝে রেখে আস্তে আস্তে চুষতে পারেন। সেটা করতে না পারলে এক গ্লাস গরম দুধের মধ্যে হলুদের গুঁড়ো, সামান্য মাখন এবং গোলমরিচ গুঁড়ো মিশিয়ে খেতে পারেন। কয়েকবার খেলে নিজেই তফাৎ বুঝতে পারবেন।

হলুদের মধ্যে প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজ লবণ, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, লোহা প্রভৃতি নানা পদার্থ রয়েছে। তাই হলুদ খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

হলুদের অন্য এক উপাদান ‘পলিফেনল’ চোখের অসুখ ‘ক্রনিক অ্যান্টিরিয়ার ইউভেইটিস’ সারাতে কর্টিকোস্টেরয়ডের কাজ করে।
উল্লেখ্য, এই রোগের প্রকোপে চোখে প্রচণ্ড জ্বালা ও ব্যথা
হয়। সূত্র: টাইমস অফ ইন্ডিয়া

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অনিয়ন্ত্রিত সেলফিতে খেপলেন প্রিয়াঙ্কা

বিনোদন ডেস্ক: বলিউড অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া তার সাবলীল অভিনয়ে যেমন সবার কাছে আপন হয়েছেন ঠিক তেমনি নিপীড়িত রোহিঙ্গাদের সাথেও আন্তরিক হয়ে মেশার চেষ্টা করেছেন এই অভিনেত্রী।

মিয়ানমারে সেনা নিপীড়ন ও সহিংসতা থেকে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দেখতে বাংলাদেশে এসেছেন তিনি। সোমবার (২১ মে) রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে হাজির হন প্রিয়াঙ্কা।

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর শরণার্থী শিবিরের রোহিঙ্গা শিশুদের সঙ্গে আপন জনের মতো মিশতে তাই সোমবার (২১ মে) আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরাপত্তাবলয় একপ্রকার তুলে দিয়েছিলেন তিনি।

শুরুতে রোহিঙ্গাদের প্রিয়াঙ্কার কাছে ঘেঁষতে বাধা দিচ্ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কিন্তু নিরাপত্তার ঘেরাটোপ ছেড়ে আপন জনের মতো রোহিঙ্গা শিশুদের সঙ্গে মিশে যান প্রিয়াঙ্কা। তাদেরকে মমতা ভরে জড়িয়ে ধরে আদর করেন। এ সময় তিনি রোহিঙ্গা শিশুদের কষ্টের কথা শোনেন।

কিন্তু এ সরলতা তার জন্য উল্টো হয়ে দাঁড়ায়। রোহিঙ্গা নারী-শিশু ও প্রশাসনের দায়িত্বশীলদের পাশাপাশি গণমাধ্যমকর্মী ও সাধারণ মানুষও কাছাকাছি এসে রূপালী পর্দার স্বপ্নের মানুষটাকে দেখার সুযোগ পান। এ স্মরণীয় মুহূর্তকে ধারণ করে রাখতে সঙ্গে থাকা স্মার্টফোনে প্রিয় নায়িকাকে অনেকে সেলফি বন্দি করেছেন।

সিংহভাগই নির্দিষ্ট দূরত্বে নিজেদের সেলফি বন্দি করলেও কেউ কেউ আবার এ সুযোগকে করেছেন অপব্যবহার। বাধাহীনভাবে কাছে যেতে পারায় বৌ কিংবা প্রেমিকা বা বন্ধুদের সঙ্গে মুঠোফোনে চ্যালেঞ্জ ধরেছেন প্রিয়াঙ্কার গা-ঘেঁষেই সেলফি বন্দি হবেন। সেভাবে করেছেনও কেউ কেউ। এবং এসব চিত্র আবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গর্বের সাথে আপলোডও করেছেন তারা। প্রিয়াঙ্কা যখন রোহিঙ্গা নারী-শিশু ও ইউনিসেফ কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলছিলেন চ্যালেঞ্জ পূরণ করতে এ সময়টাকে বেছে নিয়ে গা ঘেঁষেই সেলিফ বন্দি হয়েছেন কেউ কেউ।

পরিস্থিতি বিদঘুটে না করতে সে সময়ে প্রতিবাদ না করলেও এসব আচরণে ক্ষেপেছেন এই নায়িকা। হোটেলে ফিরে এ নিয়ে তিনি রীতিমতো ক্ষোভ ঝেরেছেন। পরিবর্তন আনেন ক্যাম্প ভিজিটের নির্ধারিত সিডিউলও। সিদ্ধান্ত দেন মঙ্গলবার (২২ মে) ক্যাম্প পরিদর্শনকালে ইউনিসেফ কর্মকর্তা ও নিজস্ব নিরাপত্তাবাহিনী ছাড়া কেউ কাছে থাকবে না। কোনো মিডিয়াকর্মী, স্থানীয় জনগণ এমনকি বাংলাদেশি নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরাও না। হয়েছেও তা।

সিডিউল মতে, মঙ্গলবার সকালে টেকনাফের সাবরাং হারিয়াখালি, নয়াপাড়া, উনচিপ্রাং ও লেদা ক্যাম্পে যাওয়ার কথা ছিল প্রিয়াঙ্কার। কিন্তু তিনি সকাল সাড়ে ৯টায় সাবরাংহ হারিয়াখালি ক্যাম্পে গেলেও ইউনিসেফের নির্দিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও নিরাপত্তাকর্মী ছাড়া কাউকে তার এক কিলোমিটারের ভেতর আসতে দেয়া হয়নি। নিজের মতো করেই ক্যাম্পে রোহিঙ্গা শিশু ও নারীর সাথে কথা বলেন তিনি। এরপর নাফ নদীর তীরে গিয়ে মিয়ানমারের সীমানা ও অন্যান্য এলাকা অবলোকন করে ছবি তুলে নেন।

এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে টেকনাফ থানার ওসি রনজিত বড়ুয়া জানান, সোমবার (২১ মে) বাহারছরায় সবার সাথে প্রাণবন্ত আচরণ করায় সেলফির নামে তামাশা করেছেন অনেকে। ফলে মঙ্গলবার (২২ মে) কঠোরভাবে সবার কাছ থেকে দূরে থেকেছেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। তার চাওয়া মতো নিরাপত্তা কঠোরভাবে পালন করা হয়েছে। সাধারণ মানুষ নয় গণমাধ্যমকর্মী এবং স্থানীয় নিরাপত্তা বাহিনীকেও কাছে যাওয়ার অনুমতি দেননি তিনি।

এদিকে, মঙ্গলবার সারাদিন টেকনাফেই সিডিউল রাখলেও সাবরাং হারিয়াখালি থেকে যেন তেন ভাবেই লেদা, উনচিপ্রাং ক্যাম্প পরিদর্শন করে প্রিয়াঙ্কা বালুখালি ক্যাম্পে চলে যান। সেখানে অল্প কিছুক্ষণ ঘুরে ফিরে বিকেলেই হোটেলে ফিরে যান। সব জায়গাতেই প্রথম দিনের মতো প্রফুল্লতা ছিল না তার অবয়বে।

এ নিয়ে ইউনিসেফর এক কর্মকর্তা বলেছেন, এটি দুঃখজনক। কোনো সেলিব্রেটি যখন পাবলিক প্লেসে আসে তখন সচেতন পেশাজীবীদের উচিত তার সম্মান ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। কিন্তু সেলিব্রেটিরা যখন সাধারণ মানুষের সাথে সাবলীলভাবে মিশে আন্তরিক হতে চাই তখনও উচিত নিরাপত্তা বলয়ের মতোই তার কাছ থেকে নূন্যতম দূরত্ব বজায় রাখা উচিত। এতে ভক্তকূল সম্পর্কে তার ধারণাটা পরিচ্ছন্ন হবে। সোমবার ইনানীর মনখালীতে কিছু মিডিয়াকর্মী বিশ্রিভাবে সেলফিবাজি করেছে। যা নিয়ে ভীষণ মনোক্ষুণ্ন হয়েছেন শুভেচ্ছাদূত।

তাই মঙ্গলবারের পরিদর্শনে কাউকে কাছে আসতে না দিতে কঠোরভাবে বলেদেন।

বুধবার (২৩ মে) ও বৃহস্পতিবারের (২৪ মে) পরিদর্শনে একই নির্দেশনা রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। তাই নিপীড়িত রোহিঙ্গাদের সহমর্মিতা দেখাতে আসা বিশ্ব অতিথিদের মতো শুভেচ্ছা দূত তারকাদের সাথেও দূরত্ব বজায় রেখে সম্মানজনক সহযোগিতার আহবান জানান তিনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
প্রযোজনায় নামছেন বারাক ওবামা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তারা ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন। সৃষ্টিসুখের উল্লাসে নিজেদের মেলে ধরতে চাইছেন তারা। আর তারা যে কেউ নন, তারা হলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবং তার স্ত্রী মিশেল ওবামা। তারা নেটফ্লিক্স সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছেন।

নেটফ্লিক্স সংস্থা সূত্রে খবর, বেশকিছু তথ্যচিত্রে ও ফিল্মে তারা প্রযোজনা করবেন। সেই বিষয়ে দু’‌পক্ষের মধ্যে চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই চুক্তি থাকবে ২০১৯ সালের মে মাস পর্যন্ত। তবে এখানে কোনও রাজনৈতিক বিষয় থাকবে না। এই চুক্তির ফলে ১২৫ কোটি গ্রাহক উৎসাহিত হবেন।

যদিও ওবামার বিবৃতি মানুষের জীবন ও সমস্যা তিনি যা দেখেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট থাকার সময় তা তুলে ধরতেই এই প্রযোজনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। সেখানে নতুন মেধাকে তুলে আনা হবে বলেও তার বিবৃতি থেকে জানা গেছে।

নেটফ্লিক্সের চিফ কনটেন্ট অফিসার টেড সারানডস জানান, ওবামার ব্যতিক্রমী চিন্তাভাবনা তথ্যচিত্র ও ফিল্মকে বিশেষ মাত্রা যোগ করবে। আর সমাজের বুকে মানুষের ঘটনাবহুল জীবনকে গোটা বিশ্বের দরবারে ছড়িয়ে দেওয়া যাবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
প্রতিদিন কাঁচা পেঁয়াজ খেলে যে উপকার হয়

স্বাস্থ্য ডেস্ক: ‘যত কাঁদবেন, তত হাসবেন’- পেঁয়াজের ক্ষেত্রে এই কথাটা দারুণভাবে কার্যকরী। কারণ এই সবজি কাটতে গিয়ে চোখ ফুলিয়ে কাঁদতে হয় ঠিকই। কিন্তু এই প্রাকৃতিক উপাদানটি শরীরেরও কম উপকার লাগে না! একাধিক গবেষণায় এ কথা প্রমাণিত হয়েছে- পেঁয়াজের শরীরে উপস্থিত বেশ কিছু উপকারী উপাদান একাধিক রোগের চিকিৎসায় বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। যেমন:-

মুখের গন্ধ দূর করে
কাঁচা পেঁয়াজ খেলে মুখ গহ্বরের উপস্থিত ব্যাকটেরিয়াগুলো মরতে শুরু করে। ফলে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়। সেই সঙ্গে মাড়িতে নানাবিধ রোগ হওয়ার আশঙ্কাও কমে।

কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়
শরীরে ভালো কোলেস্টেরল বা এইচডিএল-এর মাত্রা বাড়িয়ে একদিকে যেমন শরীরকে চাঙ্গা রাখে, তেমনি অন্যদিকে খারাপ কোলেস্টরলের পরিমাণ কমিয়ে হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়ায়। এভাবে নিজের বিশেষ ক্ষমতা বলে পেঁয়াজ আমাদের আয়ু বাড়াতে বিশেষভাবে সাহায্য করে থাকে।

জ্বরের প্রকোপ কমায়
ঘুমাতে যাওয়ার আগে একটা পিঁয়াজ কেটে নিন। তার সঙ্গে অল্প করে আলু এবং ২টা রসুনের কোয়া মিশিয়ে মোজার মধ্যে রেখে সেই মোজা পরে ঘুমাতে যান। এমনটা কয়েকদিন করলেই দেখবেন সুস্থ হতে শুরু করেছেন।

ডায়াবেটিসের মতো রোগকে দূরে রাখে
একেবারে ঠিক শুনেছেন! ২১ শতকের সব থেকে ভয়ঙ্কর এই রোগকে দাবিয়ে রাখতে পেঁয়াজের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। আসলে এই সবজিটিতে উপস্থিত বেশ কিছু উপদান রক্তে শর্করার মাত্রাকে বাড়তে দেয় না। সেই সঙ্গে ইনসুলিনের ঘাটতি যাতে দেখা না দেয়, সেদিকেও খেয়াল রাখে। ফলে ডায়াবেটিসের প্রকোপ বৃদ্ধির সুযোগই থাকে না।

ইনসোমনিয়া মতো রোগের প্রকোপ কমায়
আপনি কি রাতের তারা? ঘড়ির কাঁটা সকালের দিকে এগিয়ে গেলেও চোখের পাতা এক করতে পারেন না? তাহলে তো প্রতিদিনের ডায়েটে পেঁয়াজের থাকা চাইই চাই। কারণ ইনসোমনিয়ার মতো রোগের উপশমে এই সবজিটি দারুণ কাজে আসে।

আঁচিল দূর করে
গোল করে পেঁয়াজ কেটে আঁচিলের উপর রেখে একটা কাপড় দিয়ে বেঁধে দিন। যাতে সেটি পরে না যায়। প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে এমনটা করলে অল্প দিনেই দেখবেন আঁচিল খসে পড়ে গেছে।

স্মৃতি শক্তির উন্নতি ঘটায়
সম্প্রতি প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্র অনুসারে নিয়মিত কাঁচা পেঁয়াজ খেলে ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে স্মৃতিশক্তির যেমন উন্নতি ঘটে, তেমনি নার্ভাস সিস্টেমের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে একাধিক ব্রেন ডিজিজ হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়।

ক্যান্সার রোগকে দূরে রাখে
ব্রেন, কোলোন এবং ঘাড়ের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা একেবারে শূন্যতে এসে দাঁড়ায় যদি প্রতিদিন পেঁয়াজ খাওয়া যায়। কারণ এই সবজিটিতে উপস্থিত বেশকিছু উপাদান শরীরের অন্দরে ক্যান্সার কোষের জন্ম হতে দেয় না। ফলে এমন ধরনের মারণ রোগ ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না।

কাশির প্রকোপ কমায়
একটা পেঁয়াজকে কেটে নিয়ে তার রস সংগ্রহ করে নিন। তারপর তাতে কয়েক ড্রপ মধু মিশিয়ে এই মিশ্রণ দিনে কম করে দুইবার পান করলেই কাশি কমে যেতে শুরু করবে। সূত্র : বোল্ডস্কাই

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ফুসফুস ক্যান্সারের কোষ ধ্বংসে চা পাতা!

স্বাস্থ্য ডেস্ক: একটি নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, ফুসফুস ক্যান্সারের কোষগুলো চা পাতার ক্ষুদ্র কনার সাহায্যে ধ্বংস করা যেতে পারে। গবেষকরা এই ক্ষুদ্র কণার নাম দিয়েছেন ‘কোয়ান্টাম ডটস’ মানুষের একটি চুলের চেয়েও ৪০০ গুণ বেশি পাতলা। চায়ের পাতার উৎপাদিত এ কণা নিরাপদ ও বিষমুক্ত।

স্বাস্থ্যের সুরক্ষায় এই কণার সম্ভাব্য ব্যবহারের ওপর এখন ব্যাপকহারে গবেষণা করা হচ্ছে। চায়ের পাতার এই ন্যানোপার্টিকেলস বা ক্ষুদ্র কণা সংক্রান্ত গবেষণাটি করা হয়েছে যুক্তরাজ্যের সোয়ানসিয়া ইউনিভার্সিটির কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ফেলো সুধাগার পিচাইমুথুর নেতৃত্বে। গবেষণাটি অ্যাপলাইড ন্যানো ম্যাটেরিয়েলস সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। সূত্র: মেডিকেল নিউজ টুডে

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest