সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরায় রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ তরুণী : থানায় সাধারণ ডায়েরিসাতক্ষীরা জেলা ভূমিহীন সমিতির আয়োজনে ফ্রি চক্ষু ক্যাম্প অনুষ্ঠিততালায় বাড়িতে হামলা : মোটরসাইকেল ও মালামাল পুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগনানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সাতক্ষীরায় দূর্যোগ প্রশমন পালিত নারীর অধিকার রক্ষায় ইসলাম যে ভাবে প্রোমোট করেছে ছাত্রশিবির সেই ভাবে প্রোমোট করে: ছাত্রশিবির সভাপতিজাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে ট্রাইবেকারে ৩-২ গোলে সাতক্ষীরার জয়লাভসাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কাছে জামায়াতের স্মারকলিপিসংবাদ সম্মেলনে আয়া : ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমাকে ও সহকারী প্রধান শিক্ষককে অপবাদ দেওয়া হচ্ছেমেহেরপুরে অনলাইন জুয়ার প্লাটফর্ম চালানো ২ যুবক সাতক্ষীরায় গ্রেফতারআমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) সাতক্ষীরা জেলা কমিটি পুর্নগঠন

সাংবাদিক গাজী মোক্তার হোসেনের মৃত্যুতে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের শোক

সাতক্ষীরা জেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি গাজী মোক্তার হোসেন সোমবার (৭ জুলাই ‘২৫) রাত ১১টার দিকে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন।

তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা এবং মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কাশেম, সহ-সভাপতি আবুল কালাম, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান, যুগ্ম সম্পাদক এম. বেলাল হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক এম শাহীন গোলদার,

অর্থ সম্পাদক শেখ ফরিদ আহমেদ ময়না, দপ্তর সম্পাদক মাসুদুজ্জামান সুমন, সাহিত্য সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সম্পাদক আকরামুল ইসলাম, নির্বাহী সদস্য এড. খায়রুল বদিউজ্জামান, আবু তালেব, কাজী জামালউদ্দিন মামুন, আব্দুস সামাদ, আসাদুজ্জামান সরদার।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান দিবসসমূহ যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনে সাতক্ষীরায় সভা

নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান দিবসসমূহ যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের নিমিত্ত সাতক্ষীরা জেলা বাস্তবায়ন কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন, সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ।

সভায় এসময় আরো বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় সরকার বিভাগ সাতক্ষীরার উপ-পরিচালক মাশরুবা ফেরদৌস, সিভিল সার্জন ডাঃ আব্দুস সালাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিষ্ণুপদ পাল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুকিত হাসান খাঁন, জেলা জামায়াতের আমীর শহিদুল ইসলাম মুকুল, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কাসেম, জেলা তথ্য অফিসার জাহারুল ইসলাম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা আহবায়ক আরাফাত হোসেন, মুখপাত্র মোহিনী তাবাসসুম প্রমুখ।

সভায় ১৪ জুলাই থেকে ৩৬ জুলাই পর্যন্ত সরকার ঘোষিত বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। কর্মসূচিগুলো হলো, ১৪ জুলাই জুলাই ওমেনস ডে পালন ও জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপন, ১৬ জুলাই যিনি যে স্থানে প্রাণ হারিয়েছেন, সেই স্থানে স্ট্রিট মেমোরি স্টাম্প স্থাপন, ১৮ জুলাই প্রতিকী ম্যারাথন , যাতে আহত ও শহীদদের পরিবার ম্যারাথনের অগ্রভাগে থাকবে, ১৯ জুলাই শহীদদের স্মরণে সংখ্যা অনুযায়ী গাছরোপন, ২১ জুলাই মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জুলাইয়ের স্মরণে অনুষ্ঠান ও দোয়া মাহফিল, ২৪ জুলাই শিশু শহিদদের স্মরণে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জুলাই কেন্দ্রিক কবিতা আবৃতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিযোগীতামুলক কর্মসূচি গ্রহণ, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গ্রাফিতি ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, ২৮ জুলাই রক্তদান কর্মসূচি ও মেডিকেল ক্যাম্প স্থাপন, ৩১ জুলাই কলেজে জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে অনুষ্ঠান, ৩৪ জুলাই ‘জুলাই নিয়ে চলচ্চিত্র প্রদর্শন, ৩৫ জুলাই ডিসি অফিসে জুলাই সম্মুখসারির যোদ্ধাদের নিয়ে সমাগম অনুষ্ঠান ও ৩৬ জুলাই সকালে জুলাই স্মৃতিস্তম্ভে পুস্পস্তবক অর্পণ, শহীদ পরিবারের সদস্যদের সম্মিলন আয়োজন ও পরে ধর্মীয় উপাসনালয়ে মোনাজাত ও প্রার্থনার আয়োজন।

সভায় জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ জানান, সরকার ঘোষিত জুলাই বিপ্লবের প্রতিটি কর্মসূচি যথাযথভাবে পালনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।##

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পণ্যগ্রাফি নিয়ন্ত্রন আইনের মামলার আসামীদের গ্রেফতারের দাবিতে প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দের বিবৃতি

সাতক্ষীরায় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে আপত্তিকর ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে পণ্যগ্রাফি নিয়ন্ত্রন আইনের মামলার অন্যতম আসামী কথিত সাংবাদিক এস কে কামরুল হাসানসহ অন্য আসামীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে বিবৃতি দিয়েছেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ।

বিবৃতিদাতারা হলেন, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কাশেম, সহ-সভাপতি আবুল কালাম, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান, যুগ্ম সম্পাদক এম. বেলাল হোসাইন,সাংগঠনিক সম্পাদক এম শাহীন গোলদার, অর্থ সম্পাদক শেখ ফরিদ আহমেদ ময়না, দপ্তর সম্পাদক মাসুদুজ্জামান সুমন,নির্বাহী সদস্য এড. খায়রুল বদিউজ্জামান, আবু তালেব, কাজী জামালউদ্দিন মামুন, আব্দুস সামাদ, আসাদুজ্জামান সরদার।

বিবৃতিদাতারা অবিলম্বে কামরুল হাসানসহ সকল আসামীদের গ্রেফতার পূর্বক কঠোর শাস্তির দাবি জানান। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় গৃহবধু গণধর্ষণের মামলার আসামী গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার পায়রাডাঙা গ্রামে মুরগি ও মাছের সমন্বিত খামারের কর্মচারীকে বেঁধে রেখে অন্তঃস্বত্বা গৃহবধুকে গণধর্ষণের ঘটনায় দেলোয়ার হোসেন নামের এক আসামীকে র‌্যাব এর সহযোগিতায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরার বাইপাস সড়কের বকচরা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত দেলোয়ার হোসেন সাতক্ষীরা সদরের পায়রাডাঙা গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে।

মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক শরিফুল ইসলাম জানান, গত ১৭ ম্যে দিবাগত রাত দুটোর দিকে সাতক্ষীরা সদরের পায়রাডাা গ্রামের রবিউল ইসলামের মুরগি ও মাছের সমন্বিত খামারের পুরুষ কর্মচারিকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হাত ও মুখ রেঁধে তার ৫ মাসের অন্তঃস্বত্বা স্ত্রীকে গণধর্ষণ, নগদ টাকা ও সোনার গহনা লুটপাটের ঘটনায় ওই নারী বাদি হয়ে ১৮ মে তিনজনের নাম উল্লেখ করে সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন নির্যাতন আইন ২০০০ সালের সংশোধিত ২০০৩ এর ৯(১) ধারাসহ পেনাল কোর্ডের ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলায় দুইজন আসামীকে ইতিপূর্বে গ্রেপ্তার করে তাদের ডিএনএ টেষ্টের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর হত পহেলা জুন পাঠানো হয়। সোমবার দুপুর দুটোর দিকে শ^শুরবাড়ি বাইপাস সড়কের বকচরা এলাকা থেকে মামলার অপর আসামী দেলোয়ার হোসেনকে র‌্যাব এর সহযোগিতায় গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমাণ্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

সাতক্ষীরা আদালতের পুলিশের উপপরিদর্শক বিশ^জিৎ রায় জানান, মামলার নথি জজ কোর্টে থাকায় সোমবার দেলোয়ারের রিমা- শুনানীর দিন নির্ধারণ করা যায়নি। নথি নি¤œ আদালতে এলে রিমা- শুনানীর দিন ধার্য করা হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনি বাজারের পাশে বসবাসকারীরা নদী ভাঙ্গনে উদ্বিগ্ন: ইউএনওর পরিদর্শণ

বিএম আলাউদ্দীন আশাশুনি প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলা সদর বাজার ও পাশের শত শত বসবাসকারী ব্যবসায়ীরা নদী ভাঙ্গনের মুখে পড়ে অসহায় হয়ে পড়েছে।

ক্রান্তিলগ্নে পাউবোর ১৫ দিনের মধ্যে স্থাপনা অপসারনের ঘোষণা মড়ার উপর খাড়ার ঘা হয়ে দেখা দিয়েছে।
আশাশুনি সদর বাজার ও পার্শবর্তী এলাকা দীর্ঘকাল নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ে সর্বশান্ত হয়ে আসছে। ইতিপূর্বে বাজারের অসংখ্য দোকান,পুরাতন হাসপাতাল,অফিস ও শত শত বিঘা জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। নদী খনন কাজ শুরু হলে বাজার রক্ষা,এলাকার শত শত বাসিন্দাদের রক্ষার জন্য দাবী জানানো হয়। মিছিল,মানববন্ধন,প্রতিবাদ সভা, স্মারকলিপি পেশসহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার আবেদন নিবেদন করা হয়। সিএস ম্যাপ অনুযায়ী নদীর মাঝখান দিয়ে নদী খননের দাবী জানানো হয়।

কিন্তু রাজনৈতিক প্রভাবের কারনে জনদাবী বাস্তবায়ন হয়নি। আজ প্রমানিত হচ্ছে মানুষের দাবী কতটা যৌত্বিক ছিল। সিএস ম্যাপ অনুযায়ী খনন হলে বাজারটি পূর্বের অবস্থায় ফিরতে পারতো। কিন্তু বর্তমানে ভাংতে ভাংতে বহু দূরে সরে আসা দোকান পাট,অফিস,প্রতিষ্ঠান পুনরায় নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়তে চলেছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে বাজারের অবশিষ্ট দোকান পাট ও স্থাপনার বড় অংশ ভাঙ্গনের কবলে পড়বে।

এলাকাবাসীর দাবী,নদী প্রবাহ ঠিক রাখার জন্য যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু অপসারন করা হোক। কিন্তু ওয়াপদার পাশে শত শত দোকান পাট,অফিস,ব্যাংক বীমা,স্থাপনা,হাজার হাজার পরিবারের ঘরগৃহ যারা বছরের পর বছর ওয়াপদার পাশে বসবাস করে আসছে,তাদের অপসারন করে ওয়াপদা কি সেখানে কিছু করবে? যদি না করে তবে তাদেরকে বৈধ প্রক্রিয়ায় রাজস্ব নিয়ে বসবাস ও ব্যবসা পরিচালনার সুযোগ করে দেয়া হোক। সাথে সাথে বাজার ও এলাকা রক্ষার জন্য দ্রুত ব্লক ফেলা ও টেকসই বাঁধ নির্মানের ব্যবস্থা করা হোক। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে বাজার, উপজেলা পরিষদ,থানা,স্কুল,দোকান পাট,অফিস, বসতঘর নদী গর্ভে বিলীন হতে পারে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার কৃষ্ণা রায় সোমবার(৭ জুলাই) বিকাল ৩ টায় নদী ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেন। তিনি জেলা প্রশাসকসহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস প্রদান করেন। এসময় বাজার কমিটির সভাপতি জাকির হোসেন প্রিন্স,সাধারণ সম্পাদক এবিএম আলমগীর পিন্টু,সহ সভাপতি প্রভাষক ইয়াহিয়া ইকবাল,সহ সভাপতি ডাঃ বিল্লাল হোসেন,অর্থ সম্পাদক আহসান উল্লাহ,দপ্তর সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম,প্রেস ক্লাব সভাপতি জি এম আল ফারুক,প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জি এম মুজিবুর রহমান,সবেক অর্থ সম্পাদক এস,এম মোস্তাফিজুর রহমান,আকাশ হোসেন, আলাউদ্দিন,লিংকন আসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলায় ৩৩ জনের জামিন

ডেস্ক রিপোর্ট : সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের উপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ৩৩ জন সাংবাদিক আদালতে স্বেচ্ছায় হাজির হয়ে জামিন নিয়েছেন।

সোমবার (৭ জুলাই) সাতক্ষীরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালতের বিচারক রাফিয়া সুলতানা তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।

সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে এই মামলাটি দায়ের করেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের দখলদার কমিটির নেতা মো. আবু নাসের সাঈদ। মামলায় ৩৭ জন সাংবাদিকের নাম উল্লেখ করা হয়, যাদের বিরুদ্ধে দাঙ্গা, ভাঙচুর ও হত্যাচেষ্টার মতো ফৌজদারি ধারা (১৪৩/৩২৫/৩০৭/৪২৭/৫০৬ পেনাল কোড) প্রয়োগ করা হয়েছে।

আদালতে সাংবাদিকদের পক্ষে জামিনের পক্ষে সওয়াল করেন সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট এম শাহ আলম, সাবেক পিপি অ্যাডভোকেট সৈয়দ ইফতেখার আলী ও অ্যাডভোকেট খায়রুল বদিউজ্জামালসহ অর্ধশতাধিক সিনিয়র আইনজীবী।

জামিন পাওয়া সাংবাদিকরা বলেন, আমরা ন্যায়বিচারের ওপর আস্থাশীল বলেই আইন মেনে আদালতে আত্মসমর্পণ করেছি। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে যেভাবে উদ্দেশ্যমূলকভাবে মামলা করা হয়েছে, তাতে আমাদের পেশাগত নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

এ দিকে সাংবাদিক নেতারা দাবি করেছেন, মূলত সাংবাদিকদের উপর সংঘটিত হামলার ঘটনা আড়াল করতেই পাল্টা মামলা করেছেন আবু সাঈদ। তারা আরও বলেন, যারা হামলার শিকার হয়েছেন, আজ তারাই আসামি, এটি ন্যায়বিচারের পরিপন্থী। আমরা দ্রুত হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করছি।

উল্লেখ্য, গত ৩০ জুন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব এলাকায় দখলদার কমিটির আবু সাঈদ ও আব্দুল বারীর নির্দেশে সাংবাদিকদের উপর হামলা চালায় বহিরাগতরা। এতে সভাপতি আবুল কাশেমসহ অন্তত ৩০ জন সাংবাদিক আহত হন। ঘটনায় দুটি পৃথক মামলা হয়। একটি সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এবং অপরটি আবু সাঈদের পক্ষ থেকে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাংবাদিকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ছয় দিন, থানার সামনেই প্রকাশ্যে ঘুরছেন আসামিরা

ডেস্ক রিপের্ট:
সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের ওপর সংঘটিত সন্ত্রাসী হামলার ছয় দিন পার হলেও মামলার প্রধান আসামিরা এখনো ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। ভিডিও ফুটেজ, ছবি, ভুক্তভোগীদের বয়ান ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য থাকলেও প্রশাসনের এই নিষ্ক্রিয়তায় উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জেলার সাংবাদিক সমাজ। অবাক করার মতো বিষয় আসামিরা প্রকাশ্যে সাতক্ষীরা থানার সামনেই দলবল নিয়ে ঘোরাফেরা করছে।

এর আগে, গত ৩০ জুন (সোমবার) দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে চলমান নেতৃত্ব সংকট ও অভ্যন্তরীণ বিরোধকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা চালানো হয় প্রেসক্লাবের বর্তমান সভাপতি আবুল কাশেম ও তার সঙ্গে থাকা সাংবাদিকদের ওপর। হামলায় কমপক্ষে ৩০ জন সাংবাদিক আহত হন। ঘটনার পরপরই প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলায় হামলার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে নাম উল্লেখ করা হয় আবু নাসের মো. আবু সাঈদ (৪৫)-এর।পাশাপাশি নাম আসে তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী আল ইমরান, অমিত ঘোষ বাপ্পা এবং শাকিলা ইসলাম জুঁই–এরও। প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই ছিল হামলায় সরাসরি অংশগ্রহণ ও নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ।

এদিকে, আল ইমরান ও অমিত ঘোষের বিরুদ্ধে মাদকাসক্তি, প্রতারণা ও ভাড়াটে সন্ত্রাসী হিসেবে সক্রিয় থাকার অভিযোগ পুরোনো। অপরদিকে, শাকিলা ইসলাম জুঁই বর্তমানে সাতক্ষীরা জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হলেও ঘটনার দিন তাকে হাতে লোহার রড নিয়ে হামলায় অংশ নিতে দেখা গেছে, যার ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রীতিমতো ভাইরাল হয়েছে।

সাংবাদিকদের অভিযোগ, এতদিনেও মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিদের কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। বরং ঘটনার পরদিন হামলার মূল অভিযুক্ত আবু সাঈদ নিজেই থানায় পাল্টা মামলা করেন, যেখানে তিনি সাতক্ষীরার ৩৭ জন কর্মরত সাংবাদিককে আসামি করেন। মামলার ধারা: ১৪৩/৩২৫/৩০৭/৪২৭/৫০৬ দণ্ডবিধি। সাংবাদিকদের দাবি, এ মামলা মিথ্যা, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং প্রকৃত হামলাকারীদের রক্ষার কৌশল মাত্র।

অভিযোগ রয়েছে, আবু সাঈদ দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে চলছেন। এক সময় তিনি ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবিসহ কয়েকজন সাংসদের আর্থিক সহায়তাকারী (ডোনার)।

২০১৯ সালের ৩১ মে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে প্রথমবারের মতো হামলার সময়ও এমপি রবির ছত্রছায়াতেই সাঈদ ক্লাবে প্রবেশ করে ভাঙচুর চালান বলে অভিযোগ রয়েছে। ওই সময়প্রেসক্লাবের নবনির্মিত হলরুমের নাম পরিবর্তন করে তিনি ‘বঙ্গবন্ধু মিলনায়তন’ নামকরণ করে একটি ফলকও স্থাপন করেন।

৫ আগস্ট ২০২৪-এর পরবর্তী সময় থেকে সাঈদ ও তার পরিবার সাতক্ষীরার তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সংগঠন দখলে নেয়। বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি– সাঈদের চাচা আব্দুর রউফ, ভোমরা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন– চাচা হাবিবুল ইসলাম হবি (এখানে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে), সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব–সাঈদের নিজ নেতৃত্বে এখনো রয়েছে তার দখলে।

সাংবাদিকদের ভাষ্য, এসব পদ-পদবি ব্যবহার করেই সাঈদ ও তার সহযোগীরা দখল ও সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন। হামলার পরদিন থেকে সাতক্ষীরা শহরের বিভিন্ন এলাকায় আসামিদের প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে। থানার সামনেই দলবল নিয়ে বসে আড্ডা দিচ্ছেন আসামিরা, অথচ পুলিশ কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।

সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. আবুল কাশেম বলেন, সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনার ভিডিও ও স্থিরচিত্রসহ পর্যাপ্ত প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও ঘটনার ছয়দিন অতিক্রম করেছে, এখনো পর্যন্ত মূল আসামিদের কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। আসামিরা থানার সামনেই দলবল নিয়ে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে—এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ও প্রশাসনের ব্যর্থতারই বহিঃপ্রকাশ।

তিনি আরও বলেন, আমরা আশা করি, এই ঘটনায় জড়িত সবাইকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা হবে। সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে প্রশাসনের আরও কার্যকর পদক্ষেপ প্রয়োজন।

সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামিনুল হক বলেন, ঘটনাস্থল থেকেই একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে হামলাকারীরা প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থানার সামনেই প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে—এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি জানান, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে (আইও) বিষয়টি জানান, তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে থানার সামনে আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে—এমন কোনও তথ্য এখনো আমার কাছে পৌঁছায়নি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ভারতীয় পর্ন ভিডিওতে সাংবাদিকের ছবি জুড়ে ব্লাকমেইল করে চাঁদা দাবি

নিজাস্ব প্রতিনিধি :

ভারতীয় পর্নসাইট থেকে ভিডিও নিয়ে এক সংবাদিকের ছবি জুড়ে ব্লাকমেইল করে চাঁদাদাবির ঘটনায় মামলা হয়েছে সাতক্ষীরায় থানায়। শনিবার (৫ জুলাই) বিকেলে পর্নগ্রাফি ও চাঁদাবাজি ধারায় ধারায় সাতক্ষীরা থানায় মামলাটি নথিভূক্ত করা হয়।

মামলার আসামীরা হলেন, পাটকেলঘাটার কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের আল-আমিন সরদার, শহরের পলাশপোল এলাকার রিনা খাতুন ও কালিগঞ্জের রতনপুর গ্রামের কামরুল হাসানসহ অজ্ঞাতনামা ৫-৬ জন।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ভারতীয় পর্নসাইটের একটি অস্পষ্ট ভিডিও ডাউনলোড করে ভূক্তভোগী সাংবাদিকের ছবি ভিডিওর কর্ণারে জুড়ে দিয়ে ফেসবুকে অপপ্রচার করছে অপরাধীরা। ফেসবুকে পোস্ট করার পূর্বে ওই সাংবাদিকের হোয়াটসঅ্যাপে সেই এডিট করা ভিডিও পাঠিয়ে ফেসবুকে প্রচারের হুমকি দিয়ে মোটা অংকের টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। টাকা দিতে অস্বকৃতি জানালে সেই ভিডিওটি অপরাধীরা নিজ নামীয়সহ বেনামী বিভিন্ন ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপে ছড়িয়ে দেয়।

সাতক্ষীরা সাইবার এলার্ট টিমের পরিচালক মাহবুব রহমান ভিডিওটি দেখে বলেন, পর্ন ভিডিওতে থাকা ব্যক্তির সঙ্গে এডিট করে ছবি জুড়ে দেয়া ব্যক্তির মিল নেই। গুগল সেন্স সার্চের মাধ্যমে ভিডিওটির অস্তিত্ব পাওয়া যাচ্ছে ভারতীয় বিভিন্ন পর্নসাইটে।

সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কাশেম বলেন, ৫ আগষ্ট গণঅভ্যুত্থানে মাঠে থাকা একজন সৎ ও সুপরিচিত সাংবাদিককে টার্গেট করে ফেসবুকে অপপ্রচার করছে একটি চক্র। বলা হচ্ছে, অশ্লীল ওই অস্পষ্ট ভিডিওটি ওই সাংবাদিকের। অথচ যার কোন বাস্তবতা নেই। আমি এই ঘটনায় জড়িত অপরাধীদের অবিলম্বে গ্রেফতার দাবি করছি। না হলে সাতক্ষীরার সাংবাদিক সমাজ মাঠে নামবে।

সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি তদন্ত শফিকুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় পর্নগ্রাফি ও চাঁদাবাজি আইনে এজাহার নামীয় তিনজন ও অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলা নং ২৩। আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছে পুলিশ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest