সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরায় ব্যবসায়ীর ২৩ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের মুল হোতা আলিমুদ্দীন গাজি গ্রেপ্তারদেবহাটায় শহীদ রাস্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকীতে আলোচনাজিয়াউর রহমান এর জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে সাতক্ষীরায় তাঁতীদলের দোয়াজেলা জে এস ডির শোকনওয়াবেঁকীতে রাতের আধারে বাচ্চাসহ গরু জবাই : ৭ হাজার টাকা জরিমানাশ্যামনগর উপজেলা ও পৌর বিএনপি’র নবগঠিত কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভসাতক্ষীরা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আয়োজনে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণসাতক্ষীরায় এসএটিভি’র প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে কেককাটাসাতক্ষীরার বিভিন্ন সীমান্ত জব্দ হওয়া বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্য ধ্বংসআশাশুনিতে এনসিটিবি’র অনুমোদনহীন বই বাজারজাতে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার অভিযোগ

সাতক্ষীরায় আন্তর্জাতিক প্রবীন দিবস পালিত

সিনিয়র সিটিজেন ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন সাতক্ষীরার আয়োজনে ৩৪ তম আন্তর্জাতিক প্রবীন দিবস পালিত হয়েছে।

১ অক্টোবর সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা ষ্টেডিয়ামাস্থ এসোসিয়েশনের নিজস্ব কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন, এসোসিয়েশনের সভাপতি ডা: সুশান্ত কুমার।

সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারন সম্পাদক প্রকৌশলী আবেদুর রহমান। বক্তব্য রাখেন সহ সভাঃ অধ্যাক্ষ অবঃ আব্দুল হামিদ,অধ্যক্ষ অব ডঃ দিলারা বেগম যুগ্ন সম্পাদক কাজী আবু হেলাল,কবি শহীদুর রহমান, ডাঃ হাসান ইমাম, অধ্যাপক মনিরুজ্জামান,প্রকৌঃ আব্দুর রশিদ,বীর মুক্তিযোদ্ধা জিলল্লুর করিম,

বাবুলিয় সেবা সংসদের সভাপতি এস এম কাওছার প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কবি সাহিত্যিক পল্টু বাসার।
বক্তাগন এই বছরের প্রতিপাদ্য “মর্যাদাপূর্ণ বার্ধক্য, বিশ্বব্যাপী প্রবীণ পরিচর্যা ও সহায়তা ব্যবস্থা শক্তিশালী করন” বিষয়ের উপরে আলোকপাত করে দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনির কাদাকাটিতে পানিবন্দি পরিবারের মাঝে ৬ হাজার লিটার পানি বিতরণ

বিএম আলাউদ্দীন আশাশুনি ব‍্যুরো:

আশাশুনির কাটাকাটিতে পানিবন্দি পরিবারের মাঝে গত দুই দিনে ৬ হাজার লিটার বিশুদ্ধ পানি বিতরণ করা হয়েছে। উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় রবিবার ও সোমবার দুই দিনে উপজেলার কাদাকাটি ইউনিয়নের পূর্ব কাদাকাটি ও যদুয়ারডাঙ্গা গ্রামে পানিবন্দি পরিবারের মাঝে ৬ হাজার লিটার বিশুদ্ধ পানি বিতরণ করা হয়।

পানি বিতরণ কালে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান, সাবেক ইউপি সদস্য জহির উদ্দিন, উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর মেকানিক মনিরুল ইসলাম, তানভীর হোসেন,

খালেদ মেহেমুদ সুজন, স্বেচ্ছাসেবক খায়রুল ইসলাম ও ফারুক হোসেন প্রমুখ। এছাড়া জানা গেছে আগামীকাল মঙ্গলবার খেজুয়ার ডাঙ্গা গ্রামে ৩ হাজার লিটার পানি বিতরণ করা হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনির বিল বকচর প্রাথমিক বিদ্যালয় দু’মাস পানিতে নিমজ্জিত

বিএম আলাউদ্দীন আশাশুনি প্রতিনিধি:
আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়নে ৬৭ নং বিল বকচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পানিতে নিমজ্জিত থাকায় ক্লাশ পরিচালনা কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে। কোমলমতি শিশুরা হাটু পানি ঠেলে স্কুলে যেতে হিমশিম খাচ্ছে।
ইউনিয়নের বিল অঞ্চলে গড়ে ওঠা গ্রামের মধ্যে অবস্থিত বিদ্যালয়টি অবহেলিত ও বঞ্চিত জনপদের শিশুদের শিক্ষার আলোয় উদভাসিত করতে ভূমিকা রেখে আসছে।

কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে অতিবৃষ্টির কারনে এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। স্কুলে যাতয়াতের রাস্তাও হাটু পানিতে তলিয়ে গেছে। জরাজীর্ণ ভবনে কর্তৃপক্ষ ক্লাশ পরিচালনা করে আসছে। দীর্ঘদিন জরাজীর্ণ ভবনে অপসারণ করে নতুন ভবন নির্মানের দাবীর প্রেক্ষিতে উপজেলা শিক্ষা অফিসের মাধ্যমে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে নতুন ভবন নির্মানের প্রস্তাব গেলেও এখনো ভবন বরাদ্দের কোন ব্যবস্থা হয়নি। জরাজীর্ণ ভবনের ৩টি কক্ষে কোন রকমে ২ শিফটে ক্লাশ চালান হচ্ছিল। কিন্তু প্রায় ২ মাস পূর্ব থেকে বৃষ্টির পানি বাধ সেধেছে। ক্লাশ রুমের মেঝেত এক বিঘত করে পানিতে তলিয়ে থাকায় সেখানে ক্লাশ নেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। তারপরও প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) তৃপ্তি রানীর উদ্যোগে সহকারী শিক্ষক সাদ্দাম হোসেন, জগদীশ মন্ডল ও সৌরভ সরদার পানিতে ভিজে ক্লাশ নিয়ে যাচ্ছেন। পথেঘাটেসহ ক্লাশ কক্ষের মধ্যে পর্যন্ত ব্যাঙ, সাপ, পোকা মাকড়ের আনাগোনা শিশুদের মনে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। এছাড়া পানি ঠেলে ১ম, ২য় ও ৩য় শ্রেণির শিক্ষার্থীরা স্কুলে যেতে পারছেনা বা চাচ্ছেনা। ফলে ঠিকঠাক ক্লাশ পরিচালনা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক দীপঙ্কর বাছাড় দীপু জানান, পয়ঃ নিস্কাশন ব্যবস্থার সমস্যার কারনে অতি বৃষ্টির পানি নিস্কাশন না হওয়ায় এলাকাসহ স্কুলটি পানিতে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। শিক্ষার্থীরা যেমন স্কুলে যেতে পারছেনা, ক্লাস রুমে বসার পরিবেশ না থাকায় ঠিকঠাক ক্লাশ নেওয়ায় সম্ভব হচ্ছেনা।
৭৯ জন শিক্ষার্থী নিয়ে চলমান স্কুলটি এখন থমকে দাড়িয়েছে।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার স্বপন কুমার বর্মন জানান, বিল বকচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মত আরও দুটি বিদ্যালয় জলমগ্ন আছে। এসব বিদ্যালয়ে সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে পানি নিস্কাশনের জরুরী পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। আমরা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে লিখিত ভাবে অবহিত করেছি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরার জলাবদ্ধতা নিয়ে ঢাবিতে সংবাদ সম্মেলন: স্থায়ী সমাধানে সাত দফা

সম্প্রতি ভারী বর্ষণে তলিয়ে গেছে সাতক্ষীরা জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধতা দীর্ঘস্থায়ী রুপ নিয়েছে। হাজার হাজার হেক্টর মৎস্য ঘের একাকার হয়ে গেছে। এতে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতিতে পড়েছেন মৎস্য চাষীরা।

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (ডুজা) কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব জানিয়ে এ সংকটের স্থায়ী সমাধানের দাবি জানিয়েছেন জেলাটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন দর্শন বিভাগের মো. মিকাইল ইসলাম, কারুশিল্প বিভাগের তন্ময় মন্ডল, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শেখ শাকিল হোসেন এবং চীনা ভাষা ও সংস্কৃতি বিভাগের বিভাগের সাকিব হোসেন।

শিক্ষার্থীরা জানান, ‘১৪ থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চার দিনে সাতক্ষীরায় ২৫৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে সাতক্ষীরা সদর এবং তালা উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এ ধরণের সংকট নতুন নয়। বছরের পর বছর এমনটি হচ্ছে। এসব দুর্যোগে বাস্তুচ্যুতির পাশাপাশি কোটি কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েন জেলাটির বাসিন্দারা।’

তাদের অভিযোগ, ‘পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) এ সংকট নিরসনে কার্যকর উদ্যোগ নিতে ব্যর্থ হয়েছে। কর্মকর্তাদের গাফিলতি ও অনিয়মের খেসারত দিতে হচ্ছে সাতক্ষীরাবাসীকে। কোটি কোটি টাকার নদী খনন প্রকল্প হলেও এসব প্রকল্পে অনিয়মের কারণে খননের প্রকৃত উদ্দেশ্য হাসিল হচ্ছে না।’

‘অবাস্তব’ নকশায় নদী-খাল খনন করা হয় উল্লেখ করে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘নদী খনন করে খাল এবং খাল খনন করে নালা বানানো হয়। অর্থ্যাৎ, নদী-খালের প্রশস্ততা কমিয়ে ফেলা হয়। তলদেশ খনন না করে পাড় উঁচু করে গভীরতা দেখানো হয়। এর ফলে স্থলভাগের নিরিখে নদীর তলদেশ নিচু হয় না এবং স্থলভাগের পানি নদীতে যায় না। উপরন্তু নদীর পানি বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে প্রবেশ করে।’

খননকালে নদীতে বাঁধ দিয়ে জোয়ার-ভাটার প্রবাহ রুদ্ধ করা হয় উল্লেখ করে তারা বলেন, ‘প্রকল্প নির্ধারিত সময়ে শেষ করা হয় না। উপরন্তু অস্বাভাবিক সময়ক্ষেপণ করা হয়। বছরের পর বছর নদীর জোয়ার-ভাটার স্বাভাবিক প্রবাহ বন্ধ থাকায় জলাবদ্ধতা দীর্ঘস্থায়ী রুপ নেয়। পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ করে ও সরকারি খালগুলো দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে শত শত মৎস্য ঘের। অবৈধভাবে খালে দেয়া হয়েছে নেট-পাটা, যা পানি প্রবাহ বিঘ্ন করছে। ফলে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশিত না হয়ে বিভিন্ন এলাকা জলাবদ্ধ হয়ে থাকছে মাসের পর মাস।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের প্রভাষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ইদ্রিস আলী এবং সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ফয়সাল আলম।

ইদ্রিস আলী বলেন, ‘সাতক্ষীরার জলাবদ্ধতা সমস্যার স্থায়ী সমাধান আশু জরুরী৷ উপকূলীয় এ জেলার জলাবদ্ধতার নিরসনসহ সুন্দরবনকেন্দ্রিক পর্যটনশিল্পের বিকাশ তরান্বিত করা প্রয়োজন। পানি উন্নয়ন বোর্ড, সাতক্ষীরা পৌরসভা নিজ নিজ জায়গা থেকে আরও তৎপর হলে সমস্যা সমাধান সম্ভব। পাশাপাশি নগরিক ও সামাজিক সমাজের সচেতন বৃদ্ধির জন্য কাজ করা প্রয়োজন।’

এ সময় দ্রুত এ সংকটের স্থায়ী সমাধানে সরকারের কাছে সাত দফা দাবি পেশ করেন শিক্ষার্থীরা।

দাবিগুলো হলো– ১. বেতনা-মরিচ্চাপ নদীসহ অনান্য নদী ও খালের প্রবাহ স্বাভাবিক না করলে এবং জোয়ার-ভাটার পথ উন্মুক্ত না করলে তা কখনোই জলাবদ্ধতার সংকট দূরীকরণে কাজে আসবে না। সুতরাং, নদী-খাল খননে যথাযথ প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে৷ প্রকল্পসমূহ কার্যকরী পদ্ধতিতে এবং সময়মতো শেষ করতে হবে। চলমান প্রকল্পসমূহে অনিয়মের অভিযোগ তদন্ত করতে হবে। ২. খাল বা জলমহালের ইজারা পুনরায় বাতিল করতে হবে। অবৈধ ভোগ-দখল ও নেট-পাটা উচ্ছেদ করতে হবে। নদী ও খালের প্রবাহ বিঘ্নিত হয় এমন উন্নয়ন প্রকল্প নেওয়া যাবে না। ৩. নদী-খাল খননের সঙ্গে সঙ্গে সংলগ্ন বেড়িবাঁধগুলো টেকসই করতে হবে। বেড়িবাঁধে বনায়নের উদ্যোগ নিতে হবে। ৪. প্রাণসায়ের খালের দুই মুখ উন্মুক্ত করে স্বাভাবিক প্রবাহ ফেরানোর উদ্যোগ নিতে হবে। সাতক্ষীরা শহরকে পুরোপুরি ড্রেনেজ নেটওয়ার্কের আওতায় আনতে হবে। ৫. পৌরসভা এলাকাসহ যত্রতত্র মৎস্য ঘের নিষিদ্ধে ‘জোনিং’ করতে হবে। অন্যান্য জায়গায় আউট ড্রেন রেখে মৎস্য ঘের করতে হবে, যাতে পানি নিষ্কাশনের পথ থাকে। ৬. সাতক্ষীরা প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমের আগেই পানি নিষ্কাশনের পূর্ব প্রস্তুতি নিতে হবে। অকেজো স্লুইস গেটগুলো সংস্কার করতে হবে। ৭. লস অ্যান্ড ড্যামেজ নিরূপণের মাধ্যমে জলবায়ু ফান্ডের অর্থ দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে পুনর্বাসনের কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে সাতক্ষীরা জেলার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
তালায় অতি বৃষ্টি জনিত কারনে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরার তালায় অতি বৃষ্টি জনিত কারনে সৃষ্ট ভয়াবহ জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়কের সুভাষিনী বাজারে কয়েক হাজার ভুক্তভোগী মানুষের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন পানি কমিটির সদস্য মাস্টার মতিয়ার রহমান।

যুব পানি কমিটি ও এলাকাবাসীর আয়োজনে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, তালার তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, দৈনিক প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিনিধি কল্যাণ ব্যানার্জি, যুবদল নেতা অধ্যাপক মোশাররফ হোসেন, তালা উপজেলা পানি যুব কমিটির সভাপতি আব্দুল হামিদ, সরদার আবুল হোসেনসহ জলাবদ্ধতার কবলে পড়া ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।

বক্তারা বলেন, অতিবৃষ্টিতে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকার মানুষ পানিতে নিমজ্জিত। ঘরের মধ্যে পানি উঠেগেছে। ফলে তালা উপজেলার দেড়লক্ষাধিক মানুষ পানি বন্দী হয়ে পড়েছে। এসব এলাকার মানুষের দূর্ভোগের শেষ নেই। ভেঙে পড়েছে স্যানিটেশন ব্যবস্থা। নেই সুপেয় পানি। কোন কোন এলাকায় ঘরের মধ্যে পানি উঠে যাওয়ায় খাটের উপর রান্না এবং বসবাস করছে মানুষ।

ময়লা পানিতে বসবাসের কারনে চর্ম রোগসহ নানা ধরনের পানি বাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। প্রায় ২মাস যাবত পানি বন্দি থাকায় চরম মানবেতর জীবন যাপন করছে এসব ডুবন্ত এলাকার মানুষ। কিন্তু পানি নিস্কাশনে পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন উদ্যোগ নেই। বক্তারা অবিলম্বে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের পূনর্বাসনসহ পানি নিস্কাশনের কার্যকরি উদ্যোগ গ্রহণের দাবি জানান।

মানববন্ধনে আসা লাউতাড়া গ্রামের নজরুল ইসলাম বলেন, ঘরের মধ্যে পানি উঠেগেছে। ঘরে খাবার নেই। কাজও নেই। ঘরের মধ্যে খাটের উপর পরিবার নিয়ে কোন রকমে খেয়ে না খেয়ে বেঁচে আছি। অথচ কেউ কোন খবর নেয় না। একই কথা বলেন, তালার সুভাষিনী গ্রামের নুর আলী খাঁর স্ত্রী আলেয়া বেগম। চারিদিকে পানি আর পানি। দুই মাস ধরে একই অবস্থায় রয়েছি। পানি নামছে না। এভাবে বেঁচে থাকা যায় না।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় তিনটি চোরাই মোটরসাইকেলসহ চোরচক্রের তিন সদস্য গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরায় তিনটি চোরাই মোটরসাইকেলসহ আন্ত: জেলা চোরচক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ। রোববার গভীর রাতে সাতক্ষীরা শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে তিনি চোরাই মোটর সাইকেল উদ্ধার করে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, কালিগঞ্জ উপজেলার শংকরপুর গ্রামের মৃত. জব্বার তরফদারের পুত্র আন্ত:জেলা ডাকাতদলের সর্দার ইয়ার আলী, কালিকাপুর গ্রামের দলিল উদ্দিন মোড়লের পুত্র শাহিন আলম এবং একই এলাকার জব্বার শেখের পুত্র মহিববুল্যাহ বাবু।

সোমবার বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমিনুর রহমান জানান, সাতক্ষীরা ডিবি পুলিশের ইনচার্জ তারেক ফয়সাল ইবনে আজিজের নেতৃত্বে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার দুপুরে শহরের বাইপাস মোড় থেকে আন্ত:জেলা ডাকাতদলের সর্দার ইয়ার আলীকে গ্রেফতার করে। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে বাকী দুইজন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে তিনটি নাম্বার বিহিন চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করে ডিবি পুলিশের সদস্যরা।

এছাড়া গ্রেফতার আন্ত:জেলা ডাকাতদলের সর্দার ইয়ার আলীর বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, ডাকাতি, চুরি ও দস্যুতাসহ ১৭টি মামলা রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কালিগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ###

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
এসএসসি’৯১ সাতক্ষীরার আয়োজনে  বন্যা দুর্গত  বদ্দীপুরের৫০ পরিবারে মাঝে খাদ্য বিতরন

এসএসসি’৯১ সাতক্ষীরার আয়োজনে বন্যা দুর্গত এলাকা বদ্দীপুর কলোনীতে ৫০টি পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরন করা হয়েছে।

রোববার এসএসসি’৯১ সাতক্ষীরার এডমিন মীর তাজুল ইসলাম রিপনসহ শেখ মাসুমবিল্লাহ শাহিন,সাইফুল ইসলাম লিটন,মাহবুবুর রহমান,ফারহাদিবা খান সাথী,আসাদুল ইসলাম,আমিনুল ইসলাম লেলিন উপস্থিত ছিলেন, এসএসসি’৯১ সাতক্ষীরা সবসময় মানবিক কাজ করে থাকে এবং মনবতার সেবায় করোনায় অক্সিজেন দেওয়া,

শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরন,বান্যার্তদের মাঝে ত্রান বিতরন, ফেনি জেলায় বরন্যার্তদের মাঝে পুরাতন কাপড় বিতরন,চিকিৎসা সামগ্রী বিতরন ও মানব সেবায় আমরা সবসময় কাজ করে থাকি।। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পানিতে ভাসছে তালার খেশরা ইউনিয়ন ১৮ গ্রামের ৪০ হাজার মানুষ পানিবন্ধি

নিজস্ব প্রতিনিধি : পানিতে ভাসছে কপোতাক্ষ নদী দ্বারা বেষ্টিত সাতক্ষীরার তালা উপজেলার খেশরা ইউনিয়ন। ৯টি ওয়ার্ডের সমন্বয়ে কপোতাক্ষ নদের তীর ঘেঁসে গড়ে উঠা ইউনিয়নটির ২১টি গ্রামের মধ্যে ১৮টি গ্রামই তলিয়ে গেছে। ইউনিয়নটির উত্তরে জালালপুর, পূর্বে-কপোতাক্ষ, দক্ষিণে- আশাশুনি উপজেলা এবং পশ্চিমে সাতক্ষীরা সদর অবস্থিত। গত ১৫ দিন ধরে ইউনিয়নটির ৪০ হাজার মানুষ পানি বন্ধি হয়ে পড়েছে। ইউনিয়নটির মধ্য দিয়ে প্রবাহিত মাদিয়ার খাল, শালিকা খাল, ছোট চর এবং বালিয়ার খাল পলিপড়ে ভরাট হয়ে গেছে। এছাড়া অবৈধ দখলদারা এসব খালে নেট-পাটা বিছিয়ে মাছ চাষ করায় পানি সরবরাহ সিমীত হয়ে আসায় অল্প বৃষ্টি পাতেই এলাকাটি পানিবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।

৩৫ হাজার ১৭০.৮৩ বিঘা জমি দ্বারা বেষ্টিতি ইউনিয়নটির ২৫ হাজার বিঘা জমি এখন পানির তলে। কয়েকশ মানুষ আশ্রয় নিয়েছে স্থানীয় স্কুল ও মাদ্রাসা সমূহে। ভেঙ্গে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা ও স্বাস্থ্য সেবা। দেখা দিয়েছে রোগব্যাধি। দ্বিপের উপর প্রতিষ্ঠিত ইউনিয়নটির স্বাভাবিক কার্যক্রমে এসেছে স্থবিরতা। শিক্ষা, সংস্কৃতি, ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন ও খেলাধুলায় ইউনিয়নটির বিশেষ সূনাম থাকলেও পানি বদ্ধতায় ইউনিয়নটি তার ঐতিহ্য হারাতে বসেছে। কালের স্বাক্ষী ৫০০ বিগার পাখিমারা বিল, ঐতিহ্য বাহী বটগাছ, বাবলা গাছের সুসজ্জিত র্দীর্ঘ ৫ কিঃ মিঃ রাস্তা, শাহাজাতপুর গ্রামের মোড়ল পাড়ায় অবস্থিতিত কয়েকশ বছরের একটি পূরনো মসজিদ, শালিখা গ্রামের মধ্যদিয়ে প্রবাহিত ১২ টি গেট সম্বলিত ১২ ফোকড় ব্রিজ সবই যেন তার অস্তিত্ব হারিয়েছে। প্রত্যন্ত এ অঞ্চলটি ঘুরে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে নগদ টাকা ও শুকনো খাবার বিতরণ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মুহাম্মদ ইজ্জত উল্লাহ। এসময় থানা জামায়াতের আমীর মাওলানা মুফিজুল ইসলাম, ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর মাওলানা ওয়াজেদ আলীসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বেতনা ও মরিচ্চাপ নদীতে জোয়ার-ভাটার স্বাভাবিক প্রবাহ ফেরানো, সাতক্ষীরা পৌরসভাকে পুরোপুরি ড্রেনেজ নেটওয়ার্কের আওতায় আনা, পানি নিষ্কাশনের জন্য প্রাণসায়ের খালের দুই মুখ উন্মুক্ত করে স্বাভাবিক প্রবাহ ফেরানো, আন্তঃনদী সংযোগ বিশেষ করে ইছামতি, মরিচ্চাপ, খোলপেটুয়া, বেতনা, শালিখা ও কপোতাক্ষকে খননের আওতায় এনে পানিপ্রবাহ সচল করণ, নদীগুলোর সঙ্গে সংযুক্ত খালগুলো পুনঃখনন করে পানিপ্রবাহ বৃদ্ধি, অকেজো হয়ে পড়ে থাকা স্লুইসগেটগুলো সংস্কারকরণ, পৌর এলাকার মধ্যে মৎস্য ঘের নিষিদ্ধকরণ, নদীগুলো খননের সঙ্গে সঙ্গে সংলগ্ন বেড়িবাঁধগুলোও টেকসই করে বেড়িবাঁধ বাঙন রোধ, বেড়িবাঁধে বনায়নের উদ্যোগ গ্রহণ, নদী ও খালেরপ্রবাহ বিঘিœত হয় এমন উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ না করা, প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমের আগেই পানি নিষ্কাশনের পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণ এবং লস অ্যান্ড ড্যামেজ নিরুপণের মাধ্যমে জলবায়ু ফান্ডের অর্থ দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে পুনর্বাসনের কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করার দাবী ভুক্ত ভোগীদের।

খেশরা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান শেখ কামরুল ইসলাম (লাল্টু) জানান, তার ইউনিয়নের ১৮টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এলাকার বেশিরভাগ ঘের ও ফসলি জমি ভেসে গেছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ ও মন্দির এমনকি মানুষের বাড়ি-ঘরে পানিতে তলিয়ে গেছে। ইউনিয়ন যুব বিভাগ সভাপতি শিমুল হোসেন ও সেক্রেটারী আলি হুসাইন জানান, ইউনিয়নের মৎস্য ঘের, আমন ধান এর আবাদ, কাঁচা সবজি, হলুদ ক্ষেত, ঝাল বেগুনসহ বিল অঞ্চল বৃষ্টির পানিতে প্লাবিত হয়েছে। কৃষকদের কৃষি ফসল ও মৎস্যঘের ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়েছে। বহু মৎস্য ঘের প্লাবিত হয়েছে। মানুষের স্বাবাভিক জীবন যাপন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মোঃ রাসেল জানান, প্লাবিত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে পানি সরানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। নিজে উপস্থিত থেকে বিভিন্ন খাস খাল দখলমুক্ত করে পানি নামানোর ব্যবস্থা করছেন। এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের জন্য সকল ইউপি ও সরকারি দফতরে তথ্য চাওয়া হয়েছে। জেলাপ্রশাসকের কাছে দ্রুত সমাধানের জন্য আর্থিক চাহিদা দেয়া হয়েছে। পানি দ্রুত নামানোর জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে বিভিন্ন খাল পরিষ্কার করছি। তিনি আরো জানান, পার্শ্ববর্তী জেলা যশোর থেকে আমাদের উপজেলার পানি আসার কারণে জলাবদ্ধতা বৃদ্ধি পেয়েছে।

উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা মফিজুল ইসলাম জানান, অপরিকল্পিত নদী খনন, সংযোগ খাল উন্মুক্ত না থাকা এই উপজেলায় জলাবদ্ধতার মূল কারণ। এখনই যদি পদক্ষেপ না নেয়া হয় তাহলে খেশরাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অনেকাংশ পানির নিচে তলিয়ে যাবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজিরা খাতুন জানান, শুধু খেরশা ইউনিয়নটিতে কোটি টাকার ফসল নষ্ট হয়েছে। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা স্নিগ্ধ্যা খা বাবলি জানান, উপজেলায় ৫২০টি মাছের ঘের সম্পূর্ণরুপে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে ৮২৭ দশমিক ৪৫ টন মাছ ভেসে গেছে। মাও ওয়াজেদ আলী জানান, ভয়াবহ পানিবদ্ধতায় এলাকাজুড়ে পানি থাকায় স্যানেটারি ব্যবস্থায় পড়েছে বিরুপ প্রভাব পড়েছে। সুপ্রিয় পানির অভাবের পাশাপাশি, চর্ম রোগ, পানিবাহিত রোগ, ডায়রিয়া জনিত রোগের আক্রান্ত বেড়ে গেছে।

সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (খামারবাড়ি) উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো: সাইফুল ইসলাম বলেন, চলতি আমন মৌসুমে গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে পাঁচ হাজার ৪৫২ হেক্টর জমি আক্রান্ত হয়েছে। এরমধ্যে ১৪৯ হেক্টর জমির ফসল সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest