সাতক্ষীরায় আওয়ামীলীগের ঝটিকার মিছিল ও লিফলেট বিতরণ

ডেস্ক রিপোর্ট :

সারা দেশে আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের নামে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সাতক্ষীরায় ঝটিকা মিছিল ও লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে।

শনিবার সকালে সাতক্ষীরা আওয়ামীলীগ পরিবারের ব্যানারে ডে-নাইট মোড় থেকে ঝটিকা মিছিল শুরু হয়ে বড় বাজারে গিয়ে শেষ হয়। পরে সাতক্ষীরা জেলা যুবলীগের সাবেক সদস্য অহিদ পারভেজের নেতৃত্বে বড় বাজারে লিফলেট বিতরণ করা হয়।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামিনুল হক জানান, লিফলেট বিতরণ করার কথা শুনেছি। আমরা খোজ খবর নিচ্ছি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেবহাটা উপজেলা বিএনপির দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি কর্মসুচিকে ঘিরে ১৪৪ ধারা জারি

কে এম রেজাউল করিম দেবহাটা : সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলা বিএনপির সম্মেলনকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিকে ঘিরে উত্তেজনা বিরাজ করায় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার (৩০জানুয়ারি) সকাল ৬টা থেকে সম্মেলনস্থল দেবহাটা উপজেলার নওয়াপাড়া ইউনিয়নের গাজীরহাট বাজার সংলগ্ন শিমুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গন ও গাজীরহাট বাজারসহ আশেপাশের এলাকায় উক্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে বলে জানান দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আসাদুজ্জামান।
দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান জানান, দেবহাটার গাজীরহাট বাজার সংলগ্ন শিমুলিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির দেবহাটা উপজেলার একটি ইউনিয়ন শাখার সম্মেলনকে কেন্দ্র করে বিএনপির দু গ্রুপের মধ্যে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিকে ঘিরে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছিল। এ কারণে সেখানে সবধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ফৌজদারি কার্যবিধি অনুসারে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।

আদেশে আরো জানানো হয়, সম্মেলনস্থল শিমুলিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গন, গাজীরহাট বাজার ও তার আশপাশে এলাকায় সকল প্রকার সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ সময় আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী সংস্থার কর্মকর্তা কর্মচারী ব্যতীত অন্য কোনো ব্যক্তি কোনো প্রকার অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য বহন করতে পারবে না। সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে মাইকিং, মাইক্রোফোন, লাউড স্পিকার ইত্যাদি ব্যবহার। সভা সমাবেশের উদ্দেশ্যে পাঁচ বা ততোধিক ব্যক্তির সমাবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হযরত আলী জানান, ১৪৪ ধারা জারি করার পর এলাকার আইনশৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্যঃ এর আগে আশাশুনি, কালিগঞ্জ ও শ্যামনগর উপজেলায় বিএনপির দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি কর্মসুচি ঘিরে উত্তেজনাকে কেন্দ্র করে উক্ত তিনটি উপজেলায়ও ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শ্যামনগরে সদ্য যোগদানকৃত সমাজসেবা কর্মকর্তার অপসারনে দাবিতে অবস্থান কর্মসুচি

নিজস্ব প্রতিনিধি : আওয়ামী লীগ দলীয় সম্পৃক্ততা ও অনিয়ম দুর্নীতির একাধিক অভিযোগ থাকায় সাতক্ষীরার শ্যামনগরে সদ্য যোগদানকৃত উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা শেখ সহিদুর রহমানকে অপসারনের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসুচি পালন করেছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র প্রতিনিধিরা। উপজেলা সমাজসেবা অফিসের সামনে বুধবার দুপুরে তারা অবস্থান এ কর্মসুচি পালন করেন।

অবস্থান কর্মসুচিতে বক্তব্য রাখেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র প্রতিনিধি জিএম মাসুম বিল্লাহ, মুহাইমিনুল ইসলাম তানভীর, বিল্লাল হোসেন, শরিফুল ইসলাম, তরিকুল ইসলাম, এম আব্দুল্লাহ, ওমর ফারুক, জাকারিয়া, সাগর, ইমন ও নুরুল হুদা প্রমুখ।
ছাত্র প্রতিনিধিরা জানান, দুর্নীতিবাঁজ সহিদুর রহমানকে শ্যামনগরের অফিসে বসার সুযোগ দেয়া হবে না। ইতিপুর্বে ২০১৩ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত প্রথম দফায় শ্যামনগরে দায়িত্ব পালনকালে তিনি ব্যাপক আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতিসহ আওয়ামী লীগকে পুনঃর্বাসিত করেছিলেন। এছাড়া সহিদুরের বিরুদ্ধে বরসা এনজিওর নামে স্থানীয় হাজারও মানুষের কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ তুলে অতিসত্ত¡র তাকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তারা। সাতক্ষীরার আওয়ামী লীগ দলীয় এমপির ভাগ্নে পরিচয় দিয়ে বিগত ১০ বছরে সহিদুর রহমান সমাজসেবা অফিসকে নিজস্ব প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছিলেন বলেও অভিযোগ করেন বক্তারা।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শেখ সহিদুর রহমান জানান, ‘আমি মুলত শ্যামনগরে যোগদান করবো না। যেহেতু ঢাকা থেকে অর্ডার হয়েছে, তাই কাগজের প্রক্রিয়ার সম্পন্ন করতে আমি শ্যামনগরে আসতে বাধ্য। তিনি আরও বলেন, আমি আবেদন করবো দুরে কোথাও যাওয়ার। তার বিরুদ্ধে ছাত্র প্রতিনিধিদের অবস্থান কর্মসুচি ও বিক্ষোভের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি অফিসে যায়নি। তাই কি হয়েছে বলতে পারিনা। এরপর তিনি ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

জানা যায়, সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার চরদাহ গ্রামের বাসিন্দা শেখ আহম্মদ আলীর ছেলে শেখ সহিদুর রহমান। এলাকায় তিনি ‘চালাক ময়না’ নামে পরিচিত। ইতিপুর্বে তিনি আ.লীগের পরিচয়ে পরিচিতি পেলেও বর্তমানে এক সচিবের ভাগ্নে পরিচয় দিচ্ছেন। সহিদুর রহমান গত ২০০৫ সালে একটি প্রকল্পের অধীনে দ্বিতীয় শ্রেণীর কর্মকর্তা হিসেবে তিনি সমাজসেবা অধিদপ্তরে যোগদান করেন। পরবর্তীতে উচ্চ আদালতে মামলার সুত্র ধরে রাজস্বখাতে চাকুরী স্থানান্তরের পর স্থায়ীকরণসহ প্রথম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হন। চাকুরী জীবনের শুরু থেকেই অদ্যবধি সহিদুর রহমান নিজ জেলা সাতক্ষীরার শ্যামনগর ও কালিগঞ্জসহ সাতক্ষীরা সদরের সমাজসেবা কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সাতক্ষীরা সরকারী কলেজ রোডে তার আলিশান বাড়ি দর্শণার্থীদের রীতিমত চমকে দেয়। সাতক্ষীরার বরসা এনজিওসহ সিভি হসপিটাল ও চায়না বাংলা শপিং কমপ্লেক্সে তার শেয়ার রয়েছে বলেও স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন। এছাড়া সমাজসেবা কর্মকর্তা সহিদুর রহমান এর বিরুদ্ধে, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধিভাতা, অসুস্থ রোগিদের সরকারী অনুদান প্রাপ্তদের ক্ষেত্রে দলীয়করণ এবং বিভিন্ন এতিমখানায় সরকারী সাহায্য প্রদানের ক্ষেত্রে মোটা টাকা হাতিয়ে নেয়ার ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে।
শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ রনি খাতুন জানান, বিষয়টি সমাধানের জন্য তিনি ৭ দিনের সময় চেয়েছেন।##

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় মোস্তাফিজুর রহমান খান শিক্ষাবৃত্তি ও কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা

নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় আ. হ. ম মোস্তাফিজুর রহমান খান শিক্ষাবৃত্তি ও কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) বেলা ১১ টায় সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের হলরুমে মোস্তাফিজুর রহমান শিক্ষা পরিবারের অর্থায়নে ও এসজিএইচএস’৯১ এর আয়োজনে এ শিক্ষাবৃত্তি ও কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।

শিক্ষাবৃত্তি ও কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ছিলেন, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (শিক্ষা ও আইসিটি) দেব প্রসাদ পাল, জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ, সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম টুকু এবং মোস্তফিজুর রহমান খান এর কন্যা নাজমুন লায়লা বিথী।

এসজিএইচএস’৯১ এর সদস্য সচিব শেখ ফারুকুজ্জামান ডেভিডের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে কৃতি শিক্ষার্থী হিসেবে পদক ও সম্মাননা পান ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষায় যশোর বোর্ডে মানবিক বিভাগে প্রথম স্থান অধিকারকারী আহনাফ তাহসিন।

এছাড়া, আ হ ম মোস্তাফিজুর রহমান খান শিক্ষাবৃত্তি (নগদ অর্থ) ও সনদ প্রদান করা হয় প্রায় ১৫ জন শিক্ষার্থীকে। সবশেষে সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে সমবেত সংগীতানুষ্ঠান হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় জাতীয় মহিলা সংস্থার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের কর্মচারীদের বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ

শ্যামনগর প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরা’র সুন্দরবন উপকূল শ্যামনগর উপজেলার মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে জাতীয় মহিলা সংস্থার তৃণমূল পর্যায়ে অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে নারী উদ্যোক্তাদের বিকাশ সাধন প্রকল্পের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে চেয়ার চুরির অভিযোগ উঠেছে দুই প্রশিক্ষকের বিরুদ্ধে।

অনুসন্ধানে গিয়ে দেখা যায় শ্যামনগর সদরের নকিপুর কাচাঁ বাজার সংলগ্ন হায়বাতপুর গ্রামের উমায়ের হোসেন নামের এক কম্পিউটার প্রশিক্ষকের বাড়ির ভিতরে একটা রুমে ৫ টি ট্রেনিং চেয়ার প্লাস্টিকের বস্তা দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। তার কাছে চেয়ারের বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে বলেন মহিলা অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের, হাফিজ ও নাহিদ স্যার। আমার এখান থেকে ১ মাস আগে বিকাল টাইমে ফোন দিয়ে বলে আপনার ওখানে ভ্যানে করে চেয়ার পাঠাচ্ছি, একটু নামিয়ে নেন। কিছুক্ষণ পরে একটা ভ্যান ওয়ালা চেয়ার রেখে যায়। এবিষয়ে তাদের কাছে জিজ্ঞেস করেন।
খোঁজখবর নিয়ে জানা যায় চেয়ার সরানো দুই ব্যক্তি হলেন শ্যামনগরের জাতীয় মহিলা সংস্থার তৃণমূল পর্যায়ে অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে নারী উদ্যোক্তাদের বিকাশ সাধন প্রকল্পের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ইন্টেরিয়ার ডিজাইন ট্রেডের প্রশিক্ষক হাফিজুর রহমান ও বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ট্রেডের প্রশিক্ষক নাহিদ হাসান।

এ বিষয়ে জানার জন্য নাহিদ হাসানের কাছে একাধিকবার ফোন করলে তিনি রিসিভ করেননি হাফিজ রহমানের কাছে ফোন করে জিজ্ঞেস করলে বলেন আপনি অফিসে আসেন কথা বলছি। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বেলা ১২ টার সময় হাইবাতপুর গ্রামের মরহুম প্রফেসর মোনাজাত হোসেনের বাড়ির দুই তালায় অবস্থিত অফিসে গিয়ে হাফিজুর রহমানের কাছে জানতে চায়লে তিনি চাকরির পাশাপাশি সাংবাদিকতা করেন পরিচয় দিয়ে বলেন ৫ আগস্টের পরে কোটি কোটি টাকার জিনিস পত্রের ঝামেলা আছে সেসব বাদ দিয়ে কয়টা চেয়ার নিয়ে পড়ে আছেন। বলে তার বিরুদ্ধে চেয়ার সারানোর অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন আমি এ বিষয় কিছু জানিনা।
যে বাড়িতে চেয়ার গুলো পাওয়া গেছে সেই বাড়ির একজন নারী ক্যাটারিং ও ইন্টেরিয়র ডিজাইন বিসয়ে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন উমায়ের স্ত্রী মেহেরুন নেছা।

যেখানে শ্যামনগরের শিক্ষিত বেকার অসহায় নারীরা একাধিক বার আবেদন করে কাজ করতে পারছে না। সেখানে অফিসের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে অর্থ বাণিজ্যের বিনিময়ে জাতীয় মহিলা সংস্থা’র অধিনে তৃণমূল পর্যায়ে অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে নারী উদ্যোক্তাদের বিকাশ সাধন প্রকল্পে আওতায় হায়বাতপুর গ্রামের উমায়ের স্ত্রী মেহেরুন নেছা তিন তিনটি ট্রেডে কাজ করেছেন, বিজনেস ম্যানেজমেন্ট, ক্যাটারিং ও ইন্টেরিয়র ডিজাইন (চলমান) কাজ চলছে। এটি দুঃখজনক বলে প্রকাশ করেছে অন্যান্য আবেদনকারীরা।

প্রকল্পের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা শাহেদ আহমেদ এর বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অভিযোগ ট্রেনিং নিতে আসার প্রশিক্ষনে দের সাথে আচরণ অসন্তুষ্ট জনক, তার বিরুদ্ধে নারীদের প্রতি খারাপ আচরণের অভিযোগ রয়েছে। যা ইতিপূর্বের কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির দীর্ঘ দিন কাজ করলেও তার বিরুদ্ধে শোনা যায়নি। অফিসের মালামাল সারিয়ে চুরির ঘটনায় খোপ প্রকাশ করেছেন।

প্রকল্পের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা শাহেদ আহমেদ বলেন আমি বাহিরে আছি আমি বিষয় টা নিয়ে হালকা পাতলা শুনেছি বিষয় টা নিয়ে উর্ধতন কর্মকর্তা কে জানানো হবে।

গোলাম মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ, মাঠসমন্বয়কারী।
জাতীয় মহিলা সংস্থার উপজেলা কর্মকর্তা এই ঘটনার সাথে জড়িত। একটি নির্ভরশীল সূত্র জানায় চেয়ার সরানোর পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারির ও অভিযোগ রয়েছে।

এ বিষয়ে জাতীয় মহিলা সংস্থার উপজেলা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন এ বিষয় কিছু জানিনা ওটা একটা প্রকল্প আর আমি অন্য অধিদপ্তরে চাকরি করি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনিতে বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ: ১৪৪ ধারা জারি

বিএম আলাউদ্দীন আশাশুনি :

আশাশুনিতে বিএনপির কর্মী সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে। এতে উভয়গ্রুপের কমপক্ষে ১০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে উপজেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেছেন জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কৃষ্ণা রায়। এ ব্যাপারে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

জানা গেছে, আশাশুনি উপজেলা বিএনপির বিভিন্ন ইউনিয়ন কমিটির সম্মেলন কে কেন্দ্র করে টানা কয়েকদিন ধরেই আশাশুনি উপজেলায় বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। বুধবার উপজেলার পদ্ম বেউলা সাইক্লোন শেল্টার স্কুল মাঠে বুধহাটা ইউনিয়ন বিএনপির কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

একপর্যায় সকাল ১১টার দিকে সম্মেলন স্থলে দুগ্রুপের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এর আগেও দুগ্রুপের পাল্টাপাল্টি অবস্থানের কারণে সোমবার (২৭ জানুয়ারি) আশাশুনি সদর ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলনও প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বন্ধ ঘোষণা করা হয়। আশাশুনি থানা পুলিশ জানায়, বিএনপির দুগ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়েছে। এতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন। আমরা শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য মাঠে তৎপর রয়েছি। বিএনপির দুগ্রুপের সংঘর্ষে উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইয়াছির আরাফাত পলাশ, যুবদলের বকুল, শরিফুল, আশিক, কল্লোল, দীপু রমজান আলী, মনিরুল, আজমিনুর, হাশেম আলী, মিঠু আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইয়াছির আরাফাত পলাশকে গুরুতর আহত অবস্থায় সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে বুধহাটা ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব খোরশেদ আলম বলেন, আমরা সম্মেলন করছিলাম। অন্য গ্রুপ বাধা দিলে দুগ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়। এতে অনেকেই আহত হয়েছেন।

আশাশুনি উপজেলা বিএনপির (ইফতেখার গ্রুপের) সদস্য সচিব মশিউল হুদা তুহিন বলেন, এ মুহূর্তে আমরা কোনো বক্তব্য দিচ্ছি না, পরে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে আমাদের বক্তব্য আমরা তুলে ধরব।

বিএনপির (তারিকুল হাসান) গ্রুপের সদস্য সচিব জাকির হোসেন বাবু ও সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শাহরিয়ার জামান বলেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্দেশনা অমান্য করে তারা কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করেছিল। আমাদের পক্ষ থেকে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এ‍্যাডভোকেট ইফতেখার আলী ও উপজেলা বিএনপির আহবায়ক স ম হেদায়েতুল ইসলামকে নেতাকর্মীদের মাঝে সৃষ্টি হওয়া ক্ষোভের বিষয়টা জানানো হয়েছে। কিন্তু তারা কোনো অবস্থায় বিষয়টা আমলে নেননি। দলের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা সম্মেলনস্থলে উপস্থিত হয়। উভয়পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কালিগঞ্জে দুই শিশু সন্তানসহ বিষপান : শিশু দুটি মারা গেলেও বেছে আছেন মা রত্না খাতুন

নিজস্ব প্রতিনিধি : পারিবারিক বিরোধেরে জেলে নিজের দুই শিশু সন্তানকে বিষ পান করিয়ে নিজেও বিষ পান করেন রত্না খাতুন(৩০)। কিন্তু শিশু দুটি মারা গেলেও বেঁচে আছেন রত্না। তিনি সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামের শেখ হাসান রহমান এর স্ত্রী। তাদের দুই শিশু পুত্র মোঃ মাহির (৫) ও মোঃ আরিয়ান (৯ মাস)।

স্থানীয়রা জানান পাষন্ড মা নিজেই বিষ পান করিয়ে দুই সন্তানকে হত্যা করেছে। পরে মা আত্মহত্যা করার চেষ্টা করলে স্থানীয় এলাকাবাসী তাকে দ্রুত শ্যামনগর হাসপাতালে নিয়ে যায় ।

সহকারী পুলিশ সুপার (কালিগঞ্জ সার্কেল) আমিনুর রহমান জানান, শিশু দুটি মারা গেছে। তাদের মা বেঁচে আছেন। তাকে সাতক্ষীরায় পাঠানো হয়েছে। এখনো কাউকে আটক করা হয়নি। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কালিগঞ্জে গাছ কাটতে গিয়ে এক শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিনিধি :
কালিগঞ্জের পল্লীতে গাছ কাটতে গিয়ে বুলি মোড়ল (৩৮) নামের এক শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। সে উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের মুকুন্দ মধুসূদনপুর গ্রামের আব্দুল জব্বার মোড়লের ছেলে।

সরেজমিন সূত্রে জানাগেছে, প্রতিদিনের ন্যায় বুধবার (২৯ জানুয়ারী) সকালে গাছ কাটতে যায় পার্শ্ববর্তী মনোহরপুর গ্রামের মুনসুরের বাড়িতে। সেখানে বৃহৎ দুটি শিশুফুল গাছ কাটার কাজ করছিল বুলি মোড়লসহ ১১জন গাছকাটা শ্রমিক।

সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে গাছের ডাল কাটতে গিয়ে কাছিতে ঝুলানো ডালের ধাক্কা লেগে ঐগাছের দোডালে আটকে পড়ে এবং রক্তক্ষরণ হয়ে সেখানেই মৃত্যুরকোলে ঢলে পড়ে। পরে তার সহকর্মীরা গাছ থেকে নামায়। পরে থানা পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেন। একমাত্র উপর্জনক্ষম দুই সন্তানের জনক বুলি মোড়লের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest