সর্বশেষ সংবাদ-
জেলা ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি গঠনচোরের উপদ্রবে অতিষ্ঠ কাটিয়া রেজিস্ট্রি অফিসপাড়ার বাসিন্দারা : মিথ্যা মামলার অভিযোগসাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের পিতার মৃত্যুতে শােকসাতক্ষীরায় পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা: আসামী ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগশ্যামনগরে কোস্টগার্ডের অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দআশাশুনিতে জলবায়ু-স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক যুব নেতৃত্বাধীন প্রচারনাসাতক্ষীরা জেলা স্কাউট ভবন এর উর্ধ্বমুখি সম্প্রসারণ কার্যক্রম উদ্বোধনখুলনায় এনসিপি নেতা গুলিবিদ্ধ: সাতক্ষীরা সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদারশ্যামনগরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনিয়ম ‌দুর্নীতির অভিযোগল স্টুডেন্টস ফোরাম এর নবনির্বাচিত কমিটি নির্বাচন কমিশনের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়

আমি আর সুস্থ হব না -অবর্ণনীয় যন্ত্রণা নিয়ে মুক্তামনি

নিজস্ব প্রতিবেদক: “আমি আর সুস্থ হব না। ডাক্তার স্যাররা অনেক চেষ্টা করেছেন। কিন্তু আমাকে সুস্থ করতে পারেননি। জানি না কতদিন এভাবে বেঁচে থাকব আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন।” কান্নাজড়ানো কণ্ঠে কথাগুলো বলছিল সাতক্ষীরার সেই মুক্তামনি। যার চিকিৎসা নিয়ে সারাদেশে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল, দায়িত্ব নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
‘ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেয়ার সময় মুক্তার হাতে টাইট ব্যান্ডেজ করে দেয়া হয়েছিল। এটা মাঝে মাঝে খুলে পরিষ্কার করার নিয়মও দেখিয়ে দিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। এখন দুইদিন পর পর পরিষ্কার না করলে হাতটিতে দুর্গন্ধ হয় আবার বেশিক্ষণ খুলে রাখলেও হাত অনেক ফুলে যায়। মনে হয় পুরো হাতটি পচে গেছে। আমরা মুক্তামনির আশা ছেড়ে দিয়েছি। এখন আল্লাহ ভরসা।’ কথাগুলো বলছিলেন মুক্তামনির বাবা ইব্রাহিম গাজী।
তিনি আরও বলেন, ডাক্তারদের চেষ্টা আর আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি ছিল না। প্রধানমন্ত্রীও মুক্তার ব্যাপারে খোঁজ নিয়েছেন। সবাই আমার মেয়েকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখেছেন। এতে দুনিয়ার মানুষের আর কোনো হাত নেই।

এদিকে নিয়মিত মুক্তার বাবার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন ঢাকা মেডিকেলের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের প্রকল্প পরিচালক ডা. সামন্ত লাল সেন। ইন্টারনেটের মাধ্যমে মুক্তার ছবিও দেখছেন তারা। ছবি দেখে হাতের অবস্থা খারাপ বলে জানিয়েছেন সেখানকার চিকিৎসকরা।

মুক্তামনির হাত আগের থেকে অনেক ফুলে গেছে। ব্যান্ডেজ খুলে পরিষ্কার করার সময় হাত থেকে বেরিয়ে আসছে বড় বড় পোকা। তার সুস্থতার ভরসা রাখতে পারছেন না চিকিৎসকরাও। চিকিৎসকের নির্দেশমতো বন্ধ আছে সব ধরনের ওষুধ সেবন। হাতটি কয়েকগুণ ফুলে যাওয়ায় দুই-এক ঘণ্টা ছাড়া সারাদিনই শুয়ে থাকতে হয় তাকে। দুর্গন্ধ বেড়েছে অনেক বেশি। রোগের বিস্তার এখন হাতের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই, বুক, পেট আর পায়েও ছড়িয়ে গেছে।

২০১৭ সালের ২২ ডিসেম্বর ঢাকা মেডিকেল হাসপাতাল থেকে বাড়ি নিয়ে আসা হয় মুক্তামনিকে। প্রধানমন্ত্রী চিকিৎসার দায়িত্ব নেয়ার পর তাকে সিঙ্গাপুরে নেয়ারও উদ্যোগ নেয়া হয়। তবে সেখানকার চিকিৎসকরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মুক্তামনির হাত দেখে আঁতকে ওঠেন। একইসঙ্গে হাত অপারেশনের জন্য অপারগতা প্রকাশ করেন। এরপর ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটের চিকিৎসকরা দেশেই অপারেশন করার সিদ্ধান্ত নেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর কয়েক দফা অপারেশনও করেন। তবে হাতের কোনো পরিবর্তন আনতে পারেননি।

অবশেষে দীর্ঘ ৬ মাস চিকিৎসা সেবার পর এক মাসের ছুটিতে বাড়িতে আসে মুক্তামনি। তবে পরবর্তীতে মুক্তামনি আর ঢাকায় যেতে অনিচ্ছা প্রকাশ করে। একইসঙ্গে মুক্তামনির অবস্থার পরিবর্তন না হওয়ায় ঢাকায় যেতে নিরুৎসাহী হয়ে পড়ে তার পরিবারও।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ফিরছে দেশের বিখ্যাত ব্যান্ড বিপ্লবের ‘প্রমিথিউস’

বিনোদন ডেস্ক: বাংলাদেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড দলগুলোর মধ্যে ‘প্রমিথিউস’ একটি। এই ব্যান্ডের গান শুনেনি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কষ্টকর। তবে অনেক দিন থেকেই আলোচনার বাইরে এই ব্যান্ড। নতুন গান প্রকাশ নেই, কোনো স্টেজ পারফর্মও নেই তাদের। কিন্তু ভক্তরা তো আছেন। ইউটিউবে ভেসে বেড়ানো প্রমিথিউসের কোনো গান সামনে এলেই শুনে নেন। নস্টালজিয়ায় ভেসে যান।

মনে পড়ে যায় ব্যান্ড দলটির সোনালি সময়ের কথা। নিত্যনতুন ধাঁচের গান আর অভিনব স্টাইলের বাহারি সাজে হাজির হয়ে ব্যান্ডটির দল-প্রধান ও ভোকাল বিপ্লব মাতিয়ে দিতেন ভক্তদের। শুধু গানের জগতে নয়, নিজেকে তিনি প্রমাণ করেছেন অভিনয়েও। তবে অভিনয়টা তিনি করতেন শখে। শুধু তাই নয়, অনলাইন অডিও প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি প্লাটফর্ম তৈরি করতে কাজ করে গেছেন এই শিল্পী। এই গানটাকে বাঁচিয়ে রাখতে বেশ কষ্ট করেছিলেন বিপ্লব।

তিনি বলেন, ‘যদি এই ইন্ডাস্ট্রি না বাঁচে আমরা বাঁচব কী করে। আমাদের আধুনিকতাকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। আর এ জন্য আমার এই ছোট্ট প্রয়াস।’

সবকিছু ঠিক আছে, কিন্তু হঠাৎ করেই জীবনের প্রয়োজনে বুঝি ছড়িয়ে ছিটিয়ে গেছেন তারা। ব্যান্ডটির ভোকাল বিপ্লব পাড়ি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে। নতুন গান নিয়ে আসব আসছি করে আসা হয়নি অনেক দিন। প্রিয় ব্যান্ডটি কি হারিয়ে গেছে? আর কখনো কি স্টেজে হাজির হবেন না তারা? নানা প্রশ্ন ঘুরেফিরে বেড়াচ্ছে চারদিকে। ঠিক এমন সময় হঠাৎ করেই ফিরছেন বলে আভাস দিলেন বিপ্লব।

বুধবার রাতে নিজের ফেসবুক ওয়ালে জানান দিলেন হারিয়ে যাননি তারা। বিপ্লব ভক্তদের উদ্দেশ্যে লিখেছেন, ‘নিন্দুকের কথায় ‘প্রমিথিউস’র কিছু আসে-যায় না। চিন্তা করবেন না প্রিয় ভক্তরা, আমরা খুব তাড়াতাড়িই ফিরছি।’

গ্রিক পুরাণের দেবতা প্রমিথিউসের নামানুসারে ১৯৮৬ সালে জন্ম হয় ব্যান্ডটির। ৩০ বছরে প্রমিথিউসের ১৮টি অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে। অ্যালবামগুলো হচ্ছে- ‘স্বাধীনতা চাই’, ‘মুক্তির প্রত্যাশায়’, ‘প্রজন্মের সংগ্রাম’, ‘স্লোগান’, ‘যোদ্ধা’, ‘প্রমিথিউস ২০০০’, ‘স্মৃতির কপাট’, ‘অ-আ’, ‘পাঠশালা’, ‘ঢোল’, ‘টাকা’, ‘নাগরদোলা’, ‘রাজপথ’, ‘প্রমিথিউস আনবাউন্ড’, ‘প্রমিথিউস আনবাউন্ড ওয়ান’, ‘ছায়াপথ’, ‘আমাদের পথ’ ইত্যাদি। বেশির ভাগ অ্যালবামের মধ্যে দেশের সমসাময়িক বিভিন্ন সমস্যা ও দেশাত্মবোধক গান রয়েছে। সেইসঙ্গে জনপ্রিয়তা পেয়েছিল বিপ্লবের কণ্ঠে রোমান্টিক সব গান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
‘এক দো তিন’ নিয়ে নীরবতা ভাঙলেন মাধুরী

বলিউডের মাধুরী দীক্ষিতের সুপারহিট ‘এক দো তিন’ গানের রিমেকে নেচে বিতর্কের জন্ম দেন জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ। বলিউড সুপারস্টার সালমান খান ও অনিল কাপুররা জ্যাকুলিনের প্রশংসা করলেও এটাকে জঘন্য বলছেন ‘তেজাব’ সিনেমার পরিচালক এন. চন্দ্র। ওই ছবিতে প্রথম এই গানটিতে সঙ্গে নেচেছিলন মাধুরী দীক্ষিত। আর ‘বাগী ২’ সিনেমার জন্য এই গানে নাচতে দেখা গেছে জ্যাকুলিনকে।

তবে শত বিতর্কের পরও এতদিন মুখে কুলুপ এঁটে বসে ছিলেন মাধুরী। অবশেষে নীরবতা ভাঙলেন। বললেন, জ্যাকুলিন তার খুবই পছন্দের অভিনেত্রী। মাধুরী বলেছেন, আমার জ্যাকলিনকে খুব ভালো লাগে। সে মিষ্টি একটা মেয়ে। তার নাচও খুব ভালো লাগে।

‘তেজাব’ সিনেমার গানের রিমেক নিয়ে বিতর্ক সম্পর্কে মাধুরী বলেছেন, আসলে অনেকেরই মূল গানটির সঙ্গে আবেগ জড়িয়ে রয়েছে। তাই কোনো কোনো ব্যক্তি রিমেক দেখতে চান না। এ জন্য নির্মাতাদের দায়ী করা যায় না। জ্যাকুলিন যেভাবে নেচেছে, তা তার ভালোই লেগেছে বলেও মন্তব্য করেন অভিনেত্রী।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মাটির নিচে সুড়ঙ্গ দিয়ে বাংলাদেশে গরু আসছে!

ন্যাশনাল ডেস্ক: ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে গরু পাচার একটি নিয়মিত ঘটনা। এই গরু পাচারের ঘটনায় প্রায়ই শোনা যায় বিএসএফ এর গুলিতে বাংলাদেশিদের মৃত্যুর খবর। তবে এবার দুই দেশের পাচারকারীরা তাদের পাচারের ধরনটা একটু বদলিয়েছেন। গরু পাচারের ক্ষেত্রে তারা এখন সীমান্তে মাটির নিচ দিয়ে সুড়ঙ্গ পথ ব্যবহার করছেন।

ঈদকে সামনে রেখে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে এ তৎপরতা আরো বেড়েছে। কারণ উত্তর প্রদেশসহ বিভিন্ন স্থান থেকে যে গরু মাত্র ৪ থেকে ৫ হাজার রুপিতে কেনা হয়, সেই গরু বাংলাদেশে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়।

ভারতের শিলচরে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীরা মাটির নিচে গরু চোরাচালানের কাজে ব্যবহৃত একটি গোপন সুড়ঙ্গ আবিষ্কার করার পরই টনক নড়ে প্রশাসনের। গতকাল ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, কথিত ওই সিক্রেট টানেল বা গোপন সুরঙ্গটি ভারতের করিমগঞ্জ থেকে বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত। টানেলটি বিএসএফের মদনপুর সীমান্ত ফাঁড়ির কয়েক মিটার দূর থেকে গহীন অরণ্যের ভূগর্ভে অবস্থিত। করিমগঞ্জের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্ত ৯২ কিলোমিটার।

গত মাসে করিমগঞ্জের পুলিশ ১০ চোরাচালনিকে গ্রেফতার করেছে। তারা এই গোপন সুড়ঙ্গ দলের নতুন সদস্য বলেই মনে করা হচ্ছে।

করিমগঞ্জের পুলিশ সুপার গৌরব উপাধ্যায় বলেছেন, এ সপ্তাহের গোড়ায় বাংলাদেশী গরু চোর বিরোধী অভিযান চালাতে গিয়ে পুলিশ ওই সুরঙ্গের হদিস পেয়েছে। দুই গরুচোরকে জিজ্ঞাসাবাদকালে ওই সুরঙ্গে বিষয় পুলিশকে চিনিয়ে দিয়েছে বলে পুলিশ সুপার দাবি করেন।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশী গরু চোরাচালানিরা চোরাচালানকে নির্বিঘ্ন করতে ভারতীয় স্থানীয়দের নিয়োগ দিয়ে থাকে। কালভার্টের পাইপগুলো ১০ থেকে ১৫ ফুট নিচে প্রোথিত। টহল দেয়ার সড়কগুলো সাধারণত ৩ ফুট ব্যাসের। করিমগঞ্জের এ রকম রাস্তা আছে ১০৬ কি.মি.। এর মধ্যে এরকম প্রায় ৬৩টি ‘প্রাকৃতিক শূণ্যতা’ রয়েছে। আর দুটি অংশের বড় দুটি জায়গায় কাঁটাতারের বেড়া নেই। চোরাচালানি আগের চেয়ে কমেছে। কারণ বিএসএফ নজরদারি বৃদ্ধি করেছে। তাই বিএসএফকে ফাঁকি দিতে এখন সুড়ঙ্গ পথও কাজে লাগানো হচ্ছে। তারা এটা প্রতিহত করতে সুড়ঙ্গগুলোতে আলোর ব্যবস্থা করবেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
যেভাবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভূমি ও বন্দর দখল করছে চীন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চীনের দেওয়া বড় অংকের ঋণ শোধ করতে ব্যর্থ হচ্ছে ঋণগ্রহীতা দেশগুলো। ফলে দেশগুলোর ঘাড়ে চেপে বসছে ঋণের বোঝা। ‘চেক বুক কূটনীতি’র কাছে ধরা খেয়ে দেশগুলো চীনের হাতে তুলে দিচ্ছে ভূমি, বন্দর, এমনকি বিমানবন্দর। এতে করে চীনের বিস্তৃত কৌশলগত ও সামরিক উচ্চাকাঙ্খা বাস্তবায়নের পথ সুগম হচ্ছে। হার্ভার্ভ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণা প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের ১৬টি দেশ চীনের কাছ থেকে বড় অংকের ঋণ নিয়েছে। এসব দেশের মধ্যে রয়েছে শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, কম্বোডিয়া, পাপুয়া নিউ গিনি ও মালয়েশিয়া। চীনের কাছ থেকে বড় অংকের ঋণ গ্রহণে শীর্ষে রয়েছে ভারতের প্রতিবেশী পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। চীন-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোর প্রকল্পের মাধ্যমে পাকিস্তানে ৬২ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগে চীন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। চীনের কাছে একটি বন্দর হস্তান্তর করেছে ইসলামাবাদ। একই সঙ্গে পাশেই একটি নৌঁঘাটি নির্মাণের জন্য ভূমি সমর্পণ করেছে।

পাকিস্তানের অনেক বিশেষজ্ঞ এই বড় অংকের ঋণ সুদসহ কিভাবে ইসলামাবাদ শোধ করবে তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। বিভিন্ন খাতে এরই মধ্যে চীনের কাছ থেকে ১৯ বিলিয়ন ডলার ঋণ নিয়েছে।

বিভিন্ন অবকাঠামোগত প্রকল্পে শ্রীলঙ্কাকে ৯ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়েছে চীন। পাকিস্তানের মতোই শ্রীলঙ্কা দেশটির হাম্বানতোতা বন্দর চীনকে ৯৯ বছরের জন্য লিজ দিয়েছে। এরই মধ্যে বন্দরটিতে দক্ষিণ চীন সাগর হয়ে চীনা জাহাজ নোংর করা শুরু করেছে।

গত বছরের ডিসেম্বরেই কম্বোডিয়ায় চীন ৭ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। এছাড়া গত দুই দশকে চীনের কাছ থেকে নেওয়া ঋণতো রয়েছেই। দেশটির বিদেশি ঋণের ৬০ শতাংশই নেওয়া হয়েছে বেইজিংয়ের কাছ থেকে। চীনের প্রতি এই নির্ভরতার ফলেই যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ানের সঙ্গে সামরিক মহড়া বাতিল করেছে কম্বোডিয়া। ঋণে জর্জরিত কম্বোডিয়ার কাছ থেকে চীনা অভিবাসীরা দেশটির কৃষি জমির বড় অংশের মালিকানা নিয়েছেন। চীন দেশটির নতুন রেলওয়ে লাইনের জন্য ৬.৭ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। এটা স্পষ্ট নয়, ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলে কম্বোডিয়ার কাছে কী চাইবে চীন।

অস্ট্রেলিয়ার কাছের দেশ পাপুয়া নিউ গিনির সরকার হয়ত চীনের কাছে তেল, সোনা, কপার ও কফি ক্ষেত্র তুলে দিতে পারে বলে গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে। চীন এরই মধ্যে দেশটির নিকেল খনির বড় অংশের মালিকানা পেয়ে গেছে এবং সড়ক, বন্দর ও উচ্চগতির ইন্টারেনেটে বিনিয়োগ করছে। গত পাঁচ বছরে চীনের কাছ থেকে নেওয়া অংশ দাঁড়িয়েছে ২০ মিলিয়ন ডলার।

এক সময় চীনের সমালোচক হিসেবে পরিচিত মালয়েশিয়াও দেশটির প্রভাবের কাছে হার মানছে। দেশের উন্নয়নের ২ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের পর দক্ষিণ চীন সাগর থেকে আপত্তি প্রত্যাহার করে নিয়েছে মালয়েশিয়া। দক্ষিণ চীন সাগরে বেইজিংয়ের হস্তক্ষেপের ফলে ফিলিপাইনের কলা রফতানি বড় ধরনের ধাক্কা খেয়েছে।

দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশ বানুয়াতুর বিদেশি ঋণের অর্ধেকই দিয়েছে চীন। সেখানে একটি নৌঘাঁটি নির্মাণ করতে পারে বেইজিং।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কিছু টুকরো ছবি- দিলরুবা

দিলরুবা
কিছু টুকরো ছবি

একজন তুখোড় রাজনীতিবিদ বইমেলা থেকে চে গুয়েভারার
অগ্নিময় বিপ্লবের সাথে কিনলেন এক ভলিউম প্রেমের কবিতা
মধ্যরাত পার করে দীর্ঘ বাইশ বছর পর আবার
হাতে তুলে নিলেন প্রথম যৌবনে পড়া প্রিয় কবিতাখানি
পড়তে পড়তে বুঝিবা ফিরে গেলেন সেই সোনালি দিনে
যখন স্বপ্নের দরজার চাবি গচ্ছিত রেখেছিল কেউ
একান্ত নির্ভরতায় শুধু তারই কাছে।

একজন গৃহবধূ তার সামান্য সঞ্চয়ের সবটুকু নিয়ে এসেছে
চিত্র প্রদর্শনী থেকে প্রিয় একটি ছবি কিনবে বলে
তার একদা সহপাঠী যে কিনা আজ নামকরা চিত্রকর
তারই ছবির প্রদর্শনী চলছে চারুকলায়
কদমের সোনালি কেশরে ভিজে যাচ্ছে নিত্যরত মেয়েটির সর্বাঙ্গ
গাছের আড়াল থেকে এক কিশোর মুগ্ধ দৃষ্টিতে দেখছে তা
ভালো করে খেয়াল করলে বোঝা যাবে পুস্প¯œাতা মেয়েটির
আদলের সাথে অনেকটাই মিল এলোখোঁপা বাঁধা বধুটির।

পাগলা ঘন্টি বলছে, জ্বলে উঠেছে চোখ অন্ধ করা আলো
চারপাশে একটাই রবÑ খোঁজ খোঁজ খোঁজ
আকাশ ছোঁয়া পাথুরে প্রাচীর টপকে কোথায় গেল ওরা
অর্ধভুক্ত কালো মানুষগুলো কোথায় পেল, এত সাহস
অরণ্যের অধিকার ছিনিয়ে আনতে মৃত্যু সে তো পায়ের ভৃত্য
পেছনে সাক্ষাৎ যম সামনে চিরচেনা গহীন প্রিয় অরণ্য
ডাইনি জোছনায় হাঁসছে বনভূমি, বাতাসে মাদলের রিমঝিম শব্দ
ওরা থমকে দাঁড়ালো ক্ষণিক, তারপর উধাও মাতৃসম বনাভ্যন্তরে
প্রকৃতি তোমাকে উপেক্ষা করে এমন ক্ষমতা কারো নেই।

ভোরের কুয়াশা ভেদ করে দুরন্ত গতিতে ছুটছে এক দ্বিচক্রযান
কয়েকদিন পর ভর্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণকারী খুদে সৈনিকটি
পরম নিশ্চিন্তে বাবার কোমর আকড়ে ঘুমচোখে বসে।
শিশুর কোমল মাথা ঘিরে হেলমেটের শক্ত আবরণ
শিরস্ত্রাণ বিহীন পিতার কপালে দুশ্চিন্তার বঙ্কিম রেখা
অপত্য স্নেহের নিটোল একটি ছবি।

এত যে গৌরচন্দ্রিকার অবতারণা কেন জানো ?
‘ভালোবাসি’ সহজ কথাটি সহজে বলতে পারিনা তাই।

 

জানালা পারের ঝাপসা জীবন

তামাটে আকাশে একা ঝুলছে পুরানো ঘোলা সূর্যটা
কার্নিশে কামাতুর কবুতরের বাকবাকুম
লাটাই ছিড়ে ভোকাট্টা পালিয়ে যাওয়া ঘুড়ির পানে
অবাক চোখে তাকিয়ে দুরন্ত কিশোর।
তেমাথার মোড়ের নুলো ভিখারিটা এইমাত্র হাত রাখল
কালো কাঁচে ঢাকা গাড়ির হাতলে,
পাশের বাড়ির মেয়েটি অফিস যাওয়ার নাম করে
রোজকার মতো চলে গেল সেজেগুজে
বৃদ্ধা মায়ের দেখভালের গুরুভার তার কাঁধে চাপিয়ে
বাড়ির সুপাত্রটি, সংসার পেতেছে আরব সাগরের তীরে।
এ শহরের গুমোট গরম তার স্লিভলেস ব্লাউজ পরা
সুন্দরী স্ত্রীর সহ্য হয় না।
অতএব মেয়েটিকেই পালাবদল করে অভিনয় করতে হয়
নানান মানুষের স্ত্রীর ভূমিকায়।

হায়রে সাধের মানব জীবন !
নিত্যকার যাপিত জীবনের চলচ্ছবি হাতুড়ি পেটায় মাথায়
হাত নিসপিসিয়ে ওঠে নিজের কণ্ঠ রোধ করতেÑ
পারি না।
অক্ষমতার জ্বালায় পুড়ে অঙ্গার হই আরো একবার
তবু খাঁটি হয় না সোনা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
‘ফাতেমা ধান’ বিশ্বের সবচেয়ে ফলনশীল ধান!

ডেস্ক রিপোর্ট: বাগেরহাটের প্রত্যন্ত অঞ্চলের এক নারীর চাষ করা ধান ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। একটি শীষে ধান পাওয়া গেছে এক হাজার এক শর বেশি। দেশে বর্তমান যেসব জাতের ধান চাষ হয় সেসবের চেয়ে এই ধানের ফলন দ্বিগুণ। শুধু দেশ নয়, বলা হচ্ছে পৃথিবীতে এর চেয়ে ফলনশীল ধান আর নেই। ফাতেমা বেগমের জমিতে এই ধানের চাষ হওয়ায় এরই মধ্যে তা ‘ফাতেমা ধান’ নামে পরিচিতি পেয়েছে এলাকায়। ওই ধান দেখতে ও কিনতে বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ ভিড় জমাচ্ছে ফাতেমার বাড়িতে। ৪০০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হয়েছে সেই ধান।

কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, এত অধিক ফলনশীল জাতের ধান বিশ্বের আর কোথাও আছে বলে তাদের জানা নেই। ফাতেমা বেগমের জমিতে উৎপাদিত ওই ধান সংগ্রহ করে সেটি কোন জাতের এবং কোথা থেকে কিভাবে এল—সেসব জানতে গবেষণার কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন, মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট।

বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলার বেতাগা ইউনিয়নের চাকুলিয়া গ্রামে ফলেছে এই ধান। ওই গ্রামের সেকেন্দার আলীর স্ত্রী ফাতেমা বেগমের (৬৫) কথামতো ছেলে লেবুয়াত শেখ (৪০) নিজেদের জমিতে ওই ধান চাষ করেন।

গতকাল শুক্রবার চাকুলিয়া গ্রামে ফাতেমা বেগমের বাড়িতে গিয়ে বেশ কিছু মানুষের ভিড় দেখা যায়। দূর-দূরান্ত থেকে তারা ফাতেমার ধানের বীজ কিনতে এসেছে। কেউ কেউ যে জমিতে ওই ধান ফলেছে, তা ঘুরে দেখে। তবে কয়েক দিন আগেই ওই ধানের বীজ শেষ হয়ে যাওয়ায় ক্রেতাদের খালি হাতেই ফিরতে হচ্ছে।

ফাতেমা বেগম জানান, ২০১৬ সালে বোরো মৌসুমে তাঁর বাড়ির পাশে জমিতে হাইব্রিড আফতাব-৫ জাতের ধান কাটার সময় তিনটি ভিন্ন জাতের ধানের শীষ দেখতে পান তিনি। ওই তিনটি শীষ অন্যগুলোর চেয়ে অনেক বড় এবং শীষে ধানের দানার পরিমাণও অনেক বেশি ছিল। এরপর ওই ধানের শীষ তিনটি বাড়িতে এনে শুকিয়ে প্রক্রিয়া করে বীজ হিসেবে রেখে দেন। পরের বছর ছেলে লেবুয়াতকে ধান চাষ চাষ করতে বলেন। সে বছর আড়াই কেজি ধান পাওয়া যায়। এবার আরো বেশি জমিতে চাষ করার পর ধানে ধানে সয়লাব হয়ে গেছে। সাড়া ফেলেছে তা এলাকার বাইরেও। ওই ধান দেখতে ব্রি-২৮ ধানের মতো। লেবুয়াত শেখ জানান, বাড়ির পাশে দেড় বিঘার মৎস্যঘেরের মধ্যে প্রায় ৪২ শতক জমিতে আলাদাভাবে এ বছর ওই ধানের চাষ করেন তাঁরা। অন্য ধানের মতোই সাধারণ পরিচর্চা করেন। জমিতে দুই দফায় ২০ কেজি ইউরিয়া এবং ৩০ কেজি পটাশ সার ব্যবহার করা হয়েছে। পোকামাকড় তাড়াতে দুই দফায় কীটনাশক ছিটানো হয়েছে। অন্য জাতের ধানগাছের চেয়ে এই ধানগাছ অনেক লম্বা। ধানের শীষও অনেক বড়। প্রতিটি শীষে এক হাজার থেকে এক হাজার ১০০ দানা হয়। ওই জমিতে প্রায় দুই হাজার ৬০০ কেজি ধান ফলেছে। নিজেদের জন্য কিছু পরিমাণ বীজ ধান রাখার পর ৪০০ টাকা কেজিদরে ওই ধান বিক্রি করে দিয়েছেন। তাতে আয় হয়েছে সাত লাখ ২০ হাজার টাকা। সিলেট, রাজশাহী, সাতক্ষীরা, খুলনাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ এসে ওই ধান ক্রয় করেছে। ফকিরহাটের মাসকাটা ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. সোলায়মান আলী জানান, ওই ধান রোপণ করার পর তাঁরা তত্ত্বাবধান করেন। চাষি তাঁদের পরামর্শ অনুযায়ী ধান চাষ করেছেন।

ফকিরহাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মোতাহার হোসেন বলেন, বোরো ধানের মৌসুমেই ওই ধান চাষ করা হয়েছে। চলতি বছরের মে মাসের প্রথম দিকে ওই ধান কাটা হয়েছে। বীজপাতা তৈরি করার পর ১৫০ থেকে ১৫৫ দিনের মধ্যে ধান কাটা যায়। যে মৎস্যঘেরের জমিতে ওই ধান চাষ করা হয়েছে তার পাশ দিয়ে পশুর নদী বয়ে গেছে। এতে ধারণা করা হচ্ছে, ওই ধান লবণাক্ততা সহনীয়। ওই জাতের প্রতিটি ধানগাছের দৈর্ঘ্য ১১৫ থেকে ১৩০ সেন্টিমিটার, গুছি গড়ে আটটি, প্রতিটি ধানের ছড়ার দৈর্ঘ্য ৩৬ সেন্টিমিটার, গড়ে দানার সংখ্যা এক হাজারের ওপরে। ফলন প্রতি হেক্টরে ১১ টনের বেশি।

বাগেরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আফতাব উদ্দিন বলেন, ওই ধানের ফলন শুধু দেশ নয়, গোটা বিশ্বকে তাক লাগাতে পারে। এত বেশি ফলন পাওয়া যায়, এমন কোনো জাতের ধান পৃথিবীতে আছে বলে তাঁর জানা নেই। তিনি জানান, ওই ধান লবণ সহ্যকারী এবং এ অঞ্চলের চাষের উপযোগী। মনে হচ্ছে, সারা দেশে ওই ধান চাষ করা যাবে।

আফতাব উদ্দিন বলেন, আফতাব-৫ নামে উচ্চ ফলনশীল জাতের বোরো ধানের মধ্য থেকে ওই ধান পাওয়া গেছে। কিভাবে ওই ধান এলো, কী জাতের ধান এবং ওই ধানের নাম কী—এসব জানতে চার থেকে পাঁচ বছর অপেক্ষা করতে হবে। আর ফাতেমার জমিতে উৎপাদিত ওই ধান যদি সারা দেশে চাষ করা যায় তাহলে বার্ষিক উৎপাদন পাঁচ কোটি টন ছাড়িয়ে যাবে।

যশোরের নওয়াপাড়া থেকে ধানের বীজ কিনতে আসা সজল ও অমিতাভ জানান, মানুষের মুখে মুখে শুনে তাঁরা অধিক ফলনের আশায় বীজধান ক্রয় করতে আসেন। কিন্তু তাঁরা আসার আগেই ওই বীজধান বিক্রি হয়ে গেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রাতভর ভারত-পাকিস্তান গোলাগুলি, নিহত ৭

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতনিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের সীমান্তে রাতভর ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষে সাতজন নিহত হয়েছেন।

ভারত জানিয়েছে, পাকিস্তানি বাহিনীর গুলিতে ভারতের আধা সামরিক বাহিনী বিএসএফের সদস্য সীতারাম উপাধ্যায় ও এক দম্পতি নিহত হয়েছেন।

অন্যদিকে পাকিস্তান জানিয়েছে, ভারতের সেনাদের গুলিতে চার বেসামরিক পাকিস্তানি নিহত হয়েছেন।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে জম্মুর আরএসপুরা সেক্টরে প্রথমে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।পরে তা বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে।

বিএসএফ কর্মকর্তারা দাবি করেন, বৃহস্পতিবার রাতে পাকিস্তান স্নাইপার দিয়ে গুলি করে বিএসএফ সদস্য সীতারাম উপাধ্যায়কে হত্যা করলে সীমান্তের বিভিন্ন পোস্টে গোলাগুলির বিনিময় শুরু হয়। এতে ভারতের অভ্যন্তরে এক দম্পতি নিহত এবং অন্তত সাতজন আহত হন।

এদিকে পাকিস্তান সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে অভিযোগ করেছে, শুক্রবার সকালে ভারতীয় বাহিনী ২০০৩ সালের যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে কাশ্মীর সীমান্তে বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করলে চারজন নিহত হন।

কাশ্মীর সীমান্তসংলগ্ন শিয়ালকোটে চালানো এ হামলায় ভারতীয় বাহিনীর গুলিতে তিন শিশুসহ আরও ১০ জন আহত হয়েছেন বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

জানা গেছে, গোলাগুলির ঘটনায় সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোর বাসিন্দাদের বাড়ির বাইরে বের হতে নিষেধ করেছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।

এ ছাড়া সীমান্ত থেকে তিন কিলোমিটারের মধ্যে সব স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, বুধবার রাতেও জম্মু-কাশ্মীরের সাম্বা জেলায় সংঘর্ষে জড়ায় ভারত-পাকিস্তান। এতে এক বিএসএফ সদস্য নিহত হন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest