সর্বশেষ সংবাদ-
জেলা ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি গঠনচোরের উপদ্রবে অতিষ্ঠ কাটিয়া রেজিস্ট্রি অফিসপাড়ার বাসিন্দারা : মিথ্যা মামলার অভিযোগসাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের পিতার মৃত্যুতে শােকসাতক্ষীরায় পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা: আসামী ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগশ্যামনগরে কোস্টগার্ডের অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দআশাশুনিতে জলবায়ু-স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক যুব নেতৃত্বাধীন প্রচারনাসাতক্ষীরা জেলা স্কাউট ভবন এর উর্ধ্বমুখি সম্প্রসারণ কার্যক্রম উদ্বোধনখুলনায় এনসিপি নেতা গুলিবিদ্ধ: সাতক্ষীরা সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদারশ্যামনগরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনিয়ম ‌দুর্নীতির অভিযোগল স্টুডেন্টস ফোরাম এর নবনির্বাচিত কমিটি নির্বাচন কমিশনের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়

যে কারণে রাজ-শুভশ্রীর বিয়েতে যাননি তারা

বিনোদন ডেস্ক: টলিউডের জনপ্রিয় চলচ্চিত্র পরিচালক রাজ চক্রবর্তী এবং অভিনেত্রী শুভশ্রী গাঙ্গুলীর ককটেল পার্টি, বিয়ে, রিসেপশন মিলিয়ে চোখ ধাঁধানো জৌলুস দেখল ইন্ডাস্ট্রি। কলকাতার প্রায় সব তারকাই উপস্থিত ছিলেন। চার দিন ধরে চলা বড় এ আয়োজনে একদিনও ছিলেন না দেব, মিমি চক্রবর্তী, পায়েল সরকাররা।

শুভশ্রীর সঙ্গে দেবের সম্পর্কের কথা ইন্ডাস্ট্রির প্রায় সকলেই জানেন। এক সময় তারা সিরিয়াস সম্পর্কে ছিলেন। পরে ভেঙে যায় সেই বিশেষ সম্পর্ক। চার বছর তারা অনস্ক্রিনেও একসঙ্গে কাজ করেননি। শুভশ্রীর বাগদানের পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছা জানালেও বিয়েতে দেখা যায়নি দেবকে।

এই মুহূর্তে দেবের সঙ্গে বিশেষ সম্পর্কে রয়েছেন অভিনেত্রী রুক্মিণী মৈত্র। দেব বহুবার প্রকাশ্যে এই সম্পর্কের কথা স্বীকার করেছেন। দু’জনের হাতেই দু’জনের নামে ট্যাটু রয়েছে। ফলে বয়ফ্রেন্ডের এক্স গার্লফ্রেন্ডের বিয়েতে দেখা গেল না রুক্মিণীকেও।

পায়েল সরকারের সঙ্গে এক সময় বিশেষ সম্পর্ক ছিল রাজ চক্রবর্তীর। পরে দু’জনেই তা থেকে বেরিয়ে আসেন। রাজের বিয়ের অনুষ্ঠানে কিন্তু দেখা যায়নি পায়েলকে।

রাজ-শুভশ্রীর বিয়েতে গুঞ্জনের কেন্দ্রে ছিল মিমি চক্রবর্তীর নাম। কারণ এই ত্রিকোণ প্রেম নিয়ে বহু চর্চা হয়েছে ইন্ডাস্ট্রিতে। মিমি প্রকাশ্যে শুভশ্রী সম্পর্কে বিভিন্ন মন্তব্যও করেছিলেন। মিমির সঙ্গে রাজের সম্পর্ক ভাঙার পরই শুভশ্রীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ফলে এই মেগা বিয়ে থেকে যে মিমি দূরে থাকবেন তা বোধহয় প্রত্যাশিত ছিল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের সফল উৎক্ষেপনে সাতক্ষীরা স্টেডিয়ামে আতশবাজি প্রদর্শনী

ডেস্ক রিপোর্ট: “অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ, মহাকাশে বাংলাদেশ”- এই স্লোগানকে সামনে রেখে বঙ্গবন্ধু স্যাটালাইট-১ উৎক্ষেপনের সাফল্যে সারাদেশের মত মঙ্গলবার সন্ধায় সাতক্ষীরা স্টেডিয়ামে আতশবাজির প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগেসাতক্ষীরা স্টেডিয়ামে আয়োজন করা হয় এ আতশবাজি প্রদর্শনী। এদিন সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা স্টেডিয়ামের আকাশে শুরু হয় বিভিন্ন রঙের আতশবাজির প্রদর্শনী। মনোমুগ্ধকর এ প্রদর্শনী দেখে আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে ওঠে সাতক্ষীরা শহরবাসী।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন আয়োজিত আতশবাজী উৎসব উপভোগ করতে সাতক্ষীরা স্টেডিয়ামে উপস্থিত হন সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য মিসেস রিফাত আমীন, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন, পুলিশ সুপার মো: সাজ্জাদুর রহমান, ৩৩ বিজিবি অধিনায়ক, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জনাব তালুকদার মাহবুবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেরিনা আক্তার (সদর সার্কেল), সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুনসুর আহম্মেদ, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তহমিনা খাতুন, এনডিসি মোশারেফ হোসাইন, বিআর টিএ’র সহকারী পরিচালক তানভির আহমেদ চৌধুরী প্রমুখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট বাংলাদেশের জন্য একটি মাইলফলক- জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান

নিজস্ব প্রতিবেদক: বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ সফলভাবে উৎক্ষেপন হওয়ায় ও বর্তমান সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড তুলে ধরতে ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ ও যুবলীগের উদ্যোগে কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের বদ্ধীপুর কলোনি এলাকায় এ কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়। বদ্ধীপুর জনকল্যাণ সমিতির সভাপতি লুৎফার রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ নজরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আবু সায়ীদ, সহ-সভাপতি তায়ফুল ইসলাম, পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শেখ আব্দুস সেলিম, পৌর আওয়ামীলীগের সদস্য কামরুল ইসলাম, পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক তুহিনুর রহমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন, ৩নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি আহসান, সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান, ছোট বাবু, শাহিন আলম, বিপ্লব, মিলন সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নের আরও একধাপ এগিয়ে গেল। আর এর মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ নাম লিখিয়েছে সেইসব দেশের তালিকায়, যাদের স্যাটেলাইট পৃথিবীর চারপাশ প্রদক্ষিণ করছে সর্বক্ষণ। এটি বাংলাদেশের জন্য একটি মাইল ফলক। এই স্বপ্নযাত্রার প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল এক দশক আগে। বাংলাদেশে টেলি যোগাযোগ খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি ২০০৮ সালে এ বিষয়ে একটি কমিটি করে। আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর ২০০৯ সালে জাতীয় তথ্যপ্রযুক্তি নীতিমালায় রাষ্ট্রীয় স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের বিষয়টি যুক্ত করা হয়। এরপর নিজস্ব স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের জন্য আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিটের (আইটিইউ) কাছে ইলেক্ট্রনিক আবেদন দাখিলসহ প্রাথমিক ধাপ শেষ করে বাংলাদেশ। দেশি-বিদেশি সংস্থার সম্পৃত্ততায়, জনবল এবং বাজেট বরাদ্দে এগিয়ে চলে পরিকল্পনা বাস্তবায়নের বিভিন্ন ধাপ। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটে রয়েছে মোট ৪০টি ট্রান্সপন্ডার। এর ২০টি বাংলাদেশের ব্যবহারের জন্য রাখা হবে এবং বাকি ২০টি ট্রান্সপন্ডার ভাড়া দেওয়া যাবে। এক্ষেত্রে নেপাল, মিয়ানমার ও ভুটানের কাছে স্যাটেলাইট সেবা দিয়ে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা আয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের অবস্থান হবে ইন্দোনেশিয়ার একদম উপরে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে চাকরির নতুন ক্ষেত্র ও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। তরুণরাও স্যাটেলাইট ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার জন্য আগ্রহী হবে, যা হবে আগামীর জন্য একটি ভালো বিনিয়োগ। এখন যেহেতু আমাদের এরকম একটি স্যাটেলাইট লঞ্চ হয়েছে, একটা জব সেক্টর তৈরি হয়েছে এজন্য একটা ফিউচার আছে। এতে করে আগামীতে শিক্ষার্থীরা হয়ত আগ্রহী হবে। তিনি আরো বলেন, এই স্যাটেলাইট বাংলাদেশে সাথে অন্য দেশের বৈষম্য দূর করতে ভূমিকা রাখবে। ডাইরেক্ট টু হোম (ডিটিএইচ) পদ্ধতিতে স্যাটেলাইট থেকে সিগনাল গ্রহণের মাধ্যমে গ্রামাঞ্চলেও সরাসরি টেলিভিশন সম্প্রচার করা সম্ভব হবে। বিশেষ করে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে দেশের বিদ্যমান টেরেস্ট্রিয়াল অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হলেও যোগাযোগব্যবস্থা নিরবচ্ছিন্ন রাখতে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ব্যবহার করা যাবে। আর এটি একমাত্র সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কল্যাণে। দেশীয় অর্থায়নে পদ্মাসেতু এখন দৃশ্যমান। উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামীলীগকে আবারও এদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আনতে হবে। আর এজন্য আমাদের সকলকে একসাথে কাজ করতে হবে। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন রবিউল ইসলাম।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
হারলেও পাকিস্তানিদের ‘কাঁদিয়ে’ ছেড়েছেন আইরিশরা

স্পোর্টস ডেস্ক: অভিষেক টেস্টে পাকিস্তানের কাছে ৫ উইকেটে হেরেছে টেস্টের নবীন দল অায়ারল্যান্ড। আপাতত দৃষ্টিতে সরফরাজ বাহিনী বড় ব্যবধানে জিতেছে মনে হলেও পরিস্থিতি কিন্তু তা বলছে না।

এশিয়ার পরাশক্তির বিপক্ষে প্রথম টেস্টে খেলতে প্রথম ইনিংসে আইরিশরা ১৩০ রানের অলআউট হওয়ার পর পাকিস্তান ৩৩৯ রান তুলে স্বাগতিকদের ফলোঅন করিয়েছিলেন পাকিস্তান। তবে নিজেদের ইতিহাসের প্রথম টেস্ট খেলতে নেমে খালি হাতে যেন ফিরতে চাইছিল না আইরিশরা। দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে উল্টো পাকিস্তানকে হারের শঙ্কায় ফেলে দিয়েছিল উইলিয়াম পোর্টারফিল্ডের দল। আয়ারল্যান্ডের দেওয়ার ১৬০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শেষ পর্যন্ত অবশ্য ইমাম উল হক ও বাবার আজমের ব্যাটে ম্যাচ জিতেছে ঠিকই, তবে সফরকারীদের ‘কাঁদিয়ে’ ছেড়েছেন আইরিশরা। যার ছাপ ছিল ম্যাচের পরতে পরতে।
জয়ের লক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৪ রানের মধ্যে আজহার আলী, হারিস সোহেল ও আসাদ শফিকের উইকেট হারিয়ে বসে পাকিস্তান। এরপর চতুর্থ উইকেট জুটিতে দলের হাল ধরেন ইমাম ও বাবর। মূলত তাদের ১২৬ রানের জুটিতে হারের শঙ্কা থেকে ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয় পাকিস্তান। যদিও ১৪০ রানে বাবর আজম(৫৯) ফিরে যাওয়ার পর স্কোরবোর্ডে ১২ রান যোগ হতেই ফিরে যান অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ। এরপর অবশ্য আর কোনো বিপদ হতে দেননি ইমাম ও সাদাব খান। ১২১ বলে ৭৪ রান অপরাজিত ছিলেন ইনজামাম উল হকের এই ভাতিজা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ধুলিহর ৪নং ওয়ার্ডে উপ-নির্বাচনে মোস্তফা কামাল জয়ী

নিজস্ব প্রতিবেদক: ধুলিহর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের উপ নির্বাচনে ইউপি সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন মোস্তফা কামাল। নির্বাচনে তিনি ভোট পেয়েছেন ৬২৯টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মঈন হাসান পেয়েছেন ৩৮৮ভোট। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৫ মে’১৮ তারিখ সকাল ৮ থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ভোটগ্রহণ শেষে নিকটতম প্রার্থীকে হারিয়ে বিপুল ভোটে বিজয়ী হওয়ার গৌরব অর্জন করেন মোস্তফা কামাল।
উল্লেখ্য, উক্ত ওয়ার্ডের মেম্বর আমিনুল ইসলাম আমিনের মৃত্যুর কারণে ওয়ার্ডটি সদস্য শূন্য হয়ে পড়ে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
খুলনার নগরপিতা তালুকদার খালেক

খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বড় ব্যবধানে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক। মঙ্গলবার (১৫ মে) বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনার মধ্য দিয়ে সকাল আটটা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত ভোট অনুষ্ঠিত হয়। উত্তাপ ছড়ালেও মোটামুটি গোলযোগহীনভাবে এই সিটিতে ভোটগ্রহণের পর ভোট গণনা হয়।

নির্বাচনে ২৮৯টি কেন্দ্রের মধ্যে তিনটি কেন্দ্রের ভোট অনিয়মের কারণে স্থগিত হয়েছে। বাকি ২৮৬টি কেন্দ্রের ফলের বেসরকারী ভাবে ঘোষণা করা হয়েছে।

খুলনা সিটিতে মোট ভোটার চার লাখ ৯৩ হাজার ৯৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার দুই লাখ ৪৮ হাজার ৯৮৬ ও নারী দুই লাখ ৪৪ হাজার ১০৭ জন।

নির্বাচনে দুটি ভোটকেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার হয়েছে। নগরীর ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের ২০৬ নম্বর কেন্দ্র ও ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের ২৩৯ নম্বর কেন্দ্রে মোট ১০টি ইভিএম ব্যবহার করা হয়।

২০০৮ সালের মেয়র নির্বাচনে খুলনায় বেশ বড় ব্যবধানে জিতে মেয়র হন তালুকদার আবদুল খালেক। পাঁচ বছরে তিনি চোখে পড়ার মতো উন্নয়নও করেন। এ নিয়ে নগরবাসী খুব একটা অসন্তুষ্ট ছিল, এমনটাও নয়।

তারপরেও নানা কারণে ২০১৩ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী মনিরুজ্জামান মনির কাছে বেশ বড় ব্যবধানে হেরে যান তালুকদার খালেক। ২০১৪ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন খালেক।

তার বাড়ি খুলনা শহরে হলেও ১৯৯১ সাল থেকে চারবার মংলা-রামপাল নিয়ে গঠিত বাগেরহাট-৩ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তালুকদার খালেক।

১৯৯৬ সালে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা এই নেতা এবার সেখানকার সংসদ সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দলীয় প্রতীক নৌকা নিয়ে মেয়র নির্বাচনে লড়েন। মেয়র থাকায় ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে বাগেরহাট-৩ আসনে প্রার্থী হতে না পারায় তার স্থলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জিতেছিলেন তার স্ত্রী হাবিবুন নাহার।

এতে নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক পেয়েছেন ১ লাখ ৭৬ হাজার ৯০২ ভোট। তার নিকটতম ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিএনপির প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু পেয়েছেন ১ লাখ ৮ হাজার ৯৫৬ ভোট। ভোটের ব্যবধান ৬৭ হাজার ৯৪৬।

এর আগে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক বলেন, ‘আমি মনে করি, জনগণ যে রায় দেবে, আমাদের সবারই সেই রায় মেনে নিয়ে, যেই বিজয়ী হবে, তাকে নিয়েই আমরা আগামী দিনে নগর ভবনের দায়িত্ব নিয়ে খুলনার মানুষের যে আকাঙ্ক্ষা তা বাস্তবায়ন করব।’

এসময় বিএনপি প্রার্থীর অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘পরাজয় অবশ্যম্ভাবী জেনে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই বিএনপি ‘মিথ্যা অভিযোগ’ করছে।

খুলনা সিটি করপোরেশনে প্রথমবারের মতো মেয়র পদে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মেয়র পদে যে পাঁচজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তারা হলেন- আওয়ামী লীগের তালুকদার আবদুল খালেক (নৌকা), বিএনপির নজরুল ইসলাম মঞ্জু (ধানের শীষ), জাতীয় পার্টির এস এম শফিকুর রহমান (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের অধ্যক্ষ মাওলানা মুজ্জাম্মিল হক (হাতপাখা) এবং বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) মিজানুর রহমান বাবু (কাস্তে)।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আহলে হাদীছ যুব সংঘের পক্ষ থেকে এস এস সি ও সমমান কৃতি ছাত্রদের সংবর্ধনা

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : গতকাল বাঁকাল দারুল হাদীছ আহমাদিয়া ছালাফিয়াহ কমপ্লেক্সে অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ আহলে হাদীছ যুব সংঘ সাতক্ষীরা সাংগঠনিক সম্পাদক জেলার উদ্যোগে সকাল ৯টায় জেলা সভাপতি মাওঃ আব্দুল্লাহ আল মামুনের সভাপতিত্বে ২০১৮ সালের এস এস সি সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কৃতি ছাত্রদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত আহলে হাদীছ আন্দোলনের কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওঃ আলতাফ হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন, যুব সংঘের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ আ: সামাদ, আন্দোলনের জেলা সভাপতি মাও: আব্দুল মান্নান, যুব সংঘের জেলা সহ-সভাপতি আসাদুল্লাহ বিন মুসলিম, সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদর রহমান, দেলোয়ার হোসেন, নাজমুল আহসান, শফিউল্লাহ আরাফাত, আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর প্রমুখ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন, কৃতি শিক্ষার্থীবৃন্দ জীবনের এ গুরুত্বপূর্ণ সোপানে তোমরা আজ অত্যান্ত সফলতার স্বাক্ষর রেখে সর্বোচ্চ ফলাফল লাভে সমার্থ হয়েছো। তোমাদের সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ঘটিয়ে শিক্ষা জীবনের প্রতিটি স্তরে এর ধারাবাহিকতার বজায় রাখতে হবে। আদর্শহীন শিক্ষার মাধ্যমে কখনো মানবতার কল্যাণ সাধিত হয় না। ধর্মীয় চেতনা ছাড়া কখনো আদর্শবান হওয়া যায় না। আল্লাহ প্রেরিত বিধানের কাছে আত্ম সমার্পন তোমাদের কে জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তান হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করবে। বিধায় প্রচলিত সংঘাত, দলাদলী ও বিভেদ যেন তোমাদের শিক্ষাজীবনকে ধ্বংস না করে। ছাত্রদের সর্বদা জ্ঞান চর্চা ও দলমত নির্বিশেষে মানুষের সেবায় নিজে দেরকে উৎসর্গ করার আহ্বান জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় আমের আলাদা বাজার না থাকায় সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজট

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা শহরের আমের বাজার অন্যত্র সরানোর দাবি উপেক্ষিত হওয়ায় যানজটের কারণে ক্রেতা বিক্রেতাসহ পথচারীরা পড়েছে চরম বিপাকে। অথচ সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এ ব্যাপারে সিদ্ধান্তহীনতায় ভূগছেন।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, সাতক্ষীরা শহরের সুলতান পুরস্থ কাঁচা মালের আড়ৎ গুলোতে প্রতি বছরের ন্যায় এবারে ও আম বিক্রি হচ্ছে। ২৫ বৈশাখ অর্থাৎ ৮ মে থেকে আম বিক্রি শুরু হয়। প্রতিদিন হাজার হাজার মন গোবিন্দ ভোগ আম সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত পিকআপ, ইঞ্জিন ভ্যান ও ব্যাটারী চালিত ভ্যানে বাজারে আসা আমগুলো রাস্তার উপরে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। ডে নাইট কলেজের সামনে থেকে এই লাইন শুরু হয়ে কাঁচা মালের বাজারের মাঝ পর্যন্ত গিয়ে শেষ হয়। এতে করে তীব্র যান যটের সৃষ্টিত হয়। ফলে সকাল ৯টার পরে ওই রাস্তা দিয়ে যানবাহন তো দূরের কথা পায়ে হাটা মানুষ ও চলাচল করতে পারেনা। এতে করে তরি-তরকারি কিনতে আসা লোকজনদের দারুন সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। আবার ও জ্যৈষ্ঠ বা ১৯ মে থেকে হিম সাগরসহ অন্যান্য আম বিক্রির মৌসুম শুরু হচ্ছে। তখন এই সমস্যা মারাত্মক আকার ধারন করবে। অথচ প্রশাসনের এ নিয়ে কোন মাথা ব্যাথা নেই। সাতক্ষীরা পৌর মেয়রের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমার কিছু করার নেই। অন্যদিকে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসককে জানালে তিনি ব্যাপারটি এড়িয়ে যান। এ কারণে প্রতিদিন হাজার হাজার লোক বা শত শত যান বাহন চলাচলের অতীব গুরুত্বপূর্ণ এ বিষয়টি হচ্ছে উপেক্ষিত। অথচ উক্ত আমের বাজারটি অন্যত্র স্থানান্তর করলেই ব্যাপারটির সমাধান হতে পারে বলে ভূক্তভোগী মহলের ধারনা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest