সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরায় দ্রুতগামী পিকআপের চাপায় ভ্যান চালকের মৃত্যুকোন সাংবাদিক যেন হয়রানির শিকার না হয়–সাতক্ষীরায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিব দীর্ঘদিন কাজ করেও সরকারি স্বীকৃতি মেলেনি বিআরটিএ’র সীল মেকানিকদেররাষ্ট্রপতির ক্ষমার আগে ভুক্তভোগী ও পরিবারের মতামত নেওয়ার প্রস্তাবতালায় ‘পার্টনার ফিল্ড স্কুল কংগ্রেস’ অনুষ্ঠিতভোমরায় জামায়াতের হুইল চেয়ার বিতরণসাতক্ষীরায় জলাবদ্ধতা নিরসনে ইটাগাছা এলাকা পরির্দশনে সদর ইউএনওপ্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদসাতক্ষীরায় শিক্ষার্থীদের জন্য ছাত্রদল নেতার ব্যতিক্রমী উদ্যোগ !জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আশিকুর রহমানের পিতার মৃত্যু

আহত প্রিয়াঙ্কা চোপড়া

আহত প্রিয়াঙ্কা চোপড়া

কর্তৃক Daily Satkhira

মার্কিন টিভি সিরিজ কোয়ান্টিকোর তৃতীয় কিস্তির শুটিং করতে গিয়ে আহত হয়েছেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। ৩৫ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী এই টিভি সিরিজে অ্যালেক্স প্যারিশ নামে একজন এফবিআই এজেন্ট চরিত্রে রূপদান করছেন।

এক ট্যুইটার পোস্টে প্রিয়াঙ্কা লেখেন, শো’টির চিত্রায়নের সময় আমি গোড়ালিতে আঘাত পাই। এর পর একজন চিকিৎসকের শরণ নিই এবং আমার গোড়ালিটি বেঁধে রাখা হবে আগামী ৩ সপ্তাহ পর্যন্ত।

এই মুহূর্তে ইতালিতে শোটির শুটিং হচ্ছে বলেও ট্যুইটারে জানান প্রিয়াঙ্কা। এ জন্য তাঁকে ইতালি ভাষা শিখতে হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
নিষিদ্ধ হলে বলে দিন, চলচ্চিত্র ছেড়ে চলে যাব- ক্ষুব্ধ শাকিব খান

‘আমি কি এ দেশে নিষিদ্ধ?’ চরম ক্ষোভ আর অভিমান নিয়ে জানতে চাইলেন ঢালিউডের শীর্ষ নায়ক শাকিব খান। কেন তার এই অভিমান আর এমন প্রশ্ন এর জবাবে তিনি বলেন, দেখুন কয়েক বছর ধরে দেখছি আমার ছবি মুক্তি পেতে গেলে নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়। অবস্থা এমন দাঁড়ায় যে, মনে হয় যেন আমি একজন অপরাধী। এখানে আমার কাজ করার কোনো অধিকার নেই।

সাম্প্রতিক সময়ের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, এই যে দেখুন বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে আমার অভিনীত ‘চালবাজ’ ছবিটি এ দেশে মুক্তি পাওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। ৬ এপ্রিল ছবিটি মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু একটি মহল কোনোভাবেই ছবিটি মুক্তি দিতে দিল না। এতে কি হলো, এ দেশের দর্শক বাঙালির এই প্রধান উৎসবে একটি ভালো ছবি দেখা থেকে বঞ্চিত হলো আর সিনেমাহল মালিকরাও ক্ষতিগ্রস্ত হলো। এই প্রতিবন্ধকতার কারণে ছবিটি ২০ এপ্রিল ভারত আর ২৭ এপ্রিল এ দেশে মুক্তি পেল। ২৭ এপ্রিল মুক্তি দিতে গিয়েও আমার ছবিটা নতুন করে বাধার মুখে পড়ল। ছবিটির সেন্সর শো এর দিন সেন্সর বোর্ডের সামনে গিয়ে আন্দোলন করার চেষ্টা করল। আমি জানতে চাই কেন আমার বিরুদ্ধে এমন হবে। আমি তো এ দেশ আর দেশীয় চলচ্চিত্রের উন্নয়নের স্বার্থে কাজ করে যাচ্ছি। এ দেশের ছবিকে বিশ্বমান দিয়ে বিশ্ববাজারে নিয়ে গিয়েছি। আজ বাংলাদেশের ছবি ইউরোপ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়াসহ বিশ্বে সাড়া জাগাচ্ছে। সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্যে প্রথম কোনো বাংলা ছবি হিসেবে ‘নবাব’ ছবিটি মুক্তি পেয়ে অভাবনীয় সাড়া জাগিয়েছে। তারপরেও কেন আমাকে নিয়ে এই নোংরা রাজনীতি। এর কারণ কী? যারা আমার বিরুদ্ধে অযৌক্তিকভাবে এসব করছে তাদের কাছে আমার প্রশ্ন, দয়া করে আপনারা বলুন আমার অপরাধ কোথায়? আমার কাজ দর্শক গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে এটি যদি কারও চক্ষুশূল হয়ে থাকে, যাদের হাতে কোনো কাজ নেই তারা যদি ভেবে থাকে আমাদের হাতে যখন কাজ নেই তখন শাকিব কেন কাজ করবে। তাকে আমরা প্রতিরোধ করব। এটি ভুল ধারণা আর পরিকল্পনা। আমার বিরুদ্ধে যতই ঈর্ষা করা হোক না কেন দর্শক কিন্তু আমার কাজের স্বীকৃতি বরাবরই দিয়ে যাচ্ছেন। চলতি সপ্তাহে মুক্তি পাওয়া আমার ‘চালবাজ’ ছবিটি এই প্রমাণ আবারও দিল। ছবিটি দেখতে সিনেমাহলে উপচে পড়া দর্শক, টিকিট নেই, কালোবাজারে উচ্চমূল্যে টিকিট বিক্রি দেখে আমি নিজেই অবাক হয়েছি। কারণ ছবিটি মুক্তির আগে এর আমদানিকারক নানা বাধার কারণে প্রচারণা চালাতে পারেনি। বলতে গেলে প্রচার প্রচারণা ছাড়াই ছবিটি মুক্তি পেয়েছে, ছবিটি দেখতে দর্শক সিনেমাহলে ছুটে গিয়েছে এবং ছবিটির উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করছে। সিনেমাহল মালিকদের মুখেও তৃপ্তির হাসি ফুটেছে। আমার কথা হলো যারা কলকাতার ছবিতে অভিনয় আর যৌথ প্রযোজনার নীতিমালা নিয়ে অনিয়মের কথা বলেন তারা কেন নিয়মতান্ত্রিকভাবে সরকারের কাছে গিয়ে বিষয়গুলো উত্থাপন করেন না? কলকাতার ছবিতে এ দেশের শিল্পীদের অভিনয় আর যৌথ আয়োজনের ছবি নির্মাণ তো নতুন কিছু নয়। স্বাধীনতার পর থেকে হয়ে আসছে। এসব ক্ষেত্রে নিয়মনীতি যদি সময় উপযোগী করতে হয় তাহলে সম্মিলিতভাবে তা করলে চলচ্চিত্র শিল্পেরই উন্নতি হবে। তা না করে কাদা ছোড়াছুড়ি করলে দেশের সবচেয়ে বড় এই গণমাধ্যমটি ধ্বংস হয়ে যাবে। আমি আবারও সরকার ও দেশ আর জাতির কাছে প্রশ্ন রাখছি- আমি এ দেশে নিষিদ্ধ কিনা? যদি নিষিদ্ধ হই তাহলে বলে দিন চলচ্চিত্র ছেড়ে চলে যাব। আমি বিভাজন আর অনৈক্য চাই না।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আমি ঐশ্বরিয়ার মতো ছিলাম না: জয়া

অভিনয়, সংসারের পাশাপাশি রাজ্যসভায় এমপির দায়িত্ব পালন করছেন জয়া বচ্চন। সম্প্রতি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেয়া সাক্ষাৎকারে কথা বলেছেন নিজের রাজনৈতিক জীবন, সংসদ, তার স্বামী অমিতাভ বচ্চনের রাজনীতি ছাড়ার কারণসহ অনেক বিষয় নিয়ে।

পুত্রবধূ ঐশ্বরিয়া রাইকে নিয়েও প্রশ্ন করা হয় জয়াকে। মা হওয়ার পর থেকেই অভিনয়ে নিয়মিত নন সাবেক এ বিশ্বসুন্দরী। ব্যপারটি নিয়ে জানতে চাইলে জয়া বচ্চন বলেন, ঐশ্বরিয়া রাই খুবই যত্মশীল মা। সে তার সন্তান (আরাধ্যা)কে এক মিনিটের জন্যও একা ছাড়তে পারে না। সে সবকিছুই নিজে করতে চায়। সুযোগ পেলে সে কাজ (অভিনয়) করে। এখনকার প্রজন্মের তরুণ সব মায়েরাই এমন। আমিও এক সময় তাদের জায়গায় ছিলাম। কিন্তু তাদের মতো ছিলাম না। তারা নিজেরাই সন্তানকে গোসল করাতে, খাওয়াতে চায়, পড়াতে চায়। আমিও এসব করেছি কিন্তু তার একটা সীমা ছিল। আমার মেয়েকেও একই আচরণ করতে দেখেছি। আমরা এতটা যত্নে বড় হইনি, কেউ এতটা খেয়ালও রাখেনি।

অবশ্য এসবকে স্বাভাবিক হিসেবেই নিচ্ছেন জয়া, সময় পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে অন্য সব বিষয়ে পরিবর্তন এসেছে। অনিরাত্তাবোধ বেড়েছে। যৌথ পরিবারে থাকায় আমরা খুবই নিরাপত্তার মধ্যে বেড়ে উঠেছি। কারণ কেউ না কেউ থাকতই। এখন ঐশ্বরিয়ার সে সুযোগ নেই। তার মা’ও সবসময় তার পাশে থাকতে পারে না। আমিও এখানে (রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত)। এখন যৌথ পরিবারের বিষয়টা নেই, তাই মাকেই সব দায়িত্ব নিতে হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কালবৈশাখী ঝড়; বজ্রপাতে সারা দেশে নিহত ১১

সকাল থেকে শুরু হওয়া বজ্রপাত ও কালবৈশাখী ঝড়ে সারা দেশে ১১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এতে আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ।

রবিবার (২৯ এপ্রিল) সকালে কালো মেঘে ঢেকে যায় রাজধানীর আকাশ। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে প্রচণ্ড বাতাসের সঙ্গে শুরু হয় বৃষ্টি। সেই সঙ্গে বজ্রপাত। প্রায় ৩০ মিনিট পর কিছুটা বিরতি দেয় বৃষ্টির ধারা।

আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, রোববার সকাল ১০ থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রাজশাহী, রংপুর, দিনাজপুর, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, সিলেট, যশোর, কুষ্টিয়া, ফরিদপুর, মাদারীপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, ঢাকা, কুমিল্লা ও নোয়াখালী অঞ্চলে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ (কালবৈশাখী) ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে। সেইসঙ্গে বিছিন্নভাবে কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে, রোববার দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, দিনাজপুর, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, এবং সিলেট অঞ্চলের উপর দিয়ে পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ-হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

দেশের বিভিন্ন স্থানে আরও দুই দিন রোববারের মতোই ঝড়-বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। বৃষ্টির সঙ্গে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে জানানো হয়েছে বার্তায়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
এমপি ওদুদ ৫ বছরে আঙল ফুলে কলাগাছ!

অনলাইন ডেস্ক: পাঁচ বছরে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল ওদুদ। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন তিনি। অভিযোগ রয়েছে, নিয়োগ বাণিজ্য, গরুর বিট ও হাট থেকে চাঁদাবাজি, টিআর-কাবিখা প্রকল্পসহ থোক বরাদ্দে নানা অনিয়ম এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচনে মনোনয়ন বাণিজ্যের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়েছেন এমপি আব্দুল ওদুদ। ওই টাকায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী ও ঢাকায় গড়ে তুলেছেন আবাসিক ভবন, ফিলিং স্টেশন, অটো রাইস মিল, শিশু পার্ক, মার্কেটসহ বহুতল ভবন। বাস-ট্রাকের পাশাপাশি বিলাসবহুল একাধিক গাড়িও রয়েছে তাঁর। চাঁপাইনবাবগঞ্জে মাদক কারবারিদের পৃষ্ঠপোষকের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে এই সংসদ সদস্যের নাম। সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জেলা পুলিশ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে ওই তালিকা পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, আওয়ামী লীগের পোড় খাওয়া নেতাকর্মীদের অবমূল্যায়ন, বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের আওয়ামী লীগে পুনর্বাসন, স্বাধীনতাবিরোধী ব্যক্তির সন্তানকে দলীয় মনোনয়নদান, অন্যের জমি দখলসহ নানা অভিযোগে এখন মারাত্মক ভাবমূর্তি সংকটে আছেন এমপি ওদুদ। গত পাঁচ বছরে তাঁর বৈষয়িক উন্নতিতে বিস্মিত দলের স্থানীয় নেতাকর্মীরাও।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে এমপি ওদুদ বলেছেন, তাঁর জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে দল ও দলের বাইরের কিছু লোক অপপ্রচার চালাচ্ছে।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামায় আব্দুল ওদুদ তাঁর পেশা হিসেবে ‘ব্যবসা’ উল্লেখ করেন। তবে মূল পেশা ব্যবসা থেকে তিনি বার্ষিক আয় দেখান মাত্র ৫০ হাজার টাকা। এ ছাড়া কৃষি খাত, বাড়িভাড়া ও অন্যান্য খাত থেকে বার্ষিক আয় দেখান ১৩ লাখ ৬৮ হাজার টাকা। হলফনামায় স্থাবর সম্পদ হিসেবে নিজ নামে ৩০ বিঘা ও স্ত্রীর নামে ছয় বিঘা কৃষি জমি, সোয়া ১১ বিঘা অকৃষি জমি, চাঁপাইনবাবগঞ্জে চারটি দালানবাড়ি, রাজশাহী শহরে একটি বাড়ি ও দুটি ফ্ল্যাটের কথা উল্লেখ করেন। এর বাইরে নগদ ও ব্যাংকে জমা মিলিয়ে ৯০ লাখ টাকা, একটি জিপ গাড়ি ও একটি মোটরসাইকেল থাকার কথা উল্লেখ করেন তিনি। এ ছাড়া বেসিক ব্যাংকে তাঁর পৌনে দুই কোটি টাকা ‘সিসি লোন’ থাকার তথ্য দেন।
জানা গেছে, হলফনামায় প্রদর্শিত ওই অর্থ-সম্পদের সঙ্গে এমপি ওদুদের বর্তমান সম্পদের বিস্তর ফারাক তৈরি হয়েছে। সংসদ সদস্য হিসেবে শুল্কমুক্ত সুবিধায় কেনা একটি জিপ ছাড়াও এখন তাঁর গাড়ির সংখ্যা চারটি। নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের পুরাতন জেলখানার মোড়ে সাড়ে তিন কাঠা জমি কিনে সেখানে গড়ে তুলেছেন তিন তলাবিশিষ্ট মার্কেট ও আবাসিক ভবন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার ঝিলিম ইউনিয়নের দক্ষিণ শহরে প্রায় ৪০ বিঘা জমির ওপর নিজ নামে গড়ে তুলেছেন পার্ক। এই পার্ক নির্মাণের জন্য ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জমি দখল ও ভয় দেখিয়ে অল্প মূল্যে কিনে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এই পার্কের কিছুটা দূরেই ‘নাহালা অটো ব্রিকস’ নামে কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে একটি ইটভাটা তৈরি করছেন ওদুদ। এ ছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার মহারাজপুর ঘোড়াস্ট্যান্ডে একটি ফিলিং স্টেশন নির্মাণ করেছেন তিনি। পৈতৃক সূত্রে পাওয়া জমিতে স্থাপিত ‘নাহালা ফিলিং স্টেশনটি’ উদ্বোধন করা হয় মাস তিনেক আগে। চাঁপাইনবাবগঞ্জে ওদুদের পরিবহন ব্যবসাও রয়েছে। তাঁর মালিকানাধীন ‘বিশ্বাস ট্রাভেলস’-এর একটি বাস চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রাজশাহী রুটে চলাচল করছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি লুত্ফর রহমান ফিরোজ জানান, দেড় বছর আগে তাঁদের সমিতির সদস্য হয়েছেন এমপি ওদুদ। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ট্রাক মালিক সমিতির সভাপতি আমিনুল ইসলাম জানান, এমপি ওদুদ তাঁদের সমিতিরও সাধারণ সদস্য। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা যায়, ফিলিং স্টেশনের তেলের একটি লরিসহ ওদুদের ট্রাকের সংখ্যা ছয়টি।
অভিযোগ রয়েছে, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে থাকা ওদুদ বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলের মনোনয়ন পাইয়ে দেওয়ার নাম করে এক চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর কাছ থেকে রাজশাহী মহানগরীর কোর্ট ঢালান এলাকায় ১১ কাঠা জমি লিখিয়ে নেন। সেখানে মোট ২২ কাঠা জমির ওপর এখন তিনি বহুতল ভবন বানাচ্ছেন। ওই জমির মূল্য প্রায় তিন কোটি টাকা। এ ছাড়া মহানগরীর রাজারহাতায় পৈতৃক সূত্রে পাওয়া জমিতে বছরখানেক আগে তিনি ছয়তলা আবাসিক ভবন এবং নওদাপাড়া পোস্টাল একাডেমির কাছে প্রায় এক বিঘা জমির ওপর একতলা মার্কেট নির্মাণ করেছেন। এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর ঢাকার মগবাজার মোড়ে একটি আবাসিক ভবন কিনেছেন তিনি। এ ছাড়া রাজধানীতে ওদুদের একাধিক ফ্ল্যাট রয়েছে বলে জানিয়েছে তাঁর ঘনিষ্ঠজনরা।
আব্দুল ওদুদের অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে ভয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে চায় না কেউ। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকেই বলে, সদর উপজেলার বালুগ্রাম ডিগ্রি কলেজ, সিটি কলেজ, আমনুরা বুলন্দ শাহ কলেজ, কৃষ্ণগোবিন্দপুর কলেজ, শাহ নেয়ামতুল্লাহ কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গত পাঁচ বছরে অধ্যক্ষ ও শিক্ষক-কর্মচারী পদে পছন্দের প্রার্থী নিয়োগ দিয়ে কয়েক কোটি টাকা কামিয়েছেন এই সংসদ সদস্য। একেকটি কলেজের অধ্যক্ষ পদে নিয়োগে ৩০ লাখ থেকে ৪০ লাখ টাকার বাণিজ্য হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষক ও স্বাস্থ্য বিভাগসহ বিভিন্ন দপ্তরে নিয়োগের ক্ষেত্রেও প্রার্থীদের কাছে থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন এমপি ও তাঁর লোকজন। এর বাইরে সীমান্তে গরুর বিট অনুমোদনের নামে এবং অনুমোদিত বিট থেকে চাঁদা আদায়, টেন্ডারবাজি, টিআর-কাবিখা প্রকল্পসহ এমপিদের জন্য থোক বরাদ্দে নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রবিউল ইসলাম বলেন, আব্দুল ওদুদের দুর্নীতি ও সম্পদের খতিয়ান এখন আর গোপন কোনো বিষয় নয়। ওদুদের যে সম্পদ রয়েছে, সেগুলোর বেশির ভাগই অবৈধ। তিনি আরো বলেন, ‘কখনোই আওয়ামী লীগের চেতনায় বিশ্বাসী ছিলেন না ওদুদ। আর এ কারণেই দল চালান নিজের মতো করে। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টাকা নিয়ে জামায়াত-শিবিরের লোক নিয়োগ দিয়েছেন। টিআর-কাবিখার প্রকল্পগুলোও তিনি নিজেই ভাগ-বাটোয়ারা করে দেন।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘গত পাঁচ বছরে এমপির অনুকূলে বরাদ্দ হওয়া টিআর, কাবিখা ও থোক বরাদ্দের টাকাগুলো কিভাবে ব্যয় হয়েছে, তা অনুসন্ধান করলেই থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে। অন্যের জমি দখলেও এগিয়ে রয়েছেন এই সংসদ সদস্য। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শহরের ঝিলিম রোডে বাবলু ও তাঁর ভাইয়ের নামে থাকা পাঁচ কাঠা জমি দখল করে দুই বছর আগে ব্যক্তিগত কার্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন ওদুদ। আদালতের নির্দেশে পুলিশের সহায়তায় মাস দুয়েক আগে সেই জমিটি তাঁর কাছ থেকে দখলমুক্ত করতে পেরেছে জমির মালিকরা।’

মাদক কারবারে পৃষ্ঠপোষকতা : সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শীর্ষস্থানীয় মাদক কারবারি ও তাদের পৃষ্ঠপোষকের একটি তালিকা পাঠানো হয়েছে জেলা পুলিশ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিপ্তরে। একটি গোয়েন্দা সংস্থার তৈরি করা ওই তালিকায় ৪৩ জন মাদক কারবারি এবং এদের পাঁচজন পৃষ্ঠপোষকের নাম রয়েছে। পৃষ্ঠপোষক হিসেবে তালিকায় শীর্ষে রয়েছে এমপি আব্দুল ওদুদের নাম। সদর মডেল থানা পুলিশের এক কর্মকর্তা এমন তালিকা পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।

দলে একক কতৃত্ব প্রতিষ্ঠা, ‘অনুপ্রবেশ’ : বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই জেলা আওয়ামী লীগে একক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করার অভিযোগ রয়েছে আব্দুল ওদুদের বিরুদ্ধে। আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের ত্যাগী নেতাকর্মীরা কোণঠাসা অবস্থায় রয়েছে। মামলা থেকে বাঁচতে আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়া বিএনপি-জামায়াতের নেতারা এখন এমপির কাছের লোক। দলের অনেকের মত উপেক্ষা করে ওদুদ দলে নিয়েছেন জামায়াত-শিবিরের নেতাদের, যাঁরা একাধিক নাশকতা মামলার আসামি। এক ডজনেরও বেশি নাশকতার মামলার আসামি জামায়াতের রুকন সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা সোহরাব আলী ২০১৬ সালের ১ অক্টোবর এমপি ওদুদের হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। একই দিন যোগ দেন জামায়াতের সহযোগী সংগঠন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের নেতা আফরোজ জুলমাত, জামায়াতের সাবেক কাউন্সিলর মিজানুর রহমান, বিএনপি নেতা মসিদুল হক মাসুদসহ আরো অনেকে। একই বছরের ২৫ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগে যোগ দেন একাধিক নাশকতা মামলার আসামি জামায়াত নেতা ও বারঘোরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবুল খায়ের। আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে তাঁদের অনেকেই পেয়েছেন পদ-পদবি। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে কেউ কেউ আবার বাগিয়ে নিয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন। ২০১৭ সালে জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অনেক ত্যাগী নেতাকে উপেক্ষা করে সদস্য পদে মনোনয়ন দেওয়া হয় বিএনপি থেকে বছরখানেক আগে যোগ দেওয়া বারঘোরিয়া ইউনিয়নের নেতা আবুল বাসারকে। ২০১৬ সালে সদর উপজেলার নারায়ণপুর ইউপি নির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হয় ‘রাজাকার’ হুমায়ন দারোগার ছেলে সাবেক বিএনপি নেতা আলমগীর কবীরকে। একইভাবে ইসলামপুর ইউনিয়নে সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা টিপুকে বাদ দিয়ে মনোনয়ন দেওয়া হয় বিএনপি থেকে যোগ দেওয়া জসিম উদ্দিনকে। অথচ ওই নির্বাচনে এমপি ওদুদের আর্শীবাদপুষ্ট দুই বিএনপি নেতাই ধরাশায়ী হন আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীর কাছে।
সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ বলেন, ‘চাঁপাইনবাবগঞ্জে এখন জামায়াত-বিএনপির নেতাদের নিয়েই দল চলছে। আলবদর নেতাকে নিয়ে শহীদ মিনারে ফুল দিতে যাচ্ছেন এমপি ওদুদ। এর চেয়ে দুঃখজনক ঘটনা আর কী হতে পারে!’

এমপি আব্দুল ওদুদের বক্তব্য : নিয়োগ বাণিজ্য, গরুর বিটে চাঁদাবাজি ও টিআর-কাবিখায় অনিয়ম প্রসঙ্গে এমপি আব্দুল ওদুদ বলেন, এসব অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই। বিরোধীরা তাঁকে হেয়প্রতিপন্ন করতে এসব অপ্রচার চালাচ্ছে। তিনি বলেন, এখন সরকারিভাবে সব নিয়োগ হচ্ছে। সেখানে এমপিদের হস্তক্ষেপ করার তেমন সুযোগ নেই। আর টিআর-কাবিখায় যাদের নামে প্রকল্প দেওয়া হচ্ছে, অনিয়ম করলে তারা করতে পারে। গরুর বিটের সঙ্গে তাঁর কোনো সম্পৃক্ততা কেউ প্রমাণ করতে পারবে না। এর সঙ্গে তাঁর কোনো সম্পর্ক নেই, তাই চাঁদাবাজির প্রশ্নই ওঠে না। বরং আওয়ামী লীগের জেলা সভাপতি মঈনুদ্দীন মণ্ডল ডিড করে গরুর বিটের পার্টনার হয়েছেন বলে জানান তিনি।

গত পাঁচ বছরে অঢেল সম্পদের মালিক হওয়া প্রসঙ্গে এমপি বলেন, বর্তমানে রূপালী, সাউথইস্ট ও বেসিক ব্যাংকে তাঁর ছয় কোটি টাকা ঋণ আছে। এসব টাকায়ই রাজশাহী কোর্ট ঢালানের জায়গায় ভবন তৈরি করছেন তিনি। চাঁপাইনবাবগঞ্জের মহারাজপুরের ফিলিং স্টেশনও নির্মাণ করেছেন ব্যাংকের টাকায়। একটি বাস ও দুটি ট্রাক রয়েছে তাঁর। এর বাইরে ‘বিশ্বাস ট্রাভেলস’ নামে যে ট্রাকগুলো চলছে, তা তাঁর নয়। সড়ক পরিবহন সমিতির এক নেতা তাঁর প্রতিষ্ঠানের নামে ট্রাকগুলো চালাচ্ছেন। হায়েস মাইক্রেবাস দুটিও তাঁর নয়। রাজশাহীতে পোস্টাল একাডেমির সামনে নির্মিত মার্কেটের একক মালিক তিনি নন। তাঁর এক ভাইও অংশীদার। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার দক্ষিণ শহরে নির্মিত ওদুদ পার্কের জায়গাটি পৈতৃক জমি। পার্ক নির্মাণে জমি দখলের অভিযোগ ভিত্তিহীন। তবে রাজধানীর মগবাজারে তাঁর একটি ফ্ল্যাট রয়েছে বলে স্বীকার করেন তিনি। তিনি দাবি করেন, সামনে সংসদ নির্বাচন, তাই দলীয় হাইকমান্ডের কাছে তাঁকে হেয়পতিপন্ন করতে একটি মহল পরিকল্পিতভাবে তাঁর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অপপ্রচার চালাচ্ছে।

মাদকের পৃষ্ঠপোষকের তালিকায় নাম থাকা প্রসঙ্গে আব্দুল ওদুদ জানান, এ বিষয়ে তাঁর কিছু জানা নেই। কখনো তিনি কোনো মাদক কারবারিকে তিনি প্রশ্রয় দেননি কিংবা কাউকে ছাড়ানোর জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে তদবির করেননি।

দলের কমিটিতে ত্যাগী নেতাদের জায়গা না দেওয়ার বিষয়ে এমপি ওদুদ বলেন, আওয়ামী লীগের যাঁরা জনবিচ্ছিন্ন নেতা, তাঁরা দলে পদ পাননি। যোগ্য ও রাজনীতির মাঠে থাকা নেতারা সবাই পদ পেয়েছেন। বিএনপি ও জামায়াত-শিবির নেতাদের আওয়ামী লীগে যোগদান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিএনপি-জামায়াতের ভোটব্যাংক ভাঙার জন্যই তাঁকে আওয়ামী লীগে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর এ জন্যই বিএনপি-জামায়াত নেতাদের মধ্যে ভোট টানার মতো কিছু নেতাকে তিনি দলে নিয়েছেন। আর এসব কারণে সদর উপজেলায় ভোটের রাজনীতিতে আজীবন তৃতীয় অবস্থানে থাকা আওয়ামী লীগ এখন প্রথম স্থানে চলে এসেছে।

সূত্র: কালের কণ্ঠ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ঈশিতার অন্য রকম ফেরা

ঈশিতার অন্য রকম ফেরা

কর্তৃক Daily Satkhira

চার বছর আগে শহীদুজ্জামান সেলিমের ঈদের টেলিফিল্ম ‘ডাকাতিয়া বাঁশি’তে সর্বশেষ অভিনয় করেছেন। আবারও অভিনয়ে ফিরলেন রুমানা রশিদ ঈশিতা। ফিরেই চমকে দিলেন। রাফায়েল আহসানের টেলিফিল্ম ‘কাঠপেন্সিল’-এ তাঁর সহশিল্পী সত্যজিৎ রায়ের প্রিয় অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। ২৪ এপ্রিল থেকে টানা তিন দিন কলকাতায় টেলিফিল্মটির শুটিং করে গতকাল ঢাকায় ফিরেছেন। সৌমিত্রর সঙ্গে অভিনয়ের মুগ্ধতা এখনো তাঁর কণ্ঠে, “জানেন, পাশাপাশি আমরা অভিনয় করে এলাম, অথচ এখনো বিশ্বাস হচ্ছে না আমার! শুটিংয়ে তাঁকে প্রথম দেখে ভীষণ নার্ভাস হয়ে পড়েছিলাম। তিনিই আমাদের সবাইকে স্বাভাবিক করলেন। অসাধারণ মানুষ তিনি। আমার পাশে বসে মেকআপ নিয়েছেন, একসঙ্গে খেয়েছেন। নিজের অংশের শুটিং করে এসে আমাকে জিজ্ঞেস করেছেন, ‘শটটা কেমন হলো, বলো তো?’ তাঁর মতো বিখ্যাত অভিনেতা আমাকে জিজ্ঞেস করছেন এই কথা! ভাবতেই পারছিলাম না! আমার সঙ্গে তিনি এমনভাবে গল্প করেছেন, যেন কত দিনের চেনা!”

‘কাঠপেন্সিল’-এর গল্প রাফায়েল আহমেদের, চিত্রনাট্য ও সংলাপে জ্যোতি হাজরা। টেলিফিল্মটিতে কলকাতার জনপ্রিয় কবি ও চিত্রশিল্পী সৌমিত্র একসময় বাংলাদেশে ছিলেন। বাংলাদেশের নামি পত্রিকার সাংবাদিক ঈশিতা। শুটিং হয়েছে কলকাতার ঘোষবাড়ি শুটিং হাউস, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, ট্রামস্টেশন ও গঙ্গার পারে। ঈশিতা জানালেন, ঢাকায় হবে কিছু অংশের শুটিং। আসছে ঈদে প্রচারিত হবে টেলিফিল্মটি। আরো অভিনয় করেছেন কলকাতার গার্গি ব্যানার্জি, অনুপ কুমার অমৃত এবং বাংলাদেশের অর্ণব অন্তু।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ১৫ মামলার আসামি নবাব আলী নিহত

সাতক্ষীরায় পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নবাব আলী নামে ১৫ মামলার এক আসামি নিহত হয়েছেন। নিহত নবাব আলী সদর উপজেলার বকচরা গ্রামের মুজিব মোল্লার ছেলে।

রবিবার ভোর রাত ৪টার দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আবাদেরহাট এলাকায় এ ‘বন্দুকযুদ্ধ’ হয়। ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, এক রাউন্ড গুলি, চারটি রামদা ও ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ।

সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ আহমেদ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আবাদেরহাট এলাকায় অভিযানে গেলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দুর্বৃত্তরা গুলি ছোড়ে। এ সময় পাল্টা গুলি ছুড়লে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে নবাব আলীর গুলিবিদ্ধ মরদেহ, একটি বিদেশি পিস্তল, এক রাউন্ড গুলি, চারটি রামদা ও ছুরি উদ্ধার হয়।

তিনি আরও বলেন, বন্দুকযুদ্ধে সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইব্রাহিম খলিল, কনস্টেবল আশিক ও কনস্টেবল তুহিন আহত হয়েছেন। তারা প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বিশ্রামে রয়েছেন। নবাব আলী হত্যা, ডাকাতি, দস্যুতা, চাঁদাবাজি, চুরি, স্বর্ণ চোরাচালানসহ ১৫টি মামলার আসামি ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পাষণ্ড চিকিৎসক যৌনাঙ্গ কেটে দেয়ায় নবজাতকের মৃত্যু !

ভারতের ঝাড়খণ্ডের চতরা জেলায় এক চিকিৎসক শুধুমাত্র তার ক্লিনিকে করা আলট্রাসাউন্ডের রিপোর্ট ভুল নয়, এটা প্রমাণ করার জন্যই এক নবজাতকের যৌনাঙ্গ কেটে দিলেন! এমন অমানবিক ঘটনায় জন্মের পর ওই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে।

জানা যায়, গত মঙ্গলবার রাতে অনিল পাণ্ডা নামে এক ব্যত্তির স্ত্রীর প্রসব যন্ত্রণা শুরু হলে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় চিকিৎসক অনুজ কুমারের ক্লিনিকে। সেখানেই তাকে ভর্তি করা হয়। অপারেশনের আগে অন্তঃসত্ত্বা নারীর আলট্রাসাউন্ড করা হয়। সেই ইউএসজি অনুযায়ী নারীর গর্ভে কন্যা সন্তান রয়েছে বলে জানানো হয়। কিন্তু কয়েক ঘণ্টা পরেই মা যখন শিশুর জন্ম দেন তখন দেখা যায় সে কন্যা নয়, ছেলে হয়েছে। চিকিৎসক আলট্রাসাউন্ড রিপোর্টকে সত্যি প্রমাণ করতে নবজাতকের প্রাইভেট পার্ট কেটে পেলে দেন। এতে করে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে শিশুটির মৃত্যু হয়।

এমন ঘটনার পর শিশুটির বাবা-মা পুলিশে অভিযোগ করেছেন। কিন্তু পুলিশ ওই হাসপাতালে পৌঁছনোর আগেই অভিযুক্ত চিকিৎসক পালিয়ে যায়।

কলকাতা টুয়েন্টিফোর’র প্রতিবেদনে বলা হয়, অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে ভারত পুলিশ। প্রথম এফআইআর করা হয়েছে মৃত শিশুর বাবার পক্ষ থেকে এবং দ্বিতীয়টি করা হয়েছে বেআইনিভাবে লিঙ্গ নির্ধারণ করার অপরাধে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest