ইউটিউব ভিডিও দেখে একাই সন্তান প্রসব!

এক নারীর সন্তান জন্মের খবর টুইটারে ভাইরাল। যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনীতে কর্মরত টিয়া ফ্রিম্যান নামের ওই নারী তুরস্কের হোটেল রুমে একাই সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। এসময় শুধু একটি ইউটিউব ভিডিওর সহায়তা নিয়েছিলেন। গত মার্চে টিয়া যুক্তরাষ্ট্র থেকে জার্মানি যাচ্ছিলেন। ওই সময় এ ঘটনা ঘটে।

তুরস্কের ইস্তানবুলের একটি হোটেলের বাথটাবে সন্তান জন্ম দেয়ার খবর ২৪ এপ্রিল টুইটারে সবাইকে জানান। ২২ বছর বয়সী সেই নারী তার সন্তানের নাম রেখেছেন জেভিয়ার আটা ফ্রিম্যান। গত ৭ মার্চ তার ওই সন্তানের জন্ম হয়। প্রথমে বিমানবন্দরেই সন্তানের জন্ম দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পরে হোটেলে উঠার সিদ্ধান্ত নেন।

সন্তান জন্মের পরের দিনই আগে থেকে বুক করে রাখা গাড়িতে করে বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। সেখানে সন্তান কোলে টিয়াকে নানা প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। তাকে কর্তৃপক্ষ মানবপাচারকারী বলেও সন্দেহ করছিল। পরে তিনি তুরস্কের যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের সাহায্য নেন।

এভাবে সন্তান জন্ম দেয়ার খবরটি নিয়ে এত মাতামাতি হচ্ছে দেখে টিয়া কিছুটা বিব্রত। তিনি টুইটারে বলেছেন, ‘আমি সত্যিই বুঝতে পারছি না সবাই কেন আমার এ খবর নিয়ে এত অবাক হয়েছে। হতে পারে এটিকেও সবাই একদিন স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করতে পারবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
অবশেষে দেখা গেল ক্রিকেটার রুবেলের স্ত্রীকে!

অনলাইন ডেস্ক: টাইগার পেসার রুবেল হোসেন বিয়ে করেছেন বেশ আগেই। পরিবারের পছন্দের পাত্রীর সঙ্গে খুব গোপনেই বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন তিনি। বাগেরহাটের মুনিগঞ্জের মেয়ে ইসরাত জাহান দোলাকে বিয়ে করেন এই ক্রিকেট তারকা। বিয়ের পর বউয়ের কোনো ছবি মিডিয়ায় প্রকাশ করেননি বাংলাদেশি এই পেসার। বিয়ের দুই বছর পেরিয়ে গেলেও এত দিন রুবেলের স্ত্রীর দেখা পাওয়া যায়নি।
অবশেষে শনিবার (২৮ এপ্রিল) তিনি তার ভেরিফাই ফেসবুক পেজে স্ত্রীর সঙ্গে তোলা ছবি আপলোড করলেন। দুইটি ছবি আপলোড করে ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘My wife.. ❤❤❤’ (আমার স্ত্রী)
রুবেল হোসেন আপাতত ক্রিকেটের বাইরে আছেন। শ্রীলঙ্কা সফর শেষ করে ঘরোয়া লিগে কোনো ম্যাচ খেলেননি তিনি। কয়েকদিন আগে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, তিনি অসুস্থ এবং নিজ জেলা বাগেরহাটেই অবস্থান করছেন। সুস্থ হলে ঢাকায় ফিরবেন বলে বলেছেন।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের হয়ে খেলছেন পেসার রুবেল হোসেন। তিনি এখন পর্যন্ত ২৫টি টেস্ট, ৮৫টি ওয়ানডে ও ২২টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবসে র‌্যালি ও আলোচনা

আসাদুজ্জামান: “উন্নয়ন আর আইনের শাসনে এগিয়ে চলছে দেশ, লিগ্যাল এইডের সুফল পাচ্ছে সারা বাংলাদেশ” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সাতক্ষীরায় জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উপলক্ষে বর্ণ্যাঢ্য র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা আইনগত সহায়তা প্রদান কমিটির আয়োজনে দিবসটি উপলক্ষে শনিবার সকাল ৮টায় সাতক্ষীরা পুরাতন জজ কোর্ট চত্বর থেকে র‌্যালিটি বের হয়। র‌্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে নতুন জজ কোর্ট চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। র‌্যালিতে এ সময় নেতৃত্বে দেন, সাতক্ষীরার জেলা ও দায়রা জজ এবং জেলা আইনগত সহায়তা প্রদান কমিটির চেয়ারম্যান মোঃ সাদিকুল ইসলাম তালুকদার।
পরে জজ কোর্ট চত্বরে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন, জেলা ও দায়রা জজ মোঃ সাদিকুল ইসলাম তালুকদার। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, পুলিশ সুপার মোঃ সাজ্জাদুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক মোঃ আশরাফুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক অরুনাভ চক্রবর্ত্তী, চীফজুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট রাফিজুল ইসলাম, অতিরিক্ত চীফজুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট জাহিদ হাসান, নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতের বিচারক হোসনে আরা আক্তার, সিভিল সার্জন ডাঃ তৌহিদুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বির আহমেদ, আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাড. আবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক, আকম রেজওয়ান উল্লাহ, সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ বিশ্বাস সুদেব কুমার প্রমুখ। সহকারি জজ ফারহা দিবা ছন্দা ও আয়শা আক্তার মৌসুমীর সঞ্চলনায় আলোচনা সভায় অন্যাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সুবিধা বঞ্চিত বিচার প্রার্থী নাছিমা খাতুন। আলোচনা সভা শেষে রক্ত দান কর্মসূচি এবং জনসচেতনতা মূলক নাটিকা অনুষ্ঠিত হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
যেসকল খাবার এবং পানীয় কোনোদিন আপনার লিভার খারাপ হতে দেবে না!

১. রসুন
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত সকালবেলা, খালি পেটে এক কোয়া করে রসুন খাওয়া শুরু করলে লিভারের অন্দরে উপস্থিত টক্সিক উপাদান বেরিয়ে যেতে শুরু করে। ফলে লিভারের কর্মক্ষমতা বাড়তে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, এই প্রাকৃতিক উপাদানটির অন্দরে উপস্থিত অ্যালিসিন নামক এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

২. বিট
শরীরে উপস্থিত ক্ষতিকারক কার্সিনোজেনের কারণে অনেক সময়ই লিভার মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ফলে নানাবিধ লিভারের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা যায় বেড়ে। এমনটা আপনার সঙ্গেও ঘটুক, তা যদি না চান, তাহলে নিয়মিত বিটের রস খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন উপকার মিলবে। আসলে বিটের অন্দরে উপস্থিত বিটালেনস নামক একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, দেহের অন্দরে জমতে থাকা ক্ষতিকর উপাদানদের বের করে দেয়। ফলে লিভারের কোনো ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়।

৩. ব্রকলি
এই সবজিটির অন্দরে উপস্থিত আইসোথিয়োসায়ানেট নামক উপাদান দেহের অন্দরে প্রদাহের মাত্রা কমানোর পাশাপাশি লিভারের কর্মক্ষমতা বাড়াতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রসঙ্গত, ইলিনোস ইউনিভার্সিটির গবেষকদের করা এক পরীক্ষায় দেখা গেছে ‘নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার’ এর মতো রোগকে দূরে রাখতে ব্রকলির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। তাই লিভারকে যদি সুস্থ রাখতে হয়, তাহলে সপ্তাহে ৩ দিন ব্রকলি খেতে ভুলবেন না যেন!

৪. পাতি লেবু
মৌসাম্বির মতো লেবুও একটি সাইট্রাস ফল, যাতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং বায়োফ্লেবোনাইডস। এই উপাদানগুলি লিভারকে পরিষ্কার করার পাশাপাশি শরীরের অন্দরে যাতে অক্সিডাইজ ড্য়ামেজ বেশি মাত্রা না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখে। ফলে লিভারের কর্মক্ষমতা বাড়তে শুরু করে।

৫. কাঁচা আম
বেশ কিছু গবেষণায় দেখে গাছে শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে কাঁচা আমের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। শুধু তাই নয়, লিভার এবং গল ব্লাডারের কর্মক্ষমতা বাড়াতেও এই ফলটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৬. আপেল
কথাতেই আছে , ‘প্রতিদিন যদি একটা করে আপেল খাওয়া যায়, তাহলে কোনও দিন চিকিৎসকের মুখ দেখতে হয় না।’ কথাটা কোনও অংশে ভুল নয়। আসলে আপেলে উপস্থিত একাধিক পুষ্টিকর উপাদান লিভারের অন্দরে যাতে কোনও ক্ষত সৃষ্টি না হয়, সেদিকে নজর রাখার পাশাপাশি সার্বিকবাবে শরীরের প্রতিটি অঙ্গের কর্মক্ষমতা বাড়তেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। ফলে ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না।

৭. গাজর
ক্যারোটিনয়েড নামে একটি অতি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে গাজরের শরীরে, যা দেহের ইতিউতি ঘুরে বেড়ানো ফ্রি র‌্যাডিকাল বা টক্সিক উপাদনদের কোনো অঙ্গের ধারে কাছে যেতে দেয় না। ফলে স্বাভাবিকভাবেই শুধু লিভার নয়, কোনও অরগ্যানেরই ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে না।

প্রসঙ্গত, বেশ কিছু পানীয়ও আছে, যেগুলি নিয়মিত খেলে লিভারের রোগে ভোগার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। যেমন ধরুন…

১. পিপারমেন্ট টি
রাতে একটু বেশি খাওয়া হয়ে গেছে? কেমন হাঁসফাঁস করছে শরীরটা। চিন্তা নেই। এক কাপ পিপারমেন্ট চা খেয়ে নিন না, দেখবেন সমস্য়া কমে যাবে। সেই সঙ্গে লিভারের কর্মক্ষমতাও বৃদ্ধি পেতে শুরু করবে।

২. লেবুর জল
লিভারকের ভালো রাখতে এটি আরেকটি কার্যকরি পানীয়। লেবুর জলে, লিভারের জন্য় উপকারি বেশ কেয়কটি নিউিট্রয়েন্টস থাকে। তাই এই পানীয় যদি রোজ রাতে শুতে যাওয়ার আগে খাওয়া যায় তাহলে লিভার পরিষ্কার থাকে। সেই সঙ্গে এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গটির কর্মক্ষমতাও বাড়ে।

৩. ক্যামোমিল চা
এই চায়ে প্রচুর পরিমাণে সেসকুইটারপেন ল্য়াকটোন নামে এর ধরনের উপাদান থাকে, যা লিভারের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার প্রক্রিয়াটিকে ঠিকভাবে চালাতে সাহায্য় করে।

৪. গোলাপ চা
এই চা রোজ খেলে লিভার তো ভালো থাকেই, সেই সঙ্গে স্ট্রেস এবং ডিপ্রেশন কমিয়ে রাতের ঘুম যাতে ভালো হয় সেদিকেও খেয়াল রাখে এই পানীয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পুরনো সমরাস্ত্র বিভিন্ন দেশকে দেবে ভারত

ভারতের সামরিক বাহিনী ব্যবহারের পর বিভিন্ন পুরনো অস্ত্র পুনরায় ব্যবহারের উপযোগী করে বিভিন্ন মিত্র দেশকে উপহার দেবে দেশটি। এজন্য ব্যবহৃত সামরিক সরঞ্জামের তালিকা করতে সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।

ব্যবহার করা সমরাস্ত্র ঠিক করে সেগুলো সামরিক সহযোগিতা বাড়াতে বিভিন্ন দেশকে উপহার দেয়া হবে। ওইসব অস্ত্রের মজুতের তালিকা চূড়ান্ত হলে ন্যূনতম খরচে সেগুলো মেরামত করে ব্যবহার উপযোগী করারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এখনও পর্যন্ত ভারত তার ব্যবহৃত এমআই-২৫ হেলিকপ্টার ও দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি একাধিক ভেসেল, জাহাজ বেশ কয়েকটি প্রতিবেশী দেশকে দিয়েছে।

সমরাস্ত্র সহায়তা দিয়ে দুটি সুবিধা লাভ করতে চায় ভারত। এর একটি হলো তাদের সঙ্গে গভীর কৌশলগত সম্পর্ক তৈরি করা যাবে, অন্যদিকে তেমন প্রশিক্ষকদের দল পাঠানো, ভারতে এসে বিশেষ প্রশিক্ষণ নেওয়ার সুযোগ দেয়া, রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য যন্ত্রাংশ সরবরাহ করার মতো মিথস্ক্রিয়ার মাধ্যমে দেশগুলোর সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্ক টিকে রাখার পথ তৈরি হবে।

হেলিকপ্টারগুলো দেয়া হয়েছে আফগানিস্তানকে। বাকি যেগুলো দেয়া হবে তার মধ্যে রয়েছে কামান, আর্মার্ড ভেহিকেল, হেলিকপ্টার, টহল নৌযান এবং রাডার সিস্টেম।

উপহার হিসেবে সামরিক সহায়তা চাওয়া এসব দেশের মধ্যে রয়েছে ভারত মহাসগর অঞ্চল, আফ্রিকা, মধ্য এশিয়া এবং এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের কয়েকটি দেশ। তাদেরকেই এসব দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ইসরাইলের গুলি: ৩ ফিলিস্তিনি নিহত, আহত ৯০০

ফিলিস্তিনিদের বিক্ষোভে আবারো গুলি চালিয়েছে দখলদার ইসরাইলি সেনারা। গাজা সীমান্তবর্তী এলাকায় এ হামলায় অন্তত ৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৯শ’ জন।

জানা গেছে, শুক্রবার ৫ম দিনের মতো নিজের জন্ম ভূমিতে ফেরার দাবিতে বিক্ষোভ করে ফিলিস্তিনিরা। ইসরাইলি সৈন্যরা এ বিক্ষোভে গুলি চালায়। এতে ৩ ফিলিস্তিনি নিহত হন।

এদিকে, গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর হত্যা-নির্যাতন বন্ধ করতে আহবান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের প্রধান জেইদ রাদ আল হোসেইন। দখলদার ইসরাইলি সৈন্যরা জাতিসংঘের এ আহবান অগ্রাহ্য করেই শুক্রবার আবারো বিক্ষোভে গুলি চালিয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ৩০ মার্চ থেকে গাজার সীমান্তবর্তী এলাকায় নিজেদের অধিকার ফিরে পাবার দাবিতে বিক্ষোভ করে আসছে ফিলিস্তিনিরা। এসব বিক্ষোভে ইসরাইলি সৈন্যদের গুলিতে এ পর্যন্ত ৪৫ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া ৬ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কাউন্সিল; ভোটে নয়, সিলেকশনে হবে আগামীর নেতৃত্ব

অনলাইন ডেস্ক: দক্ষ, যোগ্য ও মেধাবী নেতৃত্ব আনার লক্ষ্যে ২০০৬ সালে ছাত্রলীগে ভোট প্রক্রিয়া চালু হয়। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা পরামর্শেই এই প্রক্রিয়া শুরু হয়। গত তিনটি সম্মেলনে এভাবেই ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করা হয়। সারাদেশ থেকে আসা কাউন্সিলরা এই ভোটে অংশ নেন। তবে যে লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল তা গত তিনটি কমিটি তা পূরণ হয়নি বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা। দলীয় সভাপতিও তেমনটাই মনে করেন বলে তার ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো জানিয়েছে। ফলে ছাত্রলীগের নেতা নির্বাচনে আবার সিলেকশন পদ্ধতির দিকে ফিরে যাওয়া হচ্ছে। আসন্ন ২৯তম সম্মেলন থেকেই এটা কার্যকর হতে পারে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের বড় একটি অংশও ভোট বিরোধী। ওই অংশটি গত তিনটি কমিটির কার্যক্রম তুলে ধরে ভোটে নেতা নির্বাচনের নানা কুফল শেখ হাসিনার সামনে তুলে ধরেন। তারা মনে করে, ভোট প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। ভোটের সুযোগটি কাজে লাগিয়ে নানা কৌশলে ব্যর্থ নেতৃত্ব বের করে আনা হয়েছে। তাই ভোট প্রক্রিয়া আপাতত বাদ দিতে আওয়ামী লীগ নেতারা শেখ হাসিনাকে পরামর্শ দিয়েছেন।
আগামী ১১ ও ১২ মে ছাত্রলীগের ২৯তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এরই মধ্যে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ সম্মেলন সম্পন্ন হয়েছে। আগামী রবিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
পারিবারিকভাবে যারা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত, পরিবার থেকেই মুজিব আদর্শে অনুপ্রাণিত, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ধুদ্ধ এবং শিক্ষিত মার্জিত ছেলে মেয়েদেরকেই নেতা হওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। এসব যোগ্যতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া নয়, এমন কেউ পাওয়া গেলেও নেতা হওয়ার সুযোগ থেকে যাবে।
জানা গেছে, ভোট পদ্ধতিতে ব্যর্থ নেতৃত্ব বেরিয়ে আসার ফলে এখন বাধ্য হয়েই ভোট প্রক্রিয়া থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারকরা। সংগঠনে গণতন্ত্রের চর্চা করতে ভোট প্রক্রিয়া অনুসরণ করলেও নেতৃত্ব নির্বাচনে গত তিনটি সম্মেলনে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল না আসায় আবারও সিলেকশন পদ্ধতিতে ফিরে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড।
আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ নেতারা জানিয়েছেন, এবারের সম্মেলনে ছাত্রলীগের নেতৃত্ব নির্বাচনে ভোট প্রক্রিয়া আর থাকছে না। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিলেকশনে পদ্ধতি এই সংগঠনের নেতা বের করে আনবেন।
আরও বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা জানিয়েছেন, সর্বশেষ দু’টি সম্মেলনে ভোটে নেতা নির্বাচনের প্রক্রিয়াকে কলুষিত করা হয়েছে। দক্ষ ও যোগ্য নেতৃত্বের বদৌলতে অদক্ষ, অযোগ্য, অসাংগঠনিক, ভিন্ন চিন্তা-চেতনা এবং ভিন্ন আদর্শের ছেলেরা ছাত্রলীগের নেতা নির্বাচিত হয়েছে। এ কারণে বিভিন্ন সময়ে নানা দুঃষ্কর্মের সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতাদের সম্পৃক্ততার অভিযোগও উঠেছে। অনুপ্রবেশের সুযোগটিও ভোট প্রক্রিয়ার ফলে এসেছে। তাই আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ে এবার ভোট দিয়ে নেতা নির্বাচন না করার পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করেছেন।
আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর তিন জন গুরুত্বপূর্ণ নেতা বলেন, ছাত্রলীগের নেতা নির্বাচন এবার ভোটে হবে না। দ্বিতীয় অধিবেশন শেষ করে প্রস্তবিত নামগুলো নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে দুই জন নেতা নির্বাচন করবেন। তাদের হাতে সংগঠনের দায়িত্ব অর্পণ করবেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই সদস্য বলেন, সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তাতে ছাত্র সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগ কোনও ভূমিকা পালন করতে পারেনি। বরং ছাত্রলীগই এই আন্দোলনে ইন্ধন যুগিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শেখ হাসিনা মনে করেন, দুর্বল নেতৃত্ব থাকার কারণে এই আন্দোলনে ছাত্রলীগের কোনও নিয়ন্ত্রণ ছিল না। বিষয়টি শেখ হাসিনাকে হতাশ করেছে।
ওই দুই নেতা আরও বলেন, শেখ হাসিনা বুঝতে পেরেছন ভোটের সুযোগ নিয়ে দুর্বল নেতারা নেতৃত্বে এসেছে। অনুপ্রবেশের সুযোগটিও এসেছে ভোট পদ্ধতিতে। তাই এ পদ্ধতি আপাতত স্থগিত করতে তিনি ইতিমধ্যেই সম্মত হয়েছেন।
শেখ হাসিনা এবার ছাত্রলীগের সম্মেলন দেখভালের দায়িত্ব দিয়েছেন কেন্দ্রের অনেক নেতাকে। তাদের কাছে ইঙ্গিত রয়েছে ছাত্রলীগের এবারের নেতা নির্বাচিত হবে সিলেকশনে। শেখ হাসিনা নিজেই এবার নেতা সিলেকশন করবেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ইতিহাসের ‘সবচেয়ে বড়’ শিশু বলিদান ঘটনার সন্ধান

মানব ইতিহাসের সবচেয়ে বৃহৎ শিশু বলিদানের ঘটনার সন্ধান পেয়েছেন পুরাতাত্ত্বিকরা। পেরুর উপকূলবর্তী উত্তর অঞ্চলে ৫৫০ বছর আগের এ ঘটনায় একসঙ্গে ১৪০ জন শিশুকে বলি দেওয়া হয়।

প্রাচীন চিমু সভ্যতার কেন্দ্রবিন্দু, যা আধুনিক যুগে ত্রুহিয়ো নামে পরিচিত, এ অঞ্চলের পাশে ঘটনাটির সন্ধান পেয়েছেন পুরাতাত্ত্বিকরা।

শিশুদের সঙ্গে স্থানীয় ভিত্তিতে লামা পরিচিত ২০০ পশুকেও বলি দেওয়া হয়।

ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটির অর্থায়নে পরিচালিত এ উদ্ভাবন/গবেষণা প্রক্রিয়া নিয়ে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।

গবেষক দলের অন্যতম সদস্য জন ভেরানো বলেন, ‘আমি কখনোই এটা আশা করিনি। আর আমি মনে করি না অন্য কেউ এ রকম কিছু আশা করত।’

২০১১ সালে সাড়ে তিন হাজার প্রাচীন একটি উপাসনালয় খননকাজ করতে গিয়ে এ রকম মানব বলিদানের ঘটনা প্রথম পাওয়া যায়। হুয়ানচাকিতো-লাস লামা নামের জায়গায় ৪০ জন মানুষ ও ৭৪টি লামাকে বলি দেওয়ার ঘটনা ছিল সেটি।

ন্যাশন্যাল জিওগ্রাফিক জানায়, চলতি সপ্তাহে ঘোষণা করা তালিকায় দেখা যায়, ১৪০ জন শিশুর সবার বয়স পাঁচ থেকে ১৪ বছরের মধ্যে। এদের মধ্যে বেশির ভাগের বয়স আট থেকে ১২ বছর।

হাড়ে কাটা দাগ থাকার কারণে বোঝা যাচ্ছে শিশু বলিদানের শিকার। বুকের মধ্যস্থলের হাড়েও কাটা দাগ রয়েছে। এ ছাড়া পাঁজরের অনেক হাড় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা থেকে বোঝা যায় হৃৎপিণ্ড বের করে ফেলা হয়েছিল।

এ ছাড়া অনেক শিশুর শরীরে উজ্জ্বল লাল রঞ্জক লাগানো হয়েছিল, এটা বলিদানের রীতির অংশ হিসেবে ধারণা করা হচ্ছে।

লামাগুলোর ভাগ্যেও একই পরিণতি জুটেছে, যাদের বয়স ছিল ১৮ মাসের কম। আন্দিস পর্বতমালায় পূর্ব দিকে মুখ করে এদের সমাহিত করা হয়।

আরেক নেতৃস্থানীয় গবেষক গ্যাব্রিয়েল প্রিয়েতো বলেন, ‘লোকজন যখন এটা শুনল এবং এর ভয়াবহতার মাত্রা টের পেল, সবসময় তাদের জিজ্ঞাসা ছিল কেন।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest