সাতক্ষীরায় বেসরকারি বিদ্যুৎ ও পানির লাইন শ্রমিক ইউনিয়নের আত্মপ্রকাশ

বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে সাতক্ষীরায় বেসরকারি বিদ্যুৎ ও পানির লাইন শ্রমিক ইউনিয়নের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। এ উপলক্ষ্যে শুক্রবার বিকালে সাতক্ষীরা পুরতান আইনজীবী ভবনে আসাদুজ্জামানের সভাপতিত্বে এক আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি এড. ফাহিমুল হক কিসলু। এসময় বক্তব্য রাখেন, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন সাতক্ষীরা জেলা শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাকীম, রেজাউল ইসলাম, আব্দুল আজিজ, আবুল হাসান, মোঃ জাকির হোসেন, জহুরুল হক সরদার, আরশাদ আলী, হাফিজুর রহমান, আনোয়ার হোসেন বাবু, আমজেদ হোসেন প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, নির্মল চন্দ্র দাশ।
সভায় সর্ব সম্মতিক্রমে আছাদুজ্জামান কে সভাপতি ও আবুল হাসানকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৩ সদস্য বিশিষ্ট সাতক্ষীরা বেসরকারি বিদ্যুৎ ও পানির লাইন শ্রমিক ইউনিয়নের নতুন কমিটি গঠন করা হয়। বাকী নেতৃবৃন্দরা হলেন, সহ-সভাপতি রেজাউল ইসলাম, সহ-সাধারণ সম্পাদক নির্মল চন্দ্র দাশ, সাংগঠনিক সম্পাদক আমজাদ হোসেন, দপ্তর সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বাবু, প্রচার সম্পাদক হাফিজুর রহমান, ক্রীড়া সম্পাদক জাকির হোসেন, কোষাধ্যক্ষ আরশাদ আলী, সদস্য জহুরুল হক, আব্দুল আলিম, মাহবুব হোসেন ও আব্দুল আজিজ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ভ্যান চালকদের ডাবের পানি পান করালেন সাতক্ষীরা মানব কল্যাণ সোসাইটি

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : সাতক্ষীরা মানব কল্যাণ সোসাইটির উদ্যোগে প্রচণ্ড তাপদাহে তৃষ্ণার্থ ভ্যান চালকদের ২ দফায় ডাবের পানি পান করানো হয়েছে। শুক্রবার সকালে ও দুপুরে ২ফায় কাটিয়া আমতলা মোড়স্থ মেসার্স এম এ ট্রেডার্সে সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয়ে প্রচণ্ড তাপদাহে তৃষ্ণার্থ ভ্যান চালকদের ডাবের পানি পান করানো হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের সভাপতি মোঃ আব্দুল আলম, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ মিজানুর রহমান, মোঃ শফিকুল ইসলাম, মোঃ আরিজুল ইসলাম, মিসেস রিজিয়া রায়হান, সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান জেমস, মোঃ ওকিফুল কবির, কোষাধ্যক্ষ মোঃ আনোয়ার হোসেন প্রমুখ। সংগঠনটি দীর্ঘদিন যাবত মানব কল্যাণে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ভারত ও আইসিসি দুই প্রতিপক্ষ মুখোমুখি!

অনলাইন ডেস্ক: একটা সময় ছিল যখন আইসিসি মানেই ‘তিন মোড়ল’ এর শাসন। সেই ‘তিন মোড়ল’ নীতির অবসানের পর প্রায়শই দ্বন্দ্ব লেগে যাচ্ছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আর ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) মাঝে। কলকাতায় সম্প্রতি অনুষ্ঠিত আইসিসির বোর্ড সভায় এই দ্বন্দ্ব চরম রূপ নিয়েছে। ভারত ২০২১ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আয়োজন করতে চাইলেও আইসিসি সবুজ সংকেত দেয়নি। এর বদলে একটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ভারতকে। এই ইস্যুতেই এখন আইসিসির মুখোমুখি বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ক্রিকেট বোর্ড।

ভারতের প্রয়াত ক্রিকেট সংগঠক জগমোহন ডালমিয়া চ্যাম্পিয়নস ট্রফির চালু করেছিলেন। ১৯৯৮ সালে এর প্রথম সংস্করণ ‘মিনি বিশ্বকাপ’ নামে অনুষ্ঠিত হয়েছিল বাংলাদেশে। এরপর আরও ৭টি টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। এতে আর্থিকভাবে ব্যাপক লাভবান হয় আইসিসি। কিন্তু ২০২১ সালে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ভারত আয়োজন করতে চাইলেও ট্যাক্স সংক্রান্ত ইস্যুতে আইসিসি তা নাকচ করে দেয়। এর বদলে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের। আগের বছর ২০২০ সালে আবার অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।

২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপ ধরলে পরপর তিন বছর তিনটি বিশ্বকাপ দেখবে ক্রিকেটবিশ্ব। তবে এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছে খোদ ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের একাংশ। তাদের মতে, আইসিসির সভায় বিশ্বকাপ আয়োজনে সম্মতি দিয়ে বিসিসিআই ভারপ্রাপ্ত সচিব অমিতাভ চৌধুরী ও প্রধান নির্বাহী রাহুল জোহরি পেছন থেকে বোর্ডকে ছুরি মেরেছে! চ্যাম্পিয়নস ট্রফি তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত তাই সহজে বাস্তবায়ন হবে বলে মনে হচ্ছে না।

ভেতরের এসব খবরের পাশাপাশি প্রকাশ্যেও অনেক কর্মকর্তা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বয়কটের দাবিও তুলেছেন। অন্যদিকে বিসিসিআইয়ের বড় অংশের এই অবস্থান জানতে পেরে কড়া বক্তব্য দিয়েছে আইসিসি। ভারতীয় গণমাধ্যমের রিপোর্ট মতে, সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী বলেছেন, ‘ভারত যদি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করতে না চায়, তবে শ্রীলঙ্কা বা বাংলাদেশ এটার আয়োজন করবে।’

অর্থাৎ, খুব পরিস্কারভাবেই বোঝা যাচ্ছে যে ভারতের দাদাগিরিকে আর তেমন পাত্তা দিতে চাচ্ছে না আইসিসি। তবে মনে রাখতে হবে, ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যের উর্বর ভূমি হলো ভারত। এখন দেখার বিষয়, আইসিসি তাদের এই কঠোর অবস্থান শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতে পারে কিনা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাবেক সচিবের সম্পদের পাহাড়, সাতটি বিয়ে!

অনলাইন ডেস্ক: দুই লাখ ৮০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাজা হয়েছিল পাঁচ বছর। ওই সাজার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল দায়ের করেন তিনি। তবে আপিলের শুনানি চলাকালীন মামলার নথি তুলতে ব্যর্থ হন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী। কারণ খুঁজতে গিয়ে দেখা যায়, হাইকোর্ট থেকে নথিই গায়েব। তথ্য-প্রমাণ উপস্থাপনে ব্যর্থ হওয়ায় শেষমেষ অভিযোগ থেকেই অব্যাহতি পান তিনি।এখন পর্যন্ত তিনি সাতটি বিয়ে করেছেন।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) সিনিয়র সহকারী সচিব তোফাজ্জল হোসেনের বিরুদ্ধে দায়ের করা দুদকের মামলার ক্ষেত্রে এমনটি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, আদালতের দুই কর্মচারীকে মোটা অংকের অর্থ দিয়ে মামলার নথি নাকি তোফাজ্জল হোসেন গায়েব করিয়েছেন!
সম্প্রতি দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযোগটি প্রাথমিকভাবে গ্রহণ করেছে কমিশন। শিগগিরই শুরু হবে প্রাথমিক তদন্ত। তোফাজ্জল হোসেন বর্তমানে অবসরোওর ছুটিতে (পিআরএল) আছেন।
জামালপুরের বিশেষ আদালতের তথ্য অনুযায়ী, তোফাজ্জল হোসেন ১৯৮৭ সালে পূবালী ব্যাংকে চাকরিরত অবস্থায় দুই লাখ ৮০ হাজার টাকা ক্যাশ থেকে আত্মসাৎ করেন। দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে চলা ওই মামলার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২০০১ সালে জামালপুরের স্পেশাল জর্জ কোর্ট তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড, একই সঙ্গে ১২ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন। ওই দণ্ডের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করেন তোফাজ্জল। আদালত প্রথমে ছয় মাস এবং পরবর্তীতে তিন মাসের জন্য দণ্ডাদেশ স্থগিত করেন। উচ্চ আদালতে মামলাটির বিচারকালীন আসামিপক্ষ (দুদক) মামলার পক্ষে কোনো নথি না দেখাতে পারায় অবশেষে অব্যাহতি পান তোফাজ্জল হোসেন।

দুদকের কাছে নতুন করে তোফাজ্জল হোসেনের বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, তিনি হাইকোর্টের অফিস সহকারীপর্যায়ের দু’জনকে ম্যানেজ করে অর্থের বিনিময়ে তাদের দ্বারা মামলার গুরুত্বপূর্ণ নথি চুরি করান এবং তার দুই সহোদর মো. দুলাল হোসেন ও মো. মহর আলী নথিগুলো নিজ হাতে কোর্ট থেকে নিয়ে বেরিয়ে যান। এ বিষয়ে তার বিরুদ্ধে পুনঃতদন্তের আবেদন করা হয়েছে।

দুদকে আসা অভিযোগের ভিত্তিতে জাগো নিউজের পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় খোঁজ নেয়া হয়। প্রশাসনিক ভবন- ৩ এর তৃতীয় তলায় নথি ঘেটে মামলার তথ্য পাওয়া যায়। ২০০১ সালের রেজিস্ট্রার বইয়ে (ভলিউম) ২০০১ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর মামলার আপিল নম্বর ৩৫২৯ অন্তর্ভুক্ত করা ছিল। কিন্তু শাখার কর্মকর্তারা সেখানে খোঁজ নিয়ে ওই মামলার কোনো নথি খুঁজে পাননি।
এ বিষয়ে জানতে তোফাজ্জল হোসেনকে ফোন দেয়া হয়। তিনি বলেন, ‘আমার কোনো বক্তব্য নেই। আমি কিছুই জানি না।’
একপর্যায়ে তিনি উল্টো প্রশ্ন রাখেন, ‘আপনাকে (দুদকে দেয়া অভিযোগ) এগুলো কে দিয়েছে? তার নামটা বলেন…’
অভিযোগকারীর নাম প্রকাশে অস্বীকৃতি জানালে তিনি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
আদালত থেকে ফাইল সরিয়ে ফেলাসহ তোফাজ্জল হোসেনের বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ জমা পড়েছে দুদক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরে।

অর্থ নিয়ে চাকরি না দেয়ার অভিযোগ
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, তোফাজ্জল হোসেনের নিজ বাড়ি জামালপুরের সরিষাবাড়িতে। তার বিরুদ্ধে অর্থ নিয়ে চাকরি না দেয়ার অভিযোগ করেছেন আব্দুল আজিজ। সম্পর্কে তিনি তোফাজ্জলের আত্মীয়। তিনি জানান, তোফাজ্জল হোসেন ও তার বোন ফারজানা আফরোজ আমার মা’র আপন মামাতো ভাই-বোন। ফারজানা আফরোজ রিচিং আউট অব স্কুল চিলড্রেনের (রস্ক) ট্রেনিং কো-অর্ডিনেটর।
তিনি বলেন, ফারজানার সঙ্গে আমার বোনের পরিচয় থাকায় তার মাধ্যমে আমি তোফাজ্জল হোসেনের কাছে একটি চাকরির জন্য যাই। তখন তিনি পুলিশে চাকরি দেয়ার নামে আমার কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন। ২০১২ সালে জামালপুরের দৌলভিটীতে তোফাজ্জলের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে তার হাতে টাকা দেই। কিন্তু পাঁচ বছরেও চাকরি না পেয়ে ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে তার বাড়িতে যাই। তিনি আমাকে পাঁচ লাখ টাকার একটি চেক দেন। ব্যাংকে চেক জমা দিয়ে দেখি অ্যাকাউন্টে কোনো টাকা নেই। পরে ব্যাংকের চেকটি নিয়ে আমি তোফাজ্জল হোসেনের বাড়িতে যাই। তার বোন আমার কাছ থেকে প্রত্যাখ্যাত চেকটি ফেরত নেন এবং আমার স্ত্রীকে মারধর করেন। হাতে চেক না থাকায় তার বিরুদ্ধে মামলা করতে পারছি না।
সম্প্রতি এ বিষয়ে তিনি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরে একটি লিখিত অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন।
জামালপুরের সরিষাবাড়ির অপর চাকরিপ্রত্যাশী ইদ্রিস আলী। তিনি অভিযোগ করেন, তার কাছ থেকে ২০১৫ সালে আট লাখ টাকা নেন তোফাজ্জল হোসেন। কিন্তু তাকেও চাকরি দেয়া হয়নি। এখন টাকা ফেরতের জন্য ফোন দেয়া হলে তিনি রিসিভ করেন না।
চাকরিপ্রত্যাশীদের অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তোফাজ্জল হোসেন এ প্রতিবেদকের ফোন কেটে দেন।

মামলা নিষ্পত্তির নামে স্থানীয়দের জমি লিখে নেয়ার অভিযোগ
সরিষাবাড়ির লেবু নামের এক ব্যবসায়ীর ‘কোম্পানির মালিকানা’ পুনরুদ্ধার করে দেবেন- এমন আশ্বাস দিয়ে তার কাছ থেকে ১৫ শতাংশ জমি লিখে নেন তোফাজ্জল হোসেন। ব্যবসায়ী লেবু মিয়া অভিযোগ করে বলেন, ‘আমি আক্তার গ্রুপের (আক্তার ফার্নিচার) মালিক। আমার কয়েকজন কর্মী কাগজপত্র জাল করে প্রতিষ্ঠানটি হাতিয়ে নেয় এবং নিজেদের বলে ব্যবসা পরিচালনা করতে থাকে। প্রতিষ্ঠানটি ফিরিয়ে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে তোফাজ্জল হোসেন আমার কাছ থেকে ১৫ শতাংশ জমি লিখে নেন। কিন্তু দুই বছরেও তিনি আমার প্রতিষ্ঠানটি ফিরিয়ে দিতে পারেননি।

তোফাজ্জল হোসেনের সম্পদের বিবরণ
দুদকে আসা অভিযোগ পর্যালোচনা করে দেখা যায়, তোফাজ্জল হোসেনের মোহাম্মদপুরে দুটি ফ্ল্যাট, মিরপুর ও মোহাম্মদপুরে দুটি প্লট, বগুড়া শহরে তিনতলা ভবন, জামালপুরে ১৫ শতাংশ জমি, চাঁপাইনবাবগঞ্জে সপ্তম স্ত্রী যোবীর নামে জমি ও আমের বাগান, গাজীপুরের আশুলিয়া ইন্ডাস্ট্রিয়াল এলাকায় ২৫ বিঘা জমি এবং সরিষাবাড়িতে ১০০ বিঘা জমি রয়েছে।
এছাড়া ময়মনসিংহ শহরে তোফাজ্জলের পাঁচটি বাড়ির মধ্যে তৃতীয় স্ত্রী বীথির নামে একটি, সপ্তম স্ত্রী যোবীর নামে একটি, দুই মেয়ের নামে দুটি এবং ছেলের নামে একটি বাড়ি রয়েছে।
এখন পর্যন্ত তিনি সাতটি বিয়ে করেছেন। এর মধ্যে তিন স্ত্রী তাকে তালাক দিয়ে চলে গেছেন।
ফাইল চুরি, অর্থ আত্মসাৎ ও অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুদকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ গৃহীত হয়েছে। তবে এখনও তালিকাভুক্ত হয়নি। প্রাথমিকভাবে অভিযোগের বিষয়গুলো যাচাই-বাছাই করা হবে। এরপর দুদকের এখতিয়ারভুক্ত মনে হলে একজন অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হবে। ওই কর্মকর্তা পরবর্তীতে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পাকিস্তানকে আটকে সেমিফাইনালে বাংলাদেশ

যুব অলিম্পিক হকির এশিয়া অঞ্চলের বাছাই প্রতিযোগিতায় শক্তিশালী পাকিস্তানকে রুখে দিয়েছে বাংলাদেশ। আজ বিকেলে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে অনুষ্ঠিত ম্যাচে পাকিস্তানের সঙ্গে ৩-৩ গোলে ড্র করে সেমিফাইনালে উঠে গেছে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা।

টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচে সিঙ্গাপুরকে ১০-৪ এবং কম্বোডিয়াকে ২০-০ গোলে হারানোর পর ৭-৪ গোলে হেরেছিল মালয়েশিয়ার বিরুদ্ধে। শুক্রবার সকালে মালয়েশিয়ার কাছে পাকিস্তান ১২-১ গোলে হারায় সেমিফাইনালের সম্ভাবনা টিকে ছিল বাংলাদেশের। এই ম্যাচে ড্র করলেই পাকিস্তানকে টপকে ফাইভ-এ সাইড এ প্রতিযোগিতার শেষ চারে উঠে যেতো তারা। সেই লক্ষ্যই পূরণ করে ফেললেন সবুজ-মহসিনরা।

১১ দলের এই বাছাই পর্ব থেকে সেরা দুই দল পাবে অক্টোবরে আর্জেন্টিনায় অনুষ্ঠিতব্য যুব অলিম্পিক গেমসের টিকিট। ২০১৪ সালে বাংলাদেশ বাছাই পর্বের ফাইনালে পাকিস্তানের কাছে হেরেছিল। বাংলাদেশ ও পাকিস্তান খেলেছিলো নানজিন যুব অলিম্পিকে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মিয়ানমারকে চাপ দিতে অস্ট্রেলিয়ার প্রতি আহ্বান

রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে মিয়ানমারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখতে অস্ট্রেলিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

অস্ট্রেলিয়ায় তিনদিনের সরকারি সফরের প্রথম দিন শুক্রবার (২৭ এপ্রিল) সিডনিতে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুলি বিশপের সঙ্গে বৈঠকে শেখ হাসিনা এ আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের সাহায্য সহযোগিতার পাশাপাশি তাদের নিজ দেশে ফেরত নিতে মিয়ানমারের ওপর চাপ বজায় রাখতে হবে। রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার বিষয়ে মিয়ানমার চুক্তি করেছে। কিন্তু তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না।

বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম উপস্থিত ছিলেন।

ইন্টারকন্টিনেন্টাল সিডনি হোটেলে স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সিডনিতে অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী এ হোটেলেই থাকছেন। আধাঘণ্টার এ বৈঠকে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী নারীর ক্ষমতায়ন ও সর্বক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করায় প্রধানমন্ত্রীকে ‘ইমপ্রেশন লিডার’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। এ সময় অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বারবার বলেন, আপনি (শেখ হাসিনা) একজন ইমপ্রেশন লিডার। বৈঠকে তিনি প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করেন।

শেখ হাসিনা নারীর ক্ষমতায়ন ও সর্বক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণে তার সরকারের পদক্ষেপ এবং প্রশাসন, বিচার বিভাগ ও সংসদে নারীদের অংশগ্রহণ ও ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন।

বৈঠকে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে করণীয় সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের সাহায্য করে যেতে হবে। পাশাপাশি মিয়ানমার যেন তাদের ফেরত নেয় সেজন্য চাপ বজায় রাখতে হবে।
বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে যাওয়া প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী ফ্লাইট শুক্রবার সকাল ৭টা ৫ মিনিটে সিডনির কিংসফোর্ড স্মিথ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখানে তাকে স্বাগত জানান অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. সুফিউর রহমান। এরপর মোটর শোভাযাত্রা করে ইন্টারকন্টিনেন্টাল সিডনি হোটেলে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে আসা হয়। গ্লোবাল সামিট অব ওমেন সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রীর এ অস্ট্রেলিয়া সফর। সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীকে ‘গ্লোবাল ওমেন’স লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ডে’ ভূষিত করা হবে। এ সফরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানা রয়েছেন।

এদিকে সকালে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাতের পর স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১১টায় এ হোটেলেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ভিয়েতনামের ভাইস প্রেসিডেন্ট ডাং থি নোক থিহ।

পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক জানান, অনুষ্ঠিত বৈঠকটিতে ভিয়েতনামের ভাইস প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন ও নারীর ক্ষমতায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেন। গ্লোবাল ওমেন’স লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান তিনি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন এবং নারীর ক্ষমতায়ন হয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে ভিয়েতনামের ব্যবসা বেড়েছে এবং আরও বাড়া দরকার। বাংলাদেশ-ভিয়েতনাম সরাসরি ফ্লাইট চালুরও প্রয়োজন রয়েছে।

এ দু’টি বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম ও অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. সুফিউর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পরমাণু নিরস্ত্রীকরণে একমত দুই কোরিয়া

এ এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। শান্তির পায়রা উড়ছে যেন কোরীয় উপদ্বীপে। পুরোপুরি পরমাণু নিরস্ত্রীকরণে মতৈক্যে পৌঁছেছেন উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার দুই প্রেসিডেন্ট কিম জং-উন ও মুন জে-ইন। পাশাপাশি প্রায় সাড়ে পাঁচ দশক আগে শেষ হওয়া কোরিয়া যুদ্ধের আনুষ্ঠানিক অবসানে এবং সংঘাতের পথ বন্ধ করতে চলতি বছরই শান্তি চুক্তি করার বিষয়ে একমত হয়েছেন তারা।

শুক্রবার (২৭ এপ্রিল) দু’দেশের সীমান্তবর্তী গ্রাম ‘পানমুনজমে’ দুই প্রেসিডেন্টের ঐতিহাসিক বৈঠকের পর এক যৌথ ঘোষণায় এ কথা জানানো হয়। ওই যৌথ ঘোষণায় সই করেন কিম ও মুন।

দুই নেতা যে বাড়িতে এই ঐতিহাসিক বৈঠক করেন, সেটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘পিস হাউস’ বা শান্তির বাড়ি। এই শান্তির বাড়িতে কিম ও মুনের মধ্যে আলোচনার পর দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র ইয়ুন ইয়াং-চ্যান এক বিবৃতিতে বলেন, রাষ্ট্রপ্রধান দু’জন কোরীয় উপদ্বীপে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ ও দীর্ঘমেয়াদী শান্তি প্রতিষ্ঠা নিয়ে আন্তরিক ও খোলামেলা আলোচনা করেছেন। তারা গুরুত্বের সঙ্গে আলাপ করেছেন আন্তঃকোরিয়া সম্পর্কোন্নয়নের বিষয়টি নিয়েও।

চ্যানের ওই বিবৃতির পর দেওয়া যৌথ ঘোষণায় বলা হয়, ‘পুরোপুরি পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের মাধ্যমে পরমাণুমুক্ত কোরিয়া উপদ্বীপ গড়ে তোলার অভিন্ন লক্ষ্য অর্জনে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া দৃঢ়ভাবে একমত। কোরীয় উপদ্বীপে আর কখনও যুদ্ধ হবে না। শান্তির নবযুগের সূচনা হলো।’

যৌথ ঘোষণায় জানানো হয়, আগামী মে মাসেই পিয়ংইয়ং ও সিউলের শীর্ষ পর্যায়ের সামরিক সংলাপ হবে। আর পূর্ণমাত্রায় চুক্তিকে এগিয়ে নিতে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনকে নিয়ে বহুপাক্ষিক সংলাপও করবে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া।

যৌথ ঘোষণায় সইয়ের পর এক উচ্ছ্বাসমাখা বিবৃতিতে কিম জং-উন বলেন, ‘আমি আশা করি দুই কোরিয়া আবার ‘পুনর্মিলিত’ হবে। শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যে ঐতিহাসিক আলোচনা হয়েছে, তা আর দীর্ঘায়িত হতে পারে না।’

গত শতাব্দীতে হওয়া দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরই আলাদা হয়ে যায় দুই কোরিয়া। ১৯৫০ সালের জুন থেকে ১৯৫৩ সালের জুলাই পর্যন্ত দুই কোরিয়ার মধ্যে রক্তক্ষয়ী এক যুদ্ধ হয়। তিন বছরেরও বেশি সময়ের এই যুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার পক্ষে ছিল চীন ও তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন (রাশিয়া)। আর দক্ষিণ কোরিয়ার পক্ষে ছিল জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, কানাডাসহ

পশ্চিমা জোট। এতে আনুমানিক সাড়ে সাত লাখ উত্তর কোরীয় ও পৌনে দুই লাখ দক্ষিণ কোরীয় নিহত হয়।

ওই যুদ্ধের পর থেকে এই দীর্ঘ সময়ে কেবল বিচ্ছিন্নতা, সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরে উত্তেজনার উত্তাপই ছড়াচ্ছিলো কোরীয় উপদ্বীপে। এমনকি গত বছরের শুরু থেকে এ বছরের শুরু পর্যন্ত উপদ্বীপটি ঘেঁষে সামরিক যুদ্ধযানের মহড়াও আতঙ্ক ছড়াচ্ছিলো। কিম ও মুনের বৈঠকের পর সেই কোরিয়া অঞ্চলেই এখন ছড়াচ্ছে ‘শান্তির বার্তা’ ।

 

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রাহুলকে বহনকারী বিমানে ত্রুটি, অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা
কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীকে বহনকারী একটি বিমানে হঠাৎ ত্রুটি দেখা দেয়। আজ শুক্রবার সকালে ছোট ফ্যালকন জেট বিমানটির অন্যতম যাত্রী ছিলেন রাহুল। তবে অল্পের জন্য বড় ধরনের দুর্ঘটনার কবল থেকে রক্ষ পেয়ে নির্বিঘ্নেই দিল্লি থেকে কর্নাটকের হুগলি বিমানবন্দরে পৌঁছেছেন তিনি।
জানা যায়, বিমানে কংগ্রেস সভাপতিসহ পাঁচজন ছিলেন। মাঝ আকাশে বিমানটির যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে অটো–পাইলট ব্যবস্থায় সমস্যা দেখা দেয়। পরে তিনবারের চেষ্টায় ‘ম্যানুয়াল’ মোডে নিরাপদ অবতরণ করেন পাইলট। এই ধরনের ঘটনা অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু এ ঘটনায় সন্তুষ্ট নয় কংগ্রেস।
রাহুলকে বহনকারী বিমানের গুরুতর যান্ত্রিক ট্রুটির খবর সামনে আসার পর ভারত জুড়ে তোলপাড় শুর হয়েছে। এটি পরিকল্পিত কিনা তা খতিয়ে দেখার দাবি জানিয়েছে কংগ্রেস। রাহুল গান্ধী তো সরাসরি চক্রান্তের কথা বলেছেন। ঘটনার পর নরেন্দ্র মোদি কথা বলেছেন রাহুলের সঙ্গে।
বিধানসভা ভোটের প্রচারে শুক্রবার সকালে হুগলি যাচ্ছিলেন রাহুল। আবহাওয়া ভালই ছিল। পৌনে ১১টার দিকে হঠাৎ বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়।
0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest