বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের কাজ সফলভাবে সম্পূর্ণ হয়েছে। বিশ্বের ৫৭তম দেশ হিসেবে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের কাজ সফলভাবে সম্পূর্ণ হয়েছে। বিশ্বের ৫৭তম দেশ হিসেবে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ।
কয়েক ঘণ্টা আগে মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১। শুক্রবার দিবাগত রাত ২টা ১৪ মিনিটে স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণ করা হয়। এটি কক্ষপথে পৌঁছাতে নির্ধারিত ৩৩ মিনিট সময় নেয়। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের কাজ সফল ভাবে সম্পূর্ণ করে এরপর বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এটি বহন করা ফ্যালকন-৯ রকেটটি। এর কিছুক্ষণ পর ভূ-পৃষ্টে ফিরে এসেছে সেই ফ্যালকন-৯।
স্পেসএক্সের ফ্যালকন-৯ রকেটের নতুন সংস্করণ ব্লক ফাইভ ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টারের লঞ্চ প্যাড থেকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটকে সঙ্গে নিয়ে রওনা হয় জিওস্টেশনারি ট্রান্সফার অরবিটের দিকে। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর রাত ২টা ৪৭ মিনিটে এ স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহটি নির্ধারিত কক্ষপথে পৌঁছেছে।
মার্কিন বেসরকারি স্পেসএক্স প্রতিষ্ঠানের নির্মিত ‘ফ্যালকন-৯’ রকেটটি পুনরায় ব্যবহারযোগ্য। এটি বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের কাজ সফলভাবে সম্পূর্ণ করে, ভূ-পৃষ্টে ফিরে এসেছে। ভবিষ্যতে অন্য কোনো স্যাটেলাইট পাঠাতে এটি ব্যবহার করা যাবে।
বঙ্গবন্ধু-১ উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বের ৫৭তম দেশ হিসেবে নিজস্ব স্যাটেলাইটের মালিক হলো।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ সম্পূর্ণ চালু হওয়ার পর এর নিয়ন্ত্রণ বাংলাদেশের গাজীপুর নবনির্মিত গ্রাউন্ড স্টেশনে হস্তান্তর করা হবে। স্যাটেলাইটটি পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রায় ২০ দিন সময় লাগবে। এর পরেই ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট প্রাইমারি গ্রাউন্ড স্টেশন’ এর নিয়ন্ত্রণ নেবে।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের তেলীপাড়ায় টেলিযোগাযোগ স্টাফ কলেজ সংলগ্ন এলাকায় স্টেশনটি স্থাপন করা হয়েছে।
রাঙ্গামাটির বেতবুনিয়ায় এ ধরনের আরেকটি গ্রাউন্ড স্টেশন স্থাপন করা হয়েছে। সেটি হচ্ছে গাজীপুরে স্থাপন করা গ্রাউন্ড স্টেশনের বিকল্প। মূল নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র হবে গাজীপুরের গ্রাউন্ড স্টেশন থেকেই। শিগগিরই প্রাইমারি গ্রাউন্ড স্টেশনটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হবে।
প্রায় ৩৬ হাজার কিলোমিটার দূরে উড়ে যাবে এই স্যাটেলাইট। ৩৫ হাজার ৭০০ কিলোমিটার যাওয়ার পর রকেটের স্টেজ-২ খুলে যাবে। স্যাটেলাইট উন্মুক্ত হওয়ার পরপর এর নিয়ন্ত্রণ যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি এবং কোরিয়ার তিনটি গ্রাউন্ড স্টেশনে চলে যাবে।
ওই তিন স্টেশন থেকে স্যাটেলাইটটিকে নিয়ন্ত্রণ করে এর নিজস্ব কক্ষপথে (১১৯.১ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অরবিটাল স্পট) স্থাপন করা হবে। এরপর এর নিয়ন্ত্রণ গাজীপুরে স্থাপন করা গ্রাউন্ড স্টেশনে হস্তান্তর করা হবে।
ধোনির চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ জিতে আইপিএলের প্লে-অফে লডা়ই জমিয়ে দিল রাজস্থান রয়্যালস৷ ঘরের মাঠে ১৭৭ রান তাড়া করতে নেমে শেষ ওভারে এক বল বাকি থাকতে থ্রিলার ম্যাচ জিতল রাহানের দল৷
রাজস্থান রয়্যালসের জয়ের নায়ক জস বাটলার। এদিন তিনি ৯৫ রানের (৬০ বলে) ধুঁয়াধার ইনিংস খেলেন৷ ম্যাচের উইনিং রান এসেছে তার ব্যাট থেকেই৷ অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন রয়্যালসদের এই ব্রিটিশ ওপেনার৷ ১১টি চার ও ২টি ছয় দিয়ে ইনিংস সাজান বাটলার৷
ধোনিদের বিরুদ্ধে এই জয়ের ফলে ১১ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে ৬ নম্বরে রয়েছে রাজস্থান৷ সমসংখ্যাক ম্যাচ খেলে ১০ পয়েন্ট নিয়ে রান রেটের বিচারে এগিয়ে থেকে চারে মুম্বাই আর পাঁচ নম্বরে রয়েছে কেকেআর৷ যার ফলে প্লে-অফের লড়াই জমে গেল বলা চলে৷ তিন ফ্র্যাঞ্চাইজিই এখন একে অপরের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে৷
ম্যাজিক ফিগার ১৬ পয়েন্টে পৌঁছতে তিন ফ্র্যাঞ্চাইজিকেই শেষ তিন ম্যাচে জিততে হবে৷ এরপর আবার রয়েছে রান রেটের অঙ্ক৷ ১৩ মে ওয়াংখেড়েতে মুম্বাইয়ের বিরুদ্ধে ম্যাচ খেলার পর ১৫ মে ইডেনে নাইটদের বিরুদ্ধে খেলতে নামবে রাজস্থান৷ তিন ফ্রাঞ্চাইজির কাছে সব ম্যাচই এখন নির্ণায়ক বলা চলে৷
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ২৯ তম জাতীয় সম্মেলনে বয়সসীমা ২৮ হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফলে এর বেশি বয়সী প্রার্থীরা বাদ পড়েছেন ছাত্রলীগের নেতৃত্বের দৌঁড়ে।
প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর শুক্রবার রাতে সংগঠনের ২৯তম সম্মেলনের জন্য গঠিত নির্বাচন কমিশন এ বাদ পড়াদের তালিকা প্রকাশ করে। পাশাপাশি বৈধ প্রার্থীদের তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে। যার মধ্যে সভাপতি প্রার্থী ৬৬ জন ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ১৬৯ জন। এতে সাক্ষর করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার আরিফুর রহমান লিমন, নির্বাচন কমিশনার নওশাদ উদ্দিন সুজন ও সাকিব হাসান সুইম।
সভাপতি পদে বাদ যাওয়া প্রার্থীরা হলেন-দিদার মো. নিজামুল ইসলাম, গোলাম রাব্বানী, অসীম কুমার বৈদ্য, মোতাহার হোসেন প্রিন্স, রাজিব আহমেদ রাসেল, মাকসুদ রানা মিঠু, সায়েম খান, মেহেদী হাসান রনি, মো. রুহুল আমিন,মো. রেজওয়ানুল হক চৌধুরী, হাবিবুর রহমান সুমন, সৈয়দ আশিক, মো. মোবারক হোসাইন প্রমুখ।
সাধারণ সম্পাদক পদে বাদ যাওয়া প্রার্থীরা হলেন- দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, আদিত্য নন্দী, মো. রুহুল আমীন, মো. রাসেল চৌধুরী প্রমুখ।
এদিকে এক নোটিশে বাদ পড়া পদপ্রত্যাশীদের কারো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে সকাল ১০টার মধ্যে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে মনোনয়ন ফরমের অনুলিপি নিয়ে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক: মহাকাশের অচেনা জগতে ঘুরে বেড়াবে বাংলাদেশের একটি স্যাটেলাইট। লাল-সবুজের বাংলাদেশ এই স্বপ্নে বুঁদ হয়েছিল অনেক দিন থেকেই। অবশেষে সেই স্বপ্ন হলো সত্যি। মহাকাশের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করল বাংলাদেশের প্রথম স্যাটেলাইট (কৃত্রিম উপগ্রহ) বঙ্গবন্ধু-১। দেশীয় অর্জনের ক্যানভাসে পড়ল তুলির আরেকটি রঙিন আঁচড়।
মহাকাশে যাত্রার জন্য প্রস্তুতি সেরে রাখা হয়েছিল আগেই। নানা কারণে বেশ কয়েকবার পেছানোর পর শুক্রবার দিবাগত রাত ২টা ১৪ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণ করা হয়। বঙ্গবন্ধু-১ উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বের ৫৭তম দেশ হিসেবে নিজস্ব স্যাটেলাইটের মালিক হলো।
এর আগে বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার ভোররাত ৩টা ৪৭ মিনিটে বঙ্গবন্ধু-১ উৎক্ষেপণের জন্য চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছিল। কিন্তু শেষ মিনিটে এসেই থমকে যায় সেকেন্ডের কাঁটা। রকেটের যাত্রা (স্টার্টআপ মোড) শুরু হওয়ার সময়েই কারিগরি ত্রুটির কারণে তা বন্ধ হয়ে যায়। জানানো হয়, বৃহস্পতিবার রাতে আর উড়ছে না বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট। ঘোষণা করা হয়, শুক্রবার ফের চালু হবে কাউন্টডাউন। বাংলাদেশ সময় শুক্রবার দিবাগত রাত ২টা ১৪ মিনিট থেকে ৪টা ২১ মিনিটের মধ্যে যে কোনো সময় স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণের নতুন সময় নির্ধারণ করা হয় তখন।
স্যাটেলাইটটি মহাকাশে পাঠানোর কাজ করছে মহাকাশ গবেষণা সংস্থা স্পেসএক্স। তাদের ‘ফ্যালকন-৯’ রকেটে করে বঙ্গবন্ধু-১ যাত্রা শুরু করে। এটি নিয়ন্ত্রণ করা হবে বাংলাদেশের গাজীপুর থেকে। এ জন্য গাজীপুরের জয়দেবপুরে তৈরি করা হয়েছে গ্রাউন্ড কন্ট্রোল স্টেশন। আর বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা হবে রাঙামাটির বেতবুনিয়া গ্রাউন্ড স্টেশন।
দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এই স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ইন্টারনেট ও টেলিযোগাযোগ সেবার সম্প্রসারণ করা সম্ভব হবে। দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবিলা ও ব্যবস্থাপনায় নতুন মাত্রা যোগ হবে। স্যাটেলাইটভিত্তিক টেলিভিশন সেবা ডিটিএইচ (ডিরেক্ট টু হোম) ও জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কাজেও এ স্যাটেলাইটকে কাজে লাগানো যাবে।
মহাকাশে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের অবস্থান হবে ১১৯ দশমিক ১ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশে। এই কক্ষপথ থেকে বাংলাদেশ ছাড়াও সার্কভুক্ত সব দেশ, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, মিয়ানমার, তাজিকিস্তান, কিরগিজস্তান, উজবেকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান ও কাজাখস্তানের কিছু অংশ এই স্যাটেলাইটের আওতায় আসবে।
দেশের প্রথম এ স্যাটেলাইট তৈরিতে খরচ ধরা হয়েছিল ২ হাজার ৯৬৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১ হাজার ৩১৫ কোটি টাকা বাংলাদেশ সরকার ও বাকি ১ হাজার ৬৫২ কোটি টাকা ঋণ হিসেবে নেওয়া হয়েছে। এ ঋণ দিয়েছে বহুজাতিক ব্যাংক এইচএসবিসি। তবে শেষ পর্যন্ত প্রকল্পটি বাস্তবায়নে খরচ হয়েছে ২ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা।
স্যাটেলাইট তৈরির এই পুরো কর্মযজ্ঞ বাস্তবায়িত হয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) তত্ত্বাবধানে। তিনটি ধাপে এই কাজ হয়েছে। এগুলো হলো স্যাটেলাইটের মূল কাঠামো তৈরি, স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ ও ভূমি থেকে নিয়ন্ত্রণের জন্য গ্রাউন্ড স্টেশন তৈরি।
বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের মূল অবকাঠামো তৈরি করেছে ফ্রান্সের মহাকাশ সংস্থা থ্যালেস অ্যালেনিয়া স্পেস। স্যাটেলাইট তৈরির কাজ শেষে গত ৩০ মার্চ এটি উৎক্ষেপণের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় পাঠানো হয়। সেখানে আরেক মহাকাশ গবেষণা সংস্থা স্পেসএক্সের ‘ফ্যালকন-৯’ রকেটে করে স্যাটেলাইটটি মহাকাশে যাত্রা শুরু করে।
পথ চলা শুরু যেভাবে
বাংলাদেশে প্রথম স্যাটেলাইট নিয়ে কাজ শুরু হয় ২০০৭ সালে। সে সময় মহাকাশের ১০২ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশে কক্ষপথ বরাদ্দ চেয়ে জাতিসংঘের অধীন সংস্থা আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নে (আইটিইউ) আবেদন করে বাংলাদেশ। কিন্তু বাংলাদেশের ওই আবেদনের ওপর ২০টি দেশ আপত্তি জানায়। এই আপত্তির বিষয়টি এখনো সমাধান হয়নি। এরপর ২০১৩ সালে রাশিয়ার ইন্টারস্পুটনিকের কাছ থেকে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের বর্তমান কক্ষপথটি কেনা হয়। বাংলাদেশ বারবার আইটিইউর কাউন্সিল সদস্য নির্বাচিত হয়ে নীতিনির্ধারক পর্যায়ে থাকলেও এখন পর্যন্ত নিজস্ব কক্ষপথ আনতে পারেনি।
জাতিসংঘের মহাকাশবিষয়ক সংস্থা ইউনাইটেড নেশনস অফিস ফর আউটার স্পেস অ্যাফেয়ার্সের (ইউএনওওএসএ) হিসাবে, ২০১৭ সাল পর্যন্ত মহাকাশে স্যাটেলাইটের সংখ্যা ৪ হাজার ৬৩৫। প্রতিবছরই স্যাটেলাইটের এ সংখ্যা ৮ থেকে ১০ শতাংশ হারে বাড়ছে। এসব স্যাটেলাইটের কাজের ধরনও একেক রকমের। বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটটি বিভিন্ন ধরনের মহাকাশ যোগাযোগের কাজে ব্যবহার করা হবে। এ ধরনের স্যাটেলাইটকে বলা হয় ‘জিওস্টেশনারি কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট’। পৃথিবীর ঘূর্ণনের সঙ্গে সঙ্গে এ স্যাটেলাইট মহাকাশে ঘুরতে থাকে।
বর্তমানে দেশে প্রায় ৩০টি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল সম্প্রচারে আছে। এসব চ্যানেল সিঙ্গাপুরসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে স্যাটেলাইট ভাড়া নিয়ে পরিচালিত হচ্ছে। সব মিলিয়ে স্যাটেলাইটের ভাড়া বাবদ বছরে চ্যানেলগুলোর খরচ হয় ২০ লাখ ডলার বা প্রায় ১৭ কোটি টাকা। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট চালু হলে এই স্যাটেলাইট ভাড়ার অর্থ দেশেই থেকে যাবে। আবার স্যাটেলাইটের ট্রান্সপন্ডার বা সক্ষমতা অন্য দেশের কাছে ভাড়া দিয়েও বৈদেশিক মুদ্রা আয় করার সুযোগ থাকবে। এই স্যাটেলাইটের ৪০টি ট্রান্সপন্ডারের মধ্যে ২০টি ভাড়া দেওয়ার জন্য রাখা হবে।
https://www.youtube.com/watch?v=y3niFzo5VLI
১২ হাজার প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে এবারের ‘লাক্স সুপারস্টার ২০১৮’ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হলেন মিম মানতাশা। বিচারকদের নম্বর, দর্শকদের ভোট ও পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করে এবারের বিজয়ীর মুকুট ছিনিয়ে নেন মিম মানতাশা।
শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সন্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয় চ্যানেল আই প্রেজেন্টস লাক্স সুপারস্টার প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনাল। এবারের প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে ছিলেন সাদিয়া ইসলাম মৌ, তাহসান খান, আরিফিন শুভ। গ্র্যান্ড ফিনালেতে অতিথি বিচারক ছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রী ও দেশ বরেণ্য অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূর, আলী জাকের ও অভিনেত্রী ঈশিতা।
এ বছর মুকুটের সর্বশেষ দাবিদার ছিলেন পাঁচজন। তারা হলেন সামিয়া অথৈ, মিম মানতাশা, সারওয়াত আজাদ বৃষ্টি, ইশরাত জাহিন ও নাবিলা আফরোজ। তবে সবাইকে পেছনে ফেলে শেষ হাসি হেসেছেন মিম মানতাশা। তিনি পুরস্কার হিসেবে পেয়েছেন একটি ব্র্যান্ড নিউ গাড়ি ও নগদ পাঁচ লাখ টাকা। পাশাপাশি বাংলাদেশে লাক্সের শুভেচ্ছাদূত হওয়ার সুযোগ।
এছাড়াও বাংলাদেশ ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন একাডেমিতে প্রশিক্ষণের সুবর্ণ সুযোগ পাবেণ মিম মানতাশা।
সেই সঙ্গে ইমপ্রেস টেলিফিল্ম ও চ্যানেল আইয়ের নাটক, সিনেমা ও টেলিছবিতে অভিনয়ের সুযোগ। এবারের প্রতিযোগিতায় প্রথম রানার আপ হয়েছেন সারওয়াত আজাদ বৃষ্টি। তিনি পেয়েছেন চার লাখ টাকা। দ্বিতীয় রানার আপ হয়েছেন সামিয়া অথৈ। তিনিও পুরস্কার হিসেবে পেয়েছেন তিন লাখ টাকা।
দেশের প্রথম স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ উৎক্ষেপণের জন্য নতুন সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ সময় শুক্রবার দিনগত রাত ২টা ১৪মিনিট থেকে পরবর্তী দুই ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গবন্ধু-১ মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হবে।
এর আগে বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার রাত ৩টা ৪৭ মিনিটে ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টারের লঞ্চ প্যাড-৩৯ এ থেকে কক্ষপথে উড়াল দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হলেও প্রাথমিক কাজ শুরুর পর কারিগরি ত্রুটির কারণে একেবারে শেষ মুহূর্তে এসে তা একদিনের জন্য পিছিয়ে দেয় স্পেসএক্স।
স্পেসএক্স বলছে, বাংলাদেশ সময় শুক্রবার দিবাগত রাত ২টা ১৪মিনিট থেকে পরবর্তী দুই ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গবন্ধু-১ উৎক্ষেপণের কাজ আবারও শুরু হবে।
প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ও একই কথা জানিয়েছেন। তিনি তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘উৎক্ষেপণের শেষ মুহূর্তগুলো কম্পিউটার দ্বারা সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়। হিসেবে যদি একটুও এদিক সেদিক পাওয়া যায়, তাহলে কম্পিউটার উৎক্ষেপণ থেকে বিরত থাকে। আজ যেমন নির্ধারিত সময়ের ঠিক ৪২ সেকেন্ড আগে নিয়ন্ত্রণকারী কম্পিউটার উৎক্ষেপণের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে। স্পেসএক্স সবকিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করে আগামীকাল একই সময়ে আবারও আমাদের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ বহনকারী রকেটটি উৎক্ষেপণের চেষ্টা চালাবে। যেহেতু এই ধরণের বিষয়ে কোনো ঝুঁকি নেয়া যায় না, সেহেতু উৎক্ষেপণের মোক্ষম সময়ের জন্য অপেক্ষা করা খুবই সাধারণ বিষয়, চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই।’
এদিকে বার্তাসংস্থা রয়টার্স বলছে, উৎক্ষেপণের চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছানোর এক মিনিটেরও কম সময় আগে বাংলাদেশের প্রথম স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ এর কাউন্টডাউন স্থগিত করা হয়েছে। এছাড়া স্পেসএক্সের ফ্যালকন ৯ ব্লক ফাইভ রকেটের মহাকাশে প্রথম যাত্রার কাউন্টডাউন পুনরায় শুরু অথবা অন্যদিনের জন্য উৎক্ষেপণ বাতিল করবে কি না তা এখনো পরিষ্কার নয়।
গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের দিনক্ষণ ঠিক করা হলেও শেষ পর্যন্ত তা ভেস্তে যায়। ওই সময় যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে হারিকেন আরমা আঘাত হানে। এতে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হওয়ায় স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ পিছিয়ে দেয়া হয়।
পরে ৫ মে উৎক্ষেপণের দিনক্ষণ ঠিক করা হয়। স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণে আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় এবারও তারিখ পিছিয়ে ৭ মে নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু এদিনও আবহাওয়া প্রতিকূলে থাকতে পারে এমন আশঙ্কায় স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের সিদ্ধান্ত পিছিয়ে দেয়া হয়। তার আগে ৪ মে (শুক্রবার) বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর পরীক্ষামূলক সফল উৎক্ষেপণ চালানো হয়।
ওইদিন অরল্যান্ডোর কেনেডি স্পেস সেন্টারে সন্ধ্যা ৭টা ২৫ মিনিটে পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ চালানো হয় ফ্যালকন-৯ রকেটের। এসময় কেনেডি স্পেস সেন্টারের ব্লক ৫ থেকে ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়।
পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণের পর তথ্য পর্যালোচনা করে স্পেসএক্স। ফলাফল ইতিবাচক হওয়ায় ১০ মে বঙ্গবন্ধু-১ মহাকাশে ডানা মেলবে বলে জানায়।
উল্লেখ্য, স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ মহাকাশে পাঠানোর লক্ষ্যে রাশিয়ার উপগ্রহ কোম্পানি ইন্টারস্পুটনিকের কাছ থেকে কক্ষপথ (অরবিটাল স্লট) কেনে বাংলাদেশ। ২০১৫ সালের ১৫ জানুয়ারি রাশিয়ার কাছ থেকে মহাকাশের ১১৯ দশমিক ১ পূর্ব দ্রাঘিমায় দুই কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলারে (বাংলাদেশি প্রায় ২১৯ কোটি টাকায়) কেনা হয়েছে এ স্লট।
গুঞ্জনটা তাহলে সত্যি হতে চলেছে? ফরাসি ক্লাব ফুটবল যে স্প্যানিশ লিগের চেয়ে ঢের পিছিয়ে তা মনে হয় এবার বুঝতে পেরেছেন ব্রাজিল ও পিএসজির তারকা নেইমার জুনিয়র। তাইতো বছর না ঘুরতেই আবার স্পেনে ফিরতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন বিশ্বের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড়।
স্প্যানিশ পত্রিকা মার্কার খবর অনুযায়ী স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদে রোনালদোর সতীর্থ হতে যাচ্ছেন নেইমার।
মার্কা জানিয়েছে, নেইমারকে রিয়ালে ভেড়াতে পরিকল্পনা আঁটছেন রিয়াল মাদ্রিদ কর্মকর্তারা, নেইমারের বাবা, এজেন্ট ও নেইমার নিজেও। নেইমারের বর্তমান ক্লাব পিএসজিও জানে নেইমারের ক্লাব ত্যাগের ইচ্ছার কথা। ২০২২ সাল পর্যন্ত চুক্তির মেয়াদ থাকা সত্ত্বেও পিএসজিতে থাকতে রাজি নন ব্রাজিলের তারকা। কয়েকদিন আগে পিএসজির সভাপতি নাসের আল-খেলাইফির সাথে এ বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন নেইমারের বাবা। নেইমারকেও আলোচনায় বসার আহবান জানানো হয়েছে ক্লাবের পক্ষ থেকে।
২৬ বছর বয়সী নেইমার প্রথম মৌসুম পিএসজিতে কাটিয়েই বুঝে গেছেন ফরাসি লিগ ওয়ান আর স্প্যানিশ লা লিগার পার্থক্য। তাছাড়া ড্রেসিংরুমে সতীর্থদের সাথে সময়টাও খুব একটা জমেনি বিশেষ করে ক্লাবের আরেক তারকা এডিনসন কাভানির সাথে প্রকাশ্যেই বিবাদে জড়িয়ে পড়ে সমালোচনার জন্ম দেন।
গত বছরের ৭ ডিসেম্বর ব্যালন ডি’অর পুরস্কার বিতরণের অনুষ্ঠানে রিয়ালের পরিচালকদের সাথে আলোচনায় স্প্যানিশ জায়ান্ট ক্লাবটিতে যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেন নেইমার। রিয়ালও বেশ জোরেশোরে মাঠে নামছে।
তবে নেইমারের জন্য বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেন পিএসজির মালিক ও কাতারের আমির হামাদ আল থানি। টাকার জন্য নেইমারকে বিক্রয় করার কোনো প্রশ্নই ওঠে না, উপরন্তু এটা সম্মানের ইস্যু হয়ে দাঁড়াবে তার জন্য।
গত বছর নেইমার আর কিলিয়ান এমবাপ্পেকে দলে টেনে সারা বিশ্বের নজর কেড়েছিলো পিএসজি। মাত্র এক বছর পরই তাদের কাউকে বিক্রি করে দিতে যে চাইবে না পিএসজি, তাতে আর সন্দেহ কী?
তবে হিসাব আছে আরও। নেইমারকে কিনতে গেলে আবারও ট্র্যান্সফার ফি’র বিশ্বরেকর্ড গড়তে হবে যেকোন দলকে। সেক্ষেত্রে ২২২ মিলিয়ন ইউরোর নেইমারের জন্য ২৬০-৩০০ মিলিয়ন ইউরো খরচ করতে হবে রিয়ালকে। আর তাহলে আরও কাউকে দলে নিতে চাইলেও হিসাবে ঝামেলায় থাকবে রিয়াল।
আরেকটা বিষয়। রিয়ালে রোনালদো আছেন। ক্লাবের সবচেয়ে বেশি বেতনভোগী ফুটবলারটি নিশ্চয় চাইবেন না তার স্থান নেইমারের দখলে চলে যাক। রোনালদো নিজেই মৌসুম শেষে তার বেতন-ভাতা এবং ৪০ ইউরোর সাইনিং মানি বোনাস নিয়ে ক্লাবের কর্তাদের সাথে আলোচনায় বসবেন।
তবে রিয়ালের তোড়জোড় দেখে বিশ্লেষকদের ধারণা, আগেরবার মিস করলেও এবার আর নেইমারকে নেয়ার সুযোগ কিছুতেই মিস করবে না তারা। প্রয়োজনে গ্যারেথ বেলকে বিক্রি করে দেবে বর্তমান ইউরোপ চ্যাম্পিয়নরা।
আশাশুনি প্রতিনিধি: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুব দলের ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আশাশুনিতে র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।…
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা-২ আসনে এবি পার্টির দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন জি এম সালাউদ্দিন শাকিল (এমএ,…
অনলাইন ডেস্ক : ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনার প্রধান কিছু অংশে সম্মতি জানানোর পর…