শরৎচন্দ্রের পার্বতী রুপে পপি

‘সাদিকা পারভিন পপি’ যিনি শোবিজ ভূবনে পপি নামে পরিচিত। বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় এ গ্লামার নায়িকা তার দীর্ঘ দিনের ক্যারিয়ারে ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করে এসেছেন। সেই ধারাবাহিকতায় এবার আরো এক ভিন্ন চরিত্র নিয়ে দর্শকদের সামনে হাজির হচ্ছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্ত এই নায়িকা।

নির্মাতা আরিফুর জামান আরিফ পরিচালিত ‘কাঠগড়ায় শরৎচন্দ্র’ ছবিতে অভিনয় করছেন তিনি। ছবিটিতে শরৎ চন্দ্রের পার্বতী রুপে পপি দেখা মিলবে গ্লামার নায়িকা পপিকে।

গেল সোমবার থেকে এফডিসিতে ‘কাঠগড়ায় শরৎচন্দ্র’ ছবির শুটিং শুরু হয়। মাল্টিকাসটিং এর এই ছবি নিয়ে বেশ আশাবাদী নায়িকা পপি। বৃহস্পতিবার রাতে শুটিং এর ফাঁকে ছবিটি নিয়ে বিডি২৪লাইভের সাথে কথা হয় পপির। পপি বলেন, ‘পার্বতী আমার স্বপ্নের চরিত্র। এই চরিত্রে কাজ করতে পেরে আমার অনেক দিনের স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে। আমি যে কতো খুশি সে বলে বোঝাতে পারবো না। কাজ করার জন্য আমি গল্প ফলো করছি, চরিত্র নিজের মধ্যে ধারণ করছি।’

পপি ছাড়াও এই ছবিতে দেবদাস চরিত্রে অভিনয় করছেন ফেরদৌস, শরৎ চন্দ্রের চরিত্রে অভিনয় করছেন গাজী রাকায়েত। আরো রয়েছেন আনিসুল হক মিলন, তমা মির্জা, মৌসুমী হামিদ সহ আরো অনেকে।

শরৎ চন্দ্রের চরিত্রে অভিনয় করছেন গাজী রাকায়েত পার্বতী অর্থাৎ পপিকে নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত। তিনি বলেন, ‘পপির সঙ্গে এটাই আমার প্রথম কাজ। আগে কখনও কাজ করা হয়নি। তো শুটিংয়ের প্রথম দিন আমি খানিকটা আগেই এসে উপস্থিত হই। এদিন আমার ও পপির শটের মাধ্যমে ক্যামেরা ওপেন হবার কথা। আমি ভেবেছিলাম পপি হয়তো দেরী করেই আসবেন। কিন্তু না তিনি সঠিক সময়েই শুটিং সেটে এসে উপস্থিত হলেন। পপি পার্বতীর সাজে যখন সেটে এসে হাজির হলেন। তখন মনে হলো আমার কল্পনার সেরা পার্বতী পপি।’

ইভেন্ট প্লাস ও এম আর ফিল্মস এর প্রযোজনায় ‘কাঠগড়ায় শরৎচন্দ্র’ ছবিটির কাহিনী ও সংলাপ রচনা করেছেন হাশিম আখতার মো: করিমদাদ। চিত্রনাট্য করেছেন পরিচালক আরিফ নিজেই।

উল্লেখ্য, ১৯৯৭ সালে মনতাজুর রহমান আকবরের কুলি ছায়াছবিতে অভিনয়ের মধ্যদিয়ে রুপালী পর্দায় অভিষেক হয় পপির। এরপর আর পেছেন ফিরে তাকাতে হয়নি তার। মেঘের কোলে রোদ, কারাগার, গঙ্গাযাত্রা ছায়াছবিতে অভিনয়ের করে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুস্কাররে ভূষিত হয়েছেন এই নায়িকা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
৫০ ধর্ষণ ও ১২ খুনের পর গ্রেফতার ‘গোল্ডেন স্টেট কিলার’

৪০ বছরের বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ক্যালিফোর্নিয়ার ‘গোল্ডেন স্টেট কিলার’কে খুঁজে হয়রান হয়েছে। ডিএনএর সূত্র ধরে সম্প্রতি তাকে খুঁজে বের করা হয়। কেন এত সময় লাগল কুখ্যাত ওই অপরাধীকে খুঁজে বের করতে তার ব্যাখ্যা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কারণ জোসেফ জেমস ডি অ্যাঞ্জেলো নামের সেই ব্যক্তি আগে পুলিশেরই সাবেক কর্মকর্তা ছিলেন! আর তিনি নিজের এলাকাতেই এসব জঘন্য অপরাধ করেছেন। এসব অপরাধের পর কোথাও যাননি। নির্বিকারভাবে পরিবার নিয়ে সেই এলাকাতে ছিলেন তিনি।

এফবিআই তাকে ধরিয়ে দিতে পুরস্কারও ঘোষণা করেছিল। কিন্তু কিছুতেই তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছিল না। মোট ১২টি খুন, ৫০টি ধর্ষণ এবং কয়েক ডজন বাড়িতে লুটপাটের ঘটনায় জড়িত ছিলেন জোসেফ। বুধবার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে ৭২ বছর বয়সী জোসেফকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে।

১৯৭৪ থেকে ১৯৮৬ সালের মধ্যে ক্যালিফোর্নিয়ার অরেঞ্জ কাউন্টি এলাকায় ত্রাস ছড়িয়েছিল জোসেফ। রাতের বেলা বাড়িতে ঢুকে আক্রমণ চালাত সে। পুরুষদের সামনেই মহিলাদের ধর্ষণ করত। কেউ বাধা দিতে গেলে খুন করত। ধর্ষণের পরে লুটপাট চালিয়ে পালাত। ১৩ বছরের কিশোরী থেকে ৪১ বছরের নারী, কাউকেই ছাড়ত না সে। পরপর কয়েক বছর খুন-ধর্ষণ চালাত, তার পর কয়েক বছর চুপ থাকত। এভাবে তিন দফায় তাণ্ডব চালায় জোসেফ। গোয়েন্দারা ভেবেছিলেন, এই সব তিন জন দুষ্কৃতীর কাজ।

১৯৮৬-র পরে এ ধরনের আর ঘটনা ঘটেনি। দুষ্কৃতীও অধরা থেকে যায়। গোয়েন্দাদের দাবি, নিজে পুলিশে চাকরি করতে বলেই এত দিন গা ঢাকা দিয়ে থাকতে পেরেছিল জোসেফ। কয়েক সপ্তাহ আগে গোয়েন্দাদের হাতে কিছু ডিএনএ প্রমাণ আসে, যার সাহায্যে জোসেফকে শেষ পর্যন্ত শনাক্ত করা সম্ভব হয়। স্যাক্রামেন্টোর শহরতলিতে জোসেফের বাড়ি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ব্রাজিলে ড্রোন উড়িয়ে কোটি কোটি মশা ছেড়ে দেয়া হচ্ছে

দূর দূরান্তে ড্রোন উড়িয়ে দেশব্যাপী কোটি কোটি পুরুষ মশা ছেড়ে দিচ্ছে ব্রাজিল। মশা বাহিত রোগ জাইকা ও ডেঙ্গুকে নিয়ন্ত্রণ করতে এই পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটির সরকার।

জানা গেছে, ড্রোন উড়িয়ে কয়েক কোটি বাঁজা মশা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। ব্রাজিলের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে যাচ্ছে সেই মশা। এই পদ্ধতিতে কাজ শুরুর আগে বিস্তর গবেষণা হয়েছে। তারপরেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ব্রাজিলে মশা বাহিত রোগ জাইকার প্রভাবে গুরুতর ক্ষতির মুখে পড়ে ব্রাজিল। ২০১৫-১৬ সালে মহামারি আকার নেয় জাইকা। হাজার হাজার শিশু আক্রান্ত হয় এই রোগে। জাইকা ভাইরাসে আক্রান্ত মায়েরা হাজার হাজার অসুস্থ শিশু জন্ম দিতে থাকেন।

গবেষণাগারে প্রজনন করা এই বাঁজা মশাগুলো এলাকায় ছড়িয়ে দেওয়ার পর এই সমস্যা থেকে রেহাই মিলবে বলে আশা ব্রাজিল সরকার। পুরুষ এডিস মশাগুলোকে ল্যাবরেটরিতেই তৈরি করে এলাকায় ড্রোন দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। তারা নারী মশাদের সঙ্গে মিলিত হবে। কিন্তু জাইকা ডেঙ্গুর মত মরণ রোগ ছড়ানো মেয়ে মশারা ডিম পাড়লেও সেই ডিম নষ্ট হয়ে যাবে। ইউনাইটেড নেশনের ইন্টারন্যাশনাল অটোমিক এনার্জি এজেন্সি এই তথ্য জানিয়েছে।

এক সপ্তাহের মধ্যেই এক মিলিয়ন মশা ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে ব্রাজিলের। তিন মাস ধরে এইভাবে মশা ছড়ানো হচ্ছে। মশা ঠিক যে সময় সবচেয়ে বেশি জন্মায় সেসময়ই জুয়াজেইরো এবং রিসিফির উত্তরপূর্ব শহরগুলোতে ড্রোন উড়িয়ে ছড়িয়ে দেওয়া হবে তাদের।

উই রোবোটিকের সহ-প্রতিষ্ঠাতা অ্যাডাম ক্লাপটোজ জানিয়েছেন, ‘এই প্রথম ড্রোন দিয়ে বিরাট সংখ্যক মশা সফলভাবে ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। আমরা এই পদ্ধতির মাধ্যমে অসংখ্য মশা পরিবেশে ছড়িয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। এটি খুবই কার্যকরী উপায়। এখনও ড্রোনগুলোতে খানিকটা উন্নতি করার দরকার রয়েছে। যাতে প্রতিবারে আরও অনেক বেশি মশা বহন করা যায়।’

বয়ার জানিয়েছেন, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, মন্টেনেগ্রো এবং গ্রিস এই ড্রোনের প্রতি উৎসাহ দেখিয়েছে। তারাও পরীক্ষামূলকভাবে ড্রোন দিয়ে শহরে বাঁজা মশা ছড়াতে চান। যাতে মশা ও পতঙ্গের বংশরোধ করা সম্ভব হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
তালায় আদালতের নির্দেশ অমান্য করে রের্কডিয় সম্পত্তিতে ধান কাটার অভিযোগ

আসাদুজ্জামান: সাতক্ষীরা তালার পল্লীতে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে এক ব্যক্তির রের্কডীয় সম্পত্তি থেকে ধান কেটে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার ভোর রাতে তালা উপজেলার মাগুরা ইউনিয়নের বিষুকাটী গ্রামে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ধান উদ্ধার করে স্থানীয় ইউপি মেম্বারের জিম্মায় রেখেছেন। এ ঘটনায় জমির মালিক মৃত মারফাতুল্যাহ মোড়লের পুত্র বিলাত আলী মোড়ল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এদিকে, বিষয়টি নিয়ে সেখানে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জানাগেছে, মাগুরা মৌজার, ৩২৫ খতিয়ানের সিএস রের্কডীয় মালিক তৎকালিন জমিদার বিজয় কুমার আড্য গংদের নিকট থেকে ১৯৫৫ সালে উপজেলার বালিয়াদহ গ্রামের মৃত পরশউল্যাহ মোড়লের পুত্র মারফাতুল্যাহ মোড়ল ৪ একর ৩ শতক জমি ৩১৯০ নং ভাগরা, কৌলতি কোবলা দলিল মুলে ক্রয় করেন। পরে ১৯৬২ সালে তিনি এসএ রের্কডীয় মালিক হন। মারফাতুল্যাহর মৃত্যুর পর তার স্ত্রী, ৭ ছেলে ও ৫ মেয়ে ওয়ারেশ সুত্রে ওই জমির মালিক হন। পরবর্তীতে মারফাতুল্যাহ মোড়লের পুত্র বিলাত আলী মোড়ল তার মা, চার ভাই ও তিন বোনের নিকট থকে ২০০৮ সালে ৫১৫৬ নং হেবা ঘোষনাপত্র মুলে ২ একর ১ শতক জমি ক্রয় করে। উক্ত জমি ২০১৪ সালে নামপত্তন করে খাজনা পরিশোধ করে শান্তিপুর্ণভাবে ভোগ-দখল করে আসছেন। বিষয়টি নিয়ে সাতক্ষীরা বিজ্ঞ আদালতে একাধিক মামলা চলমান রয়েছে। তার ভোগদখলীয় জমিতে নিছার উদ্দীন মোড়ল গংরা যাহাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারেন সে জন্য তালা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে গত ১৪/১১/১৭ তারিখে বিজ্ঞ আদালত একটি নির্দেশনাও দেন ।
এ ব্যাপারে বিলাত আলী মোড়ল জানান, আমার পিতার মৃত্যুর পর ওয়ারেশ সুত্রে ৪ একর ৩ শতক জমি আমরা শান্তিপুর্ণ ভাবে ভোগ-দখল করে আসছি। কিন্তু বিষুকাটি গ্রামের মৃত মানিক মোড়লের ছেলে নিছার উদ্দিন মোড়ল গংরা জাল কাগজ সৃষ্টি করে উক্ত জমির দাবী করে দখলের পায়তারাসহ বিভিন্ন সময় মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানী ও জীবনাশের হুমকি দিয়ে আসছে। এদের হাত থেকে বাঁচতে তালা থানায় গত ২৭/১০/১৭ তারিখে ১৫/১৫৬ নং একটি মামলা দায়ের করি। বিষয়টি নিয়ে তালা থানায় দফায় দফায় বসাবসি হলেও প্রতিপক্ষ নিছার উদ্দীন গংরা সঠিক কোন কাগজ-পত্র দেখাতে পারেননি। এক পর্যায়ে বৃহস্পতিবার ভোর রাতে নাশকতা মামলার এজাহার নামীয় আসামীদের নিয়ে নিছার উদ্দীন গংরা আমার জমির ধান কেটে নিয়ে যায়। তিনি আরো জানান, আমি তালা থানা পুলিশের সহযোগীতায় ধান উদ্ধার করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। তিনি এ সময় উদ্বর্তন কর্তৃপক্ষের নিকট সু-বিচারের জোর দাবী জানান।
তবে, এ ব্যাপারে প্রতিপক্ষ বিষুকাটি গ্রামের নিছার উদ্দীন মোড়ল জানান, আমার দাদী পাচী বিবির ওয়ারেশ সুত্রে প্রাপ্ত হয়ে আমরা দীর্ঘদিন যাবত এই সম্পত্তি ভোগ-দখল করে আসছি।
এ বিষয়ে তালা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান হাফিজুর রহমান জানান, ঘটনাটি শুনার সাথে সাথেই পুলিশ পাঠিয়ে ধান গুলো উদ্ধার করে স্থানীয় উপি মেম্বরের জিম্মায় রাখা হয়েছে। তিনি আরো জানান, সেখানে যাতে কোন বিশৃখংলা না ঘটে সেজন্য উভয় পক্ষকে থানায় ডাকা হয়েছে। থানায় বসে বিষয়টি মীমাংশা করার চেষ্টা চলছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ভারতীয় নারীদের প্রতীক ঐশ্বরিয়া

আন্তর্জাতিক সৌন্দর্য প্রতিযোগিতাগুলি সব ‘প্রহসন’। কোন সালে কে সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার শিরোপা জিতবেন, তা আগে থেকেই ঠিক করে রাখা হয়। পূর্ব নির্ধারিত সবকিছু মেনেই বিশ্ব সুন্দরীর মুকুট কারও মাথায় পরিয়ে দেওয়া হয়। না হলে, ডায়না হেডেন কখনও বিশ্ব সুন্দরীর মুকুট জিততে পারেন? আন্তর্জাতিক সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা নিয়ে এবার এমনই মন্তব্য করলেন ভারতের ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব।

তিনি বলেন, পর পর ৫ বছর বিশ্ব সুন্দরীর শিরোপা জিতেছে ভারত। ভারতের মেয়েদের মাথায় উঠেছে সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার শিরোপার মুকুট। সেখানে নাম রয়েছে ডায়না হেডেন-এরও। কিন্তু, ডায়না হেডেন কি বিশ্ব সুন্দরী হওয়ার উপযুক্ত? এমন প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েই এবার নতুন করে বিতর্কে জড়িয়েছেন বিপ্লব দেব। প্রসঙ্গত, ১৯৯৭ সালে বিশ্ব সুন্দরী হন ডায়না।

শুধু ডায়নাকে একহাত নিয়েই চুপ থাকেননি বিপ্লব। ডায়নার সঙ্গে তুলনা করে ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন-কেও ময়দানে টেনে আনেন। তিনি বলেন, ১৯৯৪ সালে বিশ্ব সুন্দরীর খেতাব জয় করেন ঐশ্বরিয়া। আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতীয় নারীদের তুলে ধরেছেন রাই। তিনি বিশ্ব সুন্দরী হওয়ার যোগ্য বলেও মন্তব্য করেন বিপ্লব।

শুধু তাই নয়, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, পুরনো দিনে ভারতীয় নারীরা কখনও কসমেটিকস ব্যবহার করতেন না। চুল ধোয়ার জন্য ভারতীয় নারীরা শ্যাম্পু নয়, মেথির পানি ব্যবহার করতেন। গোসল করতেন মাটি দিয়ে। কিন্তু, যাঁরা আন্তর্জাতিক সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন, তাঁরা এক একজন ‘কসমেটিকস মাফিয়া’। ভারতীয় বাজারে নিজেদের ব্যবসা প্রসারিত করতেই তারা ওই পন্থা নিচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন বিপ্লব দেব।

বিপ্লবের কথায়, ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন বিশ্ব সুন্দরীর খেতাব জয় করেছেন, ঠিক আছে। কারণ বিশ্বের সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার মঞ্চে তিনি ভারতীয় নারীদের তুলে ধরেছেন। কিন্তু, ডায়না হেডেনের কী সৌন্দর্য রয়েছে বলেও প্রশ্ন তোলেন তিনি। ডায়না হেডেনের বিশ্ব সুন্দরীর খেতাব জয় ‘প্রহসন’ ছাড়া অন্য কিছু নয় বলেও মন্তব্য করেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় ৮৫০ পিস ইয়াবাসহ আটক ৪

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৮৫০ পিস ইয়াবাসহ ৪ জনকে ইয়াবা ব্যবসায়ীকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি। শুক্রবার ভোররাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শহরের মধ্য কাটিয়া,আমতলা,মাষ্টারপাড়া,সহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৪ জন কে আটক করেছে জেলা গয়েন্দা পুলিশের একটি দল। এসময় তাদের কাছ থেকে ৮৫০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয় আটকৃতরা হলেন সাতক্ষীরা কাটিয় মষ্টার পাড়া শেখ আব্দুল আজিজের ছেলে শেখ ফারুক ইসলাম (৩২),মুনজিতপুর গ্রামের নুরুল আমিনের ছেলে সুজন হোসে(২৬),ঘুটিরডাঙ্গী গ্রামের মুজিবর রহমানের ছেলে তৈৗহিদুল ইসলাম (২৮),মধ্যকাটিয়া গ্রামের শেখ আজাহারুল ইসলামের ছেলে মুনজুরুল ইসলাম (৩৪)কে আটক করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশেরএকটি দল।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশ পরিদর্শক মো: শাহারিয়ার হাসানের নেতৃত্বে এসআই মনজুরুল হাসান,এসআই মিজানুর রহমান,এএসআই রাজু ও এএসআই জিয়াকে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করেন গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো: শাহারিয়ার হাসান জানান আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাতক্ষীরা শহরের শহরের মধ্য কাটিয়া,আমতলা,মাষ্টারপাড়া,সহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৪ জনকে ৮৫০ ইয়াবা সহ পিস আটক করতে সক্ষম হয় তিনি আরও জানান এরা দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যাবসার সাথে জড়িত রয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কলকাতার মরা পশুর পচা-গলা মাংস আসত বাংলাদেশেও

কলকাতা ও আশপাশের ভাগাড় থেকে সংগৃহীত মরা পশুর মাংস শুধু সেখানকার শহরতলির রেস্তোরাঁ, হোটেল বা ডিপার্টমেন্টাল স্টোরেই নয়, সীমান্ত পেরিয়ে তা পৌঁছে যেত বাংলাদেশ, নেপালেও। এই চক্রের মূল হোতা সানি মালিককে জেরা করেই উঠে এসেছে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য।

বৃহস্পতিবারই সানিসহ ছয় অভিযুক্তকে আটক করা হয়। এরপর রাতভর অভিযুক্তদের জেরা করা হয়। তাতেই মরা পশুর মাংসের ব্যবসার সঙ্গে আন্তর্জাতিক চক্রের যোগের বিষয়টি জানতে পারে পুলিশ।

মরা পশুর মাংস রাসায়নিক সমেত হিমঘরে রাখার পর সেই মাংস প্যাকেটজাত করে বাজারের তুলনায় অনেক কম দামে বিভিন্ন দেশে রফতানি করা হতো। কিন্তু প্রক্রিয়াকরণ ও প্যাকেটজাত করার ফলে বিদেশের আমদানীকারকদের পক্ষে জানা সম্ভব ছিল না যে এই মাংস মরা পশুর। পুলিশি জেরায় অভিযুক্তরা কার্যত পুরো ঘটনাটিই স্বীকার করে নিয়েছে।

ভাগাড়ের মাংসের সবচেয়ে বড় মার্কেট ফ্রোজেন মিট। যে কোন ডিপার্টমেন্ট স্টোরে দেদার বিকোয় প্যাকেটজাত মিট বল বা সসেজ। নামী দামী সংস্থার মিট বল বা সসেজের নকল মোড়কে ঢুকছে ভাগাড়ের মাংস। সাধারণ মিট বল বা সসেজের চেয়ে বিশ শতাংশ কমে মিলছে ভাগাড়ের মাংসের এই পণ্য। পুলিশের দাবি, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য ছাড়িয়ে বাংলাদেশ বা নেপালের মতো দেশেও ছড়িয়ে পড়েছে পচা-গলা মাংসের বিশাল ব্যবসা।

কলকাতা ও শহরতলির বিভিন্ন ভাগাড়ের দায়িত্বে থাকে একজন তথ্য প্রদানকারী। ভাগাড়ে পশুর লাশ পড়লেই সক্রিয় হয়ে যেত চক্রের সদস্যরা। খবর পৌঁছে যেতো প্রধান জায়গায়। ভাগাড়ের কাছে হাজির হয়ে যেতো গাড়ি। গাড়ির মধ্যেই থাকতো রেফ্রিজারেটর। হিমঘরে লাশ পৌঁছোনোর পর শুরু হয় প্রক্রিয়াকরণ পর্ব। প্রথমে পশুর লাশ থেকে মাংস ও চর্বিকে আলাদা করে ফেলা হয়। চর্বি ছাড়ার বাকী মাংসে মেশানো হয় সাদা রঙের রাসায়নিক। লাশ সংরক্ষণের জন্য ইঞ্জেকশনও ব্যবহার করা হয়। পরে রাসায়নিক মেশানো পচা মাংসকে ৪-৫ দিন ধরে মাইনাস ৪৪ ডিগ্রি তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা হয়। এরপর সেই প্রসেসড মাংসের সাথে ভাল মাংস মিশিয়ে তা ছোট ছোট প্যাকেটজাত করা হতো। এরপর দালালদের হাত ধরে সেই মাংস পৌঁছে যায় এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীদের কাছে। পচা মাংসকেই প্রকিয়াকরণের মাধ্যমে বানানো হয় বিভিন্ন মুখরোচক খাবার। এরপর তা কখনও নামী ব্র্যান্ডের নকল মোড়কে মুড়িয়ে ফেলা হতো। কোনসময় অনামী কোন সংস্থার মোড়কেও তা প্যাকেটজাত করা হয়। এরপরই সেই প্রক্রিয়াজাত মাংসই একদিকে চলে যেতো কলকাতার বিভিন্ন হোটেল, রেস্তোরাঁ, ছোট ছোট ডিপার্টমেন্টাল স্টোরগুলিতে। অন্যদিকে তা চলে যেতো বাংলাদেশ, নেপালসহ বিভিন্ন দেশেও।

উল্লেখ্য গত ১৯ এপ্রিল মরা পশুর মাংস বাজারে সরবরাহের অভিযোগটি প্রথম আসে। ওই ঘটনায় দুই জনকে আটক করার পরই এই চক্রের হদিশ পায় পুলিশ। এরপর অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার কলকাতার নারকেলডাঙ্গা এলাকায় হিন্দুস্থান আইস এন্ড কোল্ড স্টোর (হিমঘর)-এর সন্ধান পায়। সেখানে অভিযান চালিয়ে প্রায় বিশ টন ওজনের এক হাজারটি প্যাকেটজাত মাংস উদ্ধার করা হয়েছে-যার সবটাই মরা পশুর মাংস। মাংস উদ্ধারের পর ওই হিমঘরটিকে সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ওই মাংস পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে ল্যাবরেটরিতে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দুই কোরিয়ার ঐতিহাসিক শীর্ষ বৈঠক

কোরিয়া যুদ্ধের পর উত্তর কোরিয়ার প্রথম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শুক্রবার ‘মিলিটারি ডিমার্কেশন লাইন’ অতিক্রম করে দক্ষিণের মাটিতে পা ফেললেন কিম জং উন। দুই কোরিয়ার সীমান্তবর্তী পান মুঞ্জাম গ্রামে উত্তর কোরিয়ার প্রতিনিধি দলকে স্বাগত জানান দক্ষিণের প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইন।

এরপর শুরু হয় সেই ঐতিহাসিক বৈঠক।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest