মায়ের সঙ্গে ঝগড়া, একা অস্ট্রেলিয়া থেকে ইন্দোনেশিয়ায় ১২ বছরের শিশু!

অনলাইন ডেস্ক: মাত্র ১২ বছর বয়স তার। অস্ট্রেলিয়া থেকে চলে এসেছেন ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপে। সেখানে একটি রিসোর্টে ৪ দিন কাটিয়েও দেয় শিশুটি। সে তার বাবা-মায়ের ক্রেডিট কার্ড চুরি করেই এই অভিযানে বেরিয়ে পড়ে।
আসলে মায়ের সঙ্গে একটু রাগারাগি হয় তার। হয়তো মা বকুনি দিয়েছিলেন। এ কারণেই সে ক্রেডিট কার্ডটি হস্তগত করে। তারপর প্রথমেই পার্থ থেকে জেটস্টার এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে চেপে বালিতে চলে আসে। এসব তথ্য জানায় চ্যানেল নাইন।
তার মা এমা জানান, আমি তাকে একটা বিষয়ে ‘না’ করেছিলাম। এতেই সে রেগে যায়। এরপর তাকে পেলাম ইন্দোনেশিয়ায়।
কিন্তু মা নাখোশ হয়েছেন এই কারণে যে, এত ছোট একটা বাচ্চা বিমানের টিকেট চাইলো আর তা দিয়ে দেওয়া হলো। অর্থাৎ, আমাদের সিস্টেমেই সমস্যা রয়েছে। আসলে কম বয়সীদের কাছে বিমানের টিকেট বিক্রির ক্ষেত্রে আমাদের আরো সাবধান হওয়া উচিত। খুব সহজেই এত ছোট বাচ্চার হাতে টিকেট তুলে দেওয়া হলো।
তারা স্বপরিবারে এক ছুটিতে বালিতে এসেছিলেন। তাই বাচ্চাটির পক্ষে ফ্লাইট বুকিং দেওয়া এবং এখানে পৌঁছানো সহজ হয়েছে। এর আগেও নাকি সে একাই ফ্লাইট বুকিং দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু মায়ের চিঠি না থাকায় তাকে টিকেট দেওয়া হয়নি।
এদিকে খুঁজে পাওয়া গেছে বাচ্চাটিকে। সে জানিয়েছে, একটা রোমাঞ্চকর অভিযানের জন্যেই সে বেরিয়ে পড়ে। কিন্তু এবার এয়ারলাইন্সে এক কর্মকর্তা তাকে জানায় যে টিকেট কাটতে তার মায়ের চিঠির প্রয়োজন হবে না।
বালির একটি হোটেলে চার দিন ছিল সে। সেখানে একটি স্কুটারও ভাড়া করে সে। বিয়ার পান করে এবং সুইমিং পুলে গোসল করে।
চ্যানেল নাইন জানায়, এই অভিযানে তার বাবা-মায়ের ক্রেডিট কার্ড থেকে ৬ হাজার ১০০ মার্কিন ডলার নাই হয়ে গেছে।
বাচ্চাকে না পাওয়ার পরই পুলিশের শরণাপন্ন হয় বাবা-মা। পুলিশ জানায়, আসলে তার ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল বন্ধের ক্ষেত্রে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি। আবার তার পাসপোর্ট জব্দের ক্ষেত্রেও কোনো ক্ষমতা তাদের নেই, যদি না তার মালিক কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে।
তবে এ ধরনের ঘটনা যেন ভবিষ্যতে না ঘটে তার জন্যে গোটা সিস্টেমের ফাঁকগুলো খুঁজে বের করবে কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনার পর থেকেই জেটস্টার এই নিয়ম চালু করে দিয়েছে যে, শিশুদের একা ভ্রমণের ক্ষেত্রে অবশ্যই অভিভাবকের অনুমতিপত্র লাগবে। সাধারণভাবে অস্ট্রেলিয়ান এয়ারলাইন্স ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের এক ভ্রমণের অনুমতকি দেয় না।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাংবাদিক তোষিকে কাইফু’র বিরুদ্ধে অপপ্রচারে শ্রীউলায় প্রতিবাদের ঝড়

মোস্তাফিজুর রহমান: আশাশুনির শ্রীউলায় সাংবাদিক তোষিকে কাইফু’র বিরুদ্ধে মৎস্য ঘের জবর দখলের মিথ্যা অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করায় এলাকায় প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। সরজমিন ঘুরে দেখাগেছে আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়নের কলিমাখালী গ্রামের লাঙ্গলদাড়িয়া মৌজায় এমপি ডাঃ রুহুল হক এর এ্যাম্বাসিডর ও দৈনিক ভোরের পাতার নিজস্ব প্রতিনিধি তোষিকে কাইফু সহ এলাকাবাসী লাঙ্গলদাড়িয়া এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে শান্তিপূর্ণভাবে মৎস্য ঘের পরিচালনা করে আসছেন। মৎস্য ঘেরে নদীর পানি সরবরাহের জন্য এলাকাবাসী সকল মৎস্য ঘের মালিকের জমির (ঘের) পাশ দিয়ে জোয়ারের পানি উঠা নামার জন্য একটি আউট ড্রেন নির্মান করেছে। যার একটি অংশের ড্রেন একই এলাকার মৃত বাবর আলী মেল্যার স্ত্রী স্বরুপজান বিবি’র (অভিযোগকারী) মৎস্য ঘেরের পাশ দিয়ে নেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, আউট ড্রেনের শুরুর দিকে তোষিকে কাইফুদের জমির উপর দিয়ে একটি বড় অংশ দীর্ঘ ১৬ বছর থেকে বর্তমানে ঐ এলাকার মৎস্য ঘেরে পানি উঠা নামার আউট ড্রেন হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এতে কারও কোন আপত্তি ছিলনা। বিগত ১বছর পূর্বে তোষিকে কাইফু’র পরোপকারে ঈর্ষান্বিত হয়ে স্থানীয় জামাত শিবিরের নেতাদের ইন্দনে স্বরুপজান বিবি এ আউট ড্রেনে বাঁধা সৃষ্টি করেন। পরবর্তীতে আশাশুনি থানা পুলিশ ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা শাকিল, আনুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর আলম লিটনসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থেকে আউট ড্রেনটির সমস্যা সমাধান করেন। সেখান থেকেই সব ঘের মালিকরা সেভাবেই পানি পাচ্ছিলো এবং সব কিছু ঠিকঠাক চলছিলো। সম্প্রতি উপজেলার শ্রীউলায় যুব সমাজ ধ্বংসকারী জুয়া ও ফড়ের আসর বন্ধ করাকে কেন্দ্র জুয়াড়ী ও বোর্ড মালিকদের ইন্দনে আবারও আউট ড্রেনটি নিয়ে সমস্যা সৃষ্টি করতে শুরু করেন স্বরুপজান বিবি। প্রকাশিত সংবাদ সম্মেলনে স্বরুপজান বিবি সাংবাদিক তোষিকে কাইফুকে জামাত শিবিরের নেতা বললেও এ প্রতিবেদকের কাছে কথাটি অস্বীকার করে বলেন আমিতো এসকল কথা বলিনি। এদিকে এলাকায় সাংবাদিক তোষিকে কাইফু’র বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করায় ছোট-বড় সকলের মাঝে প্রতিবাদের ঝড় উঠতে দেখা গেছে। জানাগেছে ইতিপূর্বে স্বরুপজান বিবি’র পুত্র ইজ্জত আলী মাছ চুরির সময় জনগনের হাতে ধরা পড়লে তাকে পুলিশে হস্তান্তর করা হয়। পরবর্তীতে ইজ্জত আলী কোটে পুলিশের বিরুদ্ধেই মামলা দায়ের করে। অভিযোগের বিষয়টি জানতে চাইলে আউট ড্রেন সমাধানের সময় উপস্থিত থাকা আনুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর আলম লিটন বলেন, তোষিকে কাইফু বর্তমান সরকার এবং আলহাজ্ব ডাঃ আ ফ ম রুহুল হক (এমপি) এর বিভিন্ন উন্নয়নের ব্যপক প্রচার করে থাকেন। সরকারের এই প্রচার-প্রসারকে বাঁধাগ্রস্থ করতে তোষিকে কাইফু’র বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে তাকে হয়রানী করা হচ্ছে। অভিযোগের বিষয়ে তোষিকে কাইফু সম্পূর্ণ নির্দোষ। জানতে চাইলে শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা শাকিল জানান, এ বিষয়টি আমার ইউনিয়নে গ্রাম আদালতের মাধ্যমে সমাধান করা হয়েছিলো। আমরা কয়েকজন বিচারক, পরিষদের দুইজন ইউপি সদস্য ও দুইজন গ্রাম পুলিশকে পাঠিয়ে জনস্বার্থে ড্রেনটি পূর্বের ন্যায় তৈরীর করার জন্য বলা হয়। এখান থেকে ১বছর পূর্বে দীর্ঘ ১৫/১৬বছরের ন্যায় ড্রেনটি অব্যহত রাখা হয় এবং সেভাবেই শান্তিপূর্ণ ভাবে প্রতিটি মৎস্য ঘেরে পানি নিষ্কাশন হয়ে আসছিলো। অভিযোগের বিষয়ে তোষিকে কাইফু নির্দোষ। তিনি আরও বলেন স্বরুপজানের পুত্র ইজ্জত আলী এলাকার চিহ্নিত মাছ চোর। চুরি করার জন্য সে তাদের এ ঘেরকে ব্যবহার করেন। তার চুরির কাজে বাঁধা দেওয়ায় তার বৃদ্ধ মা, প্রতিবন্ধি বোন, পুত্র ও পুত্রবধুকে ব্যবহার করে মানুষকে বিপদে ফেলেন। এব্যাপারে আশাশুনি থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন প্রকাশিত সংবাদে প্রশাসনের কথা লেখা হয়েছে। প্রকৃত পক্ষে এ ব্যাপারে আশাশুনি থানা পুলিশ তাদেরকে কখনোই গ্রেফতার করেনি। শুনেছি বিষয়টির সমাধানে আশাশুনি থানা পুলিশের ভুমিকা ছিলো। তবে বর্তমানে বিষয়টি আমার নলেজে আছে। এখানে তোষিকে কাইফু কর্তৃক অন্যের ঘের দখল করার অভিযোগটি ভিত্তিহীন। সেখান থেকে একটি ড্রেনেজ ব্যবস্থা করা হয়েছিলো বলে আমি জানি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আটা এবং ময়দা, কোনটা কেমন জেনে নিন

আমাদের দেশে প্রতিদিন সকালের নাস্তায় রুটি বেশ জনপ্রিয়। কিন্তু স্বাস্থ্যসচেতন মানুষরা প্রায়ই একটা বিষয়ে দুশ্চিন্তা করেন। ভালো আটা কোনটা? স্রেফ গম ভাঙানো আটা ভালো, নাকি পরিশোধিত আটা ভালো? আসলে পরিশোধিক আটাকে আমরা ময়দা বলি। এখানে এদের সম্পর্কে কিছু তথ্য তুলে ধরেছেন বিশেষজ্ঞরা।

প্রস্তুতপ্রণালী 
আটা এবং ময়দা বানানোর প্রক্রিয়া আসলে ভিন্ন। গম পিষে তৈরি করা হয় আদা। এতে গমের বীজের সঙ্গে তার খোসাও পিষে ফেলা হয়। এ কারণে আদার রং অনেকটা বাদামী হয়। কিন্তু ময়দা বানাতে আটাকে পরিশোধিত করা হয়। আলাদা করা হয় খোসা। এ কাজটি কয়েক দফা করলেই ময়দা মেলে। এ কারণে ময়দার রং ধবধবে সাদা হয়।

আটাই বেশি স্বাস্থ্যকর 
ময়দার চেয়ে আটাকে বেশি স্বাস্থ্যকর বলে মনে করা হয়। কারণ আটায় প্রচুর ফাইবার থাকে যা ভক্ষণযোগ্য। এতে ভিটামিন এবং খনিজও থাকে বেশি। কিন্তু ময়দায় তেমন কিছু থাকে না। এতে অবশ্য ক্যালোরিও থাকে না।

রাসায়নিক ব্লিচ
ময়দাকে ‘অল পারপাসস ফ্লাওয়ার’ বলা হয়। এর সুন্দর শুভ্র চেহারা ও মসৃণতা আনার জন্যে রাসায়নিক উপাদান দিয়ে ব্লিচ করা হয়। কিন্তু আটায় এসব প্রক্রিয়া প্রয়োগ করা হয় না। ফলে তা থাকে অনেক বেশি সাস্থ্যকর এবং উপাদেয়।

পুষ্টি উপাদান 
আটায় অনেক ধরনের পুষ্টি উপাদান মেলে। এতে আছে ফোলেট, রিবোফ্লাভিন এবং ভিটাইম বি১, বি৩ এবং বি৫। এদিক থেকে অনেক পিছিয়ে আছে ময়দা। পরিশোধন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আসলে আটা থেকে প্রায় সব পুষ্টি উপাদান বেরিয়ে যায়।

ফাইবার 
সাদা ময়দার চেয়ে আটায় অনেক বেশি ফাইবার থাকে। ফাইবারসমৃদ্ধ খাবারে অনেক উপকার। কোষ্ঠকাঠিন্য কমে, রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় এবং ওজন হ্রাস করে।

অন্যান্য উপাদান 
আটায় তাকে অ্যামাইনো এসিড এবং অ্যান্টঅক্সিডেন্ট। এগুলো দেহের কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনায় সহায়তা করে। উদ্বেগ, ঘুম না আসা, মাথাব্যথা এবং বিষণ্নতা সারাতে এই উপাদানগুলো বেশ কাজ করে।

গ্লাইসেমিক ইনডেক্স 
পরিশোধিত আটা বা ময়দা গ্লাইসেমিকক ইনডেক্সে আটার অনেক ওপরে অবস্থান করে। এই ইনডেক্সে যারা ওপরে অবস্থান করে সে সব খাবার রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এতে ইনসুলিন উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হয় এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে।

ভিন্ন ব্যবহার 
সাধারণ ময়দা ব্যবহৃত হয় কেক, কুকি, পাস্তা, নুডলস, মাফিন এবং নানরুটি বানাতে। আর রুটি, পুরি এবং ডেজার্ট বানাতে লাগে আটা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
এলাকার উন্নয়নে ভূমিকা রেখে জনপ্রিয় উপজেলা চেয়ারম্যান বাবু

নিজস্ব প্রতিবেদক: অনেক বাধা বিপত্তি পেরিয়ে সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল গফফার স্মৃতি ফুটবল মাঠের দৃষ্টি নন্দন গেট নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ। গেটের পাশাপাশি নির্মাণ করা হয়েছে একটি সুদর্শন স্টেজও। সাতক্ষীরা শহরের গাঁ ঘেষে মাছখোলা ও শাল্যে এলাকাটি অবস্থিত হলেও সেটি ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের আওতায়। একেবারে শহরের গাঁ ঘেষা হলেও দীর্ঘদিন শাল্যে এলাকা অবহেলিত ছিলো। এমনটিই দাবি করেন শাল্যে-মাছখোলা এলাকার স্থায়ী বাসিন্দাদের।
তারা বলেন, সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল গফফার ব্রহ্মরাজপুর ইউপির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর শাল্যে এলাকার উন্নয়নের ছোঁয়া লাগতে শুরু করে। রাস্তা-ঘাট, স্কুল, মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার ক্ষেত্রে তার অবদান অনস্বীকার্য। সেই মহান মানুষটিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য শাল্যে এলাকায় আব্দুল গফফার স্মৃতি ফুটবল মাঠ নামে একটি খেলার মাঠের নাম করণ করেন তার পুত্র সাতক্ষীরা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু। পরবর্তীতে সদর উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ৫ লক্ষ টাকার একটি প্রকল্পের মাধ্যমে একটি দৃষ্টি নন্দন গেট ও একটি স্টেজ নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ হয়েছে।
শাল্যে এলাকার ভ্যান চালক আবুল হোসেন, গোলাম রসুলসহ অনেকে বলেন, গফফার চেয়ারম্যান এই এলাকার উন্নয়ন করেছিলো। তার মৃত্যুর পর এখানো কোন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। তার ছেলে আসাদুজ্জামান বাবু সদর উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর শাল্যে এলাকায় উন্নয়নের ছোয়া লেগেছে। হয়েছে আধুনিকায়ন। শাল্যে এলাকা বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হয়েছে। রাস্তাঘাটের উন্নয়ন হয়েছে। স্কুল, মাদ্রাসা, খেলার মাঠসহ বহু উন্নয়নের সাথে তার সম্পৃক্ততা রয়েছে।
তারা বলেন, বাবু ছাড়া এই এলাকা কোন নেতা নেই। আর যারা আছেন সবাই নিজের আখের গোছাতে ব্যস্ত। বাবু শুধু স্কুল, মাদ্রাসা, বিদ্যুতের উন্নয়ন করেনি। তিনি শাল্যে এলাকার সরকারি খাস জমিগুলো এ অঞ্চলের ভূমিহীন অসহায় ব্যক্তিদের মাথাগোজার ঠাঁই করে দিয়েছেন। শুধু বসবাসের স্থানই না তাদের বসবাসের জন্য নিজের অর্থ দিয়ে বাড়ি ঘর নির্মাণ এবং ৪টি বাড়ি প্রতি একটি করে পুকুর এবং মসজিদ করে দিয়েছেন। যা শাল্যে কেন জেলার কোন নেতা করেছেন কি না আমাদের জানা নেই। আর তিনি প্রকল্পের অর্থ লুটপাট করবেন এটি হতে পারে না। প্রকৃতপক্ষে এযাবতকাল অত্র অঞ্চলের কতিপয় ভূমিদস্যুরা সরকারী খাস জমি অবৈধভাবে দখল করে মৎস্য চাষ, ইটভাটা পরিচালনা করে আসছিলো। কিন্তু বাবু তাদের অবৈধ দখল বন্ধ করে গরিব মানুষদের মাথা গোজার ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন। যা তাদের সহ্য হচ্ছে না। তারা আরো বলেন, তার তো পেট ভরা। তাদের তো অভাব নেই। তাহলে কেন লুটপাট করবেন। এ ধরনের অপপ্রচারের নিন্দা জানিয়ে তারা বলেন, পিতার নামে গেট ও স্টেজ নির্মাণ করায় এলাকার কতিপয় দুস্কৃতিকারীরা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু’র বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার অব্যাহত রেখেছে। অথচ, উক্ত প্রকল্পের টাকা এখনো উত্তোলনই করা হয়নি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেবহাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে গাজা ব্যবসায়ীর সাজা

কে.এম রেজাউল করিম, দেবহাটা ব্যুরো ॥ দেবহাটায় ইউএনওর ভ্রাম্যমাণ আদালতে গাজা ব্যবসায়ীর ১ মাসের সাজা প্রদান করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ-আল আসাদ এই সাজা প্রদান করেন। সাজাপ্রাপ্ত গাজা ব্যবসায়ীর নাম আসাদুল ইসলাম (২২)। সে দেবহাটা উপজেলার উত্তর পারুলিয়া গ্রামের আফছার আলীর ছেলে বলে জানা গেছে। দেবহাটা থানার এসআই রাজিব কুমার ও এএসআই আমজাদ হোসেন মঙ্গলবার ভোররাতে ১ শত গাজা সহ আসাদুলকে আটক করেন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ-আল আসাদ আসাদুলকে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। একই সময় অপর ২ আসামীকেও ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে সাজা প্রদান করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেবহাটায় কাল বৈশাখীর তান্ডবে ঘরবাড়ি ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

কে.এম রেজাউল করিম, দেবহাটা ব্যুরো: দেবহাটায় কাল বৈশাখীর তান্ডবে বহু ঘরবাড়ি ভেঙ্গে গেছে। গাছপালা ভেঙ্গে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন আর ক্ষতি হয়েছে অনেক ফসলী জমির ধান ও আমের। সোমবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে আকষ্মিকভাবে এই ঝড়ের তান্ডবে অনেক মানুষের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। দেবহাটার সুশীরগাতী গ্রামের আম ব্যবসায়ী শিবলু জানান, তিনি প্রতিবছর আমের বাগান কিনে ব্যবসা করেন। তার কামটা, দেবহাটা, সুশীলগাতী ও টাউনশ্রীপুর সহ বিভিন্ন এলাকায় আমের বাগান কেনা আছে। সোমবারের ঝড়ে তার কামটা এলাকার আম বাগানের আম গাছের কয়েকটি ডাল ভেঙ্গে গেছে। এতে তার অনেক আম নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়া সকল এলাকায় আম গাছের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সব মিলিয়ে তার আনুমানিক ৫০ হাজার টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে। শিবলু জানান, শুধু তিনি না, এলাকার সকল আম ব্যবসায়ীদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। দেবহাটা সদরের আম ব্যবসায়ী ঝন্টু কুমারও একই কথা জানিয়ে বলেন, তারও ব্যাপক আমের ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া উপজেলার বোরো ধানের অনেক ক্ষতির চিত্র দেখা গেছে। যারা ধান কেটে জমিতে রেখেছিল তাদের ধান পানির নিচে। এছাড়া যারা ধান কাটেনি তাদেরও ঝড়ে ধানের অনেক ক্ষতি হয়েছে। সোমবারের ঝড়ের তান্ডবে গাছ পড়ে এবং বাতাসের কারনে অনেক মানুষের গৃহের ঘরের চাল উড়ে গেছে আবার অনেক ঘর ভেঙ্গে গেছে। গাছ পড়ার কারনে সোমবার রাত ৮ টার পর থেকে মঙ্গলবার বিকাল ৫ টা এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিদ্যুতের দেখা মেলেনি। তবে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যথা দ্রুত সম্ভব তারা বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সরকারি চাকরিজীবীরা ৫% সুদে ৭৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাচ্ছেন

সরকারি চাকরিজীবীরা মাত্র ৫ শতাংশ সরল সুদে ৭৫ লাখ টাকা পর্যন্ত গৃহনির্মাণ ঋণ পাবেন। উপসচিব থেকে সচিব পদমর্যাদা বা জাতীয় বেতন স্কেলের পঞ্চম থেকে প্রথম গ্রেডভুক্ত কর্মকর্তারা ২০ বছর মেয়াদি এই ঋণ নিয়ে বাড়ি নির্মাণ কিংবা ফ্ল্যাট কিনতে পারবেন। তবে সর্বনিম্ন ১৮ থেকে ২০তম গ্রেডের কর্মচারীরা ঢাকাসহ সব সিটি করপোরেশন ও বিভাগীয় সদরে ৩৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ সুবিধা পাবেন। চাকরি স্থায়ী হওয়ার পাঁচ বছর পর থেকে সরকারি চাকরিজীবীরা এই ঋণ নিতে পারবেন। সর্বোচ্চ ৫৮ বছর বয়স পর্যন্ত এই ঋণ নেওয়া যাবে।

১০ শতাংশ সরল সুদে রাষ্ট্রায়ত্ত যেকোনো ব্যাংক ও বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফিন্যান্স করপোরেশন থেকে এই ঋণ নেওয়া যাবে। এই ১০ শতাংশ সুদের মধ্যে ৫ শতাংশ সুদ পরিশোধ করবে সরকার। বাকি ৫ শতাংশ সুদ পরিশোধ করবেন ঋণগ্রহীতা চাকরিজীবী। নতুন এই ঋণ সুবিধা ২০১৮-১৯ অর্থবছর (আগামী ১ জুলাই) থেকে কার্যকর হবে।

এসব বিধান রেখে ‘সরকারি কর্মচারীদের জন্য ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে গৃহনির্মাণ ঋণ প্রদান সংক্রান্ত নীতিমালা, ২০১৮’-এর খসড়া তৈরি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। অর্থসচিব মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার এক আন্ত মন্ত্রণালয় সভায় খসড়াটি চূড়ান্ত করা হতে পারে।

সরকারি কর্মচারীদের গৃহ নির্মাণে ঋণের মাধ্যমে অর্থের জোগান দিতে এই নীতিমালা করা হলেও সরকারের আওতাধীন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদপ্তর, পরিদপ্তর ও কার্যালয়গুলোতে স্থায়ী পদের বিপরীতে নিয়োগপ্রাপ্ত বেসামরিক কর্মচারীরাও এ সুবিধা পাবেন। সামরিক, রাষ্ট্রায়ত্ত ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কম্পানি, পৃথক বা বিশেষ আইন দ্বারা সৃষ্ট প্রতিষ্ঠানে নিযুক্ত কর্মচারীরা এ নীতিমালার আওতাভুক্ত হবেন না। তবে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ব্যাংক থেকে এ ধরনের গৃহনির্মাণ ঋণ সুবিধা পেয়ে থাকেন।

এ হিসাবে সরকারের প্রায় ১২ লাখ কর্মকর্তা-কর্মচারী গৃহনির্মাণ ঋণ সুবিধা পাবেন। তাঁরা এককভাবে এই ঋণ নিতে পারবেন। আবাসিক বাড়ি করার জন্য গ্রুপভিত্তিক ঋণও নেওয়া যাবে। ফ্ল্যাট কেনার জন্যও এই ঋণ সুবিধা পাওয়া যাবে। তবে ফ্ল্যাট হতে হবে সম্পূর্ণ প্রস্তুত অর্থাৎ রেডি ফ্ল্যাট। অবশ্য সরকারি সংস্থার নির্মাণ করা ফ্ল্যাট কেনার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ রেডি ফ্ল্যাটের শর্ত শিথিল করা যাবে।

নীতিমালার চূড়ান্ত খসড়া অনুযায়ী জাতীয় বেতন স্কেলের পঞ্চম গ্রেড থেকে প্রথম গ্রেডভুক্ত কর্মকর্তা, যাঁদের বেতন স্কেল ৪৩ হাজার বা এর বেশি তাঁরা প্রত্যেকে ঢাকাসহ সব সিটি করপোরেশন ও বিভাগীয় সদরে গৃহনির্মাণ ঋণ পাবেন ৭৫ লাখ টাকা। জেলা সদরে এর পরিমাণ হবে ৬০ লাখ টাকা এবং অন্যান্য এলাকায় ৫০ লাখ টাকা। বেতন স্কেলের নবম গ্রেড থেকে ষষ্ঠ গ্রেড পর্যন্ত বা যাঁদের মূল বেতন ২২ হাজার থেকে ৩৫ হাজার ৫০০ টাকা, তাঁরা ঢাকাসহ সব সিটি করপোরেশন ও বিভাগীয় সদর এলাকার জন্য ৬৫ লাখ টাকা, জেলা সদরের জন্য ৫৫ লাখ ও অন্যান্য এলাকার জন্য ৪৫ লাখ টাকা ঋণ পাবেন। ১১ হাজার থেকে ১৬ হাজার টাকা মূল বেতন বা দশম থেকে ১৩তম গ্রেডের চাকরিজীবীরা ঢাকাসহ সব সিটি করপোরেশন ও বিভাগীয় সদরের জন্য ৫৫ লাখ টাকা, জেলা সদরের জন্য ৪০ লাখ টাকা এবং অন্যান্য এলাকার জন্য ৩০ লাখ টাকা ঋণ পাবেন। ১৪তম থেকে ১৭তম গ্রেড বা ৯ হাজার থেকে ১০ হাজার ২০০ টাকা বেতন স্কেলে ঢাকাসহ সব সিটি করপোরেশন ও বিভাগীয় সদরের জন্য ৪০ লাখ টাকা, জেলা সদরের জন্য ৩০ লাখ টাকা ও অন্যান্য এলাকার জন্য ২৫ লাখ টাকা ঋণ পাবেন। আর ১৮তম থেকে ২০তম গ্রেড বা আট হাজার ২৫০ টাকা থেকে আট হাজার ৮০০ টাকা পর্যন্ত মূল বেতন পান, এমন কর্মচারীরা ঢাকাসহ সিটি করপোরেশন ও বিভাগীয় সদরের জন্য গৃহনির্মাণ ঋণ পাবেন ৩৫ লাখ টাকা। জেলা সদরে এটি হবে ২৫ লাখ টাকা এবং অন্যান্য এলাকার জন্য পাবেন ২০ লাখ টাকা।

ঋণ পাওয়ার যোগ্যতা হিসেবে নীতিমালার ৩ ধারায় বলা হয়েছে, আবেদনকারীকে সরকারি প্রতিষ্ঠানে রাজস্ব খাতভুক্ত স্থায়ী পদে কর্মরত হতে হবে। সরকারি প্রতিষ্ঠানে ন্যূনতম কর্মকাল পাঁচ বছর হতে হবে। সর্বোচ্চ বয়সসীমা হবে ৫৮ বছর। তবে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু বা দুর্নীতি মামলার ক্ষেত্রে চার্জশিট দাখিল হলে মামলা চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তিনি ঋণ পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন না। সরকারি চাকরিতে চুক্তিভিত্তিক, খণ্ডকালীন ও অস্থায়ী ভিত্তিতে নিযুক্ত কেউ এই ঋণ সুবিধা পাবেন না।

ঋণের সর্বোচ্চ সিলিং নির্ধারণ সম্পর্কে খসড়া নীতিমালায় বলা হয়েছে, বেতন স্কেল অনুযায়ী সর্বোচ্চ যে সিলিং সরকার নির্ধারণ করে দেবে, সেটিও বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠানের যথাযথ পদ্ধতিতে যে পরিমাণ ঋণ সুবিধা নির্ধারণ করবে, তার মধ্যে যেটি কম, সে পরিমাণ ঋণ পাবেন। ফ্ল্যাট কেনা বা নিজস্ব জমিতে বাড়ি নির্মাণের ক্ষেত্রে ঋণ দেওয়ার জন্য ডেট ইক্যুইটি রেশিও হবে ৯০ঃ১০। অর্থাৎ ফ্ল্যাট কেনা বা নিজস্ব জমিতে বাড়ি নির্মাণের জন্য কেউ নিজস্ব উদ্যোগে ১০ টাকা খরচ করলে তিনি ৯০ টাকা ঋণ পাবেন। ঋণের সুদ সম্পর্কে খসড়া নীতিমালার ৭(ঘ) ধারায় বলা হয়েছে, ‘সরকারি কর্মচারীদের গৃহনির্মাণ ঋণের সুদের হার হবে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ। এটি হবে সরল সুদ এবং সুদের ওপর কোনো সুদ আদায় করা হবে না। ঋণগ্রহীতা কর্মচারী ব্যাংক রেটের সমহারে (বর্তমানে যা ৫ শতাংশ) সুদ পরিশোধ করবেন। সুদের অবশিষ্ট অর্থ সরকার ভর্তুকি হিসেবে প্রদান করবে।’

নীতিমালায় আরো বলা হয়েছে, সরকার সময়ে সময়ে বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা করে সুদের হার পুনর্নির্ধারণ করতে পারবে। তবে পুনর্নির্ধারিত সুদহার কেবল নতুন ঋণগ্রহীতার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। ঋণগ্রহীতাকে গৃহনির্মাণ ঋণ পাওয়ার জন্য প্রসেসিং ফি বা আগাম ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অতিরিক্ত ফি দিতে হবে না।

৪ ধারায় ঋণ পাওয়ার শর্ত হিসেবে বলা হয়েছে, এই নীতিমালার আওতায় একজন সরকারি কর্মচারী দেশের যেকোনো এলাকায় গৃহনির্মাণ বা ফ্ল্যাট ক্রয়ের উদ্দেশ্যে ঋণ গ্রহণ করতে পারবেন। গৃহনির্মাণ বা ফ্ল্যাট কেনার ক্ষেত্রে ভবনের নকশা উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত হতে হবে। যে জমি বা ফ্ল্যাট কেনা হবে, তা সম্পূর্ণ দায়মুক্ত হতে হবে। ঋণদানকারী ব্যাংক বা বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত ব্যাংকে আবেদনকারীর একটি হিসাব থাকবে। ওই হিসাবের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর বেতন-ভাতা, পেনশন এবং গৃহনির্মাণ বা ফ্ল্যাট ক্রয় ঋণ বিতরণ ও আদায়ের পুরো কার্যক্রম পরিচালিত হবে। রেডি ফ্ল্যাট কেনার ক্ষেত্রে ঋণের পুরো অর্থ এক কিস্তিতে ছাড় করবে ব্যাংক। গৃহনির্মাণের ক্ষেত্রে ঋণের টাকা চার কিস্তিতে ছাড় করা যাবে।

‘বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান’ বলতে খসড়া নীতিমালা বলা হয়েছে, ‘সরকারি কর্মচারীদের জন্য ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে গৃহনির্মাণ ঋণ প্রদান করার ক্ষেত্রে রাষ্ট্র মালিকানাধীন তফসিলি ব্যাংকসমূহ এবং বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফিন্যান্স করপোরেশন বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কার্যক্রমটি পরিচালনা করবে।’ সরকার অন্য যেকোনো বাণিজ্যিক ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিয়োগ দিতে পারবে। বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের নিজস্ব তহবিল থেকে সরকারি কর্মচারীদের জন্য এই ঋণ প্রদান কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

খসড়া নীতিমালা অনুযায়ী, গৃহনির্মাণ ঋণ দেওয়ার আগে যে সম্পত্তিতে ঋণ দেওয়া হবে, তা ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান বরাবর রেজিস্টার্ড দলিলমূলে বন্ধক রাখতে হবে। বাস্তুভিটায় বাড়ি করার ক্ষেত্রে ঋণগ্রহীতার মালিকানাধীন অন্য কোনো সম্পত্তি বন্ধক রাখা যাবে।

এই ঋণ পরিশোধের মেয়াদ হবে ২০ বছর। গৃহনির্মাণের প্রথম কিস্তি ঋণের অর্থ পাওয়ার এক বছর পর, ফ্ল্যাট কেনার ক্ষেত্রে ঋণের অর্থ পাওয়ার ছয় মাস পর থেকে ঋণগ্রহীতা মাসিক কিস্তিতে ঋণ পরিশোধ শুরু করবেন। কোনো কারণে মাসিক কিস্তি পরিশোধে দেরি হলে বিলম্বের জন্য আরোপযোগ্য সুদ শেষ কিস্তির সঙ্গে যুক্ত হবে। যে ব্যাংক ঋণ দেবে, সেই ব্যাংকে তাঁর মাসিক বেতনের হিসাব খুলতে হবে। তাঁর বেতন-ভাতা ওই হিসাবে জমা হবে। ব্যাংক সেখান থেকে প্রথমে মাসিক ভিত্তিতে কিস্তির টাকা কেটে নেবে। পরে ঋণগ্রহীতা বেতন-ভাতার বাকি অর্থ হিসাব থেকে তুলতে পারবেন। ঋণগ্রহীতা অন্যত্র বদলি হলে তাঁর হিসাবও সেখানে একই ব্যাংকের কোনো শাখায় স্থানান্তর করে নেবেন। ঋণগ্রহীতা অবসর নেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর পিআরএল সময়কাল পর্যন্ত সরকারের দেওয়া সুদ বাবদ ভর্তুকি পাবেন। অবসর গ্রহণের পর সরকার কোনো ভর্তুকি দেবে না। পিআরএলে যাওয়া পর্যন্ত ঋণের কিস্তি অপরিশোধিত থাকলে সুদের হার ১০ শতাংশ বহাল রেখে অবশিষ্ট ঋণ পুনর্গঠন করে নিতে পারবেন। অবসরে যাওয়ার পরও যাতে ঋণের কিস্তি ঠিকমতো পরিশোধ হয়, সে জন্য ঋণগ্রহীতার মাসিক পেনশনের টাকা পূর্বনির্ধারিত ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে পরিশোধ করা হবে।

খসড়া নীতিমালায় আরো বলা হয়েছে, কোনো কর্মচারী ঋণ নেওয়ার পর স্বেচ্ছায় চাকরি ছাড়লে বা বাধ্যতামূলক অবসর, বরখাস্ত বা চাকরিচ্যুত হলে আদেশ জারির তারিখ থেকে ঋণের অবশিষ্ট মেয়াদের জন্য সুদ বাবদ সরকার কোনো ভর্তুকি দেবে না। এ ক্ষেত্রে ঋণের অপরিশোধিত অর্থ সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর পেনশন সুবিধা বা আনুতোষিক সুবিধা থেকে আদায় করা হবে। ঋণগ্রহীতার মৃত্যু হলে তাঁর পারিবারিক পেনশন ও আনুতোষিক সুবিধা থেকে যতটুকু সম্ভব ঋণ পরিশোধ করা হবে। এর পরও ঋণ পাওনা থাকলে উত্তরাধিকারদের কাছ থেকে তা আদায় করা হবে।

নীতিমালা প্রণয়ন সংক্রান্ত গঠিত কমিটির একজন সদস্য কালের কণ্ঠকে জানান, ১৯৮২ সালে প্রথম সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য গৃহনির্মাণ ঋণ সুবিধা চালু করা হয়। চাকরিজীবীদের তখনকার মূল বেতনের ৪৮ মাসের সমপরিমাণ হিসাব করে এক লাখ ২০ হাজার টাকা গৃহনির্মাণ ঋণ দেওয়ার নিয়ম চালু করা হয়েছিল, যা ৪৮টি সমান কিস্তিতে পরিশোধ করতে হয়। এরপর চাকরিজীবীদের বেতন বাড়লেও এই ঋণসীমা বাড়েনি। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এটি বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আসছিলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে এসংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়নের জন্য কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি খসড়া নীতিমালা চূড়ান্ত করেছে। আজকের আন্ত মন্ত্রণালয় বৈঠকে পর্যালোচনা শেষে এটি মন্ত্রিসভার অনুমোদনের জন্য উত্থাপন করা হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আইপিএলে ‘বিশেষ ক্যাটাগরিতে’ সেরা পাঁচে সাকিব

প্রতিপক্ষ বিশ্বের বাঘা বাঘা ব্যাটসম্যান বলে আইপিএলে বোলারদের কাছে বাউন্ডারি ঠেকানো খুবই কষ্টসাধ্য। তবে এ কাজে বেশ সফল বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। চলমান টুর্নামেন্টের গতকাল সোমবার পর্যন্ত বলের সংখ্যার গড়ে কম বাউন্ডারির যে তালিকায় প্রকাশ করে করেছে ক্রিকেটের জনপ্রিয় সাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফো। সেখানে পাঁচ নম্বরে সাকিব।

এক নম্বরে রয়েছে মুস্তাফিজুর রহমানের মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স সতীর্থ কুনাল পাণ্ডিয়া। ভারতের তারকা এই অলরাউন্ডারের প্রতি ১০ বল (৯.৭৫) থেকে মাত্র একটি করে বাউন্ডারি আদায় করতে সক্ষম হয়েছে প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানরা। দুই নম্বরে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের রাহুল তিওয়াতিয়া। তিনি প্রতি ৯ বল পর পর একটি করে বাউন্ডারি দিয়েছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest