সর্বশেষ সংবাদ-
দেবহাটা উপজেলা জামায়াতের সুধী সমাবেশপ্রাণসায়ের খাল বাঁচাতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন ও সমাবেশদিনে ভোট, রাতে নয় আমার ভোট আমি দেব : আফরোজা আব্বাস অন্যায় কাজে কাউকে প্ররোচিত করবো না, উন্নয়নই হবে মূল লক্ষ্য : সাবেক এমপি হাবিবশোভনালীতে মানব পাচার প্রতিরোধ ও নিরাপদ অভিবাসন ডেস্ক উদ্বোধনআশাশুনির গোয়ালডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানববন্ধনজবাবদিহিতা ও মানবাধিকার সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে গোলটেবিল সভাতালায় টিআরএম কার্যক্রমের বকেয়া ক্ষতিপূরণের দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলনপুজামণ্ডপে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে ব্যবস্থা: সাতক্ষীরার পুলিশ সুপারজলবায়ু পরিবর্তনে মানবাধিকার নিশ্চিতকরণে শ্যামনগরে এনগেজ প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা

খাওয়ার মাঝে কি পানি পান করা যাবে?

আমরা সাধারণত এক গ্লাস পানি নিয়ে ভাত খেতে বসি। আর পান্তা ভাত তো পানিতে ভাসে। কিন্তু অনেকে বলেন, খাওয়ার মাঝে পানি খেলে ক্ষতি হয়। পানি তাহলে কখন খাওয়া উচিত?

খাবার খাওয়ার সময় পানি পান করা যাবে নাকি যাবে না তা নিয়ে আছে অনেক মত। অনেকের ধারণা খাবার খাওয়ার মাঝে পানি পান করলে ওজন বেড়ে যায়। কিন্তু আসলে কি?

হজম প্রক্রিয়া মূলত শুরু হয় যায় পরবর্তী খাবারের কথা ভাবা শুরু করলেই। খাবারের কথা ভাবলে মুখে লালা তৈরি হয়। খাবার চিবাতে শুরু করলে তা মুখের লালার সঙ্গে মিশে যায়। লালায় থাকে হজমের জন্য প্রয়োজনীয় এনজাইমসমূহ। চিবিয়ে নরম করা খাবার গিলে ফেলার পরে তা পাকস্থলীতে পৌঁছায় এবং পাকস্থলীর এসিডের সঙ্গে মিশে যায়। সাধারণত খাবার হজম করতে গড়ে চার ঘণ্টা সময় লাগে পাকস্থলীর।

পানি পান করার পরে তা পাকস্থলীতে গিয়ে খুব বেশি সময় স্থায়ী হয় না। দশ আউন্স পানি খুব বেশি হলে দশ মিনিট পাকস্থলীতে থাকে। তাই খাওয়ার সময় পানি পান করলে তা দীর্ঘসময় পাকস্থলীতে থাকেনা বরং খুব দ্রুতই খাবারগুলোকে ভিজিয়ে পাকস্থলী ত্যাগ করে।

অনেকের ধারণা খাওয়ার সময় তরল পান করলে শক্ত খাবার ঠিক মতো হজম হওয়ার আগেই পাকস্থলী থেকে বের হয়ে যায়। ফলে খাবার থেকে পর্যাপ্ত পুষ্টি পাওয়া যায়না। তবে এখন পর্যন্ত এই ধারণা কোনো গবেষণায় প্রমাণিত হয়নি। যেহেতু শক্ত খাবারের আগেই পানি বা যে কোনো তরল পাকস্থলী থেকে বের হয়ে যায়, সেহেতু পাকস্থলীর শক্ত খাবারের উপর কোনো প্রভাব ফেলতে পারে না তরল খাবার। পানির তাপমাত্রাও হজম প্রক্রিয়া কিংবা পুষ্টি গ্রহণে কোনো প্রভাব ফেলে না। তবে অটোয়া ওয়েস্ট নিউট্রিশনের মতে, খাবার খাওয়ার আধা ঘণ্টা আগে পানি খাওয়া উপকারী। কারণ খাওয়ার সময় পানি পান করলে তা পাকস্থলীতে যেয়ে গ্যাস্ট্রিক জুসের সঙ্গে মিশে সেটার কার্যকারিতা কিছুটা কমিয়ে দিতে পারে। গ্যাস্ট্রিক জুস খাবারের ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।

মায়োক্লিনিকের মতে, খাবারের মাঝে পানি পান করলে পানি পানের পরে আধা ঘণ্টা বিরতি দিয়ে আবার খাওয়া স্বাস্থ্যকর। কারণ খাবার মুখে দেয়ার ঠিক আগে পানি পান করলে মুখের এনজাইম সমৃদ্ধ লালা ধুয়ে যায়। এতে হজম প্রক্রিয়ার ব্যাঘাত ঘটতে পারে।

খাবার সময় পানি পান করার কিছু উপকারিতাও প্রমাণিত হয়েছে বেশ কয়েকটি গবেষণায়। খাবার খাওয়ার বিরতিতে পানি পান করলে অতিরিক্ত খেয়ে ফেলার প্রবণতা কমে যায়। ফলে যারা অতিরিক্ত ওজন সমস্যায় ভুগছেন তাদের বেশি খেয়ে ফেলার ঝুঁকি কমে যায়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
চুপিসারে গিয়েও ধরা পড়ে গেলেন প্রীতি!

ইন্দোরের হোলকার স্টেডিয়ামে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে জয় লাভ করে প্লে অফে ওঠার দৌঁড়ে অনেকটাই এগিয়ে গেছে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। নয় ম্যাচের মধ্যে ছয়টি ম্যাচ জিতে প্রীতি জিনতার দল প্লে অফে ওঠার এখন অন্যতম প্রধান দাবিদার।

রাজস্থানের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগেই দলের মঙ্গল কামনার জন্য চুপিচুপি প্রীতিকে দেখা গেল ইন্দোরের খাজরানা গণেশ মন্দিরে পূজা দিতে। চুপিসারে আরাধ্য দেবতার কাছে গিয়েছিলেন প্রীতি জিনতা। স্কার্ফে মুখ ঢেকে মন্দিরে পূজা দেওয়ার সময়ে প্রীতির সঙ্গে ছিলেন একজন কালো পোশাক পড়া বডিগার্ডও।

তবে ভিড়ে ঠাসা মন্দিরে প্রীতির পরিচয় গোপন থাকেনি। অনেকজনই এই বলিউড সুন্দরীকে দেখে সেলফি, ভিডিও তোলার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তবে প্রীতি শুরুতেই সাফ বলে দেন, কোনও অবস্থাতেই ভিডিও তোলা যাবে না।

এত নিষেধ সত্ত্বেও বেশ কয়েকজন ছবি তোলেন। প্রীতির মন্দির-দর্শনের ভিডিও অবশ্য সিসিটিভি ফুটেজে রেকর্ড হয়। সেই ফুটেজ আবার পুরোহিত অশোক ভাটের ফেসবুক পেজে শেয়ার করা হয়।

এমনিতে চলতি মৌসুমে গেইলের সৌজন্যে প্রীতির দলের পারফরম্যান্স দুরন্ত। প্রত্যেক আসরে কিংস ব্রিগেড খারাপ পারফরম্যান্সের কারণে শিরোনামে আসে। এবার অবশ্য পুরাটাই বিপরীত। তাই এবার প্রীতির অন্তরের কথা ঈশ্বর শোনেন কি না, সেটাই আপাতত দেখার বিষয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দুই ব্যায়াম কমাবে পেটের মেদ!

যাদের মেদ আছে তারাই বোঝে পেটে মেদ জমা কত বিরম্বনার বিষয়। মেদ থাকলে যে সমস্যায় পড়তে হয় তার জন্য অনেকেই উদ্বিগ্ন। অনেক কারণেই পেটে মেদ জমতে পারে। যেমন : সাম্প্রতিক সন্তান দান, অতিরিক্ত মদ্যপান, অতিরিক্ত সময় সোফায় বসে থাকা, বেশি খাবার গ্রহণের সঙ্গে কম শারীরিক পরিশ্রম ইত্যাদি।

তবে যে কারণেই পেটে মেদ জমুক না কেন ব্যায়ামের ম্যাধ্যমে আপনি আপনার দেহকে ঠিক করতে পারেন। সপ্তাহে তিন কিংবা চারবার এ ধরনের ব্যায়াম করলে আপনার পেট টান টান হবে। তাই আজ থেকেই শুরু করুন। এ ব্যায়াম তেমন কঠিন কিছুই নয়। দিনে মাত্র ১০ মিনিট সময় দিন। দেখবেন কেমন আকষর্ণীয় হয়ে ওঠেছে আপনার দেহ।

ব্যায়াম নম্বর এক

ম্যাট কিংবা কার্পেট বিছানো মেঝের ওপর শুয়ে পড়ুন। আপনার হাত দুটো আলতো করে মাথার পেছনে নিন। হাঁটু দুটো বাঁকা করুন এবং পায়ের পাতা দুটো মেঝের ওপর রাখুন। এবার আপনার পেটটাকে ব্যবহার করে ম্যাট থেকে ধীরে ধীরে আপনার মাথা, দুকাঁধ ও পিঠের ওপরের অংশ তুলতে থাকুন। এ সময়ে আপনার পেটটাকে শক্ত রাখুন এবং নিশ্বাসের সঙ্গে বাতাস বের করে দিন। এভাবে কিছুক্ষণ থাকুন, তারপর আবার শুয়ে পড়ুন। ব্যায়ামটা ১০ থেকে ১৫ বার করুন।

ব্যায়াম নম্বর দুই

আগের মতোই শুয়ে পড়ুন। অর্থাৎ উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। হাত দুটো আলতোভাবে মাথার পেছনে নিন, হাঁটু বাঁকা করুন এবং পায়ের পাতা দুটো মেঝের ওপর রাখুন। শরীরের ওপরের অংশ ম্যাট থেকে ধীরে ধীরে তুলুন। এবার আপনার শরীরকে ঘোরান, আপনার বাম কাঁধকে ডান হাঁটুর দিকে রাখুন। এভাবে কিছুক্ষণ থেকে আপনার পূর্বাবস্থায় ফিরে যান। এরপর একইভাবে অন্যদিকে শরীরকে ঘোরান, ডান কাঁধকে বাম হাঁটুর দিকে নিন। ব্যায়ামটা প্রতি দিকে ১০ থেকে ১৫ বার করুন।

ভালো ফলের জন্য ধীরে চলুন

তাড়াহুড়া করবেন না। ১০০ বার এ ধরনের ব্যায়াম করার প্রয়োজন নেই। ভালো ফল লাভের জন্য ধীর নীতি মেনে চলুন। যদি ধীরে চলতে পারেন তাহলে দ্রুত আপনার পেটের মেদ কমে যাবে। কতক্ষণ ব্যায়াম করবেন? দিনে ১০ মিনিট যথেষ্ট। ছয় থেকে আট সেকেন্ড আপনি একটি ব্যায়াম সম্পূর্ণ করতে পারেন। করার সময় ধীরে ধীরে গুনতে থাকবেন যেমন এক, দুই, তিন, চার। শরীর ওঠানামার সময় এভাবে গুনবেন। তারপর আবার যখন শুয়ে পড়বেন তখন পাঁচ, ছয়, সাত, আট এভাবে গুনতে গুনতে শোবেন।

লেখক: ডা. মিজানুর রহমান কল্লোল

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সরকারি কলেজ শিক্ষিকা ও প্রতিবেশী ব্যাংকারের লাশ উদ্ধার

অনলাইন ডেস্ক: ফরিদপুরে এক বাসা থেকে এক কলেজ শিক্ষিকা এবং এক ব্যাংকারের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, যারা পাশাপাশি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন।
নিহত কলেজ শিক্ষিকা সাজিয়া বেগম (৩৬) ফরিদপুরের সরকারি সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজের গার্হস্থ্য অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন।
তিনি দুই ছেলে নিয়ে ফরিদপুর শহরের দক্ষিণ ঝিলটুলি এলাকার ওই বাসায় থাকতেন। তার স্বামী ঢাকায় ব্যবসা করেন। তাদের বাড়ি রাজধানীর সূত্রাপুর থানার বানিয়ানগরে।
আর ব্যাংক কর্মকর্তার নাম ফারুক হাসান (৩৮)। তার বাড়িও ঢাকার আগারগাঁও এলাকায়। তিনি ফরিদপুরে সোনালি ব্যাংকের প্রিন্সিপাল শাখার অডিট কর্মকর্তা ছিলেন।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ওসি এএফএম নাসিম জানান, বাড়ির মালিক রোববার রাতে পুলিশে খবর দিলে তারা দক্ষিণ ঝিলটুলির ওই বাড়িতে গিয়ে নিচতলায় ফারুক হাসানের ফ্ল্যাট থেকে দুজনের লাশ উদ্ধার করেন।
“সাজিয়া বেগমের মরদেহ দরজার পাশে রক্তাত্ত অবস্থায় পড়ে ছিল। গায়ে কোপের দাগও ছিল। আর ফারুক হাসানের লাশ ফ্যানের হুকের সঙ্গে ঝুলছিল।”
বাড়ির মালিক নূর ইসলামের ছেলে ডেভিড সাংবাদিকদের জানান, রাত ১১টার দিকে তিনি বাড়ি ফিরে নিচ তলার ওই ফ্লাটের দরজা খোলা দেখতে পান। দরজার ফাঁক দিয়ে ভেতরে মানুষের ঝুলন্ত দেহ দেখে সঙ্গে সঙ্গে তারা পুলিশে খবর দেন।
পরে পুলিশ এসে দুজনের লাশ ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় ময়না তদন্তের জন্য।
ডেভিড জানান, কলেজ শিক্ষিকা সাজিয়া বেগম ওই বাসা ভাড়া নেন এক বছর আগে। আর ব্যাংক কর্মকর্তা ফারুক পাশের ফ্ল্যাটে ওঠেন এক মাস আগে।
“তবে তিনি (ফারুক) নিয়মিত থাকতেন না। এবার তিনি বাসায় আসেন দুদিন আগে।”
সরকারি সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সুলতান মাহামুদ জানান, রোববার স্বাভাবিকভাবেই কলেজে গিয়ে অফিস করেন সাজিয়া।
“উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ডিউটি ছিল। সব সেরে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে কলেজ থেকে বেরিয়ে যান। এরপর রাতে আমরা খবরটা পেলাম।”
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশা বলেন, “তারা পাশাপাশি ফ্লাটে থাকতেন। কেন তারা এক হলেন বিষয়টি পরিষ্কার নয়। তদন্ত করে দ্রুত এ ঘটনার কারণ বের করা হবে।”

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে মেসি-রোনালদোর লড়াই, ফল ২-২

স্প্যানিশ লা লিগার রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনার মধ্যকার ম্যাচটি ২-২ গোলে ড্র হয়েছে। বার্সেলোনার ১০ জনের সঙ্গেও জয়ের মুখ দেখতে পারেনি রিয়াল।

তবে এ ম্যাচে গোল পেয়েছেন দুই দলের তারকা খেলোয়াড়েরা। মেসি, রোনালদো, সুয়ারেজ ও গ্যারেথ বেল প্রত্যেকেই একটি করে গোল পেয়েছেন।

ম্যাচ শুরুর ১০ মিনিটে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। সার্জিও রবার্তো পাসে বল পেয়েই রিয়ালের জালে ডান পায়ে শট নেন লুই সুয়ারেজ। কিন্তু ১৭ মিনিটে দলকে সমতায় ফেরান ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। এরপর ম্যাচের প্রথমার্ধের অতিরিক্তি সময়ে লাল কার্ড পান বার্সেলোনার সার্জিও রবার্তো। ফলে ১০ জনের দলে পরিণত হয় বার্সেলোনা।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ৫২ মিনিটে দারুণ এক গোল করেন বার্সা তারকা লিওনেল মেসি। তবে ৭২ মিনিটে গ্যারেথ বেল ফের দলকে সমতায় ফেরান।

এরপর আর কোনও দলই গোলের মুখ দেখেনি। শেষ পর্যন্ত ২-২ গোলে ড্র হয় ম্যাচটি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দুদকে জিজ্ঞাসাবাদ; ‘বাড়ি বিক্রির ৪ কোটি টাকা নিয়েছিলেন এস কে সিনহা’

সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাকে তার বাড়ি বিক্রির ৪ কোটি টাকা পে-অর্ডারের মাধ্যমে পরিশোধ করা হয়েছে। রবিবার (৬ মে) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আসা ব্যবসায়ী মোহাম্মদ শাহজাহান ও নিরঞ্জন চন্দ্র সাহার দুই আইনজীবী সাংবাদিকদের কাছে এ দাবি করেন।

আইনজীবীরা হলেন- আফাজ মাহমুদ রুবেল ও নাজমুল আলম।

আইনজীবী আফাজ মাহমুদ রুবেল জানান, উত্তরার ১০ নম্বর সেক্টরের ১২ নম্বর রোডের পাঁচ কাঠা জমির উপর ৫১ নম্বরের ছয়তলা বাড়িটির মালিক সাবেক প্রধান বিচারপতি সিনহা। তিনি ছয় কোটি টাকার মূল্যে বাড়িটি বিক্রি করেন টাঙ্গাইলের বাসিন্দা রনজিত চন্দ্র সাহার স্ত্রী শান্ত্রী রায়ের কাছে।

তিনি বলেন, ২০১৬ সালের মে মাসের দিকে বায়না দলিলের মাধ্যমে বিচারপতি এস কে সিনহার কাছ থেকে বাড়িটি শান্ত্রী রায় মালিক হন। তখনই বাড়ি বাবদ দুই কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়। এরপর একই বছরের ৮ নভেম্বর দুইটি পে-অর্ডারের মাধ্যমে সোনালী ব্যাংকের সুপ্রিম কোর্ট শাখায় বিচারপতি এস কে সিনহার অ্যাকাউন্টে চার কোটি টাকা জমা দেওয়া হয়। পরে ২৪ নভেম্বর এস কে সিনহা হস্তান্তর দলিলের মাধ্যমে শান্ত্রী রায়কে বাড়িটি লিখে দেন।

দুদকে তলব করা নিরঞ্জন সাহা, শান্ত্রী রায়ের স্বামী রনজিতের চাচা আর শাহজাহান রনজিতের বন্ধু। তাদের সবার বাড়ি টাঙ্গাইল।

আরেক আইনজীবী নাজমুল আলম বলেন, নিরঞ্জন ও শাহজাহান ফারমার্স ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে চার কোটি টাকা ঋণ নেন। এতে থার্ড পার্টি হিসেবে শান্ত্রী রায়ের বিভিন্ন জমি মর্টগেজ হিসাবে ব্যাংকে জমা দেওয়া হয়। এই ঋণ থেকেই বাড়ির চার কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়।

ওই চার কোটি টাকা একই বছরের ১৬ নভেম্বর অর্থ পে-অর্ডারের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ওই ব্যক্তির ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর করেন।

এদিকে ব্যবসায়ী নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা ও শাহজাহানকে ফারমার্স ব্যাংক থেকে চার কোটি উত্তোলন করে অবৈধভাবে আত্মসাৎ করার অভিযোগে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ৬ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।

এর আগে গত ২৫ এপ্রিল দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন স্বাক্ষরিত চিঠিতে আজ রবিবার দুদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয় মোহাম্মদ শাহজাহান ও নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা। ডাকে সাড়া দিয়ে সকাল সাড়ে ৯টায় দুদক কার্যলয়ে আসেন তারা।

এ ব্যাপারে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য বলেন, ‘ফারমার্স ব্যাংক থেকে ব্যবসায়ী নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা ও মোহাম্মদ শাহজাহান ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে একই দিনে প্রত্যেকেই দুই কোটি করে চার কোটি টাকা উত্তোলন করে একই দিনে পে অর্ডারের মাধ্যমে রাষ্ট্রের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে জমা দেন। গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট থেকে একই দিনে টাকা তুলে আত্মসাৎ করা হয়।’

তিনি বলেন, ‘এই অভিযোগ অনুসন্ধানে তাদেরকে দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন জিজ্ঞাসাবাদ করেন।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুদকের এক কর্মকর্তা বলেন, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বলতে এই টাকা মূলত সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহার অ্যাকাউন্টে জমা হয়। সেখান থেকে টাকাগুলো আত্মসাৎ হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ছাড়া পেলেন নোমান, হাসানের বাড়ি থেকে পুলিশ প্রত্যাহার

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ-আল-নোমানকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা টঙ্গী থানায় আটকে রাখার পর তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। একই সঙ্গে ‘অবরুদ্ধ’ করে রাখা হাসান সরকারের বাড়ি থেকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সরিয়ে নেয়া হয়েছে। টঙ্গী থানার ওসি কামাল হােসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

হাসান উদ্দিন সরকারের ব্যক্তিগত সহকারী কিবরিয়া খান জনি জানান, রোববার গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ২০ দলীয় জোটের মেয়রপ্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা হাসান উদ্দিন সরকারের বাড়ি প্রায় ৫ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখে পুলিশ। এ সময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, সাংগঠনিক সম্পাদক ও গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি ফজলুল হক মিলন, জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি সালাহ উদ্দিন সরকারসহ ১৫-২০ জন নেতাকর্মী বাড়ির ভেতরে অবস্থান করছিলেন।

তিনি আরও বলেন, এর আগে বিকেল ৫টায় হাসান সরকারের বাড়ির সামনে থেকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ-আল-নোমানসহ ১৩ জনকে আটক করে পুলিশ। রাত পৌনে ১০টায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ-আল-নোমানকে থানা থেকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তবে থানায় আটক বিএনপির বাকি ১২ নেতাকর্মীর ব্যাপারে পুলিশ কোন তথ্য জানাননি।

রাত সাড়ে ৯টার দিকে হাসান সরকারের বাড়ি সামনে থেকে পুলিশ সরে গেলে রাত পৌনে ১০টার দিকে বরকত উল্লাহ বুলু ও ফজলুল হক মিলনসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা হাসান সরকারের বাড়ি থেকে বের হন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় পালিয়ে যাওয়ার সময় ৮০ হাজার টাকাসহ ২ ছিনতাইকারী আটক

আসাদুজ্জামান: সাতক্ষীরায় একটি বেসরকারি সংস্থার হিসাব রক্ষকের কাছ থেকে ৮০ হাজার ছিনতাই করে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় জনতা দুই ছিনতাইকারিকে আটক করে সদর থানা পুলিশে সোপার্দ করেছে। রবিবার দুপুরে সদর থানা সংলগ্ন শহরের পাকাপুলের মোড় থেকে টাকাসহ হাতনাতে তাদেরকে আটক করা হয়।
আটক ছিনতাইকারীরা হলো, সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার উত্তর বড়দল গ্রামের মৃত মোহর আলী ঢালির ছেলে সুরত আলী ওরফে নজরুল ইসলাম(৪৮) ও খুলনা শহরের ২১নং ওয়ার্ডের গ্রীনল্যান্ড আবাসন এলাকায় বসবাসকারি রূপসা থানার নৈহাটি গ্রামের মৃত হাসেম জমাদ্দারের ছেলে আবুল কালাম জমাদ্দার (৪০)।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সাতক্ষীরা শহরের কামালনগরস্থ সীমান্ত সমিতির হিসাব রক্ষক কামালনগর এলাকার মোঃ হারান গাজীর ছেলে আব্দুল খালেক সাতক্ষীরা সোনালী ব্যাংক প্রধান শাখা থেকে ৮০ হাজার টাকা উত্তোলন করেন। বেলা সোয়া একটার দিকে টাকার ব্যাগ হাতে নিয়ে তিনি সোনালী ব্যাংকের সামনে সাতক্ষীরা সদর থানার বাউন্ডারী ওয়ালের গায়ে এক সাইকেল মিস্ত্রীর কাছ থেকে তার সাইকেল মেরামত করছিলেন। এসময় ওই দুই ছিনতাইকারি তার ব্যাগের মধ্যে থেকে টাকার ব্যান্ডেল নিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় আব্দুল খালেকের আত্মচিৎকারে সাইকেল মিস্ত্রি মনুর সহযোগিতায় স্থানীয় জনতা শহরের পাকা পোলের মোড় থেকে টাকাসহ ওই দুই ছিনতাইকারিকে আটক করে। পরে গণধোলাই দিয়ে তাদেরকে সদর থানায় পুলিশে সোপার্দ করা হয়।
সদর থানার উপ-পরিদর্শক হাসান এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ছিনতাইকারিদের কাছ থেকে ছিনতাইকৃত ৮০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। নাম ঠিকানা যাচাই বাছাই পূর্বক দুই ছিনতাইকারির বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest