সর্বশেষ সংবাদ-
দেবহাটা উপজেলা জামায়াতের সুধী সমাবেশপ্রাণসায়ের খাল বাঁচাতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন ও সমাবেশদিনে ভোট, রাতে নয় আমার ভোট আমি দেব : আফরোজা আব্বাস অন্যায় কাজে কাউকে প্ররোচিত করবো না, উন্নয়নই হবে মূল লক্ষ্য : সাবেক এমপি হাবিবশোভনালীতে মানব পাচার প্রতিরোধ ও নিরাপদ অভিবাসন ডেস্ক উদ্বোধনআশাশুনির গোয়ালডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানববন্ধনজবাবদিহিতা ও মানবাধিকার সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে গোলটেবিল সভাতালায় টিআরএম কার্যক্রমের বকেয়া ক্ষতিপূরণের দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলনপুজামণ্ডপে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে ব্যবস্থা: সাতক্ষীরার পুলিশ সুপারজলবায়ু পরিবর্তনে মানবাধিকার নিশ্চিতকরণে শ্যামনগরে এনগেজ প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা

সাতক্ষীরায় মুকুল মাষ্টারকে গ্রেফতার দাবীতে মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় ডিবি ইউনাইটেড হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মমিনুর রহমান মুকুলের গ্রেফতার ও বিদ্যালয়ের নবগঠিত ম্যানেজিং কমিটি বাতিলের দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে বিদ্যালয়ের অভিভাবকবৃন্দ ও ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের নাগরিক সমাজের আয়োজনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কুটুক্তিকারী, ২টি নাশকতা মামলার আসামী, সহকারী শিক্ষকদের নির্যাতনকারী, অনিয়ম-দূর্ণীতি ও স্বজনপ্রীতিকারী, ডি.বি.ইউনাইটেড হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ও ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মোমিনুর রহমান মুকুলের গ্রেফতার ও ডি.বি.ইউনাইটেড হাইস্কুলে গোপনীয়ভাবে নব গঠিত ম্যানেজিং কমিটি বাতিলের দাবীতে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়ন নাগরিক সমাজের আহবায়ক ও ব্রহ্মরাজপুর বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ আব্দুস ছালামের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নিলিপ কুমার মল্লিক, ধুলিহর ইউনিয়ন আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শেখ বোরহান উদ্দীন, ৬নং ওয়ার্ড আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল কুদ্দুস, ব্রহ্মরাজপুর ইউপি মেম্বার মোঃ রেজাউল করিম মিঠু ও এন,বি,বি,কে আল-মদিনা দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি শেখ আব্দুল আহাদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ৬নং ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি হুমায়ন কবির, ৭নং ওয়ার্ড আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবুল কালাম, ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ন আহবায়ক মোঃ শাহাদাত হোসেন রাজ, মোঃ আব্দুর রহিম প্রমূখ।
এছাড়া বিদ্যালয়ের অভিভাবকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মোঃ আব্দুস সেলিম, নুরুল ইসলাম বাবু, রবিউল ইসলাম, আব্দুল গফ্ফার শেখ, মোঃ শামসুর রহমান, মোঃ আব্দুল গফ্ফার কারিকর, টুটুল হোসেন প্রমূখ। মানববন্ধনে প্রায় দুই শতাধিক মানুষ অংশ নেয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ডিবি ইউনাইটেড হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মমিনুর রহমান মুকুল প্রধান শিক্ষক হিসাবে যোগদানের পর হতে একের পর এক অঘটন ঘটিয়ে যাচ্ছে। তাঁর একক সিদ্ধান্তে চলার কারনে ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌছে গেছে। ইতিমধ্যে বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক তার হাতে নির্যাতন ও লাঞ্চিতের শিকার হয়েছে। নির্যাতিত ও লাঞ্চিতদের মধ্যে রয়েছে সহকারী প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান, গণিতের শিক্ষক নিমাই চন্দ্র মন্ডল, শরীর চর্চার শিক্ষক আবুল হাসান ও বাংলার শিক্ষক রমেশ চন্দ্র সরকার। শরীর চর্চার শিক্ষক আবুল হাসানকে একবার এমন শারিরীক নির্যাতন করে যে, তার কানের পর্দা ফেটে প্রচুর রক্তক্ষরন হয়। এ নিয়েও ছাত্র-ছাত্রীরা বিদ্যালয়ে বিক্ষোভ পর্যন্ত করে। বেশ কিছু দিন আগে শিক্ষক রমেশ চন্দ্র সরকারের সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সেখানে মুকুল মাষ্টার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সংখ্যালঘুদের নিয়ে কুটুক্তি করে বলেও বক্তারা জানান। শুধু তাই নয়, ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় আসলে এই মুকুল মাষ্টার তৎকালীন প্রধান শিক্ষক আশরাফ আলী সিদ্দীকির সাথে দূর্ব্যবহার করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি অফিস কক্ষ থেকে জোরপূর্বক নামাতে বাধ্য করে।
কয়েকজন অভিভাবক মানববন্ধনে উপস্থিত হয়ে তাদের বক্তব্যে বলেন, ডিবি স্কুল মুকুল মাষ্টারের নির্দেশে চলে। কাউকে পরোয়া না করে তার একক হঠকারী সিদ্ধান্তে বিদ্যালয়ে যা খুশি তাই করে যাচ্ছে। হেড মাস্টার হিসাবে যোগ দিয়ে তার আমলে কোন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ম্যানেজিং কমিটি গঠন হয়নি। নিজের স্বার্থ হাসিল করতে সব সময় গোপনীয়ভাবে তার চাচা সদর থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলামকে বানায় আজীবন সভাপতি। আর সদস্য বানায় তার একান্ত পকেটের লোক। নব গঠিত ম্যানেজিং কমিটিতেও একই চেহারা বিদ্যমান। সম্পূর্ন গোপনীয়ভাবে এলাকার কোন মানুষকে না জানিয়ে কাগজপত্র ঠিক রেখে এই ম্যানেজিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। এটা নিয়ে মানুষ আজ মুখ খুলতে শুরু করেছে। মুকুল মাষ্টার ও তার চাচা শহিদুলের হাত থেকে ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠকে রক্ষা করতে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে বলেও তারা অভিমত ব্যক্ত করেন।
মানববন্ধনে বক্তারা আরও বলেন, মুকুল মাষ্টার একজন বিএনপি নেতা। সে বর্তমানে ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র সেক্রেটারী। তার নামে ২টি নাশকতার মামলা রয়েছে। যার সাতক্ষীরা থানার মামলা নং-০৪, তাং ০৩/০১/২০১৪ ইং। অপরটি হলো সাতক্ষীরা থানার মামলা নং-৪৫, তাং-২৮/১২/২০১৭ ইং।
মুকুল মাষ্টার একটি মামলায় জামিনে থাকলেও অপর মামলায় জামিন না নিয়ে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেও বলে মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন।
সবশেষে মানববন্ধনে বক্তারা অবিলম্বে বিএনপি নেতা মুকুল মাষ্টারকে গ্রেফতার ও ডি.বি.ইউনাইটেড হাইস্কুলের নব গঠিত ম্যানেজিং কমিটি বাতিল সহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য পুলিশ প্রশাসনের কাছে জোর দাবী জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
যুক্তরাষ্ট্রে সামরিক বিমান বিধ্বস্তে নিহত ৯

যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যে একটি সামরিক কার্গো বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নয়জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা। সাভান্নাহ উপকূলীয় শহরের একটি স্থানীয় বিমানবন্দরের কাছে হাইওয়ের পাশে সি-১৩০ বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। খবর বিবিসি।

বিমানটি পুয়ের্তো রিকো ন্যাশনাল গার্ডের। বিমানের আরোহীরা একটি প্রশিক্ষণে অংশ নিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে ন্যাশনাল গার্ড।

সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে বিমানের ধ্বংসাবশেষ এবং কালো ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়তে দেখা গেছে। পুয়ের্তো রিকো ন্যাশনাল গার্ডের মুখপাত্র মাজ পল দেহলেন বলেন, আমরা নয়জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি। এদের মধ্যে পাঁচজন বিমানের ক্রু এবং চারজন অতিরিক্ত যাত্রী।

বিমান বিধ্বস্তের পর কর্মকর্তা প্রাথমিকভাবে জানিয়েছিলেন যে, কমপক্ষে পাঁচজনের প্রাণহানি ঘটেছে। এক টুইট বার্তায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। তিনি বলেন, দুর্ঘটনায় নিহত ন্যাশনাল গার্ডের নারী এবং পুরুষ সদস্য এবং তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা এবং প্রার্থনায় দয়া করে আপনারাও আমার সঙ্গে যোগ দিন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে মাউন্ট ফুজি আগ্নেয়গিরি, হুমকিতে টোকিও

জাপানের ১১০টি আগ্নেয়গিরি রয়েছে। যার মধ্যে ৪৭টিকে সক্রিয় বলে ধরা হয়ে থাকে। এগুলো ১০ হাজার বছর ধরে সক্রিয় অথবা গ্যাস নির্গমন করে আসছে। জাপানের ইতিহাস বলছে প্রতি ৩৮ বছরের মধ্যে বড় ধরনের অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা ঘটে থাকে। ১৫টি আগ্নেয়গিরি প্রতিবছরই অগ্ন্যুৎপাত ঘটাচ্ছে।

এদিকে, তোহোকু অঞ্চলের ভূমিকম্পের সময় মাটির স্তর সরে গেছে অনেকখানি। জাপানে এ নিয়ে আপাতত চিন্তা বাড়ছে।এই ভূমিকম্পের সবচেয়ে বড় আতঙ্ক ছিল ১১০টি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি, তার মধ্যে ২০টি নড়েচড়ে ওঠে। এসব আগ্নেয়গিরি ‘সিসমিক অ্যাকটিভিটি’ বলে দেয় আসন্ন বিপদের কথা। ভূমিকম্পের সময় জিএমএ বা জাপান মেট্রোলজিক্যাল এজেন্সি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি এই সক্রিয়তা বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করে।

জাপানের সবচেয়ে উঁচু আগ্নেয়গিরি মাউন্ট ফুজি যার উচ্চতা ১২ হাজার ৩৮০ ফুট। ভূমিকম্পের সময় এর সাড়া দেওয়ার বিষয়টি ভাবিয়ে তুলেছে বিশেষজ্ঞদের। টোকিও শহর থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে মাউন্ট ফুজির অগ্ন্যুৎপাতে পুরো টোকিও শহর ছাইয়ের নিচে চাপা পড়তে পারে।

সমীক্ষা বলছে মাউন্ট ফুজির ম্যাগমা চেম্বারের চাপ বেড়ে উদ্বেগজনক ১.৬ মেগাপ্যাসকালে দাঁড়িয়েছে। মনে করা হচ্ছে, শেষবার অগ্ন্যুৎপাতের সময় ম্যাগমা চেম্বারের চাপ এর চাইতে কম ছিলো।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সন্ত্রাসী-জঙ্গিদের কোনো ধর্ম নেই: প্রধানমন্ত্রী

সন্ত্রাসী-জঙ্গিদের কোনো ধর্ম নেই। তারা জাতির শত্রু, দেশের শত্রু। জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে র‌্যাবের বিশিষ্ট ভূমিকা ছিল। তাদের এ ভূমিকা প্রশংসনীয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। র‌্যাব ফোর্সেসের ১৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর কুর্মিটোলায় বাহিনীটির সদরদফতরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করছিলেন প্রধানমন্ত্রী। দেশজুড়ে একসময় জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করেছিল উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, অনেকে স্বার্থসিদ্ধির জন্য ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টির চেষ্টা করে। একইসঙ্গে এসবের বিরুদ্ধে সমগ্র জাতিকে আরো সচেতন হতে হবে।

কোমলমতি শিক্ষার্থীরা যেন জঙ্গিবাদে জড়িয়ে না পড়ে সেজন্য অভিভাবক ও তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকেও নজর রাখার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা তো ভুল পথ। এ ভুল পথে যেন ছেলে-মেয়েরা না যায়, সেজন্য সমগ্র জাতিকে সচেতন করতে হবে। জঙ্গিবাদবিরোধী প্রচারণা চালাতে হবে। এরইমধ্যে সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। সেজন্য সারাবিশ্বে বাংলাদেশ প্রশংসিতও। অনেকে মনে করে, কিভাবে আমরা জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সফল কার্যক্রম পরিচালনা করছি। আমাদের বাহিনীগুলোর পাশাপাশি জনগণও সচেতন ভূমিকা রেখেছে।

মাদকের বিরুদ্ধেও সবাইকে সচেতন হওয়ার তাগিদ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রণে এরইমধ্যে যথেষ্ট পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কেউ যদি মাদকে জড়িয়ে পড়ে, তবে সেটা যে তার পরিবারের জন্য কতোটা কষ্টের, তা ওই পরিবারই বোঝে। আমরা জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে যেমন সফলতা অর্জন করেছি, মাদকের বিরুদ্ধেও র‌্যাবকে অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে। এরইমধ্যে তারা অনেক সফল অভিযান চালিয়েছে। যারা উৎপাদন করে, পরিবহন করে, বিক্রি করে এবং সেবন করে সবাই সমান অপরাধী। এ বিষয়েও র‌্যাবকে বিশিষ্ট ভূমিকা রাখতে হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
খুলনা সিটি নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী মঞ্জুর প্রচার স্থগিত

খুলনা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে সব ধরনের প্রচার স্থগিত করেছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তিনি প্রচারে নামেননি।

আজ সকালে নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, গতকাল বুধবার রাত আটটা থেকে বৃহস্পতিবার ভোর পাঁচটা পর্যন্ত নগরজুড়ে পুলিশ ও ডিবির সদস্যরা ধানের শীষের নির্বাচনী প্রচারণায় জড়িত বিভিন্ন পর্যায়ের ১৯ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেন। এ ছাড়া অনেক নেতা-কর্মীর বাড়িতে তল্লাশির নামে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়েছে।

নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, নির্বাচনের কাজে যুক্ত থাকলে পরিণতি হবে ভয়াবহ বলেও ডিবি হুমকি দিয়েছে। এসব ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন কার্যকর কোনো ব্যবস্থা না নেওয়া পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচারণা স্থগিত থাকবে।

বিএনপি প্রার্থীর অভিযোগ, আওয়ামী লীগ প্রার্থী প্রতিনিয়ত নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে চলেছেন। তিনি সরকারি কর্মকর্তা ও যাঁরা ভোটের দিন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত থাকবেন, তাঁদের নিয়ে বৈঠক করেছেন। এসব ব্যাপারে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে একাধিক অভিযোগ করা হলেও কোনো সুফল পাওয়া যায়নি। শুধু তা-ই নয়, যারা বিএনপির পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন, তাঁদেরও আটক বা গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে।

নির্বাচনী কাজে বাধা ও অভিযানের প্রতিবাদে কঠোর কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি। ৬ মে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) আসবেন। তিনি আসার আগে এসব কার্যক্রম বন্ধ না করা হলে তাঁর সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বর্জন করা হবে। প্রয়োজনে সরকার ও সিইসিকে কালো পতাকা প্রদর্শন করা হবে বলে জানান মঞ্জু।

খুলনা নগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার এস এম কামরুল ইসলাম বলেন, নগর ডিবি থেকে এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। আর ভয়ভীতি দেখানোর প্রশ্নই ওঠে না।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (গণমাধ্যম) সোনালী সেন বলেন, গতকাল অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা আছে। ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ সত্য নয়।

জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, যদি কারও বিরুদ্ধে মামলা থাকে আর পুলিশ যদি তাঁকে গ্রেপ্তার করে, সেটা সম্পূর্ণ তাদের ব্যাপার। এটা কোনোভাবেই নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত নয়। আওয়ামী লীগও এ ব্যাপারে কিছু জানে না।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতা সাতক্ষীরার শাহিনকে মূল্যায়নের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার দা’ সূর্যসেন হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাতক্ষীরার ছেলে শাহিনকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সম্মেলনে সঠিকভাবে মূল্যায়নের দাবি তুলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
উল্লেখ্য, শাহিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক ও মাস্টার দা’ সূর্যসেন হল ছাত্রলীগেরও সাবেক দপ্তর সম্পাদক এবং বর্তমান সাধারণ সম্পাদক।

নাহিদ হাসান শাহিনের পারিবারিক রাজনৈতিক পরিচয়:
তার পিতা মোঃ মারুফ হোসেন ১৯৯৫ সালে- কলারোয়া উপজেলা যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, ১৯৯৬ সালে-কলারোয়া পৌর আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক, ১৯৯৮ সালে-কলারোয়া উপজেলার ৫ নং কেড়াগাছি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক, ২০০১ সালে কলারোয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়হক কমিটির সদস্য।ছিলেন। বর্তমানে তিনি কলারোয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের ৫নং কেড়াগাছি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ও কলারোয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য।
শাহিনের ছোট ভাই মেহেদী হাসান ফাহিম কলারোয়া সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি।
আওয়ামী পরিবারের পরীক্ষিত ও কর্মঠ ছাত্রনেতা শাহিনকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগে সঠিক মূল্যায়ন করে সাতক্ষীরা জেলার তরুণ সমাজকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত করতে সময় উপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি কামনা করছে বর্তমান প্রজন্মের ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সম্পদের পাহাড়; ডিআইজি মিজানকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুদক

আত্মীয়স্বজনের নামে মূল্যবান সম্পদ কেনার তালিকা বেশ দীর্ঘ * ভাগ্নে পিএসআই নোমানের নামে কাকরাইলে বাণিজ্যিক ফ্ল্যাট, ছোট ভাইয়ের নামে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট কিনেছেন বেইলি রিজে * নামে-বেনামে গাড়ি-বাড়ি, ফ্ল্যাটের ছড়াছড়ি, অসংখ্য বান্ধবীকেও দিয়েছেন দু’হাত ভরে

অনলাইন ডেস্ক: ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে পুলিশের বিতর্কিত ডিআইজি মিজানুর রহমানকে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় তাকে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে আগেই নোটিশ দেয়া হয়েছিল। দুদকের উপপরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী গত ২৪ এপ্রিল এই নোটিশ দেন।
মিজানকে তলবের চিঠি দুদক থেকে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বরাবর পাঠানো হয়।

অঢেল সম্পদ:
নাম মিজানুর রহমান। চাকরি করেন পুলিশের ডিআইজি পদে। কিন্তু থাকেন রাজার হালে। মূল্যবান সম্পদের দীর্ঘ তালিকা এমনটিই জানান দিচ্ছে। যেন কী নেই তার।

এখন পর্যন্ত তথ্যানুসন্ধানে নিশ্চিতভাবে যা বেরিয়ে এসেছে তাতে পিলে চমকানোর অবস্থা। অবশ্য অতি সৌভাগ্যবান পুলিশের এ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এখন দেশে-বিদেশে প্রায় সবার কাছে বিশেষ পরিচিত মুখ।
দুর্নীতি দমন কমিশন আজ তাকে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এর আগে তিনি একটি নিউজ চ্যানেলের এক সংবাদপাঠিকাসহ একাধিক নারীকে শারীরিকভাবে হেনস্তা ও জীবননাশের হুমকি দিয়ে টক অব দ্য কান্ট্রিতে পরিণত হন।

তবে সুচতুর মিজানুর রহমান নিজের নামে তেমন কোনো সম্পদ করেননি। কিনেছেন নিকটতম আত্মীয়স্বজনের নামে। অবশ্য দুদকের তদন্তে তারাও ফেঁসে যাবেন। কারণ সামান্য বেতনের চাকরি আর ছোটখাটো ব্যবসায়ী হয়ে দামি ফ্ল্যাটের মালিক কিভাবে হলেন সে প্রশ্নের উত্তর তাদের দিতেই হবে। এছাড়া মূল্যবান সম্পত্তি পানির দরে কিনলেন কিভাবে তার জবাবও পেতে হবে। ধারণা করা হচ্ছে, এমন পরিস্থিতিতে অর্থের জোগানদাতা ডিআইজি মিজানের নাম-ধামসহ বিস্তারিত তথ্য তাদের মুখ দিয়েই বেরিয়ে আসবে।

তথ্যানুসন্ধানে দেখা গেছে, ডিএমপির কোতোয়ালি থানার শিক্ষানবিস এসআই (পিএসআই) মাহমুদুল হাসান নোমান ডিআইজি মিজানুর রহমানের আপন ভাগ্নে। তিনি সেগুনবাগিচার জাতীয় রাজস্ব ভবনের উল্টোদিকে পাইওনিয়ার রোডের ৬৩/১ ‘নির্মাণ সামাদ ট্রেড সেন্টার’ নামে বাণিজ্যিক ভবনের দ্বিতীয় তলায় ১৯১৯ বর্গফুটের বাণিজ্যিক ফ্ল্যাট কিনেছেন। দলিল দস্তাবেজে মূল্যবান এই বাণিজ্যিক ফ্ল্যাটের জমিসহ দাম দেখানো হয়েছে ৫৯ লাখ ৯ হাজার টাকা।

২০১৬ সালের ৭ জানুয়ারি ঢাকার সদর সাবরেজিস্ট্রি অফিসে এই দলিল সম্পন্ন হয়। দলিল নং ১৩১। তবে নির্মাণ সামাদ ট্রেড সেন্টারের ফ্ল্যাট মালিক সমিতির গুরুত্বপূর্ণ নেতা ও জনৈক ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘এই ভবনে প্রতি বর্গফুট স্পেসের দাম কমপক্ষে ১৫ হাজার টাকা।
এ হিসেবে পিএসআই (শিক্ষানবিস এসআই) নোমানের নামে কেনা বাণিজ্যিক ফ্ল্যাটের দাম হয় ২ কোটি ৮৭ লাখ ৮ হাজার ৫শ’ টাকা। বর্তমানে ফ্ল্যাটটি ৯০ হাজার টাকায় ভাড়ায় নিয়ে একজন ব্যবসায়ী ‘কিসমত রেস্টুরেন্ট ও পার্টি সেন্টার’ পরিচালনা করছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পিএসআই নোমান সম্প্রতি চাকরিও পেয়েছেন মামা মিজানুর রহমানের তদবিরে। তার দাপটে ডিএমপির অনেক কর্মকর্তাই তটস্থ থাকেন। নোমানের পিতা আকতার হোসেন মেহেন্দীগঞ্জের মাদারতলী মাদ্রাসার শিক্ষক। তিনি এলাকায় ভালো মানুষ হিসেবে পরিচিত। কিন্তু ঢাকায় কোটি কোটি টাকা খরচ করে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ফ্ল্যাট কেনার সামর্থ এই পরিবারের নেই। কাকরাইলে ফ্ল্যাটের বিষয়ে জানতে চাইলে মাহমুদুল হাসান নোমান এ বিষয়ে কোনো কিছু বলতে রাজি হননি।

দুর্নীতি দমন কমিশন ডিআইজি মিজানের সম্পদের হিসাব চাইলে পিএসআই নোমান ফ্ল্যাটটি কম দামে দ্রুত বিক্রি করার চেষ্টা করছেন। মেহেন্দীগঞ্জের একজন বিতর্কিত রাজনীতিবিদ বাণিজ্যিক ফ্ল্যাটটি পেছনের তারিখে কিনে নেয়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন। এমনকি ডিআইজি মিজান ও ভাগ্নে নোমানকে দুদকের কাছ থেকে ছাড়িয়ে নিতেও দৌড়ঝাঁপ করছেন বলেও জানা গেছে।

নির্মাণ সামাদ মালিক সমিতির আরেক নেতা প্রতিবেদককে বলেন, ‘ভাগ্নে মাহমুদুল হাসান নোমানের নামে ফ্ল্যাটটি রেজিস্ট্রেশন করা হলেও এর মালিক মূলত ডিআইজি মিজানুর রহমান। এছাড়া একজন এসআই কিভাবে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মূল্যবান বাণিজ্যিক ফ্ল্যাট কিনতে পারেন সেটিই এখন বড় প্রশ্ন। অবশ্য ফ্ল্যাট মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দসহ আশপাশ এলাকার সবাই জানেন এটি ডিআইজি মিজানের ফ্ল্যাট।’

এদিকে এ বক্তব্যের সত্যতা পাওয়া যায় ভাড়াটিয়ার সঙ্গে করা চুক্তিনামায়। ৩শ’ টাকার স্ট্যাম্পে করা ওই চুক্তিনামায় এসআই মাহমুদুল হাসান নোমান ২০১৭ সালের নভেম্বর থেকে ২০২২ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ৫ বছরের জন্য ফ্ল্যাটটি ভাড়া দিয়েছেন। ডিআইজি মিজানের এই ভাগ্নে আলাদা বাসা নিয়ে ঢাকায় বসবাস করেন। অথচ চুক্তিনামায় বর্তমান ঠিকানা হিসেবে বেইলি রোডের ‘বেইলি রিজ’ নামে বহুতল আবাসিক ভবনের এম-৪ ফ্ল্যাটের ঠিকানা দিয়েছেন। কারণ ডিআইজি মিজান বিলাসবহুল এই ফ্ল্যাটেই থাকেন। কাকরাইলের ওই ভবনের নিচতলায় আরেকটি জুসের দোকান দিয়েছিলেন ডিআইজি মিজানের বিশ্বস্ত সাবেক গাড়িচালক গিয়াস উদ্দিন। দোকানটিও ডিআইজি মিজানের দোকান হিসেবে পরিচিত ছিল। ডিআইজি মিজানের দীর্ঘদিনের গাড়িচালক এই গিয়াস ও সাবেক বডিগার্ড কনসটেবল জাহাঙ্গীর কোটিপতি হিসেবে পুলিশ বাহিনীতে পরিচিত।

জানা যায়, বেইলি রোডের বেইলি রিজ আবাসিক ভবনের এম-৪ নং ফ্ল্যাটটি রেজিস্ট্রেশন করা হয় ডিআইজি মিজানুর রহমানের একমাত্র ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান স্বপনের নামে। তিনি বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ হাসপাতাল রোডে ‘আকবর মেডিকেল হল’ নামে ছোটখাটো ফার্মেসি পরিচালনা করেন। এই ব্যবসা দেখিয়ে ঢাকায় আয়কর ফাইলও খুলেছেন তিনি। বিভিন্ন কৌশলে এই ট্যাক্স ফাইলে নিজেকে কোটিপতির বর্ণনা দিয়েছেন স্বপন। বেইলি রিজের অ্যাপার্টমেন্টে বিলাসবহুল ওই ফ্ল্যাটগুলো প্রতিবর্গ ফুট ১৫ হাজার টাকা বলে জানিয়েছেন একজন বাসিন্দা। সেই হিসেবে ২৪শ’ বর্গফুটের আলিশান ওই ফ্ল্যাটের দাম হয় ৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা। অথচ জমির মূল্যসহ ফ্ল্যাটের সাবকবলা দলিলে দাম দেখানো হয়েছে ৪৯ লাখ ৪৯ হাজার টাকা। ২০১৬ সালের ১৯ জুন ঢাকার সদর সাবরেজিস্ট্রার জহুরুল ইসলাম ডিআইজি মিজানুর রহমানের ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান ওরফে স্বপনের নামে সাবকবলা দলিলে স্বাক্ষর করেন। দলিল নং ৪২৭৭।

অন্যদিকে মাহবুবুর রহমান স্বপন ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে দাখিলকৃত আয়কর ফরমে ব্যবসায় মূলধন দেখিয়েছেন ১৫ লাখ টাকা। এ রকম পুঁজির ব্যবসা থেকে নিজের নামে বেইলি রোডে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট কেনা অস্বাভাবিক। তা সত্ত্বেও আয়কর ফাইলে তিনি ফ্ল্যাটটি সংযুক্ত করেন। সেখানে আলিশান ওই ফ্ল্যাটের দাম দেখানো হয় ৫৫ লাখ ৫১ হাজার ৮৪০ টাকা। আয়করের হিসাবে তিনি একটি গাড়িরও মালিক ছিলেন। ঢাকা মেট্রো-গ-২৩-২১৮১ নং দামি মডেলের গাড়িটি বিক্রি করে তথ্য দিয়েছেন। তবে বিআরটিএর হালনাগাদ ফাইলে এখনও গাড়িটি মাহবুবুর রহমানের নামেই রয়েছে। এছাড়া মাহবুবুর রহমানের নামে এফডিআর আছে ২৫ লাখ ৩৩ হাজার ৫২৮ টাকা। এছাড়া মেহেন্দীগঞ্জে তিনি মাত্র ২০ ডেসিমিল জমির মালিক। এর দাম উল্লেখ করা হয়েছে ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাহবুবুর রহমান স্বপন বলেন, ‘বৈধ আয় দিয়েই সম্পদ করা হয়েছে। সবকিছু আয়কর রিটার্নে দেখানো আছে।’

উত্তরায় ১৩নং সেক্টরে ৮নং রোডে ২৯নং বাড়ির ফ্ল্যাটে এক ছেলে নিয়ে থাকেন ডিআইজি মিজানের স্ত্রী সোহেলীয়া আনার রত্না। তিনি গুলশান পুলিশ প্লাজা মার্কেটে লেবেল ৩-এ ৩১৪নং ‘লেডিস মার্ট’ শোরুম পরিচালনা করেন। মিজানুর রহমানের দীর্ঘদিনের সহযোগী ড্রাইভার গিয়াস উদ্দিনের ছোট ভাই আলমগীরকে ওই শোরুমে বিক্রয়কর্মী হিসেবে দেখা যায়। দেশের বাইরে থেকে এই শোরুমে থ্রিপিসসহ আধুনিক ড্রেস আনা হয়।

ডিআইজি মিজানুর রহমানের বড় ছেলে কানাডার একটি ব্যয়বহুল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করছে। সেখানে ছেলের নামে মূল্যবান সম্পদ রাখা হয়েছে বলে তার ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে। তবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি। ছোট ছেলেকেও কানাডায় পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন ডিআইজি মিজানুর রহমান। তার দ্বারা নির্যাতনের শিকার একজন নারী বলেন, ডিআইজি মিজানের বৈধ আয়ের সঙ্গে হিসাব মেলালে অনেক কিছুই স্পষ্ট হবে। কারণ কানাডার মতো দেশে একটি ব্যয়বহুল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বৈধভাবে ছেলে পড়ানোর সুযোগ থাকার কথা নয়। অথচ তিনি পড়াচ্ছেন। শুধু তাই নয়, ছেলেকে দেখতে যাওয়ার অজুহাতে স্ত্রী রতœাসহ পরিবার পাড়ি জমায় কানাডায়। এর প্রমাণ রয়েছে পাসপোর্টে। কানাডা ছাড়াও স্ত্রী রত্নাসহ প্রায়ই বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেন।

এসব অভিযোগের বক্তব্য জানতে ডিআইজি মিজানুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তার মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়। সরাসরি বেইলি রোডের বেইলি রিজ ও উত্তরার বাসায় যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু বাড়ি দুটির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সদস্যরা বাড়িতে কেউ নেই বলে জানান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মুঠোফোনে ডিআইজি মিজানুর রহমানের স্ত্রী সোহেলীয়া আনার রত্না বুধবার বলেন, ‘মিজান সাহেব একটু ব্যস্ত আছেন।’ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের কোনো সম্পদ নেই। উত্তরা ফ্ল্যাট আমার নিজের নামে। এই ফ্ল্যাটটি অনেক আগেই নেয়া হয়েছে। পুলিশ প্লাজায় ব্যবসার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, একজন খালাতো বোনকে নিয়ে ওই ব্যবসাটা করছি।’

সূত্র জানায়, পূর্বাচলে সরকারিভাবে ৫ কাঠার জমিও পেয়েছেন ডিআইজি মিজান। সাভারের পুলিশ কলোনিতেও পেয়েছেন ফ্ল্যাট। একটি লেক্সাস হেরিয়ারসহ একাধিক গাড়িতে তিনি ও তার পরিবার নিয়মিত চলাচল করেন।

ডিআইজি মিজানুর রহমানের ভাই মাহবুবুর রহমান স্বপন ও ভাগ্নে এসআই মাহমুদুল হাসানের কোটিপতি হওয়ার সত্যতা যাচাই করতে সরেজমিন বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জেও যোগাযোগ করা হয়। মেহেন্দীগঞ্জের দুর্গম গ্রাম আলীগঞ্জে গিয়ে কথা হয় সত্তরোর্ধ্ব একজন জেলের সঙ্গে। এক সময় তারা একই গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। তিনি মিজানুর রহমানের পিতাসহ পরিবারের সবাইকেই দেখেছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, ‘এক সময় আমার এবং ডিআইজি মিজানুর রহমানের গ্রামের বাড়ি ছিল পুরাতন হিজলা গ্রামে।

সেই গ্রামের পূর্বপুরুষের বাড়ি নদীভাঙনে সব বিলীন হয়ে যায়। এরপর মেহেন্দীগঞ্জের আলীগঞ্জে সামান্য জমি কিনে বাড়ি করেন মিজানুর রহমানের পিতা মরহুম আলী আকবর মিয়া।’ তিনি বলেন, ‘নদীভাঙনে বাড়িঘর নিশ্চিহ্ন হলে আলী আকবরও আলীগঞ্জে চলে আসেন। গ্রামে তেমন জমিজমা ছিল না তাদের।
আলী আকবর আলীগঞ্জ বাজারে গ্রাম্য চিকিৎসক মাইদুল মিয়ার বাবার সহযোগী ছিলেন। তিনিই নবজীবন ফার্মেসি পরিচালনা করতেন। এক সময় নবজীবন ফার্মেসিতে অংশীদার হন আলী আকবর। মাইদুলের বাবার সঙ্গে থেকেই টুকটাক চিকিৎসাও শেখেন তিনি। এরপর লোকজনের মুখে মুখে ডা. আলী আকবর নামে পরিচিতি পান।’ তিনি বলেন, ‘মাইদুলের বাবার মৃত্যুর পর আলীগঞ্জের সেই নবজীবন নামে ছোট ফার্মেসিটি মিজানুর রহমানের বাবা কিনে নেন। আলী আকবর মারা যাওয়ার পর মিজানুর রহমানের ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান স্বপন ফার্মেসিটি পরিচালনা করতেন।’

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ছোটবেলা থেকে মেধাবী মিজানুর রহমানকে লেখাপড়ায় আর্থিক সহযোগিতা করে তাদের বড় বোন বুলু। ওই সময় তিনি স্বাস্থ্যকর্মী হিসেবে চাকরি করতেন। বাবা আলী আকবরের মৃত্যুর পর স্বপন আলীগঞ্জেই থাকতেন। এরপর মেহেন্দীগঞ্জ বাজারের পাশে আম্বিকাপুরে বিলাসবহুল বাড়ি তৈরির পর হাসপাতাল রোডে আরেকটি ফার্মেসি দেন। এসবই হয়েছে ডিআইজি মিজানুর রহমানের চাকরি হওয়ার পর। আলী আকবরের দুই ছেলে ও ছয় মেয়ের মধ্যে তৃতীয় মিজানুর রহমান। তবে দরিদ্র পরিবারের সন্তান মিজান ছোটবেলা থেকেই ছিলেন মেধাবী। ১৯৮২ সালে মেহেন্দীগঞ্জের পাতারহাট পিএম স্কুল থেকে এসএসসি পাস করেন তিনি। ১৯৮৪ সালে বরিশাল বিএম কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। থাকতেন স্যার এফ রহমান হলে।

জানা যায়, পুলিশ বিভাগে চাকরি হওয়ার পরই ভাগ্য খুলে যায় মিজানুর রহমানের পুরো পরিবারের। দুই হাতে অর্থ কামিয়ে কয়েক বছর আগে মেহেন্দীগঞ্জ পৌর শহরের পাতারহাট-উলানিয়া সড়কের পাশে কালিকাপুর এলাকায় কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করেন বিলাসবহুল অট্টালিকা। ২য় তলাবিশিষ্ট এ বাড়ির নাম দেয়া হয় ‘আমেনা ভিলা’। মেহেন্দীগঞ্জের লোকজনের কাছে ওই বাড়িটি ‘স্বর্ণকমল’ হিসেবে পরিচিত।

মেহেন্দীগঞ্জের একজন সাবেক সংসদ সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, শুধু মেহেন্দীগঞ্জে নয়, পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ে নিয়োগ-বদলি বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করতেন ডিআইজি মিজান। অবৈধ এ বাণিজ্য করে অগাধ টাকার মালিক হন তিনি।

মেহেন্দীগঞ্জের পৌর ও উপজেলা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা বলেন, মেহেন্দীগঞ্জের একজন সন্তান পুলিশের বড় পদে চাকরি করায় এতদিন তাকে নিয়ে গর্ব করতেন স্থানীয় মানুষ। কিন্তু নারী কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়ায় এখন সবাই ছি-ছি করছে। এটা নিয়ে সর্বত্র আলোচনা হচ্ছে। এটা লজ্জার বিষয়।

জানা গেছে, দুদকের অনুসন্ধানে ডিআইজি মিজানের চাকরিজীবনে যাবতীয় আয়-ব্যয়, এনবিআরে দেয়া সম্পদের তথ্য, নারীঘটিত বিষয়ে অর্থ খরচের পেছনে টাকার উৎস, বিদেশে পরিবার-পরিজনের জন্য পাঠানো অর্থসহ পুরো তথ্য বের করে আনার চেষ্টা করছেন অনুসন্ধান কর্মকর্তা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ফের একসঙ্গে সিনেমার পর্দায় শাকিব-অপু!

ঢালিউডের জনপ্রিয় দুই তারকা শাকিব- অপু। দুজন একসঙ্গে অনেক ছবি করেছেন। এই নাম দুটি আলাদা হয়েও হয় না। ঘুরে ফিরে ঠিকি একসঙ্গেই এরা যুক্ত হয়। দুজনের বিবাহ বিচ্ছেদ হলেও আবরো শাকিবের হাত ধরেই আবারো পর্দায় ফিরছেন অপু।

তবে নতুন কোন সিনেমা শুরু করছেন না, পুরনো ছবি নিয়েই ফিরছে এই তারকা। তাদের সর্বশেষ ছবি ‘পাঙ্কু জামাই’ নানা জটিলতা পেরিয়ে অবশেষে মুক্তি পেতে যাচ্ছে। আগামী রোজার ঈদেই ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে বলে জানা গেছে।

ছবিটির মুক্তি পাওয়া নিয়ে অপু বিশ্বাস বলেন, ছবিটি মুক্তি পেতে অনেক বিলম্ব হলেও আশা করি দর্শক সিনেমাটি গ্রহণ করবে। নিজের কাছেও ভালো লাগছে যে অনেক দিন পর আবার পর্দায় আসছি।

‘পাঙ্কু জামাই’ নামের সঙ্গে মিল রেখেই ছবিটি নির্মাণ করা হয়েছে রোমান্টিক ও কমেডি ধাঁচে। পুরো ছবিতেই রয়েছে হাসি আনন্দ। গত রোজার ঈদে শাকিব অপু নিয়ে এসেছিলেন ‘রাজনীতি’। এই রোজার ঈদে তারা নিয়ে আসছেন ‘পাঙ্কু জামাই’।

এ ছবির নির্মাতা আবদুল মান্নান। তিনি বলেন, ছবির কাজ শেষ করতে প্রায় তিন বছরের মতো সময় লেগেছে। তবে এত সময় লেগেছে শাকিব খান ও অপু বিশ্বাসের মাঝে মনোমালিন্যের জন্য। তারপরও ক্ষোভ নেই। আমার প্রযোজক এরইমধ্যে প্রেক্ষাগৃহ মালিকদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছেন। আশা করছি, আসছে ঈদে ছবিটি মুক্তি দিতে পারব।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest