সর্বশেষ সংবাদ-
দেবহাটা উপজেলা জামায়াতের সুধী সমাবেশপ্রাণসায়ের খাল বাঁচাতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন ও সমাবেশদিনে ভোট, রাতে নয় আমার ভোট আমি দেব : আফরোজা আব্বাস অন্যায় কাজে কাউকে প্ররোচিত করবো না, উন্নয়নই হবে মূল লক্ষ্য : সাবেক এমপি হাবিবশোভনালীতে মানব পাচার প্রতিরোধ ও নিরাপদ অভিবাসন ডেস্ক উদ্বোধনআশাশুনির গোয়ালডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানববন্ধনজবাবদিহিতা ও মানবাধিকার সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে গোলটেবিল সভাতালায় টিআরএম কার্যক্রমের বকেয়া ক্ষতিপূরণের দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলনপুজামণ্ডপে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে ব্যবস্থা: সাতক্ষীরার পুলিশ সুপারজলবায়ু পরিবর্তনে মানবাধিকার নিশ্চিতকরণে শ্যামনগরে এনগেজ প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা

রাজস্থানকে হারিয়ে জয়ে ফিরলো দিল্লি

আগের ম্যাচে লড়াই করেও হারের হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল দিল্লি ডেয়ারডেভিলসকে। তবে বুধবার রাতে জয়ের উৎসবই করেছে তারা, ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে ৪ রানে হারিয়েছে রাজস্থান রয়্যালসকে।

বৃষ্টির কারণে ফিরোজ শাহ কোটলার ম্যাচ শুরু হয়েছিল নির্ধারিত সময়ের দেড় ঘণ্টা পর। ২ ওভার কমে তাই ১৮ ওভারে দাঁড়ায় ম্যাচ। এরপরও পুরো ওভার খেলা হয়নি, দ্বিতীয়বার বৃষ্টির বাধায় ১৭.১ ওভার পর্যন্ত ব্যাটিং করতে পারে দিল্লি। ওই পর্যন্ত ৬ উইকেটে ১৯৬ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছিল দিল্লি। পরে রাজস্থানের লক্ষ্য ঠিক হয় ১২ ওভারে ১৫১ রান। যদিও নির্ধারিত ওভার শেষে রাজস্থান করতে পারে ৫ উইকেটে ১৪৬।

আবারও ব্যাটে ঝড় তুলেছিলেন ঋশব পান্ট। ২৯ বলে ৭ চার ও ৫ ছক্কায় এই ব্যাটসম্যান করেন ৬৯ রান। তার সঙ্গে অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার ৩৫ বলে ৩ চার ও ৩ ছক্কায় করেন ৫০ রান। ওপেনার পৃথিবী শ করে যান ২৫ বলে ৪৭ রান, যাতে ছিল ৪ বাউন্ডারির সঙ্গে সমান ছক্কার মার। এই তিন ব্যাটসম্যানের ঝড়েই বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় দিল্লি।

বৃষ্টির কারণে লক্ষ্য আরও কঠিন হয়ে যায় রাজস্থানের জন্য। তবে জস বাটলার ও ডি’আর্চি শর্টের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে জয়ের সম্ভাবনা ঠিকই তৈরি করে তারা। উদ্বোধনী জুটিতে মাত্র ৬.৪ ওভারে তারা যোগ করেন ৮২ রান। যেখানে বাটলার একাই করে যান ৬৭ রান। মাত্র ২৬ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ৭ ছক্কার ইনিংসটি সাজান ইংলিশ উইকেটরক্ষক। আর শর্ট ২৫ বলে ২ চার ও ৪ ছক্কায় খেলেন ৪৪ রান।

তদের গড়ে দেওয়া ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে কৃষ্ণপ্পা গৌতম ৬ বলে হার না মানা ১৮ রানের ইনিংস খেললেও হার ঠেকাতে পারেননি রাজস্থানের।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস আজ

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস আজ (বৃহস্পতিবার)। ১৯৯১ সালে ইউনেস্কোর ২৬তম সাধারণ অধিবেশনের সুপারিশ মোতাবেক ১৯৯৩ সালে জাতিসংঘের সাধারণ সভায় ৩ মে তারিখকে ‘ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ডে’ অথবা বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসের স্বীকৃতি দেয়া হয়। সেই থেকে প্রতি বছর সারা বিশ্বে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।

‘কিপিং পাওয়ার ইন চেক : মিডিয়া, জাস্টিজ অ্যান্ড রোল অব ল’এই স্লোগানকে সামনে রেখে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এবার এই দিবসটি পালন করা হচ্ছে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থা বর্ণনায় যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা আর্টিকেল নাইনটিন জানিয়েছে, ২০১৭ সালে এ সংক্রান্ত স্বাধীনতার অধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে ৩৩৫টি।

২০১৩ সালের পর থেকে তা সর্বোচ্চ উল্লেখ করে জানানো হয়, এই ঘটনাগুলোর ৭০ শতাংশের ক্ষেত্রে শিকার হয়েছেন তৃণমূলের সাংবাদিকরা। এক প্রতিবেদনে সংস্থাটি আরও জানায়, মতপ্রকাশে বাধা দিতে আইন ব্যবহারের প্রবণতা বাড়ছে, কমছে শারীরিক আক্রমণের ঘটনা। অধিকার লঙ্ঘন ও হয়রানির প্রকৃতির এই পরিবর্তনকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মন্তব্য করা হয়।

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের সাংবাদিকরাও তাদের পেশাগত অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় দিবসটি পালন করতে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানও নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করবে।

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাব এক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে। সভায় তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন এবং দৈনিক প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হোসেন সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন।

দেশের তরুণ ও যুব সাংবাদিকদের সংগঠন ইয়ুথ জার্নালিস্টস ফোরাম বাংলাদেশ (ওয়াইজেএফবি) বিগত বছরগুলোর মতো ‘ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ডে’ পালন করবে। দিবসটি উপলক্ষে রাজধানীর তোপখানা রোডে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল মিলনায়তনে সকাল ১০টায় এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়েছে।

ওয়াইজেএফবি’র সভাপতি তানভীর আলাদিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন কাদেরের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. মমতাজ উদ্দিন আহমেদ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ওয়ানডেতে ভারতকে হটিয়ে শীর্ষে ইংল্যান্ড
টেস্ট র‌্যাঙ্কিংয়ে পাঁচ নম্বরে থাকা ইংল্যান্ডের কাছে ওয়ানডেতে শীর্ষস্থান হারাল ভারত। ২০১৩ সালের পর এই প্রথম শীর্ষে উঠল ইংল্যান্ড। ইংল্যান্ডের রেটিং পয়েন্ট ১২৫। ১২২ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে নেমে গেছে কোহলিরা।
টেস্টে দ্বিতীয় স্থানে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকা ওয়ান ডেতে রয়েছে তিন নম্বরে। চারে নিউজিল্যান্ড ও পাঁচে অস্ট্রেলিয়া। এই পাঁচ দলই টেস্ট ও ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ের টপ পাঁচে জায়গা করে নিয়েছে। বাংলাদেশের অবস্থান যথারীতি সাত নম্বরেই।
টেস্ট র‌্যাঙ্কিংয়ে ভারত ১২৫ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই রয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে দক্ষিণ আফ্রিকা। তিনে অস্ট্রেলিয়া। চারে নিউজিল্যান্ড ও পাঁচে ইংল্যান্ড। আর বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো ওঠে এসেছে আট নম্বরে।
বিশ্বকাপের আগে ইংল্যান্ডের জন্য অবশ্যই এই শীর্ষে ওঠাটা সুখবর। ২০১৫ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের খারাপ পারফরমেন্সের পর থেকেই আবার নতুন করে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে ইংল্যান্ড। তারই ফল পেল পরবর্তী বিশ্বকাপের এক বছর আগে।
0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষককে হজে যেতে ৫০ দিন ছুটি দিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়!
সনাতন ধর্মাবলম্বী গোপালগঞ্জের সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক অরুন চন্দ্র বিশ্বাস ভারতে ধর্মীয় উপসনালয় পরিদর্শনের জন্য অবকাশকালীন ছুটি আবেদন করেছিলেন। কিন্তু মন্ত্রণালয় থেকে তাকে সৌদি আরবে হজে যাওয়ার ছুটি দেওয়া হয়েছে!
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব মুরশিদা শারমিনের স্বাক্ষরিত এক আদেশে ২৫ জুলাই থেকে ১২ নভেম্বরের মধ্যে অথবা দায়িত্ব হস্তান্তরের তারিখ হতে তাকে ৫০ দিন ছুটি দেওয়া হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সরকারি কলেজ শাখা-৪ থেকে এই আদেশ জারি করা হয়। মন্ত্রণালয়ের এই আদেশটি  ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ায় এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে।
আদেশের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য মুরশিদা শারমিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি  বলেন, ‘বিষয়টি মনে পড়ছে না। বৃহস্পতিবার অফিসে গিয়ে জেনে আপনাকে জানাতে পারবো।’
তবে অরুন চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, আমি ১ জুন থেকে ২১ জুন পর্যন্ত ভারতে ধর্মীয় উপসনালয় পরিদর্শনের জন্য অবকাশকালীন ছুটির আবেদন জানিয়েছিলাম। কিন্তু আমাকে হজে যাওয়ার জন্য ছুটি দেওয়া হয়েছে। এটি সম্ভবত মন্ত্রণালয় ভুল করে দিয়েছে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সরকারি কলেজ শাখা-৪ এর যে আদেশে অরুন চন্দ্র বিশ্বাসকে ছুটি দেওয়া হয়েছে সেই আদেশেই নারায়ণগঞ্জের সরকারি তোলারাম কালেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নাছিমা বেগমকেও ওমরা পালনের জন্য ১ জুন থেকে ২১ জুন অথবা হস্তান্তরের তারিখ থেকে ২১ দিন ছুটি মঞ্জুর করা হয়।
এ বিষয়ে নাছিমা বেগম বলেন, আমার আদেশের সঙ্গে গোপালগঞ্জের সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক অরুন চন্দ্র বিশ্বাসকেও ছুটি দেওয়া হয়েছে। দুজনের একসঙ্গে আদেশ হলেও আমি তাকে চিনি না। হয়তো তিনি ধর্ম পরিবর্তন করেছেন। ধর্ম পরিবর্তন করলেও আমাদের ক্যাডারের নিয়ম অনুযায়ী নাম পরিবর্তন করা যায় না। নয়তো অন্য কোথাও ভুল হয়েছে।
0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালের রিয়ালের প্রতিদ্বন্দ্বী লিভারপুল
সেমিফাইনালেই থেমে গেল রোমার স্বপ্ন। নিজেদের মাঠে ৪-২ গোলের বড় জয় পেয়েও বিদায় নিতে হলো তাদের।
বুধবার রোমের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে সেমি-ফাইনালের ফিরতি পর্বে ৪-২ গোলে জিতে রোমা। কিন্তু গত সপ্তাহে নিজেদের মাঠে ৫-২ গোলে জেতা লিভারপুল দুই লেগ মিলিয়ে ৭-৬ ব্যবধানে এগিয়ে ফাইনালে ওঠে।
খেলার নবম মিনিটেই এগিয়ে যায় লিভারপুল। রোমা ১৫তম মিনিটে অবিশ্বাস্য এক আত্মঘাতি গোলে সমতায় ফেরে রোমা। গোলমুখ থেকে বল ক্লিয়ার করার উদ্দেশে শট নেন ডিফেন্ডার লোভরেন। কিন্তু বলটি মিডফিল্ডার জেমস মিলনারের মুখে লেগে লিভারপুলের জালে জড়ায়। ২৫তম মিনিটে আবারো এগিয়ে যায় লিভারপুল। কর্নার থেকে উড়ে আসা বল বিপদমুক্ত করতে ব্যর্থ হয় রোমা।এই গোলের সুবাদে ব্যবধান দাঁড়ায় ৭-৩। এরপর টানা তিনটি গোল করেও আর সেমিফাইনালে ওঠা হয়নি রোমার।
আগামী ২৬ মে ইউক্রেনের কিয়েভে শিরোপা লড়াইয়ে রেকর্ড ১২ বারের চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদের মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ডের ক্লাব লিভারপুল।
0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সকালে কাঁচা ছোলা খেলে রোধ হবে ক্যানসার!

ছোলা একটি ডালজাতীয় খাদ্যশস্য। এটি প্রোটিনে সমৃদ্ধ। মধ্যপ্রাচ্য, পশ্চিম এশিয়া এবং ভারতীয় উপমহাদেশে এটি চাষ করা হয়। আর কাঁচা ছোলার গুণ সম্পর্কে আমরা সবাই জানি। প্রতি ১০০ গ্রাম খাদ্যপোযগী ছোলায় আমিষ প্রায় ১৮ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট প্রায় ৬৫ গ্রাম, ফ্যাট মাত্র ৫ গ্রাম, ২০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ‘এ’ প্রায় ১৯২ মাইক্রোগ্রাম এবং প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি-১ ও বি-২ আছে।

এছাড়াও ছোলায় বিভিন্ন প্রকার ভিটামিন, খনিজ লবণ, ম্যাগনেশিয়াম ও ফসফরাস রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে আরও অনেক উপকার। উচ্চমাত্রার প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার ছোলা। কাঁচা, সেদ্ধ বা তরকারি রান্না করেও খাওয়া যায়। কাঁচা ছোলা ভিজিয়ে, খোসা ছাড়িয়ে, কাঁচা আদার সঙ্গে খেলে শরীরে একই সঙ্গে আমিষ ও অ্যান্টিবায়োটিক যাবে। আমিষ মানুষকে শক্তিশালী ও স্বাস্থ্যবান বানায়। আর অ্যান্টিবায়োটিক যেকোনো অসুখের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। ছোলার কিছু চমকপ্রদ গুণাগুণ হল-

ডাল হিসেবে : ছোলা পুষ্টিকর একটি ডাল। এটি মলিবেডনাম এবং ম্যাঙ্গানিজ এর চমৎকার উৎস। ছোলাতে প্রচুর পরিমাণে ফলেট এবং খাদ্য আঁশ আছে সেই সাথে আছে আমিষ, ট্রিপট্যোফান, কপার, ফসফরাস এবং আয়রণ।

হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে : অস্ট্রেলিয়ান গবেষকরা দেখিয়েছেন যে খাবারে ছোলা যুক্ত করলে টোটাল কোলেস্টেরল এবং খারাপ কোলেস্টেরল এর পরিমাণ কমে যায়। ছোলাতে দ্রবণীয় এবং অদ্রবণীয় উভয় ধরনের খাদ্য আঁশ আছে যা হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। আঁশ, পটাসিয়াম, ভিটামিন ‘সি’ এবং ভিটামিন বি-৬ হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যায়। এর ডাল আঁশসমৃদ্ধ যা রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, যারা প্রতিদিন ৪০৬৯ মিলিগ্রাম ছোলা খায়, হৃদরোগ থেকে তাদের মৃত্যুর ঝুঁকি ৪৯ শতাংশ কমে যায়।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে : আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখানো হয় যে, যে সকল অল্পবয়সী নারীরা বেশি পরিমাণে ফলিক এসিডযুক্ত খাবার খান তাদের হাইপারটেনশন এর প্রবণতা কমে যায়। যেহেতু ছোলায় বেশ ভাল পরিমাণ ফলিক এসিড থাকে সেহেতু ছোলা খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়। এছাড়া ছোলা বয়সসন্ধি পরবর্তীকালে মেয়েদের হার্ট ভাল রাখতেও সাহায্য করে।

রক্ত চলাচল : অপর এক গবেষণায় দেখা গেছে যে যারা প্রতিদিন ১/২ কাপ ছোলা, শিম এবং মটর খায় তাদের পায়ের আর্টারিতে রক্ত চলাচল বেড়ে যায়। তাছাড়া ছোলায় অবস্থিত আইসোফ্লাভন ইস্কেমিক স্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তিদের আর্টারির কার্যক্ষমতাকে বাড়িয়ে দেয় ।

ক্যান্সার রোধে : কোরিয়ান গবেষকরা তাদের গবেষণায় প্রমাণ করেছেন যে বেশি পরিমাণ ফলিক এসিড খাবারের সাথে গ্রহণের মাধ্যমে নারীরা কোলন ক্যান্সার এবং রেক্টাল ক্যান্সার এর ঝুঁকি থেকে নিজিদেরকে মুক্ত রাখতে পারেন। এছাড়া ফলিক এসিড রক্তের অ্যালার্জির পরিমাণ কমিয়ে এ্যজমার প্রকোপও কমিয়ে দেয়। আর তাই নিয়মিত ছোলা খান এবং সুস্থ থাকুন।

রমজানে : রমজান মাসে ইফতারের সময় জনপ্রিয় খাবার হলো ছোলা। আমাদের দেশে ছোলার ডাল নানাভাবে খাওয়া হয়। দেহকে করে দৃঢ়, শক্তিশালী, হাড়কে করে মজবুত, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য এর ভূমিকা অপরিহার্য। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম।

কোলেস্টেরল : ছোলা শরীরের অপ্রয়োজনীয় কোলেস্টেরল কমিয়ে দেয়। ছোলার ফ্যাট বা তেলের বেশির ভাগ পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর নয়। প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাট ছাড়া ছোলায় আরও আছে বিভিন্ন ভিটামিন ও খনিজ লবণ।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে : ছোলায় খাদ্য-আঁশও আছে বেশ। এ আঁশ কোষ্ঠকাঠিন্য সারায়। খাবারের আঁশ হজম হয় না। এভাবেই খাদ্যনালী অতিক্রম করতে থাকে। তাই পায়খানার পরিমাণ বাড়ে এবং পায়খানা নরম থাকে।

ডায়াবেটিসে উপকারী : ১০০ গ্রাম ছোলায় আছে: প্রায় ১৭ গ্রাম আমিষ বা প্রোটিন, ৬৪ গ্রাম শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট এবং ৫ গ্রাম ফ্যাট বা তেল। ছোলার শর্করা বা কার্বোহাইডেটের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম। তাই ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য ছোলার শর্করা ভাল। প্রতি ১০০ গ্রাম ছোলায় ক্যালসিয়াম আছে প্রায় ২০০ মিলিগ্রাম, লৌহ ১০ মিলিগ্রাম, ও ভিটামিন এ ১৯০ মাইক্রোগ্রাম। এছাড়া আছে ভিটামিন বি-১, বি-২, ফসফরাস ও ম্যাগনেসিয়াম। এর সবই শরীরের উপকারে আসে।

রক্তের চর্বি কমায় : ছোলার ফ্যাটের বেশিরভাগই পলি আনস্যাচুয়েটেড। এই ফ্যাট শরীরের জন্য মোটেই ক্ষতিকর নয়, বরং রক্তের চর্বি কমায়।

অস্থির ভাব দূর করে : ছোলায় শর্করার গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের পরিমাণ কম থাকায় শরীরে প্রবেশ করার পর অস্থির ভাব দূর হয়।

রোগ প্রতিরোধ করে : কাঁচা ছোলা ভিজিয়ে কাঁচা আদার সঙ্গে খেলে শরীরে আমিষ ও অ্যান্টিবায়োটিকের চাহিদা পূরণ হয়। আমিষ মানুষকে শক্তিশালী ও স্বাস্থ্যবান বানায় এবং অ্যান্টিবায়োটিক যে কোনো অসুখের জন্য প্রতিরোধ গড়ে তোলে।

জ্বালাপোড়া দূর করে : সালফার নামক খাদ্য উপাদান থাকে এই ছোলাতে। সালফার মাথা গরম হয়ে যাওয়া, হাত-পায়ের তলায় জ্বালাপোড়া কমায়।

মেরুদণ্ডের ব্যথা দূর করে : এছাড়াও এতে ভিটামিন ‘বি’ও আছে পর্যাপ্ত পরিমাণে। ভিটামিন ‘বি’ মেরুদণ্ডের ব্যথা, স্নায়ুর দুর্বলতা কমায়। ছোলা অত্যন্ত পুষ্টিকর। এটি আমিষের একটি উল্লেখযোগ্য উৎস। এতে আমিষ মাংস বা মাছের পরিমাণের প্রায় সমান। তাই খাদ্যতালিকায় ছোলা থাকলে মাছ মাংসের প্রয়োজন পরে না। ত্বকে আনে মসৃণতা। কাঁচা ছোলা ভীষণ উপকারী। তবে ছোলার ডালের তৈরি ভাজা-পোড়া খাবার যত কম খাওয়া যায় ততই ভালো। তাই হজমশক্তি বুঝে ছোলা হোক পরিবারের শক্তি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ক্যানসার রোধে কার্যকর বেদানা

ফলের রাজা আম হলেও চিকিৎসকরা কিন্তু বলেন ফলের রাজা বেদানা। খাদ্যগুণ, পুষ্টিগুণে ভরপুর এই সুস্বাদু ফল। টাটকা বেদানা দেখতে যেমন সুন্দর, খেতেও মিষ্টি। জেনে নিন বেদানার স্বাস্থ্যগুণ।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় : বেদানার মধ্যে রয়েছে পটাশিয়াম ও ভিটামিন সি। প্রতি দিন বেদানার রস খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণও গ্রিন টি বা রেড ওয়াইনের থেকে প্রায় তিন গুণ বেশি। এর মধ্যে রয়েছে তিন প্রকার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। ট্যানিন, অ্যান্থো সিয়ানিন ও এলাজিক অ্যাসিড। অ্যান্থোসিয়ানিন দেহ কোষ সুস্থ রাখার ফলে ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে পারে। ফোলা ভাব কমে, ক্ষয় রুখতে পারে।

রক্তচাপ : প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে বেদানা সিস্টোলিক ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ফলে স্ট্রেস, টেনশন কমে। হার্টের সমস্যা থাকলে হার্টের অসুখে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও কমে।

কোলেস্টেরল : আর্টারি পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে বেদানা। বেদানার রস তাই রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে দারুণ উপযোগী। এর পলিফেনল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে। রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি হলে রোজ খান বেদানার রস।

ব্যথা ও পেশি : বাত, অস্টিওআর্থারাইটিস, পেশির ব্যথা কমাতে সাহায্য করে বেদানা। তরুণাস্থির ক্ষয় রুখতেও উপকারী বেদানা।

ক্যানসার : অ্যাপপটোসিস প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ক্যানসার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে বেদানা। প্রস্টেট ক্যানসার, ব্রেস্ট ক্যানসারে ভাল কাজ করে বেদানার অ্যান্টিক্যানসার এজেন্ট।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ঘিয়ের বহু উপকারিতা

ঘিয়ের রয়েছে বহু উপকারিতা, যা হয়তো আমরা অনেকেই জানি না। নিচে ঘিয়ের কয়েকটি উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করা হলো :

১. স্ফুটনাঙ্ক- ঘি-এর স্ফুটনাঙ্ক খুব বেশি। ২৫০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড পর্যন্ত ঘি গরম করা যায়। অধিকাংশ তেলই এই তাপমাত্রায় গরম করলে ক্ষতিকারক হয়ে যায়।

২. নষ্ট হয় না- ঘি সহজে নষ্ট হয় না। প্রায় ১০০ বছর পর্যন্ত ঠিক থাকে ঘি।

৩. স্বাদ- সুন্দর গন্ধ ও স্বাদ অথচ অধিকাংশ দুগ্ধজাত দ্রব্যের মতো ঘি থেকে অ্যালার্জি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

৪. ভিটামিন- ভিটামিন এ ও ই থাকায় ঘি পুষ্টিগুণে ভরপুর।

৫. কনজুগেটেড লিনোলেক অ্যাসিড- এই অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের অ্যান্টি-ভাইরাল গুণ রয়েছে। যা ক্ষত সারাতে সাহায্য করে। ডেলিভারির পর নতুন মায়েদের ঘি খাওয়ানো হয় এই কারণেই।

৬. ওজন ও এনার্জি- ঘিয়ের মধ্যে থাকা মিডিয়াম চেন ফ্যাটি অ্যাসিড খুব এনার্জি বাড়ায়। অধিকাংশ অ্যাথলিট দৌড়নোর আগে ঘি খান। এর ফলে ওজনও কমে।

৭. হজম ক্ষমতা- ঘিয়ের মধ্যে রয়েছে বাটাইরিক অ্যাসিড। এই অ্যাসিড হজম ক্ষমতা বাড়ায়।

৮. রোগ প্রতিরোধ- বাটইরিক অ্যাসিড শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

৯. খিদে বাড়ায়- হজম ক্ষমতা বাড়ানোর কারণে ঘি খিদে বাড়ায়।

১০. পজিটিভ ফুড- বহু প্রাচীন কাল থেকেই ঘি পজিটিভ ফুড হিসেবে পরিচিত। আধুনিক গবেষণাও বলছে ঘি খেলে পজিটিভিটি বাড়ে। কনশাসনেস উন্নত হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest