সর্বশেষ সংবাদ-
দেবহাটা উপজেলা জামায়াতের সুধী সমাবেশপ্রাণসায়ের খাল বাঁচাতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন ও সমাবেশদিনে ভোট, রাতে নয় আমার ভোট আমি দেব : আফরোজা আব্বাস অন্যায় কাজে কাউকে প্ররোচিত করবো না, উন্নয়নই হবে মূল লক্ষ্য : সাবেক এমপি হাবিবশোভনালীতে মানব পাচার প্রতিরোধ ও নিরাপদ অভিবাসন ডেস্ক উদ্বোধনআশাশুনির গোয়ালডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানববন্ধনজবাবদিহিতা ও মানবাধিকার সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে গোলটেবিল সভাতালায় টিআরএম কার্যক্রমের বকেয়া ক্ষতিপূরণের দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলনপুজামণ্ডপে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে ব্যবস্থা: সাতক্ষীরার পুলিশ সুপারজলবায়ু পরিবর্তনে মানবাধিকার নিশ্চিতকরণে শ্যামনগরে এনগেজ প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা

ঝড়-বৃষ্টিতে সাতক্ষীরার বিভিন্ন স্থানে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

নিজস্ব প্রতিবেদক: বুধবার বিকেলের কালবৈশাখী ঝড় ও ভারি বর্ষণে সাতক্ষীরার বিভিন্ন স্থানে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। নিম্নাঞ্চলের অনেক জায়গায় রাস্তাঘাট পানির নিচে তলিয়ে গেছে। কোথাও কোথাও ফসলি জমিতেও জমেছে হাঁটু পানি। কালবৈশাখীর কবলে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন আম চাষিসহ মৌসুমি ফল চাষিরাও।
তালা উপজেলার ধানদিয়া গ্রামের কৃষক ওবায়দুর রহমান বলেন, মাঠে ৩ বিঘা জমির ধান কাটা রয়েছে। বৃষ্টিতে জমিতে হাঁটু পানি জমে গেছে। অনেক ক্ষতি হয়ে গেল। ধান বিক্রি করে লাভ হবে ভেবেছিলাম। কিন্তু ধানগুলো এখনও বাড়িতে নিয়ে আসতে পারলাম না।
আমচাষি শাহপুর গ্রামের বাবলুর রহমান জানান, বুধবার বিকেলের আকস্মিক ঝড়ে গাছের আম অর্ধেকের বেশি পড়ে গেছে।
আবহাওয়া অফিস জানায়, খুলনাসহ আশপাশের এলাকায় আরও পাঁচদিন এমন ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকায় কালবৈশাখী ঝড় আঘাত হানতে পারে। বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার বা তার বেশি হতে পারে। সেই সঙ্গে বজ্রসহ ভারি বৃষ্টিও হতে পারে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সাতক্ষীরা খামারবাড়ির উপ-পরিচালক কাজী আব্দুল মান্নান বলেন, বিকেলের হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড় ও বৃষ্টিতে কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কৃষকরা এখনও তাদের জমির ধান সব ঘরে তুলতে পারেননি। তবে ক্ষতির পরিমাণ জানাতে পারেননি তিনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
লিবিয়ায় নির্বাচন কমিশনে বোমা হামলা নিহত ১১

নির্বাচন কমিশনের সদর দফতরে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (২ মে) লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপলিতে এ হামলার ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অনেকে। নির্বাচন কমিশনের মুখপাত্র খালেদ ওমর সংবাদমাধ্যমকে বলেন, নিহতদের মধ্যে তিনজন নির্বাচন কর্মকর্তা ও চারজন নিরাপত্তারক্ষী রয়েছেন।

এপি, আলজাজিরাসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, সরকারি দফতরের ভেতরেই পরপর দুটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। লিবিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বার্তায় বলা হয়, আত্মঘাতী হামলায় এ পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া দুজন আহত হয়েছেন।

লিবিয়ার নির্বাচনে নাম নথিভুক্ত করার কাজ চলছে। এজন্য জড়ো হয়েছিলেন ভোটাররা। এমন সময় হামলা চালাল কয়েকজন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, জঙ্গিদের রুখতে পাল্টাগুলি চালান নিরাপত্তারক্ষীরা। অন্যদিকে জঙ্গিদের গুলিতে চার রক্ষীর মৃত্যু হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
৬০ বলে ৫৬টি ডট ও ৮ উইকেট

প্রস্তুতিটা বেশ ভালোই হল রুমানাদের। ব্যাটে বলে দাপট দেখিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকটে দল। রুমানা ও ফারজানার সেঞ্চুরির পর বল হাতে এদিন চমক দেখিয়েছেন স্পিনার ফাহিমা।

পচেফস্ট্রুমে নর্থ ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নম্বর মাঠে ৯০ রানের জয় পেয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। দলের হয়ে একাই ৮টি উইকেট তুলে নিয়েছেন ফাহিমা খাতুন।

এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল সফরকারীরা। ২৭১ রানের বিশাল লক্ষ্য তারা করতে নেমে স্থানীয় দলটি মাত্র ১৮০ রানে অলআউট হয়।

স্পিনার ফাহিমা ১০ ওভার বল করে ৬টি ওভারই মেইডেন দেন। ৫৬টি বলে একটি রানও নিতে পারেনি রান নর্থ ওয়েস্টের ব্যাটসম্যানরা। ২৫ বছর বয়সী এই লেগব্রেক বোলার এদিন মাত্র ৫ রান খরচ করেছেন। দলের হয়ে একটি করে উইকেট পেয়েছেন সাবেক অধিনায়ক জাহানারা আলম ও খাদিজা তুল কুবরা।

এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ফারজানা হক ও অধিনায়ক রুমানা আহমেদের ব্যাটে ভর করে ২৭ রান তুলে বাংলাদেশ। দুই ওপেনার সানজিদা ইসলাম ৪ রান আর মুর্শিদা খাতুন ফেরেন শূন্য রানে। এই দুই উইকেটে পড়ার পর স্বাগতিক দলের বোলারদের আর উইকেটের মুখ দেখতে হয়নি রুমানা-ফারজানার ব্যাটিং দৃঢ়তায়। ৫০ ওভার শেষে দলের সংগ্রহ যখন ২৭০ তখন দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যানের নামের পাশে দুই শতক। ফারজানার ব্যাটে আসে ১৪৩ বলে ১০২ রান। ছিল ১০টি বাউন্ডারি। রুমানা খেলেন ১৪৪ বলে ১৩৬ রানের ইনিংস। ১৩৬ রানের লম্বা ইনিংসের ৮০ রানই আসে বাউন্ডারিতে। নর্থ ওয়েস্ট দলের হয়ে ১ উইকেট করে পান আনিকি বুচ এবং ইবোদিয়া ইয়েকিলে।

আগামী ৪ মে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শুরু হবে ৫ ম্যাচের ওয়ানডে আর ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। মূল সিরিজ শুরুর আগে বেশ আত্মবিশ্বাসী জয় পেল রুমানারা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে লেবুর রস!

লেবু। লেবু হল সাইট্রাস লিমন (Citrus limon) সাধারণ নাম। লেবুর অনেক গুণ। লেবুর শরবত একটি আদর্শ স্বাস্থ্যসম্মত পানীয়। মাত্র একটি মাঝারি আকৃতির লেবু থেকে চল্লিশ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি বা এসকরবিক এসিড পাওয়া যা একজন মানুষের দৈনিক চাহিদা পূরণের জন্য যথেষ্ট। ভিটামিন ‘সি’ দেহের রোগ প্রতিরোধকারী কোষগুলোর কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। তাই বিশ্বজুড়ে লেবু খুবই জনপ্রিয় এবং প্রতিটি দেশের রান্নাঘরে এটি একটি অপরিহার্য খাবার। তাছাড়া এটি উদ্ভিজ্জ যৌগ, খনিজ এবং দেহের জন্য প্রয়োজনীয় তেলে সমৃদ্ধ। চলুন এবার জেনে নিই লেবুর রসের চিত্তাকর্ষক সব উপকারিতা-

১. কিডনির পাথর:
লেবুতে উপস্থিত লবণ বা সাইট্রিক অ্যাসিড কিডনিতে ‘ক্যালসিয়াম অক্সালেট’ নামক পাথর গঠনে বাধা দেয়। সবচেয়ে সাধারণ কিডনি পাথরগুলোর মধ্যে এটি একটি।

২. কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে:

লেবুতে বিদ্যমান সাইট্রিক অ্যাসিড কোলন, পিত্তথলি ও লিভার থেকে বর্জ্য পদার্থ বের করতে সাহায্য করে।এটি কোষ্ঠকাঠিন্য ও পাইলসের সমস্যা দূর করতে পারে। এছাড়াও এটি পেটের গোলযোগ ও বদহজম রুখতে সাহায্য করে।

৩. শক্তি বৃদ্ধি:
লেবুর রস পরিপাক নালীতে প্রবেশ করে শরীরে শক্তি বৃদ্ধি করে। এটি মানসিক চাপ কমাতে ও মেজাজ ফুরফুরা করতেও সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

৪.হজমে সাহায্য করে:
লেবুর রস হজমে ব্যাপক সাহায্য করে। সেইসঙ্গে পরিপাক নালী থেকে বর্জ্য পদার্থ বের করে দেয়।এটি কোষ্ঠকাঠিন্যও দূর করে।

৫. ত্বক পরিষ্কার করে:

লেবুতে উপস্থিত ভিটামিন ‘সি’ ত্বকের কোষের ক্ষয় প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। শুধু তাই নয়, এই উপাদান শরীরে কোলাজেন তৈরি করে। যা মুখের অবাঞ্ছিত দাগ দূর করে ঔজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনে।

৬. ওজন হ্রাস:
লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার বা আঁশ রয়েছে। যা ক্ষুধার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা খালি পেটে লেবুর রস খান, তাদের ওজন দ্রুত হ্রাস পায়। সুতরাং ওজন বৃদ্ধি নিয়ে চিন্তা না করে প্রতিদিন সকালে লেবুর রস খান।

৭. মূত্রনালীর সংক্রমণ দূর:
যদি মূত্রনালীতে সংক্রমণ ঘটে। তাহলে প্রচুর পরিমাণে লেবুর রস পান করুন। এটি আরোগ্য লাভে সাহায্য করবে।

৮. চোখের স্বাস্থ্য:
লেবুর রস চোখের স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রণ করে এবং চোখের সমস্যার বিরুদ্ধে লড়াই করে।

৯. ক্যান্সার প্রতিরোধে:
লেবু অনেক ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। বিশেষ করে স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে এর জুড়ি মেলা ভার।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কলারোয়ায় করোথ্রিন ১০ইসি ব্যবহার করে ৪০ বিঘা জমির ধানে ব্যাপক ক্ষতি

কলারোয়া প্রতিনিধি :কলারোয়ায় ধানের পোকা দমন করতে গিয়ে ১০ কৃষকের ৪০বিঘা জমির ধান নষ্ট হয়ে গেছে। বর্তমানে ওই কৃষকরা পথে বসে গেছে।
বুধবার সকালে সরেজমিনে ঘটনা স্থানে গিয়ে ও কৃষকদের কাছ থেকে জানা গেছে- কলারোয়া উপজেলার সোনাবাড়ীয়া ইউনিয়নের ভাদিয়ালী-রাজপুর গ্রামের কৃষক আবুল হোসেন, শহিদুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, আব্দুর রহমান গাজি, আবুল খায়ের, গোলাম হোসেন, আব্দুল লতিফ, মোসলেম আলী, ফজের আলী ও মোখলেছুর রহমান চলতি মৌসুমে প্রায় ৩৫/৪০ বিঘা জমিতে ধান চাষ করেন। ধানে কোন প্রকার পোকা না লাগে তার জন্য সারফ এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ পরিবেশক মেসার্স তাহমিদ টেডার্স ভাদিয়ালী-রাজুপুরের অছিকুর রহমানের দোকান থেকে চলতি মাসের ১৫এপ্রিলে করোথ্রিন ১০ইসি নিয়ে ধানে স্প্রেরে করেন। পরে কৃষকরা মাঠে গিয়ে দেখেন যে ধান সব ঝরে গেছে। সেই সাথে ধান গাছ শুকিয়ে গেছে। বর্তমানে ওই সকল কৃষকের জমিতে ধানের ক্ষতির পরিমান প্রায় ৮০ভাগ দাড়িয়েছে। অনেক কৃষক ধারনা করছেন যে ঝিনাইদহ সার এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ আগাছা দমনের ওষুধ ভুল করে করোথ্রিন ১০ইসি পোকা দমনের বোতলে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। যার ফলে ওই ওষুধ ধানে স্প্রে করায় ধান গাছের আগা শুকিয়ে গেছে। এবিষয়ে সোনাবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম মনিরুল ইসলাম জানান- তিনি বিষয়টি শুনে ঘটনা স্থান পরিদর্শন করেছেন। একই সাথে সকল কৃষকের ক্ষতিপুরনের দাবি জানিয়েছেন। অন্যদিকে ৩নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য হাশেম আলী জানান- করোথ্রিন ১০ইসি স্প্রে করে ধান নষ্ট হয়ে যাওয়ায় কৃষকরা তার কাছে আসেন এবং ক্ষতিপুরনের দাবী করেন। সারফ এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ পরিবেশক মেসার্স তাহমিদ টেডার্স ভাদিয়ালী-রাজুপুরের অছিকুর রহমান জানান- তিনি কৃষকদের মুখে শুনে মাঠে গিয়ে সত্যতা পেয়ে কোম্পানীর সেলন্সম্যান ফারুক হোসেন ও হাসানুজ্জামানকে সেল ফোনে অবহিত করেন। কিন্তু তারা তার কথা মাথায় নিচ্ছেন না। এছাড়া কোন দিন কৃষকের মাঠে পর্যন্ত আসেনি। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মহাসীন আলী জানান- তিনি বিষয়টি জানেন না। এখন পর্যন্ত তার কাছে কোন কৃষক অভিযোগ করেননি। তবে তিনি বিষয়টি খোজ খবর নিবেন। ##

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সদর উপজেলা বোর্ড ফার্ণিচার শ্রমিক ইউনিয়নের মে দিবস পালন

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : সদর উপজেলা বোর্ড ফার্ণিচার শ্রমিক ইউনিয়নের (রেজিঃ নং ২২৩৪) পক্ষ থেকে মহান মে দিবস উপলক্ষে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে তুফান কোম্পানীর মোড় থেকে একটি র‌্যালি বের করে শহর প্রদক্ষিণ শেষে কামালনগরস্থ নিজস্ব কার্যালয়ে এক আলোচনাসভায় মিলিত হয়। সংগঠনের সভাপতি জামাল আহম্মেদ বদলের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইদ্রিসুল ইসলামের পরিচালনায় আলোচনাসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, রাবেয়া গ্লাস এর সত্বাধিকারী হাসানুর রহমান বাবু। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সহ সভাপতি তোফাজ্জেল, সাংগঠনিক আব্দুস সালাম, কোষাধ্যক্ষ ইকবাল গাজী, দপ্তর সম্পাদক আসাদুজ্জামান সজিব, প্রচার সম্পাদক আব্দুল গফুর, কার্যনির্বাহী সদস্য রবিউল ইসলাম প্রমুখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জাতীয় ছাত্র সমাজ পৌর ১নং ওয়ার্ডের আহবায়ক কমিটি অনুমোদন

জাতীয় ছাত্র সমাজ সাতক্ষীরা পৌর শাখার ১নং ওয়ার্ডের কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। ২মে জাতীয় ছাত্র সমাজ সাতক্ষীরা পৌর শাখার আহবায়ক মাসুদ রানা মনা ও সদস্য সচিব মনোয়ার হোসেন রুমি স্বাক্ষরিত একপত্রে উক্ত কমিটি বিলুপ্ত করে আগামী ০২ মাসের জন্য ৫ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়। আহবায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দ হলেন, আহবায়ক সরিফুল ইসলাম, যুগ্ম আহবায়কদ্বয় মাসুদ কবির, মোশাররফ হোসেন, ইমরুল হাসান ও সদস্য সচিব সাবিত হাসান। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় আমের আলাদা বাজার স্থাপনের দাবি ব্যবসায়ীদের

নিজস্ব প্রতিবেদক :
সাতক্ষীরায় আমের আলাদা বাজার না থাকায় কাঁচামালের আড়ৎদারদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে আম ব্যবসায়ী। নানা কৌমলে সুলতানপুর বড় বাজারের এক শ্রেণির কাঁচামালের আড়ৎদাররা হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা। এতে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে আম চাষী ও আম বাগান ব্যবসায়ীরা। এ বিষয়ে সাতক্ষীরা পৌরসভাসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন মাথা ব্যাথা নেই বলে অভিযোগ করেছেন আম ব্যবসায়ীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক আম ব্যবসায়ীরা জানান, উৎপাদনের দিক থেকে বৃহত্তম আমের বাজার রাজশাহী জেলা। সে জেলার জন্য চাপাইনবাবগঞ্জ, রহমপুর, বানেশ্বর, কানসাট, বাঘাসহ বিভিন্ন স্থানে আমাদের নির্দিষ্ট বাজার রয়েছে। অথচ রাজশাহীর পরে আম উদপাদনে সাতক্ষীরা ২য় বৃহত্তম জেলা হওয়া সত্ত্বেও এখানে আমের জন্য নির্দিষ্ট কোন বাজার নেই।
জানাগেছে, সাতক্ষীরায় আমের মৌসুমে গোবিন্দভোগ, হিমসাগর, ন্যাংড়া, বোম্বাই, আমরুপালীসহ বিভিন্ন প্রজাতির আম উদপাদিত হয়। তার মধ্যে গোবিন্দভোগ আম মৌষুমের আগে পাকে বলে এর কদর দেশ জুড়ে। আম ক্রয়ের জন্য ঢাকা, চট্টগ্রাম, বরিশাল, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থান হতে আম ব্যবসায়ীরা সাতক্ষীরায় আসেন।
এখানে আমের আলাদা কোন বাজার না থাকায় ব্যবসায়ী কাঁচামালের আড়ৎদারদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়ে। ভরা মৌসুমে সাতক্ষীরা বাজারে প্রতিদিন ৬-৭ হাজার মন আম বিক্রি হয়। কিন্তু এই আম বিক্রির ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে কাঁচামালের আড়ৎদাররা হাতিয়ে নেয় হাজার হাজার টাকা। প্রতি বাজরায় আমের জওন থাকে ৯০-১০০ কেজি এবং সাধারণ বিক্রিয় হয় ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা। এর শতকরা ১০ টাকা হারে আড়ৎদারী কাঁটে। সে হিসেবে ৫ থেকে ৬শ টাকা আড়ৎদারী নেয় বিক্রেতার কাছ থেকে। আর ক্রেতার কাছ থেকে শতকরা ৫টাকা হারে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা আড়ৎদারী নেয়। এছাড়াও উক্ত আমগুলো প্রসেসিং করতে বাজরা প্রতি ২ থেকে আড়াইশ টাকা খরচ হয়। একারণে আম ব্যবসায়ীদের বাজরা প্রতি খরচ হয় প্রায় ১ হাজার টাকা। আরেকটি বিষয় হচ্ছে আম খরিদ করার পরে আমগুলো ক্যারেট করার জন্য বাজারের বাহিরে যে কোন এক জায়ঘা ভাড়া করে নিয়ে আমগুলো প্যাকিং করতে হয়। এতে করে আরো বাড়তি টাকা খরচ হয়। যে কারণে আম ব্যবসায়ীরা এখন সাতক্ষীরা আসতে চাচ্ছে না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বহিরাগত একজন আম ব্যবসায়ী জানান, সাতক্ষীরা থেকে আম কিনে আমরা খুব একটা লাভের মুখ দেখতে পাচ্ছি না। তাই ভাবছি যশোর জেলার বাগআচড়া বেলতলা বৃহত্তম আমের বাজার। ওখানে আড়ৎদারী মাত্র শতকরা ৩ টাকা। আর অন্য কোন খরচই নেই। সেহেতু ওই বাজারই আমাদের জন্য ভালো। তা আমরা ওখান থেকে আম খরিদ করবো। তাছাড়া সাতক্ষীরায় আমের বাজার বসে তরকারীর আড়তে বা পৌরসভার রাস্তার উপরে, এতে করে যানজটের কারণে পথচারীরা বা তরকারীর আড়তে বা পৌরসভার রাস্তার উপরে, এতে করে যানযটের কারণে পথচারীরা বা তরকারী ক্রেতাদের দুর্ভোগের অন্ত থাকে না। আম ব্যবসায়ী ও চাষীদের আলাদা আমের বাজার স্থাপনের দাবি উপেক্ষিত হচ্ছে।
অথচ সাতক্ষীরা পৌরসভা ইচ্ছা করলে শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্ক, রাজারবাগান, গভঃ কলেজ মাঠ, হাইস্কুল মাঠ বা স্টেডিয়ামে মাঠে যদি কে থেকে দেড় মাসের জন্য আমের বাজারটি স্থানান্তর করে তাহলে আম চাষী ও আম বাগান ব্যবসায়ীরা উপকৃত হবে। এ সমস্যার সমাধানের জন্য সদর এমপি, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়রের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী আম চাষী ও আম বাগান ব্যবসায়ী মহল। এ বিষয়ে পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতীর ব্যবহৃত মোবাইলে ফোন দিলে তিনি রিসিভ না করায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest