সর্বশেষ সংবাদ-
দেবহাটার সরকারি কর্মকর্তা-সুধীজনদের সাথে ডিসির মতবিনিময়সাতক্ষীরার ১৮৫টি ভোটকেন্দ্রের স্কুল সংস্কারে বরাদ্দ প্রায় ৬৪ লাখ টাকাসাতক্ষীরা জেলা রোভারের ৪১ তম কোর্স ফর রোভারমেট এর মহাতাঁবু জলসাশ্যামনগরে বুনো শাকের রান্না প্রতিযোগিতাসাতক্ষীরায় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে রাস্তা সংস্কার কার্যক্রমের উদ্বোধনতারেক রহমানের জন্মদিনে সাতক্ষীরায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ছাত্রদলের শিক্ষা উপকরণ বিতরণদেবহাটায় উপজেলা মাসিক আইনশৃঙ্খলা ও উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভামহেশ্বরকাটি বাজারে বিএনপির প্রার্থী কাজী আলাউদ্দিনের লিফলেট বিতরণ৯৪ হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে আমরা আড়াই লক্ষ করেছি বলেই মুক্তিযোদ্ধারা যথাযথ সম্মান পান না আলিপুরে জামায়াতের নির্বাচনী পথ সভা

দেবহাটায় এসএসসির ফলাফলে ফাতেমা রহমান বিদ্যালয় সেরা

কে.এম রেজাউল করিম, দেবহাটা ব্যুরো: দেবহাটা উপজেলার মধ্যে এবছর এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে নাংলা ফাতেমা রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয় শীর্ষ স্থান অধিকার করেছে। গত কয়েক দিন আগে সারাদেশে প্রকাশিত এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে এই রেজাল্ট প্রকাশিত হয়। এবছর নাংলা ফাতেমা রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৬৩ জন পরীক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেছিল। তার মধ্যে ৬০ জন পরীক্ষার্থী কৃতকার্য হয়েছে। তার মধ্যে এ+ পেয়েছে ৩ জন, এ প্রেড পেয়েছে ১৮ জন, এ- পেয়েছে ২৪ জন, বি প্রেড পেয়েছে ১২ জন এবং সি গ্রেড পেয়েছে ৩ জন পরীক্ষার্থী। বিদ্যালয়ের পাশের হার ৯৩.২৩%। এ+ প্রাপ্তরা হলো সোহানা আক্তার (বানিজ্য বিভাগ), সানজিদা সুলতানা (বিজ্ঞান বিভাগ) ও খায়রুল ইসলাম (বিজ্ঞান বিভাগ)। বিদ্যালয়ের এই সাফল্যে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক এনামুল হক বাবলু জানান, বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষকদের আন্তরিকতা ও কঠোর মনিটরিং, অভিভাবকদের সাথে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ, সর্বপরি সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলে এই অভূতপূর্ব ফলাফল অর্জন সম্ভব হয়েছে। উল্লেখ্য, এবছর জেএসসি পরীক্ষার ফলাফলেও এই প্রতিষ্ঠানটি উপজেলার মধ্যে সেরা নির্বাচিত হয়েছিল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেবহাটায় ৫০ বোতল ফেন্সিডিলসহ ১ জন আটক

কে.এম রেজাউল করিম, দেবহাটা ব্যুরো ॥ দেবহাটায় পুলিশের অভিযানে ৫০ বোতল ফেন্সিডিল সহ ১ জন আটক হয়েছে। আটককৃতের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে দেবহাটা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। আটককৃত আসামীকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার ভোররাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দেবহাটা থানার ওসি কাজী কামাল হোসেনের নির্দেশনা মোতাবেক এসআই ইয়ামিন ও এসআই উজ্জ্বল কুমার দত্তের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ফোর্স উপজেলার কুলিয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে দক্ষিন কুলিয়া গ্রামের নুর ইসলাম সাহাজী ছেলে নাসির হোসেন (২৭) কে ভারতীয় ৫০ বোতল ফেন্সিডিল সহ আটক করেন। এসময় তার সাথে থাকা অপর ১ জন আসামী পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে এসআই উজ্জ্বল কুমার দত্ত বাদী হয়ে আটককৃত নাসির ও তার অপর ১ জন সহযোগীকে আসামী করে দেবহাটা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং- ০২, তাং- ০৮-০৫-১৮ ইং। আটককৃত আসামীকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা পি,এন হাইস্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পি,এন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিার পুরস্কার বিতরণ ও বার্ষিক প্রীতিভোজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে পি,এন মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি শেখ শাফী আহমেদ’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, যশোর চেয়ারম্যান প্রফেসর মোহাম্মদ আব্দুল আলীম, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর খুলনা অঞ্চলের পরিচালক প্রফেসর শেখ হারুন উর রশিদ, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড যশোর পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাধব চন্দ্র রুদ্র, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড যশোর বিদ্যালয় পরিদর্শক গাজী মনিবুর রহমান, জেলা শিক্ষা অফিসার এস.এম আব্দুল্লাহ আল-মামুন, জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ প্রমুখ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা সহকারি শিক্ষা অফিসার অলোক কুমার তরফদার, পৌর কাউন্সিলর কাজী ফিরোজ হাসান, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদিকা পৌর কাউন্সিলর জ্যোৎন্সা, কাউন্সিলর অনিমা রাণী মন্ডল, পি,এন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ভদ্রকান্ত সরকার, পি,এন মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সদস্য শেখ সালাউদ্দিন, সাবেক সদস্য মো. আব্দুল আলীম, শেখ আশরাফুল ইসলাম, রেহেনাজ পারভীন, সাবেক শিক্ষক আহম্মদ আলীসহ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন পি,এন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক প্রসেনজিত বন্দোপাধ্যয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
নির্বাচনী সংবাদ প্রচার নীতিমালার আগে ইসিকে তুলোধোনো করলেন সাংবাদিকরা

গণমাধ্যমে নির্বাচনী সংবাদ ও ফলাফল সংগ্রহ এবং প্রচার বিষয়ক নীতিমালা প্রণয়ন নিয়ে মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের তীব্র সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়েছে নির্বাচন কমিশন-ইসিকে।

নির্বাচনী সংবাদ সংগ্রহে নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাবিত নির্দেশনাগুলোর সমালোচনা ও সংশোধন দাবি করেন বেশিরভাগ সাংবাদিক। বিশেষ করে নির্বাচনী সংবাদ সংগ্রহে প্রিজাইডিং অফিসারের অনুমতি, ভোট কেন্দ্রে দায়িত্বরত কোনো কর্মকর্তা, পোলিং এজেন্টের সাক্ষাৎকার প্রচার না করার নির্দেশনার সরাসরি বিরোধীতা করেন সাংবাদিকরা।

এমন বিরোধীতার মুখে তাৎক্ষণিকভাবে ‘পোলিং এজেন্টদের সাক্ষাৎকার নেয়া যাবে না’ এমন অলিখিত নির্দেশনা তুলে নেন নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।

মতবিনিময়ে সাংবাদিকদের জন্য পেশাগত প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে এমন নীতিমালা না করার আহ্বান জানিয়ে ভোটকেন্দ্রগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য আচরণবিধি, নীতিমালা করার জোর দাবি জানানো হয়।

নির্বাচনী সংবাদ প্রচারের অভিজ্ঞতা থেকে এই দাবি উত্থাপন করে সাংবাদিকরা অভিযোগ করেন, নির্বাচন কেন্দ্রগুলোতে পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে তাদের নানা ভাবে হয়রানির শিকার হতে হয়।

মঙ্গলবার রাজধানীতে নির্বাচন ভবনে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় ভোটের মাঠে কাজ করা সাংবাদিক এবং গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলোর গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা ব্যক্তিদের বক্তব্যে এসব বিষয় উঠে আসে।

এই মতবিনিময় সভার কার্যপত্র অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশনের মতে ভোট কেন্দ্রে শৃঙ্খলা, ফলাফল নিয়ে বিভ্রান্তি যেনো না হয় সেজন্য একটি সমন্বিত নীতিমালা প্রয়োজন। কোনো আনুষ্ঠানিক নীতিমালা করা হয়নি জানিয়ে ভবিষ্যতে নীতিমালার ইঙ্গিত দিয়ে ১০টি নির্দেশনা তুলে ধরা হয়।

তবে মতবিনিময়ে বেশিরভাগ সাংবাদিক জানান, এসব নির্দেশনা সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিতে গণমাধ্যমের সামনে বড় প্রতিবন্ধকতা হবে এবং ইতোমধ্যে হতেও শুরু করেছে।

সাংবাদিকদের জন্য প্রস্তাবিত ১০টি নির্দেশনার মধ্যে ৮ম নির্দেশনাটি হচ্ছে: ভোট কেন্দ্রের ভিতরে নির্বাচনে দায়িত্বপালনরত কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী, পোলিং এজেন্টের সাক্ষাৎকার নিতে পারবেন না।

বেসরকারি টেলিভিশন ‘বাংলা ভিশন’ এর বার্তা প্রধান মোস্তফা ফিরোজ এমন নির্দেশনার সমালোচনা করেন।

এ নির্দেশনা নির্বাচনী সংবাদ সংগ্রহে সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন: এরকম কোন নির্দেশনা আগে তো কখনো ছিল না। নির্বাচন ভালো না মন্দ হচ্ছে এটা মিডিয়া কর্মীরা নিজে মুখে বলতে পারে না, সেটা বলার জন্য যারা দায়িত্বপালন করছেন তাদের বক্তব্য প্রচার করতে হয়। তাদের সাক্ষাৎকার প্রচার না হলে দেশের মানুষ বুঝতে পারবে না নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে কিনা। এরকম হলে টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর সংবাদে নির্বাচনের খবর প্রচার করার কোনো অর্থ থাকবে না।

আরও কয়েকজন সাংবাদিক প্রস্তাবিত ৮ নং নির্দেশনা নিয়ে সমালোচনা করায় তাৎক্ষণিকভাবে এই ধরনের নির্দেশনা দেয়ার চিন্তা থেকে সরে আসার কথা জানান নির্বাচন কমিশন সচিব।

অতীত নির্বাচন নিয়ে নিজের কাজের অভিজ্ঞতার আলোকে এটিএন বাংলার প্রধান নির্বাহী সম্পাদক জ ই মামুন বলেন, নির্বাচন কেন্দ্রে সহিংসতা হলে এখন সাংবাদিকরা দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের প্রশ্ন করতে পারবে না, প্রিজাইডিং কর্মকর্তা বলে দিতে পারবেন না আমার কথা বলা যাবে না, আমি কিছু দেখিনি। নির্বাচনে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে প্রিজাইডিং অফিসাররাইতো গণমাধ্যমে সেসব তুলে ধরবেন। তার যদি সেই অধিকার না থাকে তাহলে তো তার দরকারই নেই।

তবে নির্বাচনের সময় এবং ভোটের দিন ভোট কেন্দ্রের শৃঙ্খলার স্বার্থে বর্তমান সময়ে কিছু বিধি আরোপের বাস্তবতাও এড়াননি জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকরা।

তাদের মতে, যদি সাংবাদিকরা সাংবাদিকতার পেশাগত নীতি মেনে চলতো তাহলে নির্বাচন কমিশনকে আলাদা করে নির্বাচনী সংবাদ সংগ্রহের কোনো নির্দেশনা, নীতিমালার করার কথা ভাবতে হতো না।

নির্বাচনী সংবাদ প্রচারে আর কোনো ক্ষেত্রে লিখিত নীতিমালা না হলেও ফলাফল প্রচারে নীতিমালা আরোপের আহ্বান জানান চ্যানেল আইয়ের প্রধান বার্তা সম্পাদক ও চ্যানেল আই অনলাইনের সম্পাদক জাহিদ নেওয়াজ খান।

সাংবাদিকের পেশাগত নীতির বরখেলাপ হচ্ছে এমন ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, আমরা এতো নীতিনিষ্ঠ যে, সব কিছুতেই আমাদের জন্য একটি নীতিমালা লাগে। আমার মতে সাংবাদিকরা যদি সাংবাদিকতার নীতি মেনে চলেন, তাহলে ইসিকে আলাদা কোনো নীতি প্রণয়ন করতে হয় না। সেক্ষেত্রে নিশ্চয়ই আমাদের সাংবাদিকদের মধ্যেও নীতিগত ত্রুটি আছে।

প্রস্তাবিত নির্দেশনার ‘ঘ’ বা ৪ নম্বরের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে স্পষ্ট করার আহ্বান জানিয়ে জাহিদ নেওয়াজ খান বলেন, নির্বাচনে প্রার্থী বা কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষপাতিত্ব থেকে বিরত থাকতে বলা হচ্ছে। এই নির্দেশনা গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের প্রতি নাকি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সাংবাদিকের প্রতি? কারণ সাংবাদিকরা পেশাজীবী হিসেবে বিভিন্ন প্রার্থীকে সমর্থন জানাচ্ছেন। গাজীপুরে একদল এবং খুলনায় একদল সাংবাদিক নেতা সরাসরি প্রার্থীদের সমর্থন জানিয়ে গণসংযোগে নেমেছেন।

মতবিনিময় সভায় কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেলের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও মাঠ পর্যায়ের সংবাদকর্মীদের উপস্থিতি ছিল পত্রিকার তুলনায় বেশি। এতে নির্বাচন কমিশন সচিব ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম-সচিব মিজানুর রহমান, যুগ্ম-সচিব (জনসংযোগ) এস এম আসাদুজ্জামান প্রমুখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রবীন্দ্র সাহিত্যে নির্মিত যতো চলচ্চিত্র

যার হাত ধরে বাঙালি পেয়েছিলো প্রথম নোবেল পুরস্কার জয়ের স্বাদ। যার কাছে বাঙালি ও বাংলা সাহিত্য চিরঋণী। শুধু বাংলা সাহিত্যই নয়, অনেক শিল্পী, নির্মাতা, লেখক তার সাহিত্যকে অবলম্বন করে টিকে আছেন। তিনি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনি কবিদের গুরু।

আজ তার ১৫৭তম জন্মদিন। বাংলা সাহিত্যের এই প্রবাদ পুরুষকে স্মরণ করছেন নানা অঙ্গনের মানুষেরা। রবি ঠাকুরের সাহিত্য সমৃদ্ধ করেছে শিল্পের নানা মাধ্যম। সেই সমৃদ্ধির ছোঁয়া পেয়েছে এই উপমহাদেশের চলচ্চিত্রাঙ্গনও। হিন্দি, বাংলা- নানা ভাষায় নির্মিত হয়েছে তার সাহিত্য নিয়ে চলচ্চিত্র। হয়েছে প্রশংসিত, নন্দিত। এক নজরে দেখে নেয়া যাক সেই তালিকা-

চোখের বালি 
রবীন্দ্রনাথের সাহিত্য নিয়ে যতো চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে তারমধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয়, প্রশংসিত এবং নন্দিত বলা চলে ‘চোখের বালি’-কে। একই নামের উপন্যাসকে ভিত্তি করে চলচ্চিত্র তৈরি করেছেন অনেক নির্মাতা। সর্বপ্রথম এই উপন্যাস নিয়ে সিনেমা বানানো হয় ১৯৩৮ সালে। সতু সেন পরিচালিত সেই ছবিতে অভিনয় করেছিলেন সুপ্রভা মুখোপাধ্যায়, ইন্দিরা রায়, শান্তিলতা ঘোষ, রমা বন্দ্যোপাধ্যায়, হরেন মুখোপাধ্যায়, ছবি বিশ্বাস, মনোরঞ্জন ভট্টচার্য প্রমূখ।

এরপর ২০০৩ ‘চোখের বালি’ বানিয়ে হৈ চৈ ফেলে দেন প্রয়াত নির্মাতা ঋতুপর্ণ ঘোষ। এতে অভিনয় করেন ঐশ্বর্যা রাই, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, রাইমা সেন, টোটা রায়চৌধুরী, লিলি চক্রবর্তী প্রমূক।

বিনোদিনী নামের এক বিধবার মানসিক অবস্থাকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে ছবিটির কাহিনী। দুই বিধবার মধ্যকার বন্ধুত্ব ও সম্পর্ক নিয়ে ছবিটির কাহিনী পায় নতুন মাত্রা।

চারুলতা 
ছবিটি পরিচালনা করেছিলেন সত্যজিৎ রায়। চারুলতা ছবিটির কাহিনী নেয়া হয়েছে রবীন্দ্রনাথের ‘নষ্টনীড়’ গল্প থেকে। অবহেলিত এক গৃহবধূর গল্প বলা হয়েছে ছবিটিতে। যেখানে দেবরের সঙ্গে ছবিটির কেন্দ্রীয় চরিত্র চারুর এক অব্যক্ত সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

উপহার 
উপহার ছবিটির কাহিনী ধার করা হয়েছে রবীন্দ্রনাথের ‘সম্পত্তি’ থেকে। ছবিটির কেন্দ্রীয় চরিত্র মিনু বেশ সহজ সরল। ছবির নায়ক অনুপের সাথে বিয়ে হয়ে যাওয়ার পরেও নিজের সারল্য থেকে বের হতে পারে না মিনু। কিন্তু নিজের শাশুড়ি সংস্পর্শে ভেঙে যায় মিনুর সহজ সরল ভাবমূর্তিটি।

শাস্তি 
বাংলাদেশে রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে হাতে গোনা যে ক’টি ছবি বানানো হয়েছে তার প্রায় সবগুলোই নির্মিত হয়েছে ইমপ্রেস টেলিফিল্মস’র ব্যানারে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ‘শাস্তি’ (২০০৪), ‘সুভা’ (২০০৬), ‘কাবুলীওয়ালা’ (২০০৬) এবং ‘অবুঝ বউ’ (২০১০)। সরকারী উদ্যোগ কিংবা ব্যক্তিগত উদ্যোগে ব্যবসায়িকভাবে খুব কমই কাজ হয়েছে রবীন্দ্রসাহিত্য নিয়ে।

বাংলাদেশে সর্বপ্রথম রবীন্দ্রসাহিত্য নিয়ে কাজ করতে এগিয়ে আসেন চিত্র নির্মাতা চাষী নজরুল ইসলাম। রবীন্দ্রনাথের ‘শাস্তি’ গল্প অবলম্বনে ‘কাঠগড়া’ নামের একটি ছবির কাজ শুরু করেছিলেন তিনি। তবে নানা জটিলতায় কাজটি শেষ করতে পারেননি তিনি। পরে সেই একই গল্প ২০০৪ সালে ইমপ্রেস টেলিফিল্মের হাত ধরে উঠে আসে ‘শাস্তি’ ছবির মাধ্যমে। এভাবেই নির্মিত হয় বাংলাদেশের প্রথম রবীন্দ্রসাহিত্য নির্ভর চলচ্চিত্র।

এ ছবির গুরুত্বপূর্ণ চার চরিত্রে অভিনয় করেন ইলিয়াস কাঞ্চন, চম্পা, রিয়াজ ও পূর্ণিমা। । এ ছবির জন্য জাতীয় পুরস্কারও জিতে নেন চম্পা ও ইলিয়াস কাঞ্চন।

সুভা 
চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত রবীন্দ্রনাথের ছোটগল্প ‘সুভাষিণী’ অবলম্বনে নির্মিত এ ছবিতে অভিনয় করেন বাণিজ্যিক ছবির জনপ্রিয় তারকা শাকিব খান ও পূর্ণিমা। ‘সুভা’ চরিত্রে বাকপ্রতিবন্ধী মেয়ের ভূমিকায় পূর্ণিমার অভিনয় প্রশংসিত হয়েছিলো সর্বমহলে। শাকিব খানের অভিনয়ও নজর কেড়েছিলো সমালোচকদের। ইমন সাহার সংগীত পরিচালনায় বাপ্পা মজুমদারে কণ্ঠে ‘চাঁদের হাসি বাঁধ ভেঙেছে’ গানটিও ছিলো চমৎকার।

অবুঝ বউ 
নারগিস আখতার পরিচালিত ছবি ‘অবুঝ বউ’। রবীন্দ্রনাথের ‘সমাপ্তি’ ছোটগল্প অবলম্বনে নির্মিত এ ছবিতে ছবিতে অভিনয় করেন ববিতা, ফেরদৌস, শাকিল খান ও নিপুণ। এ ছবির জন্য সেরা পচিালক হিসেবে জাতীয় পুরস্কার জেতেন নারগিস আখতার। এ ছাড়া সংগীতায়োজক হিসেবে পুরস্কৃত হন সুজেয় শ্যাম। সেরা সম্পাদনা বিভাগেও পুরস্কৃত হয় ছবিটি।

কাবুলিওয়ালা 
‘কাবুলিওয়ালা’ গল্প থেকে একই নামে তৈরি করা হয় চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রটিতে ফুটে ওঠে আফগানিস্তানের খোরমা-খেজুর বিক্রেতা রহমতের সঙ্গে গ্রামের ছোট মেয়ে মিনুর বন্ধুত্ব। আফগানিস্তানে মিনুর বয়সী রহমতেরও একটি মেয়ে ছিল। বাবা ও মেয়ের বন্ধনকে সুনিপুণভাবে তুলে ধরা হয়েছে ছবিটির গল্পে।

এই গল্প নিয়ে প্রথম চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন তপন সিংহ। ১৯৫৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি ভারতীয় বাংলা নাট্য চলচ্চিত্র হিসেবে এর খ্যাতি রয়েছে। এতে অভিনয় করেছিলিন ছবি বিশ্বাস, আশা দেবী, জহর রায়, ঐন্দ্রিলা ঠাকুর প্রমূখ।

এরপর বাংলাদেশে ২০০৬ সালেও নির্মিত হয় ছবিটি। এখানে নাম ভূমিকায় অভিনয় করে প্রশংসিত হয়েছিলেন প্রয়াত নায়ক মান্না। এটি পরিচালনা করেছিলেন কাজী হায়াৎ।

অতিথি 
এই ছবিটি করেছেন পরিচালক তপন সিংহ। ছবিটি যে শুধু আনন্দই দেবে তা কিন্তু নয়। এটি আপনাকে অবাকও করবে। ছবিটিতে ‘তারা’ নামের একটি ছোট বালকের গল্প বলা হয়েছে। যে জীবনকে উপভোগ করতে নিজের ঘর ছেড়ে বাইরে চলে আসে।

ডাকঘর 
গল্পের নামেই রাখা হয়েছে ছবিটির নাম। চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন যুল ভেল্লানি। ছবিটিতে বলা হয়েছে ‘অমল’ নামের এক বালকের গল্প। যে শারীরিক অসুস্থতার জন্য ঘরের বাইরে যেতে পারে না। কিন্তু বাইরে যেতে না পারলেও তার মনের ডাকঘরে সে চিঠি আদান প্রদান করে চলে অবিরত।

নৌকা ডুবি 
রবীন্দ্রনাথের উপন্যাস নৌকাডুবি আগে হিন্দিতে চলচ্চিত্রায়িত হয়েছিল ১৯৪৬ সালে। মিলন নামে এই সিনেমায় অভিনয় করেন দিলীপ কুমার, পাহাড়ী স্যান্নাল প্রমুখ। ছবিটির পরিচালক ছিলেন নীতিন বোস।

এরপর তবে বাংলায় নৌকাডুবিকে চলচ্চিত্রের পর্দায় সার্থক করে তোলেন ঋতুপর্ণ ঘোষ ২০১১ সালে। এটি একটি সামাজিক এবং গভীর আবেগপ্রবণ একটি চলচ্চিত্র। এতে অভিনয় করেছিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, যীশু সেনগুপ্ত, রাইমা সেন ও রিয়া সেন। ১৯২০ সালের প্রেক্ষাপটে তৈরি এই পিরিয়ডিক ছবিটি মুক্তি পায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সার্ধশত জন্মবার্ষিকীতে।

ঘরে বাইরে 
রবীন্দ্রনাথের ঘরে-বাইরে উপন্যাসকে চলচ্চিত্রের পর্দায় তুলে আনেন সত্যজিৎ রায় ১৯৮৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবিতে। এ ছবিতে দুই আবাল্য সুহৃদ সন্দীপ ও নিখিলেশের সম্পর্কের টানাপড়েন সার্থকভাবে রূপায়িত হয় রুপালি ফিতায়। নিখিলেশের স্ত্রী বিমলার প্রতি সন্দীপের আকর্ষণ, তাদের প্রেম আর ইংরেজবিরোধী স্বদেশি আন্দোলনের অনেক সূক্ষ্ম বিষয় তুলে ধরে উপন্যাসটির এই চিত্ররূপ। বিমলা চরিত্রে ছিলেন স্বাতীলেখা চট্টোপাধ্যায়, সন্দীপের ভূমিকায় সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় এবং নিখিলেশ ছিলেন ভিক্টর ব্যানার্জি।

সন্দীপ এ ছবির নায়ক নন আবার খলনায়কও নন। মানবজীবনে নায়ক ও খলনায়কের মধ্যে যে অস্পষ্ট এক রেখা দেখা যায় সেই দ্বন্দ্ব খুব সার্থক অভিনয়ে তুলে ধরেন সৌমিত্র। বিমলার ঘর থেকে বাইরের পৃথিবীতে আসা এবং ঘরের প্রতি মমতার নিখুঁত চিত্রায়ণ ঘটান সত্যজিৎ রায়। ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সম্মাননা পায় ‘ঘরে-বাইরে’।

চতুরঙ্গ 
ছবির কাহিনী নেওয়া হয়েছে রবীন্দ্রনাথের ‘চতুরঙ্গ’ থেকে। ঔপনিবেশিক উত্তাল বাংলাকে তুলে ধরা হয়েছে ছবিটিতে। শচীশ নামের চরিত্রের কর্মকাণ্ড ও চিন্তাধারাকে কেন্দ্র করে এগিয়ে গিয়েছে ছবিটির কাহিনী।

লেকিন
ছবিটির কাহিনী ধার করা হয়েছে রবীন্দ্রনাথের ‘ক্ষুধিত পাষাণ’ গল্প থেকে। ছবিটি পরিচালনা করেছেন গুলজার। ছবিতে সামির নামের এক যুবক প্রেমে পড়ে রেবা নামের একটি নারীর বাস্তবে যার কোনো অস্তিত্ব নেই। সারাক্ষণই নিজের মনে রেবাকে খুঁজে বেড়াতে থাকে সামির।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রাবি শিক্ষক রেজাউল হত্যায় দুইজনের মৃত্যুদণ্ড

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষক অধ্যাপক ড. এ এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যা মামলায় দুইজনের মৃত্যুদণ্ড ও তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শিরীন কবিতা আখতার মঙ্গলবার দুপুরে এ রায় দেন।

আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বগুড়ার শিবগঞ্জের মাসকাওয়াত হাসান ওরফে আব্দুল্লাহ ওরফে সাকিব ও রাবির ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী শরিফুল ইসলাম। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- নীলফামারীর মিয়াপাড়ার রহমত উল্লাহ, রাজশাহী মহানগরীর নারিকেল বাড়িয়া এলাকার আবদুস সাত্তার ও তার ছেলে রিপন আলী। এর মধ্যে শরিফুল পলাতক রয়েছেন। আর জামিনে রয়েছেন আবদুস সাত্তার। বাকি তিন আসামিকে দুপুরে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।

এদিকে রায় ঘোষণার পর অধ্যাপক রেজাউল করিম সিদ্দিকীর মেয়ে রেজওয়ানা শতভী বলেন, রায়ে আমার পরিবার সন্তুষ্ট। তবে দ্রুত রায়ের বাস্তবায়ন দেখতে চাই।

এর আগে আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শেষ হয় ২০১৭ সালের ৬ নভেম্বর। এরপর অভিযোগপত্রে আটজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। আট আসামির মধ্যে খায়রুল ইসলাম বাঁধন, নজরুল ইসলাম ওরফে বাইক হাসান ও তারেক হাসান ওরফে ওসমান অভিযোগপত্র দেয়ার আগেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন। তাই তাদের বিরুদ্ধে বিচারকাজ পরিচালিত হয়নি।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু বলেন, গত ১১ এপ্রিল মামলার রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। ওই দিন বিচারক রায় ঘোষণার জন্য ৮ মে দিন ধার্য করেন। এ মামলায় মোট ৩২ জন সাক্ষী ছিলেন। তবে আদালত ২৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ২৩ এপ্রিল সকালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. এ এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকীকে রাজশাহী নগরীর শালবাগান এলাকায় নিজের বাড়ি থেকে মাত্র ৫০ গজ দূরে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জাপানের প্রধানমন্ত্রীকে জুতায় খাবার পরিবেশন করল ইসরায়েল!

জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে স্বস্ত্রীক গত সপ্তাহে ইসরায়েল সফরকালে ভোজের আয়োজন করে দেশটি৷ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বাসভবনে ওই আয়োজন করা হয়৷ ইসরায়েলের সেলিব্রিটি শেফ সেগেভ মোশে খাবার পরিবেশন করেন৷ খাবারের শেষ পর্বে চকচকে চামড়ার জুতায় চকোলেট পরিবেশন করেন তিনি। খবর দ্য বিজনেস ইনসাইডার।

এদিকে, ভোজের আয়োজন জুতায় চকোলেট পরিবেশনের ঘটনায় জাপানের এক কূটনীতিকের মন্তব্য, শেফ যদি এটা মজার জন্যও করে থাকেন তবু্ও আমরা মনে করি না এটা মজার বিষয়৷ এ ঘটনায় ভীষণভাবে ক্ষুব্ধ আমরা৷’

জানা যায়, ঘটনায় ইসরায়েলের কর্মকর্তারাও হতভম্ব হয়ে যান৷ এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা একে একটি অসংবেদনশীল সিদ্ধান্ত বলে মন্তব্য করে বলেন, জাপানি সংস্কৃতিতে জুতাকে খুবই নীচু স্থানে রাখা হয়৷ কেবল ঘরেই নয় আপনি তাদের অফিসেও জুতা খুঁজে পাবেন না৷ এটি অত্যন্ত অসম্মানজনক৷

তবে ঘটনার পর গত রবিবার ইনস্টাগ্রামে শেফ সেগেভ গর্বিতভাবে জুতোয় ভরা মিষ্টির একটি ছবি পোস্ট করেছেন।

উল্লেখ্য, জুতার বিষয়ে জাপান খুবই খুঁতখুঁতে৷ সে দেশে জুতা ঘরে রাখা হয় না৷ জাপানি সংস্কৃতিতে জুতার জায়গা বাড়ির বাইরে৷ জাপানে ডাইনিং রুমে জুতা রাখা শিষ্টাচার বর্হিভূত বিষয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
খালেদার জামিন প্রশ্নে আপিলে শুনানি ফের বুধবার

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চে মঙ্গলবার বেলা ১ পর্যন্ত এ বিষয়ে শুনানি চলার পর বুধবার পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করে আদালত।

দিনের শুরুতে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান তার বক্তব্য উপস্থাপন করেন। পরে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। কেন খালেদা জিয়ার জামিন বাতিল হওয়া উচিৎ- সে বিষয়ে তারা সর্বোচ্চ আদালতের সামনে যুক্তি তুলে ধরেন।

দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষের বক্তব্য শেষে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী।

খালেদার অপর আইনজীবীদেরে মধ্যে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, জয়নুল আবেদীন, মাহবুবউদ্দিন খোকন ও সানউল্লাহ মিয়াও উপস্থিত ছিলেন শুনানিতে।

বিএনপি নেতাদের মধ্যে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে দেখা যায় আদালতে।

এই শুনানি ঘিরে সকাল থেকে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। আদালত প্রাঙ্গণে ঢোকার সময় তল্লাশি করা হয় সবাইকে।

দুদকের এ মামলায় পাঁচ বছরের সাজার রায়ের পর গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদাকে রাখা হয়েছে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন সড়কের পরিত্যাক্ত কারাগারে।

জজ আদালতের ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে আপিল চলমান থাকা অবস্থায় ৭৩ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ জামিন পাবেন কি না- তা নির্ভর করছে এই শুনানি এবং আপিল বিভাগের সিদ্ধান্তের ওপর।

খালেদার অসুস্থতা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে আসা বিএনপি নেতারা আশা করছেন, সব দিক বিবেচনা করে হাই কোর্টের জামিন আদেশ বহাল রাখবে আপিল বিভাগ।

তবে জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় জামিন পেলেও অন্য মামলায় খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে তার মুক্তি বিলম্বিত করার কৌশল সরকার নিতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে বিএনপি নেতাদের মধ্যে।

বিদেশ থেকে জিয়া এতিমখানা ট্রাস্টের নামে আসা দুই কোটি ১০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের এই মামলা দায়ের করা হয়েছিল জরুরি অবস্থার মধ্যে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই।

রমনা থানায় দুদকের করা এই মামলার বিচার চলে পুরো দশ বছর। ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আখতারুজ্জামান গত ৮ ফেব্রুয়ারি এ মামলার রায়ে খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সাজা দেওয়ার পাশাপাশি তার ছেলে তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক সাংসদ কাজী সালিমুল হক কামাল, সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদকে দশ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেন।

পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হওয়ার পর মামলার নথি নিম্ন আদালত থেকে এনে তা দেখে গত ১২ মার্চ খালেদা জিয়াকে চার মাসের জামিন দেয় হাই কোর্টের একটি বেঞ্চ।

দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষ ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে গেলে সর্বোচ্চ আদালত গত ১৪ মার্চ জামিন স্থগিত করে নিয়মিত আলিভ টু আপিল করতে বলে।

এরপর ১৯ মার্চ দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষকে আপিলের অনুমতি দিয়ে ৮ মে শুনানির দিন ঠিক করে দেয় আপিল বিভাগ। ফলে খালেদার জামিন স্থগিতই থাকে।

জামিন প্রশ্নে সর্বোচ্চ আদালতের এ আদেশকে ‘নজিরবিহীন’ ও ‘অপ্রত্যাশিত’ হিসেবে বর্ণনা করে খালেদার আইনজীবী মওদুদ আহমদ সেদিন বলেন, “সর্বোচ্চ আদালত আদেশ দিয়ে দিয়েছে, এখন আইনি লড়াই ছাড়া বিকল্প নেই। আরেকটি হচ্ছে রাজপথের আন্দোলন। সেটি তো সুপ্রিম কোর্টে করতে পারব না। তবে আমরা যারা আইনজীবী আছি, তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব তার (খালেদা জিয়া) কারামুক্তির জন্য।”

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest