মোস্তাফিজুর রহমান আশাশুনি: আশাশুনিতে সুশিল সমাজের নেতৃবৃন্দের সাথে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেনের এক মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হযেছে। বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৩টায় উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এ মত বিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। মতবিনিময় সভায় সুশিল সমাজের নেতৃবৃন্দ উপজেলার বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন। এসময় পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়ি বাঁধ, সাতক্ষীরা টু ঘোলা জরাজীর্ণ রাস্তা, জলাবদ্ধতা, খাস জমি বন্ধবস্ত, নিরাপদ পানি, বাজারঘাটসহ উপজেলার বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জবাবে জেলা প্রশাসক বলেন, রাতারাতি এসকল সমস্যার সমাধান সম্ভব না। তবে প্রয়োজনীয়তার উপর ভিত্তি করে একএক করে সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করে যাব। এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাফফারা তাসনীন, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মেজাবে রহমত, আশাশুনি সরকারি কলেজের সহকারি অধ্যাপক তৃপ্তি রঞ্জন সাহ, চেয়ারম্যান আবু হেনা সাকিল, স ম সেলিম রেজা মিলন, প্রভাষক ম. মোনায়েন হোসেন, আব্দুল আলীম মোল্যা, দিপংকর সরদার দ্বীপ, প্রবীন আ’লীগ নেতা সরদার হাফিজুর রহমান, সাবেক মুক্তি যোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল হান্নান, আশাশুনি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশরাফুন্নাহার নার্গীস, বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামরুন নাহার, সাবেক চেয়ারম্যান স ম সেলিম রেজা সেলিম, আশাশুনি প্রেসক্লাব সাবেক সাধারন সম্পাদক এসএম আহসান হাবিব, সাংবাদিক সাহেব আলী আশাশুনি রিপোর্টার্স ক্লাব সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সম্পাদক আকাশ হোসেন, সাংগঠনিক এমএম নুর আলম, আশাশুনি অন-লাইন প্রেস ক্লাব সভাপতি এসকে হাসান, সাংবাদিক প্রভাষক শেখ হেদায়েতুল ইসলাম, বাহাবুল হাসনাইন, ফায়জুল কবির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি শক্তিমান চাকমাকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন তার সাথে রূপম চাকমা।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে যাওয়ার সময় খুব কাছ থেকে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনার জন্য ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টকে (ইউপিডিএফ) দায়ী করা হয়েছে।
অবশ্য ইউপিডিএফের মুখপাত্র নিরন চাকমা এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, এটা মিথ্যা ও বানোয়াট। এর সাথে ইউপিডিএফের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
শক্তিমান চাকমার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।
উপজেলা পরিষদ চত্বরের বাসভবনেই থাকতেন শক্তিমান চাকমা। সেখান থেকে মোটরসাইকেলে করে আসার পথে দুজন অস্ত্রধারী তাকে গুলি করে। তখন মোটরসাইকেল থেকে পড়ে যান তিনি। এ সময় একজন অস্ত্রধারী কাছে গিয়ে তাকে গুলি করে দ্রুত পালিয়ে যায়।
ঘটনার পর আহত শক্তিমান চাকমাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক শক্তিমান চাকমাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অ্যাডভোকেট শক্তিমান চামকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিভাগের ছাত্র ছিলেন। ছাত্রজীবনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন।
তিনি ২০১০ সালে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি থেকে বেরিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (এম এন লারমা) নামের নতুন দলে যোগ দেন।