সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আয়োজনে বিজয় দিবস পালনতালায় সেতু আবুলসহ ৩ জন আটকসাউথ-এশিয়ান পিপলস ডায়ালগে জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় এগ্রোইকোলজির গুরুত্বারোপগ্রীন টিভির সাতক্ষীরা প্রতিনিধি হলেন মীর খায়রুলস্থানীয় জাতবৈচিত্র্য সংরক্ষণ বিষয়ক প্রশিক্ষণে নেপালের পারমাকালচারের প্রতিনিধি দলসাতক্ষীরা জেলা আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মাসিক সভাসাতক্ষীরায় জামায়াত প্রার্থীর নির্বাচনী পথসভায় ইসলামী সংগীত পরিবেশন : পুলিশ সদস্য মহিবুল্লাহ বরখাস্তসাতক্ষীরা জজ কোর্টের সাবেক পিপি ও তার ছেলেকে কারাগারে প্রেরণসাতক্ষীরা জজ কোর্টের সাবেক পিপি  লতিফ ও তার ছেলে রাসেল আটকসাংবাদিক মোমিনের সুস্থ্যতা কামনায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের বিবৃতি

দরগাহপুরে ৩দিনে ৩ জনের মৃত্যু

দরগাহপুর প্রতিনিধি : আশাশুনি উপজেলাধীন দরগাহপুর গ্রামে গত ৩ দিনে ৩ জন নারী-পুরুষ’র মৃত্যু হয়েছে। প্রকাশ, গত ৫ মে শেখ আলী হোসেন’র কন্যা মুন্নি খাতুন ডায়াবেটিক্স জনিত রোগে ৩০ বছর বয়সে ২টি শিশু ছেলে-মেয়ে রেখে মারা যায়। মুন্নি একজন ধার্মিক মেয়ে ছিল। জামে মসজিদে জানাজা শেষে পারিবারিক কবর স্থানে তাকে দাফন করা হয়। পরের দিন ৬ মে মৃতঃ আব্দুর রহিম’র পুত্র জামে মসজিদ’র সাবেক মোয়াজ্জেন ও খাদেম শেখ শাহবুদ্দীন সদন তিনি ৮০ বছর বয়সে রোগে-শোগে মৃত্যু বরণ করেন। তার ৬ পুত্র ৪ কন্যা ও স্ত্রী আছে। তাকেও জানাজা শেষে পারিবারিক কবর স্থানে দাফন করা হয়। পরের দিন ৭ মে মৃত কুরবার আলী’র পুত্র শরল-সোজা ব্যাক্তি শেখ আরিজুল হক দুপুরে ৭৫ বছর বয়সে বার্ধক্য জনিত কারনে মৃত্যু বরণ করেন। বর্তমান তার ৫ পুত্র ১ কন্যা ও স্ত্রী আছে। একই গ্রামে পর পর ৩ দিনে ৩ জনের মৃত্যু হওয়ায় বিশেষ করে বয়জষ্ঠ্যেদের মাঝে মৃত্যুর ভয় কাজ করছে। উল্লেখিত ব্যক্তিদের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনিতে ট্রাকের ধাক্কায় সাইকেল আরহীর মৃত্যু

আশশুনি ব্যুরো: আশাশুনিতে ট্রাাকের ধাক্কায় লিয়াকত আলী সরদার (৪৮) নামে এক সাইকেল আরহীর মৃত্যু হয়েছে। দূর্ঘটনাটি ঘটেছে কুল্যা ইউনিয়নের বাহাদুরপুরস্থ কুল্যা টু আশাশুনি সড়কে। নিহত লিয়াকত আলী কুল্যা ইউনিয়নের আারার গ্রামের মৃত শহর আলী সরদারের পুত্র। প্রতক্ষদর্শী সুত্রে জানাগেছে, ঘটনার সসয় বেলা ১১টার দিকে লিয়াকত আলী সাইকেল চালিয়ে বুধহাটা বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। পতিমধ্যে বাহাদুরপুর ঘটনাস্থানে পৌছালে বিপরিত দিক থেকে আসা দ্রুতগামির একটি ট্রাক তাকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাাকে উদ্ধার করে প্রথমে বুধহাটা বেসরকারি ক্লিনিকে পরে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে প্রেরন করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকাল ৪টায় তার মৃত্যু হয়। সদর থানা পুলিশ লাশের সুরতহাল রিপোর্ট শেষে নিহতের পরিবারের কাছে লাশ হম্তান্তর করেন। ঘাতক ট্রকটিককে আটকানো সম্ভব হয়নি।এ ঘটনায় আাশাশুনি থানায় কোন অভিযোগ হয়নি বলে থানা সূত্রে জানাগেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনিতে মন্দিরের সম্পত্তি নিয়ে সংঘর্ষে আহত-৪

আশাশুনি ব্যুরো : আশাশুনিতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মন্দিরের নামে ডিসিয়ারকৃত সম্পত্তি জবর দখল কালে সংঘর্ষে মন্দির কমিটির সাবেক সভাপতিসহ ৪ জন আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার সময় কুল্যা ইউনিয়নের গাবতলা কালীমন্দির প্রঙ্গনে। মারামারি ঠেকাতে যাওয়া কাটাখালী গ্রামের মৃত আবুল হোসেন সরদারের পুত্র আমিনুর ইসলাম (২৯) গুরুতর হাড়ভাঙা জখম হওয়ায় তাকে প্রথমে আশাশুনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরবর্তীতে বিকালে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। জানাগেছে, গাবতলা মৌজার ২ একর ৫০ শতক জমি মন্দির কমিটির পক্ষে পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে সাবেক মন্দির কমিটির সভাপতি দেবব্রত সরকারের নামে ২০১৬ সাল থেকে একসনা ডিসিয়ার হয়ে আসছে এবং মন্দিরের উন্নয়নে এই সম্পত্তি ব্যবহার করে আসছে। ঘটনার দিন কাটাখালী গ্রামের মাসুম বিল্লাহ ও হামিদ গাজী তাদের সন্ত্রসী বাহিনী বাঁশ ও লোহার রডসহ দেশীয় বিভিন্ন অস্ত্রে সর্জিত হয়ে ঐ সম্পত্তি জবর দখলের চেষ্টা চালায়। মন্দির কমিটির সদস্যরা এসময় তাদেরকে বাধা দিলে মাসুম বিল্লাহর সন্ত্রাসী বাহিনী তাদেরকে এলোপাতাড়ি মারপিট করতে থাকে। ঠেকাতে গেলে আমিনুর ইসলামকে গুরুতর হাড়ভাঙা জখম করে তারা ঘটনা স্থান ত্যাগ করে। এ ঘটনায় কমিটির সভাপতি, সদস্য রাজ্যেশ্বর ও অনির্বানকে স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। জানতে চাইলে আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহা: মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় লিখিত ভাবে এখনও কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় হাসান ব্রাদার্স ভলিবল লীগের ফাইনালে কুকরালী চ্যাম্পিয়ন

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরায় হাসান ব্রাদার্স ভলিবল লীগের ফাইনাল খেলার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে সাতক্ষীরা স্টেডিয়ামের ভলিবল গ্রাউন্ডে জেলা ক্রীড়া সংস্থা এবং হাসান ব্রাদার্সের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় এবং হাসান ব্রাদার্সের পৃষ্ঠপোষকতায় জেলা ভলিবল কমিটির আহবায়ক জেলা পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে লীগের ফইনাল খেলায় বিজয়ী চ্যাম্পিয়ন দল ও রানার্সআপ দলের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন সাতক্ষীরা-০২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা ভলিবল কমিটির আহবায়ক জেলা পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমান, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আব্দুল হান্নানের জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি আশরাফুজ্জামান আশু, সাধারণ সম্পাদক এ.কে.এম আনিছুর রহমান, জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ, জেলা ক্রীড়া অফিসার খালিদ জাহাঙ্গীর, জেলা ক্রীড়া সংস্থার যুগ্ম সম্পাদক তৈয়েব হাসান বাবু, শেখ আব্দুল কাদের, কোষাধ্যক্ষ শাহ-আলম হাসান শানু, জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদিকা ফারহা দীবা খান সাথী প্রমুখ। হাসান ব্রাদার্স ভলিবল লীগ-২০১৮ এর খেলায় ৫৯টি টিম অংশ নিয়েছে। ফাইনাল খেলায় জোর প্রতিদ্বন্দিতা করে কুকরালী আদর্শ যুব সংঘ বনাম শেখ সামছুর রহমান স্মৃতি সংসদ । হাসান ব্রাদার্স ভলিবল লীগ-২০১৮ এর ফাইনাল খেলায় শেখ সামছুর রহমান স্মৃতি সংসদকে ৩/১ গেমে পরাজিত করে কুকরালী আদর্শ যুব সংঘ জয়লাভ করে এবং চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার কোষাধ্যক্ষ শাহ আলম হাসান শানু, ভলিবল সম্পাদক রুহুল আমিন, নির্বাহী সদস্য কাজী কামরুজ্জামান, ইকবাল কবির খান বাপ্পি, ইদ্রিস বাবু, সৈয়দ জয়নুল আবেদিন জসি, কবিরুজ্জামান রুবেল, হাফিজুর রহমান খান বিটু, মো. আলতাপ হোসেন ও শফিউল ইসলাম খান প্রমুখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মাহমুদপুরে মুক্তিযোদ্ধা এগ্রো ফিসারীজের উদ্বোধন

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মাহমুদপুরের দাঁতভাঙ্গা বিলে মুক্তিযোদ্ধা এগ্রো ফিসারীজের উদ্বোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে ফিসারীজের উদ্বোধন করেন, সাতক্ষীরা জেলা মুুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবু বকর সিদ্দিক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা কমান্ডার হাসানুল ইসলাম, সাবেক উপজেলা কমান্ডার মোহাম্মাদ আলী, মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুর রহমান, রফিকুল ইসলাম, আব্দুল মোমেন, আব্দুল্লাহ শেখ, কার্তিক চন্দ্র সরকার, আব্দুস সাত্তার, আতিয়ার রহমান, সিরাজুল ইসলাম, মাস্টার তৈয়েবুর রহমান, আজিজুল ইসলাম, সাতক্ষীরা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের আহবায়ক লায়লা পারভীন সেজুতি, হাসানুজ্জামান, কবির ইসলাম, সুন্দরবন টেক্সটাইলস মিলের অবসর প্রাপ্ত জি এম শফিউল ইসলাম খান, সাবেক কাউন্সিলর মোমিন উল্লাহ মোহন, মোক্তার আলী। এছাড়া এলাকাবাসীর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সাহাজুদ্দিন আকুন্দি, ইবাদুল সানা, আ: আলিম, রহমত আলী, কওছার আলী, শফিকুল ইসলাম প্রমুখ। বীরমুক্তিযোদ্ধা ও অবসর প্রাপ্ত বিআরডিবি কর্মকর্তা আলহাজ্ব জি এম আব্দুল গফুর ১৪ বিঘা জমির উপর ফিসারীজটি স্থাপন করেছেন। সেখানে ধানের মৌসুমে ধান উৎপাদন করা হবে এবং ধানের মৌসুম শেষ হলে ফিসারীজের কার্যক্রম চলবে।
উদ্বোধন শেষে ফিসারীজের প্রতিষ্ঠাতা জি এম আব্দুল গফুর বলেন, মুক্তিযোদ্ধা পরবর্তীতে সময়ে আমি বিআরডিবিতে চাকুরি করতাম। কিন্তু অবসরের পর বড় মেয়ের অনুরোধে আমেরিকা গিয়েছিলাম। যে দেশের জন্য যুদ্ধ করলাম। সেই দেশ ছেড়ে অন্য দেশে কিভাবে থাকবো। তাই আবারো আমার প্রাণের বাংলাদেশের টানে দেশে ফিরে আসি। দেশের মানুষের জন্য আরো কিছু কাজ করার মানষিকতা নিয়েই মুক্তিযোদ্ধা ফিসারীজের পথচলা। আপনাদের দোয়া এবং সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠানটির শুভ উদ্বোধন করা হলো। আপনারা পাশে থাকলে প্রতিষ্ঠানটি নিশ্চয় এগিয়ে যাবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা-১ আসনে ১৪ দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী জাসদ নেতা বাবলু প্রচার-প্রচারনায় ব্যস্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ মনোনীত ও সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনের ১৪ দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী শেখ ওবায়েদুস সুলতান বাবলু এলাকায় গণসংযোগ, মতবিনিময়, বিভিন্ন সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ওয়াজ মাহফিল, যজ্ঞানুষ্ঠানে অংশগ্রহণসহ দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে সাংগঠনিক কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
বর্তমানে ক্লিন ইমেজখ্যাত ব্যক্তি হিসেবে ইতোমধ্যে সুনাম কুড়িয়েছেন তিনি। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তালা-কলারোয়ার আপামর জনগন স্বাদরে গ্রহণ করছেন। প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এলাকার মানুষের খোঁজ খবর নিচ্ছেন, জনগনের সুখ দুঃখের ভাগী হচ্ছেন। এমন কি তিনি মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত হয়ে এলাকার উন্নয়নে কি ধরনের কাজ করবেন সবই এলাকাবাসীর সামনে তুলে ধরছেন।
সাতক্ষীরা-১(তালা-কলারোয়া) আসনের প্রায় সর্বত্র ব্যানার, বিলবোর্ড পোষ্টারের মাধ্যমে নির্বাচনী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
১৭ ডিসেম্বর ১৯৬৭ সালে তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা থানার পারকুমিরা গ্রামের এক মুসলিম সম্ভ্রান্ত পরিবারে শেখ সুলতান আহমেদ ও আনোয়ারা সুলতানার কোল আলোকিত করে জন্ম গ্রহণ করেন শেখ ওবায়েদুস সুলতান বাবলু।
ছাত্র জীবন থেকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক, ডিপ্লোমা ইন স্টোরস ম্যানেজমেন্ট এন্ড স্টক কন্ট্রোল, ইংল্যান্ড থেকে ডিগ্রি অর্জন করেন।
১৯৮৩ সালে মজিদখান শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সাথে সক্রিয়ভাবে আন্দোলনে অংশগ্রহন করে গ্রেফতার হন।
১৯৯০ সালে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে গ্রেফতার হন, ২০০৮ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জরুরী আইনে গ্রেফতার হয়ে ৪ মাসের ডিটেনশনে সাতক্ষীরা,খুলনা ও ঢাকার কারাগারে কাটিয়ে মুক্ত হন।
১৯৮৩ – ১৯৮৫ বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, গাজীপুর জেলা কমিটির সহ সম্পাদক, ১৯৮৮-১৯৯০ বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, সাতক্ষীরা জেলা কমিটির সভাপতি, ২০০৪-২০০৮ এবং ২০০৯-২০১১ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ এর সাতক্ষীরা জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক, ২০০৯-২০১১ জাসদ কেন্দ্রীয় কার্যকরী সদস্য, ২০১৬-জাসদ কেন্দ্রীয় কার্যকারী কমিটির ২০১৯ সহ সম্পাদক, জেলা ১৪ দলের ষ্টিয়ারিং কমিটি সদস্য। পাটকেলঘাটা বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসাবে ৫ বছর দায়িত্ব পালন করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কিশোর-কিশোরী সম্মেলন উপলক্ষ্যে কলারোয়ায় প্রস্তুতি সভা

নিজস্ব প্রতিনিধি : বাংলাদেশ কিশোর-কিশোরী সম্মেলন- ২০১৮ উপলক্ষ্যে কলারোয়ায় উপজেলা পর্যায়ে প্রতিযোগিতা বাস্তবায়নে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবদুল হামিদের সভাপতিত্বে তাঁর অফিস কক্ষে ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর আয়োজনে ‘মেধা মননে সুন্দর আগামি’ স্লোগানে দেশব্যাপী ১০হাজারের অধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নির্বাচিত ৭’শ জন সৎ, যোগ্য ও মেধাবী শিক্ষার্থী জাতীয় পর্যায়ে ১জুলাই রাজধানী ঢাকার কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশনে ওই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিজয়ীরা জাতীয় পর্যায়ে কিশোর-কিশোরী সম্মেলনে অংশ নেবে।
‘নৈতিকতা ও মূল্যবোধ, সৃজনশীল লেখা, বুদ্ধিমত্তা যাচাই এবং নেতৃত্বের গুনাবলী’ শীর্ষক বিষয়বস্তু ও কর্মশালায় স্কুল-কলেজের ৯ম, ১০ম, একাদশ ও দ্বাদশ বা সমমান শ্রেণির শিক্ষার্থীরা লিখিত প্রতিযোগিতায় অংশ নিবেন।
এনজিও সাস’র সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন সহকারী শিক্ষা অফিসার হারুন অর রশিদ, অধ্যক্ষ আবু বকর সিদ্দীক, অধ্যক্ষ মুহা. আইয়ুব আলী, প্রধান শিক্ষক হরি সাধন ঘোষ, প্রধান শিক্ষক বদরুজ্জামান বিপ্লব, প্রধান শিক্ষক সাংবাদিক রাশেদুল হাসান কামরুল, মাদরাসা সুপার মুনায়েম হোসেন, সহকারী শিক্ষক রফিকুল ইসলাম লাল্টু প্রমুখ।
সভার সিদ্ধান্ত মতে- আগামি ১৪ মে কলারোয়া গার্লস পাইলট হাইস্কুলে সকাল ১০টায় উপজেলার ৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২টি কলেজ ও ২টি মাদরাসা থেকে ১০জন করে সর্বমোট ১০০জন শিক্ষার্থী প্রতিযোগিতামূলক ৩০ নম্বরের বিষয়ভিত্তিক একটি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করবে। যার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ মিনিট।
এ ব্যাপারে সকলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেছেন মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবদুল হামিদ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কলারোয়ায় বিলুপ্তির পথে গাব গাছ ও ফল

নিজস্ব প্রতিনিধি: কলারোয়ায় বিলুপ্তির পথে গাব গাছ ও গাব ফল। গাবের ফলের উপযোগিতা রয়েছে অনেক। মানুষের কল্যাণে এটি দারুণ কাজে আসলেও গাব ফলের কল্যাণে মানুষের কাজ যেনো থমকে গেছে।
জানা গেছে- গব ফল থেকে ট্যানি জাতীয় আঠা তৈরি করা হয়। টেকসই করতে এই আঠা মাছ ধরার জালে, পশুর চামড়ায় এবং নৌকায় ব্যবহৃত হয়। এছাড়া বিশেষ প্রক্রিয়া গাব ফলের রং দিয়ে জালের রংসহ অন্যান্য রং-এর প্রলেপ দেয়া যায়, যেটা খুবই দীর্ঘস্থায়ী।
দেশি গাবের ফল গোলাকার। খেতে হালকা মিষ্টি ও কষযুক্ত। চলতি মৌসুমে এলাকার কিছু কিছু গাছে সল্প পরিমাণে গাব দেখা গেছে। সেগুলো পাঁকতেও শুরু করেছে। সবুজ ফল পাকলে হলুদবর্ণ ধারণ করে।
এছাড়া মানুষের বহুমূত্র, ক্যান্সার, এ্যাকজেমা, চর্মরোগ, আমাশয়, মূত্ররোগে গাব একটি কার্যকর ভেষজ বলে আয়ুর্বেদাচার্য শিবকালী ভট্টাচার্য চিরঞ্জীব বনৌষধিতে গাবের বিভিন্ন ভেষজ প্রয়োগের কথা উল্লেখ রয়েছে।
পরিপক্ক একটি গাব গাছ ৩০-৩৫ মিটার লম্বা আর ৬৫-৭০ মিটার ব্যাসের হয়ে থাকে। কিন্তু জ্বালানি হিসেবে ব্যবহারের ফলে, বসতবাড়ি তৈরির ফলে, মনুষ্যসৃষ্টির ফলে ও অন্যান্য কারণে হারিয়ে যেতে বসেছে সেই গাব গাছ।
অনেকে জানিয়েছেন- ‘কয়েক বছর আগেও উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রচুর পরিমাণে গাব গাছ দেখা যেতো। গাব গাছ নিয়ে মানুষের মাঝে রয়েছে ভীতিও। কিছু সহজসরল মানুষের ধারণা গাব গাছে নাকি ভূত-পিচাশ বাস করে। এর সত্যতা পাওয়া না গেলেও ঘন পল্লবের গাব গাছকে নিরাপদ মনে করে পেঁচার মতো প্রাণী বাস করতো। আর রাতে পেঁচাকে ভূত-পিচাশ ভেবে ভয় পেতো কেউ কেউ।’
তারা জানান- ‘কালের বিবর্তনে লোকালয়ের চাপে ঝোপ-ঝাড় ধ্বংস আর অবাধে বৃক্ষনিধনের ফলে গাব গাছ বিলীন হতে বসেছে।’
সচারচার দেখা না গেলেও উপজেলার মিরডাঙ্গা গ্রামের জনৈক আকমল হোসেনের বাড়ির পাশে দেশীয় গাব ফলের গাছ দেখা গেছে। গাব ফল দিয়ে ভেষজ ঔষধসহ নানান উপকার হয় মানুষের। কাজে লাগে তার কাঠও।
বন ও পরিবেশ অধিদফতর থেকে প্রকৃতির ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে ঔষধী ফলগাছ হিসেবে গাবকে গুরুত্ব দিতে সচেতন মহল দাবি করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest