সর্বশেষ সংবাদ-
কালিগঞ্জে পুকুরের পানিতে দুই শিশুর মৃত্যুদেবহাটায় ৪০ জন উপকার ভোগীর মাঝে ছাগল বিতরণদেবহাটার সরকারি কর্মকর্তা-সুধীজনদের সাথে ডিসির মতবিনিময়সাতক্ষীরার ১৮৫টি ভোটকেন্দ্রের স্কুল সংস্কারে বরাদ্দ প্রায় ৬৪ লাখ টাকাসাতক্ষীরা জেলা রোভারের ৪১ তম কোর্স ফর রোভারমেট এর মহাতাঁবু জলসাশ্যামনগরে বুনো শাকের রান্না প্রতিযোগিতাসাতক্ষীরায় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে রাস্তা সংস্কার কার্যক্রমের উদ্বোধনতারেক রহমানের জন্মদিনে সাতক্ষীরায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ছাত্রদলের শিক্ষা উপকরণ বিতরণদেবহাটায় উপজেলা মাসিক আইনশৃঙ্খলা ও উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভামহেশ্বরকাটি বাজারে বিএনপির প্রার্থী কাজী আলাউদ্দিনের লিফলেট বিতরণ

তাজমহলকে ৩ বার বিক্রি করেছিলেন যিনি!

নাম তার নটবরলাল। আসল নাম মিথিলেশ কুমার শ্রীবাস্তব। ভারতের বিহারের সিওয়ানের বাংরা গ্রামে জন্ম তার। পেশায় আইনজীবী। বিশেষ বিশেষ ব্যক্তিদের সই জাল করতে ওস্তাদ নটবরলাল। অার সেই নটবরের কূটকৌশলে তিনবার বিক্রি হয়েছিল তাজমহল। শুধু তাই নয়, ৫৪৫ জন সংসদ সদস্যসহ গোটা সংসদ ভবনই বিক্রি করে দিয়েছিলেন তিনি।

অন্তত ১০০টি প্রতারণা ও জোচ্চুরির মামলায় তাকে হন্যে হয়ে খুঁজেছে ৮টি রাজ্যের বিশাল পুলিশ বাহিনী। আটক হওয়ার পর জেল ভেঙেও পালিয়ে গেছেন নটবরলাল। লোক ঠকানোর ব্যবসায় একবার নয়, পরপর তিনবার তাজমহলকে বিক্রি করে দেন তিনি। যদিও ক্রেতার নাম কখনোই প্রকাশ্যে আসেনি। একইভাবে তার হাত দিয়ে ‘বিক্রি’ হয়েছিল লালকেল্লা। লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করেছেন কেবল কূটবুদ্ধিতে মানুষকে প্রতারণার জালে আটকে ফেলে।

নটবরলালকে বিভিন্ন মামলায় ১১৩ বছর সাজা দেওয়া হয়। নয়বার ধরা পড়লেও তাকে আটকে রাখা যায়নি। বার বার পালিয়ে গেছেন তিনি।

সর্বশেষ ১৯৯৬ সালে ধরা পড়েছিলেন নটবরলাল। তখন তার বয়স ৮৪ বছর। অসুস্থতার ভান করে হাসপাতালে থাকার অনুমতি জোগাড় করেন তিনি। জেল থেকে হুইল চেয়ারে হাসপাতাল যাওয়ার মাঝেই পালিয়ে যান নটবর। এরপর তাকে আর কেউ দেখেনি। পরিবারের দাবি মৃত্যু হয়েছে নটবরের। যদিও কথাটা বিশ্বাস করতে পারেনি পুলিশ। তবে আলোচনা থেকে হারিয়ে যায়নি মিথিলেশ কুমার শ্রীবাস্তব ওরফে নটবরলাল। প্রতারিতরা, পুলিশ, অপরাধ বিজ্ঞান- সবখানেই উচ্চারিত হয় ঠগের রাজা নটবরের নাম।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সৌর প্যানেল বাধ্যতামূলক করছে ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্য

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্য বরাবরই পরিবেশের জন্য নানাবিধ অভিনব উদ্যোগ নেয়। এবার তারা পরিবেশ সংরক্ষণে সৌরবিদ্যুৎ প্যানেল বসানো বাধ্যতামূলক করতে যাচ্ছে।

ক্যালিফোর্নিয়ার এনার্জি কমিশন এনার্জি বিষয়ে এ নতুন শর্ত নিয়ে আগামী সপ্তাহে সিদ্ধান্ত নেবে। এতে ২০২০ সালের পর তৈরি হওয়া সব নতুন বাড়িতে সৌর প্যানেল বসানোর নিয়ম করার বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

বর্তমানে এ রাজ্যের প্রায় ২০ শতাংশ একক পারিবারিক বাড়িতে সৌর প্যানেল বসানো হচ্ছে। তবে এটি বাধ্যতামূলক করা হলে সব বাড়িতেই সৌর প্যানেল বসাতে হবে। এছাড়া প্রাকৃতিক গ্যাস ও ব্যাটারি ব্যবহার বৃদ্ধির নিয়ম রয়েছে।

যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য রাজ্যগুলো এক্ষেত্রে যথেষ্ট পিছিয়ে রয়েছে। নতুন নিয়ম প্রচলিত করা সম্ভব হলে বহু বাড়িই সম্পূর্ণ এনার্জি নিরপেক্ষ হবে। এতে কোনো বাড়তি এনার্জি প্রয়োজন হবে না। ফলে গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমনও কমে যাবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শ্রদ্ধা কাপুরের সঙ্গে জুটিবদ্ধ হচ্ছেন সুশান্ত!

বলিউডের দুই জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী শ্রদ্ধা কাপুর ও সুশান্ত সিং রাজপুত। নিতেশ তিওয়ারি পরিচালিত পরবর্তী সিনেমাতে একসঙ্গে জুটিবদ্ধ হতে যাচ্ছেন তারা।সিনেমাটি প্রযোজনা করছেন সাজিদ নাদিয়াদওয়ালা।

জানা গেছে, সঞ্জয় পুরান সিং চৌহানের ‘চান্দা মামা ডোর কে’ সিনেমায় দেখা যাবে সুশান্ত-শ্রদ্ধাকে। সিনেমাটিতে একজন নভোচারীর চরিত্রে সুশান্ত অভিনয় করবেন।

এদিকে সুশান্ত সিং রাজপুত অভিনীত পরবর্তী সিনেমা ‘দ্য ফল্ট ইন আওয়ার স্টারস’। ২০১৪ সালে একই নামে মুক্তিপ্রাপ্ত আমেরিকান রোমান্টিক-ট্র্যাজেডি সিনেমার রিমেক এটি। এতে এ অভিনেতার বিপরীতে অভিনয় করছেন সানজানা সাংহাই। এটি পরিচালনা করছেন মুকেশ ছাবরা।

অন্যদিকে সাহো সিনেমার শুটিং করছেন শ্রদ্ধা। এতে তার বিপরীতে অভিনয় করছেন প্রভাস। বর্তমানে আরব আমিরাতে সিনেমাটির শুটিং চলছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জেনে নিন ঘি না মাখন বেশি স্বাস্থ্যকর

ঘি আর মাখন এই দুটোই গরুর দুধ থেকে তৈরি হয়। সাদা চিকন চালের গরম ভাত। ভুর ভুর করে গন্ধ ওঠা ঘি। সঙ্গে আলুসিদ্ধ বা কিংবা মাছ ভাজা। গরম গরম মাখন ভাত ইত্যাদি। রান্না ও ভোজনের ক্ষেত্রে একটির বিকল্প হিসেবে আরেকটিকে ব্যবহার করা যায়। তাই বাড়িতে ঘি না থাকলে অনেকে আবার কাজ সারেন মাখনেই।

তবে ঘিয়ে ডেইরি প্রোটিনের মাত্রা তুলনামূলক কম। এ কারণে খাবার হিসেবে মাখনের চেয়ে ঘি বেশি স্বাস্থ্যকর বলে মনে করেন অনেকে। এ নিয়ে স্বাস্থ্যবিষয়ক অনলাইন বুলেটিন মেডিকেল নিউজ টুডের এক পর্যালোচনায় উঠে আসে, যাদের দেহে ডেইরি পণ্য সহনশীলতা কম, শুধু তাদের ক্ষেত্রে মাখনের তুলনায় ঘি স্বাস্থ্যকর বেশি।

মূলত ঘি হচ্ছে পরিশোধিত মাখন। নিয়মিত আগুনে জ্বাল দিয়ে দিয়ে মাখনের তরল চর্বি ও দুধের কঠিন অংশ আলাদা করে ফেলা হয়। এ কারণে মাখনের তুলনায় ঘিয়ে ল্যাকটোজের পরিমাণ অনেক কম। ভোজ্যতেল হিসেবে ব্যবহারের পাশাপাশি আয়ুর্বেদ শাস্ত্রেও ঘি’র ব্যবহার রয়েছে।

গরুর দুধ থেকে উৎপন্ন এই ঘি ও মাখনের পুষ্টি প্রোফাইল ও চর্বি উপাদান প্রায় এক। তবে এতে ডেইরি প্রোটিনের পরিমাণ অনেক কম। ঘির প্রায় ৫০ শতাংশই স্যাচুরেটেড ফ্যাট হওয়ায় এর প্রভাবে ২০১০ সালের এক প্রতিবেদনে ভারতবর্ষে উচ্চরক্তচাপজনিত হৃদরোগের (সিএডি) মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়।

কিন্তু চলতি বছরের এক গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা গেছে, দেহে চর্বি ও কোলেস্টেরলের উৎস হিসেবে সরিষার তেলের তুলনায় ঘি কম বিপজ্জনক।

এছাড়া উৎপাদন প্রক্রিয়ায় অনেক ধরনের ডেইরি প্রোটিন অপসারিত হয় বলে এতে ক্যাসিন (দুগ্ধজাত ফসফোপ্রোটিন) ও ল্যাকটোজের মাত্রা অনেক কম। এ কারণে যাদের দেহে ক্যাসিন বা ল্যাকটোজ সহনশীলতা অনেক কম, তাদের জন্য মাখনের তুলনায় ঘি ব্যবহার করাই উত্তম। এছাড়াও এতে কনজুগেটেড লিনোলিক অ্যাসিড (সিএলএ) নামে এক ধরনের উপকারি ফ্যাটি অ্যাসিডের মাত্রা অনেক বেশি, যা হৃদরোগের আশঙ্কা ১৫ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে দিতে পারে। পাশাপাশি ঘিয়ে বিউটিরেট অ্যাসিড নামে এক ধরনের উপাদান পাওয়া যায়, যা হজমে সহায়ক ও প্রদাহনাশক উপাদান হিসেবে পরিচিত।

তাই তুলনা করলে দেখা যায়, মাখনের থেকে সামান্য বেশি হলেও ঘিয়ের উপকারিতা বেশি। এবং ঘি বেশি স্বাস্থ্যকর।

তবে এটাও ঠিক যে পরিমিত মাত্রায় তা গ্রহণ করা না হলে মাখন হয়ে উঠতে পারে হৃদরোগ ও রক্তে উচ্চমাত্রায় কোলেস্টেরলের অন্যতম কারণ।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মতে, পরিমিত মাত্রায় গ্রহণ করা হলে ঘি ও মাখনের মধ্যে কোনোটিই খুব একটা বিপজ্জনক নয় বলে মনে করছেন তারা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
খাওয়ার মাঝে কি পানি পান করা যাবে?

আমরা সাধারণত এক গ্লাস পানি নিয়ে ভাত খেতে বসি। আর পান্তা ভাত তো পানিতে ভাসে। কিন্তু অনেকে বলেন, খাওয়ার মাঝে পানি খেলে ক্ষতি হয়। পানি তাহলে কখন খাওয়া উচিত?

খাবার খাওয়ার সময় পানি পান করা যাবে নাকি যাবে না তা নিয়ে আছে অনেক মত। অনেকের ধারণা খাবার খাওয়ার মাঝে পানি পান করলে ওজন বেড়ে যায়। কিন্তু আসলে কি?

হজম প্রক্রিয়া মূলত শুরু হয় যায় পরবর্তী খাবারের কথা ভাবা শুরু করলেই। খাবারের কথা ভাবলে মুখে লালা তৈরি হয়। খাবার চিবাতে শুরু করলে তা মুখের লালার সঙ্গে মিশে যায়। লালায় থাকে হজমের জন্য প্রয়োজনীয় এনজাইমসমূহ। চিবিয়ে নরম করা খাবার গিলে ফেলার পরে তা পাকস্থলীতে পৌঁছায় এবং পাকস্থলীর এসিডের সঙ্গে মিশে যায়। সাধারণত খাবার হজম করতে গড়ে চার ঘণ্টা সময় লাগে পাকস্থলীর।

পানি পান করার পরে তা পাকস্থলীতে গিয়ে খুব বেশি সময় স্থায়ী হয় না। দশ আউন্স পানি খুব বেশি হলে দশ মিনিট পাকস্থলীতে থাকে। তাই খাওয়ার সময় পানি পান করলে তা দীর্ঘসময় পাকস্থলীতে থাকেনা বরং খুব দ্রুতই খাবারগুলোকে ভিজিয়ে পাকস্থলী ত্যাগ করে।

অনেকের ধারণা খাওয়ার সময় তরল পান করলে শক্ত খাবার ঠিক মতো হজম হওয়ার আগেই পাকস্থলী থেকে বের হয়ে যায়। ফলে খাবার থেকে পর্যাপ্ত পুষ্টি পাওয়া যায়না। তবে এখন পর্যন্ত এই ধারণা কোনো গবেষণায় প্রমাণিত হয়নি। যেহেতু শক্ত খাবারের আগেই পানি বা যে কোনো তরল পাকস্থলী থেকে বের হয়ে যায়, সেহেতু পাকস্থলীর শক্ত খাবারের উপর কোনো প্রভাব ফেলতে পারে না তরল খাবার। পানির তাপমাত্রাও হজম প্রক্রিয়া কিংবা পুষ্টি গ্রহণে কোনো প্রভাব ফেলে না। তবে অটোয়া ওয়েস্ট নিউট্রিশনের মতে, খাবার খাওয়ার আধা ঘণ্টা আগে পানি খাওয়া উপকারী। কারণ খাওয়ার সময় পানি পান করলে তা পাকস্থলীতে যেয়ে গ্যাস্ট্রিক জুসের সঙ্গে মিশে সেটার কার্যকারিতা কিছুটা কমিয়ে দিতে পারে। গ্যাস্ট্রিক জুস খাবারের ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।

মায়োক্লিনিকের মতে, খাবারের মাঝে পানি পান করলে পানি পানের পরে আধা ঘণ্টা বিরতি দিয়ে আবার খাওয়া স্বাস্থ্যকর। কারণ খাবার মুখে দেয়ার ঠিক আগে পানি পান করলে মুখের এনজাইম সমৃদ্ধ লালা ধুয়ে যায়। এতে হজম প্রক্রিয়ার ব্যাঘাত ঘটতে পারে।

খাবার সময় পানি পান করার কিছু উপকারিতাও প্রমাণিত হয়েছে বেশ কয়েকটি গবেষণায়। খাবার খাওয়ার বিরতিতে পানি পান করলে অতিরিক্ত খেয়ে ফেলার প্রবণতা কমে যায়। ফলে যারা অতিরিক্ত ওজন সমস্যায় ভুগছেন তাদের বেশি খেয়ে ফেলার ঝুঁকি কমে যায়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
চুপিসারে গিয়েও ধরা পড়ে গেলেন প্রীতি!

ইন্দোরের হোলকার স্টেডিয়ামে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে জয় লাভ করে প্লে অফে ওঠার দৌঁড়ে অনেকটাই এগিয়ে গেছে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। নয় ম্যাচের মধ্যে ছয়টি ম্যাচ জিতে প্রীতি জিনতার দল প্লে অফে ওঠার এখন অন্যতম প্রধান দাবিদার।

রাজস্থানের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগেই দলের মঙ্গল কামনার জন্য চুপিচুপি প্রীতিকে দেখা গেল ইন্দোরের খাজরানা গণেশ মন্দিরে পূজা দিতে। চুপিসারে আরাধ্য দেবতার কাছে গিয়েছিলেন প্রীতি জিনতা। স্কার্ফে মুখ ঢেকে মন্দিরে পূজা দেওয়ার সময়ে প্রীতির সঙ্গে ছিলেন একজন কালো পোশাক পড়া বডিগার্ডও।

তবে ভিড়ে ঠাসা মন্দিরে প্রীতির পরিচয় গোপন থাকেনি। অনেকজনই এই বলিউড সুন্দরীকে দেখে সেলফি, ভিডিও তোলার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তবে প্রীতি শুরুতেই সাফ বলে দেন, কোনও অবস্থাতেই ভিডিও তোলা যাবে না।

এত নিষেধ সত্ত্বেও বেশ কয়েকজন ছবি তোলেন। প্রীতির মন্দির-দর্শনের ভিডিও অবশ্য সিসিটিভি ফুটেজে রেকর্ড হয়। সেই ফুটেজ আবার পুরোহিত অশোক ভাটের ফেসবুক পেজে শেয়ার করা হয়।

এমনিতে চলতি মৌসুমে গেইলের সৌজন্যে প্রীতির দলের পারফরম্যান্স দুরন্ত। প্রত্যেক আসরে কিংস ব্রিগেড খারাপ পারফরম্যান্সের কারণে শিরোনামে আসে। এবার অবশ্য পুরাটাই বিপরীত। তাই এবার প্রীতির অন্তরের কথা ঈশ্বর শোনেন কি না, সেটাই আপাতত দেখার বিষয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দুই ব্যায়াম কমাবে পেটের মেদ!

যাদের মেদ আছে তারাই বোঝে পেটে মেদ জমা কত বিরম্বনার বিষয়। মেদ থাকলে যে সমস্যায় পড়তে হয় তার জন্য অনেকেই উদ্বিগ্ন। অনেক কারণেই পেটে মেদ জমতে পারে। যেমন : সাম্প্রতিক সন্তান দান, অতিরিক্ত মদ্যপান, অতিরিক্ত সময় সোফায় বসে থাকা, বেশি খাবার গ্রহণের সঙ্গে কম শারীরিক পরিশ্রম ইত্যাদি।

তবে যে কারণেই পেটে মেদ জমুক না কেন ব্যায়ামের ম্যাধ্যমে আপনি আপনার দেহকে ঠিক করতে পারেন। সপ্তাহে তিন কিংবা চারবার এ ধরনের ব্যায়াম করলে আপনার পেট টান টান হবে। তাই আজ থেকেই শুরু করুন। এ ব্যায়াম তেমন কঠিন কিছুই নয়। দিনে মাত্র ১০ মিনিট সময় দিন। দেখবেন কেমন আকষর্ণীয় হয়ে ওঠেছে আপনার দেহ।

ব্যায়াম নম্বর এক

ম্যাট কিংবা কার্পেট বিছানো মেঝের ওপর শুয়ে পড়ুন। আপনার হাত দুটো আলতো করে মাথার পেছনে নিন। হাঁটু দুটো বাঁকা করুন এবং পায়ের পাতা দুটো মেঝের ওপর রাখুন। এবার আপনার পেটটাকে ব্যবহার করে ম্যাট থেকে ধীরে ধীরে আপনার মাথা, দুকাঁধ ও পিঠের ওপরের অংশ তুলতে থাকুন। এ সময়ে আপনার পেটটাকে শক্ত রাখুন এবং নিশ্বাসের সঙ্গে বাতাস বের করে দিন। এভাবে কিছুক্ষণ থাকুন, তারপর আবার শুয়ে পড়ুন। ব্যায়ামটা ১০ থেকে ১৫ বার করুন।

ব্যায়াম নম্বর দুই

আগের মতোই শুয়ে পড়ুন। অর্থাৎ উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। হাত দুটো আলতোভাবে মাথার পেছনে নিন, হাঁটু বাঁকা করুন এবং পায়ের পাতা দুটো মেঝের ওপর রাখুন। শরীরের ওপরের অংশ ম্যাট থেকে ধীরে ধীরে তুলুন। এবার আপনার শরীরকে ঘোরান, আপনার বাম কাঁধকে ডান হাঁটুর দিকে রাখুন। এভাবে কিছুক্ষণ থেকে আপনার পূর্বাবস্থায় ফিরে যান। এরপর একইভাবে অন্যদিকে শরীরকে ঘোরান, ডান কাঁধকে বাম হাঁটুর দিকে নিন। ব্যায়ামটা প্রতি দিকে ১০ থেকে ১৫ বার করুন।

ভালো ফলের জন্য ধীরে চলুন

তাড়াহুড়া করবেন না। ১০০ বার এ ধরনের ব্যায়াম করার প্রয়োজন নেই। ভালো ফল লাভের জন্য ধীর নীতি মেনে চলুন। যদি ধীরে চলতে পারেন তাহলে দ্রুত আপনার পেটের মেদ কমে যাবে। কতক্ষণ ব্যায়াম করবেন? দিনে ১০ মিনিট যথেষ্ট। ছয় থেকে আট সেকেন্ড আপনি একটি ব্যায়াম সম্পূর্ণ করতে পারেন। করার সময় ধীরে ধীরে গুনতে থাকবেন যেমন এক, দুই, তিন, চার। শরীর ওঠানামার সময় এভাবে গুনবেন। তারপর আবার যখন শুয়ে পড়বেন তখন পাঁচ, ছয়, সাত, আট এভাবে গুনতে গুনতে শোবেন।

লেখক: ডা. মিজানুর রহমান কল্লোল

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সরকারি কলেজ শিক্ষিকা ও প্রতিবেশী ব্যাংকারের লাশ উদ্ধার

অনলাইন ডেস্ক: ফরিদপুরে এক বাসা থেকে এক কলেজ শিক্ষিকা এবং এক ব্যাংকারের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, যারা পাশাপাশি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন।
নিহত কলেজ শিক্ষিকা সাজিয়া বেগম (৩৬) ফরিদপুরের সরকারি সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজের গার্হস্থ্য অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন।
তিনি দুই ছেলে নিয়ে ফরিদপুর শহরের দক্ষিণ ঝিলটুলি এলাকার ওই বাসায় থাকতেন। তার স্বামী ঢাকায় ব্যবসা করেন। তাদের বাড়ি রাজধানীর সূত্রাপুর থানার বানিয়ানগরে।
আর ব্যাংক কর্মকর্তার নাম ফারুক হাসান (৩৮)। তার বাড়িও ঢাকার আগারগাঁও এলাকায়। তিনি ফরিদপুরে সোনালি ব্যাংকের প্রিন্সিপাল শাখার অডিট কর্মকর্তা ছিলেন।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ওসি এএফএম নাসিম জানান, বাড়ির মালিক রোববার রাতে পুলিশে খবর দিলে তারা দক্ষিণ ঝিলটুলির ওই বাড়িতে গিয়ে নিচতলায় ফারুক হাসানের ফ্ল্যাট থেকে দুজনের লাশ উদ্ধার করেন।
“সাজিয়া বেগমের মরদেহ দরজার পাশে রক্তাত্ত অবস্থায় পড়ে ছিল। গায়ে কোপের দাগও ছিল। আর ফারুক হাসানের লাশ ফ্যানের হুকের সঙ্গে ঝুলছিল।”
বাড়ির মালিক নূর ইসলামের ছেলে ডেভিড সাংবাদিকদের জানান, রাত ১১টার দিকে তিনি বাড়ি ফিরে নিচ তলার ওই ফ্লাটের দরজা খোলা দেখতে পান। দরজার ফাঁক দিয়ে ভেতরে মানুষের ঝুলন্ত দেহ দেখে সঙ্গে সঙ্গে তারা পুলিশে খবর দেন।
পরে পুলিশ এসে দুজনের লাশ ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় ময়না তদন্তের জন্য।
ডেভিড জানান, কলেজ শিক্ষিকা সাজিয়া বেগম ওই বাসা ভাড়া নেন এক বছর আগে। আর ব্যাংক কর্মকর্তা ফারুক পাশের ফ্ল্যাটে ওঠেন এক মাস আগে।
“তবে তিনি (ফারুক) নিয়মিত থাকতেন না। এবার তিনি বাসায় আসেন দুদিন আগে।”
সরকারি সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সুলতান মাহামুদ জানান, রোববার স্বাভাবিকভাবেই কলেজে গিয়ে অফিস করেন সাজিয়া।
“উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ডিউটি ছিল। সব সেরে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে কলেজ থেকে বেরিয়ে যান। এরপর রাতে আমরা খবরটা পেলাম।”
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশা বলেন, “তারা পাশাপাশি ফ্লাটে থাকতেন। কেন তারা এক হলেন বিষয়টি পরিষ্কার নয়। তদন্ত করে দ্রুত এ ঘটনার কারণ বের করা হবে।”

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest