সর্বশেষ সংবাদ-
কালিগঞ্জে পুকুরের পানিতে দুই শিশুর মৃত্যুদেবহাটায় ৪০ জন উপকার ভোগীর মাঝে ছাগল বিতরণদেবহাটার সরকারি কর্মকর্তা-সুধীজনদের সাথে ডিসির মতবিনিময়সাতক্ষীরার ১৮৫টি ভোটকেন্দ্রের স্কুল সংস্কারে বরাদ্দ প্রায় ৬৪ লাখ টাকাসাতক্ষীরা জেলা রোভারের ৪১ তম কোর্স ফর রোভারমেট এর মহাতাঁবু জলসাশ্যামনগরে বুনো শাকের রান্না প্রতিযোগিতাসাতক্ষীরায় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে রাস্তা সংস্কার কার্যক্রমের উদ্বোধনতারেক রহমানের জন্মদিনে সাতক্ষীরায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ছাত্রদলের শিক্ষা উপকরণ বিতরণদেবহাটায় উপজেলা মাসিক আইনশৃঙ্খলা ও উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভামহেশ্বরকাটি বাজারে বিএনপির প্রার্থী কাজী আলাউদ্দিনের লিফলেট বিতরণ

চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালের রিয়ালের প্রতিদ্বন্দ্বী লিভারপুল
সেমিফাইনালেই থেমে গেল রোমার স্বপ্ন। নিজেদের মাঠে ৪-২ গোলের বড় জয় পেয়েও বিদায় নিতে হলো তাদের।
বুধবার রোমের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে সেমি-ফাইনালের ফিরতি পর্বে ৪-২ গোলে জিতে রোমা। কিন্তু গত সপ্তাহে নিজেদের মাঠে ৫-২ গোলে জেতা লিভারপুল দুই লেগ মিলিয়ে ৭-৬ ব্যবধানে এগিয়ে ফাইনালে ওঠে।
খেলার নবম মিনিটেই এগিয়ে যায় লিভারপুল। রোমা ১৫তম মিনিটে অবিশ্বাস্য এক আত্মঘাতি গোলে সমতায় ফেরে রোমা। গোলমুখ থেকে বল ক্লিয়ার করার উদ্দেশে শট নেন ডিফেন্ডার লোভরেন। কিন্তু বলটি মিডফিল্ডার জেমস মিলনারের মুখে লেগে লিভারপুলের জালে জড়ায়। ২৫তম মিনিটে আবারো এগিয়ে যায় লিভারপুল। কর্নার থেকে উড়ে আসা বল বিপদমুক্ত করতে ব্যর্থ হয় রোমা।এই গোলের সুবাদে ব্যবধান দাঁড়ায় ৭-৩। এরপর টানা তিনটি গোল করেও আর সেমিফাইনালে ওঠা হয়নি রোমার।
আগামী ২৬ মে ইউক্রেনের কিয়েভে শিরোপা লড়াইয়ে রেকর্ড ১২ বারের চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদের মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ডের ক্লাব লিভারপুল।
0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সকালে কাঁচা ছোলা খেলে রোধ হবে ক্যানসার!

ছোলা একটি ডালজাতীয় খাদ্যশস্য। এটি প্রোটিনে সমৃদ্ধ। মধ্যপ্রাচ্য, পশ্চিম এশিয়া এবং ভারতীয় উপমহাদেশে এটি চাষ করা হয়। আর কাঁচা ছোলার গুণ সম্পর্কে আমরা সবাই জানি। প্রতি ১০০ গ্রাম খাদ্যপোযগী ছোলায় আমিষ প্রায় ১৮ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট প্রায় ৬৫ গ্রাম, ফ্যাট মাত্র ৫ গ্রাম, ২০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ‘এ’ প্রায় ১৯২ মাইক্রোগ্রাম এবং প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি-১ ও বি-২ আছে।

এছাড়াও ছোলায় বিভিন্ন প্রকার ভিটামিন, খনিজ লবণ, ম্যাগনেশিয়াম ও ফসফরাস রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে আরও অনেক উপকার। উচ্চমাত্রার প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার ছোলা। কাঁচা, সেদ্ধ বা তরকারি রান্না করেও খাওয়া যায়। কাঁচা ছোলা ভিজিয়ে, খোসা ছাড়িয়ে, কাঁচা আদার সঙ্গে খেলে শরীরে একই সঙ্গে আমিষ ও অ্যান্টিবায়োটিক যাবে। আমিষ মানুষকে শক্তিশালী ও স্বাস্থ্যবান বানায়। আর অ্যান্টিবায়োটিক যেকোনো অসুখের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। ছোলার কিছু চমকপ্রদ গুণাগুণ হল-

ডাল হিসেবে : ছোলা পুষ্টিকর একটি ডাল। এটি মলিবেডনাম এবং ম্যাঙ্গানিজ এর চমৎকার উৎস। ছোলাতে প্রচুর পরিমাণে ফলেট এবং খাদ্য আঁশ আছে সেই সাথে আছে আমিষ, ট্রিপট্যোফান, কপার, ফসফরাস এবং আয়রণ।

হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে : অস্ট্রেলিয়ান গবেষকরা দেখিয়েছেন যে খাবারে ছোলা যুক্ত করলে টোটাল কোলেস্টেরল এবং খারাপ কোলেস্টেরল এর পরিমাণ কমে যায়। ছোলাতে দ্রবণীয় এবং অদ্রবণীয় উভয় ধরনের খাদ্য আঁশ আছে যা হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। আঁশ, পটাসিয়াম, ভিটামিন ‘সি’ এবং ভিটামিন বি-৬ হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যায়। এর ডাল আঁশসমৃদ্ধ যা রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, যারা প্রতিদিন ৪০৬৯ মিলিগ্রাম ছোলা খায়, হৃদরোগ থেকে তাদের মৃত্যুর ঝুঁকি ৪৯ শতাংশ কমে যায়।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে : আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখানো হয় যে, যে সকল অল্পবয়সী নারীরা বেশি পরিমাণে ফলিক এসিডযুক্ত খাবার খান তাদের হাইপারটেনশন এর প্রবণতা কমে যায়। যেহেতু ছোলায় বেশ ভাল পরিমাণ ফলিক এসিড থাকে সেহেতু ছোলা খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়। এছাড়া ছোলা বয়সসন্ধি পরবর্তীকালে মেয়েদের হার্ট ভাল রাখতেও সাহায্য করে।

রক্ত চলাচল : অপর এক গবেষণায় দেখা গেছে যে যারা প্রতিদিন ১/২ কাপ ছোলা, শিম এবং মটর খায় তাদের পায়ের আর্টারিতে রক্ত চলাচল বেড়ে যায়। তাছাড়া ছোলায় অবস্থিত আইসোফ্লাভন ইস্কেমিক স্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তিদের আর্টারির কার্যক্ষমতাকে বাড়িয়ে দেয় ।

ক্যান্সার রোধে : কোরিয়ান গবেষকরা তাদের গবেষণায় প্রমাণ করেছেন যে বেশি পরিমাণ ফলিক এসিড খাবারের সাথে গ্রহণের মাধ্যমে নারীরা কোলন ক্যান্সার এবং রেক্টাল ক্যান্সার এর ঝুঁকি থেকে নিজিদেরকে মুক্ত রাখতে পারেন। এছাড়া ফলিক এসিড রক্তের অ্যালার্জির পরিমাণ কমিয়ে এ্যজমার প্রকোপও কমিয়ে দেয়। আর তাই নিয়মিত ছোলা খান এবং সুস্থ থাকুন।

রমজানে : রমজান মাসে ইফতারের সময় জনপ্রিয় খাবার হলো ছোলা। আমাদের দেশে ছোলার ডাল নানাভাবে খাওয়া হয়। দেহকে করে দৃঢ়, শক্তিশালী, হাড়কে করে মজবুত, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য এর ভূমিকা অপরিহার্য। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম।

কোলেস্টেরল : ছোলা শরীরের অপ্রয়োজনীয় কোলেস্টেরল কমিয়ে দেয়। ছোলার ফ্যাট বা তেলের বেশির ভাগ পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর নয়। প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাট ছাড়া ছোলায় আরও আছে বিভিন্ন ভিটামিন ও খনিজ লবণ।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে : ছোলায় খাদ্য-আঁশও আছে বেশ। এ আঁশ কোষ্ঠকাঠিন্য সারায়। খাবারের আঁশ হজম হয় না। এভাবেই খাদ্যনালী অতিক্রম করতে থাকে। তাই পায়খানার পরিমাণ বাড়ে এবং পায়খানা নরম থাকে।

ডায়াবেটিসে উপকারী : ১০০ গ্রাম ছোলায় আছে: প্রায় ১৭ গ্রাম আমিষ বা প্রোটিন, ৬৪ গ্রাম শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট এবং ৫ গ্রাম ফ্যাট বা তেল। ছোলার শর্করা বা কার্বোহাইডেটের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম। তাই ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য ছোলার শর্করা ভাল। প্রতি ১০০ গ্রাম ছোলায় ক্যালসিয়াম আছে প্রায় ২০০ মিলিগ্রাম, লৌহ ১০ মিলিগ্রাম, ও ভিটামিন এ ১৯০ মাইক্রোগ্রাম। এছাড়া আছে ভিটামিন বি-১, বি-২, ফসফরাস ও ম্যাগনেসিয়াম। এর সবই শরীরের উপকারে আসে।

রক্তের চর্বি কমায় : ছোলার ফ্যাটের বেশিরভাগই পলি আনস্যাচুয়েটেড। এই ফ্যাট শরীরের জন্য মোটেই ক্ষতিকর নয়, বরং রক্তের চর্বি কমায়।

অস্থির ভাব দূর করে : ছোলায় শর্করার গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের পরিমাণ কম থাকায় শরীরে প্রবেশ করার পর অস্থির ভাব দূর হয়।

রোগ প্রতিরোধ করে : কাঁচা ছোলা ভিজিয়ে কাঁচা আদার সঙ্গে খেলে শরীরে আমিষ ও অ্যান্টিবায়োটিকের চাহিদা পূরণ হয়। আমিষ মানুষকে শক্তিশালী ও স্বাস্থ্যবান বানায় এবং অ্যান্টিবায়োটিক যে কোনো অসুখের জন্য প্রতিরোধ গড়ে তোলে।

জ্বালাপোড়া দূর করে : সালফার নামক খাদ্য উপাদান থাকে এই ছোলাতে। সালফার মাথা গরম হয়ে যাওয়া, হাত-পায়ের তলায় জ্বালাপোড়া কমায়।

মেরুদণ্ডের ব্যথা দূর করে : এছাড়াও এতে ভিটামিন ‘বি’ও আছে পর্যাপ্ত পরিমাণে। ভিটামিন ‘বি’ মেরুদণ্ডের ব্যথা, স্নায়ুর দুর্বলতা কমায়। ছোলা অত্যন্ত পুষ্টিকর। এটি আমিষের একটি উল্লেখযোগ্য উৎস। এতে আমিষ মাংস বা মাছের পরিমাণের প্রায় সমান। তাই খাদ্যতালিকায় ছোলা থাকলে মাছ মাংসের প্রয়োজন পরে না। ত্বকে আনে মসৃণতা। কাঁচা ছোলা ভীষণ উপকারী। তবে ছোলার ডালের তৈরি ভাজা-পোড়া খাবার যত কম খাওয়া যায় ততই ভালো। তাই হজমশক্তি বুঝে ছোলা হোক পরিবারের শক্তি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ক্যানসার রোধে কার্যকর বেদানা

ফলের রাজা আম হলেও চিকিৎসকরা কিন্তু বলেন ফলের রাজা বেদানা। খাদ্যগুণ, পুষ্টিগুণে ভরপুর এই সুস্বাদু ফল। টাটকা বেদানা দেখতে যেমন সুন্দর, খেতেও মিষ্টি। জেনে নিন বেদানার স্বাস্থ্যগুণ।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় : বেদানার মধ্যে রয়েছে পটাশিয়াম ও ভিটামিন সি। প্রতি দিন বেদানার রস খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণও গ্রিন টি বা রেড ওয়াইনের থেকে প্রায় তিন গুণ বেশি। এর মধ্যে রয়েছে তিন প্রকার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। ট্যানিন, অ্যান্থো সিয়ানিন ও এলাজিক অ্যাসিড। অ্যান্থোসিয়ানিন দেহ কোষ সুস্থ রাখার ফলে ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে পারে। ফোলা ভাব কমে, ক্ষয় রুখতে পারে।

রক্তচাপ : প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে বেদানা সিস্টোলিক ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ফলে স্ট্রেস, টেনশন কমে। হার্টের সমস্যা থাকলে হার্টের অসুখে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও কমে।

কোলেস্টেরল : আর্টারি পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে বেদানা। বেদানার রস তাই রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে দারুণ উপযোগী। এর পলিফেনল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে। রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি হলে রোজ খান বেদানার রস।

ব্যথা ও পেশি : বাত, অস্টিওআর্থারাইটিস, পেশির ব্যথা কমাতে সাহায্য করে বেদানা। তরুণাস্থির ক্ষয় রুখতেও উপকারী বেদানা।

ক্যানসার : অ্যাপপটোসিস প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ক্যানসার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে বেদানা। প্রস্টেট ক্যানসার, ব্রেস্ট ক্যানসারে ভাল কাজ করে বেদানার অ্যান্টিক্যানসার এজেন্ট।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ঘিয়ের বহু উপকারিতা

ঘিয়ের রয়েছে বহু উপকারিতা, যা হয়তো আমরা অনেকেই জানি না। নিচে ঘিয়ের কয়েকটি উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করা হলো :

১. স্ফুটনাঙ্ক- ঘি-এর স্ফুটনাঙ্ক খুব বেশি। ২৫০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড পর্যন্ত ঘি গরম করা যায়। অধিকাংশ তেলই এই তাপমাত্রায় গরম করলে ক্ষতিকারক হয়ে যায়।

২. নষ্ট হয় না- ঘি সহজে নষ্ট হয় না। প্রায় ১০০ বছর পর্যন্ত ঠিক থাকে ঘি।

৩. স্বাদ- সুন্দর গন্ধ ও স্বাদ অথচ অধিকাংশ দুগ্ধজাত দ্রব্যের মতো ঘি থেকে অ্যালার্জি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

৪. ভিটামিন- ভিটামিন এ ও ই থাকায় ঘি পুষ্টিগুণে ভরপুর।

৫. কনজুগেটেড লিনোলেক অ্যাসিড- এই অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের অ্যান্টি-ভাইরাল গুণ রয়েছে। যা ক্ষত সারাতে সাহায্য করে। ডেলিভারির পর নতুন মায়েদের ঘি খাওয়ানো হয় এই কারণেই।

৬. ওজন ও এনার্জি- ঘিয়ের মধ্যে থাকা মিডিয়াম চেন ফ্যাটি অ্যাসিড খুব এনার্জি বাড়ায়। অধিকাংশ অ্যাথলিট দৌড়নোর আগে ঘি খান। এর ফলে ওজনও কমে।

৭. হজম ক্ষমতা- ঘিয়ের মধ্যে রয়েছে বাটাইরিক অ্যাসিড। এই অ্যাসিড হজম ক্ষমতা বাড়ায়।

৮. রোগ প্রতিরোধ- বাটইরিক অ্যাসিড শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

৯. খিদে বাড়ায়- হজম ক্ষমতা বাড়ানোর কারণে ঘি খিদে বাড়ায়।

১০. পজিটিভ ফুড- বহু প্রাচীন কাল থেকেই ঘি পজিটিভ ফুড হিসেবে পরিচিত। আধুনিক গবেষণাও বলছে ঘি খেলে পজিটিভিটি বাড়ে। কনশাসনেস উন্নত হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ঝড়-বৃষ্টিতে সাতক্ষীরার বিভিন্ন স্থানে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

নিজস্ব প্রতিবেদক: বুধবার বিকেলের কালবৈশাখী ঝড় ও ভারি বর্ষণে সাতক্ষীরার বিভিন্ন স্থানে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। নিম্নাঞ্চলের অনেক জায়গায় রাস্তাঘাট পানির নিচে তলিয়ে গেছে। কোথাও কোথাও ফসলি জমিতেও জমেছে হাঁটু পানি। কালবৈশাখীর কবলে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন আম চাষিসহ মৌসুমি ফল চাষিরাও।
তালা উপজেলার ধানদিয়া গ্রামের কৃষক ওবায়দুর রহমান বলেন, মাঠে ৩ বিঘা জমির ধান কাটা রয়েছে। বৃষ্টিতে জমিতে হাঁটু পানি জমে গেছে। অনেক ক্ষতি হয়ে গেল। ধান বিক্রি করে লাভ হবে ভেবেছিলাম। কিন্তু ধানগুলো এখনও বাড়িতে নিয়ে আসতে পারলাম না।
আমচাষি শাহপুর গ্রামের বাবলুর রহমান জানান, বুধবার বিকেলের আকস্মিক ঝড়ে গাছের আম অর্ধেকের বেশি পড়ে গেছে।
আবহাওয়া অফিস জানায়, খুলনাসহ আশপাশের এলাকায় আরও পাঁচদিন এমন ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকায় কালবৈশাখী ঝড় আঘাত হানতে পারে। বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার বা তার বেশি হতে পারে। সেই সঙ্গে বজ্রসহ ভারি বৃষ্টিও হতে পারে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সাতক্ষীরা খামারবাড়ির উপ-পরিচালক কাজী আব্দুল মান্নান বলেন, বিকেলের হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড় ও বৃষ্টিতে কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কৃষকরা এখনও তাদের জমির ধান সব ঘরে তুলতে পারেননি। তবে ক্ষতির পরিমাণ জানাতে পারেননি তিনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
লিবিয়ায় নির্বাচন কমিশনে বোমা হামলা নিহত ১১

নির্বাচন কমিশনের সদর দফতরে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (২ মে) লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপলিতে এ হামলার ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অনেকে। নির্বাচন কমিশনের মুখপাত্র খালেদ ওমর সংবাদমাধ্যমকে বলেন, নিহতদের মধ্যে তিনজন নির্বাচন কর্মকর্তা ও চারজন নিরাপত্তারক্ষী রয়েছেন।

এপি, আলজাজিরাসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, সরকারি দফতরের ভেতরেই পরপর দুটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। লিবিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বার্তায় বলা হয়, আত্মঘাতী হামলায় এ পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া দুজন আহত হয়েছেন।

লিবিয়ার নির্বাচনে নাম নথিভুক্ত করার কাজ চলছে। এজন্য জড়ো হয়েছিলেন ভোটাররা। এমন সময় হামলা চালাল কয়েকজন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, জঙ্গিদের রুখতে পাল্টাগুলি চালান নিরাপত্তারক্ষীরা। অন্যদিকে জঙ্গিদের গুলিতে চার রক্ষীর মৃত্যু হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
৬০ বলে ৫৬টি ডট ও ৮ উইকেট

প্রস্তুতিটা বেশ ভালোই হল রুমানাদের। ব্যাটে বলে দাপট দেখিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকটে দল। রুমানা ও ফারজানার সেঞ্চুরির পর বল হাতে এদিন চমক দেখিয়েছেন স্পিনার ফাহিমা।

পচেফস্ট্রুমে নর্থ ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নম্বর মাঠে ৯০ রানের জয় পেয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। দলের হয়ে একাই ৮টি উইকেট তুলে নিয়েছেন ফাহিমা খাতুন।

এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল সফরকারীরা। ২৭১ রানের বিশাল লক্ষ্য তারা করতে নেমে স্থানীয় দলটি মাত্র ১৮০ রানে অলআউট হয়।

স্পিনার ফাহিমা ১০ ওভার বল করে ৬টি ওভারই মেইডেন দেন। ৫৬টি বলে একটি রানও নিতে পারেনি রান নর্থ ওয়েস্টের ব্যাটসম্যানরা। ২৫ বছর বয়সী এই লেগব্রেক বোলার এদিন মাত্র ৫ রান খরচ করেছেন। দলের হয়ে একটি করে উইকেট পেয়েছেন সাবেক অধিনায়ক জাহানারা আলম ও খাদিজা তুল কুবরা।

এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ফারজানা হক ও অধিনায়ক রুমানা আহমেদের ব্যাটে ভর করে ২৭ রান তুলে বাংলাদেশ। দুই ওপেনার সানজিদা ইসলাম ৪ রান আর মুর্শিদা খাতুন ফেরেন শূন্য রানে। এই দুই উইকেটে পড়ার পর স্বাগতিক দলের বোলারদের আর উইকেটের মুখ দেখতে হয়নি রুমানা-ফারজানার ব্যাটিং দৃঢ়তায়। ৫০ ওভার শেষে দলের সংগ্রহ যখন ২৭০ তখন দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যানের নামের পাশে দুই শতক। ফারজানার ব্যাটে আসে ১৪৩ বলে ১০২ রান। ছিল ১০টি বাউন্ডারি। রুমানা খেলেন ১৪৪ বলে ১৩৬ রানের ইনিংস। ১৩৬ রানের লম্বা ইনিংসের ৮০ রানই আসে বাউন্ডারিতে। নর্থ ওয়েস্ট দলের হয়ে ১ উইকেট করে পান আনিকি বুচ এবং ইবোদিয়া ইয়েকিলে।

আগামী ৪ মে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শুরু হবে ৫ ম্যাচের ওয়ানডে আর ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। মূল সিরিজ শুরুর আগে বেশ আত্মবিশ্বাসী জয় পেল রুমানারা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে লেবুর রস!

লেবু। লেবু হল সাইট্রাস লিমন (Citrus limon) সাধারণ নাম। লেবুর অনেক গুণ। লেবুর শরবত একটি আদর্শ স্বাস্থ্যসম্মত পানীয়। মাত্র একটি মাঝারি আকৃতির লেবু থেকে চল্লিশ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি বা এসকরবিক এসিড পাওয়া যা একজন মানুষের দৈনিক চাহিদা পূরণের জন্য যথেষ্ট। ভিটামিন ‘সি’ দেহের রোগ প্রতিরোধকারী কোষগুলোর কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। তাই বিশ্বজুড়ে লেবু খুবই জনপ্রিয় এবং প্রতিটি দেশের রান্নাঘরে এটি একটি অপরিহার্য খাবার। তাছাড়া এটি উদ্ভিজ্জ যৌগ, খনিজ এবং দেহের জন্য প্রয়োজনীয় তেলে সমৃদ্ধ। চলুন এবার জেনে নিই লেবুর রসের চিত্তাকর্ষক সব উপকারিতা-

১. কিডনির পাথর:
লেবুতে উপস্থিত লবণ বা সাইট্রিক অ্যাসিড কিডনিতে ‘ক্যালসিয়াম অক্সালেট’ নামক পাথর গঠনে বাধা দেয়। সবচেয়ে সাধারণ কিডনি পাথরগুলোর মধ্যে এটি একটি।

২. কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে:

লেবুতে বিদ্যমান সাইট্রিক অ্যাসিড কোলন, পিত্তথলি ও লিভার থেকে বর্জ্য পদার্থ বের করতে সাহায্য করে।এটি কোষ্ঠকাঠিন্য ও পাইলসের সমস্যা দূর করতে পারে। এছাড়াও এটি পেটের গোলযোগ ও বদহজম রুখতে সাহায্য করে।

৩. শক্তি বৃদ্ধি:
লেবুর রস পরিপাক নালীতে প্রবেশ করে শরীরে শক্তি বৃদ্ধি করে। এটি মানসিক চাপ কমাতে ও মেজাজ ফুরফুরা করতেও সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

৪.হজমে সাহায্য করে:
লেবুর রস হজমে ব্যাপক সাহায্য করে। সেইসঙ্গে পরিপাক নালী থেকে বর্জ্য পদার্থ বের করে দেয়।এটি কোষ্ঠকাঠিন্যও দূর করে।

৫. ত্বক পরিষ্কার করে:

লেবুতে উপস্থিত ভিটামিন ‘সি’ ত্বকের কোষের ক্ষয় প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। শুধু তাই নয়, এই উপাদান শরীরে কোলাজেন তৈরি করে। যা মুখের অবাঞ্ছিত দাগ দূর করে ঔজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনে।

৬. ওজন হ্রাস:
লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার বা আঁশ রয়েছে। যা ক্ষুধার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা খালি পেটে লেবুর রস খান, তাদের ওজন দ্রুত হ্রাস পায়। সুতরাং ওজন বৃদ্ধি নিয়ে চিন্তা না করে প্রতিদিন সকালে লেবুর রস খান।

৭. মূত্রনালীর সংক্রমণ দূর:
যদি মূত্রনালীতে সংক্রমণ ঘটে। তাহলে প্রচুর পরিমাণে লেবুর রস পান করুন। এটি আরোগ্য লাভে সাহায্য করবে।

৮. চোখের স্বাস্থ্য:
লেবুর রস চোখের স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রণ করে এবং চোখের সমস্যার বিরুদ্ধে লড়াই করে।

৯. ক্যান্সার প্রতিরোধে:
লেবু অনেক ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। বিশেষ করে স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে এর জুড়ি মেলা ভার।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest