সর্বশেষ সংবাদ-
আশাশুনিতে শহীদের স্মরণে দুঃস্থদের মাঝে জামায়াতের খাবার বিতরণদেবহাটায় বিয়ের প্রলোভনে কলেজ শিক্ষার্থীর সাথে অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগে থানায় মামলাস্বৈরাচার ঠেকিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার এনসিপিরসাতক্ষীরায় দ্রুতগামী পিকআপের চাপায় ভ্যান চালকের মৃত্যুকোন সাংবাদিক যেন হয়রানির শিকার না হয়–সাতক্ষীরায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিব দীর্ঘদিন কাজ করেও সরকারি স্বীকৃতি মেলেনি বিআরটিএ’র সীল মেকানিকদেররাষ্ট্রপতির ক্ষমার আগে ভুক্তভোগী ও পরিবারের মতামত নেওয়ার প্রস্তাবতালায় ‘পার্টনার ফিল্ড স্কুল কংগ্রেস’ অনুষ্ঠিতভোমরায় জামায়াতের হুইল চেয়ার বিতরণসাতক্ষীরায় জলাবদ্ধতা নিরসনে ইটাগাছা এলাকা পরির্দশনে সদর ইউএনও

ফের নিজস্ব মহিমায় ফিরলেন প্রিয়া

পর্দায় তিনি থাকবেন, আর তার চোখের স্টাইল থাকবে না তাও আবার হয় নাকি? চোখের কায়দাতেই তো এক সময় বশ করেছিলেন গোটা সোশ্যাল মিডিয়াকে। আবারও তার চোখের জাদুদে বুঁদ নেটিজেনরা।

নাহ! আগেরবারের মতো এবার কোনও পূর্ণ দৈর্ঘ্যের সিনেমা নয়। এবার নিজস্ব স্টাইল কোশেন্ট নিয়ে বিজ্ঞাপনের দুনিয়ায় পা রাখলেন প্রিয়া প্রকাশ ওয়ারিয়র। সাথে রয়েছে অবশ্যই তার চোখের সিগনেচার স্টাইল।

১৮ বছরের প্রিয়া নেট দুনিয়ায় সাড়া পেলেছিলেন ‘অরু আদার লভ’ নামের ছবির একটি ছোট্ট ক্লিপিংয়ে। স্কুল জীবনের দুষ্টু-মিষ্টি সেই প্রেমের দৃশ্যে মাত্র কয়েক মিনিটেই ঝড় তুলেছিলেন হাজার হাজার পুরুষ হৃদয়ে। ফের নিজস্ব মহিমায় একটি চকোলেট কোম্পানির বিজ্ঞাপনে হাজির প্রিয়া। মোট ছয়টি ভাষায় মুক্তি পেয়েছেন এই বিজ্ঞাপনটি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মুক্তিযোদ্ধা ইনামুল বিশ্বাসের মৃত্যুতে নাগরিক কমিটির শোক

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: সাতক্ষীরা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ও জেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক ইনামুল হক বিশ্বাস এর মৃত্যুতে সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটি গভীর শোক প্রকাশ ও তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। এবং শোক সমাপ্ত প্ররিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন। শোক সমাপ্ত পরিবার তাদের পিতার মৃত্যুতে যে অপুরনীয় ক্ষতি হয়েছে তা থেকে কেটে উঠার জন্য দোওয়া কামনা করেছেন। তার মৃত্যুতে গভীর শোক জ্ঞাপন করেছেন জেলা নগরিক কমিটির আহবায়ক মো: আনিসুর রহিম, সদস্য সচিব আবুল কালাম আজাদসহ কমিটির সকল সদস্যবৃন্দ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কাজ না করেই জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার!

‘আমি যে ছবিতে কাজ করিনি সেই ছবির জন্য আমি কেমন করে পুরস্কার পাই? বিষয়টি নিয়ে আমি অনেক বেশি বিব্রত। আমাদের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাবার জন্য বেশ কয়েক বছর ধরেই অপেক্ষা করছিলাম। সবাই আমার কাজের জন্য প্রশংসা করতো, কিন্তু কেন পুরস্কার পাচ্ছিলাম না তা এখন বুঝতে পারছি। এমন করে যদি অনিয়ম হয় তা হলে আমার মতো যারা কাজ করছেন তারা কিভাবে পুরস্কার পাবে?’ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৬-এর শ্রেষ্ঠ নৃত্য পরিচালকের পুরস্কার নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই আলোচনা হচ্ছিলো। বিষয়টি হাবিবের কাছে জানতে চাইলে তিনি এভাবেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এবছর ঘোষিত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৬-তে ‘নিয়তি’ ছবির জন্য শ্রেষ্ঠ নৃত্য পরিচালক হিসেবে পুরস্কৃত হন তিনি। অথচ হাবিবের দাবী এই ছবিতে কাজই করেননি তিনি।

তাহলে এই পুরস্কার কি তিনি গ্রহণ করবেন? উত্তরে হাবিব বলেন, ‘অবশ্যই গ্রহণ করবো, তবে তা ‘নিয়তী’ ছবির জন্য নয়। আমার আরেকটি ছবিতে নৃত্য পরিচালক হিসেবে কাজ করেলিাম, সেই ছবিটি দ্বিতীয় অবস্থানে আছে, সেটির নাম ‘অনেক দামে কেনা’, আমি চাই সেই ছবির জন্য আমাকে পুরস্কার দেওয়া হোক। তাহলে আমি আনন্দের সাথে পুরস্করটি গ্রহণ করতে পারবো। কারণ এই ছবিতে আমি কাজ করেছি। ‘নিয়তি’ ছবিতে আমি কাজ করিনি।’

হাবিব আরো যোগ করেন, ‘ভালো কাজের জন্য স্বীকৃতি সবাই চায়, সেই হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার হচ্ছে সবচেয়ে বড় স্বীকৃতি। আমি মনে করি যদি কোন অনিয়ম না হয়, তা হলে আমরা যারা মূল ধারার চলচ্চিত্রে নিয়মিত কাজ করি, তারা প্রতি বছরই পুরস্কার পাবো।  দেখা যায় যারা বাইরে থেকে কাজ করেন, মূল ধারার নৃত্য পরিচালক নন, তারাই প্রতি বছর পুরস্কার নিয়ে যান।’

তবে কী করে ‘নিয়তি’ ছবিতে হাবিবের নাম অন্তর্ভুক্ত হলো সে ব্যাপারে কিছুই জানেন না হাবিব। ‘নিয়তি’ ছবিটি পরিচালনা করেছেন জাকির হোসেন রাজু। আর এটি প্রযোজনা করেছে জাজ মাল্টিমিডিয়া।

২০১৬ সালের ছবির জন্য ঘোষিত পুরস্কারের মধ্যে জাজ মাল্টিমিডিয়া দুটি ছবিতে মোট ছয় ক্যাটাগরিতে পুরস্কৃত হয়। ‘নিয়তি’ ছবির দুটি ক্যাটাগরি হলো শ্রেষ্ঠ নৃত্য পরিচালক ও শ্রেষ্ঠ পোশাক ও সাজ-সজ্জা (যৌথভাবে)। আর ‘মেয়েটি এখন কোথায় যাবে’ ছবির চারটি ক্যাটাগরি হলো: শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব চরিত্র অভিনেতা (যৌথভাবে), শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক, শ্রেষ্ঠ গীতিকার ও শ্রেষ্ঠ সুরকার।

এক নজরে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার – ২০১৬
১. আজীবন সম্মাননা: যৌথভাবে ববিতা ও ফারুক।
২. শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র : অজ্ঞাতনামা (ফরিদুর রেজা সাগর)
৩. শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র : ঘ্রাণ (এস. এম. কামরুল আহসান)
৪. শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য চলচ্চিত্র: জন্মসাথী (একাত্তর মিডিয়া লিমিটেড ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর)
৫. শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালক: অমিতাভ রেজা চৌধুরী (আয়নাবাজি)
৬. শ্রেষ্ঠ অভিনেতা প্রধান চরিত্রে : চঞ্চল চৌধুরী (আয়নাবাজি)
৭. শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী প্রধান চরিত্রে : যৌথভাবে তিশা (অস্তিত্ব) ও কুসুম শিকদার (শঙ্খচিল)
৮. শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পার্শ্ব চরিত্রের : যৌথভাবে আলী রাজ (পুড়ে যায় মন) ও ফজলুর রহমান বাবু (মেয়েটি এখন কোথায় যাবে)
৯. শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী পার্শ্ব চরিত্রের : তানিয়া আহমেদ (কৃষ্ণপক্ষ)
১০. শ্রেষ্ঠ অভিনেতা/অভিনেত্রী খল চরিত্রে : শহীদুজ্জামান সেলিম (অজ্ঞাতনামা)
১১. শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পী: আনুম রহমান খান সাঁঝবাতি (শঙ্খচিল)
১২. শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক: ইমন সাহা (মেয়েটি এখন কোথায় যাবে)
১৩. শ্রেষ্ঠ নৃত্য পরিচালক : মো. হাবিব (নিয়তি)
১৪. শ্রেষ্ঠ গায়ক: ওয়াকিল আহমেদ (অমৃত মেঘের বারি, চলচ্চিত্র : দর্পণ বিসর্জন)
১৫. শ্রেষ্ঠ গায়িকা : মেহের আফরোজ শাওন (যদি মন কাঁদে, চলচ্চিত্র : কৃষ্ণপক্ষ)
১৬. শ্রেষ্ঠ গীতিকার : গাজী মাজহারুল আনোয়ার (বিধিরে ও বিধি, চলচ্চিত্র : মেয়েটি এখন কোথায় যাবে)
১৭. শ্রেষ্ঠ সুরকার : ইমন সাহা (বিধিরে ও বিধি, চলচ্চিত্র : মেয়েটি এখন কোথায় যাবে)
১৮. শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার: তৌকীর আহমেদ (অজ্ঞাতনামা)
১৯. শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার: যৌথভাবে অনম বিশ্বাস ও গাউসুল আলম (আয়নাবাজি)
২০. শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা : সৈয়দা রুবাইয়াত হোসেন (আন্ডার কনস্ট্রাকশন)
২১. শ্রেষ্ঠ সম্পাদক: ইকবাল আহসানুল কবির (আয়নাবাজি)
২২. শ্রেষ্ঠ শিল্পনির্দেশক: উত্তম গুহ (শঙ্খচিল)
২৩. শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক: রাশেদ জামান (আয়নাবাজি)
২৪. শ্রেষ্ঠ শব্দগ্রাহক: রিপন নাথ (আয়নাবাজি)
২৫. শ্রেষ্ঠ পোশাক ও সাজ-সজ্জা: যৌথভাবে সাত্তার (নিয়তি) ও ফারজানা সান (আয়নাবাজি)
২৬. শ্রেষ্ঠ মেক-আপম্যান: মানিক (আন্ডার কনস্ট্রাকশন)

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কবি সুফিয়া কামাল হলের ঘটনায় ২৪ ছাত্রলীগ নেত্রীকে স্থায়ী বহিষ্কার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কবি সুফিয়া কামাল হলের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২৪ ছাত্রলীগ নেত্রীকে দল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে৷ সোমবার (১৬ এপ্রিল) ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইনের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়৷

বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করে কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘কবি সুফিয়া কামাল হলের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মোট ২৪ জনকে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’

বহিষ্কৃত নেত্রীরা হলেন- কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক খালেদা হোসেন মুন, কবি সুফিয়া কামাল হল ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মোর্শেদা খানম, সহ-সভাপতি আতিকা হক স্বর্ণা, সহ-সভাপতি মিরা, সাংগঠনিক সম্পাদক জান্নাতি আক্তার সুমি, সহ-সম্পাদক শ্রাবণী, আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদ ছাত্রলীগের শারমিন আক্তার, চারুকলা অনুষদ ছাত্রলীগের উপ- তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আশা, সুদীপ্তা মণ্ডল, অনামিকা দাশ, নাট্যকলা বিভাগ ছাত্রলীগের লিজা, মিথিলা নুসরাত চৈতী; সঙ্গীত বিভাগ ছাত্রলীগের সোনম সীথি, প্রিয়াংকা, প্রভা; নৃবিজ্ঞান বিভাগ ছাত্রলীগের শারমিন সুলতানা, উর্দু বিভাগ ছাত্রলীগের মিতু, ভূ-তত্ত্ব বিভাগ ছাত্রলীগের শিলা, জাকিয়া, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ ছাত্রলীগের মনিরা ও রুনা; শান্তি ও সংঘর্ষ বিভাগ ছাত্রলীগের জুঁই, বাংলা বিভাগ ছাত্রলীগের তানজিলা ও সমাজকল্যাণ বিভাগ ছাত্রলীগের তাজ।

গত মঙ্গলবার (১০ এপ্রিল) দিবাগত রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কবি সুফিয়া কামাল হলের সভাপতি ইফফাত জাহান এশার বিরুদ্ধে মোর্শেদা খানম নামের এক ছাত্রীকে মারধর করার অভিযোগে ওঠে। এই খবর ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন হল থেকে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করে৷ এক পর্যায়ে হল সভাপতি এশাকে ছাত্রীরা জুতার মালা গোলায় দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়৷ এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২৪ নেত্রীকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেবহাটা থানার ওসির বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাশ রুটিন বিতরণ

দেবহাটা ব্যুরো : সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমানের প্রকাশনায় মাদককে না বলি বাল্য বিবাহকে প্রতিরোধ করি, যে মুখে ডাকি মা সে মুখে মাদককে বলি না এই শ্লোগান ও জঙ্গী-মাদকের প্রতিকার বাংলাদেশ পুলিশের অঙ্গীকার এই শ্লোগান সম্বলিত ক্লাশ রুটিন দেবহাটা উপজেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সোমবার বিতরণ করেছেন দেবহাটা থানার ওসি কাজী কামাল হোসেন। সকাল সাড়ে ১০ টায় দেবহাটা থানার ওসি কাজী কামাল হোসেন দেবহাটা বিবিএমপি ইনষ্টিটিউশান পাইলট হাইস্কুলে দশম শ্রেনীর ছাত্রীদেরকে ক্লাশ রুটিন বিতরনের মাধ্যমে এই কার্যক্রমের সূচনা করেন। এসময় ওসি ইভটিজিং, বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ, যৌতুক কে না বলা এবং জঙ্গী ও সন্ত্রাসবাদ মুক্ত সমাজ বির্নিমানে শিক্ষার্থীদের ভূমিকা সম্পর্কে আলোকপাত করেন। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের সকল উন্নয়ন কর্মকান্ডে সকলকে সম্পৃক্ত থেকে একটি জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসবাদ মুক্ত দেশ গড়তে হবে। ওসি তার সরকারী মোবাইল ফোন নম্বর সকল শিক্ষার্থীদেরকে জানিয়ে দেন এবং বলেন, কোথাও কোন সমস্যা দেখলে তারা যেন সরাসরি তাকে ফোন করে জানায়। তিনি তাৎক্ষনিক সে বিষয়ে উপযুক্ত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে শিক্ষার্থীদেরকে আশ^স্থ করেন। এসময় উক্ত স্কুলের প্রধান শিক্ষক মদন মোহন পাল, থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই ইয়ামিন আলী, এসআই উজ্জ্বল কুমার দত্ত, দেবহাটা প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব আর.কে.বাপ্পা, সাংবাদিক কে.এম রেজাউল করিম, এসআই আল আমিন, সহকারী প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম, এএসআই আব্দুল গনি আকাশ, এএসআই আমজাদ হোসেন, এএসআই কায়সারুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। পরে ওসি কাজী কামাল হোসেন সখিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পারুলিয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ও হাদীপুর আহছানিয়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্শীদের মধ্যে ক্লাশ রুটিন বিতরন করেন। হাদীপুর আহছানিয়া দাখিল মাদ্রাসায় বিতরনকালে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি উপজেলা আঃলীগ সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কোটা সংস্কার আন্দোলন; ‘তুলে নেয়ার’ পর ছেড়ে দেয়া হয়েছে ৩ নেতাকে

রাজধানীর চাঁনখারপুল এলাকা থেকে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের তিন নেতাকে ‘তুলে নেয়ার’ পর ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংগঠনের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন।

তারা হচ্ছেন- পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নুর উল্লাহ নুর, ফারুক হাসান ও রাশেদ খান।

সোমবার (২ এপ্রিল) দুপুর ২টা ৫৫ মিনিটে হাসান আল মামুন বলেন, ‘একটি মাইক্রোবাসে করে তুলে নেয়ার পর তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে। আমি তাদের কাছে যাচ্ছি।’

তাৎক্ষণিকভাবে এর চেয়ে বেশী কিছু জানাতে পারেননি হাসান আল মামুন।

এর আগে দুপুর ২টার দিকে এ তিন নেতাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন হাসান আল মামুন।

হাসান আল মামুন বলেন, সকাল ১১টায় আমাদের পরিষদের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে সংবাদ সম্মেলন ছিল। সংবাদ সম্মেলন শেষে পরিষদের নেতারা কোটা সংস্কার আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের দেখার উদ্দেশ্যে ঢাকা মেডিকেল রওনা হই। পরে চানখারপুলের কাছাকাছি পৌঁছালে রাশেদ,ফারুক ও নুরকে সাদাপোশাকধারী ব্যক্তিরা মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে গেছে। আমি চিনি, তারা ডিবি।

তাদের কীভাবে চিনলেন—এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এর আগেও তাদের দেখেছি। তারাই নিয়ে গেছে। এসময় তাদের থেকে একটু পেছনে পড়ে যাওয়ায় তাকে অপহরণ করতে পারেনি বলে দাবি করেন হাসান আল মামুন।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের ফেসবুক পেজেও তিনজনকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। একটি ভিডিও শেয়ার করে তারা দাবি করেছে, সাদা মাইক্রোবাসে তিনজনকে তুলে নেওয়া হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
এসএসসি’র ফল মে’র প্রথম সপ্তাহে

অনলাইন ডেস্ক: এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল আগামী ৩ থেকে ৭ মে’র মধ্যে প্রকাশিত হতে পারে বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।  শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ৩ থেকে ৭ মে’র মধ্যে ফল প্রকাশের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সার-সংক্ষেপ পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, ৩ মে বৃহস্পতিবার, ওই দিন ফল না হলে ৬ বা ৭ মে হতে পারে। তবে বিষয়টি নির্ভর করছে প্রধানমন্ত্রীর উপর। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে থেকে যেদিন সময় দেওয়া হবে সেদিন ফল প্রকাশ করা হবে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক তপন কুমার সরকার বলেন, ৩ থেকে ৭ মে’র মধ্যে ফল প্রকাশের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় যেদিন সময় নির্ধারণ করে দেবে সেদিনই ফল প্রকাশ করা হবে।
রেওয়াজ অনুযায়ী, শিক্ষামন্ত্রী বোর্ডের চেয়ারম্যানদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফলের অনুলিপি তুলে দেন। পরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী। এরপর শিক্ষার্থীরা অনলাইন ও এসএমএসে ফল জানতে পারেন।
গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এসএসসি ও সমমানের তত্ত্বীয় বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যবহারিক পরীক্ষা ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ৪ মার্চ শেষ হয়। সারা দেশে তিন হাজার ৪১২টি কেন্দ্রে মোট ২০ লাখ ৩১ হাজার ৮৮৯ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে ১০ লাখ ২৩ হাজার ২১২ জন ছাত্র ও ছাত্রীর সংখ্যা ১০ লাখ ৮ হাজার ৬৮৭ জন।
এসএসসিতে মোট পরীক্ষার্থী ১৬ লাখ ২৭ হাজার ৩৭৮ জন, মাদরাসা বোর্ডের অধীন দাখিল পরীক্ষায় দুই লাখ ৮৯ হাজার ৭৫২ জন এবং কারিগরিতে এক লাখ ১৪ হাজার ৭৬৯ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়।
গত কয়েক বছর থেকে তত্ত্বীয় বিষয়ের পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করে আসছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
৮বছরের শিশুকে অপহরণ করে গণধর্ষণের পর পাথর ছুড়ে হত্যা, উত্তাল ভারত

অনলাইন ডেস্ক: সম্প্রতি ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরে আট বছর বয়সী মুসলিম শিশু আসিফা বানুকে অপহরণের পর গণধর্ষণ শেষে পাথর ছুড়ে হত্যা করা হয়। এই ঘটনাকে দেশটির স্বাধীনতা পরবর্তী সবচেয়ে বড় অন্ধকার অধ্যায় বলে অভিহিত করেছেন ভারতের সাবেক আমলারা।
ভারতের সাবেক আইএএস এবং আইপিএস কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে লেখা এক খোলা চিঠিতে এ কথা বলেন।
চিঠিতে সাবেক আমলারা নরেন্দ্র মোদি ও তার দল বিজেপির কড়া সমালোচনা করেছেন। তারা লিখেছেন, আমাদের আশা ভেঙে গেছে প্রধানমন্ত্রী, এ জন্য দায়ী আপনিই।

খোলা চিঠির নির্বাচিত অংশ নিচে তুলে ধরা হলো-
যে ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক ও উদার মূল্যবোধ আমাদের সংবিধানে সুরক্ষিত, তার অবক্ষয় দেখে গত বছরও আমরা একযোগে উদ্বেগ জানিয়েছিলাম। বর্তমান শাসক কৌশলে ঘৃণা, ভয় ও নৃশংসতার যে আবহাওয়া সৃষ্টি করেছে, তার প্রতিবাদে অন্য বিরোধী স্বরগুলোকে একজোট করার উদ্দেশেই আমরা তা করেছিলাম। আমরা তখনও মুখ খুলেছিলাম, এখনও মুখ খুলছি।
আমরা আশা করেছিলাম, সংবিধানকে রক্ষা করার শপথ নেওয়া একজন হিসেবে আপনি, আপনার নেতৃত্বাধীন সরকার এবং দল এই উদ্বেগজনক অবক্ষয় দেখে নড়েচড়ে বসবে। এই রোগের সংক্রমণকে রুখে সবাইকে, বিশেষত সমাজের সংখ্যালঘু ও দুর্বল মানুষদের নতুন করে আশ্বাস দিয়ে বলবেন যে, তাদের জীবন ও স্বাধীনতার কোনো ভয় নেই। আমাদের সেই আশা ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে।
মানুষের অর্পণ করা ন্যূনতম দায়িত্ব পালনেও সরকার ব্যর্থ হয়েছে। এর ফলে নৈতিক, আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সম্পর্কে গর্ববোধ করা এক জাতি হিসেবে আমরা ব্যর্থ প্রতিপন্ন হয়েছি। হিন্দুদের নাম করে বর্বর আচরণকে প্রশ্রয় দেওয়ায় মানুষ হিসেবেও আমরা ব্যর্থ হয়েছি।
আট বছরের মেয়ের ধর্ষণ ও খুনের হিংস্রতা ও বর্বরতা বুঝিয়ে দিচ্ছে, আমরা কতটা নিচে নেমেছি। স্বাধীনতা-উত্তর ভারতে এটিই সবচেয়ে অন্ধকার অধ্যায়।আমরা দেখছি-এতে সরকার, নেতারা ও রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিক্রিয়া ক্ষীণ ও নগণ্য। এই সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে অন্ধকার সুড়ঙ্গের শেষে আমরা কোথাও আলো দেখছি না। লজ্জায় মাথা নিচু হয়ে যাচ্ছে। আমাদের লজ্জা আরও বেড়েছে। কারণ যে অনুজ সহকর্মীরা এখনও চাকরিতে রয়েছেন, বিশেষ করে জেলায়, দুর্বলকে রক্ষা করতে যারা আইনত বাধ্য মনে হচ্ছে তারাও কর্তব্য পালনে ব্যর্থ হয়েছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest