সর্বশেষ সংবাদ-
কালিগঞ্জে পুকুরের পানিতে দুই শিশুর মৃত্যুদেবহাটায় ৪০ জন উপকার ভোগীর মাঝে ছাগল বিতরণদেবহাটার সরকারি কর্মকর্তা-সুধীজনদের সাথে ডিসির মতবিনিময়সাতক্ষীরার ১৮৫টি ভোটকেন্দ্রের স্কুল সংস্কারে বরাদ্দ প্রায় ৬৪ লাখ টাকাসাতক্ষীরা জেলা রোভারের ৪১ তম কোর্স ফর রোভারমেট এর মহাতাঁবু জলসাশ্যামনগরে বুনো শাকের রান্না প্রতিযোগিতাসাতক্ষীরায় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে রাস্তা সংস্কার কার্যক্রমের উদ্বোধনতারেক রহমানের জন্মদিনে সাতক্ষীরায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ছাত্রদলের শিক্ষা উপকরণ বিতরণদেবহাটায় উপজেলা মাসিক আইনশৃঙ্খলা ও উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভামহেশ্বরকাটি বাজারে বিএনপির প্রার্থী কাজী আলাউদ্দিনের লিফলেট বিতরণ

খুলনা সিটি নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী মঞ্জুর প্রচার স্থগিত

খুলনা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে সব ধরনের প্রচার স্থগিত করেছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তিনি প্রচারে নামেননি।

আজ সকালে নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, গতকাল বুধবার রাত আটটা থেকে বৃহস্পতিবার ভোর পাঁচটা পর্যন্ত নগরজুড়ে পুলিশ ও ডিবির সদস্যরা ধানের শীষের নির্বাচনী প্রচারণায় জড়িত বিভিন্ন পর্যায়ের ১৯ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেন। এ ছাড়া অনেক নেতা-কর্মীর বাড়িতে তল্লাশির নামে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়েছে।

নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, নির্বাচনের কাজে যুক্ত থাকলে পরিণতি হবে ভয়াবহ বলেও ডিবি হুমকি দিয়েছে। এসব ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন কার্যকর কোনো ব্যবস্থা না নেওয়া পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচারণা স্থগিত থাকবে।

বিএনপি প্রার্থীর অভিযোগ, আওয়ামী লীগ প্রার্থী প্রতিনিয়ত নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে চলেছেন। তিনি সরকারি কর্মকর্তা ও যাঁরা ভোটের দিন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত থাকবেন, তাঁদের নিয়ে বৈঠক করেছেন। এসব ব্যাপারে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে একাধিক অভিযোগ করা হলেও কোনো সুফল পাওয়া যায়নি। শুধু তা-ই নয়, যারা বিএনপির পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন, তাঁদেরও আটক বা গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে।

নির্বাচনী কাজে বাধা ও অভিযানের প্রতিবাদে কঠোর কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি। ৬ মে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) আসবেন। তিনি আসার আগে এসব কার্যক্রম বন্ধ না করা হলে তাঁর সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বর্জন করা হবে। প্রয়োজনে সরকার ও সিইসিকে কালো পতাকা প্রদর্শন করা হবে বলে জানান মঞ্জু।

খুলনা নগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার এস এম কামরুল ইসলাম বলেন, নগর ডিবি থেকে এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। আর ভয়ভীতি দেখানোর প্রশ্নই ওঠে না।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (গণমাধ্যম) সোনালী সেন বলেন, গতকাল অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা আছে। ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ সত্য নয়।

জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, যদি কারও বিরুদ্ধে মামলা থাকে আর পুলিশ যদি তাঁকে গ্রেপ্তার করে, সেটা সম্পূর্ণ তাদের ব্যাপার। এটা কোনোভাবেই নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত নয়। আওয়ামী লীগও এ ব্যাপারে কিছু জানে না।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতা সাতক্ষীরার শাহিনকে মূল্যায়নের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার দা’ সূর্যসেন হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাতক্ষীরার ছেলে শাহিনকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সম্মেলনে সঠিকভাবে মূল্যায়নের দাবি তুলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
উল্লেখ্য, শাহিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক ও মাস্টার দা’ সূর্যসেন হল ছাত্রলীগেরও সাবেক দপ্তর সম্পাদক এবং বর্তমান সাধারণ সম্পাদক।

নাহিদ হাসান শাহিনের পারিবারিক রাজনৈতিক পরিচয়:
তার পিতা মোঃ মারুফ হোসেন ১৯৯৫ সালে- কলারোয়া উপজেলা যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, ১৯৯৬ সালে-কলারোয়া পৌর আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক, ১৯৯৮ সালে-কলারোয়া উপজেলার ৫ নং কেড়াগাছি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক, ২০০১ সালে কলারোয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়হক কমিটির সদস্য।ছিলেন। বর্তমানে তিনি কলারোয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের ৫নং কেড়াগাছি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ও কলারোয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য।
শাহিনের ছোট ভাই মেহেদী হাসান ফাহিম কলারোয়া সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি।
আওয়ামী পরিবারের পরীক্ষিত ও কর্মঠ ছাত্রনেতা শাহিনকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগে সঠিক মূল্যায়ন করে সাতক্ষীরা জেলার তরুণ সমাজকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত করতে সময় উপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি কামনা করছে বর্তমান প্রজন্মের ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সম্পদের পাহাড়; ডিআইজি মিজানকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুদক

আত্মীয়স্বজনের নামে মূল্যবান সম্পদ কেনার তালিকা বেশ দীর্ঘ * ভাগ্নে পিএসআই নোমানের নামে কাকরাইলে বাণিজ্যিক ফ্ল্যাট, ছোট ভাইয়ের নামে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট কিনেছেন বেইলি রিজে * নামে-বেনামে গাড়ি-বাড়ি, ফ্ল্যাটের ছড়াছড়ি, অসংখ্য বান্ধবীকেও দিয়েছেন দু’হাত ভরে

অনলাইন ডেস্ক: ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে পুলিশের বিতর্কিত ডিআইজি মিজানুর রহমানকে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় তাকে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে আগেই নোটিশ দেয়া হয়েছিল। দুদকের উপপরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী গত ২৪ এপ্রিল এই নোটিশ দেন।
মিজানকে তলবের চিঠি দুদক থেকে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বরাবর পাঠানো হয়।

অঢেল সম্পদ:
নাম মিজানুর রহমান। চাকরি করেন পুলিশের ডিআইজি পদে। কিন্তু থাকেন রাজার হালে। মূল্যবান সম্পদের দীর্ঘ তালিকা এমনটিই জানান দিচ্ছে। যেন কী নেই তার।

এখন পর্যন্ত তথ্যানুসন্ধানে নিশ্চিতভাবে যা বেরিয়ে এসেছে তাতে পিলে চমকানোর অবস্থা। অবশ্য অতি সৌভাগ্যবান পুলিশের এ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এখন দেশে-বিদেশে প্রায় সবার কাছে বিশেষ পরিচিত মুখ।
দুর্নীতি দমন কমিশন আজ তাকে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এর আগে তিনি একটি নিউজ চ্যানেলের এক সংবাদপাঠিকাসহ একাধিক নারীকে শারীরিকভাবে হেনস্তা ও জীবননাশের হুমকি দিয়ে টক অব দ্য কান্ট্রিতে পরিণত হন।

তবে সুচতুর মিজানুর রহমান নিজের নামে তেমন কোনো সম্পদ করেননি। কিনেছেন নিকটতম আত্মীয়স্বজনের নামে। অবশ্য দুদকের তদন্তে তারাও ফেঁসে যাবেন। কারণ সামান্য বেতনের চাকরি আর ছোটখাটো ব্যবসায়ী হয়ে দামি ফ্ল্যাটের মালিক কিভাবে হলেন সে প্রশ্নের উত্তর তাদের দিতেই হবে। এছাড়া মূল্যবান সম্পত্তি পানির দরে কিনলেন কিভাবে তার জবাবও পেতে হবে। ধারণা করা হচ্ছে, এমন পরিস্থিতিতে অর্থের জোগানদাতা ডিআইজি মিজানের নাম-ধামসহ বিস্তারিত তথ্য তাদের মুখ দিয়েই বেরিয়ে আসবে।

তথ্যানুসন্ধানে দেখা গেছে, ডিএমপির কোতোয়ালি থানার শিক্ষানবিস এসআই (পিএসআই) মাহমুদুল হাসান নোমান ডিআইজি মিজানুর রহমানের আপন ভাগ্নে। তিনি সেগুনবাগিচার জাতীয় রাজস্ব ভবনের উল্টোদিকে পাইওনিয়ার রোডের ৬৩/১ ‘নির্মাণ সামাদ ট্রেড সেন্টার’ নামে বাণিজ্যিক ভবনের দ্বিতীয় তলায় ১৯১৯ বর্গফুটের বাণিজ্যিক ফ্ল্যাট কিনেছেন। দলিল দস্তাবেজে মূল্যবান এই বাণিজ্যিক ফ্ল্যাটের জমিসহ দাম দেখানো হয়েছে ৫৯ লাখ ৯ হাজার টাকা।

২০১৬ সালের ৭ জানুয়ারি ঢাকার সদর সাবরেজিস্ট্রি অফিসে এই দলিল সম্পন্ন হয়। দলিল নং ১৩১। তবে নির্মাণ সামাদ ট্রেড সেন্টারের ফ্ল্যাট মালিক সমিতির গুরুত্বপূর্ণ নেতা ও জনৈক ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘এই ভবনে প্রতি বর্গফুট স্পেসের দাম কমপক্ষে ১৫ হাজার টাকা।
এ হিসেবে পিএসআই (শিক্ষানবিস এসআই) নোমানের নামে কেনা বাণিজ্যিক ফ্ল্যাটের দাম হয় ২ কোটি ৮৭ লাখ ৮ হাজার ৫শ’ টাকা। বর্তমানে ফ্ল্যাটটি ৯০ হাজার টাকায় ভাড়ায় নিয়ে একজন ব্যবসায়ী ‘কিসমত রেস্টুরেন্ট ও পার্টি সেন্টার’ পরিচালনা করছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পিএসআই নোমান সম্প্রতি চাকরিও পেয়েছেন মামা মিজানুর রহমানের তদবিরে। তার দাপটে ডিএমপির অনেক কর্মকর্তাই তটস্থ থাকেন। নোমানের পিতা আকতার হোসেন মেহেন্দীগঞ্জের মাদারতলী মাদ্রাসার শিক্ষক। তিনি এলাকায় ভালো মানুষ হিসেবে পরিচিত। কিন্তু ঢাকায় কোটি কোটি টাকা খরচ করে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ফ্ল্যাট কেনার সামর্থ এই পরিবারের নেই। কাকরাইলে ফ্ল্যাটের বিষয়ে জানতে চাইলে মাহমুদুল হাসান নোমান এ বিষয়ে কোনো কিছু বলতে রাজি হননি।

দুর্নীতি দমন কমিশন ডিআইজি মিজানের সম্পদের হিসাব চাইলে পিএসআই নোমান ফ্ল্যাটটি কম দামে দ্রুত বিক্রি করার চেষ্টা করছেন। মেহেন্দীগঞ্জের একজন বিতর্কিত রাজনীতিবিদ বাণিজ্যিক ফ্ল্যাটটি পেছনের তারিখে কিনে নেয়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন। এমনকি ডিআইজি মিজান ও ভাগ্নে নোমানকে দুদকের কাছ থেকে ছাড়িয়ে নিতেও দৌড়ঝাঁপ করছেন বলেও জানা গেছে।

নির্মাণ সামাদ মালিক সমিতির আরেক নেতা প্রতিবেদককে বলেন, ‘ভাগ্নে মাহমুদুল হাসান নোমানের নামে ফ্ল্যাটটি রেজিস্ট্রেশন করা হলেও এর মালিক মূলত ডিআইজি মিজানুর রহমান। এছাড়া একজন এসআই কিভাবে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মূল্যবান বাণিজ্যিক ফ্ল্যাট কিনতে পারেন সেটিই এখন বড় প্রশ্ন। অবশ্য ফ্ল্যাট মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দসহ আশপাশ এলাকার সবাই জানেন এটি ডিআইজি মিজানের ফ্ল্যাট।’

এদিকে এ বক্তব্যের সত্যতা পাওয়া যায় ভাড়াটিয়ার সঙ্গে করা চুক্তিনামায়। ৩শ’ টাকার স্ট্যাম্পে করা ওই চুক্তিনামায় এসআই মাহমুদুল হাসান নোমান ২০১৭ সালের নভেম্বর থেকে ২০২২ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ৫ বছরের জন্য ফ্ল্যাটটি ভাড়া দিয়েছেন। ডিআইজি মিজানের এই ভাগ্নে আলাদা বাসা নিয়ে ঢাকায় বসবাস করেন। অথচ চুক্তিনামায় বর্তমান ঠিকানা হিসেবে বেইলি রোডের ‘বেইলি রিজ’ নামে বহুতল আবাসিক ভবনের এম-৪ ফ্ল্যাটের ঠিকানা দিয়েছেন। কারণ ডিআইজি মিজান বিলাসবহুল এই ফ্ল্যাটেই থাকেন। কাকরাইলের ওই ভবনের নিচতলায় আরেকটি জুসের দোকান দিয়েছিলেন ডিআইজি মিজানের বিশ্বস্ত সাবেক গাড়িচালক গিয়াস উদ্দিন। দোকানটিও ডিআইজি মিজানের দোকান হিসেবে পরিচিত ছিল। ডিআইজি মিজানের দীর্ঘদিনের গাড়িচালক এই গিয়াস ও সাবেক বডিগার্ড কনসটেবল জাহাঙ্গীর কোটিপতি হিসেবে পুলিশ বাহিনীতে পরিচিত।

জানা যায়, বেইলি রোডের বেইলি রিজ আবাসিক ভবনের এম-৪ নং ফ্ল্যাটটি রেজিস্ট্রেশন করা হয় ডিআইজি মিজানুর রহমানের একমাত্র ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান স্বপনের নামে। তিনি বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ হাসপাতাল রোডে ‘আকবর মেডিকেল হল’ নামে ছোটখাটো ফার্মেসি পরিচালনা করেন। এই ব্যবসা দেখিয়ে ঢাকায় আয়কর ফাইলও খুলেছেন তিনি। বিভিন্ন কৌশলে এই ট্যাক্স ফাইলে নিজেকে কোটিপতির বর্ণনা দিয়েছেন স্বপন। বেইলি রিজের অ্যাপার্টমেন্টে বিলাসবহুল ওই ফ্ল্যাটগুলো প্রতিবর্গ ফুট ১৫ হাজার টাকা বলে জানিয়েছেন একজন বাসিন্দা। সেই হিসেবে ২৪শ’ বর্গফুটের আলিশান ওই ফ্ল্যাটের দাম হয় ৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা। অথচ জমির মূল্যসহ ফ্ল্যাটের সাবকবলা দলিলে দাম দেখানো হয়েছে ৪৯ লাখ ৪৯ হাজার টাকা। ২০১৬ সালের ১৯ জুন ঢাকার সদর সাবরেজিস্ট্রার জহুরুল ইসলাম ডিআইজি মিজানুর রহমানের ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান ওরফে স্বপনের নামে সাবকবলা দলিলে স্বাক্ষর করেন। দলিল নং ৪২৭৭।

অন্যদিকে মাহবুবুর রহমান স্বপন ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে দাখিলকৃত আয়কর ফরমে ব্যবসায় মূলধন দেখিয়েছেন ১৫ লাখ টাকা। এ রকম পুঁজির ব্যবসা থেকে নিজের নামে বেইলি রোডে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট কেনা অস্বাভাবিক। তা সত্ত্বেও আয়কর ফাইলে তিনি ফ্ল্যাটটি সংযুক্ত করেন। সেখানে আলিশান ওই ফ্ল্যাটের দাম দেখানো হয় ৫৫ লাখ ৫১ হাজার ৮৪০ টাকা। আয়করের হিসাবে তিনি একটি গাড়িরও মালিক ছিলেন। ঢাকা মেট্রো-গ-২৩-২১৮১ নং দামি মডেলের গাড়িটি বিক্রি করে তথ্য দিয়েছেন। তবে বিআরটিএর হালনাগাদ ফাইলে এখনও গাড়িটি মাহবুবুর রহমানের নামেই রয়েছে। এছাড়া মাহবুবুর রহমানের নামে এফডিআর আছে ২৫ লাখ ৩৩ হাজার ৫২৮ টাকা। এছাড়া মেহেন্দীগঞ্জে তিনি মাত্র ২০ ডেসিমিল জমির মালিক। এর দাম উল্লেখ করা হয়েছে ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাহবুবুর রহমান স্বপন বলেন, ‘বৈধ আয় দিয়েই সম্পদ করা হয়েছে। সবকিছু আয়কর রিটার্নে দেখানো আছে।’

উত্তরায় ১৩নং সেক্টরে ৮নং রোডে ২৯নং বাড়ির ফ্ল্যাটে এক ছেলে নিয়ে থাকেন ডিআইজি মিজানের স্ত্রী সোহেলীয়া আনার রত্না। তিনি গুলশান পুলিশ প্লাজা মার্কেটে লেবেল ৩-এ ৩১৪নং ‘লেডিস মার্ট’ শোরুম পরিচালনা করেন। মিজানুর রহমানের দীর্ঘদিনের সহযোগী ড্রাইভার গিয়াস উদ্দিনের ছোট ভাই আলমগীরকে ওই শোরুমে বিক্রয়কর্মী হিসেবে দেখা যায়। দেশের বাইরে থেকে এই শোরুমে থ্রিপিসসহ আধুনিক ড্রেস আনা হয়।

ডিআইজি মিজানুর রহমানের বড় ছেলে কানাডার একটি ব্যয়বহুল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করছে। সেখানে ছেলের নামে মূল্যবান সম্পদ রাখা হয়েছে বলে তার ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে। তবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি। ছোট ছেলেকেও কানাডায় পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন ডিআইজি মিজানুর রহমান। তার দ্বারা নির্যাতনের শিকার একজন নারী বলেন, ডিআইজি মিজানের বৈধ আয়ের সঙ্গে হিসাব মেলালে অনেক কিছুই স্পষ্ট হবে। কারণ কানাডার মতো দেশে একটি ব্যয়বহুল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বৈধভাবে ছেলে পড়ানোর সুযোগ থাকার কথা নয়। অথচ তিনি পড়াচ্ছেন। শুধু তাই নয়, ছেলেকে দেখতে যাওয়ার অজুহাতে স্ত্রী রতœাসহ পরিবার পাড়ি জমায় কানাডায়। এর প্রমাণ রয়েছে পাসপোর্টে। কানাডা ছাড়াও স্ত্রী রত্নাসহ প্রায়ই বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেন।

এসব অভিযোগের বক্তব্য জানতে ডিআইজি মিজানুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তার মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়। সরাসরি বেইলি রোডের বেইলি রিজ ও উত্তরার বাসায় যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু বাড়ি দুটির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সদস্যরা বাড়িতে কেউ নেই বলে জানান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মুঠোফোনে ডিআইজি মিজানুর রহমানের স্ত্রী সোহেলীয়া আনার রত্না বুধবার বলেন, ‘মিজান সাহেব একটু ব্যস্ত আছেন।’ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের কোনো সম্পদ নেই। উত্তরা ফ্ল্যাট আমার নিজের নামে। এই ফ্ল্যাটটি অনেক আগেই নেয়া হয়েছে। পুলিশ প্লাজায় ব্যবসার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, একজন খালাতো বোনকে নিয়ে ওই ব্যবসাটা করছি।’

সূত্র জানায়, পূর্বাচলে সরকারিভাবে ৫ কাঠার জমিও পেয়েছেন ডিআইজি মিজান। সাভারের পুলিশ কলোনিতেও পেয়েছেন ফ্ল্যাট। একটি লেক্সাস হেরিয়ারসহ একাধিক গাড়িতে তিনি ও তার পরিবার নিয়মিত চলাচল করেন।

ডিআইজি মিজানুর রহমানের ভাই মাহবুবুর রহমান স্বপন ও ভাগ্নে এসআই মাহমুদুল হাসানের কোটিপতি হওয়ার সত্যতা যাচাই করতে সরেজমিন বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জেও যোগাযোগ করা হয়। মেহেন্দীগঞ্জের দুর্গম গ্রাম আলীগঞ্জে গিয়ে কথা হয় সত্তরোর্ধ্ব একজন জেলের সঙ্গে। এক সময় তারা একই গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। তিনি মিজানুর রহমানের পিতাসহ পরিবারের সবাইকেই দেখেছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, ‘এক সময় আমার এবং ডিআইজি মিজানুর রহমানের গ্রামের বাড়ি ছিল পুরাতন হিজলা গ্রামে।

সেই গ্রামের পূর্বপুরুষের বাড়ি নদীভাঙনে সব বিলীন হয়ে যায়। এরপর মেহেন্দীগঞ্জের আলীগঞ্জে সামান্য জমি কিনে বাড়ি করেন মিজানুর রহমানের পিতা মরহুম আলী আকবর মিয়া।’ তিনি বলেন, ‘নদীভাঙনে বাড়িঘর নিশ্চিহ্ন হলে আলী আকবরও আলীগঞ্জে চলে আসেন। গ্রামে তেমন জমিজমা ছিল না তাদের।
আলী আকবর আলীগঞ্জ বাজারে গ্রাম্য চিকিৎসক মাইদুল মিয়ার বাবার সহযোগী ছিলেন। তিনিই নবজীবন ফার্মেসি পরিচালনা করতেন। এক সময় নবজীবন ফার্মেসিতে অংশীদার হন আলী আকবর। মাইদুলের বাবার সঙ্গে থেকেই টুকটাক চিকিৎসাও শেখেন তিনি। এরপর লোকজনের মুখে মুখে ডা. আলী আকবর নামে পরিচিতি পান।’ তিনি বলেন, ‘মাইদুলের বাবার মৃত্যুর পর আলীগঞ্জের সেই নবজীবন নামে ছোট ফার্মেসিটি মিজানুর রহমানের বাবা কিনে নেন। আলী আকবর মারা যাওয়ার পর মিজানুর রহমানের ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান স্বপন ফার্মেসিটি পরিচালনা করতেন।’

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ছোটবেলা থেকে মেধাবী মিজানুর রহমানকে লেখাপড়ায় আর্থিক সহযোগিতা করে তাদের বড় বোন বুলু। ওই সময় তিনি স্বাস্থ্যকর্মী হিসেবে চাকরি করতেন। বাবা আলী আকবরের মৃত্যুর পর স্বপন আলীগঞ্জেই থাকতেন। এরপর মেহেন্দীগঞ্জ বাজারের পাশে আম্বিকাপুরে বিলাসবহুল বাড়ি তৈরির পর হাসপাতাল রোডে আরেকটি ফার্মেসি দেন। এসবই হয়েছে ডিআইজি মিজানুর রহমানের চাকরি হওয়ার পর। আলী আকবরের দুই ছেলে ও ছয় মেয়ের মধ্যে তৃতীয় মিজানুর রহমান। তবে দরিদ্র পরিবারের সন্তান মিজান ছোটবেলা থেকেই ছিলেন মেধাবী। ১৯৮২ সালে মেহেন্দীগঞ্জের পাতারহাট পিএম স্কুল থেকে এসএসসি পাস করেন তিনি। ১৯৮৪ সালে বরিশাল বিএম কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। থাকতেন স্যার এফ রহমান হলে।

জানা যায়, পুলিশ বিভাগে চাকরি হওয়ার পরই ভাগ্য খুলে যায় মিজানুর রহমানের পুরো পরিবারের। দুই হাতে অর্থ কামিয়ে কয়েক বছর আগে মেহেন্দীগঞ্জ পৌর শহরের পাতারহাট-উলানিয়া সড়কের পাশে কালিকাপুর এলাকায় কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করেন বিলাসবহুল অট্টালিকা। ২য় তলাবিশিষ্ট এ বাড়ির নাম দেয়া হয় ‘আমেনা ভিলা’। মেহেন্দীগঞ্জের লোকজনের কাছে ওই বাড়িটি ‘স্বর্ণকমল’ হিসেবে পরিচিত।

মেহেন্দীগঞ্জের একজন সাবেক সংসদ সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, শুধু মেহেন্দীগঞ্জে নয়, পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ে নিয়োগ-বদলি বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করতেন ডিআইজি মিজান। অবৈধ এ বাণিজ্য করে অগাধ টাকার মালিক হন তিনি।

মেহেন্দীগঞ্জের পৌর ও উপজেলা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা বলেন, মেহেন্দীগঞ্জের একজন সন্তান পুলিশের বড় পদে চাকরি করায় এতদিন তাকে নিয়ে গর্ব করতেন স্থানীয় মানুষ। কিন্তু নারী কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়ায় এখন সবাই ছি-ছি করছে। এটা নিয়ে সর্বত্র আলোচনা হচ্ছে। এটা লজ্জার বিষয়।

জানা গেছে, দুদকের অনুসন্ধানে ডিআইজি মিজানের চাকরিজীবনে যাবতীয় আয়-ব্যয়, এনবিআরে দেয়া সম্পদের তথ্য, নারীঘটিত বিষয়ে অর্থ খরচের পেছনে টাকার উৎস, বিদেশে পরিবার-পরিজনের জন্য পাঠানো অর্থসহ পুরো তথ্য বের করে আনার চেষ্টা করছেন অনুসন্ধান কর্মকর্তা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ফের একসঙ্গে সিনেমার পর্দায় শাকিব-অপু!

ঢালিউডের জনপ্রিয় দুই তারকা শাকিব- অপু। দুজন একসঙ্গে অনেক ছবি করেছেন। এই নাম দুটি আলাদা হয়েও হয় না। ঘুরে ফিরে ঠিকি একসঙ্গেই এরা যুক্ত হয়। দুজনের বিবাহ বিচ্ছেদ হলেও আবরো শাকিবের হাত ধরেই আবারো পর্দায় ফিরছেন অপু।

তবে নতুন কোন সিনেমা শুরু করছেন না, পুরনো ছবি নিয়েই ফিরছে এই তারকা। তাদের সর্বশেষ ছবি ‘পাঙ্কু জামাই’ নানা জটিলতা পেরিয়ে অবশেষে মুক্তি পেতে যাচ্ছে। আগামী রোজার ঈদেই ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে বলে জানা গেছে।

ছবিটির মুক্তি পাওয়া নিয়ে অপু বিশ্বাস বলেন, ছবিটি মুক্তি পেতে অনেক বিলম্ব হলেও আশা করি দর্শক সিনেমাটি গ্রহণ করবে। নিজের কাছেও ভালো লাগছে যে অনেক দিন পর আবার পর্দায় আসছি।

‘পাঙ্কু জামাই’ নামের সঙ্গে মিল রেখেই ছবিটি নির্মাণ করা হয়েছে রোমান্টিক ও কমেডি ধাঁচে। পুরো ছবিতেই রয়েছে হাসি আনন্দ। গত রোজার ঈদে শাকিব অপু নিয়ে এসেছিলেন ‘রাজনীতি’। এই রোজার ঈদে তারা নিয়ে আসছেন ‘পাঙ্কু জামাই’।

এ ছবির নির্মাতা আবদুল মান্নান। তিনি বলেন, ছবির কাজ শেষ করতে প্রায় তিন বছরের মতো সময় লেগেছে। তবে এত সময় লেগেছে শাকিব খান ও অপু বিশ্বাসের মাঝে মনোমালিন্যের জন্য। তারপরও ক্ষোভ নেই। আমার প্রযোজক এরইমধ্যে প্রেক্ষাগৃহ মালিকদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছেন। আশা করছি, আসছে ঈদে ছবিটি মুক্তি দিতে পারব।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রাজস্থানকে হারিয়ে জয়ে ফিরলো দিল্লি

আগের ম্যাচে লড়াই করেও হারের হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল দিল্লি ডেয়ারডেভিলসকে। তবে বুধবার রাতে জয়ের উৎসবই করেছে তারা, ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে ৪ রানে হারিয়েছে রাজস্থান রয়্যালসকে।

বৃষ্টির কারণে ফিরোজ শাহ কোটলার ম্যাচ শুরু হয়েছিল নির্ধারিত সময়ের দেড় ঘণ্টা পর। ২ ওভার কমে তাই ১৮ ওভারে দাঁড়ায় ম্যাচ। এরপরও পুরো ওভার খেলা হয়নি, দ্বিতীয়বার বৃষ্টির বাধায় ১৭.১ ওভার পর্যন্ত ব্যাটিং করতে পারে দিল্লি। ওই পর্যন্ত ৬ উইকেটে ১৯৬ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছিল দিল্লি। পরে রাজস্থানের লক্ষ্য ঠিক হয় ১২ ওভারে ১৫১ রান। যদিও নির্ধারিত ওভার শেষে রাজস্থান করতে পারে ৫ উইকেটে ১৪৬।

আবারও ব্যাটে ঝড় তুলেছিলেন ঋশব পান্ট। ২৯ বলে ৭ চার ও ৫ ছক্কায় এই ব্যাটসম্যান করেন ৬৯ রান। তার সঙ্গে অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার ৩৫ বলে ৩ চার ও ৩ ছক্কায় করেন ৫০ রান। ওপেনার পৃথিবী শ করে যান ২৫ বলে ৪৭ রান, যাতে ছিল ৪ বাউন্ডারির সঙ্গে সমান ছক্কার মার। এই তিন ব্যাটসম্যানের ঝড়েই বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় দিল্লি।

বৃষ্টির কারণে লক্ষ্য আরও কঠিন হয়ে যায় রাজস্থানের জন্য। তবে জস বাটলার ও ডি’আর্চি শর্টের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে জয়ের সম্ভাবনা ঠিকই তৈরি করে তারা। উদ্বোধনী জুটিতে মাত্র ৬.৪ ওভারে তারা যোগ করেন ৮২ রান। যেখানে বাটলার একাই করে যান ৬৭ রান। মাত্র ২৬ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ৭ ছক্কার ইনিংসটি সাজান ইংলিশ উইকেটরক্ষক। আর শর্ট ২৫ বলে ২ চার ও ৪ ছক্কায় খেলেন ৪৪ রান।

তদের গড়ে দেওয়া ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে কৃষ্ণপ্পা গৌতম ৬ বলে হার না মানা ১৮ রানের ইনিংস খেললেও হার ঠেকাতে পারেননি রাজস্থানের।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস আজ

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস আজ (বৃহস্পতিবার)। ১৯৯১ সালে ইউনেস্কোর ২৬তম সাধারণ অধিবেশনের সুপারিশ মোতাবেক ১৯৯৩ সালে জাতিসংঘের সাধারণ সভায় ৩ মে তারিখকে ‘ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ডে’ অথবা বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসের স্বীকৃতি দেয়া হয়। সেই থেকে প্রতি বছর সারা বিশ্বে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।

‘কিপিং পাওয়ার ইন চেক : মিডিয়া, জাস্টিজ অ্যান্ড রোল অব ল’এই স্লোগানকে সামনে রেখে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এবার এই দিবসটি পালন করা হচ্ছে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থা বর্ণনায় যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা আর্টিকেল নাইনটিন জানিয়েছে, ২০১৭ সালে এ সংক্রান্ত স্বাধীনতার অধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে ৩৩৫টি।

২০১৩ সালের পর থেকে তা সর্বোচ্চ উল্লেখ করে জানানো হয়, এই ঘটনাগুলোর ৭০ শতাংশের ক্ষেত্রে শিকার হয়েছেন তৃণমূলের সাংবাদিকরা। এক প্রতিবেদনে সংস্থাটি আরও জানায়, মতপ্রকাশে বাধা দিতে আইন ব্যবহারের প্রবণতা বাড়ছে, কমছে শারীরিক আক্রমণের ঘটনা। অধিকার লঙ্ঘন ও হয়রানির প্রকৃতির এই পরিবর্তনকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মন্তব্য করা হয়।

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের সাংবাদিকরাও তাদের পেশাগত অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় দিবসটি পালন করতে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানও নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করবে।

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাব এক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে। সভায় তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন এবং দৈনিক প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হোসেন সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন।

দেশের তরুণ ও যুব সাংবাদিকদের সংগঠন ইয়ুথ জার্নালিস্টস ফোরাম বাংলাদেশ (ওয়াইজেএফবি) বিগত বছরগুলোর মতো ‘ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ডে’ পালন করবে। দিবসটি উপলক্ষে রাজধানীর তোপখানা রোডে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল মিলনায়তনে সকাল ১০টায় এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়েছে।

ওয়াইজেএফবি’র সভাপতি তানভীর আলাদিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন কাদেরের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. মমতাজ উদ্দিন আহমেদ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ওয়ানডেতে ভারতকে হটিয়ে শীর্ষে ইংল্যান্ড
টেস্ট র‌্যাঙ্কিংয়ে পাঁচ নম্বরে থাকা ইংল্যান্ডের কাছে ওয়ানডেতে শীর্ষস্থান হারাল ভারত। ২০১৩ সালের পর এই প্রথম শীর্ষে উঠল ইংল্যান্ড। ইংল্যান্ডের রেটিং পয়েন্ট ১২৫। ১২২ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে নেমে গেছে কোহলিরা।
টেস্টে দ্বিতীয় স্থানে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকা ওয়ান ডেতে রয়েছে তিন নম্বরে। চারে নিউজিল্যান্ড ও পাঁচে অস্ট্রেলিয়া। এই পাঁচ দলই টেস্ট ও ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ের টপ পাঁচে জায়গা করে নিয়েছে। বাংলাদেশের অবস্থান যথারীতি সাত নম্বরেই।
টেস্ট র‌্যাঙ্কিংয়ে ভারত ১২৫ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই রয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে দক্ষিণ আফ্রিকা। তিনে অস্ট্রেলিয়া। চারে নিউজিল্যান্ড ও পাঁচে ইংল্যান্ড। আর বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো ওঠে এসেছে আট নম্বরে।
বিশ্বকাপের আগে ইংল্যান্ডের জন্য অবশ্যই এই শীর্ষে ওঠাটা সুখবর। ২০১৫ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের খারাপ পারফরমেন্সের পর থেকেই আবার নতুন করে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে ইংল্যান্ড। তারই ফল পেল পরবর্তী বিশ্বকাপের এক বছর আগে।
0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষককে হজে যেতে ৫০ দিন ছুটি দিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়!
সনাতন ধর্মাবলম্বী গোপালগঞ্জের সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক অরুন চন্দ্র বিশ্বাস ভারতে ধর্মীয় উপসনালয় পরিদর্শনের জন্য অবকাশকালীন ছুটি আবেদন করেছিলেন। কিন্তু মন্ত্রণালয় থেকে তাকে সৌদি আরবে হজে যাওয়ার ছুটি দেওয়া হয়েছে!
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব মুরশিদা শারমিনের স্বাক্ষরিত এক আদেশে ২৫ জুলাই থেকে ১২ নভেম্বরের মধ্যে অথবা দায়িত্ব হস্তান্তরের তারিখ হতে তাকে ৫০ দিন ছুটি দেওয়া হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সরকারি কলেজ শাখা-৪ থেকে এই আদেশ জারি করা হয়। মন্ত্রণালয়ের এই আদেশটি  ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ায় এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে।
আদেশের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য মুরশিদা শারমিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি  বলেন, ‘বিষয়টি মনে পড়ছে না। বৃহস্পতিবার অফিসে গিয়ে জেনে আপনাকে জানাতে পারবো।’
তবে অরুন চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, আমি ১ জুন থেকে ২১ জুন পর্যন্ত ভারতে ধর্মীয় উপসনালয় পরিদর্শনের জন্য অবকাশকালীন ছুটির আবেদন জানিয়েছিলাম। কিন্তু আমাকে হজে যাওয়ার জন্য ছুটি দেওয়া হয়েছে। এটি সম্ভবত মন্ত্রণালয় ভুল করে দিয়েছে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সরকারি কলেজ শাখা-৪ এর যে আদেশে অরুন চন্দ্র বিশ্বাসকে ছুটি দেওয়া হয়েছে সেই আদেশেই নারায়ণগঞ্জের সরকারি তোলারাম কালেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নাছিমা বেগমকেও ওমরা পালনের জন্য ১ জুন থেকে ২১ জুন অথবা হস্তান্তরের তারিখ থেকে ২১ দিন ছুটি মঞ্জুর করা হয়।
এ বিষয়ে নাছিমা বেগম বলেন, আমার আদেশের সঙ্গে গোপালগঞ্জের সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক অরুন চন্দ্র বিশ্বাসকেও ছুটি দেওয়া হয়েছে। দুজনের একসঙ্গে আদেশ হলেও আমি তাকে চিনি না। হয়তো তিনি ধর্ম পরিবর্তন করেছেন। ধর্ম পরিবর্তন করলেও আমাদের ক্যাডারের নিয়ম অনুযায়ী নাম পরিবর্তন করা যায় না। নয়তো অন্য কোথাও ভুল হয়েছে।
0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest