সর্বশেষ সংবাদ-
আশাশুনিতে শহীদের স্মরণে দুঃস্থদের মাঝে জামায়াতের খাবার বিতরণদেবহাটায় বিয়ের প্রলোভনে কলেজ শিক্ষার্থীর সাথে অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগে থানায় মামলাস্বৈরাচার ঠেকিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার এনসিপিরসাতক্ষীরায় দ্রুতগামী পিকআপের চাপায় ভ্যান চালকের মৃত্যুকোন সাংবাদিক যেন হয়রানির শিকার না হয়–সাতক্ষীরায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিব দীর্ঘদিন কাজ করেও সরকারি স্বীকৃতি মেলেনি বিআরটিএ’র সীল মেকানিকদেররাষ্ট্রপতির ক্ষমার আগে ভুক্তভোগী ও পরিবারের মতামত নেওয়ার প্রস্তাবতালায় ‘পার্টনার ফিল্ড স্কুল কংগ্রেস’ অনুষ্ঠিতভোমরায় জামায়াতের হুইল চেয়ার বিতরণসাতক্ষীরায় জলাবদ্ধতা নিরসনে ইটাগাছা এলাকা পরির্দশনে সদর ইউএনও

ইসরায়েলি অবরোধে নিরাপদ পানির তীব্র সংকটে গাজা

নিরাপদ পানির তীব্র সংকটে ভুগছে গাজা। পরিষ্কার পানি পান করাটা গাজা উপত্যকায় অনেকটাই বিলাসিতার মতো হয়ে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে, সাপ্লাই পানিতে ক্লোরিন এবং সালফেটের মাত্রা বিপজ্জনক পরিমাণ থাকায় সেই পানি পান করাটা একেবারেই নিরাপদ নয়।

ইসরায়েলি অবরোধের কারণে গত ১০ বছর ধরে এ ধরনের সঙ্কটের মধ্য দিয়ে দিন পার করছেন গাজার বাসিন্দারা। গাজা থেকে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার কার্লেস স্ট্রাটফোর্ড জানান, সেখানে বাসাবাড়িতে পানির সঙ্কট দেখা দিয়েছে।

জানা গেছে, বিদ্যুৎ না থাকার ফলে ভূগর্ভস্ত পানি পর্যাপ্ত পরিমাণে উত্তোলন করা সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়া জ্বালানি স্বল্পতার কারণেও পানি উত্তোলনে বিঘ্ন ঘটছে।

উল্লেখ্য, দূর-দূরান্ত থেকে বিভিন্ন পাত্রে করে সাপ্লাই পানি সংগ্রহ করে নিয়ে আসছেন তারা। ফলে মারাত্মক ভোগান্তিতে পড়েছেন সেখানকার মানুষজন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আবারও জেরার মুখে ভারতীয় পেসার শামি

ভারতীয় পেসার মোহম্মদ শামি ও তার স্ত্রী হাসিন জাহানের বিবাদ যেন থামছেই না। তারই জের ধরে হাসিনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে শামিকে লালবাজারে তলব করা হয়েছে। শামির ম্যানেজারকে আজ সকালে নোটিস পাঠিয়ে জানানো হয়েছে। আগামীকাল দুপুরে লাল বাজারে শামিকে জেরা করবে উইমেন্স গ্রিভান্স সেলের কর্মকর্তারা।

জানা গেছে, কাল লালবাজারে শামির সঙ্গে থাকবেন তার ভাই। যার বিরুদ্ধে হাসিন জাহান অভিযোগ জানিয়েছিলেন পুলিশকে। ইতিমধ্যেই সেই চিঠি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, আইপিএল শুরু আগে থেকেই ভারতীয় ক্রিকেটার শামির বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করেন তার স্ত্রী হাসিন জাহান। একাধিক মহিলার সঙ্গে শামির সম্পর্ক নিয়ে বিস্ফোরক সব অভিযোগ করেন তিনি। লালবাজারেও শামির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন হাসিন। যদিও শামি বারবারই প্রকাশ্যে বলেছেন হাসিনের সঙ্গে তার কোনো সমস্যা নেই।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় জেলখানায় কয়েদীর মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরায় পাঁচ বছরের সাুঁজা প্রাপ্ত ও মাদক মামলার আসামী গোলাম মোস্তফা (৩০) জেলখানায় মৃত্যু বরণ করেছেন। মঙ্গলবার সকালে তিনি মৃত্যু বরণ করেন। গোলাম মোস্তফা সদর উপজেলার গয়েশপুর গ্রামের অজিয়ার রহমানের ছেলে। সাতক্ষীরা জেল সুপার মো: আবু জাহেদ জানান, গোলাম মোস্তফা পাঁচ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী। মাদক মামলায় তার পাঁচ বছরের সাজা হয়। জেল খানায় থাকা অবস্থায় সে খাওয়া দাওয়া করতো না। ৩০ বছর বয়স হলেও তার ওজন ছিল মাত্র ৩৫ কেজি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৮ মাসে ১৫ খুনসহ ১৬৩ অপরাধ

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের নাগরিকরা গত আট মাসে ১৫টি হত্যাকাণ্ডসহ মোট ১৬৩টি অপরাধে জড়িয়েছে বলে হিসাব দিয়েছে পুলিশ। খুনের পাশাপাশি ধর্ষণ, অপহরণ, চোরাচালান, ডাকাতির প্রস্তুতির মতো অপরাধও রয়েছে। এসব ঘটনায় করা মামলায় আসামি করা হয়েছে ৩৩৬ রোহিঙ্গাকে।
তবে পুলিশ মনে করছে, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের অপরাধ প্রবণতা বিবেচনায় এই সংখ্যা ‘শঙ্কিত হওয়ার মতো নয়’।
কয়েক দশক ধরে কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া ৪ লাখের মতো রোহিঙ্গার অপরাধ প্রবণতা নিয়ে উদ্বেগ ছিল বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের।
এই রোহিঙ্গাদের অনেকে জালিয়াতি করে বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে বিদেশে গিয়ে নানা অপরাধে জড়িয়ে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে বলেও সরকারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছিল।
এরপর গত বছরের অগাস্টে রাখাইন প্রদেশে সেনা অভিযান শুরুর পর আরও সাত লাখ রোহিঙ্গা যোগ হয় বাংলাদেশে। সব শরণার্থীই রয়েছেন সীমান্ত জেলা কক্সবাজারে।
ভিটে মাটিহারা হয়ে দেশছাড়া এই উদ্বাস্তুরা অপরাধী চক্রের সহজ শিকার হতে পারেন বলে অপরাধ বিশেষজ্ঞরা শঙ্কা প্রকাশ করে আসছেন।
সোমবার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম অঞ্চলের ডিআইজি ড. এস এম মনির-উজ-জামান গত বছরের ২৫ অগাস্ট নতুন করে শরণার্থী আসার পর থেকে সংঘতি অপরাধমূলক কমর্মকাণ্ডের পরিসংখ্যান দেন।
তিনি বলেন, গত ২৫ অগাস্ট থেকে এই পর্যন্ত ১৬৩টি মামলা হয়েছে, যাতে মোট আসামি ৩৩৬ জন।
এর মধ্যে অস্ত্র মামলা ১২টি, মাদক সংক্রান্ত ৫৮টি, ধর্ষণ সংক্রান্ত দুটি, ফরেন অ্যাক্টে ৪০টি, চোরাচালানে পাঁচটি, চুরি সংক্রান্ত একটি, ডাকাতি প্রস্তুতির পাঁচটি, হত্যা ১৫টি, অপহরণ তিনটি এবং অন্যান্য ২২টি।
ডিআইজি মনির বলেন, “তাদের অপরাধের পরিসংখ্যান বা প্রবণতা যতটুকু জানি- একটু অপরাধ প্রবণ। তারা একটা কনফাইনড (সীমাবদ্ধ) জায়গা থেকে এসেছে। তবে শঙ্কিত হওয়ার মতো অপরাধ ঘটেনি।
“এখানে যে অপরাধগুলো ঘটছে, সেগুলো মূলত ভালো লাগা না লাগা, পারস্পরিক …। একটা জায়গায় বসবাস করতে গেলে যে সমস্যা হয় তা থেকে উদ্ভূত অপরাধ।”
তিনি বলেন, “ওপারের অপরাধ প্রবণ কিছু ডাকাত এপারে এসেছে বলে সংবাদ পেয়েছিলাম। তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে সফলতা পেয়েছি। চিহ্নিত যে নামগুলো এসেছে, তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”
মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে এ পর্যন্ত ১১ লাখ দুই হাজার ৩৭২ জন এসেছে বলে জানান তিনি। এর মধ্যে ১১ লাখ দুই হাজার ২৬৪ জনের নিবন্ধন করা হয়েছে।
শরণার্থী প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। এই দফায় আসা রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার প্রতিশ্রুতিও মিলেছে। গত সপ্তাহে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনের পর অচিরেই প্রত্যাবাসন শুরুর আশ্বাসও দিয়ে গেছেন মিয়ানমারের ত্রাণ ও পুনর্বাসনমন্ত্রী।
ফেরত নেওয়ার আগ পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের নোয়াখালীর ভাসানচরে পুনর্বাসনের একটি পরিকল্পনা বাংলাদেশ সরকারের রয়েছে। তবে সেখানে সবার স্থান সঙ্কুলান হবে না। ফলে কক্সবাজারে তাদের অবস্থান থাকছেই।
ডিআইজি মনির বলেন, অপরাধ ঠেকাতে গভীর পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে রোহিঙ্গা ক্যাম্প।
“খুব ক্লোজলি তাদের মনিটর করা হচ্ছে। শুধু পুলিশ নয়, সেখানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, র‌্যাব, বিজিবি এবং রিলিফ ও পুনর্বাসনে সেনাবাহিনীও কাজ করছে। এতগুলো এজেন্সির চোখ ফাঁকি দিয়ে অতিমাত্রায় অপরাধ সংঘটিত করা আসলেই কঠিন।”
বৌদ্ধপ্রধান দেশ মিয়ানমার থেকে উৎখাত হওয়ার মুসলিম রোহিঙ্গাদের জঙ্গি তৎপরতায় জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাও প্রকাশ করা হচ্ছে বিভিন্ন মহল থেকে। কয়েকটি এনজিওর কাজ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
ডিআইজি মনির বলেন, “কিছু এনজিওর নিজস্ব কিছু লক্ষ্য আছে। সেগুলো কিন্তু আমরা চিহ্নিত করেছি। এনজিও ব্যুরো এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিবিড়ভাবে সেগুলো মনিটর করছে। রিলিফ ওয়ার্কের বাইরে যাদের অভিসন্ধি ছিল, তাদেরকে চিহ্নিত করেছি। সরকারকে অবহিত করেছি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।”
সব সরকারি সংস্থার গোয়েন্দা শাখা সেখানে কাজ করছে বলেও জানান পুলিশ কর্মকর্তা।
“স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব এবং অভ্যন্তরীণ-নিরাপত্তা শৃঙ্খলার প্রশ্নে আমরা কোনো ছাড় দিতে রাজি নই। আমাদের মনিটরিং এবং পুলিশি একটিভিটি অত্যন্ত জোরালো।”
সম্প্রতি বিজিবি ও বিজিপির পতাকা বৈঠকে মিয়ানমারের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাকিস্তানি থাকার অভিযোগ করা হয়।
এ বিষয়ে ডিআইজি মনির বলেন, “আমরা সেটা মনে করি না। এই এলাকায় আমাদের মনিটরিং সিস্টেম এতটা নিবিড় এখানে ওই কাজ করার কোনো সুযোগ নেই।
“এখানে জঙ্গিবাদ বা সন্ত্রাসবাদের বা উস্কানিদাতা যে কোনো মোড়কেই হোক, গোপন করে কোনো ধরনের অপরাধ সংঘটনের অবকাশ আছে বলে মনে করি না।”

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মারা গেছেন দুই বাসের রেষারেষিতে হাত হারানো রাজীব

দুই বাসের প্রতিযোগিতায় ডান হাত হারানো রাজীব হোসেন মারা গেছেন। সোমবার দিবাগত রাত ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান। রাজীবের দুজন স্বজন ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) বাচ্চু মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। অবশ্য এ বিষয়ে এখনো চিকিৎসকেরা কোনো তথ্য জানাননি।

৩ এপ্রিল সার্ক ফোয়ারার কাছে দুর্ঘটনায় রাজীবের হাত ছিঁড়ে যায়। শমরিতা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর রাজীবকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে স্থানান্তর করা হয়। সাময়িক উন্নতির পর গত সোমবার থেকে তাঁর মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। রাজীবের মস্তিষ্ক অসাড় হয়ে যায়। সেই থেকে আর জ্ঞান ফেরেনি তাঁর।

নিহত রাজীবের মামা জাহিদুল ইসলাম বলেন, রাত ১২টা ৪০ মিনিটে তাঁদের অনুমতি নিয়ে চিকিৎসকেরা রাজীবের লাইফ সাপোর্ট খুলে নেন। জাহিদুল কাঁদছিলেন আর বলছিলেন, ‘সবাই মিলে অনেক চেষ্টা করেও বাঁচানো গেল না রাজীবকে।’

এসআই বাচ্চু মিয়া জানান, ‘মারা গেছেন রাজীব হোসেন। রাত ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে মারা যান তিনি। রাজীবের স্বজনেরা কান্নাকাটি করছেন।’

সোমবার দিবাগত রাত ১২টা ৪৫ মিনিটে রাজীব মারা গেছেন বলে জানান তাঁর খালা জাহানারা বেগম।

৩ এপ্রিল বিআরটিসির একটি দোতলা বাসের পেছনের ফটকে দাঁড়িয়ে গন্তব্যে যাচ্ছিলেন রাজধানীর মহাখালীর সরকারি তিতুমীর কলেজের স্নাতকের (বাণিজ্য) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র রাজীব হোসেন (২১)। হাতটি বেরিয়ে ছিল সামান্য বাইরে। হঠাৎ করেই পেছন থেকে একটি বাস বিআরটিসির বাসটিকে পেরিয়ে যাওয়ার বা ওভারটেক করার জন্য বাঁ দিকে গা ঘেঁষে পড়ে। দুই বাসের প্রবল চাপে রাজীবের হাত শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। দু-তিনজন পথচারী দ্রুত তাঁকে পান্থপথের শমরিতা হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু চিকিৎসকেরা চেষ্টা করেও বিচ্ছিন্ন সে হাতটি রাজীবের শরীরে আর জুড়ে দিতে পারেননি।

তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ার সময় রাজীব মা আকলিমা খানমকে হারান। বাবা শোকে অপ্রকৃতিস্থ হয়ে পড়েন। ছিলেন নিরুদ্দেশ। রাজীব ও তার ছোট দুই ভাই পটুয়াখালীর বাউফলে নানার বাড়িতে ছিলেন। পরে ঢাকায় এসে পোস্ট অফিস হাইস্কুলে ভর্তি হন। খালার বাড়ি থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করার পর রাজীব যাত্রাবাড়ীর মেসে গিয়ে ওঠেন। নিজের পায়ে দাঁড়াতে কম্পিউটার কম্পোজ, গ্রাফিকস ডিজাইনের কাজ শিখছিলেন। ছাত্র পড়াতেন। দম ফেলার ফুরসত পাননি। লক্ষ্য ছিল একটাই, নিজের পায়ে দাঁড়ানো, ভাই দুটির দায়িত্ব নেওয়া।

রাজীবের সব স্বপ্ন গতকাল রাতে শেষ হয়ে যায়। প্রায় সাত দিন অচেতন অবস্থায় পড়ে থেকে একেবারে চলে গেলেন রাজীব।

রাজীবের স্বজনেরা যেকোনো মূল্যে গাড়িচালকের সর্বোচ্চ শাস্তি চান।

 

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মাধ্যমিকের সব স্তরে কারিগরি ট্রেড চালু আগামী বছর

মাধ্যমিকের সব স্তরে আগামী বছর থেকে কারিগরি শিক্ষা চালুর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সাধারণ শিক্ষায় অষ্টম বা নবম শ্রেণিতে একটি বা দু’টি ট্রেড চালু করা হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগ এ বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ লক্ষ্যে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটিও করা হয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, কারিগরি শিক্ষাকে শিক্ষার্থীদের জীবনে কাজে লাগাতে এই উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এসডিজি অর্জন ও উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশের যোগ্যতা অর্জনে কারিগরি শিক্ষাকে অন্যতম টার্গেট ধরে এগোচ্ছে সরকার। এতে দেশের বেকারত্ব সমস্যার সমাধান হবে। কারিগরি শিক্ষার গুণগত মানও বৃদ্ধি পাবে।

কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের উপসচিব সুবোধ চন্দ্র ঢালী বলেন, ‘সরকারি-বেসরকারি সাধারণ প্রতিষ্ঠানগুলোতে এসএসসি ভোকেশনালের কোন কোর্স খোলা যায়, তা যাছাই করতে উচ্চপর্যায়ের একটি কমিটি করা হয়েছে। কমিটি ঠিক করবে দেশের কোন কোন প্রতিষ্ঠানে কী কী কোর্স খোলা হবে।’

গত রবিবার (১৫ এপ্রিল) ‘এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে টেকনিক্যাল অ্যান্ড ভোকেশনাল এডুকেশন ট্রেনিং কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন’ শীর্ষক একটি কর্মশালায় আগামী বছর থেকে ট্রেড চালুর সুপারিশ করা হয়। প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত সাধারণ শিক্ষার সঙ্গে কারিগরি শিক্ষা চালুর করার সুপারিশ করা হয় কর্মশালায়। ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সিলেবাসে অন্তত একটি কারিগরি বিষয় অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলা হয়। অষ্টম শ্রেণিতে ভোকেশনাল নেই। সে কারণে যদি অষ্টম শ্রেণিতে আগামী বছর শুরু নাও করা যায়, তাহলে নবম শ্রেণি থেকে সব শাখায় দুটি কারিগরি ট্রেড বাধ্যতামূলক করার সুপারিশ করা হয়। তবে মন্ত্রণালয়ের গঠিত কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে কোন ক্লাস থেকে আগামী বছর তা শুরু করা হবে।

মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, দেশের সব হাই স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় কারিগরি শাখা চালু করা হবে পর্যায়ক্রমে। প্রাথমিক স্তর থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে প্রবন্ধ অন্তর্ভুক্ত করা হবে সিলেবাসে। তবে শিক্ষক সংকট, সিলেবাস, অবকাঠামোসহ বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে এ ক্ষেত্রে। চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জন ও উন্নত দেশে পরিণত হতে মন্ত্রণালয় কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত করছে।

উপসচিব সুবোধ চন্দ্র ঢালী বলেন, ‘২০২০ সালে কারিগরি শিক্ষার এনরোলমেন্ট ২০ শতাংশ করতে একটি কর্মপরিকল্পনা করা হয়। কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে পাঁচটি টাস্কফোর্স করা হয়েছিল। টাস্কফোর্স যেসব সুপারিশ করেছে তা রবিবার (১৫ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত কর্মশালায় উপস্থাপন করা হয়েছে।’

সুপারিশে বলা হয়, ২০২০ সালের মধ্যে কারিগরিতে ৪০ শতাংশ নারী শিক্ষার্থী থাকতে হবে। বর্তমানে নারী শিক্ষার্থী ২০ শতাংশের কম। এ লক্ষ্যে আটটি বিভাগীয় শহরে মহিলা টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ স্থাপনসহ নতুন আরও প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে।

ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সিলেবাসে অন্তত একটি কারিগরি বিষয় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। সব শাখায় বাধ্যতামূলক দুটি কারিগরি বিষয় অন্তর্ভুক্ত করে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা সনদ দিতে হবে। দেশের সব হাই স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় কারিগরি শাখা চালু করতে হবে। প্রাথমিক স্তর থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সিলেবাসে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে প্রবন্ধ অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

মানসম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগ দিতে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) আদলে ‘কারিগরি শিক্ষক নিয়োগ কমিশন গঠন’ করতে হবে। শিল্পকারখানায় কর্মরত অভিজ্ঞদের শিক্ষক নিয়োগে অগ্রাধিকার দিতে হবে। তাদের অতিথি শিক্ষক হিসেবে ক্লাস নেওয়ারও ব্যবস্থা করতে হবে।

শিক্ষার্থীদের দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করতে বিটিইটি ও বিএমইবির একই প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা ও মূল্যায়নে ২০২১ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে বিভাগীয় পর্যায়ে সমন্বিত বোর্ড গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে।

দেশের ঐতিহ্য ধরে রাখতে টাঙ্গাইল, নরসিংদী, কুমিল্লা, সিরাজগঞ্জসহ অন্যান্য এলাকার তাঁতীদের কারিগরি শিক্ষা কার্যক্রমে আনতে হবে। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীগুলোকে (বেদে, টোকাই, হিজড়া, হরিজন) কারিগরি শিক্ষা দিতে মোবাইল টেকনিক্যাল স্কুল চালু করতে হবে।

আধুনিক কারিগরি ও বৃত্তিমূলক মাদ্রাসা শিক্ষা চালু করতে মাদ্রাসায় কারিগরি ও ভোকেশনাল কোর্স বাধ্যতামূলক করতে হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পৃথিবীর সবচেয়ে কমবয়সী দাড়িওয়ালা নারী!

হারনাম কাউর। পৃথিবীর সবচেয়ে কমবয়সী দাড়িওয়ালা নারী। ভারতীয় বংশোদ্ভুত ব্রিটেনের বার্কশায়ারের বাসিন্দা। টানা টানা চোখের সুন্দর মুখশ্রীতে যখন প্রথমবার পুরুষের মতো দাড়ি আবিষ্কার করেছিলেন তিনি, তখন হয়তো অনেক হতাশ হয়েছিলেন। হয়তও কোনো অভিশাপের ফল হিসেবেই এটিকে মেনে নিয়েছিলেন।

কিন্তু এক সময় দাড়িতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েন তিনি কাউর। এভাবেই নিজেকে খুশি রাখতে চান। কিন্তু যে দাড়ির জন্য এক সময় সবার কাছে তাঁকে হেয় হতে হয়েছে সেটাই একদিন তার জীবনে আশীর্বাদ হিসেবে দেখা দেবে, এটি নিশ্চয় তিনি নিজেও কোনোদিন ভাবতে পারেননি। কিন্তু এমনটিই ঘটেছে ২৪ বছর বয়সী হারনাম কাউরের জীবনে।

সবচেয়ে কমবয়সী পূর্ণ দাড়িওয়ালা নারী হিসেবে তাঁর নাম ওঠেছে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে। হারনামের দাড়ি এখন ছয় ইঞ্চি লম্বা।

এ প্রাপ্তির অনুভূতি হিসেবে হারনাম কাউর বলেন, ‘আমি এতে সম্মানিত বোধ করছি।’

শরীর নিয়ে ইতিবাচক প্রচারক ও মডেল হারনাম কাউর হরমোনজনিত সমস্যা পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোমে আক্রান্ত। এ কারণেই তাঁর শরীরের লোম, দাড়ি ও চুলের বৃদ্ধি বেশি। অনেক কম বয়সেই তার এই সমস্যা শুরু হয়। কয়েক বছর এ সমস্যা তিনি লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করেন। কিন্তু মাসে তিনবার এগুলো পরিষ্কার করা তার জন্য কষ্টকর ছিল। তাই একটা সময় তিনি এই দাড়িতেই অভ্যস্ত হওয়ার চেষ্টা করেন। তিনি শিখ ধর্মে দীক্ষা নেন। এ ধর্মে চুল দাড়ি কাটা নিষিদ্ধ। তাই তিনি আর কখনও দাড়ি কাটেননি।

নিজের মুখের এই দাড়ি নিয়ে যথেষ্টই সুখী হারনাম। বিভিন্ন সময় তাঁর প্রমাণও তিনি দিয়েছেন। এই দাড়ি নিয়েই বিভিন্ন সাজে মডেলিং করেছেন। দাড়িওয়ালা কোনো নারী হিসেবে ২০১৬ সালের মার্চে লন্ডন ফ্যাশন উইকে তিনিই প্রথমবার শিখদের পাগড়ি পরে রানওয়েতে হেঁটেছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
হাঁটার উপকারিতা

হাঁটার উপকারিতা

কর্তৃক Daily Satkhira

সবচেয়ে সহজ ব্যায়াম হচ্ছে হাঁটা। হাঁটলে প্রাকৃতিকভাবে পাবেন সুস্থতা ও প্রাণবন্ত অনুভূতি। আরও রয়েছে শত উপকার।
নিম্নে হাঁটার কিছু উপকারিতা তুলে ধরা হলো।

সুস্থ হৃদপিণ্ড, সুন্দর জীবন

যারা নিয়মিত হাঁটাহাঁটি করেন তাদের হার্টের অসুখ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়। এছাড়া হাঁটার সময় শরীর থেকে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল এলডিআর কমে যায় ও ভালো কোলেস্টেরল এইচডিআর-এর মাত্রা বেড়ে যায়। এছাড়া শরীরের রক্তচলাচল স্বাভাবিক থাকে।

বাড়বে সুস্থতা

যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে ডাক্তারের পরামর্শে তারা নিয়মিত হাঁটাহাঁটি করেন। এতে অবশ্য তারা উপকার পান। মজার কথা এতে টাইপ টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও কমে যায়।

ওজন নিয়ন্ত্রণের অসাধারণ ব্যায়াম

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিভিন্ন রকম ব্যায়াম করতে দেখা যায়। যদি ওজন কমাতে চান, তবে প্রতিদিন ৬০০ ক্যালরি পুড়িয়ে ফেলতে হবে। যেটা একদিনের খাবার থেকে প্রাপ্ত ক্যালরির চেয়ে বেশি। যার ওজন ৬০ কেজি তিনি যদি প্রতিদিন ঘণ্টায় ২ মাইল গতিতে ৩০ মিনিট হাঁটার অভ্যাস করেন, তবে ৭৫ ক্যালরি শক্তি ক্ষয় করতে পারেন। যদি ঘণ্টায় ৩ মাইল গতিতে হাঁটতে অভ্যস্ত হন তবে, ৯৯ ক্যালরি পুড়িয়ে ফেলতে পারেন। ঘন্টায় ৪ মাইল গতিতে হাঁটলে আরও বেশি ক্যালরি ক্ষয় করতে পারবেন। এতে ক্যালরি ক্ষয়ের পরিমাণ দাঁড়াবে ১৫০। হাঁটলে দেহের পেশীগুলো আরও প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।

স্মৃতিশক্তি বাড়ে

বয়স বাড়ার সঙ্গে সাধারণত মানুষের স্মৃতিশক্তি কমে যায়। ৬৫ বা এর বেশি বয়সীদের মধ্যে প্রতি ১৪ জনের মধ্যে ১ জনের স্মৃতিভ্রম হয়। আর ৮০ বা এর বেশি বয়সীদের ৬ জনের মধ্যে ১ জনের দেখা দেয় স্মৃতি হারানোর রোগ। নিয়মিত বিভিন্ন ব্যায়াম অনুশীলনে মস্তিষ্কে রক্তচলাচল বাড়ে। এতে স্মৃতিহানি হওয়ার ঝুঁকি ৪০ ভাগ পর্যন্ত কমে যায়। যুক্তরাজ্যে এক গবেষণায় দেখা গেছে, বয়স্কদের মধ্যে যারা সপ্তাহে অন্তত ৬ মাইল পথ হাঁটেন তাদের স্মৃতিশক্তি অটুট থাকে।

জয়েন্টে ব্যথার ঝুঁকি নেই

নিয়মিত হাঁটাচলা করলে শরীরের বিভিন্ন জয়েন্টে ব্যথার ঝুঁকি কমে যায়। সাধারণত বয়স বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নারীদের শরীরের বিভিন্ন হাড় ও সংযোগস্থলে ব্যথা করে। শরীরের জয়েন্টগুলোকে সুস্থ রাখতে হাঁটা নিঃসন্দেহে খুবই কার্যকর ব্যায়াম।

পায়ের শক্তি বাড়ায়
হাঁটলে শুধু পায়ের শক্তিই বাড়ে না পায়ের আঙুলেরও ব্যায়াম হয়। এছাড়া কোমর এবং শরীরের অন্যান্য অঙ্গ নড়াচড়ার কারণে স্বাভাবিকভাবেই সুস্থ থাকে।

বাড়ে পেশীশক্তি
হাঁটলে শুধু পা চলে না দুহাতও সমান তালে চলে। এতে হাতের প্রতিটি জয়েন্ট, ঘাড় ও কাঁধের ব্যায়াম হয়। ব্যাকপেইনের সমস্যা কমে যেতে পারে নিয়মিত ব্যয়ামের মাধ্যমে।

প্রাণবন্ত শরীর ও মন

সকালের প্রকৃতি এমনিতেই থাকে স্নিগ্ধ। এ সময় হাঁটার মজাই আলাদা। প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগের সময় মন স্বাভাবিকভাবেই ফুরফুরে থাকে, শরীর ও মন সতেজ হয়। শরীরের প্রতিটি জয়েন্টে অক্সিজেনের প্রাণপ্রবাহে মাংসপেশীগুলো শিথিল ও রিলাক্সড হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest