সর্বশেষ সংবাদ-
বিইউপিএফের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে শপথ নিলেন জালালপুর ইউপি চেয়ারম্যানল স্টুডেন্টস ফোরামের নির্বাচন সম্পন্নসাতক্ষীরায় খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ৯০ দশক ছাত্রদলের দোয়াশ্যামনগরে ঘের ব্যবসায়ীকে কুপি×য়ে হত্যা : আ×টক ৯সাতক্ষীরায় প্লাস্টিক “অদল-বদল” ক্যাম্পেইনহাদির মৃত্যুতে সাতক্ষীরায় গায়েবানা জানাজাসাতক্ষীরার সাবেক পিপি লতিফের ৪ দিন : ছেলে রাসেলের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুরসাতক্ষীরায় মুন্ডা সম্প্রদায়ের নারীদের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে প্রকল্প সমাপনীতালায় আলাউদ্দিন নামে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধারআশাশুনিতে আশা ব্রিক্সের লেলিহান শিখায় জনজীবন বিপর্যস্ত

গাড়ি ছাড়িয়ে নিতে ‘প্রধানমন্ত্রীর পিএস’ পরিচয় দিলেন উপসচিব

রং-পার্কিংয়ের পর কাগজপত্র না দেখিয়ে ব্যক্তিগত গাড়ি ছাড়িয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) পরিচয়ে ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তাকে ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ উঠেছে শ্রম মন্ত্রণালয়ের একজন উপসচিবের বিরুদ্ধে। ওই উপসচিব শ্রম মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মুজিবুল হকের একান্ত সচিব। তবে ট্রাফিক পুলিশকে ভয়ভীতি দেখানোর কথা অস্বীকার করেছেন তিনি।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক দক্ষিণ বিভাগের পরিদর্শক তারিকুল আলম সুমন বৃহস্পতিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এবিষয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। যা ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। স্ট্যাটাসের সঙ্গে রয়েছে দুটি ভিডিও এবং দুটি স্থিরচিত্র। তার স্ট্যাটাসটি শনিবার (২১ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সাত হাজার ২১৯টি শেয়ার হয়েছে।

স্ট্যাটাসে তারিকুল ইসলাম সুমন লিখেছেন, ‘‘একটু আগের ঘটনা। বাচ্চাকে স্কুল থেকে পিক করার জন্য ৭/৮ নম্বর গেটের কাছে আসলাম। দেখি প্রচণ্ড জ্যাম। কারণ, গাড়িওয়ালারা তিন লাইনে পার্ক করে, রাস্তা বন্ধ করে বসে আছে। আর  উনাদের বাচ্চারা স্কুল গেটে কিছু খাচ্ছে, অথবা স্কুলেই খেলায় মত্ত। এদিকে, আমার মতো রিকশার যাত্রীরা অনবরত ট্রাফিক পুলিশকে গালি দিতে থাকলো। মেজাজ ঠিক রাখতে না পেরে সিভিল ড্রেসে একাই তৃতীয় সারির ১০টি গাড়ির কাগজপত্র নিয়ে বেতার যন্ত্রের মাধ্যমে সার্জেন্টকে কল দিয়ে নিয়ে আসলাম, মামলা করানোর জন্য। বিপত্তি বাধলো এক সচিব স্যারকে নিয়ে। উনি নিজেকে পিএম-এর পিএস বলে পরিচয় দিচ্ছেন,যদিও আমি তা যাচাই করে দেখিনি। উনি মামলা তো দূরের কথা,গাড়ির কাগজই দেবেন না, আমি যা পারলে করি। আমি উনাকে বারবার স্যার সম্বোধন করে বলি যে, উনাকে আমি ছাড়লে সবাইকে ছাড়তে হবে। নইলে বাকি নয়জনের কাছে পরকালে হলেও জবাবদিহি করতে হবে। তাই উনাকে ছেড়ে দিয়ে সেই পাপের দায়ভার নিতে পারবো না। উনি আমার ওপর দিয়েই গাড়ি চালিয়ে যাবেন এই অবস্হা। আমিও নাছোড়বান্দা। বললাম, আমার লাশ পড়লেও আপনাকে মামলা নিয়ে যেতে হবে। উনি খুব গরম দেখাচ্ছিলেন। তাই আমি পথচারীকে ভিডিও করতে বলি, উনার গরম তখন পালালো। আমি ৯০০ টাকা জরিমানা করলাম। উনি আমার নাম জানতে চাইলে আমি এক ডিগ্রি এগিয়ে নিজের ভিজিটিং কার্ড দিয়ে, সালাম দিয়ে বললাম, Sir,you can transfer me anywhere of Bangladesh. আমি রাস্তার কামলা, কামলাই থেকে যাবো, বেতন একটাকাও কমবে না। আপনি যদি ভদ্রভাবে পরিচয় দিয়ে বলতেন, ‘আমি পিএম এর পিএস, আজকের মতো আমাদের সবাইকে ছেড়ে দেন, আর কোনোদিন এভাবে গাড়ি রাখবো না।’ আমি আপনাকেসহ সবাইকে সসম্মানে ছেড়ে দিতাম। কিন্তু আপনি ক্ষমতা দেখিয়ে শুধু আপনারটাই ছাড়াতে চাচ্ছেন, অন্য কারোটা নয়। অথচ আপনারা সবাই একই অপরাধে অপরাধী। বাকি সবাইকেও ৯০০ টাকা করেই জরিমানা করেছি। এবার মনে হয়, ঢাকার বাইরে পোস্টিংটা খুব দ্রুতই হবে!’’

টিআই (ট্রাফিক ইন্সপেক্টর) -এর এমন সাহসী কাজের প্রশংসা করে অনেকেই তার স্ট্যাটাসের নিচে কমেন্টস করেছেন। বানিউল আলম নামে একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘প্রতিবাদ হোক এরকম আইনের ভাষায়। চালিয়ে যাও বন্ধু দেশের আইন ও মানুষের শুভকামনা আছে তোমার প্রতি।’

মোহাম্মদ আবু সালেহ নামে একজন লিখেছেন, ‘Well done, Bondhu! দু’চারজন মেরুদণ্ডি আছে বলেই এখনও সমাজে ভারসাম্য আছে। আইন মানার সংস্কৃতি আমাদের যেদিন চালু হবে, সেদিন এ সমস্যা আর থাকবে না। ভারতে একবার ইন্ধিরা গান্ধীর গাড়ি অবৈধ পার্কিংয়ের জন্য এক পুলিশ অফিসার (নামটা এ মুহূর্তে মনে পড়ছে না। খুব সম্ভবত কিরণ রাও) ওখান থেকে সরিয়ে দেন এবং মামলা করে দেন। ইন্ধিরা গান্ধী তাকে কোনও শাস্তি তো দেননি বরং তাকে প্রমোশন দিয়েছিলেন। আমাদের দেশে এরকম কিছু দুষ্টের দমন এবং শিষ্টের পালন করতে পারলে, বিচারহীনতার সংস্কৃতি আর থাকবে না।’

টিআই-কে (ট্রাফিক ইন্সপেক্টর) অনেকেই স্যালুট জানিয়েছেন। তাকে প্রশংসায় ভাসিয়েছে পুলিশের অনেক সদস্যও।

ভিডিওতে দেখা যায়, ওয়াকিটকি হাতে সিভিলে থাকা একব্যক্তির সঙ্গে গাড়িতে বসা অন্য একব্যক্তির তর্ক হচ্ছে। এসময় গাড়িটির সামনে এক স্কুলছাত্রী ও এক নারী দাঁড়ানো ছিল।

সিভিলে থাকা ব্যক্তিই টিআই তারিকুল আলম সুমন বলে নিজেকে দাবি করেছেন। তিনি পশ্চিম মগবাজার এলাকার পাশাপাশি  বেইলি রোড এলাকায়ও দায়িত্ব পালন করেন। তবে ঘটনার সময় তার গায়ে পুলিশের ইউনিফর্ম ছিল না। যদিও তিনি দাবি করেছেন, ঘটনার সময় কর্তব্যরত সার্জেন্টকে তিনি ডেকে নিয়েছিলেন।

বিষয়টি নিয়ে তারিকুল আলম সুমনের সঙ্গে কথা হয় । তিনি বলেন, ‘আমি এই এলাকার দায়িত্ব পালন করি। প্রতিদিনই এখানে রং-পার্কিং করে রাস্তায় যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা করা হয়। মানুষ যেতে পারে না। কিন্তু একটু সচেতন হলে এটা এড়ানো যায়। বেইলি রোড একটি ব্যস্ত সড়ক। কিন্তু মানুষের দুর্ভোগের কথা কেউ ভাবে না। আমরা চেষ্টা করি। সেখানেও সবার সহযোগিতা পাই না। সড়কের ওপর তিন সারিতে যখন গাড়ি পার্কিং দেখলাম, আমি দ্রুত সড়ক ক্লিয়ার করার জন্য চেষ্টা শুরু করি। কয়েকটি গাড়ির কাগজপত্র দেখতে চাই। তারা সবাই কাগজ পত্র দেয়। কিন্তু একটি গাড়ির চালকের কাছে কাগজপত্র চাইলে চালক আমাকে তার স্যারের সঙ্গে কথা বলতে বলেন। আমি তখন তার মালিককে বললাম— কাগজপত্র দেওয়ার জন্য। কিন্তু তিনি নিজেকে প্রধানমন্ত্রীর পিএস পরিচয় দেন। আমি তখন তাকে স্যার স্যার করে সম্বোধন করে বিষয়টি বুঝানোর চেষ্টা করলাম। কিন্তু তারপরও তিনি কাগজপত্র দেবেন না। আসলে তার গাড়িতে কোনও কাগজপত্রই নেই। তখন আমি বললাম, আপনার গাড়ি ছাড়লে সবার গাড়ি ছাড়তে হবে। এরপর আমি তাৎক্ষণিক গাড়ির নম্বর লিখে দুটি মামলা দেই। একটি রং-পার্কিং অন্যটি সড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করায়। ৯০০ টাকা জরিমানা করা হয়। এরপর জরিমানা আদায় করে গাড়িটি ছাড়া হয়।’

তিনি বলেন, ‘এরপরও তিনি তার সত্য পরিচয় দেননি। গাড়ির নম্বর তল্লাশি করে দেখতে পাই, গাড়িটি ব্যক্তিগত। মালিকের নাম অমর চান বনিক। আমি চালকের নম্বরে ফোন দিয়ে তার পরিচয় জানতে পারি। যিনি প্রধানমন্ত্রীর পিএস পরিচয় দিয়েছিলেন, তিনি একজন উপসচিব, বর্তমানে শ্রমমন্ত্রণালয়ে রয়েছেন। পরে চালকের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি— তিনি কোনও একসময় প্রধানমন্ত্রীর দফতরে কাজ করতেন। সেই পরিচয় দিয়েছিলেন।’

টিআই তারিকুল আলম সুমন  বলেন, ‘উপসচিবের গাড়ি নম্বর ঢাকা মেট্রো-গ ৩১- ৫৭১৩। আমি পরে খোঁজ করে দেখলাম, গাড়িটির ফিটনেস মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল। এটি ফিটনেস সনদ ছাড়াই বর্তমানে চলছে।’

উপসচিব অমর চান বনিক বর্তমানে শ্রমপ্রতিমন্ত্রী মো. মুজিবুল হকের একান্ত সচিব।  ট্রাফিক পরিদর্শকের সঙ্গে সেদিনকার তর্কাতর্কির বিষয়টি স্বীকার করেন তিনি।  তবে ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি বলেছি— শ্রম প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সচিব। সে যদি প্রধানমন্ত্রীর পিএস শোনে, তাহলে আমার কী করার আছে? আমাদের কাছে গাড়ির কাগপত্র চেয়েছিল। চালককে সে মামলা দিয়েছে, বিষয়টি সেখানেই শেষ।’

গাড়ির ফিটনেস সনদ দুবছর ধরে না থাকার পরও চালাচ্ছেন, টিআইয়ের এমন অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ফিটনেস মেয়াদ আছে, আগামী ২৬ এপ্রিল শেষ হবে। এটা একটু ঠিক করতে হবে।’

উল্লেখ্য,  ভিডিওটিতে নারী ও শিশু থাকায় সম্পাদকীয় নীতি অনুযায়ী সেটি প্রকাশ করা হয়নি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ডি ভিলিয়ার্সের ব্যাটিং তাণ্ডবে ব্যাঙ্গালুরুর দিল্লি জয়

এবি ডি ভিলিয়ার্সের ঝড়ে গৌতম গম্ভীরের দল দিল্লিকে হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে গেল বিরাট কোহলির দল রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। ১৭৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ২ ওভার হাতে রেখেই ৬ উইকেটের ব্যবধানে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে গেল ব্যাঙ্গালুরু।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রান তুলতে সক্ষম হয়েছিল গৌতম গম্ভীরের দল। এদিকে, ব্যাঙ্গালুরু ব্যাট করতে নেমে শুরুতই মনন ভোরার উইকেট হারিয়ে কিছুটা বিপদে পড়ে। এরপর কোহলি যখন ডি ভিলিয়ার্সকে নিয়ে জুটি গড়েন, তখনই ডি ভিলিয়ার্সের ব্যাটিং তাণ্ডবে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ব্যাঙ্গালুরু। ডি ভিলিয়ার্স ৩৯ বলে ৯০ রান করে অপরাজিত থেকে যান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কলারোয়ায় ৩য় শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষক বন্দুকযুদ্ধে নিহত

নিজস্ব প্রতিবেদক :
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষনের আসামী সোহাগ পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়েছে।
২২ এপ্রিল রবিবার রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার চন্দনপুর ইউনিয়নের গয়ড়া-হিজলদী রোডের ঘোজের বটতলা নামক স্থানে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে সে নিহত হয়। ওই ঘটনায় আহত হয়েছে ২ পুলিশ সদস্য। উদ্ধার করা হয়েছে একটি ওয়ানশুটার গান ও এক রাউন্ড গুলি।
নিহত ধর্ষক সোহাগ সরদার (২৬) উপজেলার কেঁড়াগাছি ইউনিয়নের উত্তর বোয়ালিয়া গ্রামের সামছুর দফাদারের পুত্র।
কলারোয়া উপজেলার কেঁড়াগাছি ইউনিয়নের বোয়ালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ৯বছর বয়সী এক মেয়েকে ২১ এপ্রিল শনিবার দুপুরের পর বাড়ির পাশের একটি পুকুরে গোসল করতে গেলে তাকে একা পেয়ে পুকুর পাড়ে ধর্ষণ করে সোহাগ। সেসময় মেয়েটির চিৎকারে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে রক্তক্ষরণ অবস্থায় প্রথমে কলারোয়া হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে তার অবস্থার আরো অবনতি হওয়ায় পরে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। ওই ঘটনায় শিশুটির নানি জাহানারা খাতুন বাদি হয়ে সন্ধ্যায় ধর্ষক সোহাগ সরদারকে আসামি করে কলারোয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।
কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব দেব নাথ জানান- ঘটনার পরপরই ধর্ষক সোহাগকে গ্রেফতার করতে থানা পুলিশ সাড়াশি অভিযান শুরু করে। গভীর রাতে খবর পান ধর্ষক ভারতে পালিয়ে যাওয়ার জন্য চন্দনপুর ইউনিয়নের হিজলদী-সুলতানপুর সীমান্তে অবস্থান করার সময় দু’দল সন্ত্রাসীরা নিজেদের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে। রাত আড়াইটার দিকে কলারোয়া থানার এসআই সোলায়মান আক্কাজের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল সেখানকার ঘোজের বটতলা নামক স্থানে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৭ রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে। কিছুক্ষণ পর রাস্তার পাশের একটি ফসলি মাঠে রক্তাক্ত অবস্থায় সোহাগকে উদ্ধার করে পুলিশ। তখন তার ডান হাতে ধরা অবস্থায় একটি ওয়ানশুটার গান বন্দুক ও পাশে পড়ে থাকা এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে পুলিশ। গুরুতর অবস্থায় সন্ত্রাসী ফারুককে কলারোয়া হাসপাতালে নেয়া হলে ভোরে সে মারা যায়। ওই ঘটনায় কলারোয়া থানার এএসআই হাবিব ও এএসআই সাগর আহত হন।
ওসি বিপ্লব দেব নাথ আরো জানান- ‘প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হয়েছে সোহাগ। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ রবিবার দুপুরের দিকে সাতক্ষীরা মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।’
কলারোয়া হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা.শফিকুল ইসলাম জানান- ‘রাত সাড়ে ৩টার দিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। গুলি নিহতের মাথার বাম কান দিয়ে ঢুকে ডান কান দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার চিহ্ন পাওয়া গেছে।’
বোয়ালিয়া গ্রামের একাধিক ব্যক্তি জানান- ‘নিহত ধর্ষক সোহাগ চোরাচালানী ব্যবসার সাথে জড়িত ছিল। পাশাপাশি সে বিভিন্ন মাদক সেবন করতো। এলাকায় সে খারাপ ব্যক্তি হিসেবে কমবেশি পরিচিত ছিলো। তার পিতা সামছুর সরদার দীর্ঘদিন ভারতের মুম্বাই (বোম্বে) অবস্থানের পর বর্তমানে বাড়িতে থাকে। শনিবার ধর্ষণের ঘটনার পর ধর্ষক পুত্রকে টাকা দিয়ে পালাতে সাহায্য করে পিতা।’
এদিকে, শিশু ধর্ষণের মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনায় জড়িত ও অভিযুক্ত লম্পট নিহত হওয়ার খবরে কলারোয়ার সর্বমহলে পুলিশকে সাধুবাদ দিতে শোনা গেছে। অনেকে বলছেন- ‘পুলিশ সত্যি খুব ভালো কাজ করেছে। লম্পটদের শিক্ষা পাওয়া উচিৎ।’
উল্লেখ্য যে, শনিবার সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিশুটিকে দেখতে যান সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মেরিনা আক্তার।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ইকবাল মাহমুদ জানান- শিশুটির রক্তক্ষরন হওয়ায় তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষনে রাখা হয়েছে।
শিশুটির খালা লিপি খাতুন জানিয়েছিলেন- ‘শনিবার দুপুরের পর শিশুটি স্কুল থেকে ফিরে তার নানীর বাড়ির পাশের একটি পুকুরে গোসল করতে গেলে সেখানে তাকে একা পেয়ে জাপটে ধরে মুখ চেপে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে লম্পট সোহাগ। এ সময় তার আতœচিৎকারে তিনিসহ পাড়ার কয়েকজন মহিলা এগিয়ে আসলে লম্পট সোহাগ পালিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় তার শরীর থেকে রক্তক্ষরণ হলে প্রথমে তাকে কলারোয়া হাসপাতালে ও পরে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।’
মেয়েটির মা জানায়- ‘মেয়ের খুব রক্ত খরন হচ্ছে, উঠে দাঁড়াতে পারছে না।’
স্থানীয়রা আরো জানান- ‘ঘটনাটি ঘটার সময় পুকুর ঘাটে শিশুটি নিজেকে বাঁচাতে অনেক চেষ্টা ও হাচড় পাচড় করে। এক পর্যায়ে বাঁশের ঘাটের ৪/৫টা বাঁশের অংশ ছাড়িয়েও যায়। মেয়েটা থাকতো তার মামার বাড়ি।’
‘লম্পট সোহাগের ২টা স্ত্রী ও ১টি সন্তান আছে। ঘটনার পর সোহাগের বাবা সোহাগকে টাকা দিয়ে বাড়ি থেকে পালাতে সাহায্য করেছিলো।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় ৯বছরের শিশু ধর্ষিত

আসাদুজ্জামান ঃ সাতক্ষীরার কলারোয়ায় ৯ বছরের এক শিশু ধর্ষনের শিকার হয়েছে। শনিবার বিকালে উপজেলার কেড়াগাছি ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। ধর্ষনের শিকার শিশুটি বোয়ালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী। এ ঘটনায় জড়িত ধর্ষকের নাম মোঃ সোহাগ সরদার (২৬)। সে বোয়ালিয়া গ্রামের সামছুর সরদারের ছেলে। এদিকে, সন্ধ্যায় শিশুটির নানী জাহানারা খাতুন বাদী হয়ে কলারোয়া থানায় ধর্ষক সোহাগকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
অপরদিকে, সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিশুটিকে দেখতে সন্ধ্যায় সেখানে যান পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মেরিনা আক্তার।
শিশুটির খালা লিপি খাতুন জানান, শনিবার বিকালে শিশুটি স্কুল থেকে ফিরে তার নানীর বাড়ির পাশে পুকুরে গোসল করতে গেলে সেখানে তাকে একা পেয়ে জাপটে ধরে মুখ চেপে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে লম্পট সোহাগ। এ সময় তার আতœচিৎকারে তিনিসহ পাড়ার কয়েকজন মহিলা এগিয়ে আসলে লম্পট সোহাগ পালিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় তার শরীর থেকে রক্তক্ষরণ হলে তাকে প্রথমে কলারোয়া হাসপাতালে ও পরে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: ইকবাল মাহমুদ জানান, শিশুটির রক্তক্ষরন হওয়ায় তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষনে রাখা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান জানান, এ ঘটনায় জড়িত লম্পট ধর্ষক সোহাগকে ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে। খুব দ্রুতই তাকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সি এন্ড এফ এজেন্টস্ এসোসিয়েশনের শোক

ভোমরা কাস্টমস্ ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টস্ এসোসিয়েশনের সাধারণ সদস্য মেসার্স এ. এফ. কে এজেন্সীস এর মূল মালিক মোঃ আবুল আহসান এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোকাহত পরিবারের সমবেদনা জ্ঞাপন করে তার বিদেহী আত্মার শান্তি ও মাগফেরাত কামনা করেছেন ভোমরা কাস্টমস্ ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টস্ এসোসিয়েশন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
২৩ এপ্রিল কলারোয়া জাসদের সম্মেলন ও কাউন্সিল

জঙ্গিবাদ-ধর্মীয় উগ্রবাদকে পরাজিত করতে ঐক্যবদ্ধ লড়াই অব্যাহত রাখা,দুর্নীতি-বৈষম্যের অবসান, সুশাসন-অংশগ্রহনমূলক গণতন্ত্র-সমাজতন্ত্রের সংগ্রাম এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ, কলারোয়া উপজেলার সম্মেলন ও কাউন্সিল আগামী কাল ২৩ এপ্রিল সোমবার সকাল ১১টায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল কলারোয়া উপজেলার সম্মেলন ও কাউন্সিল কলারোয়া পাবলিক ইনস্টিটিউট চত্বরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
সম্মেলন ও কাউন্সিল কে কেন্দ্র করে কলারোয়ায় জাসদ নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক কর্মচাঞ্চল্য ও উৎসাহ উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকরি সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা এড. রবিউল আলম। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন, সহ-সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা কাজী রিয়াজ, সহ-সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা সফি উদ্দীন মোল্যা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর রহমান চুন্নু, সহ-সম্পাদক শেখ ওবায়দুস সুলতান বাবলু, জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন লস্কর শেলি, তালা উপজেলা জাসদের সভাপতি বিশ্বাস আবুল কাশেম। সমাবেশে সভাপতিত্ব করবেন বীরমুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মাদ আনোয়ার হোসেন। সমাবেশ পরিচালনা করবেন কলারোয়া উপজেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক। সম্মেলন ও কাউন্সিল সফল করার আহ্বান জানিয়ে রবিবার সন্ধ্যা ৬টায় কলারোয়া উপজেলা জাসদের উদ্যোগে এক মশাল মিছিলের আয়োজন করা হয়েছে। মশাল মিছিলে কলারোয়া পৌরসভা,চন্দনপুর, দেয়াড়া, হেলাতলা, জালালাবাদ, জয়নগর, কেরালকাতা, কয়লা, কুশোডাঙ্গা, লাঙ্গলঝাড়া, সোনাবাড়িয়া, যুগিখালী ও কেড়াগাছী ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করবেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
হিরারচক প্রাইমারি স্কুলে মিড-ডে মিল চালু ও শিক্ষার্থীদের ওয়াটার পট প্রদান

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নের হিরারচক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শতভাগ মিড-ডে মিল চালু, পরিচয়পত্র বিতরণ প্রদান ও ওয়াটার পট বিতরণ করা হয়েছে।
শনিবার সকালে এ উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভা ও অভিভাবক সমাবেশ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিমের পরিচালনায় বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সাতক্ষীরা জজকোর্টের পিপি এড. ওসমান গণির সভাপতিত্ব অনুষ্ঠিত হয়।
শিক্ষার্থীদের মাঝে শতভাগ মিড-ডে মিল চালু, পরিচয়পত্র বিতরণ ও পানির পট বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ডেইলি সাতক্ষীরার সম্পাদক হাফিজুর রহমান মাসুম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নিরাপদ ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শেখ রফিকুর রহমান মিন্টু। অতিথিবৃন্দ বিদ্যালয়ের শতভাগ মিড-ডে মিল কর্মসূচি উদ্বোধন করেন এবং প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে পরিচয়পত্র প্রদান করেন ও তাদের হাতে নিরাপদ ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের সৌজন্যে ওয়াটার পট তুলে দেন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, নিরাপদ ওয়েলফয়ার ফাউন্ডেশনের পক্ষে রবিউল ইসলাম, বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নুরুজ্জামান, সহকারী শিক্ষিকা দীপালী ঘোষসহ বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শাকিব-শ্রাবন্তীর গোপন প্রেম

প্রেমিকপুরুষ শাকিব খানের রোমান্সে-ভরা মনকে নাকি বসন্তের মাতাল হাওয়া আবার উসকে দিয়েছে। এবার এই সুদর্শন নায়কের ভালোবাসার তীর গিয়ে বিঁধেছে টালিগঞ্জের কন্যা শ্রাবন্তীর হৃদয়ের গভীরে। দুজনের মনের উষ্ণতার পারদ লাফিয়ে উঠেছে বলে কানে কানে বলছে দুষ্ট বাতাস। বছর দুয়েক আগে দুজন জুটি বাঁধেন ‘শিকারি’ ছবিতে। তখন থেকেই নাকি শ্রাবন্তীর মনটি রীতিমতো শিকার করে বসেছিলেন পাকা মন-শিকারি শাকিব খান। শিকারি ছবিতে কাজ করতে গিয়ে দুজন যখন চোখাচোখি হয়েছিলেন তখনই নাকি শ্রাবন্তীর মায়াবি চোখের গভীরে ডুবে গিয়েছিলেন রোমান্স-বয় শাকিব খান। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে একই বৃত্তের কাজে বন্দী থাকলেও শ্রাবন্তীর চোখ-ধাঁধানো রূপের আলোয় নিজেকে ঝালিয়ে নিয়ে কাজের প্রতি এক্সট্রা কেয়ারিং হয়ে ওঠেন শাকিব। ঘড়ির কাঁটা মেপে সুয্যি মামা জাগার আগে ঘুমের বিছানা ছেড়ে নিজের চিরচেনা রূপের আড়ষ্টতা ভাঙতে উদ্যমী হয়ে ওঠেন এই প্রেমিক-পুরুষ। সুইমিং, জিম, জগিং, ডায়েট কন্ট্রোল, ঘণ্টা বাজার আগেই ক্যামেরার সামনে সুবোধ বালকের মতো দাঁড়িয়ে যাওয়া—মানে এককথায় বেশ লক্ষ্মী ছেলে হয়ে ওঠেন এই রমণীমোহন নায়ক। আর ফলাফলটা একেবারে ‘এ’-প্লাস পাওয়ার মতো। শিকারি ছবিতে দর্শক পেল এক নবরূপের রঙিলা শাকিবকে আর এই মন উচাটন নায়ক স্নাত হলেন শ্রাবন্তীর হরিণী চোখের আলোতে। দুজনের মনের কাটাকাটি আর চোখের চোখাচোখিতে তাদের ঘিরে বেজে উঠল ‘ও ছুড়ি তোর বিয়ে হবে ঘোমটা মাথায় দিয়ে, ছাদনা তলায় গিয়ে…’ মন রাঙা করা এমন গানে ভালোবাসা উবুঝুবু প্রেমিক শাকিব গেয়ে ওঠেন ‘বিয়ের পিঁড়িতে আর স্বর্গের সিঁড়িতে আজকাল পিরিত কাঁঠাল মিষ্টি লাগে তাই। সত্যি মিষ্টি হয়ে উঠল দুজনার দুটি বাধা না-মানা মন। শাকিবের শিকার করা হরিণী-কন্যা শ্রাবন্তী নিমিষে হয়ে গেলেন এই রোমান্টিক ছেলের প্রিয়তমা। কলকাতায় যখন শিকারি ছবির চিত্রায়ণ চলছিল তখন মনের সব মাসালা দিয়ে রেঁধে-আনা খাবার প্রিয় মানুষটির মুখে নিজ হাতে তুলে দিয়েছিলেন মন মজে যাওয়া হরিণী শ্রাবন্তী। তাদের এই পরম মমতা কোনাচোখে দেখে অনেকেই আঁচ করে ফেলেছিলেন উতলা মনের গোপন আদান-প্রদানের চিত্রনাট্য। শুধু কি সেটে? না, সময়ের ফাঁকফোকর গলিয়ে মন আনচান করা শাকিব ছুটে যেতেন প্রিয়তমা শ্রাবন্তীর বাড়ির উঠোনে। জোরে কড়া নাড়তেন মনের দরজায়। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে দুজন মিলে স্বপ্নের রংমাখা রঙিন প্রজাপতির ডানায় ভেসে বেড়াতেন অতি সঙ্গোপনে, ভালোবাসার সাতরঙা ভুবনে…। লোকে বলে ভালোবাসা হলো জলের মতো। যা নাকি কেটে দুভাগ করা যায় না। সত্যি তাই। দুজনের সঙ্গোপনের ভালোবাসা মাঝে অনেক দিন নিজ নিজ কাজের ব্যস্ততায় দুজনকে দুই ভুবনের বাসিন্দা করে রেখেছিল। দূর থেকে দেখে বুকের বাম দিকটায় কুঁকিয়ে ওঠা ব্যথাটা এতদিন অতি কষ্টে দুজনে চেপে রেখেছিলেন। না ভালোবাসার দেবী এত নিষ্ঠুর নয়। তাই তো তারা আবার একে অপরের স্পর্শে এখন ভালোবাসার রঙিন প্রজাপতি হয়ে ফুলে ফুলে উড়ছেন। ‘ভাইজান এলো রে’ ছবিটি দুজনকে এক করে আবার ক্যামেরায় চোখ রাখল। আর অবাক হয়ে দেখল শিকারি বালক আর হরিণী-কন্যার আহারে কী প্রেম…!

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest