সর্বশেষ সংবাদ-
কলারোয়ায় স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে স্ত্রী’র আত্মহত্যাসাতক্ষীরা সুন্দরবনে বাঘের আক্রমণে মৌয়াল নিহতআটুলিয়া ও কাশিমাড়িতে তরমুজের বাম্পার ফলন।প্রেমিকার সাথে দেখা করতে গিয়ে নির্মম নির্যাতনের শিকার সাতক্ষীরার এক যুবকসাতক্ষীরায় সময় টিভির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে কেক কাটা ও আলোচনাশ্যামনগরে প্রেমিকাকে দায়ী করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে প্রেমিকের আত্মহত্যাসাতক্ষীরায় জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভাফরিদপুরে দুর্ঘটনায় নিহত ১৩: পাঁচজনই এক পরিবারের সদস্যনিজস্ব অর্থায়নে প্রতিবন্ধীদের মধ্যে হুইল চেয়ার বিতরণ করলেন ডা: রাজুজরিমানা ব্যাতীত মোটরযান ও ড্রাইভিং লাইসেন্সের হালনাগাদ করার সময় বৃদ্ধি

তালায় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এসি রুমে, ফ্যানগুলো অচল থাকে ৫০ টাকার অভাবে! প্লাস্টার খসে দুর্ঘটনার আশংকা

মীর জাকির হোসেন, তালা: তালা উপজেলার প্রায় ৪ লাখ মানুষ ও পার্শ্ববর্তী পাইকগাছা ও ডুমুরিয়া উপজেলা সহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকার হাজার হাজার মানুষের স্বাস্থ্য সেবা গ্রহনের অন্যতম মাধ্যম তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। রিপোর্টার্স ক্লাবের পক্ষ থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স’র নানান সম্ভাবনা, সমস্যা ও দূর্নীতি বিষয়ে সার্বিক অবস্থা সরজমিনে দেখার পর ইতোমধ্যে গনমাধ্যমে বস্তুনিষ্ঠ রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। ৩ পর্বের রিপোর্টের আজ দ্বিতীয় পর্ব।
৫০ শয্যা বিশিষ্ট তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ডাক্তার, নার্স ও কর্মচারী সংকট রয়েছে অকল্পনীয়! একইসাথে এখানকার অ্যাম্বুলেন্স, এক্সরে, ইসিজি ও আল্ট্রাসনো ম্যাশিন অচল রয়েছে দীর্ঘদিন। তার সাথে অত্যাধুনিক অপারেশন রুম থাকলেও অ্যানেস্থিসিয়া ও সার্জন না থাকায় রোগীদের অপারেশন করানো যাচ্ছেনা।
সরজমিনে দেখা যায়, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি থাকা রোগীদের ওয়ার্ডের ফ্যানগুলো মাসের পর মাস অচল থাকায় রোগীদের চরম ভোগান্তীতে থাকতে হয়। অধিকাংশ ফ্যানগুলো সামান্য ২০ বা ৫০ টাকা ব্যয় করলেই সচল হবে। কিন্তু স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বিলাস বহুল এসি রুমে বসে অফিস করায় রোগীদের দুরাবস্থা দেখার সুযোগ তিনি পাননা! পরিচ্ছন্ন কর্মী সংকটের কারনে হাসপাতালের পুরুষ, মহিলা ও কেবিনের বাথরুমগুলো ব্যবহারে সম্পূর্ন অনুপযোগী হয়ে রয়েছে দীর্ঘ বছর ধরে। কোন সুস্থ্য বা অসুস্থ্য মানুষ বাথরুমে গেলে সেখানকার নোংরা ও দূর্গন্ধযুক্ত পরিবেশের কারনে তাকে অধিকতর অসুস্থ্য হতে হয়। হাসপাতালে রোগীদের জন্য সরবারহ করা খাদ্য’র মান ও পরিমান নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে সবসময়। হাসপাতালের ভিতরে বিড়াল আর বাহিরে রয়েছে কুকুরের অবাদ বিচরন। পুরাতন ভবনের ভিতরে, বাহিরে, ওয়ার্ডে দেওয়ালের ও ছাদের প্লাষ্টার খসে পড়ছে। নতুন ভবনের একাধিক স্থানেও একই অবস্থা হওয়ায় যে কোনও সময় দূর্ঘটনার আশংকা বিদ্যমান রয়েছে। রোগীদের জন্য অতিগুরুত্বপূর্ন এক্সরে মেশিনটি দীর্ঘদিন ধরে অচল হয়ে পড়ায় ভোগান্তীর শেষ নেই আগত সেবা গ্রহিতাদের। মেশিনটি ঠিক করার জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে বার বার আবেদন করলেও, সমস্যা সমাধানে আজ পর্যন্ত কোনও সুরাহা হয়নি। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স’র “স্বাস্থ্য সেবা উন্নয়ন” নামের একটি কমিটি থাকলেও তার মিটিং হয়না বছরের পর বছর। ফলে সমস্যাগুলো চিহ্নিত হচ্ছেনা এবং কার্যকরি সমাধান হচ্ছেনা। ফলে তালাবাসীর স্বাস্থ্য সেবা এখন হুমকির মুখে পড়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স’র আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. রাজিব সরদার হাসপাতালের নানান সমস্যার কথা স্বীকার করে জানান, রোগী ওয়ার্ডে যে সকল ফ্যান অচল রয়েছে তা’ গরম পড়ার আগেই ঠিক করা হবে। তাছাড়া, পর্যাপ্ত পরিচ্ছন্ন কর্মীর অভাবে হাসপাতালের বাথরুম ও ওয়ার্ডের পরিবেশ উন্নত করা যাচ্ছেনা। তিনি বলেন, হাসপাতালের জন্য ৫টি পরিচ্ছন্ন কর্মীর পদ থাকলেও মাত্র ১টি পদে কর্মী আছে। ৪টি পদ শূণ্য থাকায় বিল্লাল ও পারভীন নামের দুজনকে অস্থায়ী ভাবে নিয়োগ দিয়ে কোনও ভাবে কাজ করানো হচ্ছে। আরও এই দুটি পদের কর্মীদের বেতনের টাকা প্রতি মাসে হাসপাতালের কয়েকজন ডাক্তার ও কর্মচারী এবং এখানকার একটি এনজিও এর কাছ থেকে নিয়ে পরিশোধ করা হয়।
ডাক্তার রাজিব সরদার জানান, হাসপাতালে আগত মায়েদের প্রসব পরবর্তী ও পূর্ববর্তী আধুনিক চিকিৎসা সেবা দেওয়ায় এখান থেকে প্রতি সপ্তাহে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মায়েরা চিকিৎসা সেবা নিচ্ছে। কিন্তু অন্য রোগীদের জন্য অনেক ক্ষেত্রে যথাযথ চিকিৎসা সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছেনা। প্রাপ্তি কম হওয়ায় হাসপাতালে আগত রোগীদের চাহিদা অনুযায়ী ওষুদ সরবারহ করা যাচ্ছেনা। তাছাড়া ৫টির মধ্যে ১টি অক্সিজেন ফ্লোমিটার ভাল থাকায় মূমূর্ষ রোগীদের অক্সিজেন দেওয়া সম্ভব হয়ে উঠছেনা। তাছাড়া এখানে কর্মরত ডেন্টিস্ট সুমাইয়া বিনতে মুছা ও অর্থোপেডিক্স ডাক্তার জাহিদ ফেরদৌস ডেপুটেশনে যথাক্রমে সাতক্ষীরা সদর ও ঢাকার কুর্মীটোলা হাসপাতালে রয়েছে। যেকারনে সংশ্লিষ্ট রোগীদের ভোগান্তি হচ্ছে। হাসপাতালের এক্সরে ও অ্যাম্বুলেন্স ঠিক করাসহ সকল সংকট সমাধানের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করা হয়েছে। অবিলম্বে সকল সমস্যা সমাধান হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় ১২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া হায় হায় কোম্পানির ৪ প্রতারক আটক

নিজস্ব প্রতিনিধি : প্রতারনার ফাঁদ পেতে সাতক্ষীরার প্রত্যন্ত অঞ্চলে শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতীদের কাছ থেকে জামানত নিয়ে চাকুরী ও গৃহ নির্মান ঋণ, হস্ত শিল্প, স্বাস্থ্য সেবা, পন্য ঋণ ও ক্ষুদ্র ঋণ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে একটি হায় হায় কোম্পানী ১২ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এ ঘটনায় জনতার সহায়তায় গত শনিবার পুলিশ সংঘবদ্ধ চক্রের ৪ প্রতারককে আটক করেছে।
জানা যায়, গত দুই মাস আগে জেলার পারুলিয়া, থানাঘাটা, গাভা, ব্রহ্মরাজপুর বাজার সহ বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলে দি ডার্ক বিজনেস কো-অপারেটিভ লিঃ (গভঃ রেজিঃ নং-২৯৬/১৬) সাইনবোর্ড তুলে অফিসের কার্যক্রম শুরু করে। এরপর বিভিন্ন পদে উচ্চ বেতনে চাকুরীর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ছাপিয়ে দেয়ালে দেয়ালে সেঁটে দেয়া হয়। এতে করে উচ্চ শিক্ষিত নারী-পুরুষ বেকারত্ব ঘুচাতে লোভনীয় বেতনে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা জামানত দিয়ে প্রতিষ্ঠানে চাকুরী নেয়। নিয়োগকৃত ব্যক্তিরা এলাকায় কোম্পানীর নির্ধারিত ভর্তি ফরমে গৃহ নির্মান, হস্ত শিল্প, স্বাস্থ্য সেবা, পন্য ও ক্ষুদ্র ঋণ দেওয়ার নামে গ্রাহকদের কাছ থেকে শুরু করে সঞ্চয় আদায়। বিশেষ করে যাদের এলাকায় গ্রহনযোগ্যতা বা পরিচিতি বেশি এমন ধরনের লোকজনকে টার্গেট করে প্রতিষ্ঠানে বড় বড় পদে নিয়োগ দেয়া হতো। যাতে করে অল্প সময়ের মধ্যে প্রতিষ্ঠানের প্রতি বিশ্বাসটা ছড়িয়ে পড়ে। গ্রামের সহজ-সরল মানুষকে এভাবেই ধোকা দিয়ে প্রতারণার জাল বিস্তার করতে থাকে। গত ২৮ দিনে ফিংড়ী ইউনিয়নের গাভা গ্রামের বিকাশ ওরফে প্যাচুর অফিস ভাড়া নিয়ে প্রতারকদের নিয়োগকৃত ২৭ জন কর্মী কয়েকটি অঞ্চল থেকে গৃহ নির্মান, হস্ত শিল্প, স্বাস্থ্য সেবা, পন্য ও ক্ষুদ্র ঋণ দেওয়ার নামে গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রায় ১২ লাখ টাকা সঞ্চয় জমা হিসাবে হাতিয়ে নেয়। গত শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারী) ব্রহ্মরাজপুর বাজারের পিন্টু ঘোষের দ্বিতীয় তলায় সদ্য ভাড়া নেয়া দি ডার্ক বিজনেস কো-অপারেটিভ লিঃ এর অফিসে ওই এলাকার কয়েকজন যুবক চাকুরীর জন্য যায়। এ সময় অফিসের লোকজনের কথা-বার্তায় সন্দেহ হলে তারা তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করে। একপর্যায়ে প্রতিষ্ঠানটি বৈধ কোন কাগজপত্র দেখাতে না পারায় ভূয়া বলে প্রমানিত হয়। এছাড়া অফিসের লোকজন সবকিছু প্রতারনা বলে স্বীকার করে। এই হায় হায় কোম্পানীর খবর ছড়িয়ে পড়লে গাভা অফিসের লোকজন ও গ্রাহকরা এসে ৪ প্রতারককে ধরে ফেলে। এরা হলেন বগুড়া জেলার গাবতলী থানার সোনারায় গ্রামের মোঃ মোশাররফ হোসেনের পুত্র মীর জুমলা সুজন ওরফে মোঃ সোহাগ চৌধূরী (৩২), খুলনা জেলার পাইকগাছা থানার পুরাইকাটি (গজারিয়া) গ্রামের মোঃ আনারুল ইসলামের পুত্র মোঃ হাফিজুর রহমান ওরফে মাসুম (৩০), সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ থানার নলকাছারী বাড়ী গ্রামের মৃত গফুর আলীর পুত্র মোঃ মহরম আলী (৩৫) ও গাইবান্ধা জেলা সদরের বলাবানুনিয়া গ্রামের মতলেবুর রহমানের কন্যা শারমিন সুলতানা (৩০)। আটককৃতদের রাতেই স্থানীয় জনতা ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এস,আই অচিন্ত্য কুমার অধিকারীর মাধ্যমে সদর থানায় সোপর্দ করে। আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে নগদ ১ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার (১১ ফেব্রয়ারী) সকালে সাতক্ষীরা থানায় প্রতারণার শিকার শ’খানেক কর্মকর্তা-কর্মচারী ও গ্রাহক হাজির হয়। এ সময় সাতক্ষীরা থানার ওসি (তদন্ত) শেখ শরিফুল আলম পুরো ঘটনা সম্পর্কে অবগত হন।
এ ঘটনায় ব্যাংদহা গাভা অফিসের টিম লিডার সাতক্ষীরা সদরের বাটকেখালী গ্রামের মোঃ আবুজার রহমানের পুত্র মোঃ ইমরান হোসেন (২৫) বাদী হয়ে আটককৃত ৪জন ও ২/৩ জন অজ্ঞাতনামা আসামী বানিয়ে সাতক্ষীরা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। যার মামলা নং-২৩, তাং-১১/০২/১৮ ইং।
আটককৃত মীর জুমলা সুজন জানায়, মাসুমের সাথে পরিচয়ের সুবাদে সেই তাদেরকে সাতক্ষীরায় নিয়ে আসে। মাসুমের চাচাতো দুলাভাই সাতক্ষীরা মাগুরা গ্রামের জনৈক ইসমাইল হোসেন এই চক্রের মূলহোতা। প্রতিদিনের আদায়কৃত প্রায় সব টাকা সেই আমাদের কাছ থেকে গ্রহন করতো। সে নিজেকে পুলিশে চাকুরী করে বলে পরিচয় দিয়ে বেড়ায়। তাকে ধরলে সব টাকা উদ্ধার সম্ভব।
আটক শারমিন সুলতানা জানায়, গত ৬ মাস পূর্বে আগের সংসার ত্যাগ করে সম্পর্কের মাধ্যমে মীর জুমলা সুজনের সাথে সংসার শুরু করি। মাসুম ও তার দুলাভাই ইসমাইল হোসেনের প্রলোভনে পড়ে এই চক্রের সাথে জড়িয়ে পড়ি। তারা ঘটনার সব নায়ক। সব টাকাই তাদের কাছে আছে।
আটককৃত মাসুম এসব ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে। ইসমাইলের শ্বশুরের নাম মোঃ রফিকুল ইসলাম। সে সাতক্ষীরা মাগুরা দক্ষিণপাড়া গ্রামের মৃত ফজলুর রহমানের পুত্র।
অপর একটি সূত্র জানায়, ইসমাইলের শ্বশুর রফিকুল ইসলাম ৪ লাখ ৫৫ হাজার টাকা পরিশোধের শর্তে ভূক্তভোগীদের কাছে তার নিজ নামীয় ব্যাংক হিসাবের একটি চেক প্রদান করেছে।
কয়েকজন ভুক্তভোগী অভিযোগ করে বলেন, ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এস আই অচিন্ত্য কুমার অধিকারী মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে মামলার এজাহার কয়েকবার পরিবর্তন করিয়ে জেলা পুলিশের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে ভুল বুঝিয়ে ফিংড়ী এলাকার কয়েকজন নিরীহ ও নিরাপরাধ মানুষকে জড়ানোর চেষ্টা করে। কিন্তু ফিংড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চেয়ারম্যান শামসুর রহমান এবং ফিংড়ী ইউনিয়নে কর্মরত কয়েকজন সাংবাদিকের বাধাঁর মুখে শেষ পর্যন্ত সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
প্রতারণার শিকার অফিস ও মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা শাহরিয়ার কবির পিন্টু, কালিপদ, ইমরান, সেলিম সহ কয়েকজন জানান, তারা এমনভাবে কার্যক্রম শুরু করে এটা যে এতবড় প্রতারণা তা আমরা কিছুতেই বুঝতে পারিনি। আটক শারমিন সুলতানা একজন স্মাট সুন্দরী হওয়ায় তারা তাকে ঢাকা অফিসের অডিট কর্মকর্তা সাজিয়ে এসি প্রাইভেট গাড়ীতে করে অফিস ভিজিট করাতো। এমন ডিজিটাল প্রতারণার ফাঁদ থেকে অল্পতে বেঁচে গেছেন বলেও তারা মন্তব্য করেন।
অনেক অসহায় ও গরীব ঘরের শিক্ষিত বেকার ছেলে-মেয়ে চাকুরী নিয়ে এখন মস্তবড় বিপদে পড়েছেন বলেও জানান। গ্রাহকদের চাপের মুখে অনেক কর্মী এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলেও জানা গেছে। এছাড়া অনেকে আবার লোকলজ্জার ভয়ে এলাকায় যেতে পারছেন না। ভূক্তভোগী ও ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিরা তাদের টাকা উদ্ধারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এদিকে আটকৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া টাকা সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারী) সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মেরিনা আক্তার তাঁর কার্যালয়ে প্রতারণার শিকার ও ক্ষতিগ্রস্থ ১৬ জন কর্মীর মাঝে বিতরণ করেছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফিংড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চেয়ারম্যান শামসুর রহমান।
সাতক্ষীরা থানার অফিসার ইনচার্জ মারুফ আহম্মদ জানান, মামলার তদন্তে অপরাধীরা চিহ্নিত হবে। এ সমস্ত প্রতারকরা মানুষকে ঠকিয়ে সর্বশান্ত করছে। তিনি আর্থিক কোন প্রতিষ্ঠানে চাকরী নেওয়ার আগে চাকুরী প্রার্থীদেরকে প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে ভালভাবে খোঁজ-খবর নেওয়ার কথা বলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শ্যামনগরে ‘সেফটি’ প্রকল্পের অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত
গাজী আল ইমরান, শ্যামনগর ব্যুরোঃ শ্যামনগরে উইনরক ইন্টারন্যাশনাল ও টি.এম.এস.এস এর বাস্তবায়নে
সেফ এ্যাকুয়া ফার্মিং ফর ইকোনমিক এ্যান্ড ট্রেড ইমপ্রুভমেন্ট (সেফটি) প্রকল্পের আওতায় প্রকল্প অবহিতকরন বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকাল ১০ টায় শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসন হলরূমে উক্ত অবহিতকরন বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্যামনগর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মরতা ফারূক হুসাইন সাগর, বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মরতা মোঃ সেলিম খান, আটুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু সালেহ বাবু, কাশিমাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ,  উপস্থিত ছিলেন সেফটির সাতক্ষীরা জেলা জোনাল প্রধান জিয়াউর রহমান, সেপটি প্রকল্পের পি.এম খন্দকার শহিদুল আলম, এ.ই.ও মোঃ মোস্তফা জামাল, এ.ডি মোঃ আমিনুল ইসলাম, শ্যামনগর উপজেলার এ.এফ.এফ এম.বেলাল হোসেন, মোঃ মাসুদ পারভেজ, সূর্য্যকান্ত  বিশ্বাস, আবু কায়েম সোহান প্রমূখ, এ সময় চিংড়ি চাষী কৃষক, সুধীজন, সাংবাদিকবৃন্দ সহ গন্যমান্য ব্যাক্তবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে অনুষ্ঠান পরিচালক সেফটি প্রকল্পের পি.এম. খন্দকার শহিদুল আলম কম্পিউটর প্রজেক্টরের মাধ্যমে চিংড়ি চাষের আদ্যপান্ত নানা বিষয়ের উপর ভিভিও চিত্র প্রদর্শন করেন। তিনি এসময় দক্ষিণাঞ্চলের বিক্ষ্যত চিংড়ির চাষের নানা সমস্যার কথা তুলে ধরে আধানিবিড় পদ্ধতিতে চাষের মাধ্যমে কিভাবে উৎপাদন বহুলাংশে বাড়ানো যায় সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি বলেন সেফটি প্রকল্প আধানিবিড় পদ্ধতিতে চাষের মাধ্যমে চিংড়ীর উৎপাদন বাড়াতে সেইসাথে মানসম্মত চিংড়ি উৎপাদন ও ন্যায্যমূল্যে তা বিক্রির জন্য চাষীদের সহযোগিতা ও পরামর্শ দিয়ে যাবে। তাছাড়া টি এম এস এস একজন চিংড়ি চাষীর তার জমিতে চাষের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের ৩০ শতাংশ লোন প্রাপ্তির সুবিধা দেবে যা ৩-৪ মাস পর কৃষক এককালীন পরিশোধ করতে পারবে। এরপর অতিথিবৃন্দ গূরূপ্তপূর্ন বক্তৃতা রাখেন। অতিথিবৃন্দের বক্তব্য শেষে চিংড়ি চাষীদের বিভিন্ন প্রশ্ন, সমস্যা ও পরামর্শ শোনা হয়।
0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আইনশৃংখলা সমুন্নত রাখতে কলারোয়ায় পুলিশের বিশেষ মহড়া

নিজস্ব প্রতিনিধি: সার্বিক আইন-শৃংখলা সমুন্নত রাখতে কলারোয়ার বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ মহড়া দিয়েছে পুলিশ।
সোমবার বিকেলে বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ও গাড়িবহরে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ওই মহড়ায় অংশ নেন।
সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মেরিনা আক্তারের নেতৃত্বে ওই মহড়া বের হয়।
উপজেলার সব এলাকার আইন-শৃংখলা রক্ষা করা ও সমুন্নত রাখা, কোন প্রকার নাশকতার অঘটনা যাতে না ঘটে, সমাজ ও রাষ্ট্রবিরোধীরা যাতে কোনভাবেই মাথাচাড়া দিতে না পারে, স্বাভাবিক পরিবেশ বিঘ্নকারীদের প্রতি কঠোর হুশিয়ারী জানাতে এ বিশেষ পুলিশি মহড়া প্রদর্শন করা হয় বলে জানান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব দেব নাথ।
বিশেষ মহড়ায় অংশ নেন পুলিশ হেড কোয়ার্টারের এএসপি হুমায়ুন কবির, কলারোয়া থানার ওসি বিপ¬ব দেব নাথ, থানার ওসি (তদন্ত) জিয়াউর রহমান, সেকেন্ড অফিসার আমিনুল ইসলাম, এসআই পিন্টু লাল দাস, বিপ¬ব রায়, সোলাইমান আক্কাস, ইসমাইল হোসেন, রইচ উদ্দিন, হাসান শাহরিয়ার, শরিফুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর হোসেন, এএসআই শামিম আক্তার, ইসহাক আলী, আব্দুল হালিম, তারেক মোহাম্মদ, রফিকুল ইসলাম, গোপাল চন্দ্র, শাহীনুর রহমান, রাসেল রানা, মিলন হোসাইন, রতন হাজরাসহ কলারোয়া থানার পুলিশ সদস্যরা।
আইন শৃঙ্খলার উন্নতি, জঙ্গীবাদ-সন্ত্রাস-নাশকতা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে হুশিয়ারি জানাতে, কেউ যাতে শান্তি বিঘ্ন না ঘটাতে পারে ও সাধারণ জনগণের জানমালের নিরাপত্তার লক্ষ্যে আয়োজিত ওই বিশাল পুলিশি মহড়ায় ‘অনেক এলাকার মানুষ সস্তি প্রকাশ করেন’ আবার ‘কেউ কেউ আতংকিতও হন’ বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।
এ বিষয়ে কলারোয়া থানার ওসি বিপ্লব দেব নাথ জানান- ‘যেকোন অরাজকতা এড়াতে ও সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তায় পুলিশ বদ্ধপরিকর। মূলত পুলিশি তৎপরতায় কলারোয়া উপজেলার সার্বিক আইনশৃংখলা স্বাভাবিক ও সমুন্নত আছে।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পরীমনির পরিবর্তে অপু বিশ্বাস

অভিনয় করার কথা ছিল পরীমনির। কিন্তু পরীমনি চিকিৎসকের পরামর্শে ছবিটি থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন। কেন না ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত হয়ে পরীমনি সম্প্রতি রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি হন। এরপর গত রবিবার রাতেই জানিয়ে দেন ছবিতে অভিনয় ‘না’ করার বিষয়টি।

কিন্তু এরইমধ্যে আজ জানা গেল, পরীমনির স্থানে ছবিতে অভিনয় করতে যাচ্ছেন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস। ইতোমধ্যে ছবিতে চুক্তি সাক্ষর করেছেন। এই ছবিতে অপু সহ-অভিনেতা হিসেবে পাচ্ছেন সাইমন সাদিককে। অপু বিশ্বাসের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কালের কণ্ঠকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

অপু বলেন, হ্যাঁ ছবিটি আমি করছি। যদিও একটু সময় নিতে চাচ্ছিলাম কিন্তু পরিচালক যেহেতু বারবার বললেন সেহেতু আমি চুক্তি সাক্ষর করেছি। গল্প শোনার পর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আসলে আমি পুরোদমে অভিনয়ে ফিরতে চাই।

ওপারে চন্দ্রাবতী নামের এই চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করছেন নির্মাতা রফিক সিকদার। অন্যদিকে অপু বিশ্বাস নিজেকে পুরোদস্তুর ক্যামেরার সামনে ফেরাতে প্রস্তুতি নিয়ে কাজ শুরু করেছেন। সম্প্রতি বেঙ্গল মাল্টিমিডিয়া প্রযোজিত দেবাশীষ বিশ্বাস পরিচালিত নতুন চলচ্চিত্র ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ ২’-এর জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছে অপু বিশ্বাস। এতে তাঁর বিপরীতে অভিনয় করছেন চিত্রতারকা বাপ্পী।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আজ পহেলা ফাগুন

আজ পহেলা ফাগুন

কর্তৃক Daily Satkhira

গাছের শাখায় জেগে উঠেছে নতুন পাতার সবুজ কুঁড়ি। শিমুল, পলাশ বনে বয় রঙিন ফুলের সৌরভ। ফাগুন হাওয়ায় দোল দিয়ে এসে গেছে বসন্ত। সভ্যতার চাকার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বেঁচে থাকা ঋতুরাজকে বরণ করে নিতে কুহু স্বরে ডেকে উঠছে কোকিল। বসন্তকে বরণ করে নিতে তারুণ্য সেজেছে বাসন্তী সাজে। আজি বসন্ত জাগ্রত দ্বারে/ তব অবগুণ্ঠিত কুণ্ঠিত জীবনে, করো না বিড়ম্বিত তারে/ আজি খুলিয়ো হৃদয় দল খুলিয়ো/ আজি ভুলিয়ো আপনপর ভুলিয়ো’। কবিতায় এভাবেই কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বসন্তকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন। কৃষ্ণচূড়ার রঙে আজ সাজবে তরুণ-তরুণীরা। লাল-হলুদের বসনে নিজেদের রাঙানোর পাশাপাশি হলুদ গাঁদার ফুলে ভিন্ন এক সাজে তরুণীরা সাজাবে নিজেদের। ঘুরে বেড়াবে প্রিয়জনের হাত ধরে। অন্যদিকে রবীন্দ্রনাথের ১৪০০ সাল কবিতার প্রতি উত্তরে নজরুল ১৪০০ সাল নামেই একটি কবিতায় লিখেছিলেন— ‘আজি নব বসন্তের প্রভাত বেলায়, গান হয়ে মাতিয়াছ আমাদের যৌবন মেলায়’। বঙ্গাব্দ ১৪০১ সাল থেকে প্রথম ‘বসন্ত উৎসব’ উদযাপন করার রীতি চালু হয়। সেই থেকে জাতীয় বসন্ত উৎসব উদযাপন পরিষদ বসন্ত উৎসব আয়োজন করে আসছে। এ ছাড়া তরুণ-তরুণীরা বাংলা একাডেমি আয়োজিত একুশের বইমেলা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, শাহবাগ, চারুকলা চত্বর, পাবলিক লাইব্রেরি, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ধানমন্ডি লেক, বলধা গার্ডেন মাতিয়ে রাখবে সারা দিন। বসন্তকে বরণ করে নিতে নাচ, গান ও কবিতা আবৃত্তিসহ নানা বর্ণাঢ্য আয়োজন করেছে জাতীয় বসন্ত উৎসব উদযাপন পরিষদ। দীপন সরকারের গিটারে বসন্ত বাহার যন্ত্রসংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে সকাল ৭টায় চারুকলার বকুলতলায় শুরু হবে এই উৎসব। উৎসবের উদ্বোধনী পর্বে রাখা হয়েছে বসন্ত কথনপর্ব, আবির বিনিময়, রাখীবন্ধন, ধ্রুপদী, দলীয় নৃত্য এবং দলীয় সংগীত। বরেণ্য শিল্পীদের অংশগ্রহণে একক আবৃত্তি ও একক সংগীত পরিবেশন করা হবে। এ পর্ব শেষ হবে সকাল ১০টায়। এরপর বিকাল সাড়ে ৩টায় একযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বকুলতলা, লক্ষ্মীবাজারের বাহাদুর শাহ পার্ক, ধানমন্ডি ৮ নম্বর রোড সংলগ্ন রবীন্দ্র সরোবর উন্মুক্ত মঞ্চ (লেকের পাশে) এবং উত্তরার ৩ নম্বর সেক্টর রবীন্দ্র সরণির উন্মুক্ত মঞ্চে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে বর্ণাঢ্য এ আয়োজন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনি রিপোর্টার্স ক্লাবের নব নির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান

আশাশুনি ব্যুরো: আশাশুনিতে উপজেলার গতিশীল সাংবাদিক সংগঠন আশাশুনি রিপোর্টার্স ক্লাব এর নব নির্বাচিতদের অভিষেক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকালে আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলার সাহেব পার্কে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। মনোরম পরিবেশে আশাশুনি রিপোর্টার্স ক্লাব সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ নজরুল ইসলাম।

শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা শাকিলের সার্বিক তত্বাবধানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা রিপোর্টার্স ইউনিটির সদস্য সচিব ডেইলি সাতক্ষীরার সম্পাদক ও প্রকাশক হাফিজুর রহমান মাসুম, আশাশুনি থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ আক্তারুজ্জামান, সাতক্ষীরা-৩ আসনের এমপি প্রতিনিধি শম্ভুজিৎ মন্ডল, আনুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আলমগীর আলম লিটন, কাদাকাটি ইউপি চেয়ারম্যান দিপংকর কুমার সরকার, সাতক্ষীলা প্রেস ক্লাবের কার্যনির্বাহী সদস্য কৃষ্ণ মোহন ব্যানার্জী, সাংসদের এ্যামব্যাসেডর সাংবাদিক তোষিকে কাইফু প্রমুখ। এসময় প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন সাংবাদিকতা একটি মহান পেশা। এ পেশাকে বলা হয় জাতির বিবেক, সমাজের দর্পণ। সকালে ঘুম থেকে উঠেই মানুষ আগে চায় একটু পত্রিকা পড়তে। পড়ে জানতে চায় দেশ বা নিজ এলাকার খবরগুলো। প্রধান অতিথি সাংবাদিকদের কাছে বিশেষভাবে আহব্বান জানিয়ে বলেন, আপনারা আশাশুনির উন্নয়নের কথা লেখেন। কোথায় কোথায় সরকারের উন্নয়ন পৌছায়নি, সেখানকার কথা তুলে ধরেন পত্রিকায়। বর্তমান সরকার সাংবাদিক বান্ধব সরকার। এ সরকার প্রতিটি সেক্টরে উন্নয়ন করেছে। সরকার বছরের শুরুতে প্রতিটি শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই তুলে দিচ্ছে। প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌছে দিচ্ছে। ছাত্র ছাত্রীদের উপবৃত্তি দিচ্ছেন ও শিক্ষার উপর গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষার মান উন্নয়ন কাজ করে যাচ্ছেন। সরকারের এ উন্নয়নের ধারাকে ধরে রাখতে হলে এ সরকারের কোন বিকল্প নেই বলে মনে করেন প্রধান অতিথি।

আশাশুনি রিপোর্টার্স ক্লাব সিনিয়র সহ-সভাপতি আইয়ুব হোসেন রানা ও যুগ্ম-সম্পাদক মোঃ আবু ছালেকের পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হেনা বিল্টু, আশাশুনি রিপোর্টার্স ক্লাব সহ-সভাপতি সুব্রত দাশ, শেখ বাদশা, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আকাশ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক এম এম নূর আলম, অর্থ সম্পাদক মইনুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক মোখলেছুর রহমান ময়না, ক্রীড়া সম্পাদক আলমিন হোসেন ছট্টু, প্রচার সম্পাদক বাপন মিত্র, নির্বাহী সদস্য শেখ হেদায়েতুল ইসলাম, বাহবুল হাসনাইন, উত্তম দাশ, শ্রীউলা প্রেসক্লাব, চাম্পাফুল প্রেসক্লাব সহ সাংবাদিক জি এম আজিজুর রহমান রাজ, এস এম শাহিন আলম, আবু হাসান, বিএম আলাউদ্দীন বিশ্বাস, ইমরান হোসেন প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে প্রধান অতিথি আমন্ত্রিত সকল অতিথিবৃন্দের সাথে নিয়ে আশাশুনি রিপোর্টার্স ক্লাবের বার্ষিক ক্যালেন্ডারের মোড়ক উন্মোচন করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা শিশু পরিবারে নির্যাতনের প্রতিবাদ করে শিক্ষার্থীরাই বহিষ্কার !

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা শিশু পরিবারে নির্যাতনের প্রতিবাদকারী ওই ৪ শিক্ষার্থীকে বহিস্কার করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রোববার সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা শিশু সদনের উপ-তত্ত্বাবোধায়ক জামাল উদ্দিন স্বাক্ষরিত বহিস্কারাদেশ পত্র শিক্ষার্থীদের বাড়িতে পাঠানো হয়। বহিস্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন, ধুলিহর এলাকার শওকত রহমানের ছেলে সাতক্ষীরা পল্লী মঙ্গল স্কুল এন্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র এখলাসুর রহমান, একই এলাকার নুর আলী সরদারের ছেলে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র আব্দুল করিম, বুধহাটা ইউনিয়নের কাদাকটি এলাকার নেসার আলী গাজীর ছেলে সাতক্ষীরা পল্লী মঙ্গল স্কুল এন্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র মুরশিদ গাজী ও পাটকেলঘাটা এলাকার আলী আহম্মদের ছেলে সাতক্ষীরা পল্লী মঙ্গল স্কুল এন্ড কলেজের ৮ম শ্রেণির ছাত্র সবুজ হোসেন।
গত কয়েকদিন পূর্বে শিশু পরিবারের একশিশুকে দিয়ে এক কর্মচারী তার মটর বাইক পরিস্কার করান। স্থানীয় একজন ব্যক্তি ওই ঘটনার ছবি তুলে বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে পৌছে দেন। যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় বইছে। ফেসবুক ব্যবহারকারীরা বলছেন, ইতিপূর্বে এতিম শিশুদের দিয়ে লিঙ্গ মেহনের মত চরম ঘৃণ্য অপকর্ম করেও সাতক্ষীরা সরকারি শিশু পরিবারের কর্মচারীরা পার পেয়ে গেছেন। তাদেরকে কৌশলে বিচারের হাত থেকে বাঁচানো হয়েছে। শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে আয়োজিত বিভিন্ন সেমিনারে অতিথির আসন অলংকৃত করে গলাবাজি করা ব্যক্তিরা নিজেরাই শিশু যৌন নিপীড়নকারীদের আইনের হাত থেকে রক্ষা করার শপথ নিয়েছেন। আর এর ফলশ্রুতিতে এতিম শিশুদের উপর নিপীড়নের মাত্রা আরও বেড়েছে।
এদিকে শিশুদের ১৮বছর বয়স না হলেও তাদের নাম কর্তন করা প্রসঙ্গে সাতক্ষীরা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক দেবাশিষ সরদার জানান, ওই ৪ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ রয়েছে। যে কারণে শিশু পরিবারে বডি কমিটির এক সভায় তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। শিশুদের দিয়ে মটরবাইক পরিষ্কারের বিষয়ে তিনি বলেন, এটি আমিও দেখেছি। এটি খুব খারাপ কাজ হয়েছে। এ ঘটনায় আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নেবো।
বহিস্কৃত এক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানায়, গত বছরের জুলাই মাসে ঠিকমত খাদ্য না দেওয়া, ভয়ংকর যৌন নিপীড়নসহ বিভিন্ন অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে সাতক্ষীরা সরকারি শিশু পরিবারের ৪ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে মারপিট করে শিক্ষার্থীরা।
এঘটনায় তৎকালীন সদর সহকারী কমিশনার(ভূমি) ও ভারপ্রাপ্ত ইউএনও দেবাশিষ চৌধুরী সকলকে শান্ত থাকতে বলেন এবং পরবর্তীতে বিষয়টি শুনে বুঝে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করেন। পরবর্তীতে একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পরও অপরাধের বিপরীতে দোষীদের বিরুদ্ধে কোন আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
অন্যদিকে ঘটনার ৮ মাস অতিবাহিত হওয়ার পর উল্টো প্রতিবাদী শিশুদের বহিষ্কারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যা নিয়ে সাতক্ষীরা সচেতন মহলে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
তৎকালীন ওই কর্মকর্তারা হলেন, অফিস সহকারী সাতক্ষীরার দেবনগর এলাকার খলিলুর রহমানের ছেলে তানভীর হোসেন, গোপালগঞ্জ জেলার বিমল বৈরাগী, বড় ভাই (পদের নাম) নওগা জেলার মোজাফফার হোসেনের ছেলে আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বিন হোসেন ও কৌশিক।
সে সময় শিশু পরিবারের এতিম শিশুরা জানায়, সরকার কর্তৃক দেওয়া সুযোগ সুবিধা থেকে তারা বঞ্চিত। তারা অসুস্থ হলেও তাদের ঠিকমত চিকিৎসা করানো হয় না। সবচেয়ে বড় অভিযোগ হলো ওই কর্মকর্তারা এতিম শিশুদের দিয়ে বিকৃত যৌনাচার করে। পুরুষের বিশেষ অঙ্গ না চুষলে তাদের অকথ্য নির্যাতন করা হয় বলেও জানিয়েছে শিশুরা। কথা না শুনলে ছোট ছোট বচ্চাদের বেদম মারপিট করে তারা। এবিষয়ে কারো কাছে নাশিল করলে তাদের জন্য আরও কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়। তারপরও তারা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বার বার বিচার দিলেও কোন ফল পায়নি বলে জানিয়েছে। কোন উপায় না পেয়ে ওই ৪ শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে শিশুরা এধরনের কাজ করতে বাধ্য হয়েছে। তবে আহত অফিস সহকারীরা এধরনের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমাদের সাথে তাদের কোন সমস্যা নেই। কিন্তু কি কারণে তারা আমাদের মারপিট করেছে তা তাদের জানা নেই। কতজন মেরেছে এমন প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন ৭২ জন শিক্ষার্থীই তাদের উপর হামলা করেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest