সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরার চারটি আসনই ধানের শীষে ভোট দিয়ে বিজয়ী করতে হবে – হাবিবুল ইসলামসাতক্ষীরা সদরের দত্তবাগ টাইগার ক্লাবের নাইট ক্রিকেট টুর্ণামেন্টের উদ্বোধনজাতীয় সংহতি দিবস,এই দিনে বিভাজন নয়, ঐক্যের আহবান -কাজী আলাউদ্দিনসাতক্ষীরা-৩ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী কাজী আলাউদ্দিনকে বিজয়ী করতে গণমিছিলতরুণদের উদ্ভাবনী উদ্যোগকে উৎসাহিত সাতক্ষীরায় অনুষ্ঠিত হলো গ্রীন ইনোভেশন ফেয়ারExplorez les avis des utilisateurs sur gtbet et rejoignez la communautéΕξερευνήστε τις καλύτερες στρατηγικές καζίνο στο gtbet για μεγαλύτερα κέρδηCome registrarsi su Nixbet e iniziare a vincere in pochi passiদেবহাটায় কিশোর-কিশোরী ও যুবকদের সুরক্ষা নিশ্চিতকরণে খেলাধুলার আয়োজনগণমানুষের স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান নলতা হাসপাতাল হুমকির মুখে :রক্ষার দাবি

রোহিঙ্গা সংকটের আশু সমাধান চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা সংকটের আশু সমাধান চেয়ে বলেছেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে সাম্প্রতিক সময়ে নির্যাতনের মাধ্যমে বিতাড়িত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর পুরো চাপ বাংলাদেশ একাই সামলাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বিকেলে ওভারসিজ ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট (ওডিআই)-এ ‘বাংলাদেশ’স ডেভেলপমেন্ট স্টোরি : পলিসিজ, প্রগ্রেসেজ এন্ড প্রসপেক্টস’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তৃতা উপস্থাপনকালে বলেন, ‘বাংলাদেশ এ সংকটের শান্তিপূর্ণ, টেকসই ও আশু সমাধান চায়।’

তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রাখাইন রাজ্যে দেশটির সেনাবাহিনী দমন অভিযান শুরু করার পর বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর লোকদের সংখ্যা এখন ১১ লাখ। বাংলাদেশ মানবিক বিবেচনায় তাদের আশ্রয় দিয়েছে।’

শেখ হাসিনা সরেজমিনে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করে রোহিঙ্গাদের দুর্দশা নিজ চোখে দেখেছেন উল্লেখ করে বলেন, অনেক বিশ্ব নেতা কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের অস্থায়ী আশ্রয় শিবির পরিদর্শন করেছেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বিগত কয়েক বছরে সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বিশাল সাফল্য অর্জন করা সত্ত্বেও এই সাফল্যকে টেকসই করতে হলে বাংলাদেশকে আরও অনেক চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করতে হবে।

তিনি বলেন, ‘আমাদের সাফল্যের মানে এই নয় যে, আমাদের সামনে কোন চ্যালেঞ্জ নেই। …বাংলাদেশের ভেতর ১০ লক্ষাধিক দেশান্তরী মিয়ানমার নাগরিকের অভিবাসনের পাশাপাশি আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব, সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস উগ্রবাদ মোকাবেলায় লড়াই করছি।’

জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু দূষণে খুবই নগণ্য ভূমিকা সত্ত্বেও প্রাকৃতিক দুর্যোগের সবচেয়ে মারাত্মক শিকারে পরিণত হওয়ায় জলবায়ু পরিবর্তন আমাদের জন্য অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের লাখ লাখ মানুষ স্থানচ্যুত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের এই গ্রহ, আমাদের জীববৈচিত্র্য এবং আমাদের জলবায়ু সুরক্ষিত করা বিশ্ব সম্প্রদায়ের অভিন্ন দায়িত্ব।’

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রশমন ও ব্যবস্থাপনার জন্য বাংলাদেশ ডেল্টা প্লান-২১০০ প্রণয়নের প্রক্রিয়ায় রয়েছে।

সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছে। তাঁর দল ২০০৯ সালে যখন ক্ষমতায় আসে, তখন রাজনৈতিক অস্থিরতা, জঙ্গিবাদের উত্থান, প্রাকৃতিক দুযোর্গ, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দাসহ অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক নানা সংকট মোকাবেলা করতে হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জন্য আমাদের রোডম্যাপ ভিশন-২০২১ প্রণয়ন করেছি। দীর্ঘ, মধ্য ও স্বল্প মেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে মধ্য আয়ের দেশে রূপান্তর করতে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করি।

শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার ৬ষ্ঠ পঞ্চম বার্ষিকী পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করছে। এতে পল্লীর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে এবং পল্লী এলাকায় কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে এসএমই’র জন্য তহবিল সংগ্রহ করছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, খাদ্য উৎপাদনে দেশকে স্বাবলম্বী করতে কৃষি সেক্টরে বিশেষ দৃষ্টি দিয়েছি এবং খাদ্য শষ্য, মৎস্য, পোল্ট্রি ও শাকসবজি উৎপাদনে বিশেষ ইনসেন্টিভ দেয়া হচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক রফতানিকারক দেশ। আমাদের পোশাক কারখানাগুলোকে নিরাপদ করতে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশে ৬৭ টি লীড সনদধারী তৈরি পোশাক কারখানা রয়েছে। ৭টি পরিবেশ বান্ধব কারখানা ও বস্ত্র কারখানা রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী পররাষ্ট্র নীতির উল্লেখ করে বলেন, তার সরকার ব্যাবসা বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং কূটনৈতিক সহযোগিতা বাড়ানোর লক্ষ্যে সকল দেশের সঙ্গে বিশেষ করে প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদারে সবোর্চ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। তিনি বলেন, রুপান্তরযোগ্য প্রযুক্তির জন্য আমাদের জ্ঞান ও ইনোভেশন অংশীদারিত্বের প্রয়োজন। আমরা জীবন যাত্রার মান উন্নত করেছি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশকে একটি সুখী সমৃদ্ধশালী ও শান্তিপূর্ণ দেশ করতে ভিশন-২০৪১ প্রণয়ন করা হয়েছে। শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে সক্ষম হবে বলে দৃঢ় আশা প্রকাশ করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনিতে ঐতিহাসিক মুজিব দিবস পালিত

আশাশুনি ব্যুরো: আশাশুনিতে ঐতিহাসিক মুজিব দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে মঙ্গলবার সকালে উপজেলা পরিষদ হলরুমে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এক আলোচসা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাফ্ফারা তাসনীন। মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর কর্মকর্তা ফাতেমা জোহরার উপস্থাপনায় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন সহকারি কমিশনার (ভূমি) মিজাবে রহমত, স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডাঃ অরুন কুমার ব্যানার্জি, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এম, বাকী বিল্লাহ, সমাজ সেবা কর্মকর্তা এমদাদুল হক, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আজিজুল হক, সমবায় কর্মকর্তা আনছারুল আজাদ, হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা ইয়াছিন আলী, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল হান্নান, সাবেক চেয়ারম্যান সম সেলিম রেজা, আশাশুনি রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারন সম্পাদক আকাশ হোসেন সহ মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগন ও গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ। এছাড়া উপজেলার কাদাকাটি আরার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আয়োজনে সকাল ৯ টায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে বিদ্যালয় চত্তরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কাদাকাটি আরার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বদিউজ্জামান খানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় সহকারী প্রধান শিক্ষক ফজলুল হক, সহকারী শিক্ষক মাওঃ আফসার আলী, অনীল কুমার রায়, নিজামুদ্দীন, নজরুল ইসলাম, অসীম কুমার মন্ডল, অবনী কুমার মন্ডল, ছাবিলুর রাশেদ, ফতেমা খাতুন, আরিফুর রহমান, মিলন কুমার, শিরিনা আক্তার খানম, ফাতিমা খাতুন, রুপনারায়ন রায়, আঃ রহিম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সহকারী শিক্ষক রসময় মন্ডলের পরিচালনায় এসময় সকল কর্মচারীবৃন্দ ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ মঙ্গলবার, ১৭ এপ্রিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের অনন্য এক দিন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে এদিনে মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলা গ্রামের আ¤্রকাননে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে শপথগ্রহণ করে। পরে এই বৈদ্যনাথতলাকেই ঐতিহাসিক মুজিবনগর হিসেবে নামকরণ করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
অবশেষে মোস্তাফিজের মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের প্রথম জয়

এবারের আইপিএলে প্রথম জয়ের দেখা পেল মোস্তাফিজুর রহমানের মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে ৪৬ রানে হারিয়েছে গতবারের চ্যাম্পিয়ন্সরা। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার রাতে মুম্বাই ২০ ওভারে ২১৩ রান সংগ্রহ করে। ২১৪ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৬৭ রানে থমকে গেছে বিরাট কোহলির বেঙ্গালুরু।

এই ম্যাচে সহজ জয় পেলেও মুম্বাইয়ের শুরুটা ভাল ছিল না। ম্যাচের প্রথম দুই বলেই সূর্যকুমার যাদব ও ইশান কিশানকে বোল্ড করে দেন উমেশ যাদব। এরপর আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের পাল্টা জবাব দেন এভিন লুইস। সঙ্গ দেন রোহিত শর্মা। তৃতীয় উইকেটে দুজন গড়েন ৬৬ বলে ১০৮ রানের জুটি।

৬ চার ও ৫ ছক্কায় ৪২ বলে ৬৫ করে আউট হন লুইস। ৫২ বলে ৯৪ করেছেন মুম্বাই অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ১০ চার ও ৫ ছক্কায় মুসাজানো ছিল তার সেই ইনিংস। শেষ দিকে ২ ছক্কায় ৫ বলে ১৭ করেন হার্দিক পান্ডিয়া। শেষ ৫ ওভারে মুম্বাই তোলে ৭০ রান।

বড় রান তাড়ায় বেঙ্গালুরুর শুরুটা হয়েছিল দারুণ। বিরাট কোহলি ও কুইন্টন ডি কক ৪ ওভারে তোলেন ৪০ রান। এরপর মুম্বাইয়ের মিচেল ম্যাকক্লেনাগন ওভারেই ফেরান ডি কক ও এবি ডি ভিলিয়ার্সকে। পরে ক্রুনাল পান্ডিয়া পরপর দুই বলে ফেরান মানদিপ সিং ও কোরি অ্যান্ডারসনকে।

কোহলি এক প্রান্তে খেলে গেছেন নিজের মত। ওপেন করতে নেমে শেষ পর্যন্ত ৬২ বলে ৯২ রানে অপরাজিত বিরাট কোহলি। আর কেউ করতে পারেনি ২০ রানও। শেষ পর্যন্ত কোহলির দারুণ অপরাজিত ইনিংসেই কমেছে ব্যবধান। তার পরও মুম্বাইয়ের জয়টা ছিল অনায়াসই।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বিচ্ছেদের পর ফের মাধুরীর সঙ্গে সঞ্জয় দত্ত

পুরনো প্রেমিকের হাত ধরতে যাচ্ছেন বলিউড অভিনেত্রী মাধুরী দীক্ষিত। অর্থাৎ জনপ্রিয় অভিনেতা সঞ্জয় দত্তের সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করতে চলেছেন তিনি।

যদিও করণ জোহরের সিনেমায় তাদের এক সঙ্গে দেখা যাবে বলে শোনা গিয়েছিল। কিন্তু মাধুরী দীক্ষিতের সঙ্গে শেষ পর্যন্ত সঞ্জয় দত্তকে দেখা যাবে না বলে খবর পাওয়া গেলেও অভিষেক বর্মণ-এর পরবর্তী সিনেমায় ‘ধকধক গার্ল’-এর সঙ্গে দেখা যাবে তাদের।

ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে, ব্যক্তিগতভাবে যে সম্পর্ক-ই হোক না কেন সঞ্জয় দত্তের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ারে কোনো আপত্তি নেই বলেই মত প্রকাশ করেছেন মাধুরী দীক্ষিত। অর্থাৎ, ‘খলনায়ক’-এর পর প্রায় ২৫ বছর পর এবার ফের একসঙ্গে দেখা যাবে সঞ্জয় দত্ত এবং মাধুরী দীক্ষিতকে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনিতে মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভা অনুষ্ঠিত

আশাশুনি ব্যুরো: আশাশুনিতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে সমিতির অস্থায়ী কার্যালয়ে সাধারণ সম্পাদক প্রধান শিক্ষক আরিফুল ইসলাম বাচ্চু ও সাদেক হোসেনের পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন, সহ-সভাপতি প্রধান শিক্ষক অরুন কুমার গাইন, আবু দাউদ, রুহুল আমিন, বদিউজ্জামান, যুগ্ম-সম্পাদক শংকর কুমার গাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক গনেশ চন্দ্র বৈদ্য, কোষাধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম তুষার, ক্রীড়া সম্পাদক তরুন কুমার সানা, সদস্য গোলাম কিবরিয়া, সাহিদা খাতুন, কমলা রানী সরকার প্রমূখ। সভায় মাধ্যমিক শিক্ষার মান উন্নয়ন, পুরাতন কমিটির নিকট থেকে সমুদয় আয়-ব্যয়ের হিসাব নিকাশ সহ দায়িত্বভার গ্রহন করা ও বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হয়। উল্লেখ্য, রোববার সকালে শিক্ষকদের বৈশাখী ভাতা প্রদান, শতকরা ৫ ভাগ প্রবৃদ্ধি (ইনক্রিমেন্ট) প্রদান সহ বিভিন্ন দাবীতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে র‌্যালী, কালো ব্যাজ ধারণ ও শহীদ স্মৃতি সৌধ চত্বরে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
‘৪ হাজার পাকিস্তানিকে আমেরিকার হাতে তুলে দিয়েছেন মুশাররফ’

পাকিস্তানের সাবেক স্বৈরশাসক জেনারেল পারভেজ মুশাররফ শুধুমাত্র ডলারের বিনিময়ে তার দেশের চার হাজার নাগরিককে বিদেশি শক্তির হাতে হাতে তুলে দিয়েছিলেন। এর মধ্যে বেশিরভাগ নাগরিককে তিনি আমেরিকার কাছে হস্তান্তর করেছেন। এ খবর দিয়েছে পাকিস্তানের ইংরেজি দৈনিক এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।

পাকিস্তানে নিখোঁজ ব্যক্তিদের খুঁজে বের করার বিষয়ে গঠিত কমিশনের প্রধান সাবেক বিচারপতি জাভেদ ইকবাল গতকাল (সোমবার) পাক সিনেটের স্থায়ী কমিটিতে এ তথ্য তুলে ধরেন। সিনেটকে ব্রিফ করার সময় তিনি জানান, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আফতাব আহমাদ শেরপাও এই গোপন হস্তান্তর প্রক্রিয়ার অংশ। বিচারপতি ইকবাল পরিষ্কার করে বলেন, ডলারের বিনিময়ে জেনারেল মুশাররফ পাকিস্তানি নাগরিকদের আমেরিকার হাতে তুলে দিয়েছেন।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, দেশের আইনে এ ধরনের হস্তান্তরের কোনো বিধান নেই কিন্তু জাতীয় সংসদসহ কেউ আজ পর্যন্ত মুশাররফ ও শেরপাওয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে নি। বিচারপতি ইকবাল বলেন, মুশাররফের অবৈধ ও বেআইনি কাজকর্ম সম্পর্ক সম্পর্কে অবশ্যই তদন্ত হতে হবে। তিনি প্রশ্ন করেন, দেশের আইন অনুযায়ী কীভাবে একজন ব্যক্তি পাকিস্তানি নাগরিকদের বিদেশের কাছে তুলে দেয়?

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনির আনুলিয়ায় গ্রাম আদালতের মত বিনিময় সভা

আশাশুনি ব্যুরো: আশাশুনির আনুলিয়ায় গ্রাম আদালতের কমিউনিটি বিষয়ক মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় আনুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ হলরুমে এসভা অনুষ্ঠিত হয়। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইউএনডিপির) অর্থায়নে স্থানীয় সরকার বিভাগীয় কর্তৃক (আরভিসিবি) প্রকল্প কারিগরী সহযোগীতায় ও ওয়েব ফাউন্ডেশনের বাস্তবায়নে সভায় সভাপতিত্ব করেন আনুলিয়া ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান আনন্দ কুমার দাশ। উপজেলা সমন্বয়কারী গোলাম মোস্তফার উপস্থাপনায় উপস্থিত ছিলেন। ইউপি সদস্য আলমগীর হোসেন, আব্দুস সাত্তার, শওকত হোসেন, রফিকুল ইসলাম, নুর মোহম্মাদ, গ্রাম আদালত সহকারী নাসরিন সুলতানা প্রমুখ। উক্ত সভায় ৫০ জন নারী পুরুষ অংশ গ্রহন করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দুর্নীতিবাজদের ‘ঘুম হারামে’ নতুন কৌশলে দুদক

চলতি বছরের শেষে একাদশ সংসদ নির্বাচন, এর আগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) দুর্নীতির বিরুদ্ধে হার্ড লাইনে যেতে শুরু করেছে।

জানা গেছে, দুর্নীতির মামলায় বিচারিক আদালতে আসামিদের সাজার হার কম ছিল। আর যে আসামিরা সাজা পেতেন, তারাও আপিল করে হাইকোর্টে গিয়ে কিছুটা স্বস্তি পেতেন। জামিন পাওয়া, মামলা স্থগিত হওয়া, দীর্ঘসময় বিচার চলমান থাকার প্রেক্ষাপটে কিছুটা সুবিধাও ভোগ করতেন আসামিরা। তাছাড়া হাইকোর্টে মামলা বাতিল, সাজা বাতিল, আসামি খালাসসহ এ ধরনের রায়ে দুদকের মামলায় সাজা বহালের হারও কমে যাচ্ছিল।

দায়সারা তদন্ত, তদন্তে ত্রুটি, দুর্বল চার্জশিট অথবা বিলুপ্ত দুর্নীতি দমন ব্যুরো আমলের অসম্পন্ন মামলায় সাক্ষীর অনুপস্থিতির কারণে বিচারিক আদালতেই অন্তত ৭০ শতাংশ মামলা খারিজ অথবা আসামি খালাসের অতীত রেকর্ড রয়েছে। তবে দুদকের বর্তমান চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ দায়িত্ব গ্রহণের পর এ প্রেক্ষাপট অনেকটা পাল্টে যায়। তিনি দায়িত্ব নেয়ার পর দুর্নীতি মামলায় আসামিদের সাজার হার ক্রমাগত বাড়ছে। তা সংসদ নির্বাচনের আগে আরও বেড়ে যাচ্ছে। কমিশনের অনুসন্ধান, তদন্ত ও প্রসিকিউশনে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার ও গুণগত কার্যকর পরিবর্তন আনা হয়েছে।

দুদকের তদন্ত বিভাগ ও প্রসিকিউশনের সঙ্গে সমন্বয় জোরালো করা হয়েছে। ফলে বিচারিক আদালতেই দুদকের মামলায় সাজার হার ক্রমাগত বাড়ছে। আগে যেখানে দুদকের ৩০ শতাংশ মামলায় সাজা হতো, এখন উন্নীত হয়েছে ৬৮ শতাংশে। দুর্নীতি মামলায় সাজার হার বৃদ্ধি পাওয়ায় আসামিদের মাঝে এখন আতঙ্কও বাড়ছে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘কমিশনের যে কোনো পদক্ষেপ একটি চলমান প্রক্রিয়া। দুর্নীতি দমনে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার কোনো বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে বর্তমান কমিশন মামলার অনুসন্ধান, তদন্ত ও প্রসিকিউশনে পরিবর্তন এনেছে। তদন্ত এবং প্রসিকিউশনে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার করা হয়েছে, ফলে এরইমধ্যে কমিশনের মামলার সাজার হার বৃদ্ধি পেয়েছে।’

এদিকে দুদক কর্মকর্তারা জানান, দুর্নীতির মামলায় মূলত দালিলিক তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয়। সাক্ষীদের বক্তব্য নিয়ে তাদের নাম-তালিকা আদালতে জমা দেওয়া হয়। অনেক ক্ষেত্রে সব সাক্ষীকে আদালতে হাজির করা যায় না। এর মধ্যে কেউ কেউ আদালতে হাজির হলেও দুদকের বৈরী সাক্ষী হন। এতে মামলার মেরিট (উপাদান) দুর্বল হয়। দুর্নীতি মামলার আসামিরা সাধারণত ধূর্ত, কৌশলী ও প্রভাবশালী। তারা সাক্ষীদের আর্থিক সুবিধা দিয়ে অথবা ভয়ভীতি দেখিয়ে সাক্ষ্য দেওয়া থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করেন।

অপরাধের দায় থেকে রক্ষা পেতে তারা প্রায় সব রকম চেষ্টা করে থাকেন। এসব কারণে দুদকের অনেক মামলায় আসামিরা খালাস পেয়ে থাকেন। তবে এখন অভিযোগের যাচাই-বাছাই, অনুসন্ধান, মামলার তদন্তসহ সব কার্যক্রম গুরুত্বসহকারে সম্পন্ন ও ত্রুটিহীন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। অনুসন্ধান ও তদন্ত বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট প্রায় সব কর্মকর্তাকে উন্নত প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, যাতে অনুসন্ধান ও তদন্তে কোনো ঘাটতি না থকে। এতে মামলা দায়ের ও চার্জশিটের সংখ্যা কমলেও প্রতিটি ক্ষেত্রে গুণগতমান বাড়ছে।

দুদক থেকে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, বিচারিক আদালতে দুদকের মামলায় চলতি বছর জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি এ দুই মাসে ৬৩ দশমিক ৮২ শতাংশ সাজার রায় হয়েছে। গেল বছর (২০১৭) ৬৮ শতাংশ মামলায় আসামির সাজা হয়েছে। ২০১৬ সালে দুদকের মামলায় ৫৪ শতাংশ আসামি সাজা পেয়েছেন। আর আসামি খালাস বা মামলা বাতিলের রায় হয়েছে ৪৬ শতাংশ। এর আগের প্রায় সাত বছরে সাজার হার ৩০ থেকে ৩৭ শতাংশের মধ্যে ওঠানামা করত।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছর জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি এ দুই মাসে বিচারিক আদালতে দুদকের ৪৭টি মামলার রায় হয়। এতে সাজা ঘোষণা হয় ৩০টি, আর খালাসের রায় ১৭টি; যাতে মোট মামলার ৬৩ দশমিক ৮২ শতাংশ সাজা হয়। গেল বছর (২০১৭) মোট ২৩৭টি মামলার রায় হয়। এতে সাজা হয় ১৬২টির আর খালাসের রায় হয় ৭৫টির। সাজার হার ৫৪ শতাংশ। এর আগে ২০০৯ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত সাত বছরে বিলুপ্ত ব্যুরো ও দুদক মিলে মোট ২ হাজার ৭৭টি দুর্নীতির মামলার বিচারকাজ সম্পন্ন হয়। এতে মোট ৮৬২ মামলায় সাজা এবং বাকি ১ হাজার ২১৫টি মামলা বাতিল অথবা আসামি খালাস পেয়েছেন।

এর মধ্যে ২০০৯ সালে ২৩৭টি মামলার বিচার সম্পন্ন হয়। ১৫৪টিতে সাজা হয় এবং খালাস ৮৩টিতে। ২০১০ সালে ৬০০টি মামলার বিচার সম্পন্ন হয়। ৩১৫টিতে সাজা হয় এবং খালাস ২৮৫টিতে। ২০১১ সালে বিচার সম্পন্ন ১৬৬টির। ৩৩টিতে সাজা হয় এবং খালাস ১৩৩টিতে। ২০১২ সালে বিচার সম্পন্ন ২১৮টির। সাজা হয় ৫৭টিতে, আর খালাস ১৬১টিতে। ২০১৩ সালে বিচার সম্পন্ন ২৫৫টির। সাজা হয় ৯১টিতে ও খালাস ১৬৪টিতে। ২০১৪ সালে বিচার সম্পন্ন ২৯৫টির। সাজা হয় ১১৩টিতে আর খালাস ১৮২টিতে। ২০১৫ সালে বিচার সম্পন্ন হয় ৩০৬টির। এর মধ্যে সাজা হয় ২০৭টিতে ও খালাস ৯৯টিতে। এ সাত বছরে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ মামলায় সাজার রায় হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest