সর্বশেষ সংবাদ-

বাংলাদেশে প্রতিমাসে গড়ে ৫৫টি শিশু ধর্ষণের শিকার

বাংলাদেশে শিশু ধর্ষণ বেড়েছে আশঙ্কাজনক হারে। এ বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত প্রতিমাসে গড়ে ৫৫ জনের বেশি শিশু এমন পৈশাচিক বর্বরতার শিকার হচ্ছে। অর্থাৎ, এই তিন মাসের হিসেবে অনুযায়ী দেশে প্রতিদিন প্রায় দুটো শিশুকে ধর্ষণ করা হয়েছে। পাশাপাশি ধর্ষণের মতো অপরাধেও জড়িয়ে পড়ছে শিশুরা।

এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের (বিএসএএফ)। তাতে বলা হয়, ওই তিন মাসে মোট ১৭৬টি শিশু ধর্ষিত হয়েছে। জানুয়ারি ও ফ্রেব্রুয়ারিতে ৫৫টি করে এবং মার্চে ৬৬টি শিশুকে ধর্ষণ করা হয়। অর্থাৎ, মাসে গড়ে ৫৫টির বেশি শিশুকে ধর্ষণ করা হয়েছে। সেখানেই শেষ নয়, ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ২৫ জনকে। এই পরিসংখ্যান অতীতের যেকোনো রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে। ধর্ষিত ১৭৬ জন শিশুর মধ্যে এক থেকে ৬ বছর বয়সী শিশুর সংখ্যা ১৫ জন, ৭ থেকে ১২ বছর বয়সী ৩৭ জন এবং ১৩ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে রয়েছে ৫৭ জন। এ ছাড়াও ৬৭ জন শিশুর বয়স কোনো সংবাদপত্রে উল্লেখ করা হয়নি।

২৬৯টি বেসরকারি সংস্থার প্ল্যাটফর্ম বিএসএএফ। তারা মোট ১৫টি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত শিশু অধিকার লঙ্ঘন বিষয়ক সংবাদ পর্যবেক্ষণ এবং বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য প্রকাশ করে। সেখানে আরো বলা হয়, গত বছর ধর্ষণের শিকার হয়েছিল ১৪৫ শিশু। প্রথম তিন মাসে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনা ঘটেনি। তবে গত বছরের প্রথম তিন মাসের তুলনায় চলতি বছর গণধর্ষণ এবং প্রতিবন্ধী শিশু ধর্ষণ কমেছে যথাক্রমে ৫৫ শতাংশ এবং ১২ দশমিক ৫ শতাংশ। ৭ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুরা বেশি ধর্ষণের শিকার হয়েছে। আক্রান্তদের বেশিরভাগই মূলত দরিদ্র এবং শ্রমজীবী বাবা-মায়ের সন্তান।

সবচেয়ে বেশি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ঢাকা জেলায়। ঢাকায় ২৫টি, চট্টগ্রামে এবং নারায়ণগঞ্জে ৯টি করে, খুলনায় ৬টি এবং যশোর ও সিলেটে ৫টি করে। ২০১৭ সালের হিসেবেও ঢাকা সবার আগে। এখানে ৬৭টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া গাজীপুরে ২৮টি এবং নারায়ণগঞ্জ ২৪টি। ধর্ষণে কম বয়সীদের জড়িয়ে পড়ার ঘটনাও আশঙ্কাজনক। পত্রিকায় পাওয়া তথ্যে ধর্ষকদের বয়স পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ১৮ জনের বয়স ১৮ বছরের নিচে, ৫৬ জনের বয়স ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ২০ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে এবং ১১ জনের বয়স ৪৫ বছরের বেশি।

শিশু অধিকার ফোরামের পরিচালক আবদুস সহিদ মাহমুদ জানান, বাংলাদেশে শিশু নিরাপত্তার পরিস্থিতি খুবই খারাপ। ধর্ষণসহ বিভিন্ন নির্যাতনের ঘটনা ঘটেই চলছে। আর তা দিন দিন বাড়ছে। বেশির ভাগ ঘটনায়  বিচারের দীর্ঘসূত্রতা এবং বিচার হলেও রায় কার্যকর না হওয়া বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নিলে পরিস্থিতি তো এত খারাপ হওয়ার কথা নয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কালিগঞ্জে কৃষকদের মাঝে সার ও ধানের বীজ বিতরণ

কালিগঞ্জ প্রতিনিধি: কালিগঞ্জে খরিপ ১/২০১৮-১৯ মৌসুমে উফশী আউশ ও নোকিয়া আউশের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে কৃষি অফিসের হলরুমে প্রানোদানা কর্মসূচি বাস্তবায়নে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে সার ও বীজ প্রদান করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মাঈন উদ্দিন হাসান। কৃষি কর্মকর্তা শেখ ফজলুল হক মনির সভাপতিত্বে ও উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জিএম, শফিউল্লা‘র সঞ্চালনায় এসময় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকৌশলী শাহাবুল আলম, প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মনোজিৎ কুমার মন্ডল, মৎস্য কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম, সাংবাদিক সুকুমার দাশ বাচ্চু, শেখ আনোয়ার হোসেন, উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ। এসময় উফশী আউশ চাষীদের প্রত্যেকে ৫ কেজী আউশ বীজ ধান, ২০ কেজি ইউরিয়া, ১০ কেজি ডিএপি. ১০ কেজি এমওপি সার ও ৫০০ টাকা সেচ সহায়তা প্রদান করা হয়। এবং নোকিয়া আউশ চাষীদের ৫ কেজি নোকিয়া আউশ বীজ ধান, ২০ কেজি ইউরিয়া ১০ কেজি ডিএপি, ১০ কেজি এমওপি সার, ৫০০ টাকা সেচ সহায়তা ও ৫০০ টাকা আগাছা দমন সহায়তা দেওয়া হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কলেজ অধ্যক্ষকে ছাত্রলীগ নেতার মারধর; ভিডিও ভাইরাল

চট্টগ্রাম বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষ ড. জাহেদ খানকে লাঞ্ছিত করেছেন এক ছাত্রলীগ নেতা। পরে সেই নেতাই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। এ নিয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো অভিযোগ আনেননি মারধরের শিকার হওয়া সেই অধ্যক্ষ। এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে। ফেসবুকে অনেকেই ঘটনার ভিডিও শেয়ার করেছেন।

অভিযুক্ত নুরুল আজিম রনি মহানগর ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক। ভিডিওতে দেখা যায় তিনি অধ্যক্ষকে মারতে মারতে একটি কক্ষে নিয়ে আসছেন। সেই কক্ষটি অবশ্য অধ্যক্ষের নিজেরই কক্ষ। গত ৩১ মার্চ এ ঘটনা ঘটেছে।

ভিডিওতে দেখা যায়, ধাক্কা ও কিল-ঘুষির শিকার হওয়ার পর অধ্যক্ষ নিজ আসনে বসেন। পরে সেই ছাত্রলীগ নেতা তার অনুমতির তোয়াক্কা না করেই তার সামনে রাখা চেয়ার বসে পড়েন এবং আঙুল উঁচিয়ে তাকে শাসাতে থাকেন। এসময় কক্ষটিতে অনেক লোক ও একাধিক পুলিশ সদস্যও হাজির ছিলেন। কিন্তু তারা কেউ অধ্যক্ষকে লাঞ্ছনা থেকে বাঁচাতে কোনো উদ্যোগ নেননি।

ওই ঘটনার জেরে সোমবার চট্টগ্রামরে চকবাজার থানায় কলেজ ‘শিক্ষার্থীদের পক্ষে’ মামলা করেন ছাত্রলীগ নেতা রনি। তিনি অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে ‘অতিরিক্ত টাকা আদায়ের’ অভিযোগ এনেছেন।

চকবাজার থানার উসি মীর মোহাম্মদ নূরুল হুদা বলেছেন, ছাত্রলীগ নেতা রনি অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করেছে। মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, ৮৯ ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে সরকারি নিয়মের বাইরে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হয়েছে। মামলায় উল্লেখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত চলছে।

https://www.youtube.com/watch?v=Kc6G3Ai4ZCY

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বক্স অফিসে ক্ষিপ্র গতিতে ছুটছে ‘বাঘি ২’

বলিউডের রীতিমতো ঝড় তুলেছে টাইগার শ্রফ ও দিশা পাটানির রসায়ন। আর এর সাফল্য ও জনপ্রিয়তার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে বক্স অফিসে। ক্ষিপ্র গতিতে ছুটছে ‘বাঘি ২’। কর্মব্যস্ত সোমবারেও ছবিটি ভারতজুড়ে আয় করেছে ১২.১০ কোটি রুপি।

গুড ফ্রাইডে’তে মুক্তি পাওয়া ছবিটি প্রথম দিনেই ২৫.১০ কোটি রুপি ব্যবসা করে। এর পর যথাক্রমে শনিবার ২০.৪০ কোটি, রবিবারে (ভারতে সরকারি ছুটির দিন এবং ইস্টার সানডে) ২৭.৬০ কোটি এবং গতকাল ১২.১০- মোট ৮৫.২০ ব্যবসা করেছে ছবিটি, শুধু ভারতে।

ভারতখ্যাত ট্রেড অ্যানালিস্ট তরণ আদর্শ বিষয়টি তাঁর ট্যুইটার পোস্টের মাধ্যমে নিশ্চিত করেন। তিনি এ-ও আশা করেন, খুব শিগগগিরই ১০০ কোটি আয়ের মাইলফলক পেরোবে ‘বাঘি ২’।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
তালার খলিলনগর প্রাইমারির শিক্ষক কাশেমের বিরুদ্ধে সীমাহীন অভিযোগ

তালা প্রতিনিধি: ৪র্থ ও পঞ্চম শ্রেণির উঠতি বয়সের ছাত্রীদের সাথে অনৈতিক আচরন, ক্লাস ফাকি দিয়ে সরকার বিরোধী আন্দোলন, যৌতুকের দাবীতে স্ত্রীকে তালাক প্রদান ও বিভিন্ন শিক্ষিকাকে মোবাইল ফোনে উত্ত্যাক্ত করা সহ সীমাহীন অভিযোগ উঠেছে তালার খলিলনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. আবুল কাশেম সরদারের বিরুদ্ধে। ঘটনার প্রতিকার সহ উক্ত বিতর্কীত শিক্ষকের শাস্তির দাবীতে অভিভাবকরা সহ একাধিক ব্যক্তি বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেছেন। সেমতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তদন্ত শেষে আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনী ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট সুপারিশ করেছেন। কিন্তু দীর্ঘদিনেও উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত শিক্ষক আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে অভিভাবক সহ সচেতন মহল।
সূত্রে জানাগেছে, তালার দক্ষিন নলতা গ্রামের মৃত. আমের আলী সরদারের পুত্র মো. আবুল কাশেম সরদার ছাত্রাবস্থায় পাইকগাছা উপজেলার সোনাতনকাটি গ্রামের মো. এরশাদ আলী গাজীর কন্যা সালমা আক্তারকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর সালমার পিতার খরজে লেখাপড়া সহ শিক্ষকতার মতো মহান চাকুরি লাভের সুযোগ পায়। কিন্তু চাকরির সুযোগ পেয়েই আবুল কাশেম যৌতুকের দাবীতে তার স্ত্রী সালমার উপর নানাবিধ অত্যাচার শুরু করে। এরইমধ্যে লম্পট আবুল কাশেম পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে এবং ঘরের মধ্যে অন্য নারীর সাথে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়ে। এঘটনার প্রতিবাদ করতেই আবুল কাশেম তার স্ত্রীকে মারপিট করে তাড়িয়ে পিতার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় এবং কয়েকদিন পর একতরফা তালাক প্রদান করে। পরবর্তীতে সামাজিক বিভিন্ন চাপের মুখে আবুল কাশেম আবারও সাবেক স্ত্রী সালমাকে বিয়ে করে। কিন্তু তাতেও স্বভাব ভাল হয়নি তার। সে এবার এক ছাত্রীর সাথে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়ে তৃতীয় বারের মতো সেই ছাত্রীকে বিয়ে করে এবং প্রথম স্ত্রী সালমাকে তাড়িয়ে দেয়। সালমা বর্তমানে ঢাকায় একটি গার্মেন্টসে কাজ নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
এদিকে স্ত্রী নিয়ে আবুল কাশেম এমন অনৈতিক আচরন করার পাশাপাশি সে নিজ স্কুলের উঠতি বয়সের ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণির ছাত্রীদের শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে বিভিন্ন অযুহাতে হাত দিয়ে যৌন হয়রানী করে বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও পরীক্ষায় ভাল মার্ক দেবার আশ্বাস দিয়ে একাধিক ছাত্রীকে যৌন হয়রানী, একাধিক শিক্ষিকাকে মোবাইলে উত্ত্যাক্ত করা, স্কুলে ঠিক মতো ক্লাস না করা, ক্লাসে হাজির হলেও ঠিকমতো পাঠদান না করা, বেতন বৃদ্ধির নামে সরকার বিরোধী আন্দোলনে যোগ দেবার কথা বলে অন্যান্য স্কুলের সহকারী শিক্ষকদের কাছ থেকে চাঁদা উত্তোলন, চাঁদার নামমাত্র অংশের টাকা দিয়ে আন্দোলন করা এবং উত্তোলিত চাঁদার বাকি টাকা আত্মসাৎ করে তালা উপশহরে বাড়ি তৈরির অভিযোগ রয়েছে তার বিুরদ্ধে। তার এসব অনৈতিক এবং ছাত্রীদের যৌন হয়রানী করার বিষয় জানাযানি হলে অভিভাবকদের চাপের মূখে তাকে ইতোপূর্বে প্রসাদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি হতে হয়। কিন্তু “চোর না শোনে ধর্মের কাহিনী” সেখানেও যেয়ে লম্পট কাশেম দরিদ্র পরিবারের উঠতি বয়সের একাধিক ছাত্রীকে যৌন হয়রানী করে। বিষয়টি সেখানেও জানাজানি হলে এক ছাত্রীর পিতাকে ১ মন চাল ঘুষ দিয়ে অপকর্ম থেকে রেহায় পায়। কিন্তু এখানকার অভিভাবকরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলে সে বদলি হয়ে আবারও খলিলনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চলে আসে। এখানে পুনরায় এসে অসম্ভব ক্ষমতার অধিকারী (!) লম্পট শিক্ষক আবুল কাশেম আবারও একের পর এক অনৈতিক কাজ করে যাচ্ছে। এসব ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে অভিভাবকরা সহ কাশেমের সাবেক স্ত্রী সালমা আক্তার তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সহ বিভিন্ন দপ্তরে প্রতিকার সহ শাস্তির দাবীতে আবেদন করেছেন। আর আবেদনের বিষয়ে কার্যকরি ব্যবস্থা নেওয়া না হলে আন্দোলন করা হবে বলে হুমকি দিয়েছেন অভিভাবকরা।
উপজেলা প্রাথমিক অফিস সূত্রে জানাগেছে, প্রাপ্ত অভিযোগের ভিত্তিতে শিক্ষা অফিসের উদ্যোগে সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. নজরুল ইসলামকে আহবায়ক করে ইতোমধ্যে ৭সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। গঠিত কমিটি প্রয়োজনীয় তদন্ত শেষে গত ২৭ জানুয়ারী তদন্ত রিপোর্ট জমা দেন। যেখানে সহকারী শিক্ষক আবুল কাশেমের অপকর্মের সকল সত্যতা পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করা হয় এবং তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনী ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘদিনেও কর্তৃপক্ষ কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে অভিভাবকরা সহ সচেতন মহল। এক্ষনে আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে অভিভাবক ও সচেতন মহল নানাবিধ ব্যবস্থা নিবে এবং আইনশৃঙ্খলার কোনও অবনতি হলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার দায়ী থাকবে বলে জানিয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
প্রাথমিক সমাপনী থেকে এমসিকিউ বাদ

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে জানিয়ে একটি আদেশ জারি করেছে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি।

সেখানে বলা হয়েছে, প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় বহুনির্বাচনী (এমসিকিউ) প্রশ্ন বাদ দিয়ে শতভাগ ‘যোগ্যতাভিত্তিক’ প্রশ্নে পরীক্ষা নেওয়া হবে।

এই ‘যোগ্যতাভিত্তিক’ প্রশ্ন পদ্ধতিতে প্রশ্নের সংক্ষিপ্ত উত্তর লেখা, শূন্যস্থান পূরণ, সংক্ষিপ্ত কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন এবং রচনামূলক প্রশ্ন থাকতে পারে।

এবারের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি গত ১৮ ফেব্রুয়ারি প্রশ্নপত্রের কাঠামো ও নম্বর বিভাজন করে আদেশ জারি করলেও প্রশ্ন ফাঁস বন্ধে নেওয়া উদ্যোগের অংশ হিসেবে বহুনির্বাচনী প্রশ্ন বাতিলের নতুন সিদ্ধান্ত এল।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নতুন নিয়মে প্রশ্নের কাঠামো এবং নম্বর বণ্টন কেমন হবে, তা শিগগিরই জানিয়ে দেওয়া হবে।

গতবছর প্রাথমিক সমাপনী পারীক্ষার প্রায় সব বিষয়ের প্রশ্ন পরীক্ষার আগের রাতে বা পরীক্ষার সকালে ফাঁস হয়ে সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

এর ধারাবাহিকতা বজায় থাকে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জেএসসি-জেডিসি এবং এ বছরের এসএসসি পারীক্ষাতেও।

প্রশ্নফাঁস মহামারির আকার ধারণ করায় প্রশ্ন পদ্ধতি নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।

পরীক্ষার ঘণ্টাখানেক আগে প্রশ্ন ফাঁস হলে সেখান থেকে সহজেই বহু নির্বাচনী অংশের উত্তর দেওয়ার সুযোগ থাকে বলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি থেকেও প্রাথমিক স্তরের পরীক্ষায় বহুনির্বাচনী প্রশ্ন (এমসিকিউ) বাদ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়।

১৯৯২ সালে এসএসসিতে প্রবর্তনের সময় ৫০ নম্বরের পরীক্ষা এমসিকিউতে নেওয়া হত। পরে তা কমিয়ে আনা হয়। প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে এমসিকিউ তুলে দেওয়ার পক্ষে এর আগে শিক্ষা সচিবও মত জানিয়েছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পূর্ণিমাকে নিয়ে তোলপাড়

চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা নাটক ও চলচ্চিত্রের পাশাপাশি সাম্প্রতিক সময়ে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তার সাবলীল উপস্থাপনার মাধ্যমে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৪ মার্চ প্রচারিত বেসরকারি টেলিভিশন আরটিভিতে ‘এবং পূর্ণিমা’ অনুষ্ঠানের একটি পর্বে অতিথি হয়ে আসেন খলনায়ক মিশা সওদাগর। এই পর্বে পূর্ণিমা চলচ্চিত্র বিষয়ে অনেক প্রশ্নের পাশাপাশি ‘পর্দায় ধর্ষণ সিন’ নিয়ে প্রশ্ন করেন অতিথি মিশার সঙ্গে। তার এই প্রশ্ন করা নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে। ‘আপনি সিনেমাতে কতবার ধর্ষণ করেছেন? কার সঙ্গে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন ধর্ষণের সিন করতে?’-অনুষ্ঠানে মিশা সওদাগরকে এমন প্রশ্ন করেছিলেন পূর্ণিমা, যা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।

গত কয়েক দিন ধরে এ বিষয়ে তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যাচ্ছিল না। তবে সম্প্রতি এই বিষয় নিয়ে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন। অনুষ্ঠানটি দেখে যারা তার ওপর ক্ষুব্ধ হয়েছেন কিংবা কষ্ট পেয়েছেন তাদের প্রতি তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘সত্যি কথাটা হলো আমরা আসলে অনেক কিছুই সহজভাবে নিতে পারি না। বোঝার চেষ্টা করি না, এটা একটা ফান শো বা আড্ডা। এই অনুষ্ঠান দেখে আমার কথায় যদি কেউ কষ্ট পেয়ে থাকেন, সেটার জন্য সত্যিই আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আপনাদের দুঃখ দেওয়ার জন্য এই অনুষ্ঠানগুলো বা সিনেমা করি না। আপনাদের আনন্দ দেওয়াই আমাদের উদ্দেশ্য।’ কিন্তু পূর্ণিমা এই দুঃখ প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে ক্ষোভ প্রকাশও করেন। ক্ষোভ প্রকাশের সুরে পূর্ণিমা বলেন, ‘আসলে ব্যক্তিগত রেষারেষি থেকে পুরো অনুষ্ঠানের ওই অংশটি কেটে ভিডিওটা ছড়ানো হয়েছে। তবে কারা এবং কেন করেছে তা এখন বলতে চাচ্ছি না। পরে সময় হলে সব জানিয়ে দেব সবাইকে। পূর্ণিমা এই ধরনের প্রশ্ন করার নেপথ্যের কারণ হিসেবে বলেন, ‘মিশা ভাইয়ের সঙ্গে করা প্রথম ছবিটিতে ধর্ষণের দৃশ্য ছিল আমার সঙ্গে। তিনি তো পুরো ক্যারিয়ারে হাজারটা এমন দৃশ্য করেছেন। আর আমিও কমপক্ষে ৫০-৬০টি ছবিতে এই দৃশ্য করেছি। সবই কিন্তু চিত্রনাট্যের দাবিতে করা দৃশ্য মাত্র। সিনেমায় তো খুনোখুনিও হয়, ভালোবাসাও। আমরা তো সেই সিনেমারই মানুষ। অথচ মজার ছলে এই বিষয়ে কথা বলতে গেলে সেটা অন্যভাবে কেন নেওয়া? অনুষ্ঠানে আমাদের অনেক বিষয় নিয়ে আলাপ হয়েছে। কথা প্রসঙ্গে ধর্ষণ সিন বিষয়টাও এসেছে। কারণ, এটি যেকোনো শিল্পীর জন্য একটু কঠিন বিষয়। যেমন মিশা ভাই এই অনুষ্ঠানেই বলেছেন, মৌসুমী আপুর সঙ্গে তার যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সেটার কারণে তার সঙ্গে এই ধরনের বিশেষ সিন করতে তিনি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। কারণ, সহশিল্পীর সাপোর্ট ছাড়া আপনি কোনো দিনই ভালো অভিনয় করতে পারবেন না। অথচ এই জানতে চাওয়াটাই এখন জীবনের বড় ভুল হয়ে ধরা দিল। মিশা ভাই তো আমার সামনে বসে আমার কথাও বললেন। কারণ, আমরা বিষয়টাকে একটি দৃশ্য হিসেবেই ট্রিট করেছি। আমাদের মনে কোনো খারাপ উদ্দেশ্য ছিল না। অথচ সেটা নিয়ে এত বড় নোংরামি কেন? তবে এটা ঠিক, গেল এক সপ্তাহে দেশে কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। কাছাকাছি সময়ে এই অনুষ্ঠানটা অনএয়ার যাওয়ার পর স্বাভাবিক বিষয়টাকে অস্বাভাবিক খাতে প্রবাহিত করা হয়েছে। ভিডিও ক্লিপ বানিয়ে ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করেছে কিছু মানুষ।’ উল্লেখ্য, সৈয়দ আশিক রহমানের মূল ভাবনায় আরটিভিতে প্রচারিত সেলিব্রেটি টক-শো ‘এবং পূর্ণিমা’। অনুষ্ঠানটি প্রযোজনা করছেন সোহেল রানা বিদ্যুৎ এবং গ্রন্থনা করছেন অনিন্দ্য মামুন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আজ জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৭ সালের এই দিনে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদে চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন (এফডিসি) গঠনের প্রস্তাব উত্থাপন করেন। এই দিনকে স্মরণ করে ২০১২ সালে প্রথমবার জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস উদযাপন করা হয়। সেই ধারাবাহিকতায় এ বছরও উদযাপন করা হবে দিনটি; সেই সঙ্গে উদযাপিত হবে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএফডিসি) প্রতিষ্ঠা দিবসও।

এ উপলক্ষে আজ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলাদা বাণী দিয়েছেন।

দিনটিকে আলাদাভাবে রঙিন করে তুলতে বর্ণিল আয়োজন করেছে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের সংগঠন চলচ্চিত্র স্বার্থ সংরক্ষণ কমিটি। নানা আয়োজনে সাজবে এফডিসি। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে থাকবে গান ও তারকাদের নাচ। আর এ আয়োজন উপলক্ষে শনিবার থেকেই এফডিসির কালার ল্যাব ফ্লোরে চলেছে নাচের মহড়া।

এবারে নাচতে দেখা যাবে চিত্রনায়ক সাইমন, শিপন, বিপাশা কবির, জয় চৌধুরী, রোমানা নীড়, জনসহ আরও অনেকেই। চলচ্চিত্র দিবসের বিশাল আয়োজনে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় স্টেজ মাতাবেন তারা। তাদের সঙ্গে থাকবেন আরও থাকবেন সিনিয়র শিল্পীরা।

অনুষ্ঠানের দিন শুরুতে কবুতর ওড়ানোর মধ্যদিয়ে দিনটির শুরু করা হবে। সকালে এফডিসি থেকে একটি র‌্যালি বের হবে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে। এরপর সবার উপস্থিতিতে অনুষ্ঠান শুরু করা হবে।

তবে এর পাশাপাশি আলাদা আয়োজন থাকবে বিএফডিসি কর্তৃপক্ষের। প্রতি বছর বিএফডিসির আয়োজনেই দিবসটি পালিত হয়। কিন্তু এবার মতানৈক্যের কারণে এফডিসির বাইরে গিয়ে আলাদাভাবে দিবসটি পালন করতে যাচ্ছে চলচ্চিত্র স্বার্থ সংরক্ষণ কমিটি।

মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে বেশকিছু অভিযোগ তুলে গত মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন ডাকে চলচ্চিত্র পরিবার। এতে তথ্যমন্ত্রীর পদত্যাগেরও দাবি করেন তারা। সংগঠনের আহ্বায়ক চিত্রনায়ক ফারুক জানান, বঙ্গবন্ধুর কারণেই আমরা চলচ্চিত্র দিবস পেয়েছি। আর তাই বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেই আমাদের আয়োজন সাজাবো। চলচ্চিত্র স্বাধীনতার অনেক বড় হাতিয়ার। অনেকে এটা বুঝতে পারেননি জানতেও পারেননি। বঙ্গবন্ধু যেটা করে দিয়ে গেছেন সেটা ধরে রাখার দায়িত্ব আমাদের সবার।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest