সর্বশেষ সংবাদ-
বিইউপিএফের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে শপথ নিলেন জালালপুর ইউপি চেয়ারম্যানল স্টুডেন্টস ফোরামের নির্বাচন সম্পন্নসাতক্ষীরায় খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ৯০ দশক ছাত্রদলের দোয়াশ্যামনগরে ঘের ব্যবসায়ীকে কুপি×য়ে হত্যা : আ×টক ৯সাতক্ষীরায় প্লাস্টিক “অদল-বদল” ক্যাম্পেইনহাদির মৃত্যুতে সাতক্ষীরায় গায়েবানা জানাজাসাতক্ষীরার সাবেক পিপি লতিফের ৪ দিন : ছেলে রাসেলের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুরসাতক্ষীরায় মুন্ডা সম্প্রদায়ের নারীদের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে প্রকল্প সমাপনীতালায় আলাউদ্দিন নামে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধারআশাশুনিতে আশা ব্রিক্সের লেলিহান শিখায় জনজীবন বিপর্যস্ত

অনলাইন ডেস্ক: ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির আমন্ত্রণে সেখানে সফরে যাচ্ছেন বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল। তারা বিজেপির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। কিছুদিন আগে চীনেও সফর করেছে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল।
এই সফরকারী দলের একজন সদস্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, প্রতিবেশী দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সম্পর্ক বৃদ্ধি করতেই তাদের এই সফর।
“এই সফরের মূল লক্ষ্য হচ্ছে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও টেনে নিয়ে যাওয়। পাশাপাশি ভারতের প্রধান রাজনৈতিক দল যেগুলো আছে তাদের সাথে সম্পর্ক উত্তরোত্তর বৃদ্ধি করা।”
তিনি বলেন, “কংগ্রেসের সাথে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একটা গভীর সম্পর্ক ছিল। ভারতীয় জনতা পার্টির সাথেও আওয়ামী লীগের সম্পর্ক ছিল, ক্ষমতায় আসারা পর (বিজেপি) সে সম্পর্ক আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।”
এই সফর সরকারি কোনও প্রতিনিধি দলের নয়, তারা যাচ্ছে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল হিসেবে । বিজেপির সদস্যদের সাথে তারা বৈঠক করবে। সেখানে কী আলোচনা হতে পারে?
“সুনির্দিষ্ট সেভাবে কোন এজেন্ডা তো ঠিক করি নাই। দুটি প্রতিবেশী দেশের মধ্যে অনেককিছু নিয়ে আলোচনা হতে পারে। সম্পর্ক আরও বন্ধুত্বপূর্ণ করার ক্ষেত্রে কী করা যেতে পারে, সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোনও প্রতিবন্ধকতা আছে কি-না, সেক্ষেত্রে কী করণীয় এসব। অথবা যেসমস্ত সমস্যা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে সেগুলো নিয়ে মূলত আলাপ হবে,” জানান আওয়ামী লীগের এই নেতা।
এই সফরে বিজেপির বাইরে অন্য কোনও রাজনৈতিক দলের সাথে বৈঠকের সম্ভাবনা নেই বলেও তিনি জানান। কিছুদিন আগে চীন সফরের পর এবার ভারতে আওয়ামী লীগ নেতাদের এই সফর। এসব সফর হচ্ছে এমন সময় যখন বাংলাদেশে ২০১৮ সালকে বলা হচ্ছে নির্বাচনের বছর।
এ ধরনের সফরের সাথে নির্বাচনের কোনও যোগসূত্র রয়েছে কি? জানতে চাইলে হানিফ বলেন, “নির্বাচনের সাথে ভারত বা চীন সফরের সাথে কোন সম্পর্ক নেই। আওয়ামী লীগ কখনো বহি:শক্তির ওপর নির্ভর করেনি।”
তিনি জানান, প্রায় প্রতিবছরই দলের পক্ষ থেকে চীনে সফর করা হচ্ছে রাজনৈতিক দল বা সরকারের আমন্ত্রণে।
ভারতে জনতা পার্টির আমন্ত্রণে যাওয়ার ব্যাপারে তিনি জানান, “অনেক আগেই তারা দাওয়াত দিয়েছিল কিন্তু নানা ব্যস্ততার কারণে বিলম্ব হয়েছে। এখন আমরা মনে করছি সঠিক সময়। এর সাথে নির্বাচনের কোনও সম্পর্ক নেই।”
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তাদেরও আমন্ত্রণ করা হবে বলে জানান আওয়ামী লীগের এই নেতা।

সূত্র: বিবিসি বাংলার প্রতিবেদন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সৌদি রাজপ্রাসাদের কাছে ‘খেলনা ড্রোন’ নিয়ে তুলকালাম ! (ভিডিও)

সৌদি আরবে রাজপ্রাসাদের কাছে একটি ‘খেলনা ড্রোন’কে নিয়ে রীতিমত তুলকালাম কাণ্ড ঘটেছে। গুলি করে ড্রোনটিকে ভূপাতিত করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এদিকে, অনলাইনে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে ওই এলাকায় তীব্র গোলাগুলি ও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।

শনিবার খুজামা এলাকা সংলগ্ন চেক পয়েন্টে স্থানীয় সময় রাত ৭টা ৫০ মিনিটে এই ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে সৌদি পুলিশের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, একটি ‘খেলনা ড্রোন’ ভূপাতিত করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। তবে তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের বিষয়টি জানা যায়নি। এ ঘটনায় কর্তৃপক্ষ তদন্ত শুরু করার ঘোষণা দিয়েছে বলেও জানান তিনি।

এদিকে, সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত একটি ভিডিও ফুটেজে তীব্র গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। ওই গোলাগুলি ৩০ সেকেন্ড স্থায়ী ছিল। কিন্তু নিরপেক্ষভাবে ওই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করা যায়নি।

অন্যদিকে একজন জ্যেষ্ঠ সৌদি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ওই ঘটনার সময় বাদশাহ সালমান রাজপ্রাসাদে ছিলেন না। তিনি সে সময় রিয়াদের দিরিয়ায় তার ফার্মে ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বয়স্ক নারীর রূপে আনুশকা

বলিউডে চিরচেনা গ্ল্যামার নায়িকার খোলস থেকে বারবারই বেরিয়ে আসার চেষ্টা করেছেন আনুশকা শর্মা। সর্বশেষ ‘পরী’তে খুবই সাদামাটা রূপে হাজির হন আনুশকা। ওই ছবিতে ভূত সেজেও দর্শকদের মনে কাঁপন ধরিয়েছেন। ‘সুইধাগা’ ছবিতেও সাধারণ গৃহবধূর বেশে দেখা যাবে আনুশকাকে।

এবার তিনি হাজির হচ্ছে বয়স্ক নারীর রূপে। সম্প্রতি তার তেমনই একটি ছবি ভাইরাল হয়ে গেছে। শ্যুটিং সেট থেকে ওই ছবিটি তোলা। তবে এটি ঠিক কোন ছবির তা এখনো জানা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে ‘জিরো’ ছবিতে এই বেশে দেখা যাবে আনুশকাকে। আনন্দ এল রাই পরিচালিত ওই ছবিতে আনুশকার সহশিল্পী হিসেবে আছেন শাহরুখ খান ও ক্যাটরিনা কাইফ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
করলার রসে ক্যানসার ধ্বংস!

সম্প্রতি গবেষকরা জানিয়েছেন, তিতা করলার রস পানে অগ্নাশয় ক্যান্সারের কোষ ধ্বংস হয়। এছাড়া করলার রস ক্রিমিনাশক। উপমহাদেশ ও চীনের গ্রামাঞ্চলের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিসের ওষুধ হিসেবে করলার রস পান করে আসছেন। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে করলার রস সহায়তা করে।

তিতা স্বাদের জন্য অনেকেই করলা খেতে চান না। অথচ এ সবজিটি, বিশেষ করে এর জুস যে কত উপকারী তা জানলে তিতা স্বাদ উপেক্ষা করেই এটি খেতে চাইবেন। করলার আয়রন হিমোগ্লোবিন তৈরি করতে সাহায্য করে। করলা দাঁত ও হাড় ভালো রাখে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে ও চোখের সমস্যা সমাধানে করলার বিটা ক্যারোটিন খুবই উপকারী। ত্বক ও চুল ভালো রাখার জন্যও একান্ত জরুরি।

এ গুলো হলো করলার পুষ্টিগুণের কথা। করলার জুসও কম উপকারী নয়। করলার জুস খেলে অ্যাজমা ও ব্রঙ্কাইটিসের সমস্যাও দূর হবে। করলায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, বি ও সি রয়েছে। একই সঙ্গে এতে বিটা-ক্যারোটিন, লুটেইন, আয়রন, জিঙ্ক, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ ও ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে। এ জন্য এটি শরীরের জন্য অনেক উপকারী। করলা আকারে বড় ও ছোট হলেও গুণের দিক থেকে একই রকম। ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে করলার ভেষজগুণের পর্যাপ্ততাও রয়েছে।

জ্বর ও শরীরের কোনো অংশ ফুলে গেলে তা থেকে পরিত্রাণ পেতে করলা ভালো পথ্য। তা ছাড়া করলার তরকারি বাত রোগে, লিভারে ও প্লীহার রোগে এবং ত্বকের অসুখে উপকার দেয়। নিয়মিত করলা খেলে জ্বর, হাম ও বসন্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়।

যেভাবে তৈরি করবেন করলার জুস-

গাঢ় সবুজ রঙের কাঁচা করলা নিন। টুকরো করে কাটুন। বিচিগুলো সরিয়ে ফেলুন। যদি তিতা কমাতে চান, তাহলে করলা কেটে ঠাণ্ডা লবণ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এরপর ব্লেন্ডারে জুস তৈরি করে নিন। করলার জুসকে মিষ্টি করতে এর সঙ্গে দু-এক ফোঁটা মধু মেশাতে পারেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জটিল রোগের চিকিৎসায় কাঁচকলা!

কলা খুবই পরিচিত এবং সহজলোভ্য একটি ফল। এটি খেতে পছন্দ করেন না এমন ব্যক্তি হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না। ফল হিসেবে যেমন এর কদর আছে, তেমনি সবজি হিসেবেও এর কদর কিন্তু কম নয়। কাঁচা কলায় রয়েছে উচ্চমাত্রার পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও ফসফেট এবং ভিটামিন এ, ভিটামিন বি৬ ও ভিটামিন সি-এর আদর্শ উৎস। বেশ কিছু জটিল রোগের চিকিৎসাতেও কাঁচা কলার কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে।

আসুন কাঁচা কলা খাওয়া শুরু করলে কী কী উপকার পাওয়া যায়, সে সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক-

১) কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়-
কাঁচা কলায় রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ডায়াটারি ফাইবার, যা রক্তে উপস্থিত ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে থাকে, সেই সঙ্গে আর্টারির কর্মক্ষমতারে বাড়িয়ে তোলে। ফলে হঠাৎ করে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার আশঙ্কা যেমন কমে, তেমনি নানাবিধ রোগের রোগ দূরে থাকতেও বাধ্য হয়।

২) কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে-
কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে কাঁচা কলা। অন্ত্রের পুষ্টি জোগায়। বিশেষ করে ক্ষুদ্রান্তের। ডায়াবেটিস রোগীদের একদিকে উচ্চ মাত্রার এনার্জি যোগায়। অন্যদিকে কার্বোহাইড্রেটের নিম্নমাত্রার ক্যালরি প্রদান করে।

৩) ওজন কমাতে সাহায্য করে-
কাঁচা কলায় উপস্থিত রেজিস্টেন্স স্টার্চ হজম হতে সময় নেয়। ফলে বহুক্ষণ ক্ষিদে পায় না। আর ক্ষিদে না পেলে খাবার খাওয়ার পরিমাণও কমতে শুরু করে। ফলে শরীরে ক্যালরির প্রবেশ ঘটে কম। আর এমনটা দীর্ঘ দিন ধরে যখন হতে থাকে, তখন ওজন কমতে সময় লাগে না।

৪) হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে-
পাকা কলার মত কাঁচা কলাতেও প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে। বিভিন্ন গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, প্রতিদিন ৪,৭০০ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম গ্রহণে হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস হয়। তবে পটাসিয়াম সবার জন্য নিরাপদ নয়। উচ্চ রক্তচাপ অথবা কিডনির রোগে আক্রান্ত রোগীদের পক্ষে তাই কাঁচা কলা খাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ থাকা উচিত।

৫) পেটের খারাপ ব্যাকটেরিয়া দূর করে-
কাঁচা কলা আঁশযুক্ত সবজি হওয়ায় এটি খুব সহজে হজম হয়। কাঁচা কলা পেটের ভিতরের খারাপ ব্যাকটেরিয়া দূর করে দেয়। তবে অতিরিক্ত পেট ফোলার সমস্যা থাকলে কাঁচা কলা না খাওয়াই ভালো। কোষ্ঠ্যকাঠিন্যের সমস্যাও অনেক সময়ে বাড়িয়ে দেয়।

৬) রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে-
কাঁচা কলা খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ার কোনও সম্ভাবনাই থাকে না। বরং সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে এই ফলটি। তাই তো ডায়াবেটিকরা নিশ্চিন্তে কাঁচা কলা খেতে পারেন। তবে ইচ্ছা হলে এ বিষয়ে একবার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিতেই পারেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শ্যামনগর সুন্দরবনে বনদস্যুদের উৎপাতে আতংকিত জেলে-মৌয়ালরা

মোঃ আরাফাত আলী: সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার সুন্দরবনে আবারও বেড়েছে বনদস্যুদের উৎপাত। আতংকে রয়েছেন জেলে ও মৌয়ালরা। প্রশাসনের নিকট সুন্দরবনের অনেক বনদস্যু বাহীনির প্রধানসহ অনেকেই আতœসমর্পণ করলেও নতুন করে আবার গড়ে উঠেছে বনদস্যু বাহীনি। সুন্দর বনের নদী থেকে মাছ ও মধু আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করে স্থানীয় হাজার হাজার মানুষ। কিন্তু বর্তমানে নদীতে মাছ ধরতে ও মধু আহরণ করতে গেলে জেলে ও মৌয়ালদের নিকট বড় অংকের টাকা দাবি করছে বনদস্যুরা। ওই বনদস্যুদের আতংকে নদীতে ও বনে প্রবেশ করতে ভয় পাচ্ছে তারা। সরেজমিনে শনিবার বিকাল ৫ টার দিকে দিকে স্থানীয় জেলে ও মৌয়ালদের সাথে সাক্ষাৎকালে জেলে(ছদ্দনাম ) শাহিন গাজী, আরব আলী জহুর আলীসহ আরো অনেকে জানান, মাছভাঙ্গা খাল থেকে শুরু করে নদীতে মাছ ধরতে গেলে তাদেরকে আটকে রেখে মুক্তিপণ দাবি ও মারধর করছে বনদস্যুদের ৪-৫ টি বাহিনি এদের মধ্যে হিং¯্র বাহীনি উপজেলার টেংরাখালী গ্রামের মজিদ ভাঙ্গীর ছেলে জাকির ও তার বাহিনি, কালিঞ্চি গ্রামের ছেমদ্দি আলীর ছেলে জামির আলী ও তার বাহিনি ও আতœসমার্পণ কারী বনদস্যু টেংরাখালী গ্রামের মান্দার ভাঙ্গার ছেলে লাল্টু মেম্বার ও তার বাহিনি এবং ভারতীয় নাগরিক জোনাব বাহিনি,নুর ইসলাম বাহিনি।বুড়িগোয়ালিনি নৌ থানার অফিসার ইনচার্জ অনিমেস হালদার জানান বনদস্যু ও জলদস্যু নির্মূলে তাদের অভিযান অব্যহত আছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে, শ্যামনগর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শরিফুল ইসলাম জানান বনদস্যূ দমনে তাদের অভিযান অব্যহত আছে। বুড়িগোয়ালিনি বন বিভাগের স্টেশন অফিসার কে, এম, কবির উদ্দীন বলেন, হঠাৎ করে বনদস্যূদের তৎপরতা বেড়ে গেছে। স্থানীয় কিছু ব্যাক্তি এই বাহিনি গড়ে তুলছে এবং জেলে ও মাওয়ালদের আটক করে মুক্তিপণ দাবীসহ মারধর করছে। তবে বনদস্যূদের আটক করার জন্য তাদের অভিযান অব্যহত রয়েছে। নির্ভয়ে জীবিকা নির্বাহের তাগিদে জলদস্যূ নির্মুল করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য পুলিশ সুপারের নিকট দাবি জানিয়েছে নীরিহ জেলে ও মৌয়ালরা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কোপা দেল রে’র শিরোপা জিতলো বার্সা

পরাজয়ের দুঃসহ বেদনা জয়ের আনন্দ দিয়েই ভুলতে হয়। এবারের মৌসুমে বার্সেলোনা শিবিরের জন্য চ্যাম্পিয়নস লিগ হয়ে উঠেছে দুঃসহ স্মৃতির নাম। তুলনামূলক কম শক্তিশালী রোমার বিপক্ষে বাজেভাবে হেরে বিদায় নিতে হয়েছে কাতালানদের।

তবে মৌসুমের প্রথম ট্রফি জিতে সেই দুঃখ কিছুটা হলেও ভুলতে পেরেছে আর্নেস্তো ভালভার্দে শিবির। শক্তিশালী সেভিয়াকে ৫-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে কোপা দেল রে’র ৩০তম শিরোপা জিতেছে বার্সেলোনা। প্রথম দল হিসেবে টানা চারবছর কোপা দেল রে’র শিরোপা জিতলো বার্সা।

ম্যাচের শুরুতেই মাত্র ১৪ মিনিটের মাথায় লুইস সুয়ারেজের অসাধারণ গোলে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। ১৮ মিনিটে সমতায় ফেরার সুযোগ পেয়েছিল সেভিয়া। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে বল পাঠাতে পারেনি। ২৮ মিনিটে ইনিয়েস্তার দুর্দান্ত শট গোলবারে লেগে ফিরে আসলে গোলবঞ্চিত হন এই স্প্যানিশ মিডফিল্ডার।

৩ মিনিট পরেই বার্সেলোনাকে ২-০ গোলে এগিয়ে দেন আর্জেন্টাইন জায়ান্ট লিওনেল মেসি। জর্দি আলবার ব্যাকহিল থেকে দারুণ এক গোল উপহার দেন মেসি। এই গোলের মাধ্যমে কোপা দেল রের ইতিহাসে দ্বিতীয় ফুটবলার হিসেবে ৫টি ফাইনালে গোল করার রেকর্ড গড়লেন তিনি। এর আগে অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের তেলমো জারা পাঁচটি কোপা ফাইনালে গোল করেছিলেন।

২-০ গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর আক্রমণের ধার যেন আরও বাড়িয়ে দেয় বার্সা। একের পর এক আক্রমণের ধারাবাহিকতায় ৪০ মিনিটে মেসির কাছে বল পেয়ে গোল করেন লুইস সুয়ারেজ। ৩-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় মেসিরা।

বিরতি থেকে ফিরেও বার্সেলোনা তাদের স্বভাবসুলভ আক্রমণাত্মক খেলা চালিয়ে যায়। ম্যাচের ৫২ মিনিটে মেসির কাছ থেকে বল পেয়ে ডান পায়ের দুর্দান্ত শটে গোল করেন বার্সার হয়ে শেষ ফাইনাল খেলা আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা। ৬৯ মিনিটে সেভিয়ার রক্ষণভাগে তাদের ফুটবলারের হাতে বল লাগলে রেফারি পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন। মেসি ব্রাজিলিয়ান তারকা ফিলিপ কুতিনহোকে পেনাল্টি থেকে গোল করিয়ে বার্সার জার্সিতে প্রথম ফাইনালেই গোল করার স্বাদ পাইয়ে দেন। ম্যাচের বাকি সময় আর গোল না হলে ৫-০ গোলে চ্যাম্পিয়ন হয়ে মাঠ ছাড়ে ভালভার্দেরা। এই জয়ের ফলে শেষ দশবছরে ছয়বারই কোপার শিরোপা জিতলো বার্সেলোনা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
তারেক জিয়াকে দেশে ফিরিয়ে নেওয়া হবেই-যুক্তরাজ্যে প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জোর দিয়ে বলেছেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়াকে যেকোনো উপায়ে লন্ডন থেকে দেশে ফেরত নেওয়া হবেই।’ তারেকের সততার জোর থাকলে তিনি দেশে গিয়ে আইনি লড়াই করতেন। তা না করে তিনি লন্ডনে বসেও সন্ত্রাসী কাজ করছেন বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। গতকাল শনিবার লন্ডনে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ আয়োজিত সংবর্ধনা সভায় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় পদার্পণ করায় প্রধানমন্ত্রীকে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

লন্ডনের ওয়েস্ট মিনস্টারের সেন্ট্রাল হলে এ সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। এ সময় প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের নেতারা। প্রধানমন্ত্রী তারেক রহমানকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘আমরা তাকে (তারেক) যেকোনো উপায়ে দেশে ফিরিয়ে নেব এবং বিচারের মুখোমুখি করব ইনশাআল্লাহ।’ প্রধানমন্ত্রী জানান, তিনি এ বিষয়ে ব্রিটিশ সরকারের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। ‘আমি তাদের বলেছি, সে (তারেক) একজন দণ্ডিত অপরাধী, সে কিভাবে এ দেশে থাকছে? তাকে যত দ্রুত পারেন দেশে ফেরত পাঠান।’

প্রধানমন্ত্রী এ সময় যুক্তরাজ্য বাংলাদেশ হাইকমিশনে যারা বঙ্গবন্ধুর ছবি ভেঙেছিল তাদেরও হুঁশিয়ার করে দেন। প্রবাসীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘যারা জাতির পিতার ছবি ভাঙচুর করেছে, তারা কি এখানে চলাফেরা করে না? প্রবাসীরা কি দেখেন না?’

প্রধানমন্ত্রী বিএনপির সমালোচনা করে বলেন, বাংলাদেশের মানুষ কী পেল, কী খেল তাতে বিএনপির কিছু যায়-আসে না। তাদের আসল কাজ মানুষের সম্পদ কেড়ে নিয়ে নিজেদের সম্পদশালী করা। দুর্নীতি না করলে শূন্য থেকে অত দামি দামি গাড়ি, দামি বাড়ি কিভাবে আসে, সেটাই বড় প্রশ্ন।

প্রবাসীদের অবদান সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে প্রবাসীদের ভূমিকা অপরিসীম। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার বিরুদ্ধে প্রবাসীরাই প্রথম বিদেশে আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অল্প সময়ের মধ্যে ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ। এমন নজির পৃথিবীর আর কোনো দেশে নেই।’

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ গানের রচয়িতা ও সাংবাদিক-কলামিস্ট আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী। তিনি তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে বক্তব্য দেন। এ সময় তিনি আগামী নির্বাচনে তরুণদের মনোনয়ন দেওয়ার আহ্বান জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest