সর্বশেষ সংবাদ-
কোন সাংবাদিক যেন হয়রানির শিকার না হয়–সাতক্ষীরায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিব দীর্ঘদিন কাজ করেও সরকারি স্বীকৃতি মেলেনি বিআরটিএ’র সীল মেকানিকদেররাষ্ট্রপতির ক্ষমার আগে ভুক্তভোগী ও পরিবারের মতামত নেওয়ার প্রস্তাবতালায় ‘পার্টনার ফিল্ড স্কুল কংগ্রেস’ অনুষ্ঠিতভোমরায় জামায়াতের হুইল চেয়ার বিতরণসাতক্ষীরায় জলাবদ্ধতা নিরসনে ইটাগাছা এলাকা পরির্দশনে সদর ইউএনওপ্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদসাতক্ষীরায় শিক্ষার্থীদের জন্য ছাত্রদল নেতার ব্যতিক্রমী উদ্যোগ !জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আশিকুর রহমানের পিতার মৃত্যুখুলনার নাছিরপুর খাল উন্মুক্ত হলো: ২০ গ্রামের মানুষের উচ্ছ্বাস উল্লাস

সাগরতলে খোঁজ মিলল বিশ্বের সবচেয়ে বড় গুহার

বিশ্বের দীর্ঘতম ও বৃহত্তম সামুদ্রিক গুহা সাক আতুন। মেক্সিকোয় অবস্থিত গুহাটি ৩৪৭ কিলোমিটার লম্বা। প্রাগৈতিহাসিক কালের এ গুহাটি দোস ওহোস নামের ৮৩ কিলোমিটার দীর্ঘ অপর একটি গুহার সঙ্গে যুক্ত।

চলতি বছরের প্রথম দিকে মেক্সিকোর টুলুম বিচ রিসোর্টের কাছে এটির সন্ধান পাওয়া যায়। বিশ্বের বৃহত্তম ও দীর্ঘতম গুহাটি প্রাচীন মায়া সভ্যতার ওপর আলো ফেলবে বলে আশা করছেন প্রত্নতত্ত্ববিদরা।

স্কুবা ডাইভাররা পানিভর্তি এই সুড়ঙ্গ গুহাটি আবিষ্কার করেছেন, যা অনেকটাই অন্তঃসলিল নদীর মতো। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, গুহা আবিষ্কারের ফলে ওই অঞ্চলে গড়ে ওঠা ও বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া প্রাচীন মায়া সভ্যতা বিষয়ে বহু রহস্যের সমাধান মিলবে।

অসংখ্য পার্শ্ব-সুড়ঙ্গ থাকায় এটি ডুবুরিদের কাছে গোলকধাঁধার চেয়ে কম নয়। প্রথমে এটিকে দুটি আলাদা সুড়ঙ্গ হিসেবে মনে করা হয়েছিল। পরে সুদক্ষ ডুবুরি আর বিজ্ঞানীদের পর্যবেক্ষণে প্রমাণ হয়, আসলে এটি একটি গুহারই অংশ।

অনেকে মনে করছেন, প্রাচীন মায়ান শহরগুলো মাটির তলার এ সুড়ঙ্গ দিয়ে পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত ছিল। এর মাধ্যমে শহরের বাসিন্দারা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করতেন।

গুহাটির অবস্থান পূর্ব মেক্সিকোর কোয়ান্টানা রু রাজ্যের টুলুম শহরের কাছে। এর নামকরণ করা হয়েছে সাক আতুন। গ্রান অকুইফারো মায়া প্রজেক্টের অধীনে চালানো অনুসন্ধানে এর খোঁজ পাওয়া যায়।

এ প্রকল্পের মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ পানির সন্ধান ও সংরক্ষণ বিষয়ে গবেষণা করা হয়। ইউকাটান উপদ্বীপ অঞ্চলের পানির তলার জগৎ পর্যবেক্ষণ ও সংরক্ষণের লক্ষ্যে প্রকল্পের আওতায় কাজ করা হয়।

কিছুদিন কাজ করার পর প্রথম দিকে অনুসন্ধান দল মাটির নিচে কয়েকটি সুড়ঙ্গের সন্ধান পায়। এরপর ব্যাপক তল্লাশিতে দেখা যায়, এগুলো ৩৪৭ কিলোমিটার দীর্ঘ সুড়ঙ্গ-গুহার অংশ। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।

অনুসন্ধান দল যখন প্রথমে গুহাটির মাপজোখ করে তখন সাক আতুনের দৈর্ঘ্য ২৬২ কিলোমিটার বলে জানা যায়। ওই সময়ে ডুবুরিরা এর পাশেই আরেকটি সুড়ঙ্গের সন্ধান পান যার দৈর্ঘ্য ছিল ৮৫ কিলোমিটার।

এ সুড়ঙ্গটি দোস ওজোস নামে পরিচিত। প্রথমে তারা দুটি আলাদা টানেল মনে করলেও পরে বুঝতে পারেন আসলে একটি গুহারই অংশ। প্রকল্প পরিচালক ও আন্ডারওয়াটার আর্কিওলজিস্ট জুয়েরিলামো ডি এন্ডা বলেন, দোস ওজোস আদতে সাক আতুনেরই অংশ। এ আবিষ্কার মায়াসভ্যতা থেকে স্প্যানিশ সাম্রাজ্যের সময়ের সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে সাহায্য করবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ভারত মহাসাগরে পাকিস্তান-মালদ্বীপ যৌথ নৌ-মহড়া

ভারতের চিন্তা বাড়িয়ে ভারত মহাসাগরে যৌথ মহড়া দিল পাকিস্তান ও মালদ্বীপ৷ মালদ্বীপের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল বা ইইজেড এলাকায় পাকিস্তানের সঙ্গে যৌথভাবে নৌ-মহড়া দিয়েছে মালদ্বীপ৷

এর আগে, পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম কমর জাভেদ বাজওয়া মালদ্বীপ সফরে যান৷ এই সফরেই যৌথ মহড়া করতে সম্মত হয় দুই দেশ৷ বাজওয়ার আগে কোনও সেনাপ্রধান মালদ্বীপ সফর করেননি৷

মালদ্বীপে ৪ ফেব্রুয়ারি ৪৫ দিনের স্থায়ী জরুরি অবস্থার পর তার সফরটিই ছিল সর্বোচ্চ মর্যাদার কোনো বিদেশির সফর। সফরে তিনি মালদ্বীপের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আদম শরিফ উমার, প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিন আবদুল গাইয়ুমের সাথেও সাক্ষাৎ করেন।

উল্লেখ্য, এখন পর্যন্ত শুধু ভারতই মালদ্বীপের সাথে ইইজেডে যৌথ টহল দিয়েছে৷ ইইজেডের আয়তন প্রায় ৯ লাখ বর্গকিলোমিটার। এলাকাটির ওপর নজরদারির জন্য ভারত তার নৌসেনা ও বিমান সেনাকে ব্যবহার করে৷

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শতবর্ষী হতে চাইলে…

চাপমুক্ত থাকতে হবে

অনেকেই নানা রকম মানসিক চাপে থাকে। এর নেতিবাচক প্রভাব স্বাস্থ্যের ওপর পড়ে, যা শারীরিক ও মানসিক—দুই ধরনের স্বাস্থ্যেরই ক্ষতি করে। তাই চাপমুক্ত থাকার উপায় খুঁজে নিতে হবে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভালো।

পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে

রাতে ঘুম কেমন হয় বা কতুটুকু ঘুমানো হয়—এর ভিত্তিতে স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব পড়ে। বেশি ঘুম যেমন খারাপ, তেমনি অল্প ঘুমও খারাপ। সে কারণে পরিমাণমতো ঘুমাতে হবে। শরীরের গঠনভেদে মানুষের ঘুমের প্রয়োজন একেক রকম হয়।

হাঁটতে হবে

সব সময় বসে থাকা লোকের সংখ্যা খুব একটা কম নয়। এ বিষয়টি স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও ভালো নয়। এ জন্য ‘ম্যারাথন রানার’ হতে হবে এমন কোনো কথা নেই। যা করতে হবে তা হলো—প্রতিদিন নিয়ম করে হাঁটতে হবে। অনেক গবেষণায় এসেছে, দীর্ঘজীবী হওয়ার অন্যতম গোপন সূত্র এটি।

পছন্দের কাজ করতে হবে

যে কাজটি মনকে প্রফুল্ল রাখে, আনন্দ দেয় কিংবা যে কাজের জন্য মন থেকে সাড়া মেলে—সে কাজটি করা উচিত। একটি উদ্যমী শরীরের সঙ্গে একটি প্রফুল্ল মন দীর্ঘজীবী করতে সহায়তা করে থাকে।

খাবারে সচেতন হতে হবে

খাবারের বিষয়ে সচেতনতা দীর্ঘায়ুর জন্য খুব জরুরি বিষয়। পরিমাণমতো সহজপাচ্য খাবার খেতে হবে। প্রচুর পানি পানের পাশাপাশি ধূমপান ও মদ এড়িয়ে চলতে হবে।

কার্বোহাইড্রেট

অনেকেই অধিক কার্বোহাইড্রেটের তকমা লাগানো ভাত ও রুটি এড়িয়ে চলেন। তবে জেনে রাখা ভালো, ব্যালান্সড ডায়েটের জন্য এসবও খেতে হবে। এ ক্ষেত্রে অপরিশোধিত মোটা আটা আর লাল চালের প্রতি একটু বেশি গুরুত্ব দেওয়া যেতে পারে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
তুরস্কে পরমাণু ঘাঁটি বানাচ্ছে রাশিয়া

তুরস্কের প্রথম পরমাণু ঘাঁটি ‘আকুইয়ু’ নির্মাণ করে দেবে রাশিয়া। আর এই উপলক্ষে জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে আঙ্কারা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি হবে ভূমধ্যসাগর উপকূলীয় শহর মারসিনে। আকুইয়ু পরমাণু ঘাঁটিটি রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি সংস্থা রোজাটম নির্মাণ করবে। তুর্কি এই ঘাঁটির চারটি ইউনিট থাকবে। এবং প্রতিটি ইউনিট ১,২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম হবে।

পরমাণু ঘাঁটি নির্মাণ করতে মোট ব্যয় হবে দুই হাজার কোটি ডলার। এবং সংস্থাটি বছরে আট হাজার ঘণ্টা কাজ করতে পারবে। পরমাণু স্থাপনাটি নির্মাণের বিষয়ে ২০১০ সালে রাশিয়ার সাথে তুরস্কের চুক্তি হয়েছিল।

কাতারভিত্তিক আল-জাজিরা টেলিভিশন জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে দুটি ইউনিটের কাজ শেষ করা হবে যা থেকে ২,৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হবে। পরবর্তীতে বাকি দুটি ইউনিটের কাজ শেষ করা হবে। ঘাঁটিটি পুরোপুরি চালু হলে সেখান থেকে সাড়ে তিন হাজার কোটি কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে যা তুরস্কের মোট বিদ্যুৎ চাহিদার শতকরা ১০ ভাগ। এই পরিমাণ বিদ্যুৎ লাগে শুধু ইস্তাম্বুল শহরেই।

পরমাণু এই ঘাঁটি চালু করার জন্য প্রাথমিক সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ২০২৩ সাল। এবং পূর্ণ মাত্রায় চালু হবে ২০২৫ সালে। ঘাঁটিটি নির্মাণের জন্য পুরোপুরি কাজ শুরু হলে ১০ হাজার লোক নিয়োগ হবে আর বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হলে সেখানে সাড়ে তিন হাজার ব্যক্তি চাকরির সুযোগ পাবে। এই ঘাঁটি কাজ করার জন্য তুরস্কের ২৪৮ জন ছাত্রকে রাশিয়ায় লেখাপড়া করানো হয়েছে। এর মধ্যে গত মাসে ৩৫ জন ছাত্র গ্রাজুয়েট হয়েছে যাদের লেখাপড়া শেষ করতে সময় লেগেছে সাড়ে ছয় বছর।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া সেই ছবির রহস্য ফাঁস!

সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে বিশ্বজুড়ে ভাইরাল হয়েছে একটি ছবি। যেখানে দেখা যাচ্ছে জঙ্গলের পথে হেঁটে যাচ্ছে একটি হাতি। তার শুঁড়ের ওপরে গুটিসুটি মেরে বসে একটি সিংহশাবক। তার পাশেই হেঁটে চলেছে শাবকটির মা।

টুইটারে সেই ছবিতে দাবি করা হয়েছিল, দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রুগার ন্যাশনাল পার্কে মা’র সঙ্গে হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল শাবকটি। তাই তাকে শুঁড়ে তুলে নেয় হাতিটি। বাকি পথ মায়ের পাশে হাতির শুঁড়ে চড়ে পাড়ি দেয় শাবকটি। কোটি কোটি শেয়ার হয় সেই ছবি।
এদিকে, সত্যিটা সামনে আসে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই। জানা যায়, ছবিটিতে এডিটিং সফটওয়্যার ফটোশপের সাহায্য নেওয়া হয়েছিল। কী করে ফটোশপ করা হয়েছে, সেটাও ধাপে ধাপে প্রকাশ্যে আনা হয়েছে। তবে ফটোশপের কাজ এতটাই নিখুঁত করা হয়েছে যে, সেটা ধরতে পারেননি অনেকেই।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সম্পূর্ণ ভিন্ন ভূমিকায় রেখা

বলিউড টাউনের অভিনেতা-অভিনেত্রীরা প্লেব্যাক করেছেন এমন অনেক নজির রয়েছে ৷ সেই তালিকায় অমিতাভ বচ্চন, শাহরুখ খান থেকে শুরু করে শ্রীদেবী সবাই রয়েছেন ৷ হালের আলিয়া ভাট কিংবা পরিনীতি চোপড়াও ঢুকে পড়েছেন সেই দলে ৷

এবার নাকি সম্পূর্ণ ভিন্ন ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে চলেছেন ‘দ্য আলটিমেট ডিভা’ রেখা ৷ তাকে দেখা যাবে র‍্যাপারের ভূমিকায় ৷ তবে র‍্যাপারের ভূমিকায় অভিনয় করবেন না তিনি ৷ ধর্মেন্দ্র, সানি ও ববি দেওলের আপকামিং ছবি ‘ইয়ামলা পাগলা দিওয়ানা ফির সে’ ছবিতে র‍্যাপ গান গাইলেন এই বর্ষীয়ান অভিনেত্রী ৷

রেখা ছাড়াও এ ছবিতে গান গাইবেন সোনাক্ষী সিনহাও ৷ ছবির সঙ্গীত পরিচালক বিশাল মিশ্র ৷ আগামী ৮ মার্চ মুক্তি হতে চলেছে ‘ইয়ামলা পাগলা দিওয়ানা ফির সে’ ছবিটি ৷ জানা যাচ্ছে, এই ছবিতে স্পেশ্যাল অ্যাপিয়ারেন্স করতে চলেছেন সালমান খান, শত্রুঘ্ন সিনহা, রেখা এবং সোনাক্ষী সিনহা ৷

নভনিয়ত সিং জানিয়েছেন, যেসব তাবড় অভিনেতা-অভিনেত্রীরা এই ছবিতে স্পেশ্যাল অ্যাপিয়ারেন্স করতে চলেছেন, তাদের একটি গানে পা মেলাতেও দেখা যেতে পারে ৷ একই সঙ্গে তাদের অন্যান্য প্রতিভার ঝলক দেখা যাবে এই ছবিতে

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
স্নাতক পাস ছাড়া প্রাথমিকের শিক্ষক নয়

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালায় বড় পরিবর্তন আসছে। নিয়োগপ্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা, বয়সসহ নানা ক্ষেত্রে পরিবর্তনের বিধান রেখে এরই মধ্যে নতুন নিয়োগ বিধিমালার খসড়া প্রণয়ন করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই)। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ওই খসড়া যাচাই-বাছাই করছে।

বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে ২০১৩ সালে প্রণীত বিধিমালা অনুযায়ী।

জানা যায়, নতুন বিধিমালায় বড় আকারে পাঁচটি পরিবর্তন আসছে। ২০১৩ সালের নিয়োগ বিধিমালায় পুরুষ ও নারীর জন্য আলাদা শিক্ষাগত যোগ্যতা রয়েছে। সহকারী শিক্ষক পদে পুরুষের জন্য স্নাতক আর নারীদের জন্য উচ্চ মাধ্যমিক পাস হতে হয়। কিন্তু নতুন বিধিমালায় সহকারী শিক্ষক পদে পুরুষ ও নারী উভয়ের ক্ষেত্রেই শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে নারীদের জন্য ৬০ শতাংশ কোটা বহাল থাকছে।

সরাসরি প্রধান শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে এত দিন স্নাতক পাস হলেই আবেদন করা যেত। নতুন বিধিমালার খসড়ায় এই শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতকোত্তর প্রস্তাব করা হয়েছে। এত দিন প্রধান শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে বয়সসীমা ছিল ২৫ থেকে ৩৫ বছর। কিন্তু এখন এই পদটি দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত হওয়ায় সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) নীতিমালার সঙ্গে সংগতি রেখে বয়স নির্ধারণ করা হয়েছে ২১ থেকে ৩০ বছর। তবে আগের মতো সহকারী শিক্ষকদের মধ্য থেকে ৬৫ শতাংশ পদোন্নতির মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক হওয়ার বিধানও থাকছে। সে ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা হবে শিথিলযোগ্য। বাকি ৩৫ শতাংশ পদে সরাসরি নিয়োগ দেওয়া হবে। তবে এই পদে নিয়োগ ও পদোন্নতির পুরো দায়িত্বই থাকবে পিএসসির।

নতুন বিধিমালায় বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগেও জোর দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে যেকোনো বিষয়ে পাস করা প্রার্থীর সমান সুযোগ রয়েছে। কিন্তু এতে মানবিক বিভাগ থেকে আসা শিক্ষকরা গণিত ও বিজ্ঞানের মতো বিষয়গুলো সহজে আত্মস্থ করতে পারেন না। এ কারণে নতুন বিধিমালায় সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে মোট পদের শতকরা ২০ ভাগ বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রিধারীদের মধ্য থেকে নেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া ক্লাস্টার বা উপজেলাভিত্তিক আর্ট ও সংগীত শিক্ষক রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

নতুন বিধিমালা কার্যকর হলে শিক্ষক নিয়োগ আগের মতোই উপজেলা বা থানাভিত্তিক হবে। তবে কেন্দ্রীয়ভাবে গঠিত সহকারী শিক্ষক নির্বাচন কমিটির সুপারিশ ছাড়া কোনো ব্যক্তিকে সহকারী শিক্ষক পদে সরাসরি নিয়োগ দেওয়া যাবে না। বাংলাদেশের স্থায়ী বাসিন্দা না হলে কাউকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক পদে নিয়োগ দেওয়া যাবে না। এমন ব্যক্তিকে বিবাহ করেছেন অথবা বিবাহ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, যিনি বাংলাদেশের নাগরিক নন, এমন ব্যক্তিকেও শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া যাবে না।

নতুন বিধিমালার খসড়ায় বলা হয়েছে, ১৩তম থেকে ১৬তম বেতন গ্রেডের কোনো পদে থাকা শিক্ষককে দশম থেকে দ্বাদশ বেতন গ্রেডের কোনো পদে পদোন্নতির সুপারিশ করা যাবে। আর দশম থেকে দ্বাদশ গ্রেডে থাকা শিক্ষক নবম বা তদূর্ধ্ব গ্রেডের কোনো পদে পদোন্নতির সুপারিশ পেতে পারেন। তবে উভয় ক্ষেত্রেই পিএসসির সুপারিশ প্রয়োজন হবে। ২০১৩ সালের নিয়োগ বিধিমালায় এসব শর্ত নেই। বর্তমানে কোনো ব্যক্তির শিক্ষক পদে যোগদান করার তিন বছরের মধ্যে প্রশিক্ষণ বা উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনের বাধ্যবাধকতা থাকলেও নতুন বিধিতে তা থাকছে না।

এসব বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. রমজান আলী  বলেন, ‘নতুন বিধিমালা এখন মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। এটা নিয়ে একাধিক মিটিংও হয়েছে। সংশোধন, পরিবর্তন-পরিবর্ধন চলছে। তবে ২০১৩ সালের বিধিমালা থেকে নতুন বিধিমালায় বেশ কিছু পরিবর্তন আসছে। এই বিধিমালা পাস হওয়ার আগ পর্যন্ত এটা প্রস্তাবই বলতে হবে। মন্ত্রণালয় চূড়ান্ত করলে তা জনপ্রশাসনে যাবে, সচিব কমিটিতে যাবে। আমরা আশা করছি, দ্রুতই নতুন বিধিমালা পাস হবে।’

খসড়া বিধিমালায় বলা হয়েছে, সরকার ঘোষিত রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনতে গুণগতমানসম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগ একান্তই অপরিহার্য। বিদ্যমান নীতিমালায় প্রয়োজনীয় সংশোধনপূর্বক নতুন এই নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে।
বিধিমালা প্রণয়নের প্রয়োজনীতা সম্পর্কে বলা হয়েছে, ২০১৩ সালে প্রণীত বিধিমালায় প্রধান শিক্ষক পদে সরাসরি শতকরা ৩৫ ভাগ এবং সহকারী শিক্ষক থেকে শতকরা ৬৫ ভাগ পদোন্নতির মাধ্যমে পূরণ করার বিধান ছিল। কিন্তু ২০১৪ সালের ৯ মার্চ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদটি দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করা হয়। ফলে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ ও পদোন্নতির বিষয়টি পিএসসির বিবেচনাধীন। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা প্রণয়নের এটিও অপরিহার্য কারণ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রোনালদো ম্যাজিকে জুভেন্টাসকে হারালো রিয়াল

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে জুভেন্টাসকে ৩-০ গোলে হারাল রিয়াল মাদ্রিদ। প্রথম লেগের ম্যাচে তিন মিনিটের মাথায় রোনালদোর গোলে এগিয়ে গিয়েছিল রিয়াল। ইসকোর বাড়িয়ে দেওয়া বল থেকে দলের হয়ে প্রথম গোলটি করেন সিআরসেভেন। ম্যাচটির শেষ মুহূর্তে একটি অনবদ্য গোল দিয়ে বার্য়ানের জয় সুনিশ্চিৎ করেন রোনালদো।

প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে টানা ১০ ম্যাচে গোল করার রেকর্ড গড়লেন পর্তুগীজ তারকা ফরোর্য়াড। তবে বুধবারের ম্যাচে তিনি শুধু গোল করলেনই না সাথেই মার্সলোকে গোল করতে সাহায্যও করলেন। ঘরের মাঠে জুভেন্টাসের ভরাডুবির প্রধান কারণ রক্ষণে ব্যর্থতা। বেঞ্জেমাকে বেশি গার্ড করেতে গিয়ে রোনালদোকে যেন একটু খেলার সুযোগই করে দিলেন জুভেন্তাসের ফুটবলাররা।

পুরো মাঠ জুড়ে একপ্রকার অলৌকিক ফুটবল খেললেন রোনালদো। ৫০ মিনিটের মাথায় সি আর সেভেনের গোলপোস্ট লক্ষ্য করে নেওয়া শট একটুর জন্য মিস না হলে হ্যাট্রিক আটকানো সম্ভব ছিল না। এর কিছুক্ষণ পরেই ৬৩ মিনিটে একটি অসাধারণ গোল করেন জিদানের প্রিয় শিষ্য। দানি কারভাজালের ক্রসকে অসাধারণ ক্ষিপ্রতার সাথে গোলে পরিবর্তন করেন রোনালদো। তার অতিমানবিক কিকে অভিভূত হতে দেখা যায় গুরু জিনেদিন জিদানকেও। সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এই মৌসুমে রিয়ালের হয়ে রোনালদো এটি ৩৯ নম্বর গোল। ইউরোপের সেরা পাঁচ লিগের মধ্যে যা সর্বোচ্চ।
রক্ষণে ভরাডুবি ছাড়াও বারবার সুযোগ পেয়েও করতে ব্যর্থ থাকেন ইতালির ক্লাবটি। প্রথমার্ধে শুরুতেই রোনালদো। গোলে রিয়াল এগিেয় গেলেও ষষ্ঠ মিনিটে ম্যাচে সমতা পেরানোর দারুণ সুযোগ তৈরি হয় পাওলো দিবালার সামনে। গোলপোস্টের কাছে বল নিয়ে পৌঁছে গিয়েও শেষ মুহূর্তে দলকে কাঙ্ক্ষিত গোল এনে দিতে পারেননি আর্জেটিনার ফরোয়ার্ড। কোয়ার্টার ফাইনালে লেগের দু’নম্বর ম্যাচ খেলতে আগামী বুধবার মুখোমুখি হবে দল দু’টি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest