সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরা জজ কোর্টের সাবেক পিপি ও তার ছেলেকে কারাগারে প্রেরণসাতক্ষীরা জজ কোর্টের সাবেক পিপি  লতিফ ও তার ছেলে রাসেল আটকসাংবাদিক মোমিনের সুস্থ্যতা কামনায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের বিবৃতিশ্যামনগরে কোস্ট গার্ডের অভিযানে অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ মাদক জব্দসাতক্ষীরায় ব্যবসার দ্বন্দ্বের জেরে প্রতিপক্ষের ছোঁড়া বিস্ফোরক দ্রব্যে আহত-২সাতক্ষীরায় বাস ইজিবাইক সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু : আহত ৭তালায় খাবারের সাথে চেতনা নাশক ঔষধ মিশিয়ে দুর্ধর্ষ চুরিকোটি টাকা চাঁদার দাবিতে অপহরণ করে নির্যাতনের অভিযোগ: সাতক্ষীরার সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা ও পিপিসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলাসমাজকে এগিয়ে নিতে হলে নারীকেও এগিয়ে নিতে হবে- সাতক্ষীরার ডিসিসাতক্ষীরার জুলাই যোদ্ধা মোহিনী অদম্য নারী পুরস্কারে ভূষিত

টাইম ম্যাগাজিনে বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকায় শেখ হাসিনা

বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ১০০ জনের তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিশ্বখ্যাত ‘টাইম ম্যাগাজিন’এর করা এই তালিকা বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও এ তালিকায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবে, উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন-এর নামও রয়েছে। বলিউড অভিনেত্রী দিপীকা পাড়ুকোনের নামও রয়েছে তালিকায়।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে শেখ হাসিনার নাম অবশ্য নতুন নয়। ইতোপূর্বে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন, কাতারভিত্তিক আল জাজিরা, যুক্তরাজ্যভিত্তিক বিবিসি ওয়াল্ডে গুরুত্ব সহকারে তার সাক্ষাৎকার প্রচারিত হয়েছে।

বিভিন্ন সময়ে জাতিসংঘের পরিবেশবিষয়ক সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ’, জাতিসংঘ ‘আইসিটি টেকসই উন্নয়ন পুরস্কার’, ডব্লিউআইপি (ওম্যান ইন পার্লামেন্ট) গ্লোবাল অ্যাওয়ার্ড-এর মতো নানা পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন শেখ হাসিনা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জেলা তাঁতীলীগের সদস্যপদ নিয়ে অয়নের বিবৃতি

সাতক্ষীরা জেলা তাঁতীলীগের নবগঠিত আহবায়ক কমিটির সাথে কোন সম্পর্ক নেই দাবি করে বিবৃতি প্রদান করেছেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ এহছান হাবিব অয়ন। বিবৃতি তিনি বলেন, আমি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দীর্ঘদিন সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেছি। বর্তমানে একটি ঘটনাকে কেন্দ্র সাতক্ষীরার বাইরে থাকার সুযোগ একটি মহল আমার সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ বা অনুমতি না উক্ত কমিটিতে আমার নাম অন্তর্ভূক্ত করেছে। আমর সাথে তাঁতীলীগের কোন সম্পর্ক ছিলো না। বর্তমানেও নেই। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কালিগঞ্জে প্রতিবন্ধী স্কুলের অর্ধকোটি টাকা বাণিজ্যের তদন্ত সম্পন্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জের নলতায় ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এম.জে.এফ নামের বিশেষ প্রতিবন্ধী স্কুল। এম.জে.এফ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক আজহারুল ইসলাম স্কুলটি পরিচালনা করে আসছেন। পরবর্তিতে স্কুলটি ভাড়াশিমলায় প্রধান সড়কের পাশে স্থানান্তরিত করা হয়। বর্তমানে প্রতিবন্ধী স্কুলটি নানা দুর্নীতিতে জর্জরিত। এসব দুর্নীতির উপর ভিত্তি করে গতকাল বৃহঃবার দুপুরে স্কুল প্রাঙ্গনে স্কুলের সভাপতি কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম মাঈন উদ্দীন হাসানের সভাপতিত্বে এক বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
শিক্ষক কর্মচারীদের অভিযোগের ভিত্তিতে উক্ত সভায় এমজেএফ বিশেষ প্রতিবন্ধী স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও এমজেএফ ফাউন্ডেশনের পরিচালক আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত অভিযোগের আলোচনা হয়। প্রতিবন্ধী স্কুলের শিক্ষক-কর্মচারীবৃন্দ আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের প্রায় অর্ধকোটি টাকা লুটপাট, স্কুলের পরিবর্তে প্রতারণা করে নিজের এনজিও’র নামে জমি কেনা, শিক্ষিকাদের সাথে অশ্লীল আচরণ ও অনৈতিক প্রস্তাব প্রদান, শিক্ষক-কর্মচারী ও প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের সাথে অসদাচরণের প্রতিকার দাবি করেন এবং ওই দুর্নীতিবাজের কবল থেকে স্কুলটি রক্ষার দাবি করে লিখিত আবেদন জানান। প্রতিষ্ঠান সরকারিকরণের নাম করে স্কুলের শিক্ষক-কর্মচারীদের নিকট থেকে জনপ্রতি ৩ লক্ষ টাকা নিয়ে আত্মসাতসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির বিস্তারিত বর্ণনা তুলে ধরে বক্তব্য প্রদান করেন, প্রতিবন্ধী স্কুলের প্রধান শিক্ষক জালালুর রহমান, সহকারী শিক্ষক আশিক ইকবাল, হাবিবুল্যাহ বাশার ও অজিফা পারভীন। তারা দীর্ঘদিন বিনাবেতনে শিক্ষাদান ও পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপনের বর্ণনা দিয়ে বলেন, স্কুলের ১৫ জন শিক্ষকের প্রত্যেকের নিকট থেকে নগদ প্রায় ৩ লক্ষ টাকা এবং সাক্ষরযুক্ত ফাকা নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প ও ব্যাংক চেক গ্রহণ, বিদ্যালয়ের নামে জমি না কিনে নিজের এনজিও’র নামে জমি ক্রয়, বিদ্যালয়ের ভবন শিক্ষার্থীদের কাজে ব্যবহার না করে পানির ব্যবসা ও পোল্ট্রি ফার্মের কাজে ব্যবহারসহ প্রতিষ্ঠার পর থেকে দাতাদের নিকট থেকে প্রাপ্য অর্থ বিদ্যালয় কিংবা প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের কল্যাণে ব্যয় না করে আজহারুল ইসলাম আত্মসাৎ করেছেন। এসব বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষক-কর্মচারীদের সাথে স্বৈরতান্ত্রিক আচরণ করার পাশাপাশি মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলহাজতে পাঠানোর হুমকি দেন তিনি। এসময় সকল অনিয়ম ও দুর্নীতির সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ ও প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টি রক্ষার দাবি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন দাতা সদস্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালের চিকিৎসক ডা. এসএম আব্দুল ওহাব, প্রেস ক্লাবের সভাপতি শেখ সাইফুল বারী সফু, রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক নিয়াজ কওছার তুহিন, মথুরেশপুর ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান, নাজিমগঞ্জ বাজার কমিটির সভাপতি শেখ ফিরোজ কবির কাজল, নলতা সদর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ারুল হক, সাংবাদিক সোহরাব হোসেন সবুজ, হাফিজুর রহমান, তরিকুল ইসলাম লাভলু, প্রতিবন্ধী স্কুলের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য রফিকুল ইসলাম প্রমুখ। সাংবাদিক সুকুমার দাশ বাচ্চ’ুর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন, আশেক মেহেদী, দন্ত চিকিৎসক বাবুল আক্তার, উপজেলা যুবলীগের একাংশের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
সকল অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে অডিট করে রিপোর্ট প্রদানের জন্য উপজেলা সমাজসেবা অফিসারকে প্রধান করে দু’সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হবে এবং উক্ত কমিটিকে ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে রিপোর্ট প্রদানের জন্য সময় দেয়া হবে বলে নিশ্চিত করে স্কুলের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম মাঈনউদ্দিন হাসান বলেন, এনজিও’র কোনো স্থান বিদ্যালয়ের মধ্যে থাকতে পারে না। প্রতিবন্ধীদের কল্যাণের জন্য বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং এটি সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হবে। প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়টি সরকারিকরণের প্রক্রিয়া চলছে। ফাউন্ডেশনের পরিচালক আজহারুল ইসলাম এই বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাৎ করে থাকলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কোন ভাবেই ছাড় দেয়া হবে না বলে তিনি জানান।
এদিকে অভিযুক্ত এম.জে.এফ এর পরিচালক আজহারুল ইসলামের নিকট এ বিষয় জানতে চাইলে তিনি এবিষয় সাংবাদিকদের সামনে কথা বলতে রাজি হননি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
এবার রাতের আধারে হ্যাজবোল্ড ভেঙে জেলা পরিষদের অফিস কক্ষে মাহাবুব!

নিজস্ব প্রতিবেদক : নৈশপ্রহরী দিয়ে সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের নিজ অফিস কক্ষের দরজার হ্যাজবোল্ড ভাঙিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র সরানোর অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানটির প্রশাসনিক কর্মকর্তা এসএম মাহাবুবর রহমানের বিরুদ্ধে। বুধবার রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটলেও বৃহষ্পতিবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে বিষয়টি পরিষদের কয়েকজন সদস্যের নজরে আসলে নৈশ প্রহরী শেখ আল হেলাল বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সৈয়দ আমিনুর রহমান বাবু জানান, বৃহষ্পতিবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে তাদের অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এসএম মাহাবুবর রহমানের কক্ষের দরজা খোলা অবস্থায় দেখতে পেলেও হ্যাজবোল্ডটি ভাঙা অবস্থায় দেখতে পান সদস্য মনিরুল ইসলাম। তিনি বিষয়টি উপস্থিত কয়েকজন সদস্যকে অবহিত করলে তারা নৈশ প্রহরী শেখ আল হেলালকে খবর দেন। আল হেলাল জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবর দেওয়া এক লিখিত স্বীকারোক্তিতে নৈশ প্রহরী শেখ আল হেলাল উল্লেখ করেন যে, বুধবার রাত ৯টার দিকে প্রশাসনিক কর্মকর্তা এসএম মাহাবুবর রহমানের নির্দেশে তার কক্ষে তালা লাগানো অবস্থায় হ্যাজবোল্ডটি ভাঙা হয়। বৃহষ্পতিবার পরিষদের কয়েকজন সদস্যের নজরে আসায় তার কাছে জানতে চাইলে তিনি ঘটনা সম্পর্কে তাদেরকে অবহিত করেন। স্বীকারোক্তির সময় মনিরুল ইসলাম, আল ফেরদৌস আলফা, মাহাফুজা সুলতানা রুবি, মতিয়ার রহমান ও তিনি উপস্থিত ছিলেন।
সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ সদস্য অ্যাড. শাহানাজ পারভিন মিলি জানান, অনিয়ম ওদুর্নীতির অভিযোগে জেলা পরিষদ প্রশাসক এসএম মাহাবুবর রহমানকে বিগত জেলা পরিষদ নির্বাচনের পরদিন স্থানীয়রা অফিসে এসে লাঞ্ছিত করে। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে আব্দুর রউফ কমপ্লেক্সে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে জেলা পরিষদের টাকা খরচ করার অভিযোগে তদন্ত হয়। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্তে নেমেছ দুদক। বদলী সংক্রান্ত হাইকোর্টের খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে মাহাবুবর রহমান সুপ্রিম কোর্টে গেলে কোন সুবিধা করতে না পেরে পরিষদের কয়েকজন সদস্যের সুপারিশে তিনি আবারো বহাল থাকেন সাতক্ষীরা অফিসে। একপর্যায়ে গত ১২ এপ্রিল দুপুরে ২৯টি পুকুর ইজারা সংক্রান্ত টেণ্ডার ও বিকেল চারটায় মাসিক মিটিং আহবান করেন মাহাববুর রহমান। শ্যামনগরের নওয়াবেকী খেয়াঘাট ইজারার নামে ছয় লাখ টাকা নেওয়াসহ বিভিন্ন খেয়াঘাট ও পুকুর ইজারা দেওয়ার নাম করে বহু টাকা নিয়ে তিনি তার ব্যক্তিগত খরচ করেছেন বিষয়টি জানতে পেরে ১২ এপ্রিল দুপুর আড়াইটার দিকে সদস্যদের সঙ্গে মাহাবুবর রহমানের বচসা হয়। এ সময় তার উপর চড়াও হলে তিনি ক্ষমা চেয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে চাকুরি থেকে অব্যাহতি নেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। একপর্যায়ে বিকেল ৫টার দিকে মাহাবুবর রহমান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করে তার ব্যক্তিগত সহকারী শাহীনা পারভিনের কাছে ইস্তফা পত্র জমা দিয়ে চলে যান। ওই ইস্তফা পত্রের অনুলিপি রোববার তাদের দেওয়ার কথা থাকলেও শনিবার রাত ৮টার দিকে শাহীনা পারভিনকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ইস্তফাপত্র ফিরিয়ে নিয়ে সেখানে ছুটির দরখাস্ত জমা দেওয়া হয়। এ ঘটনায় গত ১৭ এপ্রিল পরিষদে সাধারণ সভা আহবান করা হয়। সভায় মাহাবুবর রহমানকে বদলি, বিভিন্ন পুকুর ও ঘাটের ইজারা সংক্রান্ত তদন্ত, আশাশুনি উপজেলার ঘোলা-হিজলা-কল্যাণপুর খেয়াঘাট, হাজরাখালি-বিছট খেয়াঘাট ও মানিকখালি খেয়াঘাট ইজারা দেওয়ার ক্ষেত্রে হাইকোর্টে বিচারাধীন থাকা তিনটি রিট পিটিশনের নিষ্পতিকরণ, আব্দুর রউফ কমপ্লেক্সে নিয়ম বহির্ভূতভাবে জেলা পরিষদের টাকা না দেওয়াসহ মাহাবুবর রহমানের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি আলোচনায় আসে। একইভাবে ইস্তফাপত্রটি তুলে নিয়ে দেয়া ১৫ দিনের ছুটির আবেদনপত্রটি মাসিক সভায় মঞ্জুর করা হয়নি। এসব খবর জানাজানি হওয়ার পর বুধবার দিনে অফিসে এসেও নিজের কক্ষে ঢোকেননি মাহাবুবর রহমান। এমন এক পরিস্থিতিতে বুধবার রাতে তালা না খুলে নৈশ প্রহরীকে ডেকে হ্যাজবোল্ড ভেঙে ঘরে ঢোকার বিষয়টি মাহাবুবর রহমানের নতুন অভিসন্ধি বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে কয়েকজন সদস্য জানান, দুর্নীতি সংক্রান্ত কাগজপত্র সরিয়ে নিতে অফিসে এসে নৈশ প্রহরীকে দিয়ে দরজার লাগানো তালার হ্যাজবোল্ড ভাঙিয়েছেন শেখ আল হেলাল। এ ব্যাপারে এসএম মাহাবুবর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ নজরুল ইসলাম জানান, তিনি বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছেন। প্যানেল চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বাবু তাকে দরজায় লাগানো তালার হ্যাজবোল্ড ভাঙার বিষয়টি অবহিত করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে সাতক্ষীরা জেলা কৃষকলীগের বঙ্গবন্ধুর মাজারে পুস্পঅর্ঘ্য অর্পণ

বাংলাদেশ কৃষকলীগের ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে সাতক্ষীরা জেলা কৃষকলীগের বঙ্গবন্ধুর মাজারে পুস্পঅর্ঘ্য অর্পণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে টুঙ্গিপাড়ায় উপস্থিত হয়ে জাতির জনকের সমাধীতে পুস্পঅর্ঘ্য অর্পণ পূর্বক দোয়া ও মোনাজাত করে নেতৃবৃন্দ। এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা কৃষকলীগের সভাপতি বিশ্বজিত সাধু, সাধারণ সম্পাদক মোঃ মঞ্জুর হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক শেখ হেদায়েতুল ইসলাম, এস এম রেজাউল ইসলাম ও হাসান মাসুদ পলাশ, সাংগঠনিক সম্পাদক এড. আল মাহমুদ পলাশ, দপ্তর সম্পাদক মোঃ আতিয়ার রহমান, অর্থ সম্পাদক ঘোষ প্রদ্যুৎ কুমার, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মোঃ মোজাফফার হোসেন, কালিগঞ্জ উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, ফজর আলী ও আমির হামজা, সদর উপজেলা কৃষকলীগের আহবায়ক স.ম তাজমিনুর রহমান টুটুল ও রেজাউল ইসলাম, তালা উপজেলার সদস্য সচিব আমিনুজ্জামান, পৌর কৃষকলীগের আব্দুর রাজ্জাক ও সালাউদ্দিন লাভলু, কলারোয়া উপজেলার মোঃ খোরশেদ আলম ও আব্দুল মোমিন, খেশরা ইউনিয়ন আহবায়ক সালাউদ্দিন ইউসুফ, সরুলিয়া ইউনিয়ন সভাপতি মোঃ মতিয়ার রহমান ও কুমিরায় ইউনিয়ন আহবায়ক শাহাবাজ আহম্মেদ প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বিশ্বের একমাত্র হাতে লেখা পত্রিকা

ডিজিটাল প্রযুক্তির উদ্ভাবনের ফলে বর্তমানে যখন পৃথিবী থেকে হাতের লেখাই উঠে যাওয়ার উপক্রম, তখন ভারতের চেন্নাইয়ে আজও একটি জনপ্রিয় দৈনিক পত্রিকা প্রতিদিন হাতে লিখে প্রকাশ করা হয়।

পত্রিকাটির নাম দ্যা মুসলমান। এটি উর্দু ভাষায় হাতে লেখা একটি দৈনিক সংবাদপত্র। ১৯২৭ সালে সৈয়দ আজমতুল্লাহ নামে এক ব্যক্তি এটি প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে এর সম্পাদনার দায়িত্বে আছেন তাঁর নাতি সৈয়দ আরিফুল্লাহ, যিনি তাঁর পিতার মৃত্যুর পর এই দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন।

তিনজন বিশেষজ্ঞ ক্যালিগ্রাফার সংবাদপত্রটি লেখার কাজ করেন, যাঁদের বলা হয় কাতিব। একেকজন কাতিব একেকটি পৃষ্ঠা লেখার দায়িত্বে থাকেন। প্রতি পৃষ্ঠার জন্যে তাঁরা ৬০ রুপী পারিশ্রমিক পেয়ে থাকেন। আর সংবাদ সংগ্রহ করেন তিনজন প্রতিবেদক বা সংবাদদাতা।

১৯৮০ সাল পর্যন্ত ভারতের সকল উর্দু সংবাদপত্রই হাতে লিখে প্রকাশ করা হতো। পরবর্তীকালে অন্যান্য উর্দু সংবাদপত্র আধুনিক মুদ্রণপ্রযুক্তির সাথে খাপ খাইয়ে নিলেও দ্যা মুসলমান ঠিকই প্রাচীন ঐতিহ্যকে ধরে রেখেছে। চার পৃষ্ঠার এই সান্ধ্য দৈনিকটি আজও হাতে লিখে প্রকাশিত হচ্ছে। এমনকি পত্রিকার বিজ্ঞাপনগুলো ডিজিটাল আকারে জমা দেওয়া হলেও পত্রিকায় সেগুলো হাতে এঁকে প্রকাশ করা হয়। লেখা শেষ হওয়ার পর এর নেগেটিভ থেকে প্রিন্টিং প্লেট প্রস্তুত করা হয়, আর এভাবেই ১৯২৭ সাল থেকে আজ অবধি প্রতিদিন পত্রিকাটি প্রকাশ হয়ে আসছে।

অতীতে কোনো ব্রেকিং নিউজ দেরি করে পৌঁছলে সেটির জন্যে পুরো একটা পৃষ্ঠা আবার নতুন করে লিখতে হতো। কিন্তু এখন পত্রিকাটির প্রথম পৃষ্ঠার এক কোণায় কিছুটা জায়গা ব্রেকিং নিউজ প্রকাশের জন্যে ফাঁকা রাখা হয় এবং বিকেল ৩টার আগে নিউজরুমে কোনো ব্রেকিং নিউজ এলে তা ওই জায়গাটিতে যোগ করে দেওয়া হয়।

৮০০ বর্গফুটের সীমিত পরিসরে সংবাদপত্রটির এক কক্ষবিশিষ্ট কার্যালয়। কিন্তু তাতে তাঁদের কাজের আগ্রহের কোনো কমতি নেই। পত্রিকার কর্মীরা তাঁদের কাজের প্রতি একনিষ্ঠ, বিশ্বস্ত এবং তাঁদের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত তাঁরা এ কাজ করে যেতে চান বলে জানান প্রধান প্রতিবেদক রেহমান হুসেইন।

হায়দ্রাবাদ, কোলকাতা, মুম্বাই, নিউ দিল্লীসহ সমগ্র ভারতেই দ্যা মুসলমানের সংবাদদাতা রয়েছেন। এসব এলাকায় পত্রিকাটির গ্রাহকও রয়েছে, যাদের বেশিরভাগই মুসলিম, তবে উর্দু ভাষা জানেন এমন হিন্দু গ্রাহকও কম নয়।

সংবাদপত্রটির মোট গ্রাহকসংখ্যা ২৩০০০। এছাড়া যাঁরা এর নিয়মিত গ্রাহক নন, তাঁরা পত্রিকার দোকান থেকে মাত্র ৭৫ পয়সা মূল্যে এটি সংগ্রহ করতে পারেন। পত্রিকাটির মূল্য খুব কম হলেও অধিকাংশ সরকারী এবং কিছু বেসরকারী বিজ্ঞাপন সংস্থা থেকে যে অর্থ আসে, তা কর্মীদের বেতন দেয়ার জন্যে যথেষ্ট।

সাধারণভাবে পত্রিকাটি সাদা-কালো, তবে বিজ্ঞাপনের প্রয়োজনে এটি রঙিনও করা হয়ে থাকে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দহনে সাংবাদিক চরিত্রে বাঁধন!

জাজ মাল্টিমিডিয়ার নতুন ছবি ‘দহন’। ছবিটি নির্মাণ করবেন ‘পোড়ামন ২’ সিনেমার পরিচালক রায়হান রাফি। ছবিটিতে সিয়াম ও পূজা অভিনয় করছেন সেটা প্রকাশ করা হয়েছে আগেই। পরে জানানো হয়েছে নতুন আরও একজনকে নায়িকা হিসেবে নেয়া হচ্ছে। তবে নায়িকা কে হবে সেটা জানানো হয়নি। রহস্যই রাখা হয়েছিল।

রহস্য হিসেবে রাখা কে হচ্ছেন এই নায়িকা? এটি নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়েছে দর্শকদের মধ্যে। সিয়াম ও পূজার পাশপাশি যাকে নেয়া হবে তিনি কে? জাজ মাল্টিমিডিয়ার অফিসিয়াল পেজে মম, তানজিন তিশা ও বাঁধনের ছবি পোস্ট করা হয়েছে।

একটি সূত্রে জানা গেছে সে নায়িকা হচ্ছে আজমেরী হক বাঁধন। ছবিতে একজন সাংবাদিকের চরিত্রে অভিনয় করবেন তিনি।

আরও জানা যায়, ছবিটিতে আরও অভিনয়ের জন্য প্রথমে মমকে অফার করা হয়। তিনি না করে দিলে বাঁধনকে কাস্ট করা হয়। আর সিনেমায় নাম লেখানোর জন্য বাঁধন কয়েকমাস ধরে জিম করে নিজেকে প্রস্তুত করছেন।

ছবিটিতে আরও অভিনয় করবেন ফজলুর রহমান বাবু, শতাব্দী ওয়াদুদ, নবাগত সুদীপ্ত, সেতু প্রমুখ। একটি বিশেষ চরিত্রে দেখা যাবে নায়ক আলমগীরকেও।

এর আগে বাঁধন ২০১০ সালে মুশফিকুর রহমান গুলজার পরিচালিত ‘নিঝুম অরণ্যে’ সিনেমায় সজলের বিপরীতে অভিনয় করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
প্রস্তাবিত আইনে সম্পাদকদের আপত্তি, ‘অনেকাংশই যৌক্তিক’ বললেন আইনমন্ত্রী

প্রস্তাবিত ডিজিটাল সিকিউরিট অ্যাক্টের (ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন) কিছু ধারার বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছে জাতীয় দৈনিক পত্রিকার সম্পাদকদের সংগঠন এডিটরস কাউন্সিল। ‘আপত্তির অনেকাংশই যৌক্তিক’ বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

বৃহস্পতিবার এডিটরস কাউন্সিলের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এমন মন্তব্য করেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল সিকিউরিট অ্যাক্টের কিছু ধারার বিষয়ে এডিটরস কাউন্সিল আপত্তি জানিয়েছে। সেগুলো তারা আমাদের সামনে পেশ করেছে। আমাদের মধ্যে অত্যন্ত ফলপ্রসূ আলাপ-আলোচনা হয়েছে। আলোচনা শেষে আমরা সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি যে, যে আপত্তিগুলো আজ তুলে ধরা হলো সেগুলো অনেকাংশেই যৌক্তিক।’

বৈঠকে এডিটরস কাউন্সিলের সেক্রেটারি জেনারেল ও দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনেরর ২১, ২৫, ২৮, ৩১, ৩২ ও ৪৩ ধারার বিষয়ে আপত্তি জানান।

তিনি বলেন, ‘প্রস্তাবিত আইনের ২১, ২৫, ২৮, ৩১, ৩২ ও ৪৩ ধারায় আমাদের আপত্তি। আমরা এ ধারাগুলোকে মনে করেছি বাকস্বাধীনতা ও স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিপন্থী। বাংলাদেশে যে স্বাধীন সাংবাদিকতা, সেটা নিয়ে আমরা খুবই গর্ববোধ করি। কিন্তু প্রস্তাবিত আইনের সংশ্লিষ্ট ধারাগুলো স্বাধীন সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে গভীরভাবে ব্যাহত করবে। এ বিষয়গুলো আমরা মন্ত্রীদের বুঝিয়েছি এবং তারা বিষয়গুলো সানন্দে গ্রহণ করেছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আশা করি, যে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনটি প্রণয়ন হবে, সেটা সত্যিকার অর্থে সাইবার ক্রাইমকেই প্রতিহত করবে। সাংবাদিকতার কোনো স্বাধীনতা খর্ব করবে না। আমরা এটা বিশ্বাস করি যে, বাংলাদেশে সত্যিকার অর্থে একটা সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট প্রয়োজন। কেননা এখন যে ধরনের সাইবার ক্রাইম হচ্ছে, সোসাল মিডিয়া, অনিয়ন্ত্রিত অনলাইন মিডিয়া- এগুলো আমাদের দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে। তাই আইনটি হোক, তবে যেন সেটা সুষ্ঠু হয়; আসলেই সেটা যেন তার পারপাস সার্ভ করতে পারে।’

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার আইন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আইনমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মাদ শহিদুল হক, দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম, দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, নিউজ টু ডে’র সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, যুগান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল আলম, নিউ এজের সম্পাদক নুরুল কবির, কালের কণ্ঠের সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম, নয়াদিগন্তের সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন, বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদসহ বেশ কয়েকটি দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক।

বৈঠক শেষে আইনমন্ত্রী আরও বলেন, প্রস্তাবিত আইনটি এখন আইসিটি মিনিস্ট্রি সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে রয়েছে। আগামী ২২ তারিখে এর ওপর সভা অনুষ্ঠিত হবে। ওই সভায় এডিটরস কাউন্সিলকে যেন ডাকা হয়, এ রকম একটা প্রস্তাব থাকবে। ২২ তারিখের পর যেকোনো একটা সময়, একটা নির্ধারিত তারিখে যে আপত্তি বা উদ্বেগ আজ এডিটরস কাউন্সিল জানিয়েছে সেগুলো লিখিত আকারে উনারা স্থায়ী কমিটিকে দেবেন।’

‘সাইবার ক্রাইম নিয়ন্ত্রণে ডিজিটাল অ্যাক্ট করা হয়েছিল। বাক স্বাধীনতা বা স্বাধীন সাংবাদিকতা বন্ধ করার জন্য নয়। সেই ক্ষেত্রে যদি এ আইনের মধ্যে ত্রুটি থেকে থাকে বা ‍দুর্বলতা থাকে সেগুলো যেন অপসারণ করা যায় সেই আলোকে এডিটরস কাউন্সিলের সঙ্গে এ আলোচনা। আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা দুই পক্ষই আশাবাদ ব্যক্ত করতে পারি যে, তাদের (এডিটরস কাউন্সিল) যে উদ্বেগ সেগুলো দূর করতে পারব।’

এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এমন একটা আইন করতে চাই যেটা শুধু গ্রহণযোগ্য নয়, যুগোপযোগী হবে। সেই ক্ষেত্রে টেলিভিশনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে বাসার জন্যও সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে প্রস্তাব দেব।’

আইসিটি আইনের বিতর্কিত ৫৭ ধারা বাতিল করে সেই ধারার বিষয়বস্তুগুলো ঘুরেফিরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রাখা হয়েছে- এমন অভিযোগ ছিল সর্বমহলে। গত জানুয়ারি মাসে প্রস্তাবিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদন হওয়ার পর এটি ঘিরে বিতর্ক ও সমালোচনা শুরু হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সরকার আপত্তি ওঠা কিছু ধারা বাদ দেয়ার আশ্বাস দেয়।

কিন্তু গত ৯ এপ্রিল সোমবার জাতীয় সংসদে আইনটি উত্থাপনের পর দেখা যায়, তেমন কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। এমনকি ‘ডিজিটাল গুপ্তচরবৃত্তি’ বিষয়ক ৩২ ধারার মতো আরও কঠিন একটি ধারা জুড়ে দেয়া হয়েছে। সংসদে বিরোধী দল জাতীয় পার্টি বিলটিতে আপত্তি জানায়। পরে সেটি চার সপ্তাহের মধ্যে পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়।

প্রস্তাবিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কয়েকটি ধারা নিয়ে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত বা তাদের প্রতিনিধিরাও আপত্তি জানিয়ে আসছিলেন। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন, দেশে সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন ও ইউনিয়ন আইনটির কঠোর ও বিতর্কিত কিছু ধারা বাদ দেয়ার দাবি তোলে। এসব দাবি আমলে না নিয়ে মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পাওয়া খসড়াটিই প্রায় হুবহু গত ৯ এপ্রিল জাতীয় সংসদে বিল আকারে উপস্থাপন করা হয়।

বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেন, বিলটি সংসদীয় কমিটিতে গেলে পর্যালোচনা করে সংযোজন-বিয়োজন করার সুযোগ থাকবে। কোনো উপধারা যুক্ত করতে হলে সেটিও স্থায়ী কমিটির মাধ্যমে সংযোজন সম্ভব হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest