সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরায় ব্যবসার দ্বন্দ্বের জেরে প্রতিপক্ষের ছোঁড়া বিস্ফোরক দ্রব্যে আহত-২সাতক্ষীরায় বাস ইজিবাইক সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু : আহত ৭তালায় খাবারের সাথে চেতনা নাশক ঔষধ মিশিয়ে দুর্ধর্ষ চুরিকোটি টাকা চাঁদার দাবিতে অপহরণ করে নির্যাতনের অভিযোগ: সাতক্ষীরার সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা ও পিপিসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলাসমাজকে এগিয়ে নিতে হলে নারীকেও এগিয়ে নিতে হবে- সাতক্ষীরার ডিসিসাতক্ষীরার জুলাই যোদ্ধা মোহিনী অদম্য নারী পুরস্কারে ভূষিতসাতক্ষীরায় প্রতিপক্ষের হামলায় জখম-২সখিপুরে জামায়াতের এমপি প্রার্থী মুহাদ্দিস আব্দুল খালেকের পথসভাসাতক্ষীরায় বিবিসি মিডিয়া অ্যাকশনের তিন দিনব্যাপী প্রশিক্ষণনানা আয়োজনে সাতক্ষীরা মুক্ত দিবস উদযাপন

৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে সাতক্ষীরা জেলা কৃষকলীগের বঙ্গবন্ধুর মাজারে পুস্পঅর্ঘ্য অর্পণ

বাংলাদেশ কৃষকলীগের ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে সাতক্ষীরা জেলা কৃষকলীগের বঙ্গবন্ধুর মাজারে পুস্পঅর্ঘ্য অর্পণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে টুঙ্গিপাড়ায় উপস্থিত হয়ে জাতির জনকের সমাধীতে পুস্পঅর্ঘ্য অর্পণ পূর্বক দোয়া ও মোনাজাত করে নেতৃবৃন্দ। এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা কৃষকলীগের সভাপতি বিশ্বজিত সাধু, সাধারণ সম্পাদক মোঃ মঞ্জুর হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক শেখ হেদায়েতুল ইসলাম, এস এম রেজাউল ইসলাম ও হাসান মাসুদ পলাশ, সাংগঠনিক সম্পাদক এড. আল মাহমুদ পলাশ, দপ্তর সম্পাদক মোঃ আতিয়ার রহমান, অর্থ সম্পাদক ঘোষ প্রদ্যুৎ কুমার, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মোঃ মোজাফফার হোসেন, কালিগঞ্জ উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, ফজর আলী ও আমির হামজা, সদর উপজেলা কৃষকলীগের আহবায়ক স.ম তাজমিনুর রহমান টুটুল ও রেজাউল ইসলাম, তালা উপজেলার সদস্য সচিব আমিনুজ্জামান, পৌর কৃষকলীগের আব্দুর রাজ্জাক ও সালাউদ্দিন লাভলু, কলারোয়া উপজেলার মোঃ খোরশেদ আলম ও আব্দুল মোমিন, খেশরা ইউনিয়ন আহবায়ক সালাউদ্দিন ইউসুফ, সরুলিয়া ইউনিয়ন সভাপতি মোঃ মতিয়ার রহমান ও কুমিরায় ইউনিয়ন আহবায়ক শাহাবাজ আহম্মেদ প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বিশ্বের একমাত্র হাতে লেখা পত্রিকা

ডিজিটাল প্রযুক্তির উদ্ভাবনের ফলে বর্তমানে যখন পৃথিবী থেকে হাতের লেখাই উঠে যাওয়ার উপক্রম, তখন ভারতের চেন্নাইয়ে আজও একটি জনপ্রিয় দৈনিক পত্রিকা প্রতিদিন হাতে লিখে প্রকাশ করা হয়।

পত্রিকাটির নাম দ্যা মুসলমান। এটি উর্দু ভাষায় হাতে লেখা একটি দৈনিক সংবাদপত্র। ১৯২৭ সালে সৈয়দ আজমতুল্লাহ নামে এক ব্যক্তি এটি প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে এর সম্পাদনার দায়িত্বে আছেন তাঁর নাতি সৈয়দ আরিফুল্লাহ, যিনি তাঁর পিতার মৃত্যুর পর এই দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন।

তিনজন বিশেষজ্ঞ ক্যালিগ্রাফার সংবাদপত্রটি লেখার কাজ করেন, যাঁদের বলা হয় কাতিব। একেকজন কাতিব একেকটি পৃষ্ঠা লেখার দায়িত্বে থাকেন। প্রতি পৃষ্ঠার জন্যে তাঁরা ৬০ রুপী পারিশ্রমিক পেয়ে থাকেন। আর সংবাদ সংগ্রহ করেন তিনজন প্রতিবেদক বা সংবাদদাতা।

১৯৮০ সাল পর্যন্ত ভারতের সকল উর্দু সংবাদপত্রই হাতে লিখে প্রকাশ করা হতো। পরবর্তীকালে অন্যান্য উর্দু সংবাদপত্র আধুনিক মুদ্রণপ্রযুক্তির সাথে খাপ খাইয়ে নিলেও দ্যা মুসলমান ঠিকই প্রাচীন ঐতিহ্যকে ধরে রেখেছে। চার পৃষ্ঠার এই সান্ধ্য দৈনিকটি আজও হাতে লিখে প্রকাশিত হচ্ছে। এমনকি পত্রিকার বিজ্ঞাপনগুলো ডিজিটাল আকারে জমা দেওয়া হলেও পত্রিকায় সেগুলো হাতে এঁকে প্রকাশ করা হয়। লেখা শেষ হওয়ার পর এর নেগেটিভ থেকে প্রিন্টিং প্লেট প্রস্তুত করা হয়, আর এভাবেই ১৯২৭ সাল থেকে আজ অবধি প্রতিদিন পত্রিকাটি প্রকাশ হয়ে আসছে।

অতীতে কোনো ব্রেকিং নিউজ দেরি করে পৌঁছলে সেটির জন্যে পুরো একটা পৃষ্ঠা আবার নতুন করে লিখতে হতো। কিন্তু এখন পত্রিকাটির প্রথম পৃষ্ঠার এক কোণায় কিছুটা জায়গা ব্রেকিং নিউজ প্রকাশের জন্যে ফাঁকা রাখা হয় এবং বিকেল ৩টার আগে নিউজরুমে কোনো ব্রেকিং নিউজ এলে তা ওই জায়গাটিতে যোগ করে দেওয়া হয়।

৮০০ বর্গফুটের সীমিত পরিসরে সংবাদপত্রটির এক কক্ষবিশিষ্ট কার্যালয়। কিন্তু তাতে তাঁদের কাজের আগ্রহের কোনো কমতি নেই। পত্রিকার কর্মীরা তাঁদের কাজের প্রতি একনিষ্ঠ, বিশ্বস্ত এবং তাঁদের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত তাঁরা এ কাজ করে যেতে চান বলে জানান প্রধান প্রতিবেদক রেহমান হুসেইন।

হায়দ্রাবাদ, কোলকাতা, মুম্বাই, নিউ দিল্লীসহ সমগ্র ভারতেই দ্যা মুসলমানের সংবাদদাতা রয়েছেন। এসব এলাকায় পত্রিকাটির গ্রাহকও রয়েছে, যাদের বেশিরভাগই মুসলিম, তবে উর্দু ভাষা জানেন এমন হিন্দু গ্রাহকও কম নয়।

সংবাদপত্রটির মোট গ্রাহকসংখ্যা ২৩০০০। এছাড়া যাঁরা এর নিয়মিত গ্রাহক নন, তাঁরা পত্রিকার দোকান থেকে মাত্র ৭৫ পয়সা মূল্যে এটি সংগ্রহ করতে পারেন। পত্রিকাটির মূল্য খুব কম হলেও অধিকাংশ সরকারী এবং কিছু বেসরকারী বিজ্ঞাপন সংস্থা থেকে যে অর্থ আসে, তা কর্মীদের বেতন দেয়ার জন্যে যথেষ্ট।

সাধারণভাবে পত্রিকাটি সাদা-কালো, তবে বিজ্ঞাপনের প্রয়োজনে এটি রঙিনও করা হয়ে থাকে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দহনে সাংবাদিক চরিত্রে বাঁধন!

জাজ মাল্টিমিডিয়ার নতুন ছবি ‘দহন’। ছবিটি নির্মাণ করবেন ‘পোড়ামন ২’ সিনেমার পরিচালক রায়হান রাফি। ছবিটিতে সিয়াম ও পূজা অভিনয় করছেন সেটা প্রকাশ করা হয়েছে আগেই। পরে জানানো হয়েছে নতুন আরও একজনকে নায়িকা হিসেবে নেয়া হচ্ছে। তবে নায়িকা কে হবে সেটা জানানো হয়নি। রহস্যই রাখা হয়েছিল।

রহস্য হিসেবে রাখা কে হচ্ছেন এই নায়িকা? এটি নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়েছে দর্শকদের মধ্যে। সিয়াম ও পূজার পাশপাশি যাকে নেয়া হবে তিনি কে? জাজ মাল্টিমিডিয়ার অফিসিয়াল পেজে মম, তানজিন তিশা ও বাঁধনের ছবি পোস্ট করা হয়েছে।

একটি সূত্রে জানা গেছে সে নায়িকা হচ্ছে আজমেরী হক বাঁধন। ছবিতে একজন সাংবাদিকের চরিত্রে অভিনয় করবেন তিনি।

আরও জানা যায়, ছবিটিতে আরও অভিনয়ের জন্য প্রথমে মমকে অফার করা হয়। তিনি না করে দিলে বাঁধনকে কাস্ট করা হয়। আর সিনেমায় নাম লেখানোর জন্য বাঁধন কয়েকমাস ধরে জিম করে নিজেকে প্রস্তুত করছেন।

ছবিটিতে আরও অভিনয় করবেন ফজলুর রহমান বাবু, শতাব্দী ওয়াদুদ, নবাগত সুদীপ্ত, সেতু প্রমুখ। একটি বিশেষ চরিত্রে দেখা যাবে নায়ক আলমগীরকেও।

এর আগে বাঁধন ২০১০ সালে মুশফিকুর রহমান গুলজার পরিচালিত ‘নিঝুম অরণ্যে’ সিনেমায় সজলের বিপরীতে অভিনয় করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
প্রস্তাবিত আইনে সম্পাদকদের আপত্তি, ‘অনেকাংশই যৌক্তিক’ বললেন আইনমন্ত্রী

প্রস্তাবিত ডিজিটাল সিকিউরিট অ্যাক্টের (ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন) কিছু ধারার বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছে জাতীয় দৈনিক পত্রিকার সম্পাদকদের সংগঠন এডিটরস কাউন্সিল। ‘আপত্তির অনেকাংশই যৌক্তিক’ বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

বৃহস্পতিবার এডিটরস কাউন্সিলের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এমন মন্তব্য করেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল সিকিউরিট অ্যাক্টের কিছু ধারার বিষয়ে এডিটরস কাউন্সিল আপত্তি জানিয়েছে। সেগুলো তারা আমাদের সামনে পেশ করেছে। আমাদের মধ্যে অত্যন্ত ফলপ্রসূ আলাপ-আলোচনা হয়েছে। আলোচনা শেষে আমরা সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি যে, যে আপত্তিগুলো আজ তুলে ধরা হলো সেগুলো অনেকাংশেই যৌক্তিক।’

বৈঠকে এডিটরস কাউন্সিলের সেক্রেটারি জেনারেল ও দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনেরর ২১, ২৫, ২৮, ৩১, ৩২ ও ৪৩ ধারার বিষয়ে আপত্তি জানান।

তিনি বলেন, ‘প্রস্তাবিত আইনের ২১, ২৫, ২৮, ৩১, ৩২ ও ৪৩ ধারায় আমাদের আপত্তি। আমরা এ ধারাগুলোকে মনে করেছি বাকস্বাধীনতা ও স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিপন্থী। বাংলাদেশে যে স্বাধীন সাংবাদিকতা, সেটা নিয়ে আমরা খুবই গর্ববোধ করি। কিন্তু প্রস্তাবিত আইনের সংশ্লিষ্ট ধারাগুলো স্বাধীন সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে গভীরভাবে ব্যাহত করবে। এ বিষয়গুলো আমরা মন্ত্রীদের বুঝিয়েছি এবং তারা বিষয়গুলো সানন্দে গ্রহণ করেছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আশা করি, যে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনটি প্রণয়ন হবে, সেটা সত্যিকার অর্থে সাইবার ক্রাইমকেই প্রতিহত করবে। সাংবাদিকতার কোনো স্বাধীনতা খর্ব করবে না। আমরা এটা বিশ্বাস করি যে, বাংলাদেশে সত্যিকার অর্থে একটা সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট প্রয়োজন। কেননা এখন যে ধরনের সাইবার ক্রাইম হচ্ছে, সোসাল মিডিয়া, অনিয়ন্ত্রিত অনলাইন মিডিয়া- এগুলো আমাদের দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে। তাই আইনটি হোক, তবে যেন সেটা সুষ্ঠু হয়; আসলেই সেটা যেন তার পারপাস সার্ভ করতে পারে।’

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার আইন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আইনমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মাদ শহিদুল হক, দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম, দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, নিউজ টু ডে’র সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, যুগান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল আলম, নিউ এজের সম্পাদক নুরুল কবির, কালের কণ্ঠের সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম, নয়াদিগন্তের সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন, বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদসহ বেশ কয়েকটি দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক।

বৈঠক শেষে আইনমন্ত্রী আরও বলেন, প্রস্তাবিত আইনটি এখন আইসিটি মিনিস্ট্রি সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে রয়েছে। আগামী ২২ তারিখে এর ওপর সভা অনুষ্ঠিত হবে। ওই সভায় এডিটরস কাউন্সিলকে যেন ডাকা হয়, এ রকম একটা প্রস্তাব থাকবে। ২২ তারিখের পর যেকোনো একটা সময়, একটা নির্ধারিত তারিখে যে আপত্তি বা উদ্বেগ আজ এডিটরস কাউন্সিল জানিয়েছে সেগুলো লিখিত আকারে উনারা স্থায়ী কমিটিকে দেবেন।’

‘সাইবার ক্রাইম নিয়ন্ত্রণে ডিজিটাল অ্যাক্ট করা হয়েছিল। বাক স্বাধীনতা বা স্বাধীন সাংবাদিকতা বন্ধ করার জন্য নয়। সেই ক্ষেত্রে যদি এ আইনের মধ্যে ত্রুটি থেকে থাকে বা ‍দুর্বলতা থাকে সেগুলো যেন অপসারণ করা যায় সেই আলোকে এডিটরস কাউন্সিলের সঙ্গে এ আলোচনা। আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা দুই পক্ষই আশাবাদ ব্যক্ত করতে পারি যে, তাদের (এডিটরস কাউন্সিল) যে উদ্বেগ সেগুলো দূর করতে পারব।’

এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এমন একটা আইন করতে চাই যেটা শুধু গ্রহণযোগ্য নয়, যুগোপযোগী হবে। সেই ক্ষেত্রে টেলিভিশনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে বাসার জন্যও সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে প্রস্তাব দেব।’

আইসিটি আইনের বিতর্কিত ৫৭ ধারা বাতিল করে সেই ধারার বিষয়বস্তুগুলো ঘুরেফিরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রাখা হয়েছে- এমন অভিযোগ ছিল সর্বমহলে। গত জানুয়ারি মাসে প্রস্তাবিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদন হওয়ার পর এটি ঘিরে বিতর্ক ও সমালোচনা শুরু হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সরকার আপত্তি ওঠা কিছু ধারা বাদ দেয়ার আশ্বাস দেয়।

কিন্তু গত ৯ এপ্রিল সোমবার জাতীয় সংসদে আইনটি উত্থাপনের পর দেখা যায়, তেমন কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। এমনকি ‘ডিজিটাল গুপ্তচরবৃত্তি’ বিষয়ক ৩২ ধারার মতো আরও কঠিন একটি ধারা জুড়ে দেয়া হয়েছে। সংসদে বিরোধী দল জাতীয় পার্টি বিলটিতে আপত্তি জানায়। পরে সেটি চার সপ্তাহের মধ্যে পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়।

প্রস্তাবিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কয়েকটি ধারা নিয়ে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত বা তাদের প্রতিনিধিরাও আপত্তি জানিয়ে আসছিলেন। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন, দেশে সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন ও ইউনিয়ন আইনটির কঠোর ও বিতর্কিত কিছু ধারা বাদ দেয়ার দাবি তোলে। এসব দাবি আমলে না নিয়ে মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পাওয়া খসড়াটিই প্রায় হুবহু গত ৯ এপ্রিল জাতীয় সংসদে বিল আকারে উপস্থাপন করা হয়।

বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেন, বিলটি সংসদীয় কমিটিতে গেলে পর্যালোচনা করে সংযোজন-বিয়োজন করার সুযোগ থাকবে। কোনো উপধারা যুক্ত করতে হলে সেটিও স্থায়ী কমিটির মাধ্যমে সংযোজন সম্ভব হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
গরমে প্রাণ জুড়াবে লেমন মোজিতো

সময় এখন গ্রীষ্মকাল। তাই বাইরে বের হলেই প্রচণ্ড গরম। গরমে প্রাণ হাসফাস। পায় পানির তীব্র পিপাসা। আর গরমের সময় শরীর থেকে প্রচুর লবণপানি বের হয়ে যায়।তাই শরীরের পানিশূন্যতা পূরণে খাবার স্যালাইন ও বিভিন্ন ধরনের জুস খাওয়া যেতে পারে, যা আপনার শরীরে পানিশূন্যতা পূরণ করবে।

ফলে এই মৌসুমে আম, জাম, আপেল, কলা, তরমুজ, আনারসসহ বিভিন্ন ধরনের ফলের রস হয়তো খেয়ে থাকবেন। কিন্তু কখনও কি লেমন মোজিতো খেয়েছেন? লেমন মোজিতো খুবই সুস্বাদু একটি শরবত, যা বিভিন্ন মসলা ও লেবু দিয়ে তৈরি।

লেমন মোজিতো পানীয়ের মূল উপাদান জাফরান। জাফরানের অতুলনীয় স্বাদ আর গন্ধের কারণেই এই পানীয় বেশ সুস্বাদু হয়ে থাকে। বাড়িতেই তৈরি করতে পারেন লেমন মোজিতো।

আসুন দেখে নিই কীভাবে তৈরি করবেন লেমন মোজিতো-

উপকরণ

মোজিতো সিরাপ ২ টেবিল চামচ, শুকনো লেবুর টুকরো ৫-৬টি, পুদিনাপাতা ১ টেবিল চামচ, বরফ টুকরো ১০-১২টি।

প্রস্তুতকরণ

২ কাপ পানি, ১ কাপ চিনি এবং ১ চিমটি জাফরান একটি পাত্রে নিন। এর পর অল্প আঁচে ১৫ মিনিট জ্বাল দিলেই হয়ে গেল মোজিতো সিরাপ।

লেমন মোজিতো প্রস্তুতকরণ

প্রথমে পুদিনাপাতা থেঁতলে নিতে হবে। এবার একে একে শুকনো লেবু, মোজিতো সিরাপ এবং বরফ টুকরো দিয়ে ভালোভাবে নেড়ে ৩ ঘণ্টা ফ্রিজে রেখে পরিবেশন করুন ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা মোজিতো।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
হঠাৎ করে প্রেসার বেড়ে বা কমে গেলে যা করবেন

অহরহ অনেকের মুখে শুনে থাকবেন হঠাৎ করেই নাকি প্রেসার ওঠানামা করছে। জেনে রাখা ভালো এটি মোটেও কোনো ভালো লক্ষণ নয়। একজন মানুষ যদি শারীরিকভাবে সুস্থ থাকেন তাহলে অবশ্যই তার প্রেসার, পালস ও ওজন নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকতে হবে।

সাধারণত প্রেসার লো হলে মাথা ঘোরানো, ক্লান্তি, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, বমি বমি ভাব, বুক ধড়ফড় করা, অবসাদ, দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসা ও স্বাভাবিক শ্বাসপ্রশ্বাস নিতেও কষ্ট হয়। অতিরিক্ত ঘাম, ডায়রিয়া বা অত্যধিক বমি হওয়া, দেহের ভেতরে কোনো কারণে রক্তক্ষরণ হলে যেমন: রক্তবমি, পায়খানার সঙ্গে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে, শারীরিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত বা দুর্ঘটনার ফলে রক্তপাত ঘটলে এবং অপুষ্টিজনিত কারণেও লো ব্লাড প্রেসার দেখা দিতে পারে।

আবার গর্ভবতী মায়েদের গর্ভের প্রথম ৬ মাস হরমোনের প্রভাবে লো প্রেসার হতে পারে। এ সময় মাথা ঘোরানো বা মাথা হালকা অনুভূত হওয়া, মাথা ঘুরে অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, বসা বা শোয়া থেকে হঠাৎ উঠে দাঁড়ালে মাথা ঘোরা বা ভারসাম্যহীনতা, চোখে অন্ধকার দেখা, ঘন ঘন শ্বাসপ্রশ্বাস নেয়া, হাত-পা ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়া, খুব বেশি তৃষ্ণা অনুভূত হওয়া, অস্বাভাবিক দ্রুত হৃদকম্পন, নাড় বা পালসের গতি বেড়ে যায়।

হঠাৎ প্রেসার বেড়ে গেলে কী করবেন?

শাকসবজি, ফল ও শস্যদানা

হঠাৎ প্রেসার বেড়ে গেলে কিছু খাবার আপনি খেতে পারেন। বেশি ম্যাগনেশিয়াম পাওয়া যায় দানা শস্য বা গোটা শস্য, বিচি জাতীয় খাবার, বাদাম, শিমের বিচি, ডাল, ছোলা, লাল চালের ভাত, লাল আটা, আলু, সবুজ শাকসবজি, টমেটো, তরমুজ, দুধ ও দই ইত্যাদি।এসব খাবারে বেশ উপকার পাবেন।

কম চর্বিযুক্ত খাবার

হঠাৎ প্রেসার বেড়ে গেলে কম চর্বিযুক্ত দুধ বা চর্বিবিহীন দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার প্রতিদিন খেতে হবে ২ থেকে ৩ সার্ভিং। এক সার্ভিং দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার মানে আধা পাউন্ড বা এক গ্লাস দুধ অথবা এক কাপ দই।

টুকরো করে আধাকাপ ফল

যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে তারা ফল খেতে পারেন।টুকরো টুকরো করে কাটা আধাকাপ ফল কিংবা মাঝারি সাইজের একটা আপেল বা অর্ধেকটা কলা অথবা আধাকাপ ফলের রস এতে হবে ফলের এক সার্ভিং। ফলের রসের চেয়ে আস্ত ফলই ভালো।

শাকসবজি ৪ থেকে ৫ সার্ভিং

শাকসবজি প্রতিদিন প্রয়োজন ৪ থেকে ৫ সার্ভিং। শাকসবজির এক সার্ভিং মানে এক কাপ কাঁচা শাক বা আধাকাপ রান্না করা শাক।

দানা শস্য ৭ থেকে ৮ সার্ভিং

দানা শস্য প্রতিদিন দরকার ৭ থেকে ৮ সার্ভিং। দানা শস্যের এক সার্ভিংয়ের উদাহরণ হলো এক স্লাইস রুটি অথবা আধাকাপ ভাত বা এক কাপ পরিমাণ গোটা দানা শস্য।

বিচি জাতীয় খাবার

বিচি জাতীয় খাবার প্রতি সপ্তাহে প্রয়োজন ৪ থেকে ৫ সার্ভিং। বিচি জাতীয় খাবারের এক সার্ভিংয়ের উদাহরণ হলো এক কাপের তিন ভাগের এক ভাগ বাদাম বা আধাকাপ রান্না করা শিম বা মটরশুঁটি।

হঠাৎ প্রেসার কমে গেলে কী করবেন?

ব্লাড প্রেসার বা রক্তচাপ মানবদেহে রক্ত সঞ্চালনে চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করে। মানবদেহে রক্তচাপের একটি স্বাভাবিক মাত্রা আছে। তার ওপর ভিত্তি করেই উচ্চ রক্তচাপ বা হাই ব্লাড প্রেসার ও নিম্ন রক্তচাপ বা লো ব্লাড প্রেসার পরিমাপ করা হয়। উচ্চ রক্তচাপের মতোই নিম্ন রক্তচাপও কিন্তু শরীরের জন্য ক্ষতিকর। লো ব্লাড প্রেসারের আরেক নাম হাইপোটেনশন।

চিকিৎসকের মতে, একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের রক্তচাপ থাকে ১২০-৮০। অন্যদিকে রক্তচাপ যদি ৯০-৬০ বা এর আশপাশে থাকে তাহলে লো ব্লাড প্রেসার হিসেবে ধরা হয়। প্রেসার যদি অতিরিক্ত নেমে যায় তাহলে মস্তিষ্ক, কিডনি ও হৃদপিণ্ডে সঠিকভাবে রক্ত প্রবাহিত হতে পারে না তখন এ রোগ দেখা দেয়। আবার অতিরিক্ত পরিশ্রম, দুশ্চিন্তা, ভয় ও স্নায়ুর দুর্বলতা থেকে লো ব্লাড প্রেসার হতে পারে।

আসুন জেনে নেই হঠাৎ প্রেসার কমে গেলে কী করবেন।

লবণ-পানি

লবণ রক্তচাপ বাড়ায়। কারণ এতে সোডিয়াম আছে। তবে পানিতে বেশি লবণ না দেয়াই ভালো। সবচেয়ে ভালো হয়, এক গ্লাস পানিতে দুই চা-চামচ চিনি ও এক-দুই চা-চামচ লবণ মিশিয়ে খেলে। তবে যাদের ডায়াবেটিস আছে, তাদের চিনি বর্জন করাই ভালো।

কফি-হট চকলেট

হঠাৎ করে লো প্রেসার দেখা দিলে এক কাপ কফি খেতে পারেন। স্ট্রং কফি, হট চকোলেট, কমল পানীয়সহ যে কোনো ক্যাফেইনসমৃদ্ধ পানীয় দ্রুত ব্লাড প্রেসার বাড়াতে সাহায্য করে। আর যারা অনেক দিন ধরে এ সমস্যায় ভুগছেন, তারা সকালে ভারি নাশতার পর এক কাপ কফি খেতে পারেন।

বিটের রস

বিটের রস হাই ও লো প্রেসার দুটোর জন্য সমান উপকারী। এটি রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। এভাবে এক সপ্তাহ খেলে উপকার পাবেন।

বাদাম

লো প্রেসার হলে পাঁচটি কাঠবাদাম ও ১৫ থেকে ২০টি চিনাবাদাম খেতে পারেন। এটা প্রেসার বাড়াতে সহায়তা করে।

পুদিনা

ভিটামিন ‘সি’, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম ও প্যান্টোথেনিক উপাদান যা দ্রুত ব্লাড প্রেসার বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে মানসিক অবসাদও দূর করে পুদিনা পাতা। এর পাতা বেটে নিয়ে এর সঙ্গে মধু মিশিয়ে পান করতে পারেন।

যষ্টিমধু

আদিকাল থেকেই যষ্টিমধু বিভিন্ন রোগের মহৌষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এক কাপ পানিতে এক টেবিল চামচ যষ্টিমধু দিয়ে রেখে দিন। ২-৩ ঘণ্টা পর পান করুন। এছাড়া দুধে মধু দিয়ে খেলেও উপকার পাবেন।

স্যালাইন

শরীরে পানিশূন্যতা ও ইলেকট্রোলাইট ভারসাম্যহীনতার কারণে নিম্ন রক্তচাপ হলে শুধু খাবার স্যালাইন মুখে খেলেই প্রেসার বেড়ে যায়। লো ব্লাড প্রাসারে খাবার স্যালাইন সবচেয়ে উপযোগী এবং তাৎক্ষণিক ফলদায়ক।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে আমদানি পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশ বাধাগ্রস্ত

মোঃ রাসেল ইসলাম, বেনাপোল প্রতিনিধি : দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোল চেকপোস্টে আমদানিকৃত পণ্য চালানের তথ্য বিভিন্ন সংস্থার এন্ট্রির পরিবর্তে কাস্টমসের এন্ট্রি করার নির্দেশনামূলক চিঠির কার্যকারিতা এক মাস অতিবাহিত হলেও বাস্তবায়ন করেনি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বেনাপোল স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ। ফলে ভারত থেকে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে আমদানি পণ্যবাহী ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে।

বেনাপোল কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, ভারত থেকে আমদানিকৃত পণ্যের প্রায় ৮০-৮৫ শতাংশ পণ্য এই বন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। বেনাপোল চেকপোস্টে আমদানি পণ্যচালানের তথ্য আগে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ একাই এন্ট্রি করত। বর্তমানে তাদের পাশাপাশি বন্দর কর্তৃপক্ষ ও বিজিবিও এন্ট্রি করে থাকে। পণ্যবাহী ট্রাক/যান সংক্রান্ত তথ্য এন্ট্রি পয়েন্টে একাধিক সংস্থা এন্ট্রি করার জন্য পণ্যজট/যানজটের অন্যতম একটি কারণ বলে উভয় দেশের বন্দর ব্যবহারকারীদের অভিযোগ।

গেলো বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর কাস্টম হাউজে পরামর্শক কমিটির সভায় বিভিন্ন স্টোকহোল্ডারের পক্ষ থেকে এ বিষয়টি জোরালোভাবে উত্থাপন করা হয়। একাধিক সংস্থার তথ্য এন্ট্রির কারণে পণ্য প্রবেশে বিলম্বের বিষয়টিও ভারতীয় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয় সভায় উত্থাপন করেছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে কাস্টমস, বন্দর ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি তাদের প্রতিবেদনেও একাধিক সংস্থা কর্তৃক আমদানি চালানের তথ্য এন্ট্রিকরণকে পণ্য চালান প্রবেশে বিলম্বের কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে।

এই প্রতিবেদনের আলোকে ৪ মার্চ বেনাপোল কাস্টম কমিশনার এক আদেশে জানায় আমদানিকৃত পণ্য সংক্রান্ত মেনিফেস্ট গ্রহণ এবং তা ব্যবস্থিত করার এখতিয়ার কেবলমাত্র কাস্টম কর্তৃপক্ষের। আমদানি পণ্যবাহী যানজট ও পণ্যজট নিরসন এবং পণ্যচালান খালাস ত্বরান্বিতকরণপূর্বক রাজস্ব আহরণে অধিকতর গতিশীলতা আনয়নের লক্ষ্যে আমদানি পণ্যচালানের তথ্য বিভিন্ন সংস্থা কর্তৃক এন্ট্রির পরিবর্তে কেবল কাস্টম কর্তৃপক্ষ কর্তৃক এন্ট্রির প্রবর্তন করা হলো। দি কাস্টমস অ্যাক্ট ১৯৬৯-এর সেকশন ২১৮ বি প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ আদেশ জারি করা হলো। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে। ওই আদেশের পত্র এক মাস আগে বিজিবি ও বন্দর কর্তৃপক্ষকে দেওয়া হলেও তারা এ আদেশ না মেনে এখনো চেকপোস্টে এন্ট্রি চালিয়ে যাচ্ছে। যার ফলে পণ্য আমদানিতে বাধাগ্রস্থ থেকেই যাচ্ছে।যে পরিমান ট্রাক প্রবেশ করার কথা সে পরিমান ট্রাক প্রবেশ করতে পারছে না৷

এ ব্যাপারে বেনাপোল কাস্টম কমিশনার মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন চৌধুরী জানান, দি কাস্টমস অ্যাক্ট ১৯৬৯-এর সেকশন ৪৩ ও ৪৪ এবং সংশ্লিষ্ট ধারা অনুযায়ী আমদানিকৃত পণ্য সংক্রান্ত মেনিফেস্ট গ্রহণ এবং তা ব্যবস্থিত করার এখতিয়ার কেবলমাত্র কাস্টমস কর্তৃপক্ষের। বন্দর কর্তৃপক্ষ তাদের এন্ট্রি বন্ধ করবে বলে আমাকে জানিয়েছেন। বিজিবির সঙ্গেও কথা চলছে। দ্রুত পণ্য আমদানির স্বার্থে সবাই বিষয়টি নিয়ে একমত পোষণ করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

তিনি আরো জানান, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বেনাপোল কাস্টম হাউজে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ৪ হাজার ৫৮৯ কোটি টাকা, যা অর্জনে কাস্টম কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ২৪/৭ নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বন্দরে পণ্য প্রবেশে বাধাগ্রস্থ হলে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অর্থাৎ রাজস্ব পুরনে ব্যর্থ হবে এ কাস্টম হাউজ। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
তিন দশক পর সিনেমার পর্দা উঠল সৌদিতে!

সাড়ে তিন দশক পর সৌদি আরবে উন্মুক্ত হল সিনেমার পর্দা। হলিউডের ‘ব্লাক প্যান্থার’ সিনেমা দিয়ে হলের পর্দা উঠেছে। এখন থেকে হলে গিয়ে সিনেমা দেখতে পাবে দেশটির সাধারণ নাগরিকরা।

রাজধানী রিয়াদের কিং আবদুল্লাহ ফিন্যান্সিয়াল জেলায় গানের কনসার্টের জন্য বানানো একটি হলে এই সিনেমা দেখানো হয়। হলে মোট আসন ছিল পাঁচশটি।

বুধবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যার পরই সিনেমা হলটি কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। পুরুষের পাশাপাশি নারীদের উপস্থিতিও ছিল অনেক। বিশেষ আয়োজন। আর এখানে দর্শকরা ছিলেন আমন্ত্রিত। এর মাধ্যমেই দীর্ঘদিনের নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলো।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অনলাইনের মাধ্যমে টিকেট কিনে দর্শকরা শুক্রবার থেকে এই হলে সিনেমা দেখতে পারবে। তবে দু একদিন দেরিও হতে পারে।

চলতি বছরের গ্রীষ্মের মধ্যে আরও তিনটি পর্দা যুক্ত হবে বলে সম্প্রতি জানিয়েছিলো সৌদি তথ্য মন্ত্রণালয়।

অন্যান্য দেশের মত সৌদিতে সিনেমা মুক্তি দিতে গেলে দেশটির সেন্সর বোর্ডের অনুমতি লাগবে। গতকালও সেন্সর অনুমিত দেয়ার পরই ‘ব্ল্যাক প্যান্থার’ সিনেমা দেখানো হয়েছে। মূল সিনেমার কোন সহিংসতার দৃশ্য কাটা না হলেও একটি ‘চুম্বন’ দৃশ্য কর্তন করা হয়।

সৌদি আরবের তথ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের বিভিন্ন শহরে ৩৫০টি সিনেমা হল এবং দুই হাজার ৫০০টি শোয়ের আয়োজন করা হবে। এছাড়া সৌদির বিনোদন খাতে উন্নয়নের জন্য আগামী পাঁচ বছরে ১৫টি শহরে ৪০টি সিনেমা হল নির্মাণ করা হবে।

এর আগে বিনোদন খাতকে সমৃদ্ধশালী করতে আমেরিকান প্রযোজনা ও নির্মাতা সংস্থা এএমসির সঙ্গে চুক্তি করে সৌদি।

সৌদি আরবের জনসংখ্যা ৩ কোটি ২০ লাখ। তাদের বেশিরভাগই তরুণ যাদের বয়স ৩০-এর নিচে। তাদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করার জন্যই নতুন যুবরাজ বাদশাহ সালমান এটি করেছেন তার ৩২ বছর বয়স্ক পুত্র মোহাম্মদ বিন সালমানকে- যাকে ডাকা হচ্ছে ‘এমবিএস’ নামে। তিনিই এখন সৌদি আরবের ভবিষ্যত গতিপথ তৈরির প্রধান সিদ্ধান্তগুলো নিচ্ছেন।

মোহাম্মদ বিন সালমান ক্রাউন প্রিন্স হওয়ার পরই সৌদিকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। এরমধ্যে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও পররাষ্ট্রনীতিতে ব্যাপক সংস্কারের ঘোষণা দেন তিনি। কট্টর ওহাবী মতাদর্শে পরিচালিত দেশটির নাগরিকদের জীবন যাপনে নানা বিধিনিষেধ আরোপ ছিলো। সেসব বিধিনিষেধের বেশ কয়েকটি শিথিল করা হয়।

এর মধ্যে নারীদের গাড়ি চালানোর ক্ষমতা প্রদান, পশ্চিমাদের আদলে অর্থনৈতিক হাব গড়ার পরিকল্পনা প্রনয়ণ, চলচ্চিত্র প্রদর্শন উপত্যকায় বিকিনি পরার অনুমতি প্রদানসহ সৌদি আরবের ইতিহাসে যুগান্তকারী সব পরিবর্তন এনেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest