সর্বশেষ সংবাদ-

চুটিয়ে প্রেম করছেন শাকিব-বুবলী!

ঢালিউডের জনপ্রিয় জুটি শাকিব খান ও বুবলী নিয়ে কতই না জল্পনা-কল্পনা দর্শকদের। বুবলীর জন্য নাকি ঘর ভেঙেছে শাকিবকে এমনো বলেছে নিন্দুকরা। আর এবার হেলিকপ্টারে বুবলীকে নিয়ে আকাশে উড়াল দিলেন শাকিব। তবে একটি ব্যক্তিগত কোনো রোমান্স ছিল না। এটি ছিল‘সুপারহিরো’ নামের একটি ছবির শুটিং।

ছবিটি পরিচালনা করছেন আশিকুর রহমান। সম্প্রতি ছবিটির প্রথম লটের শুটিং হয়েছে। সেখানে গান ও অ্যাকশন দৃশ্যে অংশ নেন শাকিব-বুবলী।

সাকিবের সঙ্গে হেলিকপ্টারে আকাশ উড়ার সেই অনুভূতি নিজের মধ্যে ধরে রাখতে পারেনি বুবলী। তাই নিজের ফেসবুক ওয়ালে নিজেই প্রকাশ করলেন সেই অনুভূতির কথা। তাই হয়তো পুরনো ছবি শেয়ার করলেন নিজের ফেসবুক ওয়ালে।

ফেসবুকে পোস্ট করা ছবিতে দেখা যায়, ‘সুপারহিরো ছবির টিম যখন হেলিকপ্টারে….’। ছবিটিতে শাকিব ও বুবলী দুজনকেই দেখা গেছে অ্যাকশন মুডে। কালো জ্যাকেট পরে আছেন দুজনেই। তবে বুবলীর পাশে বসে শাকিব রয়েছেন বেশ হাস্যোজ্জ্বল।

বুবলী জানান, ‘ভয়ংকর একটি লোকেশনে কাজ করেছিলাম আমরা। হেলিকপ্টারে চড়ে শুটিং করার অভিজ্ঞতাও ছিল রোমাঞ্চকর ও দারুণ।’

তিনি বলেন, ‘এই ছবির গল্প, টিম সবকিছুই অসাধারণ। ছবিটি দর্শকের মন জয় করবে বলেই আমার বিশ্বাস।’

‘সুপারহিরো’ ছবির শুটিং হয় চট্টগ্রামের দুর্গম এলাকায়। শাকিব-বুবলী শুটিং করেন হেলিকপ্টারেও। তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে ১৫০ জনের টিম কাজ করেছে সেখানে। শুটিং শেষ করে ভালোভাবেই ঢাকাতে ফিরেছেন বুবলী। তার নায়ক শাকিবও সেই ব্যস্ততা কাটিয়ে নতুন করে ব্যস্ত হয়েছেন স্কটল্যান্ডে। সেখানে চলছে ‘ভাইজান এলো রে’ নামের শুটিং।

হার্টবিট প্রোডাকশনের প্রযোজনায় নির্মিত হচ্ছে ‘সুপারহিরো’। ছবির চিত্রনাট্য লিখছেন দেলোয়ার হোসেন দিল। এর অধিকাংশ শুটিং হবে অস্ট্রেলিয়ায়। ছবিতে শাকিব-বুবলী ছাড়া বিভিন্ন চরিত্রে আরও বেশ কয়েকজন তারকা থাকবেন। এরা হলেন বরেণ্য অভিনেতা তারিক আনাম খান, গুণী অভিনেত্রী শম্পা রেজা, হালের অন্যতম আলোচিত ও সম্ভাবনাময়ী অভিনেতা তাসকিন রহমান ও টাইগার রবি প্রমুখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ভোটের আগে বাড়ছে সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা আরেক দফা বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার। মূল্যস্ফীতির চাপ বিবেচনায় নিয়ে নির্বাচনের আগে নতুন বেতন কাঠামো না এলেও মহার্ঘ্য ভাতা ঘোষণা করা হবে। এ সংক্রান্ত একটি কমিটি রয়েছে। সেই কমিটি ইতিমধ্যে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবনা তৈরি করেছে। যা খুব শিগগিরই মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে বলে জানা গেছে। আর আগামী জুনের প্রথম সপ্তাহে জাতীয় সংসদে নতুন ২০১৮-১৯ বাজেট ঘোষণার সময় এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। সে ঘোষণার পর সংসদ নির্বাচনের আগে তারা মহার্ঘ্য ভাতা প্রাপ্য হবেন। এরপর নতুন সরকার ক্ষমতায় এসে নতুনভাবে বেতন কাঠামো নির্ধারণ করবে। অর্থবিভাগের একটি সূত্র এসব তথ্য জানিয়েছে।

সূত্র জানায়, আগামীতে সরকারি চাকুরেদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধির জন্য আর কোনো কমিটি গঠন করা হবে না। এ জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে এ সংক্রান্ত একটি স্থায়ী সেল সরকারি চাকুরেদের বেতন বাড়াবে। এদিকে ‘সরকারি কর্মচারীদের ভবিষ্যৎ বেতন-ভাতা নির্ধারণ ও পরিবর্ধনের বিষয় পর্যালোচনা কমিটি’ সূত্রে জানা গেছে, সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন-ভাতার বিষয়ে যে প্রতিবেদন চূড়ান্ত করা হয়েছে তা শিগগিরই মন্ত্রিসভায় তোলা হবে। এর আগে অর্থ মন্ত্রণালয় প্রতিবেদনটি পর্যালোচনা করবে। সেটি অর্থমন্ত্রীর দফতরে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। সূত্র জানায়, কমিটির প্রতিবেদনে বেতন বাড়ানোর জন্য মূল্যস্ফীতির ভিত্তি ধরা হয়েছে ৫ শতাংশ। গড় মূল্যস্ফীতি ৫ শতাংশ ছাড়ালেই সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাড়বে। এরপরও যদি মূল্যস্ফীতি বাড়ে অর্থাৎ ৬ শতাংশ বা ৭ শতাংশ, তখন কত শতাংশ বেতন বাড়বে তাও প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে কমিটি। চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে অর্থাৎ (অক্টোবর-ডিসেম্বর) দেশের গড় মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৯৩ শতাংশ। এর আগের তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) গড় মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ। সে হিসাবে সরকারি চাকুরেদের বেতন আরেক ধাপ বাড়ানো হচ্ছে। এ ছাড়া সরকারি চাকুরেদের ইনক্রিমেন্ট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৮ শতাংশ করার সুপারিশ করা হয়েছে।

এর আগে সর্বশেষ বেতন-ভাতা বাড়ানোর বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে পাঠানো এক সারসংক্ষেপে অর্থমন্ত্রী নোটে লিখেছিলেন, এবারের বেতন-ভাতা নির্ধারণে লক্ষ্য ছিল এখন থেকে বেতন-ভাতা বাজারের সমতুল্য হবে। এ জন্য ভবিষ্যতে ৫ বছর পরপর আর কমিশন নিয়োগ করতে হবে না। এখন থেকে একজন সিনিয়র কর্মকর্তাকে বেতন-ভাতার বিষয়ে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব দেওয়া হবে। সে অনুযায়ী অর্থ মন্ত্রণালয়ে একটি সেল গঠন করা হচ্ছে। এর আগে সর্বশেষ ২০১৫ সালে সরকারি চাকুরেদের বেতন বাড়ানো হয়েছিল। তার আগে ২০০৯ সালে বাড়ানো হয়েছিল। নিয়ম অনুযায়ী অন্তত পাঁচ বছর পর বেতন-ভাতা বাড়ানোর কথা থাকলেও এ বছর নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসায় আগাম প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রেকর্ড গড়ে সিরিজ জয় পাকিস্তানের

প্রথম ম্যাচেই নিজেদের ইতিহাসে আগের সর্বোচ্চ দলীয় রান ছুঁয়েছিল পাকিস্তান। এবার রেকর্ডটাকে নতুন করে লিখল সরফরাজ বাহিনী। গত ম্যাচের চেয়ে ব্যাটিং ভালো করলওয়েস্ট ইন্ডিজও। তবে টার্গেটের ধারেকাছে ভিড়তে পারেননি ক্যারিবীয়রা।

প্রথমে বাবর আজম ও হুসাইন তালাতের অনবদ্য ব্যাটিংয়ে ৩ উইকেটে ২০৫ রানের পাহাড় গড়ে পাকিস্তান। জবাবে ১৩২ রানে গুটিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৮২ রানে জিতে তিন ম্যাচ সিরিজে ২-০তে লিড নিয়েছে স্বাগতিকরা।

এ নিয়ে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে টানা সাতটি সিরিজ জিতল পাকিস্তান। সরফরাজের নেতৃত্বে এখন পর্যন্ত কোনো সিরিজ হারেনি ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ দলটি।

সোমবার করাচিতে টস জিতে ব্যাট করতে নামা পাকিস্তানের সূচনাটা মোটেও শুভ হয়নি। দ্বিতীয় ওভারে রায়াদ এমরিতের শিকার হয়ে ফেরেন হার্ডহিটার ফখর জামান। তবে দ্বিতীয় উইকেটে বাবর ও তালাতের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে মজবুত ভিত পায় স্বাগতিকরা। অভিষিক্ত ওডিন স্মিথের শিকার হয়ে ফেরার আগে এ ওপেনারের সঙ্গে ১১৯ রানের বিস্ফোরক জুটি গড়েন তালাত (৬৩)।

সঙ্গী হারালেও একপ্রান্ত আগলে রাখেন বাবর। ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোলারদের ওপর চালান স্টিমরোলার। তার বদৌলতে ৩ উইকেটে ২০৫ রানের সংগ্রহ পায় পাকিস্তান। টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে এটি তাদের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। আগেরটি ২০৩, যৌথভাবেএ ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও বাংলাদেশের বিপক্ষে।

দলীয় রেকর্ড হলেও আক্ষেপটা থেকে যাচ্ছে বাবরের। মাত্র ৩ রানের জন্য সেঞ্চুরি পাননি এ মাস্টার পিস। ৫৮ বলে ১৩ চার ও ১ ছক্কায় ৯৭ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন তিনি।

জবাবে শুরুতে আন্দ্রে ফ্লেচারকে হারিয়ে হোঁচট খায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেই বৃত্ত থেকে আর বের হতে পারেননি অতিথিরা। পাল্লা দিয়ে থেকেছেন যাওয়া-আসার মধ্যে। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ৪ বল বাকি থাকতেই গুটিয়ে যান তারা। সর্বোচ্চ ৪০ রান আসে চ্যাডউইক ওয়ালটনের ব্যাট থেকে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২১ রান করেন দিনেশ রামদিন। শেষ ৩২ রান তুলতে ৭ উইকেট খুইয়েছে ক্যারিরিয়ান দ্বীপপুঞ্জের দলটি।

এদিন পাকিস্তানের সেরা বোলার মোহাম্মদ আমির। সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন এ বাঁহাতি। ২টি করে উইকেট নেন শাদাব খান ও হুসাইন তালাত।

৯৭ রানের নান্দনিক ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হয়েছেন বাবর আজম।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পাল্টে গেল ৫ জেলার ইংরেজি বানান

পাঁচ জেলার ইংরেজি বানান পরিবর্তন করা হয়েছে। সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তাঁর তেজগাঁওয়ের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস-সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির (নিকার) সভায় বানান পরিবর্তনের এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

ইংরেজি বানান পরিবর্তন হওয়া এই পাঁচ জেলা হলো চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, বরিশাল, যশোর ও বগুড়া। এর মধ্যে নতুন নিয়মে চট্টগ্রামের নাম হবে Chattogram, কুমিল্লার হবে Cumilla, বরিশাল হবে Barishal, যশোর Jashore ও বগুড়া হবে Bogura.

পূর্বে যথাক্রমে এসব জেলার নামের ইংরেজি বানান ছিল Chittagong, Comilla, Barisal, Jessore ও Bogra.নিকারের বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার ) এন এম জিয়াউল আলম।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ছাত্রলীগ নেতার কাণ্ড!

ভোলার মনপুরায় উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এনাম হাওলাদারের বিরুদ্ধে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষিকাকে লাইব্রেরিতে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় উপজেলার দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নে একটি বিদ্যালয়ে ঘটনা ঘটে।

এছাড়াও ছাত্রলীগ নেতা এনাম হাওলাদার ওই স্কুলের চিলেকোঠা দখল করে গত দেড় বছর অবস্থান করছে বলে জানান স্কুলের শিক্ষক ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার। বর্তমানে ছাত্রলীগ নেতার ভয়ে শিক্ষিকা স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন।

সোমবার অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতার বিচারের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, থানা প্রশাসন, উপজেলা শিক্ষা অফিসারের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করে সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নেতারা।

এর আগে রোববার এই ঘটনায় ওই শিক্ষিকা অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে উপজেলা চেয়ারম্যান, নির্বাহী অফিসার, উপজেলা শিক্ষা অফিসার, প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি ও ইউপি চেয়ারম্যান কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।

অভিযোগকারী শিক্ষিকা জানান, শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার সময় স্কুলের লাইব্রেরিতে অবস্থান করছিলেন। এই সময় ছাত্রলীগ নেতা এনাম হাওলাদার বিস্কুট নেয়ার কথা বলে লাইব্রেরিতে ঢুকে কুপ্রস্তাব দেয়। পরে লাইব্রেরি থেকে চলে যেতে বললে ছাত্রলীগ নেতা ধর্ষণের চেষ্টা চালায়।

পরে ছাত্রলীগ নেতাকে ঝাপটা দিয়ে ফেলে দিয়ে বের হয়ে নিচে এসে দেখি গেটে তালা মারা। পরে কান্নাকাটির শব্দ শুনে এলাকার একজন বৃদ্ধ এসে উদ্ধার করে। তখন ওই ছাত্রলীগ নেতা এই ঘটনার কথা বলতে নিষেধ করেন। এমনকি মেরে ফেলার হুমকি দেন।

এই ব্যাপারে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা এনাম হাওলাদারের মোবাইলফোন গত দুই দিন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। তবে ছাত্রলীগ নেতার বাবা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর মেম্বার জানান, কথা কাটাকাটি হয়েছে অন্য কিছুই না। আমি বিষয়টি সুরাহা করে দিবো বলে শিক্ষিকাকে বলেছি। তবে তিনি স্কুল দখল করে অবস্থান নেয়ার ব্যাপারটি এড়িয়ে যান।

উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শামসুদ্দিন সাগর জানান, ঘটনার প্রমাণ পাওয়া গেলে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ ব্যাপারে অভিযোগকারী শিক্ষিকার স্বামী জানান, ছাত্রলীগ নেতার হুমকিতে তার স্ত্রীর স্কুলে যাওয়া বন্ধ রয়েছে। তিনি এই ঘটনার বিচারের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানা অফিসারসহ সকল দফতরে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।

উপজেলা সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মনোয়ারা বেগম জানান, এই ঘটনা শিক্ষক সমাজ মর্মাহত। আমরা এই ঘটনায় বিচারের দাবিতে উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, থানার ওসি, শিক্ষা অফিসে স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে।

এব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মিজানুর রহমান জানান, অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। ছাত্রলীগ নেতার কাছ থেকে স্কুল দখলমুক্ত করতে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুল আজিজ ভূঁঞা যুগান্তরকে জানান, শিক্ষিকার লিখিত অভিযোগ ও শিক্ষক নেতাদের স্মারকলিপি পাওয়ার পর দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য লিখিতভাবে মনপুরা থানাকে জানানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে মনপুরা থানার ওসি শাহীন খান জানান, ঘটনাটি শিক্ষিকার কাছ থেকে মৌখিক শুনেছি। এছাড়াও ব্যবস্থা নেয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার লিখিতভাবে জানিয়েছেন। শিক্ষিকার লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ধুলিহর আদর্শ বিদ্যালয়ে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণ

ধুলিহর প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা সদরের ধুলিহর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সোমবার সন্ধ্যায় বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণ করা হয়েছে। বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে অভিভাবক, ছাত্র-ছাত্রী, গণ্যমান্য ব্যক্তি ও এলাকার বিপুল সংখ্যক লোকজনের উপস্থিতিতে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও সদর থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শেখ আব্দুর রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব আসাদুজ্জামান বাবু, সদর উপজেলা আ’লীগের সভাপতি আলহাজ্ব এস,এম শওকাত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহাজাহান আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক গণেশ চন্দ্র মন্ডল ও ধুলিহর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান (বাবু সানা)।

এছাড়া অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা আ’লীগের ত্রান ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক স,ম জালাল উদ্দীন, ধুলিহর ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি আজহারুল ইসলাম, মেম্বার মোঃ আনিছুর রহমান, মোঃ গোলাম মোস্তফা, মোঃ আরশাদ আলী, দুলাল চন্দ্র সাহা প্রমূখ। অনুষ্ঠানে অতিথিবৃন্দ বক্তব্য প্রদান শেষে ধুলিহর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার বিভিন্ন ইভেন্টে বিজয়ী ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ফিলিস্তিনি হত্যা নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসছে আরব লিগ

গাজায় ফিলিস্তিনিদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে ইসরাইলি সেনাদের নির্বিচার গুলি ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জরুরি বৈঠকে বসছে আরব লিগ। শুক্রবার গাজায় ইসরাইলি নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ১৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার প্রেক্ষিতে এ উদ্যোগ নেয়া হলো। খবর মিডলইস্ট মনিটরের।

রোববার আরব লিগকে এই বৈঠকে বসার জন্য আহ্বান জানিয়েছিল ফিলিস্তিন। কায়রোতে নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত দিয়াব আল লুহ বলেছিলেন, ‘পদযাত্রার বিরুদ্ধে ইসরাইলি অপরাধের’ বিরুদ্ধে বৈঠকে বসা জরুরি।

সোমবার আরব লিগের ফিলিস্তিন ও দখলকৃত আরব এলাকাবিষয়ক সহকারী মহাসচিব সাইদ আবু আলী এই তথ্য নিশ্চিত করেন। বৈঠকে সৌদি আরব সভাপতিত্ব করবে।

দিয়াব আল লুহ বলেন, আরব লিগকে বৈঠকে বসার জন্য তার দেশ প্রস্তাব দিয়েছেন। আরব লিগের পক্ষ থেকে জানানো হয় গাজা উপত্যকায় চলমান ঘটনাপ্রবাহ গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে তারা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বিএনপির ৯ নেতার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু

সন্দেহজনক লেনদেন, অর্থপাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বিএনপির শীর্ষ ৯ নেতাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে একযোগে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দলটির যেসব নেতার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে তারা হলেন- ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নজরুল ইসলামখান, আবদুল আউয়াল মিন্টু, ও তার ছেলে তাবিথ আউয়াল, এম মোর্শেদ খান ও তার ছেলে ফয়সাল মোর্শেদ খান, হাবিবুন্নবী খান সোহেল।

অনুসন্ধানের এই তালিকায় ঢাকা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমানের নামও রয়েছে। বিএনপির এই নেতাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে কমিশন থেকে সোমবার দুদকের উপপরিচালক মো. সামসুল আলমকে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়।

দায়িত্ব পাওয়া কর্মকর্তা আজকালের মধ্যেই দুদকের ওই কর্মকর্তা বিএনপি নেতাদের ব্যাংক হিসাবে গত এক বছরের লেনদেনের তথ্য চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে চিঠি দেবেন বলে দুদকের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক ছাড়া ও সবকটি তফসিলি ব্যাংকেও চিঠি দেবেন অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা। ব্যাংকের কাছ থেকে তথ্য আসার পর অভিযোগের বিষয়ে বিএনপির ওই নেতাদের জিজ্ঞাসাবাদ করবে দুদক।

সূত্র জানায়, বিএনপির ওই নেতাদের বিরুদ্ধে সন্দেহভাজন লেনদেন, অর্থপাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগটি একটি গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে পাওয়ার পর তা আমলে নিয়ে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে দুদক সচিব ড. শামসুল আরেফিন রোববার বলেন, কার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে তাদের নাম আমি বলতে পারব না। তবে এটুকু বলতে পারি অন্যদের বিষয়ে অনুসন্ধান তদন্ত যেভাবে হয় তাদের (বিএনপি নেতা) বিষয়েও একইভাবে অনুসন্ধান কাজ চলবে। এতে অতিরিক্ত কোনো গুরুত্ব দেয়া বা কেউ নেতা কিনা সেটা বিবেচ্য বিষয় নয়। মানুষের প্রত্যাশা হচ্ছে দুদক সরকারের বাইরে থেকে স্বাধীনভাবে কাজ করবে। আমরা সেটাই করছি।

অভিযোগে বলা হয়েছে, বিএনপির এই কয়েক নেতাসহ আরও কিছু উচ্চপর্যায়ের নেতা এইচএসবিসি ব্যাংক, আরব বাংলাদেশ ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক, ডাচ-বাংলা ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ও ঢাকা ব্যাংকসহ বিভিন্ন বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে বিগত দশকে বিদেশে টাকা পাচার করেছেন। বিভিন্ন নাশকতার কাজে অর্থলেনদেন করেছেন।

এতে বলা হয়, বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতার ব্যাংক হিসাব থেকে গত ৩০ দিনে প্রায় ১২৫ কোটি টাকা উত্তোলন করেছেন। নাশকতা সৃষ্টির জন্যই এই টাকা উত্তোলন করা হয়েছে বলে ওই রিপোর্টে বলা হয়।

দুদকের কাছে রক্ষিত গোয়েন্দা অভিযোগ থেকে আরও জানা যায়, আবদুল আউয়াল মিন্টুর এইচএসবিসি ব্যাংকের হিসাব থেকে গত ১১ ফেব্রুয়ারি তিনটি চেকের মাধ্যমে ১১ কোটি টাকা উত্তোলন করা হয়। তিনটিই ক্যাশ চেক। এর মধ্যে ৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা এবং ৫ কোটি ২৫ লাখ টাকার দুটি চেক ঢাকায় নগদায়ন করা হলেও তৃতীয় চেকের অর্থ উত্তোলন কর হয় চট্টগ্রাম থেকে।

১৫ ফেব্রুয়ারি আবদুল আউয়াল মিন্টুর স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের হিসাব থেকে দুটি চেকের মাধ্যমে নগদে উত্তোলন করা হয় ৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এর একটি চেক নগদায়ন করা হয় কুমিল্লা থেকে। ২০ ফেব্রুয়ারি আবদুল আউয়াল মিন্টু ফাস্ট সিকিউরিটি ব্যাংকের হিসাব থেকে ৭ কোটি ৯০ লাখ টাকা উত্তোলন করেন। এর মধ্যে ৭ কোটি ১৫ লাখ টাকার একটি চেক নগদায়ন করা হয় খুলনা থেকে।

আবদুল আউয়াল মিন্টুর ২৫ ফেব্রুয়ারি এইচএসবিসি ব্যাংকের হিসাব থেকে আরও দুটি চেকের মাধ্যমে ৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা উত্তোলন করেন।

অভিযোগে বলা হয়, ১২ ফেব্রুয়ারি আবদুল আউয়াল মিন্টুর ছেলে তাবিথ আউয়ালের স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের হিসাব থেকে ১৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকা নগদ উত্তোলন করা হয়। ১৮ ফেব্রুয়ারি তার ন্যাশনাল ব্যাংকের হিসাব থেকে ৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকা, ২২ ফেব্রুয়ারি ৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা উত্তোলন করেন। এর মধ্যে ৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা উত্তোলন করা হয় ব্যাংকটির নারায়ণগঞ্জ শাখা থেকে।

অন্যদিকে বিএনপি নেতা মোর্শেদ খান আরব বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব থেকে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি চারটি চেকের মাধ্যমে ১৮ কোটি টাকা উত্তোলন করেন। এর মধ্যে চারটি চেকের মাধ্যমে ২৫ কোটি টাকা উত্তোলন করা হয় নারায়ণগঞ্জ থেকে। মোর্শেদ খানের ছেলে ফয়সাল মোর্শেদ খানের স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংকের হিসাব থেকে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি চারটি চেকের মাধ্যমে তোলা হয় ৯ কোটি টাকা।প্রতিবেদনে বলা হয়, ফয়সাল মোর্শেদ খান বর্তমানে দেশের বাইরে থাকার পরও কীভাবে এত বিপুল টাকা নগদায়ন করা হলো সেটি একটি বড় প্রশ্ন। এছাড়া ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ডাচ বাংলা ব্যাংকের হিসাব থেকে গত ৩ মার্চ থেকে ১২ মার্চের মধ্যে ১২টি চেকের মাধ্যমে ২১ কোটি টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬টি চেকের অর্থ উত্তোলন করা হয় ঢাকার বাইরে থেকে। মির্জা আব্বাসের ঢাকা ব্যাংকের একটি হিসাব থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি ১১ কোটি ৫০ লাখ টাকা, ৪ মার্চ আরও ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা নগদায়ন করা হয়।

অভিযোগে বলা হয়, মির্জা আব্বাসের সঙ্গে ঢাকা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুবর রহমানের আঁতাত রয়েছে। বিভিন্ন অবৈধ লেনদেন ও মানি লন্ডারিংয়ের অপরাধে সৈয়দ মাহবুবুর রহমান মির্জা আব্বাসের সহযোগী হিসেবে কাজ করেন। সৈয়দ মাহবুবুর রহমান নিজেও শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। অন্যদিকে নজরুল ইসলাম খান ও হাবিবুন্নবী খান সোহেলের বিষয়ে এতে বলা হয়, তারা তাদের ব্যাংক হিসাব থেকে গত ২ সপ্তাহে ৭ কোটি টাকা উত্তোলন করেছেন। তবে কোন ব্যাংক থেকে এই দুই নেতা অর্থ উত্তোলন করেন গোয়েন্দা প্রতিবেদনে তার উল্লেখ নেই বলে দুদক সূত্র জানায়।

প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, ২০১৪-১৫ সালে দেশে নাশকতা ও অরাজকতা সৃষ্টির আগে বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে অস্বাভাবিক ও নগদ লেনদেনের ঠিক একই রকম তথ্য পাওয়া যায়। পরবর্তীতে ঠিকই বিএনপি নেতারা দেশে জ্বালাও পোড়াওয়ের মাধ্যমে দেশে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেন। এতে বলা হয়, বিএনপি নেতাদের এসব অবৈধ লেনদেনে ও টাকা পাচারে সহায়তা করছে সংশ্লিষ্ট কয়েকটি ব্যাংক।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বিএনপি নেতারা অবৈধভাবে টাকা পাচার করে মালয়েশিয়ায় সেকেন্ডহোমসহ বিদেশে অনেক ব্যাংকে হাজার হাজার কোটি টাকা ডিপোজিট করেছেন। সরকারি ব্যাংকে লেনদেন করলে ধরা পড়ে যাবেন এই ভয়ে তারা অবৈধ লেনদেনের জন্য বেসরকারি ওই ব্যাংকগুলোকে বেছে নিয়েছেন। ব্যাংকগুলোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নামেও দেশে বিদেশে একাধিক বাড়ি গাড়ি ও বিভিন্ন ব্যবসায় শেয়ার রয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest