সর্বশেষ সংবাদ-

উপকূলে অনাবৃষ্টি; ফসল সংকটের আশংখা কৃষকের

গাজী আল ইমরান, শ্যামনগর: শ্যামনগর উপজেলার ধুমঘাট গ্রামের বিভিন্ন স্থানে স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে অনাবৃষ্টি ও উপকূলীয় কৃষি সংকট বিষয়ে নেওয়া তথ্যমতে অনাবৃষ্টির কারনে মাঠে পুড়ছে বোরো ধান । ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে মাঠ। ক্ষরার ফলে অধিক হারে বেড়েছে লবনাক্ততা। একই জমিতে একপাশে ধানের অবস্থা ভালো দেখলেও অন্যপাশে লবন ওঠার কারনে ধান গাছ শুকিয়ে যাচ্ছে। মিষ্টি পানির আধার না থাকায় কৃষকরা ঝুঁকেছে স্যালোর পানির দিকে। তাতেও ভালো ফল পাচ্ছেনা কৃষকরা। অন্যবারের চেয়ে অধিক হারে খরচ বেড়েছে কৃষকদের। স্যালো দিয়ে পানি তোলার কারনে জ্বালানী খরচ লেগেছে দিগুন। আর কিটনাশকের খরচ তো বলার অপেক্ষা রাখেনা।
অনাবৃষ্টির কারনে আমের মুকুল,কাঠালের ফুল,আমড়া, লেবুর ফুল শুকিয়ে পড়ে যাচ্ছে বলে জানান স্থানীয় কৃষক সামসুর রহমান। তিনি বলেন ,অন্যান্য বছর গুলোতে এসময় বর্ষার দেখা মিললেও এ বছর বৃষ্টির ফোটা চোখে পড়েনি।ফষলের পাশাপাশি গবাদি পশু বিভিন্ন ধরণের রোগে আক্রান্ত হচ্ছে এমনকি মারাও যাচ্ছে বলে জানা যায়। তাছাড়া বর্ষা না হওয়া এবং তাপের কারনে লবন কেটে উঠছে বলে তিনি জানান। চারদিকে লোনা পানির কারনে মানুষের পাশাপাশি গবাদি পশু পানির সংকটে ভূগছে বলে ভিন্ন সুরে জানান সামসুর রহমান।
এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ বািড়তে সবজি ক্ষেত শুকিযে তামাক হয়ে গেছে প্রায়। জমিতে পানির অভাবে একেবারেই হাড় উঠে গেছে লক্ষ করা যায়।
অনাবৃষ্টি নিয়ে কথা বলতে গেলে , চরারচকের কৃষক গনেশ মন্ডল বলেন, একেবারে সব শেষ হয়ে গেছে। গত বছর আড়াই বিঘা জমিতে ৮ হাজার টাকা খরচ হলেও এবছর ১৫০০০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। গনেশ মন্ডল আক্ষেপের সাথে বলেন, বর্ষা না হওযার কারনে আমাদের অনেক দূর থেকে পানি আনতে হচ্ছে। অথচ আমাদের জমির পাশেই পানি থাকলেও আমরা সেটা ব্যবহার করেতে পারছিনা। কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন,কয়েকজন মানুষ খালে লোনা পানি তোলার কারনে সেটা ব্যবহারের অনুপযোগি হয়ে উঠেছে। এটা আমাদের মরার উপর খাড়ার বাড়ি দেওয়ার মত।
অনাবৃষ্টির কারনে আগামী বছর গুলোতে বোরো ধানের চাষ কমিয়ে আনবে বলে চিন্তা করছে এখানকার কৃষকরা।কারন হিসাবে, চলতি মৌসুমে বিঘা প্রতি অধিকহারে খরচ বেড়ে যাওয়াকে দায়ী করেছের তিনি।এ বিষয়ে আক্ষেপের সুরে স্থানীয় কৃষক বাবু গায়েন বলেন, গত বছরের তুলনায় এবছর যে হারে খরচ বেড়েছে তাতে করে আগামী মৌসুমে বোরো ধান চাষ করবো কিনা তা নিয়ে সংশয়ে আছি।গত বছর চৈত্র্যর মাঝামাঝি সময়ে বর্ষা হলেও এ বছর বর্ষার দেখা মেলেনি। বর্ষা না হওযার কারনে এবারের মৌসুমে তেল খরচ বেশি ,কিটনাশক,শ্রম সবকিছুই বেশী লেগেছে। বিশেষ করে পানির জোগান দিতে নারীদেরকেও মাঠে কাজের সহযোগী হিসাবে বেশ সময় ব্যয় করতে হচ্ছে বলে তিনি জানান।
বিষয়টি নিয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আবুল হোসেন মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, বর্ষা না হওয়ায় অবশ্যই মাঠে কৃষকের ক্ষতি হচ্ছে। অন্যবার এমন সময়ে বর্ষা হলেও এবার তা হয়নি ফলে কৃষকের ক্ষতি হচ্ছে। মাঠে লবনাক্ততা বেড়ে যাচ্ছে। কয়েক বছর পূর্বে সরকারি ভাবে ভর্তুকি দিয়ে কৃষককে ডিজেলের ব্যবস্থা থাকলেও এখন আর সে ব্যবস্থা নেই ফলে কৃষক বোরো চাষে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
আমাদের চালের বড় জোগান আসে বোরো মৌসুমে। তাই সরকারের উচিত বোরো ধান চাষের প্রতি কৃষকদের উৎসাহ বাড়ানোর পদক্ষেপ নেওয়া। তাহলে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা ঝুঁকিমুক্ত থাকবে। এমনটি আশা এখানকার স্থানীয় কৃষকদের।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
প্রশ্ন ফাঁস রোধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবিতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: সাতক্ষীরায় ০১ এপ্রিল ২০১৮ রবিবার প্রশ্ন ফাঁসের ফলাফল ও প্রভাব সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং প্রশ্ন ফাঁস রোধে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের দাবীতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ওপর চাপ সৃষ্টি ও জনমত গঠনের লক্ষ্যে সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) সাতক্ষীরার পক্ষ থেকে রবিবার সকাল ১১টায় এক মানবন্ধন কর্মসূচি আয়োজন করা হয়।
সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এ মানববন্ধনে প্রশ্ন ফাঁস রোধে সনাক-টিআইবি’র ৯ দফা সুপারিশমালা উপস্থাপন করা হয়। সুপারিশমালাগুলো যথাক্রমে: ‘পাবলিক পরীক্ষাসমূহ (অপরাধ) (সংশোধন) ১৯৯২ এর ৪ ধারা পুনরায় সংশোধন করে শাস্তির মাত্রা পূর্বের ন্যায় সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদ-ের বিধান প্রণয়ন এবং নির্দিষ্ট ধারা অনুযায়ী দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করা’; ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্য বন্ধ নীতিমালা-২০১২’ এর অস্পষ্টতা দূর করা এবং কোচিং বাণিজ্য বন্ধে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্টদের বিভিন্ন প্রণোদনাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা; প্রশ্ন ফাঁস রোধ ও সৃজনশীল পদ্ধতির উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে গাইড বইয়ের আদলে প্রকাশিত সহায়ক গ্রন্থাবলী বন্ধে প্রচলিত আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করা; তথ্য প্রযুক্তির অপব্যবহার রোধে তদারকি বাড়ানো ও প্রচলিত আইনের অধীনে শাস্তি নিশ্চিত করা; ধাপ কমিয়ে প্রশ্ন প্রণয়ন, ছাপানো ও বিতরণের কাজটি পরীক্ষামূলকভাবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে সম্পন্ন করা এবং পরবর্তীতে সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা; প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে গঠিত তদন্ত প্রতিবেদনসমূহ জনসম্মুখে প্রকাশ এবং সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা; শিক্ষা ও পরীক্ষা পদ্ধতি এবং ব্যবস্থাপনাগত যে কোনো পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সকলকে পর্যাপ্ত সময় দেওয়া এবং যথাযথ প্রশিক্ষণ প্রদান করা; প্রশ্ন ফাঁস রোধে বহুনির্বাচনী প্রশ্নব্যবস্থা ক্রমান্বয়ে তুলে দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা; পাবলিক পরীক্ষায় প্রতিটি বিষয়ে প্রশ্নপত্রের একাধিক সেট রাখা।

সনাক শিক্ষা বিষয়ক উপ-কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর আব্দুল হামিদ বলেন, ‘প্রশ্ন ফাঁসের মাধ্যমে সমগ্র শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ছে এবং এর ফলে মেধা যাচাই অসম্ভব হয়ে উঠছে। মেধাভিত্তিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে সরকারকে এখনই এ বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। পাশাপাশি অভিভাবকদেরও সচেতন হতে হবে।’

মানবন্ধনে অংশগ্রহণকারী বক্তাগণ বলেন, প্রশ্ন ফাঁস ইস্যুতে একে-অপরকে দোষারোপ করার যে অপসংস্কৃতির দুষ্টু চত্রু চলছে তার অবসান হওয়া চাই। যে ব্যক্তি বা গোষ্ঠীই প্রশ্ন ফাঁসে জড়িত থাকুক না কেন তাকে প্রচলিত আইন সংশোধন করে সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।ু

সনাক সাতক্ষীরার সহ-সভাপতি মো. তৈয়েব হাসান এর সভাপতিত্বে মানবন্ধনে আরো বক্তব্য প্রদান করেন, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহম্মেদ, সনাক সদস্য ড. দিলারা বেগম, মোমেনা খানম, মো. অলিউর রহমান, নাগরিক কমিটি সাতক্ষীরার আহ্বায়ক মো. আনিছুর রহিম, স্বদেশ নির্বাহী পরিচালক মধাব দত্ত, গাভা আইডিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ শিব পদ গাইন, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ সাতক্ষীরা শাখার সাধারণ সম্পাদক জোৎন্সা দত্ত, বরসার সহকারি পরিচালক নাজমুল আলম মুন্না, ইয়েস সহ-দল নেতা মনিরুল ইসলাম প্রমুখ। অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, সনাক সহ-সভাপতি ভারতেশ^রী বিশ^াস, সদস্য পবিত্র মোহন দাশ, স্বজন সদস্য সৈয়দা সুলতানা শীলা, সুকদেব কুমার বিশ^াস, মুনিরুজ্জামান মুন্না, ইয়েস ও ইয়েস ফ্রেন্ডস সদস্য, প্রথম আলো বন্ধু সভা, হিমু পরিবহনসহ বিভিন্ন সমমনা সংগঠনের প্রতিনিধিগণ। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন টিআইবি এরিয়া ম্যানেজার আবুল ফজল মো. আহাদ। উল্লেখ্য, টিআইবির’র অনুপ্রেরণায় গঠিত সচেতন নাগরিক কমিটির উদ্যোগে ঢাকাসহ আরো ৪৫টি অঞ্চলে একযোগে এ মানবন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
নিরামিষেই উচ্চ প্রোটিন

খাবারের বিভিন্ন উপাদানের মধ্যে প্রোটিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সুস্বাস্থ্য গঠনে প্রোটিন বেশ কাজে দেয়। শুধু নিরামিষ খেয়েও প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব। এমন নিরামিষ খাবারের তালিকা নিয়েই আজকের টিপস।

মটরশুটি

মটরশুটিতে আছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিনসহ পুষ্টিসমৃদ্ধ নানা উপাদান। এতে ফ্যাট ও ক্যালরি কম থাকায় এটি দেহের সঠিক ওজন বজায় রাখতেও সহায়তা করে।

ডাল

বিভিন্ন ধরনের ডালে আছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন। তবে এক ধরনের ডালে শরীরের সব ধরনের প্রোটিনের চাহিদা পূরণ হয় না। সে ক্ষেত্রে কয়েক ধরনের ডাল একসঙ্গে করে রান্না করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।

শিমের বীজ

শিম কিংবা শিমের বীজে যথেষ্ট পরিমাণে প্রোটিন আছে। বিশেষ করে লাল শিমের পুষ্ট বীজ বেশি পুষ্টিকর। এতে প্রয়োজনীয় কার্বোহাইড্রেট ও আঁশ আছে।

ডাবলি বুট

ডাবলি বুটে আছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন। এটি দিয়ে নানা মজাদার তরকারি বানানো যায়। গমের লাল আটার রুটি দিয়ে এটি খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়।

বেসনের রুটি

বেসন যেমন মজাদার তেমন প্রোটিনেরও ভালো উৎস। এটি ক্ষতিকর গ্লুটেনমুক্ত। বেসন খাওয়ার ভালো উপায় হতে পারে বেসনের রুটি, পরোটা কিংবা পিঠা।

— টাইমস অব ইন্ডিয়া অবলম্বনে

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ‘রেকর্ড’ হারের লজ্জা দিল পাকিস্তান

তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টির প্রথমটিতে পাকিস্তানের সঙ্গে লজ্জার রেকর্ড গড়ে হারল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। করাচির ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে পাকিস্তান ১৪৩ রানে হারিয়ে এমন লজ্জাই দিলো বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের।

এদিন খেলতে নেমে নিজেদের সর্বনিম্ন রানে অলআউট হয়েছে উইন্ডিজ। আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ২০৩ রানের বড় পুঁজি পায় পাকিস্তান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৩.৪ ওভারে ৬০ রানেই অলআউট ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এটিই ওয়েস্ট ইন্ডিজের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে সবচেয়ে কম রানে অলআউট হওয়ার লজ্জা। আগেরটি ছিল ৭৯ রানের। ২০১০ সালে পোর্ট অব স্পেনে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এ স্কোর গড়ে তারা।

২০৪ রানের মত বিশাল লক্ষ্যে খেলতে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটাই ছিল হতাশার। দলীয় ৬ রানে প্রথম উইকেটের পর ৩৩ এ যেতেই টপঅর্ডারের ৬ ব্যাটসম্যান নেই সফরকারীদের। এ ছাড়া টপঅর্ডারে আন্দ্রে ফ্লেচার, জেসন মোহাম্মদ ও দিনেশ রামদিনের মতো ব্যাটসম্যানরা রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফেরেন।

পাকিস্তানের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন মোহাম্মদ আমির, মোহাম্মদ নওয়াজ ও শোয়েব মালিক। আমন্ত্রণ জানিয়ে আনা অতিথিদের এক রকম এ ত্রয়ীই গুঁড়িয়ে দিয়েছেন।

রেকর্ডগড়া প্রথম ম্যাচের পর দ্বিতীয় ম্যাচে আজই ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হবে তারা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ওজন কমায় পেয়ারা পাতা

পেয়ারায় অনেক বেশি ভিটামিন সি ও এ রয়েছে। আপনারা জেনে অবাক হবেন একটি পেয়ারাতে সমান আকৃতির একটি কমলার ৪ গুন এবং একটি লেবুর ১০ গুন বেশি ভিটামিন সি রয়েছে। এছাড়াও এতে রয়েছে ভিটামিন বি২, কে, আঁশ, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, কপার, ফোলেট ও ম্যাঙ্গানিজ এবং এতে কোন চর্বি নেই। বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন রন্ধন প্রক্রিয়ায় এই ফলটি একটি মিষ্টি ও সুস্বাদু উপাদান হিসাবে ব্যবহৃত হয়। পেয়ারার জুস একটি শক্তিদায়ক পানীয়।

তবে এক্ষেত্রে পেয়ারা পাতাও কিছু কম যায় না। চুলের যত্ন থেকে শুরু করে কাশির সমস্যা সবকিছুর সমাধান মিলবে এই পেয়ারা পাতা থেকেই। তবে চলুন দেরী না করে জেনে নেওয়া যাক, পেয়ারা পাতার উপকারী দিকগুলো-

১) থাইরয়েডের সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে:

থাইরয়েড জন্য উপকারী কপারের খুব ভালো উৎস হচ্ছে পেয়ারা পাতা। এটি আমাদের দেহের খুব গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থি যা দেহের হরমোন ও অর্গান সিস্টেমকে নিয়ন্ত্রণ করে।আর কপার দেহের হরমোন উৎপাদন ও শোষণকে নিয়ন্ত্রণে সাহায্য এবং এর পটাশিয়াম ও শক্তিশালী প্রদাহনিরামক গুনাগুন থাইরয়েডের কাজকে উন্নত করতে সহায়তা করে।।তাই থাইরয়েড সংক্রান্ত সমস্যা দূর করার জন্য পেয়ারা ও পেয়ারা পাতাকে খাদ্য তালিকার গুরুত্বপূর্ণ অংশ করে নিতে হবে। এছাড়াও পেয়ারা দেহের শক্তি বৃদ্ধি ও ওজন কমানোর কাজকে সহজ করে দেয়।

২) চুলের যত্নে পেয়ারা পাতা:

পেয়ারা থেকে পেয়ারার পাতাই কিন্তু আপনার চুলের জন্য বেশি উপকারী। চুল পড়া টেনশনে যাদের রাতের ঘুম হারাম তাদের জন্য আছে এক কার্যকরি উপায়। এক লিটার পানিতে একমুঠো পেয়ারা পাতা দিয়ে ভালো করে গরম করে ফুটিয়ে নিন। এবার দ্রবণটিকে কক্ষ তাপমাত্রায় ঠান্ডা করুন। তেলের মত মাথার ত্বক থেকে শুরু করে আগা পর্যন্ত দ্রবনটি লাগান। প্রতিদিন ব্যবহারে আপনার চুলপড়ার হার অনেকাংশে কমে যাবে।

৩) রক্তের শর্করা কমাতে পেয়ারা পাতা:

ডায়বেটিস রোগীদের জন্য পেয়ারা পাতা যেন আশির্বাদ স্বরূপ। কেননা, পেয়ারা পাতা দিয়ে বানানো চা নিয়মিত পান করলে, এই চা দেহের ইনসুলিন এর মাত্রা বৃদ্ধি ব্যাতিত ই শরীরের রক্তের শর্করার পরিমাণ কমাতে পারে।

৪) শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে পেয়ারা পাতা:

পেয়ারা পাতা শ্বসনতন্ত্রের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। এটা ব্রংকাইটিস এবং কাশির জন্য একটি চিকিত্সা হিসাবে ব্যবহার করা হয়।

৫) ওজন কমাতে সাহায্য করে:

ওজন কমাতে পেয়ারা পাতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শরীরের মধ্যেকার কমপ্লেক্স স্টার্চকে সুগারে পরিণত করতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, পেয়ারা পাতা রক্তে আলফা গ্লুকোডাইজ এনজাইম অ্যাক্টিভিটির পরিমাণ কমিয়ে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মশা মারতে রাডার বসালো চীন!

মানুষ পৃথিবীর বড় বড় হিংস্র প্রাণীকে অনেক সময় ভয় পান না। কিন্তু অতি ক্ষুদ্র প্রাণী মশার ভয়ে মশারি নাম খাঁচায় বন্দি করে রাখে নিজেকে। এটা আসলে ভয়ে বলা যাবে না মানুষ মশার কামড়ে অতিষ্ট হয়েই এমনটি করেন।

সম্প্রতি মশার কামড়ে অতিষ্ট হয়ে চীন সরকার শেষ পর্যন্ত সামরিক বাহিনীর সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে মশা মারার নির্দেশ দিয়েছে। অনেকেই ভাবছেন এটা মিথ্যা খবর বা গল্প, কিন্তু না এটা বাস্তব।

এই কাজে চীন সরকারের হাতে থাকা আধুনিক রাডার প্রযুক্তি নিয়োগ করা হয়েছে। এই রাডার দীর্ঘ দুই কিলোমিটার এলাকার মধ্যে থাকা যে কোনো মশাকে শনাক্ত করতে এবং তা লেজার প্রযুক্তির মাধ্যমে মেরে ফেলতে পারে।

মশা হেলাফেলা করার মতো কোনো প্রাণী না। মশার কামড়ে ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গুর মতো রোগে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যায়। এ কারণেই হয়তো মশা নিধনে সর্বাধুনিক রাডার বসিয়েছে চীন।

শত্রু পক্ষের ধেয়ে আসা ক্ষেপণাস্ত্রকে চিহ্নিত করতে যে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়, অনেকটা সে প্রযুক্তি ব্যবহার করেই এবার মশার বংশ ধ্বংস করতে চায় দেশটি।

বেইজিং ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজির ডিফেন্স ল্যাবরেটরিতে তৈরি হচ্ছে এ রাডার। আপাতত যন্ত্রটির প্রোটোটাইপ তৈরি হয়েছে। আশপাশের দুই কিলোমিটার এলাকা জুড়ে একটি মশাও খুঁজে পেলে এ রাডার তা জানিয়ে দেবে।

এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত এক কর্মকর্তা জানান, সাফল্য পেলে মানবজাতির পক্ষে আশীর্বাদ হয়ে উঠবে এ যন্ত্র। কী কাজ করবে এ যন্ত্র?

উত্তরে ওই কর্মকর্তা জানান, এ যন্ত্র থেকে এক ধরনের তড়িৎ-চুম্বকীয় তরঙ্গ বেরোবে যা আশপাশের দুই কিলোমিটার পর্যন্ত মশাদের খুঁটিনাটি চরিত্রও জানিয়ে দেবে কন্ট্রোল রুমে বসে থাকা বিজ্ঞানীদের। ওই মশাটি কোন জাতের, মশাটির লিঙ্গ, মশাটি কত জোরে উড়ছে কিংবা কোনদিকে উড়ে যাচ্ছে- এসবই ল্যাবে বসে জানা যাবে। এরপরই মশাটি নিধন করা হবে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।

এ প্রকল্পের আওতায় বর্তমানে দুটি রাডার নির্মিত হলেও ভবিষ্যতে আরো কয়েকটি রাডার বানানোর পরিকল্পনা করেছেন চীনা বিজ্ঞানীরা।

এ বিষয়ে ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের দাবি করেন- প্রত্যেক বছর মশার কামড়ে প্রায় ১০ লাখ মানুষ মারা যায়। আধুনিক সভ্যতা ও পরবর্তী প্রজন্মকে বাঁচাতে তাই এবার মশার বংশ নিধন করতে উদ্যোগ নিয়েছে চীন সরকার।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ডিভোর্স হতে যাচ্ছে অভিষেক-ঐশ্বরিয়ার

অনেক দিন ধরেই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল অভিষেক-ঐশ্বরিয়াকে। শেষ পর্যন্ত সেই গুঞ্জনই সত্যি হলো। দীর্ঘ দিনের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানতে চলেছেন অভিষেক বচ্চন ও ঐশ্বরিয়া রাই।

এ নিয়ে নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে পরিবারের দুঃসময় প্রকাশ করেই ফেললেন বলিউড শাহেনশা বিগ বি।

বলিউড শাহেনশা সরাসরি তেমন কিছু না বললেও। ইতোমধ্যে মনের বিষাদ প্রকাশ করে ফেলেছেন অমিতাভ বচ্চন।

জানা গেছে, শাশুড়ি আর ননদের দাপটেই নিত্যদিন অশান্তি লেগে থাকত বচ্চন পরিবারে।

তাই তো আলাদা বাড়িতে থাকতেও শুরু করেছিলেন অভিষেক-ঐশ্বরিয়া। কিন্তু তাতেও টিকল না তাদের সম্পর্ক। শেষ পর্যন্ত আদালতের কাঠগরায় পৌঁছাল বচ্চন পরিবারের বিবাদ।

অ্যাশের নাকি জয়া বচ্চনের সঙ্গে একেবারেই বনিবনা হচ্ছিল না। আগুনে ঘৃতাহুতি পড়ে ‘অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল’-এর সময়। এই ছবিতে পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেছেন ঐশ্বরিয়া। তবে রণবীরের সঙ্গে তার বেশ কিছু ঘনিষ্ঠ দৃশ্য কোনো ভাবেই মেনে নিতে পারেননি শাশুড়ি। আর এতেই ক্ষেপে যান জয়া বচ্চন।

নিজের পুত্রবধূর এমন স্পর্ধায় বিবাদ চরমে পৌঁছায়। এছাড়া বাবার বাড়িতে অমিতাভ-জয়ার কন্যা শ্বেতার প্রতিপত্তি নিয়ে আপত্তি তোলেন ঐশ্বরিয়া রাই। আর এতে করেই পারিবারিক বিবাদ চরম সীমায় পৌঁছে যায়।

এ কারণে নাকি অনেকটা বাধ্য হয়েই একমাত্র মেয়ে আরাধ্যা ও স্ত্রী ঐশ্বরিয়াকে নিয়ে আলাদা ফ্ল্যাটে ওঠে বচ্চন পুত্র অভিষেক। কিন্তু সেখানেও শ্বশুর বাড়ির লোকজনের আনাগোনা পছন্দ করতেন না ঐশ্বরিয়া রাই।

বলা যায়, অভিষেকের অভিনয় কেরিয়ারে এমনিতেই মন্দা চলছে। এর উপরে ঐশ্বরিয়া যদি স্বাধীনভাবে সিনেমা না করতে পারেন, তাহলে মেয়ে আরাধ্যা কে কেমন করে লালনপালন করবেন? এই প্রশ্নে দাম্পত্য কলহ শুরু হয়ে যায়। যার পরিণাম এই পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে।

তবে স্ত্রীর অ্যাশের উচ্চাকাঙ্ক্ষা সামলানো সম্ভব হলো না অভিষেকের পক্ষে। তাই আদালত পর্যন্ত গড়াল বচ্চন পরিবারের দ্বন্দ্ব। আর শেষ পর্যন্ত ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেললেন অভিষেক-ঐশ্বরিয়া দম্পতি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
যে গ্রামে পর্ন দেখা সম্পূর্ণ ফ্রি!

সভ্যতার এই যুগে দিনে দিনে মানুষ আরো সভ্য হচ্ছে। তবুও আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর বিশ্বে অনেক মানুষ বিভিন্ন নিচু কাজের সঙ্গে জড়িত রয়েছে। এরমধ্য অন্যতম একটি হলো- আকাশ সংস্কৃতি বা নীল ছবি। এটার প্রভাবে অনেক সময় ধর্ষণ মতো ঘটনা ঘটে।

কিন্তু এমনও গ্রাম আছে যেখানে ফ্রি’তে পর্ন দেখার সুবিধা রয়েছে। সেটি হলো-

ভারতের তামিলনাড়ুর প্রত্যন্ত গ্রামটির নাম কামবাম। আর এমন নামের কারণেই ওই গ্রামের বাসিন্দারা বিনামূল্যে পর্ন ভিডিও দেখার সুযোগ পাবে। এ সুযোগটি দিচ্ছে মার্কিন এক পর্ন সংস্থা। খবর টাইমস অফ ইন্ডিয়া।

পৃথিবীর যেসব জায়গা বা স্থানের নামের সঙ্গে যৌনতার অর্থ জড়িয়ে আছে সেইখানকার বাসিন্দাদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে তাদের সৃষ্টিকর্ম দেখানোর সুযোগ করে দিয়েছে মার্কিন ওই সংস্থাটি।

জানা গেছে, ওই মার্কিন সংস্থাটি জনপ্রিয়তা বাড়াতেই এমন সব আজব রকমের উদ্যোগ হাতে নিয়েছে।

বিশ্বে অনেক নীল ছবির দর্শক রয়েছে, যারা কিনা নিয়মিত পর্ন দেখে থাকেন। এসব দর্শকদের কারণেই বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের পর্ন বিজনেস দাপিয়ে বেড়াচ্ছে পশ্চিমা বিশ্বে। ওই সব সংস্থার সাইটে মোটা অংকের অর্থ দিয়েও গোপন ভিডিও দেখার প্রচুর পরিমাণ মানুষ রয়েছে।

জানা গেছে, ওই সংস্থাটি শুধুমাত্র ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যে অবস্থিত এই গ্রামটির নামের কারণেই সুযোগটি দিয়েছে। এও জানা যায়, টানা ১ বছর ওই গ্রামটির মানুষ ওই সংস্থাটির ওয়েবসাইটে গিয়ে বিনামূল্যে পর্ন ছবি দেখতে পারবেন। ‌

এদিকে মার্কিন ওই পর্ন ওয়েবসাইটটি বলছে, শুধু যৌনতা সম্পর্কিত নামের জন্যই নয়! যেসব স্থান নিজেদের নামের জন্য বহুদিন ধরে অবজ্ঞার শিকার হয়ে আসছে সেই সব জায়গাগুলিকেই মূলত তারা বেছে নিয়েছে।

প্রসঙ্গত, অন্যান্য দেশের মধ্যে রয়েছে, ফ্রান্সের কনডম, যুক্তরাজ্যের থং, শিটারটন ইত্যাদি উল্লেখ্যযোগ্য।

ধারণা করা হচ্ছে, ওই সংস্থাটির শর্তের কারণে ভারতের আরো বেশ ক’টি স্থান এই তালিকায় যুক্ত হতে পারে। এরমধ্যে ভারতের হিমাচল প্রদেশের ‘‌পো’ কিংবা আসামের ‘‌চুতিয়া’ও এ তালিকায় যুক্ত হতে পারে বলে অনেকেই ধারণা করছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest