তারেককে লন্ডন থেকে ফিরিয়ে আনা হবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও দণ্ডিত আসামি তারেক রহমানকে যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে এনে আদালতের মুখোমুখি করা হবে।
মঙ্গলবার (১৭ এপ্রিল) লন্ডনে ওভারসিজ ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউটে (ওডিআই) ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন গল্প নীতি, অগ্রগতি ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে মূল বক্তা হিসেবে ভাষণ দেওয়ার পর প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমরা যুক্তরাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলছি এবং অবশ্যই একদিন আমরা তাকে (তারেক রহমান) দেশে ফিরিয়ে আনবো। তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।’
তারেক রহমানের মতো একজন দণ্ডিত ব্যক্তিকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাজ্য সরকারেরও সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাজ্য একটি অবাধ স্বাধীনতার দেশ এবং এটি সত্যি যে, যেকোনও ব্যক্তি এখানে আশ্রয় নিতে এবং শরণার্থী হতে পারেন। তবে তারেক রহমান অপরাধের কারণে আদালত কর্তৃক একজন দণ্ডিত ব্যক্তি। আমি বুঝতে পারি না, একজন দণ্ডিত ব্যক্তিকে কীভাবে যুক্তরাজ্য আশ্রয় দিয়েছে।’
রোহিঙ্গা ইস্যু প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তাদের প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ মিয়ানমারের সঙ্গে একটি চুক্তি সই করেছে।’ তিনি বলেন, ‘প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ মিয়ানমারের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ দেখিয়ে আসছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মন্ত্রীরা উভয় দেশ সফর করেছেন। সংকটের সমাধান খুঁজে বের করতে আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিয়ানমারের সব প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে আগ্রহ দেখালেও বাস্তবে তারা কিছুই করেনি। তাই আমরা চাচ্ছি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এ ব্যাপারে মিয়ানমারের ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করুক।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বর্ষা মৌসুমের আগমনে সেখানে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। তাই সরকার সব ব্যবস্থা নিয়েছে এবং তাদের একটি ভালো জায়গায় স্থানান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যাতে তারা সেখানে ভালোভাবে থাকতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘খাদ্যসহ আমরা তাদের সব ধরনের সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি। আমরা সবকিছুই করছি। আমরা তাদের জন্য সেখানে কিছু ভবন ও ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ শুরু করছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘অনেক শরণার্থী সীমান্তে অবস্থান করছে। সেখান থেকে মাত্র একটি পরিবারের অর্ধেক লোককে মিয়ানমার নিয়ে গেছে। এর মাধ্যমে সম্ভবত তারা বিশ্বকে দেখাতে চেয়েছে যে, তারা ফেরত নিচ্ছে। এটি শুভ লক্ষণ।’ তবে মাত্র একটি পরিবারের অর্ধেক লোককে কেন, এ প্রশ্ন রাখেন প্রধানমন্ত্রী।
সূত্র: বাসস

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কালবৈশাখীতে লণ্ডভণ্ড কলকাতা, নিহত ১৫

দু’দফা ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেল শহর কলকাতা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঝড়ের তাণ্ডবে এখনও পর্যন্ত ১৫ জনের খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে সাতজনই কলকাতার, হাওড়ায় ৬ জন এবং হাওড়া ও হুগলিতে একজন করে নিহত হয়েছেন।

কালবৈশাখী ঝড়ে চারদিকে গাছ ভেঙে, গাছ উপড়ে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে কলকাতার রাস্তাঘাট। বিপর্যস্ত হয় বিমান পরিষেবা। বিভিন্ন জায়গায় আটকে পড়েছে ট্রেনও। গভীর রাত পর্যন্ত অনেকেই বাড়ি ফিরতে পারেননি।

এদিকে, ট্রেন বাতিল হওয়ায় হাওড়া ও শিয়ালদহ স্টেশনে রাতে অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন। শহরের বেশ কয়েকটি এলাকা বিদ্যুৎ বিছিন্ন হয়ে পড়েছে।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা ও আশেপাশের জেলাগুলোতে আচমকা প্রচণ্ড বজ্রসহ ঝড়ে কমপক্ষে ১১ জন প্রাণ হারিয়েছে।

সংবাদ সংস্থা বিবিসি জানিয়েছে, গতকাল সন্ধ্যায় প্রতি ঘণ্টায় ৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইতে থাকে। শত শত গাছ ভেঙে পড়ার পর রাস্তায় সড়ক চলাচল মারাত্মক বিঘ্ন হয়। ঝড়ে গাছ ভেঙে পড়ায় এবং ভবন ধসে অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছে।

যদিও বজ্রসহ বৃষ্টির ব্যাপারে আগেই পূর্বাভাস ছিল তবে এতবেশি বাতাসের গতি থাকবে তেমন কোনও ধারণাই ছিল না।

কলকাতা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্মকর্তারা বলছেন, বজ্রসহ ঝড়ের সাথে এত বেশি বাতাসের গতি গত কয়েক দশকেও দেখা যায়নি। সূত্র: বিবিসি, এই সময়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রোহিঙ্গা সংকটের আশু সমাধান চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা সংকটের আশু সমাধান চেয়ে বলেছেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে সাম্প্রতিক সময়ে নির্যাতনের মাধ্যমে বিতাড়িত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর পুরো চাপ বাংলাদেশ একাই সামলাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বিকেলে ওভারসিজ ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট (ওডিআই)-এ ‘বাংলাদেশ’স ডেভেলপমেন্ট স্টোরি : পলিসিজ, প্রগ্রেসেজ এন্ড প্রসপেক্টস’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তৃতা উপস্থাপনকালে বলেন, ‘বাংলাদেশ এ সংকটের শান্তিপূর্ণ, টেকসই ও আশু সমাধান চায়।’

তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রাখাইন রাজ্যে দেশটির সেনাবাহিনী দমন অভিযান শুরু করার পর বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর লোকদের সংখ্যা এখন ১১ লাখ। বাংলাদেশ মানবিক বিবেচনায় তাদের আশ্রয় দিয়েছে।’

শেখ হাসিনা সরেজমিনে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করে রোহিঙ্গাদের দুর্দশা নিজ চোখে দেখেছেন উল্লেখ করে বলেন, অনেক বিশ্ব নেতা কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের অস্থায়ী আশ্রয় শিবির পরিদর্শন করেছেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বিগত কয়েক বছরে সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বিশাল সাফল্য অর্জন করা সত্ত্বেও এই সাফল্যকে টেকসই করতে হলে বাংলাদেশকে আরও অনেক চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করতে হবে।

তিনি বলেন, ‘আমাদের সাফল্যের মানে এই নয় যে, আমাদের সামনে কোন চ্যালেঞ্জ নেই। …বাংলাদেশের ভেতর ১০ লক্ষাধিক দেশান্তরী মিয়ানমার নাগরিকের অভিবাসনের পাশাপাশি আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব, সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস উগ্রবাদ মোকাবেলায় লড়াই করছি।’

জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু দূষণে খুবই নগণ্য ভূমিকা সত্ত্বেও প্রাকৃতিক দুর্যোগের সবচেয়ে মারাত্মক শিকারে পরিণত হওয়ায় জলবায়ু পরিবর্তন আমাদের জন্য অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের লাখ লাখ মানুষ স্থানচ্যুত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের এই গ্রহ, আমাদের জীববৈচিত্র্য এবং আমাদের জলবায়ু সুরক্ষিত করা বিশ্ব সম্প্রদায়ের অভিন্ন দায়িত্ব।’

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রশমন ও ব্যবস্থাপনার জন্য বাংলাদেশ ডেল্টা প্লান-২১০০ প্রণয়নের প্রক্রিয়ায় রয়েছে।

সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছে। তাঁর দল ২০০৯ সালে যখন ক্ষমতায় আসে, তখন রাজনৈতিক অস্থিরতা, জঙ্গিবাদের উত্থান, প্রাকৃতিক দুযোর্গ, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দাসহ অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক নানা সংকট মোকাবেলা করতে হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জন্য আমাদের রোডম্যাপ ভিশন-২০২১ প্রণয়ন করেছি। দীর্ঘ, মধ্য ও স্বল্প মেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে মধ্য আয়ের দেশে রূপান্তর করতে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করি।

শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার ৬ষ্ঠ পঞ্চম বার্ষিকী পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করছে। এতে পল্লীর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে এবং পল্লী এলাকায় কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে এসএমই’র জন্য তহবিল সংগ্রহ করছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, খাদ্য উৎপাদনে দেশকে স্বাবলম্বী করতে কৃষি সেক্টরে বিশেষ দৃষ্টি দিয়েছি এবং খাদ্য শষ্য, মৎস্য, পোল্ট্রি ও শাকসবজি উৎপাদনে বিশেষ ইনসেন্টিভ দেয়া হচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক রফতানিকারক দেশ। আমাদের পোশাক কারখানাগুলোকে নিরাপদ করতে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশে ৬৭ টি লীড সনদধারী তৈরি পোশাক কারখানা রয়েছে। ৭টি পরিবেশ বান্ধব কারখানা ও বস্ত্র কারখানা রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী পররাষ্ট্র নীতির উল্লেখ করে বলেন, তার সরকার ব্যাবসা বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং কূটনৈতিক সহযোগিতা বাড়ানোর লক্ষ্যে সকল দেশের সঙ্গে বিশেষ করে প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদারে সবোর্চ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। তিনি বলেন, রুপান্তরযোগ্য প্রযুক্তির জন্য আমাদের জ্ঞান ও ইনোভেশন অংশীদারিত্বের প্রয়োজন। আমরা জীবন যাত্রার মান উন্নত করেছি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশকে একটি সুখী সমৃদ্ধশালী ও শান্তিপূর্ণ দেশ করতে ভিশন-২০৪১ প্রণয়ন করা হয়েছে। শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে সক্ষম হবে বলে দৃঢ় আশা প্রকাশ করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনিতে ঐতিহাসিক মুজিব দিবস পালিত

আশাশুনি ব্যুরো: আশাশুনিতে ঐতিহাসিক মুজিব দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে মঙ্গলবার সকালে উপজেলা পরিষদ হলরুমে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এক আলোচসা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাফ্ফারা তাসনীন। মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর কর্মকর্তা ফাতেমা জোহরার উপস্থাপনায় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন সহকারি কমিশনার (ভূমি) মিজাবে রহমত, স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডাঃ অরুন কুমার ব্যানার্জি, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এম, বাকী বিল্লাহ, সমাজ সেবা কর্মকর্তা এমদাদুল হক, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আজিজুল হক, সমবায় কর্মকর্তা আনছারুল আজাদ, হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা ইয়াছিন আলী, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল হান্নান, সাবেক চেয়ারম্যান সম সেলিম রেজা, আশাশুনি রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারন সম্পাদক আকাশ হোসেন সহ মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগন ও গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ। এছাড়া উপজেলার কাদাকাটি আরার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আয়োজনে সকাল ৯ টায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে বিদ্যালয় চত্তরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কাদাকাটি আরার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বদিউজ্জামান খানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় সহকারী প্রধান শিক্ষক ফজলুল হক, সহকারী শিক্ষক মাওঃ আফসার আলী, অনীল কুমার রায়, নিজামুদ্দীন, নজরুল ইসলাম, অসীম কুমার মন্ডল, অবনী কুমার মন্ডল, ছাবিলুর রাশেদ, ফতেমা খাতুন, আরিফুর রহমান, মিলন কুমার, শিরিনা আক্তার খানম, ফাতিমা খাতুন, রুপনারায়ন রায়, আঃ রহিম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সহকারী শিক্ষক রসময় মন্ডলের পরিচালনায় এসময় সকল কর্মচারীবৃন্দ ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ মঙ্গলবার, ১৭ এপ্রিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের অনন্য এক দিন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে এদিনে মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলা গ্রামের আ¤্রকাননে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে শপথগ্রহণ করে। পরে এই বৈদ্যনাথতলাকেই ঐতিহাসিক মুজিবনগর হিসেবে নামকরণ করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
অবশেষে মোস্তাফিজের মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের প্রথম জয়

এবারের আইপিএলে প্রথম জয়ের দেখা পেল মোস্তাফিজুর রহমানের মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে ৪৬ রানে হারিয়েছে গতবারের চ্যাম্পিয়ন্সরা। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার রাতে মুম্বাই ২০ ওভারে ২১৩ রান সংগ্রহ করে। ২১৪ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৬৭ রানে থমকে গেছে বিরাট কোহলির বেঙ্গালুরু।

এই ম্যাচে সহজ জয় পেলেও মুম্বাইয়ের শুরুটা ভাল ছিল না। ম্যাচের প্রথম দুই বলেই সূর্যকুমার যাদব ও ইশান কিশানকে বোল্ড করে দেন উমেশ যাদব। এরপর আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের পাল্টা জবাব দেন এভিন লুইস। সঙ্গ দেন রোহিত শর্মা। তৃতীয় উইকেটে দুজন গড়েন ৬৬ বলে ১০৮ রানের জুটি।

৬ চার ও ৫ ছক্কায় ৪২ বলে ৬৫ করে আউট হন লুইস। ৫২ বলে ৯৪ করেছেন মুম্বাই অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ১০ চার ও ৫ ছক্কায় মুসাজানো ছিল তার সেই ইনিংস। শেষ দিকে ২ ছক্কায় ৫ বলে ১৭ করেন হার্দিক পান্ডিয়া। শেষ ৫ ওভারে মুম্বাই তোলে ৭০ রান।

বড় রান তাড়ায় বেঙ্গালুরুর শুরুটা হয়েছিল দারুণ। বিরাট কোহলি ও কুইন্টন ডি কক ৪ ওভারে তোলেন ৪০ রান। এরপর মুম্বাইয়ের মিচেল ম্যাকক্লেনাগন ওভারেই ফেরান ডি কক ও এবি ডি ভিলিয়ার্সকে। পরে ক্রুনাল পান্ডিয়া পরপর দুই বলে ফেরান মানদিপ সিং ও কোরি অ্যান্ডারসনকে।

কোহলি এক প্রান্তে খেলে গেছেন নিজের মত। ওপেন করতে নেমে শেষ পর্যন্ত ৬২ বলে ৯২ রানে অপরাজিত বিরাট কোহলি। আর কেউ করতে পারেনি ২০ রানও। শেষ পর্যন্ত কোহলির দারুণ অপরাজিত ইনিংসেই কমেছে ব্যবধান। তার পরও মুম্বাইয়ের জয়টা ছিল অনায়াসই।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বিচ্ছেদের পর ফের মাধুরীর সঙ্গে সঞ্জয় দত্ত

পুরনো প্রেমিকের হাত ধরতে যাচ্ছেন বলিউড অভিনেত্রী মাধুরী দীক্ষিত। অর্থাৎ জনপ্রিয় অভিনেতা সঞ্জয় দত্তের সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করতে চলেছেন তিনি।

যদিও করণ জোহরের সিনেমায় তাদের এক সঙ্গে দেখা যাবে বলে শোনা গিয়েছিল। কিন্তু মাধুরী দীক্ষিতের সঙ্গে শেষ পর্যন্ত সঞ্জয় দত্তকে দেখা যাবে না বলে খবর পাওয়া গেলেও অভিষেক বর্মণ-এর পরবর্তী সিনেমায় ‘ধকধক গার্ল’-এর সঙ্গে দেখা যাবে তাদের।

ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে, ব্যক্তিগতভাবে যে সম্পর্ক-ই হোক না কেন সঞ্জয় দত্তের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ারে কোনো আপত্তি নেই বলেই মত প্রকাশ করেছেন মাধুরী দীক্ষিত। অর্থাৎ, ‘খলনায়ক’-এর পর প্রায় ২৫ বছর পর এবার ফের একসঙ্গে দেখা যাবে সঞ্জয় দত্ত এবং মাধুরী দীক্ষিতকে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনিতে মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভা অনুষ্ঠিত

আশাশুনি ব্যুরো: আশাশুনিতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে সমিতির অস্থায়ী কার্যালয়ে সাধারণ সম্পাদক প্রধান শিক্ষক আরিফুল ইসলাম বাচ্চু ও সাদেক হোসেনের পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন, সহ-সভাপতি প্রধান শিক্ষক অরুন কুমার গাইন, আবু দাউদ, রুহুল আমিন, বদিউজ্জামান, যুগ্ম-সম্পাদক শংকর কুমার গাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক গনেশ চন্দ্র বৈদ্য, কোষাধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম তুষার, ক্রীড়া সম্পাদক তরুন কুমার সানা, সদস্য গোলাম কিবরিয়া, সাহিদা খাতুন, কমলা রানী সরকার প্রমূখ। সভায় মাধ্যমিক শিক্ষার মান উন্নয়ন, পুরাতন কমিটির নিকট থেকে সমুদয় আয়-ব্যয়ের হিসাব নিকাশ সহ দায়িত্বভার গ্রহন করা ও বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হয়। উল্লেখ্য, রোববার সকালে শিক্ষকদের বৈশাখী ভাতা প্রদান, শতকরা ৫ ভাগ প্রবৃদ্ধি (ইনক্রিমেন্ট) প্রদান সহ বিভিন্ন দাবীতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে র‌্যালী, কালো ব্যাজ ধারণ ও শহীদ স্মৃতি সৌধ চত্বরে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
‘৪ হাজার পাকিস্তানিকে আমেরিকার হাতে তুলে দিয়েছেন মুশাররফ’

পাকিস্তানের সাবেক স্বৈরশাসক জেনারেল পারভেজ মুশাররফ শুধুমাত্র ডলারের বিনিময়ে তার দেশের চার হাজার নাগরিককে বিদেশি শক্তির হাতে হাতে তুলে দিয়েছিলেন। এর মধ্যে বেশিরভাগ নাগরিককে তিনি আমেরিকার কাছে হস্তান্তর করেছেন। এ খবর দিয়েছে পাকিস্তানের ইংরেজি দৈনিক এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।

পাকিস্তানে নিখোঁজ ব্যক্তিদের খুঁজে বের করার বিষয়ে গঠিত কমিশনের প্রধান সাবেক বিচারপতি জাভেদ ইকবাল গতকাল (সোমবার) পাক সিনেটের স্থায়ী কমিটিতে এ তথ্য তুলে ধরেন। সিনেটকে ব্রিফ করার সময় তিনি জানান, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আফতাব আহমাদ শেরপাও এই গোপন হস্তান্তর প্রক্রিয়ার অংশ। বিচারপতি ইকবাল পরিষ্কার করে বলেন, ডলারের বিনিময়ে জেনারেল মুশাররফ পাকিস্তানি নাগরিকদের আমেরিকার হাতে তুলে দিয়েছেন।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, দেশের আইনে এ ধরনের হস্তান্তরের কোনো বিধান নেই কিন্তু জাতীয় সংসদসহ কেউ আজ পর্যন্ত মুশাররফ ও শেরপাওয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে নি। বিচারপতি ইকবাল বলেন, মুশাররফের অবৈধ ও বেআইনি কাজকর্ম সম্পর্ক সম্পর্কে অবশ্যই তদন্ত হতে হবে। তিনি প্রশ্ন করেন, দেশের আইন অনুযায়ী কীভাবে একজন ব্যক্তি পাকিস্তানি নাগরিকদের বিদেশের কাছে তুলে দেয়?

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest