সর্বশেষ সংবাদ-

পাঁচ জেলার নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব উঠছে আজ

চট্টগ্রাম, বরিশাল, কুমিল্লা, বগুড়া ও যশোর জেলার নামের ইংরেজি বানানে পরিবর্তন সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির (নিকার) বৈঠকে উঠছে আজ।

সোমবার (২ এপ্রিল) তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। দেশের বিভিন্ন প্রশাসনিক ইউনিট গঠন ও পুনর্গঠনসহ নতুন বিভাগ, জেলা, উপজেলা, থানা গঠন সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত দেয় নিকার।

এর আগে, বৃহস্পতিবার (২৯ মার্চ) বাংলা নামের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বরিশাল, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, বগুড়া ও যশোর জেলার নামের ইংরেজি বানান পরিবর্তন করার উদ্যোগের কথা জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।

উল্লেখ্য, নতুন বিভাগ, জেলা, উপজেলা, থানাসহ প্রশাসনিক ইউনিট গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়ে থাকে নিকার সভায়। প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন এ কমিটির আহ্বায়ক।

বর্তমানে চট্টগ্রামের ইংরেজি বানান Chittagong, কুমিল্লার বানান Comilla, বরিশাল বানান Barisal, যশোরের বানান Jessore ও বগুড়ার বানান Bogra।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জানা গেছে, Chittagong এর পরিবর্তে বানান Chattagram, Comilla এর পরিবর্তে Kumilla, Barisal এর পরিবর্তে Barishal, Jessore এর পরিবর্তে Jashore এবং Bogra এর পরিবর্তে Bogura করার প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য নিকার সভায় উঠছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মাথা ব্যথা দূর করার কিছু সহজ প্রাকৃতিক উপায়

রোগ হিসেবে আমরা মাথাব্যথাকে তেমন একটা গুরুত্ব না দিলেও এটি কিন্তু বেশ যন্ত্রণার একটি বিষয়। ছোট বড় প্রায় সকলেই নানা কারণে বিভিন্ন সময় মাথাব্যথায় আক্রান্ত হয়ে পড়েন। সাধারণত ঘুমের ঘাটতি, ক্লান্তি, দুশ্চিন্তা, মাইগ্রেন ইত্যাদি কারণে হয়ে থাকে মাথাব্যথা। অনেকে এই ব্যথা দূর করার জন্য চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে থাকেন, অনেকে আবার ব্যথানাশক ঔষধ খেয়ে থাকেন। কিন্তু খুব সহজে কিছু প্রাকৃতিক উপায়ে এই মাথাব্যথার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

আসুন জানি কীভাবে মুক্ত হবেন এই ব্যথা থেকে।

১. আদা
আদার অ্যান্টিইনফ্লামেটরি উপাদান মাথা ব্যথা কমাতে ভূমিকা রাখে। আদার উপকারী উপাদান সমূহ রক্ত প্রবাহ ঠিক রেখে মাথাব্যথায় দ্রুত আরাম দেয়। মাথাব্যথা শুরুর সাথে সাথে আদা চা খেতে পারেন, ব্যথা কমে যাবে।

২. পানি পান করুন
একচুমুক পানি পানও আপনাকে এক মিনিটের মধ্যে মাথা ব্যথা সারাতে কাজে দেবে। যখন আমাদের শরীর আর্দ্র হতে থাকে তখন ব্যথা ধীরে ধীরে কমে।

৩. লেবু
ঝটপট মাথাব্যথা সারিয়ে তুলতে লেবুর তুলনা হয়না। ব্যথা শুরু হওয়ার সাথে সাথে আপনি যদি গরম পানির সাথে লেবু মিশিয়ে খান তাহলে মাথাব্যথা দ্রুত কমে আসবে। আপনি যদি লেবু পেস্ট করে কপালে লাগান তাতেও মাথা ব্যথা কমবে আর সাথে খেতে পারেন এক কাপ লেবু চা।

৪. লবঙ্গ
কিছু লবঙ্গ তাওয়ার মধ্যে গরম করে নিন। গরম লবঙ্গ একটি রুমালের মধ্যে নিন। এক মিনিট এর ঘ্রাণ নিন এবং দেখুন মাথা ব্যথা চলে গেছে।

৫. মিষ্টিকুমড়োর বিচি খান
মিষ্টি কুমড়োর বিচি ভেজে খেলে মাথাব্যথার সমস্যা থেকে দুত মুক্তি পাওয়া সম্ভব। কারণ মিষ্টি কুমড়োর বিচিতে হয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম সালফেট যা মাথাব্যথা উপশমে কাজ করে থাকে।

৬. কাঠবাদাম খাওয়ার অভ্যাস রাখুন
অনেক সময় আবহাওয়া, ধুলোবালির কারণে মাথাব্যথা শুরু হয়ে যায়, আবার অনেক সময় মানসিক চাপের কারণেও মাথা ব্যথা শুরু হয়। এই সকল ধরনের ব্যথা কমানোর জন্য একমুঠো বা দুইমুঠো কাঠবাদাম চিবিয়ে খান। কাঠবাদামে রয়েছে ‘স্যালিসিন’ যা ম্যথাব্যথা উপশমে কাজ করে রবং দ্রুত ব্যথা নিরাময় করে।

৭. পান পাতা
পান পাতার প্রাকৃতিক মাথা ঠাণ্ডাকারী উপাদান মুহূর্তেই মাথা ব্যথা সারিয়ে তুলতে কার্যকারী অবদান রাখে। মাথাব্যথা সারাতে ঘরোয়া চিকিৎসা হিসেবে তাজা দেখে তিন থেকে চারটি পান পাতা নিয়ে মোলায়েম করে ছেঁচে কপালে লাগিয়ে রাখুন। আধা ঘণ্টার মধ্যে এটি আপনাকে মাথা ব্যথা থেকে মুক্তি দেবে।

৮. লবণযুক্ত আপেল
ব্যথা যদি বেশি হয় তবে এই ঘরোয়া পদ্ধতিটি চেষ্টা করে দেখতে পারেন।এক টুকরো আপেল চিবুতে পারেন তবে এতে একটু লবণ ছিটিয়ে নেবেন। এটা দ্রুত ব্যথা মুক্ত করতে সাহায্য করবে।

৯. হাসি খুশি মন
অনেকেই হয় তো বিশ্বাস করবেন না, তবে মনকে যদি ইতিবাচক এবং ভালো বিষয়ের দিকে নিয়ে যান তবে মাথা ব্যথা ৬০ সেকেন্ডেই দূর হবে। চেষ্টা করেই দেখুন না!

১০. পেপারমিন্ট
মাথাব্যথা সারিয়ে তোলার আরো একটি কার্যকরী উপায় হলো কপালে পেপারমিন্ট মালিশ করা আর ঘাড়ে সামান্য পেপারমিণ্ট মালিশ করা। এরূপে করেই দেখুন মাথাব্যথা একদম সেরে যাবে।

১১. আইসব্যাগ
বাজারে নানা আকারের অনেক আইসব্যাগ কিনতে পাওয়া যায়। একটি আইসব্যাগে বরফ ভরে নিয়ে তা মাথার ওপরে অর্থাৎ ঠিক মাথার তালুতে খানিকক্ষণ ধরে রাখুন। দেখবেন মাথা ব্যথা উপশম হচ্ছে। তবে যাদের হুটহাট ঠাণ্ডা লেগে যাওয়ার প্রবণতা আছে তারা এই পদ্ধতি পালন করাই ভালো।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সকালের নাস্তায় সেদ্ধ ডিমের উপকারিতা

ডিমকে বলা হয় ‘সুপারফুড’। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং মিনারেলস। প্রোটিনের সবচেয়ে ভালো উৎস হচ্ছে ডিম। এতে ক্যালোরিও বেশ কম থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে, একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন ২টি করে ডিম খাওয়া উচিত। আর সকালের নাস্তায় একটি সেদ্ধ ডিম সারাদিন শরীরকে রাখে চাঙ্গা।

তবে আর দেরি না করে চলুন জেনে নেই, প্রতিদিন সকালের নাস্তায় সেদ্ধ ডিম খাওয়ার উপকারিতাগুলো সম্পর্কে।

১. শক্তি যোগায়
একটি বড় সেদ্ধ ডিমে প্রায় ৮০ ক্যালোরী আছে। এর মধ্যে ৬০% ক্যালোরী আসে চর্বি থেকে। ফলে সকালের নাস্তায় একটি মাত্র সেদ্ধ ডিম খেলে সারাদিন শক্তি পাওয়া যায় এবং দূর্বলতা হ্রাস পায়।

২. হাড় গঠন
সেদ্ধ ডিমে আছে ভিটামিন ডি যা হাড় ও দাঁত শক্ত করে। ভিটামিন ডি খাবার থেকে ক্যালসিয়াম গ্রহণ করতে সহায়তা করে এবং রক্তের ক্যালসিয়ামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে শরীরের হাড়ের কাঠামো মজবুত ও শক্ত হয় এবং হাড়ের ক্ষয় রোধ হয়। প্রতিদিন সকালের নাস্তায় একটি সেদ্ধ ডিম খেলে ৪৫ আন্তর্জাতিক ইউনিট ভিটামিন ডি পাওয়া যায় যা হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করে।

৩. প্রোটিন
সেদ্ধ ডিমে প্রাকৃতিকভাবেই প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন আছে। সকাল বেলা নাস্তায় একটি সেদ্ধ ডিম খেলে ৬ গ্রামের বেশি প্রোটিন পাওয়া যায়।

৪. চোখের স্বাস্থ্য
ডিমের একটি প্রধান খাদ্য উপাদান হলো ভিটামিন এ। ভিটামিন এ রেটিনায় আলো শুষে নিতে সহায়তা করে, কর্নিয়ার পাশের মেমব্রেনকে রক্ষা করে এবং রাতকানার ঝুঁকি কমায়। প্রতিদিন সকালে একটি সেদ্ধ ডিম খেলে খাবার তালিকায় ৭৫ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন এ যুক্ত হয়।

৫. দেহের ওজন নিয়ন্ত্রন করে
আমাদের দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে ডিমের উপকারিতা অনেক। যারা পেশির ওজন বৃদ্ধি করতে চান তাদের জন্য প্রোটিন সমৃদ্ধ ডিম উপযুক্ত। গবেষণায় দেখা গেছে, ডিম আমাদের দেহে ঘন ঘন ক্ষুধা লাগাকে কমিয়ে দিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে। তাই সকালের নাস্তায় একটি সেদ্ধ ডিম বেশ উপকারী।

৬. মস্তিষ্কের জন্য উপকারি
ডিমে আছে প্রচুর পরিমানে কলিন যা নিউরোট্র্রান্সমিটার হিসেবে কাজ করে আমাদের দেহকে সুস্থ রাখে। ডিম আমাদের মস্তিষ্কের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে থাকে। তাছাড়া ডিমের কুসুমে আছে ফলেট উপাদান যা আমাদের মস্তিষ্কের ভিতরে স্নায়ু কোষের রক্ষণাবেক্ষণ করে।

৭. নখ ও চুলের স্বাস্থ্য উন্নত কর
ডিমে আছে সালফার সমৃদ্ধ অ্যামিনো অ্যাসিড যা আমাদের হাতের নখের স্বাস্থ্যই শুধু উন্নত করেনা আমাদের চুলের স্বাস্থ্য মজবুত করে ও আকর্ষণীয় করে তুলে। ডিমের অন্যান্য খনিজ পদার্থ সেলেনিয়াম, আয়রন ও জিঙ্ক দেহের নখ ও চুলের স্বাস্থ্য রক্ষার্থে সহযোগীতা করে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাইবার অপরাধে কঠিন সাজা; ব্যবহারে সতর্ক হউন

অনলাইন ডেস্ক: কম্পিউটারে সিস্টেম বা ফেসবুক হ্যাকিং করেছেন, অনলাইনে মানহানিকর বা বিভ্রান্তিমূলক কিছু পোস্ট করেছেন, আপনার রেহাই নেই। অপরাধ প্রমাণ হলেই হতে পারে সর্বোচ্চ ১৪ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড। সঙ্গে গুনতে হতে পারে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড। আইনজ্ঞরা বলছেন, সাইবার অপরাধে রয়েছে কঠিন সাজা। ফলে অনলাইন ব্যবহারে সচেতনতার বিকল্প নেই বলে মনে করেন তারা। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন, ২০০৬ (সংশোধিত ২০১৩)-এ রয়েছে সাইবার অপরাধের বিচারের বিধান। যদিও এই আইনের একটি ধারা নিয়ে বিতর্কের পর ওই ধারাটি বাতিল করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। তবে অন্যান্য ধারায় বিচারের সুযোগ রয়েছে সাইবার অপরাধের।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম বা অনলাইন গণমাধ্যমে কাউকে নিয়ে মানহানিকর বা বিভ্রান্তিমূলক কিছু পোস্ট করলে, ছবি বা ভিডিও আপলোড করলে, কারও নামে অ্যাকাউন্ট খুলে বিভ্রান্তিমূলক পোস্ট দিলে, কোনো স্ট্যাটাস দিলে কিংবা শেয়ার বা লাইক দিলেও সাইবার অপরাধ হতে পারে। কাউকে ইলেকট্রনিক মাধ্যমে হুমকি দিলে, অশালীন কোনো কিছু পাঠালে কিংবা দেশবিরোধী কোনো কিছু করলে তা সাইবার অপরাধ হবে। আবার ইলেকট্রনিক মাধ্যম হ্যাক করলে, ভাইরাস ছড়ালে কিংবা কোনো সিস্টেমে অনধিকার প্রবেশ করলে সাইবার অপরাধ হতে পারে। এ ছাড়া অনলাইনে যে কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত হলে তা-ও সাইবার অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।

যে অপরাধে যে শাস্তি : তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন, ২০০৬ (সংশোধিত ২০১৩)-এর ৫৪ থেকে ৬৭ নম্বর ধারায় অপরাধের দণ্ড সংক্রান্ত বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। আইন পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, আইনের ৫৪ ধারায় বলা হয়েছে, কম্পিউটার বা কম্পিউটার সিস্টেম ইত্যাদির ক্ষতি, অনিষ্ট সাধন যেমন ই-মেইল পাঠানো, ভাইরাস ছড়ানো, সিস্টেমে অনধিকার প্রবেশ বা সিস্টেমের ক্ষতি করা ইত্যাদি অপরাধ করলে সর্বোচ্চ ১৪ বছর ও সর্বনিম্ন সাত বছর কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। আইনের এই বিধান অনুযায়ী উভয় (কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড) প্রদানের বিধানও রয়েছে। আইনের ৫৫ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, কম্পিউটারের সোর্স কোড পরিবর্তন সংক্রান্ত অপরাধের কথা। এখানে বলা হয়েছে, কম্পিউটারের সোর্স কোড পরিবর্তন সংক্রান্ত অপরাধ করলে সর্বোচ্চ তিন বছর কারাদণ্ড অথবা সর্বোচ্চ তিন লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড হতে পারে। ৫৬ ধারায় বলা হয়েছে, কেউ যদি ক্ষতি করার উদ্দেশে এমন কোনো কাজ করেন, যার ফলে কোনো কম্পিউটার রিসোর্সের কোনো তথ্য বিনাশ, বাতিল বা পরিবর্তিত হয় বা এর উপযোগিতা হ্রাস পায় অথবা কোনো কম্পিউটার, সার্ভার, নেটওয়ার্ক বা কোনো ইলেকট্রনিক সিস্টেমে অবৈধভাবে প্রবেশ করেন, তবে এটি হবে হ্যাকিং অপরাধ, যার শাস্তি সর্বোচ্চ ১৪ বছর কারাদণ্ড এবং সর্বনিম্ন ৭ বছর কারাদণ্ড বা ১ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা।

৫৭ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েবসাইটে বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে কোনো মিথ্যা বা অশ্লীল কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করে, যার দ্বারা মানহানি ঘটে, আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয় অথবা রাষ্ট্র বা ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়, তাহলে এগুলো হবে অপরাধ। এর শাস্তি সর্বোচ্চ ১৪ বছর কারাদণ্ড এবং সর্বনিম্ন ৭ বছর কারাদণ্ড এবং ১ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা। উভয় (কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড) দণ্ড দেওয়ার বিধানও এই আইনে রয়েছে। উল্লেখ্য, তীব্র সমালোচনা ও বিতর্কের পর এই ধারাটি আইনে বাদ দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার। তবে একই ধরনের একটি ধারা ডিজিটাল নিরাপত্তা নামে নতুন একটি আইনে সংযুক্তির চেষ্টাও চলছে বলে জানা গেছে।

আইনের ৫৮ ধারায় লাইসেন্স সমর্পণে ব্যর্থতার দায়ে সর্বোচ্চ ছয় মাস কারাদণ্ড ও সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে বলে উল্লেখ রয়েছে। আইনের ৫৯ ধারায় বলা হয়েছে, ‘এই আইন বা এর বিধি বা প্রবিধান প্রতিপালন নিশ্চিত করার প্রয়োজনে নিয়ন্ত্রক, আদেশ দিয়ে বা কোনো সার্টিফিকেট প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ বা উহার কোনো কর্মচারীকে আদেশে উল্লিখিত মতে কোনো বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বা কোনো কার্য করা হতে বিরত থাকতে নির্দেশ দিলে কোনো ব্যক্তি যদি ওই নির্দেশ লঙ্ঘন করেন, তাহা হলে ওই লঙ্ঘন একটি অপরাধ হবে। এই অপরাধে সর্বোচ্চ ১ বছর কারাদণ্ড বা ১ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে এই আইনে।’

আইনের ৬০ নম্বর ধারায় জরুরি পরিস্থিতিতে নিয়ন্ত্রকের নির্দেশ অমান্যে সর্বোচ্চ ৫ বছর কারাদণ্ড অথবা ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে। আইনের ৬১ ধারায় সংরক্ষিত সিস্টেমে প্রবেশের অপরাধে সর্বোচ্চ ১৪ বছর কারাদণ্ড অথবা ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে। আইনের ৬২ ধারায় সর্বোচ্চ ২ বছর কারাদণ্ড বা দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডের কথা বলা হয়েছে লাইসেন্স বা সার্টিফিকেট প্রাপ্তিতে মিথ্যা প্রতিনিধিত্ব বা তথ্য গোপন সংক্রান্ত অপরাধে।

আইনের ৬৩ ধারায় গোপনীয়তা প্রকাশ সংক্রান্ত অপরাধে সর্বোচ্চ দুই বছর কারাদণ্ড বা দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ড প্রদানের কথা বলা হয়েছে। ৬৪ ধারায় সর্বোচ্চ দুই বছর কারাদণ্ড বা দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ড প্রদানের কথা বলা হয়েছে ভুয়া ইলেকট্র্রনিক স্বাক্ষর সার্টিফিকেট প্রকাশ সংক্রান্ত অপরাধে। ৬৫ ধারায় বলা হয়েছে, প্রতারণার উদ্দেশে ইলেকট্র্রনিক স্বাক্ষর সার্টিফিকেট প্রকাশ সংক্রান্ত অপরাধে সর্বোচ্চ দুই বছর কারাদণ্ড বা দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ড প্রদানের কথা বলা হয়েছে।

আইনের ৬৬ ধারায় বলা হয়েছে, ‘কারও কম্পিউটার ব্যবহারের মাধ্যমে অপরাধ সংঘটিত হলে, অপরাধকারী যে দণ্ডে দণ্ডিত হবেন, ইচ্ছাকৃতভাবে অপরাধে সহায়তার জন্য কম্পিউটারের মালিকও সমান সাজা পাবেন। ৬৭ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো কোম্পানি কর্তৃক এই আইনের অধীনে থাকা কোনো অপরাধ সংঘটিত হলে ওই অপরাধের সঙ্গে প্রত্যক্ষ সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কোম্পানির এমন প্রত্যেক পরিচালক, ম্যানেজার, সচিব, অংশীদার, কর্মকর্তা এবং কর্মচারী উক্ত অপরাধ সংঘটিত করেছেন বলে গণ্য হবে। তবে ওই অপরাধ কোনো ব্যক্তির অজ্ঞাতসারে সংঘটিত হয়েছে প্রমাণ হলে অথবা ওই ব্যক্তি অপরাধ রোধ করতে যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন প্রমাণ হলে তিনি অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পাবেন।’

অনলাইন ব্যবহারে সচেতন থাকার পরামর্শ আইনজ্ঞদের : আইনজ্ঞরা বলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনটির যেমন সুফল রয়েছে, একই সঙ্গে এর কিছু খারাপ দিকও রয়েছে। তারা বলেন, অসাবধানতাবশত কোনো অপরাধের জন্য কাউকে কঠিন সাজার মুখোমুখি করা সম্ভব এই আইনে। তাই অনলাইন ব্যবহারে সচেতনতার বিকল্প নেই।

এ বিষয়ে আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, কেউ যদি সাইবার অপরাধের শিকার হন তাহলে এই আইনে প্রতিকার পেতে পারেন। কারও ওয়েবসাইট বা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম হ্যাক হলে, কারও ব্যক্তিগত তথ্য চুরি হলে তারাও এই আইনে মামলা করতে পারবেন। তিনি বলেন, তবে সব আইনেই কিছু ফাঁকফোকর রয়েছে, ফলে আইনের অপব্যবহারও হয়। এই আইনও এর ব্যতিক্রম নয়। তাই আইনের আশ্রয় নেওয়ার পাশাপাশি সচেতন হওয়া জরুরি।

এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল বাসেত মজুমদার বলেন, কেউ সাইবার অপরাধ করলে রেহাই পাবে না। এই আইনে কঠিন সাজার বিধান রয়েছে। তিনি বলেন, আইনে কিছু শূন্যতার কারণে কেউ চাইলে আইনের অপব্যবহারও করতে পারে। ফলে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে সচেতনতার বিকল্প নেই বলেও মনে করেন এই জ্যেষ্ঠ আইনজীবী।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বিশ্ব অটিজম দিবস আজ

বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস আজ সোমবার (২ এপ্রিল)। অটিজম বিষয়ে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি ও তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালন করা হচ্ছে। এ উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

অটিজমের সুনির্দিষ্ট কোনও কারণ নেই। তবে গবেষকরা মনে করেন, জেনেটিক, নন-জেনেটিক ও পরিবেশগত প্রভাব সমন্বিতভাবে অটিজমের জন্য দায়ী। শিশুর বিকাশে প্রাথমিক পর্যায়ে এটি সৃষ্টি হয়। এ পর্যন্ত পরিচর্যাই এর একমাত্র বিকল্প।

অটিজমে আক্রান্ত শিশু ও বয়স্কদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে সহায়তার প্রয়োজনীয়তাকে তুলে ধরতে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ২০০৭ সালে ২ এপ্রিলকে ‘বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস’ হিসেবে পালনের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর থেকে প্রতি বছর দিবসটি পালন করা হচ্ছে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হলো ‘নারী ও বালিকাদের ক্ষমতায়ন, হোক না তারা অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন’।

এক সময় অটিজম অবহেলিত জনস্বাস্থ্য ইস্যু ছিল। এ সম্পর্কে সমাজে নেতিবাচক ধারণা ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা ও স্কুল সাইকোলজিস্ট সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নিরলস প্রচেষ্টায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অটিজম বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে। তিনি ২০০৭ সালে এ বিষয়ে দেশে কাজ শুরু করেন।

বাংলাদেশে বিপুলসংখ্যক শিশু অটিজম নামের এই নিউরো-ডেভেলমেন্ট ডিজঅর্ডারে আক্রান্ত। ইতোমধ্যে এ সম্পর্কে পিতা-মাতা, পরিবার-পরিজন ও সমাজে সচেতনতা সৃষ্টি করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। তাদের চিকিৎসা ও যথার্থ পরিচর্যার জন্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি  আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তারা সরকারের পাশাপাশি দেশি-বিদেশি সংস্থা, স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানসহ সমাজের সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক জনগোষ্ঠীর কল্যাণে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, বাংলাদেশে অটিজম সম্পন্ন ব্যক্তিদের একটি বড় অংশই নারী, যারা অর্থনৈতিক ও সামাজিক নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়ে জীবনযাপন করেন। এ প্রেক্ষাপটে এবারের বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবসের প্রতিপাদ্য ‘নারী ও বালিকাদের ক্ষমতায়ন, হোক না তারা অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন’অত্যন্ত সময়োপযোগী।’

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক নিরাপত্তা ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে তাদের কল্যাণে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। প্রায় ৯ লাখ প্রতিবন্ধী ব্যক্তির জন্য প্রতিবন্ধী ভাতা ও প্রতিবন্ধী শিক্ষা উপবৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, ‘আমার বিশ্বাস, অটিস্টিক শিশু-কিশোরদের সম্ভাবনাগুলোকে চিহ্নিত করে সঠিক পরিচর্যা, শিক্ষা ও স্নেহ-ভালোবাসা দিয়ে গড়ে তোলা হলে তারা সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য বোঝা না হয়ে অপার সম্ভাবনা বয়ে আনবে।’

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও আগামীকাল ২ এপ্রিল ১১তম ‘বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস পালিত হবে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘নারী ও বালিকাদের ক্ষমতায়ন, হোক না তারা অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন’। এ উপলক্ষে তিনি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব অটিস্টিক ব্যক্তি, শিশু-কিশোর, তাদের পরিবার ও পরিচর্যাকারীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান। খবর বাসস।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শুক্রগ্রহে প্রাণের সন্ধানের চাঞ্চল্যকর দাবি নাসার

সৌরমণ্ডলে পৃথিবীই একমাত্র গ্রহ, যেখানে প্রাণের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। এতদিন বিজ্ঞানীরা বলে এসেছেন, সৌরজগতের বাইরে প্রাণের অস্তিত্ব থাকতেই পারে। এত অজুত-নিযুত নক্ষত্রমণ্ডলীর কোথাও না কোথাও থাকতেই পারে অন্য জীবজগৎ।

কিন্তু এবার জানা গেল, সম্ভবত শুক্রগ্রহেও থাকতে পারে প্রাণের অস্তিত্ব। কেননা সেই গ্রহের আকাশে যে অ্যাসিড-মেঘ দেখা যায়, সেখানেই এই প্রাণের চিহ্নের সম্ভাবনার কথা জানা গেছে। আর এই গবেষণায় সায় জানিয়েছে নাসাও।

জানা গেছে, গবেষণাপত্রটি অ্যাস্ট্রোবায়োলজি নামের জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। সেই গবেষণা থেকে জানা যাচ্ছে, শুক্রের মেঘ থেকে অ্যাসিড-বৃষ্টি হয়। মেঘের অন্যতম উপাদান সালফিউরিক অ্যাসিড। সেখানেই রয়েছে প্রাণ।

শুক্রের মরচে রংয়ের মেঘে বিজ্ঞানীরা কালো দাগ দেখতে পেয়েছেন। সেই দাগগুলি আসলে আলো শোষণকারী প্রাণীদের চিহ্ন বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে এই প্রাণীরা নেহাতই আদ্যপ্রাণী। অর্থাৎ আণুবীক্ষণিক প্রাণী।

প্রসঙ্গত, শুক্রগ্রহে ২ বিলিয়ন বছর আগে পৃথিবীর কাছাকাছি অর্থাৎ প্রাণের পক্ষে অনুকূল পরিবেশ ছিল বলে বিজ্ঞানীরা অনুমান করছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কারাবিদ্রোহে মেক্সিকোতে ৭ পুলিশ কর্মকর্তা নিহত

কারাবিদ্রোহে মেক্সিকোর ভেরাক্রজে সাত পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। বন্দীদের বিদ্রোহ দমনে করতে গিয়ে তাদের মৃত্যু হয়।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সূত্রের খবর, স্থানীয় সময় শনিবার রাত থেকে রবিবার সকালের মধ্যে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ ভেরাক্রুজের লা তমা কারাগারে এ ঘটনা ঘটে। তবে এখন পর্যন্ত আহত বা নিহত কোনো কারাবন্দির বিষয়ে কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি কর্তৃপক্ষ।

কয়েদিরা তাদের মুক্তির আন্দোলন করছিল বলে জানা যায়। প্রসিকউটর বলছেন, তারা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করবেন। এর আগে গত অক্টোবর মাসে দেশটির নুয়েভো লিওন প্রদেশে এক কারা বিদ্রোহে ১৩ জন মারা যায়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ক্যাটরিনাকে নিয়ে সালমান-শাহরুখের রেষারেষি !

ক্যাটরিনা কাইফের প্রতি সালমান খানের অনুরাগ অজানা কিছু নয়। ক্যাটরিনাকে নিয়ে মশকরা করলে সালমান খানের ঠোঁটে লজ্জার হাসি সবাই দেখেছেন। আর সেই ক্যাটকে নিয়েই নাকি এবার কিং খান শাহরুখের সঙ্গে রেষারেষি শুরু হয়েছে সালমান খানের।

ঘাবড়াবেন না। কোনও ত্রিকোণ প্রেমের গল্প নয়। শাহরুখ খান গৌরীকে নিয়েই ঘর করছেন। কিন্তু ক্যাটরিনার সঙ্গে কার ভাল রসায়ন, সালমান খান নাকি শাহরুখ, তা এবার সরাসরি একই ছবিতে ধরা পড়তে চলেছে।

শাহরুখ এখন ‘জিরো’ ছবির শ্যুটিং নিয়ে ব্যস্ত। সেই ছবিতে রয়েছেন ক্যাটরিনা কাইফ ও আনুশকা শর্মা। আর এই ছবিতেই নাকি রয়েছেন বলিউড বাদশার বরাবরের প্রতিদ্বন্দ্বী সালমান খান।

ছবিতে সালমানকে একজন সুপারস্টারের ভূমিকায় একটি মাত্র গানেই দেখা যাবে বলে জানা গেছে। ছবির চিত্রনাট্য অনুযায়ী, ক্যাটরিনা সেই সুপারস্টারের সঙ্গে কাজ করেন। তাই এই ভিডিওতে সালমানের সঙ্গেই ক্যাটকে কোমর দোলাতে দেখা যাবে। আর এই নাচের গানে নাকি অংশ নেবেন শাহরুখ খানও।

এখানেই শুরু হয়েছে জল্পনা। ক্যাট সুন্দরীর সঙ্গে কোন খানের রসায়ন জমে তাই এখন দেখার। এর আগে ‘যাব তক হ্যায় জান’ (২০১২) ছবিতে ক্যাটের সঙ্গে শাহরুখের ঘনিষ্ঠ রসায়ন দর্শকের মনে ধরেছিল। আর সালমানের সঙ্গে ক্যাটের অনস্ক্রিন ও অফস্ক্রিন দুই রসায়নেই মুগ্ধ তাদের দর্শকরা। তাই এবার যে সরাসরি ক্যাটের সঙ্গে ‘নাচতে’ সালমান ও শাহরুখ যে পরস্পরকে জোর টক্কর দেবেন, তা বলাই বাহুল্য।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest