সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরায় তুচ্ছ ঘটনায় প্রতিবন্ধী নারীসহ ৪ জনকে পিটিয়ে জখমের অভিযোগশ্যামনগরে “সম্পদ ও আত্মার পরিশুদ্ধতায় যাকাত” শীর্ষক সেমিনারফেলোশিপে সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন সামেকের ডা. পলাশসাতক্ষীরায় পাওয়ার ব্লাড ফাউন্ডেশন এর পক্ষ থেকে শরবত বিতরণসাতক্ষীরায় কৃষকের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী বদরুজ্জামান বদু নির্বাচনী গণসংযোগসাতক্ষীরায় রাসায়নিক মিশ্রিত ৯ মেট্রিক টন গোবিন্দভোগ আম বিনষ্টসাতক্ষীরা জেলা আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভাসাতক্ষীরায় কায়পুত্র সম্প্রদায়ের ভ‚মি সংক্রান্ত বিষয়ে এ্যাডভোকেসি সভাবিএনপির কানাডা পশ্চিম শাখা শাখার সাধারণ সম্পাদক হলেন সাতক্ষীরার মুজিবর রহমান

পরীমনির পরিবর্তে অপু বিশ্বাস

অভিনয় করার কথা ছিল পরীমনির। কিন্তু পরীমনি চিকিৎসকের পরামর্শে ছবিটি থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন। কেন না ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত হয়ে পরীমনি সম্প্রতি রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি হন। এরপর গত রবিবার রাতেই জানিয়ে দেন ছবিতে অভিনয় ‘না’ করার বিষয়টি।

কিন্তু এরইমধ্যে আজ জানা গেল, পরীমনির স্থানে ছবিতে অভিনয় করতে যাচ্ছেন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস। ইতোমধ্যে ছবিতে চুক্তি সাক্ষর করেছেন। এই ছবিতে অপু সহ-অভিনেতা হিসেবে পাচ্ছেন সাইমন সাদিককে। অপু বিশ্বাসের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কালের কণ্ঠকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

অপু বলেন, হ্যাঁ ছবিটি আমি করছি। যদিও একটু সময় নিতে চাচ্ছিলাম কিন্তু পরিচালক যেহেতু বারবার বললেন সেহেতু আমি চুক্তি সাক্ষর করেছি। গল্প শোনার পর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আসলে আমি পুরোদমে অভিনয়ে ফিরতে চাই।

ওপারে চন্দ্রাবতী নামের এই চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করছেন নির্মাতা রফিক সিকদার। অন্যদিকে অপু বিশ্বাস নিজেকে পুরোদস্তুর ক্যামেরার সামনে ফেরাতে প্রস্তুতি নিয়ে কাজ শুরু করেছেন। সম্প্রতি বেঙ্গল মাল্টিমিডিয়া প্রযোজিত দেবাশীষ বিশ্বাস পরিচালিত নতুন চলচ্চিত্র ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ ২’-এর জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছে অপু বিশ্বাস। এতে তাঁর বিপরীতে অভিনয় করছেন চিত্রতারকা বাপ্পী।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আজ পহেলা ফাগুন

আজ পহেলা ফাগুন

কর্তৃক Daily Satkhira

গাছের শাখায় জেগে উঠেছে নতুন পাতার সবুজ কুঁড়ি। শিমুল, পলাশ বনে বয় রঙিন ফুলের সৌরভ। ফাগুন হাওয়ায় দোল দিয়ে এসে গেছে বসন্ত। সভ্যতার চাকার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বেঁচে থাকা ঋতুরাজকে বরণ করে নিতে কুহু স্বরে ডেকে উঠছে কোকিল। বসন্তকে বরণ করে নিতে তারুণ্য সেজেছে বাসন্তী সাজে। আজি বসন্ত জাগ্রত দ্বারে/ তব অবগুণ্ঠিত কুণ্ঠিত জীবনে, করো না বিড়ম্বিত তারে/ আজি খুলিয়ো হৃদয় দল খুলিয়ো/ আজি ভুলিয়ো আপনপর ভুলিয়ো’। কবিতায় এভাবেই কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বসন্তকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন। কৃষ্ণচূড়ার রঙে আজ সাজবে তরুণ-তরুণীরা। লাল-হলুদের বসনে নিজেদের রাঙানোর পাশাপাশি হলুদ গাঁদার ফুলে ভিন্ন এক সাজে তরুণীরা সাজাবে নিজেদের। ঘুরে বেড়াবে প্রিয়জনের হাত ধরে। অন্যদিকে রবীন্দ্রনাথের ১৪০০ সাল কবিতার প্রতি উত্তরে নজরুল ১৪০০ সাল নামেই একটি কবিতায় লিখেছিলেন— ‘আজি নব বসন্তের প্রভাত বেলায়, গান হয়ে মাতিয়াছ আমাদের যৌবন মেলায়’। বঙ্গাব্দ ১৪০১ সাল থেকে প্রথম ‘বসন্ত উৎসব’ উদযাপন করার রীতি চালু হয়। সেই থেকে জাতীয় বসন্ত উৎসব উদযাপন পরিষদ বসন্ত উৎসব আয়োজন করে আসছে। এ ছাড়া তরুণ-তরুণীরা বাংলা একাডেমি আয়োজিত একুশের বইমেলা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, শাহবাগ, চারুকলা চত্বর, পাবলিক লাইব্রেরি, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ধানমন্ডি লেক, বলধা গার্ডেন মাতিয়ে রাখবে সারা দিন। বসন্তকে বরণ করে নিতে নাচ, গান ও কবিতা আবৃত্তিসহ নানা বর্ণাঢ্য আয়োজন করেছে জাতীয় বসন্ত উৎসব উদযাপন পরিষদ। দীপন সরকারের গিটারে বসন্ত বাহার যন্ত্রসংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে সকাল ৭টায় চারুকলার বকুলতলায় শুরু হবে এই উৎসব। উৎসবের উদ্বোধনী পর্বে রাখা হয়েছে বসন্ত কথনপর্ব, আবির বিনিময়, রাখীবন্ধন, ধ্রুপদী, দলীয় নৃত্য এবং দলীয় সংগীত। বরেণ্য শিল্পীদের অংশগ্রহণে একক আবৃত্তি ও একক সংগীত পরিবেশন করা হবে। এ পর্ব শেষ হবে সকাল ১০টায়। এরপর বিকাল সাড়ে ৩টায় একযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বকুলতলা, লক্ষ্মীবাজারের বাহাদুর শাহ পার্ক, ধানমন্ডি ৮ নম্বর রোড সংলগ্ন রবীন্দ্র সরোবর উন্মুক্ত মঞ্চ (লেকের পাশে) এবং উত্তরার ৩ নম্বর সেক্টর রবীন্দ্র সরণির উন্মুক্ত মঞ্চে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে বর্ণাঢ্য এ আয়োজন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনি রিপোর্টার্স ক্লাবের নব নির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান

আশাশুনি ব্যুরো: আশাশুনিতে উপজেলার গতিশীল সাংবাদিক সংগঠন আশাশুনি রিপোর্টার্স ক্লাব এর নব নির্বাচিতদের অভিষেক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকালে আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলার সাহেব পার্কে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। মনোরম পরিবেশে আশাশুনি রিপোর্টার্স ক্লাব সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ নজরুল ইসলাম।

শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা শাকিলের সার্বিক তত্বাবধানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা রিপোর্টার্স ইউনিটির সদস্য সচিব ডেইলি সাতক্ষীরার সম্পাদক ও প্রকাশক হাফিজুর রহমান মাসুম, আশাশুনি থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ আক্তারুজ্জামান, সাতক্ষীরা-৩ আসনের এমপি প্রতিনিধি শম্ভুজিৎ মন্ডল, আনুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আলমগীর আলম লিটন, কাদাকাটি ইউপি চেয়ারম্যান দিপংকর কুমার সরকার, সাতক্ষীলা প্রেস ক্লাবের কার্যনির্বাহী সদস্য কৃষ্ণ মোহন ব্যানার্জী, সাংসদের এ্যামব্যাসেডর সাংবাদিক তোষিকে কাইফু প্রমুখ। এসময় প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন সাংবাদিকতা একটি মহান পেশা। এ পেশাকে বলা হয় জাতির বিবেক, সমাজের দর্পণ। সকালে ঘুম থেকে উঠেই মানুষ আগে চায় একটু পত্রিকা পড়তে। পড়ে জানতে চায় দেশ বা নিজ এলাকার খবরগুলো। প্রধান অতিথি সাংবাদিকদের কাছে বিশেষভাবে আহব্বান জানিয়ে বলেন, আপনারা আশাশুনির উন্নয়নের কথা লেখেন। কোথায় কোথায় সরকারের উন্নয়ন পৌছায়নি, সেখানকার কথা তুলে ধরেন পত্রিকায়। বর্তমান সরকার সাংবাদিক বান্ধব সরকার। এ সরকার প্রতিটি সেক্টরে উন্নয়ন করেছে। সরকার বছরের শুরুতে প্রতিটি শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই তুলে দিচ্ছে। প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌছে দিচ্ছে। ছাত্র ছাত্রীদের উপবৃত্তি দিচ্ছেন ও শিক্ষার উপর গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষার মান উন্নয়ন কাজ করে যাচ্ছেন। সরকারের এ উন্নয়নের ধারাকে ধরে রাখতে হলে এ সরকারের কোন বিকল্প নেই বলে মনে করেন প্রধান অতিথি।

আশাশুনি রিপোর্টার্স ক্লাব সিনিয়র সহ-সভাপতি আইয়ুব হোসেন রানা ও যুগ্ম-সম্পাদক মোঃ আবু ছালেকের পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হেনা বিল্টু, আশাশুনি রিপোর্টার্স ক্লাব সহ-সভাপতি সুব্রত দাশ, শেখ বাদশা, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আকাশ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক এম এম নূর আলম, অর্থ সম্পাদক মইনুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক মোখলেছুর রহমান ময়না, ক্রীড়া সম্পাদক আলমিন হোসেন ছট্টু, প্রচার সম্পাদক বাপন মিত্র, নির্বাহী সদস্য শেখ হেদায়েতুল ইসলাম, বাহবুল হাসনাইন, উত্তম দাশ, শ্রীউলা প্রেসক্লাব, চাম্পাফুল প্রেসক্লাব সহ সাংবাদিক জি এম আজিজুর রহমান রাজ, এস এম শাহিন আলম, আবু হাসান, বিএম আলাউদ্দীন বিশ্বাস, ইমরান হোসেন প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে প্রধান অতিথি আমন্ত্রিত সকল অতিথিবৃন্দের সাথে নিয়ে আশাশুনি রিপোর্টার্স ক্লাবের বার্ষিক ক্যালেন্ডারের মোড়ক উন্মোচন করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা শিশু পরিবারে নির্যাতনের প্রতিবাদ করে শিক্ষার্থীরাই বহিষ্কার !

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা শিশু পরিবারে নির্যাতনের প্রতিবাদকারী ওই ৪ শিক্ষার্থীকে বহিস্কার করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রোববার সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা শিশু সদনের উপ-তত্ত্বাবোধায়ক জামাল উদ্দিন স্বাক্ষরিত বহিস্কারাদেশ পত্র শিক্ষার্থীদের বাড়িতে পাঠানো হয়। বহিস্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন, ধুলিহর এলাকার শওকত রহমানের ছেলে সাতক্ষীরা পল্লী মঙ্গল স্কুল এন্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র এখলাসুর রহমান, একই এলাকার নুর আলী সরদারের ছেলে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র আব্দুল করিম, বুধহাটা ইউনিয়নের কাদাকটি এলাকার নেসার আলী গাজীর ছেলে সাতক্ষীরা পল্লী মঙ্গল স্কুল এন্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র মুরশিদ গাজী ও পাটকেলঘাটা এলাকার আলী আহম্মদের ছেলে সাতক্ষীরা পল্লী মঙ্গল স্কুল এন্ড কলেজের ৮ম শ্রেণির ছাত্র সবুজ হোসেন।
গত কয়েকদিন পূর্বে শিশু পরিবারের একশিশুকে দিয়ে এক কর্মচারী তার মটর বাইক পরিস্কার করান। স্থানীয় একজন ব্যক্তি ওই ঘটনার ছবি তুলে বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে পৌছে দেন। যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় বইছে। ফেসবুক ব্যবহারকারীরা বলছেন, ইতিপূর্বে এতিম শিশুদের দিয়ে লিঙ্গ মেহনের মত চরম ঘৃণ্য অপকর্ম করেও সাতক্ষীরা সরকারি শিশু পরিবারের কর্মচারীরা পার পেয়ে গেছেন। তাদেরকে কৌশলে বিচারের হাত থেকে বাঁচানো হয়েছে। শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে আয়োজিত বিভিন্ন সেমিনারে অতিথির আসন অলংকৃত করে গলাবাজি করা ব্যক্তিরা নিজেরাই শিশু যৌন নিপীড়নকারীদের আইনের হাত থেকে রক্ষা করার শপথ নিয়েছেন। আর এর ফলশ্রুতিতে এতিম শিশুদের উপর নিপীড়নের মাত্রা আরও বেড়েছে।
এদিকে শিশুদের ১৮বছর বয়স না হলেও তাদের নাম কর্তন করা প্রসঙ্গে সাতক্ষীরা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক দেবাশিষ সরদার জানান, ওই ৪ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ রয়েছে। যে কারণে শিশু পরিবারে বডি কমিটির এক সভায় তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। শিশুদের দিয়ে মটরবাইক পরিষ্কারের বিষয়ে তিনি বলেন, এটি আমিও দেখেছি। এটি খুব খারাপ কাজ হয়েছে। এ ঘটনায় আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নেবো।
বহিস্কৃত এক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানায়, গত বছরের জুলাই মাসে ঠিকমত খাদ্য না দেওয়া, ভয়ংকর যৌন নিপীড়নসহ বিভিন্ন অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে সাতক্ষীরা সরকারি শিশু পরিবারের ৪ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে মারপিট করে শিক্ষার্থীরা।
এঘটনায় তৎকালীন সদর সহকারী কমিশনার(ভূমি) ও ভারপ্রাপ্ত ইউএনও দেবাশিষ চৌধুরী সকলকে শান্ত থাকতে বলেন এবং পরবর্তীতে বিষয়টি শুনে বুঝে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করেন। পরবর্তীতে একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পরও অপরাধের বিপরীতে দোষীদের বিরুদ্ধে কোন আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
অন্যদিকে ঘটনার ৮ মাস অতিবাহিত হওয়ার পর উল্টো প্রতিবাদী শিশুদের বহিষ্কারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যা নিয়ে সাতক্ষীরা সচেতন মহলে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
তৎকালীন ওই কর্মকর্তারা হলেন, অফিস সহকারী সাতক্ষীরার দেবনগর এলাকার খলিলুর রহমানের ছেলে তানভীর হোসেন, গোপালগঞ্জ জেলার বিমল বৈরাগী, বড় ভাই (পদের নাম) নওগা জেলার মোজাফফার হোসেনের ছেলে আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বিন হোসেন ও কৌশিক।
সে সময় শিশু পরিবারের এতিম শিশুরা জানায়, সরকার কর্তৃক দেওয়া সুযোগ সুবিধা থেকে তারা বঞ্চিত। তারা অসুস্থ হলেও তাদের ঠিকমত চিকিৎসা করানো হয় না। সবচেয়ে বড় অভিযোগ হলো ওই কর্মকর্তারা এতিম শিশুদের দিয়ে বিকৃত যৌনাচার করে। পুরুষের বিশেষ অঙ্গ না চুষলে তাদের অকথ্য নির্যাতন করা হয় বলেও জানিয়েছে শিশুরা। কথা না শুনলে ছোট ছোট বচ্চাদের বেদম মারপিট করে তারা। এবিষয়ে কারো কাছে নাশিল করলে তাদের জন্য আরও কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়। তারপরও তারা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বার বার বিচার দিলেও কোন ফল পায়নি বলে জানিয়েছে। কোন উপায় না পেয়ে ওই ৪ শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে শিশুরা এধরনের কাজ করতে বাধ্য হয়েছে। তবে আহত অফিস সহকারীরা এধরনের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমাদের সাথে তাদের কোন সমস্যা নেই। কিন্তু কি কারণে তারা আমাদের মারপিট করেছে তা তাদের জানা নেই। কতজন মেরেছে এমন প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন ৭২ জন শিক্ষার্থীই তাদের উপর হামলা করেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা দিবা নৈশ কলেজের পক্ষ থেকে রবি এমপিকে শুভেচ্ছা

নিজস্ব প্রতিবেদক : জার্মানীতে বিশ্ব সন্ত্রাসবিরোধী সংগঠন ওয়ার্ল্ড এন্টি টেরোরিজম ওরগানাইজেশন এবং জার্মান পার্লামেন্টারীর সহযোগিতায় আয়োজিত সেমিনারে বাংলাদেশের হয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখায় শুভচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন সাতক্ষীরা দিবা নৈশ কলেজের শিক্ষকরা। সোমবার সকালে শহরের মুনজিতপুরস্থ মীর মহলে ফুলের শুভেচ্ছা জানান সাতক্ষীরা দিবা নৈশ কলেজের অধ্যক্ষ এ.কে.এম শফিকুজ্জামান, উপাধ্যক্ষ মো. ময়নুল হাসান, সহকারি অধ্যাপক মোস্তাক আহমেদ, ফেরদৌসি বেগম, বেলাল গাজী, মোস্তফা কামাল, দেব কুমার ঘোষ, রফিউদ্দিন, তপন কুমার নাথ, সন্দীপ কুমার বসু, রওশন আরা, শফিক আহমেদ, তৈয়ব হাসান বাবু প্রমুখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
গাভা এ.কে.এম হাইস্কুলে একাডেমিক ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা সদরের ফিংড়ি ইউনিয়নের গাভা এ.কে.এম আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৪ তলা বিশিষ্ট একতলা একাডেমিক ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। সোমবার বিকালে গাভা এ.কে.এম আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবুল খায়ের সরদারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা-০২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারি প্রকৌশলী মো. তানভীর ইসলাম, জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ, সদস্য অতিরিক্ত পিপি এড. আব্দুল লতিফ, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদিকা জ্যোৎন্সা আরা, ফিংড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মো. শামসুর রহমান, ফিংড়ি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি লুৎফর রহমান, জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি মকসুমুল হাকিম, গাভা আইডিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ শিবপদ গাইন, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারি সহকারি প্রকৌশলী এম.এম.এ জায়েদ বিন গফুর, গাভা এ.কে.এম আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিধান চন্দ্র সরকার প্রমুখ। রাজস্ব বাজেট কোর্ড নং-৭০১৬) এর আওতায় ৪তলা ভিত বিশিষ্ট একতলা একাডেমিক ভবন ৬৭ লক্ষ ৯৭ হাজার ৫শ টাকা ব্যয়ে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর বাস্তবায়নে একাডেমিক ভবন নির্মাণ করবে। এসময় গাভা এ.কে.এম আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
চাচার জমি দখল করতে মরিয়া হয়ে ভাইপো !

নিজস্ব প্রতিবেদক : আইন আদালতের তোয়াক্কা না করে চাচার জমি অবৈধভাবে দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে চোরাকারবারি ভাইপো। এ নিয়ে একাধিকবার শালিসী বৈঠকে মিমাংসা হলেও পরবর্তীতে আবারো জবর দখল শুরু করে ভাইপো। সে সদরের আলীপুর গ্রামের মৃত সামছুর রহমানের পুত্র চোরাকারবারি সাঈদুজ্জামান (বাবলু)।
অবৈধ টাকার প্রভাবে আইন, আদালত, জনপ্রতিনিধি কারো কোন তোয়াক্কাই করেন না ভাইপো সাঈদুজ্জামান। এমনই অভিযোগ সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আলিপুর গ্রামের শরিয়াতুল্লা মোড়লের ছেলে ইমান আলীর।
কাগজ পত্রানুযায়ী ভিটাবাড়ির জমি সকল ভাই বোনের মধ্যে ক্রয় বিক্রয় হওয়ার পর পথ, পুকুর, কবরস্থান বাদে চার ভাই যথাক্রমে প্রাপ্য বড় ভাই এনছাপ ০১.৭২(দখল নাই), মৃত ছামছুরের পুত্র সাইদুজ্জামান ১৪.৭৯ (দখল৩৪.২৫)শতক, ইমান ৩৩.৪৩ (দখল ২৪) শতক ও জিয়াদ আলী ১৯.২১ (দখল ১০.৯০) শতক করে প্রাপ্য। কিন্তু দেখা যায় ভিটাবাড়িতে সাইদুজ্জামান প্রাপ্য ১৪.৭৯ শতক ছাড়াও ১৯.৪৬ শতক ও বিলান ১৪.১২ শতক জমি দীর্ঘদিন জোর পূর্বক অবৈধ দখল করে রেখেছে। সেই সম্পত্তি ফেরত চাওয়ায় চাচা ইমান আলীর সাথে বিরোধে সূত্রপাত ঘটে। ইতোপূর্বে সাঈদুজ্জামানের চোরাকারবারী কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করায় ইমান আলীর ছেলে মোঃ হাবিবুল্লাহ বাহার কে ০১নং আসামী করে আরো তিন জনের নামে সাতক্ষীরা আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। উক্ত মামলায় হাবিবুল্লাহকে তার চাকুরি হারাতে হয়। চাকুরি হারিয়ে হাবিবুল্লাহ বর্তমানে মানবেতর জীবন – যাপন করছে।
এরপর গত ২১জানুয়ারি১৮ তারিখের সদর থানার এস আই হাসানুর রহমান উক্ত মামলার তদন্ত করেন। তদন্তে উক্ত মামলা মিথ্যা প্রমানিত মর্মে প্রতিবেদনও দেন সদর থানার এস আই হাসানুর রহমান। এটা নিয়ে পত্র-পত্রিকায় একাধিক সংবাদও প্রকাশিত হয়।
এদিকে এ বিষয়ে মিমাংসা করার জন্য কিছু শর্ত স্বাপেক্ষে গত ২৫ নভেম্বর’১৭ তারিখে একটি শালিসী বৈঠক আহ্বান করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিবৃন্দ। সেখানে আলীপুর ইউপি সদস্য আতাউর রহমান, ও সাঈদুজ্জামানের অভিভাবকের দায়িত্ব পালনকারী আকবর আলী সরদার, তার আপন বড় চাচা এনছাপ, স্থানীয় সাংবাদিকসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু তারপরও সে শালিস না মানায় আলীপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান, সাঈদুজ্জামানের আপোন বড় চাচা এনছাপ আলী, ১,২, ও ৩ নং ওয়ার্ডের মহিলা ইউপি সদস্য তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ব্যবস্থা পত্রে সুপারিশ করেন। এছাড়া এলাকাবাসীর মধ্যে ১২৫ জন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সাঈদুজ্জামানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গণস্বাক্ষর করেন।
ভুক্তভোগী অসহায় চাচা ইমান আলী জানান, সে ২০১৩ সাল হতে ৪ বছরের অধিক সময় ধরে নানান ভাবে অত্যচার করে যাচ্ছে। ২৫মার্চ১৭ইং তারিখে অবৈধ ভাবে জায়গা দখল করে প্রাচির নির্মানের ভিডিও তথ্য রয়েছে।
এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে লাঞ্চিত ও হুমকি প্রদর্শন করায় তার বিরুদ্ধে ০৭অক্টোবর১৭ইং তারিখে অভিযোগ দায়ের সহ একের অধিকবার সাধারণ ডায়েরি নং-১৯১৩ ও ৩৮৬ রয়েছে যা তদন্তে সঠিক পেয়েছে। তারপর ও সে মিথ্যা অভিযোগে ১৬ অক্টোবর’১৭ইং তারিখে ০৯ টি ধারা দিয়ে মামলা নং-৩০৪/১৭ইং সাতঃ দায়ের করে, তার বিরুদ্ধে ২২-২৩ অক্টোবর’১৭ইং তারিখে ১৮৫ জনের গণস্বাক্ষর করে। ২৫নভেম্বর’১৭ইং তারিখের শালিসে ৫৩ জনের এবং ১০মার্চ’১৭ইং তারিখে শালিস অমান্য করায় তার বিরুদ্ধে ৮৯ জনের গণস¦াক্ষর রয়েছে।
উক্ত সাঈদুজ্জামান চোরাকারবারি ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার কারণে কালো টাকার প্রভাবে বিভিন্ন মহলকে ম্যানেজ করে চলে। যে কারণে তার কাছে অসহায় হয়ে পড়েছেন চাচা ঈমান আলীসহ অন্যান্য ভাই ও তাদের পরিবার। অবিলম্বে উক্ত ভাইপো নামের কলঙ্ক সাঈদুজ্জামানের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এবিষয়ে ভাইপো সাঈদুজ্জামান বাবলুর ব্যবহৃত ০১৯৮১৬৯১৫৬৩ নাম্বারে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি রিসিভ না করায় তা সম্ভব হয়নি।

১২.০২.২০১৮

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
লাবসা ইউপিতে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসাবে বাবু’র দায়িত্বভার গ্রহণ

নিজস্ব প্রতিবেদক : লাবসা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন প্যানেল চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া বাবু। সোমবার দুপুর ২টায় ১৩নং লাবসা ইউনিয়ন পরিষদ সচিব আব্দুর রাজ্জাকের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জামির হোসেন, ২নং ওয়ার্ড সদস্য মোঃ সাঈদ আলী সরদার, ৩নং ওয়ার্ডের মোঃ আজিজুল ইসলাম, ৪নং ওয়ার্ডের আসাদুল ইসলাম, ৫নং ওয়ার্ডের কাজী মনিরুল ইসলাম, ৯নং ওয়ার্ডের মনিরুল ইসলাম, ১,২,৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বর মাছুরা বেগম, ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ডের ফেরদৌসী ইসলাম মিস্টি, ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডের সুফিয়া খাতুন প্রমুখ।
উল্লেখ্য, লাবসা ইউপি চেয়াম্যান আব্দুল আলিম অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে ছুটি গ্রহণ করেন এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসাবে প্যানেল চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া বাবুকে দায়িত্বভার অর্পণ করেন। এদিকে বাবু ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করে লাবসা ইউনিয়নবাসীসহ সকলের কাছে দোয়া কামনা করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest