সর্বশেষ সংবাদ-
তালায় ধানের ট্রাক উল্টে ২ শ্রমিক নিহত : আহত ১০শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে সাতক্ষীরা জেলা শ্রমিকলীগের র‌্যালিসাতক্ষীরার শ্যামনগরে সাপের কামড়ে শিশুর মৃত্যু।সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় ভ্যানচালক নিহতসাতক্ষীরার রাজ্জাক পার্কে সাশ্রয়ী মূল্যে মাসব্যাপী বসুন্ধরা পন্য বিক্রি শুরুসাতক্ষীরায় প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনার ৫ দিন পার না হতেই একই এলাকায় আবারো ডাকাতিএস এস সি পরীক্ষায় সাতক্ষীরা জেলায় প্রথম আহনাফ তাহসিনকারিগরি শিক্ষাকে মর্যাদা প্রদান ও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাকে বিএসসি সমমান মর্যাদা ঘোষনার উদ্যোগে বিদ্বেষী কার্যক্রমের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনদেবহাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ উদযাপনসাতক্ষীরায় ১২০ লিটার ভেজাল দুধ জব্দ: দেড় লক্ষ টাকা জরিমানা ও ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদ-

পশ্চিম সুন্দরবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঝুঁকিভাতা পাস হলেও বন্ধ হয়নি অনিয়ম, ঘুষ বাণিজ্য

স্টাফ রিপোর্টার: সুন্দরবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি ও ঝুঁকি ভাতা পাস করার পরও কমেনি দুর্নীতি অনিয়ম ও ঘুষ বাণিজ্য। সরকার সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতাসহ যাবতীয় সুযোগ সুবিধা বাড়িয়ে অনিয়ম দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে এনে প্রতিটি দপ্তরে সাফল্য অর্জন করে দেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু, সুন্দরবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জেলে-বাওয়ালীদের কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণসহ নানা দুর্নীতি অনিয়ম বৃটিশের শাসন থেকে শুরু করে অদ্যাবধি পর্যন্ত চলমান আছে। যাহা দেশের প্রতিটি মানুষের কাছে দিনের আলোর মত পরিষ্কার। একদিকে বনদস্যুদের অপহরণ, মুক্তিপণ বাণিজ্য, অন্যদিকে বনবিভাগের অনিয়ম, দুর্নীতি, ঘুষ গ্রহণের কারণে নাজেহাল হয়ে পড়েছে উপকূলীয় জেলে-বাওয়ালীরা। সরেজমিনে ও প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে সুন্দরবন পশ্চিম বনবিভাগের সাতক্ষীরা রেঞ্জ-এর বনকর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঘুষ বাণিজ্যসহ বহুপ্রকার অভিযোগের তথ্য বেরিয়ে এসেছে। বর্তমান মৌসুমে কাঁকড়া আহরণ সরকারীভাবে নিষিদ্ধ থাকলেও সুন্দরবন পশ্চিম বনবিভাগের জেলেরা সাদা মাছের পাস নিয়ে বনবিভাগের নাকের ডগায় তাদের প্রত্যক্ষ সহযোগীতায় কাঁকড়া আহরণ করছে।বনবিভাগের নিয়মিত টহলে তাদের চোখে পড়ে না এধরনের অপরাধ। তারা যেন না জানার ভান করে পাশ কাটিয়ে চলে। ২জন জেলের ১ সপ্তাহের পাসে সামান্য সরকারি রাজস্ব থাকলেও া প্রতি পাসে ৯০০টাকা আদায় করছে কৈখালী, কদমতলা, বুড়িগোয়ালিনী ও কোবাদক স্টেশন কর্মকর্তা। তবে তারা সরাসরি এ টাকা গ্রহণ করেন না। প্রতিটি স্টেশনে ডজন ডজন দালাল নিয়োগ দেওয়া আছে। তাদের মাধ্যমে এই টাকা নিয়ে থাকেন। আর ৭দিনের প্রবেশ কর নিয়ে পাস দিয়ে পাস সর্মপণের সময় ৭দিনের রাজস্ব নিয়ে সরকারের কোষাগারে জমা দিচ্ছে ৩থেকে ৫দিনের রাজস্ব। একদিকে জেলেদের কাছ থেকে ঘুষ বাণিজ্য করছে, অন্যদিকে সরকারকে রাজস্ব থেকে বঞ্চিত করছে। সরকারি নীতিমালায় জেলেরা মাছ আহরণ করে ফিরে এসে পাস সর্মপণ করার পর তাদের সর্মপণ পাস বা সিটি পাস দেওয়ার নির্দেশ থাকলেও থলের বিড়াল বেরিয়ে আসার ভয়ে জেলেদের সিটি পাস না দিয়ে তা বনরক্ষীরা জ্বালানী হিসেবে পুড়িয়ে দেয়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের সাতক্ষীরা রেঞ্জের চারটি স্টেশনে ৩ হাজারের অধিক মাছ-কাঁকড়া ধরার বিএলসি রয়েছে। এসমস্ত বিএলসি ধারীরা নিয়মিত সাদামাছ,কাঁকড়ার পাস নিতে দালালদের মাধ্যমে বনরক্ষীদের ঘুষ দিয়ে বন্ধ মৌসুমে অবাধে কাঁকড়া আহরণ করছে। ১লা জানুয়ারী থেকে কাঁকড়ার পাশ বন্ধ আছে। ১লা মাচ্য থেকে আবার কাঁকড়া আহরনের পাস দিবে বন বিভাগ।
এ দিকে পশ্চিম সুন্দরবনের লটাবেঁকী টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার প্রত্যক্ষ সহযোগীতায় টহল ফাঁড়ির ট্রলার দিয়ে শত শত নৌকা সাদা মাছের পাস নিয়ে কাঁকড়া আহরণের জন্য অভয়ারণ্য এলাকায় টেনে নিয়ে কাঁকড়া ধরাচ্ছে। কাঁকড়া ধরার পর আবার তাদের ট্রলারে নৌকাগুলো টেনে এনে বিভিন্ন মোকামে পৌঁছে দিচ্ছে। সুত্র জানায়, এসমস্ত জেলেরা অভয়রণ্য এলাকা যেমন-আগুনজ্বালা, পান্তামারী, ইলশেমারী, খেজুরদানা, হেতালবুনিয়া, জনাবের ভারানি, ভাইজোড়া খাল, লতাবেঁকী খালসহ অসংখ্য অভয়ারণ্য এলাকায় লতাবেঁকী টহল ফাঁড়ির বনরক্ষীদের সহযোগিতায় বন্ধ মৌসুমে কাঁকড়া আহরণ করছে। জেলে প্রতি লতাবেঁকীর বনরক্ষীরা সপ্তাহে ৪ হাজার টাকা করে ঘুষ নিচ্ছে। এভাবে প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষ বাণিজ্য করছে। দেখার কেহ নেই।
“স্মার্টটিম” সম্প্রতি গত মাসের ২৪তারিখ থেকে পশ্চিম সুন্দরবনে নামানো হয়েছে। যার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কৈখালী স্টেশন কর্মকর্তা মিঠু তালুকদার ও বুড়িগোয়ালিনী স্টেশন কর্মকর্তা কে.এম কবির হোসেন। কিন্তু, আজ ২২ দিনে তারা কোন ধড়-পাকড় বা জব্দ করার মত কোন খবর নেই। একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, এই “স্মাট-টিম” পরিচালনার জন্য কোটির অধিক টাকা বরাদ্ধ দিয়াছে। স্মাট টিম মাঝে মাঝে দুই-একটা ট্রলার,নৌকা ও জাল জব্দ করলেও তা ঘটনা স্থল থেকে উৎকোচ নিয়ে আসামীদের ছেড়ে দিচ্ছে। আরাম-আয়েশ আর স্প্রিট-বোটের বরাদ্ধের তেল কিনেই পার হয়ে যাচ্ছে স্মার্ট-টিমের দৈনন্দিন কাজ। তাদের কাজের কোন অগ্রগতি নেই। সূত্রটি আরও জানায়, শুধু বনবিভাগের জনবল দিয়ে স্মার্ট টিম চালালে সরকারের টাকা অপচয় ছাড়া কোন কাজে আসবে না। সুন্দরবন থেকে ফিরে আসা অনেক জেলেরা বলেছেন,স্মার্ট টিম এবার সাদা মাছ ও কাঁকড়া আহরণকারীদের কাছ থেকে দেখা পেলেই ডিউটি খরচের অজুহাতে ১ হাজার টাকা করে নিচ্ছে। বনবিভাগের এই সমস্ত নানামুখী ঘুষ বাণিজ্য অনিয়ম সেই বৃটিশ আমল থেকে চলে আসছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সমাজসেবক, সাংবাদিক-এর প্রতিবাদ করলে বনরক্ষীরা নানা অভিযোগ খাঁড়া করে জেলেদের উপর নির্যাতন-নিপীড়ন শুরু করে। জেলেরা পরিস্থিতির শিকার হয়ে জীব জীবিকা নির্বাহ কারর জন্য ঘুষ বাণিজ্যসহ সকল অনিয়মের সাথে সম্মতি জ্ঞাপন করতে বাধ্য হয়। জনপ্রতিনিধি, সমাজসেবক ও স্থানীয় সাংবাদিক যারা ঘুষ বানিজ্যসহ বনরক্ষীদের নানা অপকর্মের প্রতিবাদ করেন বনবিভাগের অসৎ কর্মকর্তারা উদোর বোঝা বুদোর ঘাড়ে চাপিয়ে তাদের বিরুদ্ধে বন মামলা দেন। এমন মামলায় উপকূলীয় জনপ্রতিনিধি, সমাজসেবক ও সাংবাদিকরা অনেকই ভুগছে। যা আদালতে শেষ পর্যন্ত প্রমাণ হয় না। অবশেষে বিচারকরা খারিজ করে দেন। এই সমস্ত পাতানো মামলার করণে বনবিভাগের ৯৫% ভাগ মামলার দায় হতে আসামীরা অব্যহতি পাচ্ছে। কারণ, মিথ্যা মামলায় ঝুলিয়ে রাখায় স্বাক্ষীও স্বাক্ষ্য দিতে চায় না। নিজের স্বার্থ হাসিল করতে মিথ্যা মামলা দাখিল করায় বন কর্মকর্তা।এঅভিযোগ আদালতে থাকা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বন মামলা পরিচালকের। এভাবে বনবিভাগ সরকারের টাকা অপচয় করছে। এজন্য দরকার দক্ষ বন কর্মকর্তা। যারা দেশ ও জাতির উন্নয়নে অঙ্গীকারবদ্ধ। সেজন্য, নতুন এবং দক্ষ জনবল নিয়োগেরও প্রয়োজন আছে। তবে একটি অভিজ্ঞ মহল বলতে চায়, র‌্যাবে আর্মি অফিসার আছে, কোস্টগার্ডে আর্মি অফিসার আছে, বিজিবিতে আর্মি অফিসার আছে। এমন অসংখ্য সরকারি দপ্তর বা প্রশাসনে সেনাবাহিনী অফিসার দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। সে সমস্ত দপ্তর বা প্রশাসনে অনিয়ম দূর্নীতির পরিমাণও খুবই কম। বনবিভাগের সহকারি বন সংরক্ষক পদ থেকে উচ্চ পর্যায়ে আর্মি অফিসার নিয়োগ দিয়ে যদি বনবিভাগ নিয়ন্ত্রণ করা হয়, তাহলে বনবিভাগের ব্রিটিশ আমল থেকে চলে আসা ঘুষ কেলেঙ্কারীসহ নানাবিধ দূর্নীতি দূর হতে পারে। তাহা না হলে এটা বন্ধ হওয়ার কোন আলোর পথ দেখা যাচ্ছে না। এধরনের নানা অভিযোগের কারণ জানতে চেয়ে কথা হয় সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এ.সি.এফ) সোয়াইব খানের সাথে। তিনি বলেন, “ভাই অভিযোগ সবে আপনি জানালেন, বিষয়টি অতি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে দেখছি। প্রমাণিত হলে দায়িদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” সর্বশেষ কথা হয়, সুন্দরবন পশ্চিম বনবিভাগের কর্ণধার নামে পরিচিত বিভাগীয় বনকর্মকর্তা মো. বশিরুল আলম মামুনে সাথে। তিনি বলেন, “আমি অল্প দিন পশ্চিম সুন্দরবনে ডি.এফ.ও.-এর দায়িত্বে যোগদান করেছি। টুকটাক অভিযোগের কথা শুনি। কিন্তু, কেহ এ পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে তা নিজে অথবা তদন্ত কমিটি গঠণ করে তদন্ত করা হবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেবহাটায় ৩২ ধারা বাতিলের দাবিতে সাংবাদিকদের মানববন্ধন

আরাফাত হোসেন লিটন, দেবহাটা প্রতিনিধি: দেবহাটায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৩২ ধারা বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে করেছেন প্রেসক্লাব ও রিপোর্টাস ক্লাবের কর্মরত সাংবাদিকরা। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় শহীদ আবু রায়হান চত্বরে দেবহাটা প্রেসক্লাব ও রিপোর্টাস ক্লাবের আয়োজনে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রোনিক মিডিয়ার কর্মরত গণমাধ্যম কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধনে দেবহাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি আব্দুল ওহাবের সভাপতিত্বে সিনিয়র সদস্য রিয়াজুল ইসলামের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, রিপোর্টাস ক্লাবের সভাপতি মীর খায়রুল আলম, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রব লিটু, কুলিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, দেবহাটা প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান, সদস্য এস.এম নাসির উদ্দীন প্রমূখ। এসময় মানববন্ধন কর্মসূচিতে অন্যান্যদের মধ্যে অংশগ্রহণ করেন দেবহাটা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি রাশিদুল আলম রশিদ, প্রচার সম্পাদক মোমিনুর রহমান, সদস্য আজিজুল হক আরিফ, রিপোর্টাস ক্লাবের সহ-সভাপতি আবু সাঈদ, যুগ্ন সম্পাদক কবির হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আকতার হোসেন ডাবলু, অর্থ সম্পাদক এমএ মামুন, সমাজকল্যান বিষয়ক সম্পাদক জিএম নাজমুল হাসান, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, সদস্য কেএম রেজাউল করিম, আরাফাত হোসেন লিটন, ফরহাদ হোসেন সবুজ, কুলিয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নাসিরুজ্জামান সজিব, সাংগঠনিক সম্পাদক রমজান আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহিন হোসেন, ডাঃ আমিরুল ইসলাম, ইব্রাহিম খলিল, পত্রিকা পরিবেশক আলাউদ্দীন মোল্যা প্রমূখ। সাংবাদিকরা বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ৩২ ধারা মাধ্যমে গণমাধ্যমের কন্ঠারোধ করার পরিকল্পনা করা হচ্ছ। যা স্বাধীন সাংবাদিকসমাজ কখনো মেনে নিবে না। এই আইন পাশ হলে সংবাদকর্মীরা তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে যেয়ে বিভিন্ন সমস্যার সম্মূখিন হবে। এতে করে দুর্নীতিবাজরা আরও পার পেয়ে যাবে। তাই অবিলম্বে এই আইনের সংশোধনী এনে সাংবাদিকরা যাতে স্বাধীন ভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারে সে জন্য সরকারের নিকট জোর দাবি জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মর্নিং সান প্রি – ক্যাডেট স্কুলে বসন্ত বরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক : পাতা ঝরিয়ে প্রকৃতির রঙ্গমঞ্চ থেকে বিদায় নিয়েছে কষ্টের শীত। বসন্ত বন্দনায় প্রকৃতিতে রঙের আবির আর সৌন্দর্যের আগুন ছড়িয়ে হাজির হয়েছে ফাগুন। মুনজিতপুরস্থ সাতক্ষীরা মর্নিং সান প্রি-ক্যাডেট স্কুল বাসন্তী বরণে পালন করে ফাগুনের প্রথম দিন। স্কুলের ছোট্ট সোনামনি ও তাদের অভিভাবকরা বসন্ত বরণ উৎসবে মেতে ওঠে। তাদের আনন্দ উচ্ছ্বাসে মুখরিত হয় স্কুল ক্যাম্পাস। এ যেনো মাতঙ্গী মেতেছে আজ বসন্ত বরণে। কন্ঠে কন্ঠে বসন্ত বন্দনার গান। আহা আজি এ বসন্তে…। মধুর বসন্ত এসেছে, মধুর মিলন ঘটাতে…। আজ সবাই গেছে বনে, বসন্তেরই মাতাল সমীরণে…। আজি বসন্ত জাগ্রত দ্বারে…। সুর ছন্দ আর নৃত্যের তালে অন্য রকম আবেশ ছড়িয়ে পড়ে অনুষ্ঠানে। সাতক্ষীরায় বসন্ত বরণ উৎসবের আয়োজন করে শিক্ষার্থীদের প্রকৃতির সাথে পরিচয় করিয়ে দেন জন্য মর্নিং সান স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্কুলের পরিচালক শেখ আমিনুর রহমান কাজলের পরিচালনায় বসন্ত বরণ উৎসবে বসন্তের কবিতা আবৃত্তি করেন বিশিষ্ট কবি মনিরুজ্জামান ছট্ট, কবি দিলরুবা, গান পরিবেশন করেন রুপসী বাংলা ব্যান্ড দল ও কলারোয়া থেকে আগত আব্দুর রহিমসহ স্কুলের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ। এসময় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, প্রাবন্ধিক কবির রায়হান, স্কুলের উপাধ্যক্ষ রুনা লায়লা, সেলিনা সুলতানা প্রমুখ।

১৩.০২.২০১৮

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় হিজড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রশিক্ষণের সমাপনী

মাহফিজুল ইসলাম আককাজ: ‘বৈষম্য নয় সামাজিক মর্যাদা হিজড়াদের প্রাপ্য’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সাতক্ষীরায় ৫০দিন ব্যাপি হিজড়া জনগোষ্ঠির জীবনমান উন্নয়ন শীর্ষক প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে জেলা সমাজসেবা অফিসের আয়োজনে সমাজসেবা কার্যালয়ে জেলা সমাজসেবা অধিদফতরের উপ-পরিচালক দেবাশিস সরদারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন। এসময় তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠির জীবনমান উন্নয়নে ব্যাপক কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। হিজড়াদের সমাজের মূল ¯্রােতধারায় ফিরিয়ে আনতে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সহায়তা দিয়ে কর্মমূখি করছে।’
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা সমাজসেবা অধিদফতরের সহকারি পরিচালক মো. হারুন অর রশিদ, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম, শহর সমাজসেবা অফিসার শেখ সহিদুর রহমান, সদর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মো. রোকনুজ্জামান, সমাজসেবা কার্যালয়ের প্রবেশন অফিসার মো. মিজানুর রহমান, কলারোয়া উপজেলা সমাজসেবা অফিসার শেখ ফারুক হোসেন প্রমুখ। ৫০দিন ব্যাপি হিজড়া জনগোষ্ঠির জীবনমান উন্নয়ন শীর্ষক প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত হিজড়াদের মাঝে সনদ পত্র, সেলাই মেশিন, ছাগল ও নগত ১০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সমাজসেবা কার্যালয়ের প্রবেশন অফিসার মো. মিজানুর রহমান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় পুলিশের অভিযানে আটক ৪৪

আসাদুজ্জামান: সাতক্ষীরায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে বিএনপি-জামায়াতের ১০ নেতা-কর্মী ৪৪ জনকে আটক করা হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা থেকে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতদের মধ্যে, সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ১৬ জন, কলারোয়া থানা ৬ জন, তালা থানা ৩ জন, কালিগঞ্জ থানা ৪ জন, শ্যামনগর থানা ৫ জন, আশাশুনি থানা ৪ জন, দেবহাটা থানা ৪ জন ও পাটকেলঘাটা থানা থেকে ২ জনকে আটক করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক মিজানুর রহমান আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতা ও মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে। তিনি আরো জানান, যে কোন ধরনের নাশকতা এড়াতে জেলায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
নিলামে ফোর-জি সেবার তরঙ্গ পেল গ্রামীণফোন-বাংলালিংক

চতুর্থ প্রজন্মের (ফোর-জি) ইন্টারনেট সেবার তরঙ্গ নিলাম করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। গ্রামীণফোন ও বাংলালিংক তরঙ্গ নিলামে অংশ নিয়ে ১৫.৬ মেগাহার্টজ তরঙ্গ কিনেছে। ১৮০০ ও ২১০০ মেগাহার্টজে তরঙ্গ নিলাম অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে ফোর-জি ইন্টারনেট সেবা পাবেন গ্রাহকরা। আজ ঢাকা ক্লাবে এই সেবার তরঙ্গ নিলাম করে বিটিআরসি।

এতে ১৮০০ মেগাহার্টজে গ্রামীণফোন ৫ মেগাহার্টজ তরঙ্গ কিনেছে। ২১০০ মেগাহার্টজে বাংলালিংক কিনেছে ৫ মেগাহার্টজ এবং ১৮০০ মেগাহার্টজে কিনেছে ৫.৬ মেগাহার্টজ তরঙ্গ। ১০ শতাংশ ভ্যাট ধরে ১৫.৬ মেগাহার্টজ তরঙ্গের মূল্য পাঁচ হাজার ২৬৮ কোটি ৫১ লাখ টাকা।

নিলামে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ও বিটিআরসির চেয়ারম্যান শাজাহান মাহমুদের উপস্থিতিতে নিলামের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এসময় গ্রামীণফোন ও বাংলালিংকের শীর্ষ কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

তরঙ্গ কেনার পরে মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো সেবার মান বাড়াতে পারবে বলে মনে করছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রক্তকে দূষণমুক্ত করতে ৯টি খাদ্য

আমাদের শরীরের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ জিনিসটি যদি ঠিক না থাকে, তাহলে শরীর ঠিক থাকবে কী করে বলুন! তাই তো রক্তকে সব সময় পরিষ্কার রাখাটা আমাদের প্রথম কর্তব্য। রক্ত যে আর শুদ্ধ নেই, তা অনেক ভাবে বোঝা সম্ভব, যেমন আপনার কি খুব ব্রণ হয়? এও কিন্তু রক্ত দূষিত হয়ে যাওয়ার একটা লক্ষণ। এছাড়া সোরিয়াসিস নামে এক ধরনের ত্বকের রোগও কিন্তু রক্ত দূষিত হয়ে গেলেই হয়ে থাকে। এখানেই শেষ নয়, রক্ত যেহেতু শরীরের প্রতিটি কোণায়, প্রতিটি অংশে পৌঁছে যায়, তাই রক্ত যদি ঠিক না তাকে তাহলে কিন্তু একে একে শরীরের বাকি অংশেও এর প্রভাব পড়তে শুরু করে। তাই সাবধান!

এখানে এমন কিছু ঘরোয়া চিকিৎসা প্রসঙ্গে আলোচনা করা হল, যা মেনে চললে রক্ত দূষিত হয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগই পায় না। আর একবার রক্ত বিশুদ্ধ হয়ে গেলে দেখবেন ত্বকের রোগ তো দূরে থাকবেই, সেই সঙ্গে শরীরও একেবারে চাঙ্গা হয়ে উঠবে। তাহলে অপেক্ষা কীসের চলুন জেনে নেওয়া যাক রক্ত বিশুদ্ধ করার ঘরোয়া উপায়গুলি সম্পর্কে।

১. রসুন
এই প্রাকৃতিক উপাদানটিতে থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল প্রপার্টিজ রক্তে জমা হওয়া নানাবিধ জীবাণুকে মেরে ফেলে শরীরকে বিষ মুক্ত করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। শুধু তাই নয়, হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি সার্বিকভাবে শরীরকে সুস্থ রাখতেও রসুনের কোনো বিকল্প নেই বললেই চলে।

২. করলা
আমার মতই আপনারা নিশ্চয় ছোট বেলা থেকে শুনে আসছেন তেঁতো খেলে শরীর ভাল থাকে! একথাটি বাস্তবিকই সত্যি যে করলা জাতীয় তেঁতো খাবার খেলে রক্ত পরিষ্কার হয়, ফলে নানা রোগের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে শরীর বেঁচে থাকে। প্রসঙ্গত, করলায় প্রচুর মাত্রায় ডিটক্সিফাই এজেন্ট রয়েছে, যা রক্ত থেকে ক্ষতিকর উপাদানকে টেনে টেনে শরীর থেকে বের করে দেয়। ফলে সোরিয়ায়িস এবং ব্রণের মতো ত্বকের রোগের প্রকোপ যেমন কমে, তেমনি নানা ধরনের জটিল শারীরিক সমস্যা হওয়ার আশঙ্কাও কমে।

৩. গাজর
রক্ত দূষিত হয়ে যাওয়ার কারণে সরিয়াসিস সহ যেসব ত্বকের রোগ হয়, সেগুলির প্রকোপ কমাতে গাজরের কোনো বিকল্প নেই বললেই চলে। প্রসঙ্গত, গাজরে রয়েছে গ্লুটেথিয়ান নামে একটি উপাদান, যা একপ্রকার ক্লিনজিং এজেন্ট, অর্থাৎ রক্তকে পরিষ্কার করতে এই উপাদানটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাছাড়া এই সবজিটিতে রয়েছে বিপুল পরিমাণে ভিটামিন- এ, বি, সি এবং কে এবং পটাশিয়াম। এই সবকটি উপাদানই শরীর থেকে টক্সিন বের করে দিতে দারুন কাজে আসে। তাই যখনই বুঝবেন রক্ত দূষিত হতে শুরু শুরু করেছে, গাজর খাওয়া শুরু করবেন, দেখবেন দারুন ফল পাবেন।

৪. জাম
রক্ত শুদ্ধ করতে এই ফলটির কোনো বিকল্প হয় না বললেই চলে। শুধু তাই নয়, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতিতেও এই ফলটি দারুন কাজে আসে। ফলে সার্বিকভাবে যদি শরীর সুস্থ রাখতে চান তাহলে প্রতিদিন খেতেই হবে এই গুস বেরি।

৫. গুড়
রক্তকে পরিশুদ্ধ করতে গুড় নানাভাবে সাহায্য করে থাকে। আসলে এতে থাকা ফাইবার, পাকস্থলিতে উপস্থিত ক্ষতিকর উপাদানদের বের করে দেয়। সেই সঙ্গে শরীরে জমতে থাকা বর্জ্য পদার্থদের দেহের বাইরে বের করে দিতেও এটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রসঙ্গত, এখন তো বাজারে নানা ধরনের গুড় পাওয়া যাচ্ছে। তাই রক্তকে বিষ মুক্ত করে শরীরকে যদি চাঙ্গা রাখতে চান, তাহলে নিয়মিত অল্প পরিমাণ গুড়, দুধে গুলে খেতে ভুলবেন না যেন!

৬. বিটরুট
এতে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট প্রপার্টিজ, যা শরীরকে নানা ক্ষতিকর উপাদানের হাত থেকে রক্ষা করে। শুধু তাই নয়, লিভারের কর্মক্ষমতা বাড়াতেও বিটরুট দারুন কাজে আসে। আর একবার লিভার চাঙ্গা হয়ে গেলে শরীর থেকে বিনা বাঁধায় ক্ষতিকর সব বিষাক্ত উপাদানগুলিও খুব সহজে বেরিয়ে যায়।

৭. ব্রকলি
এতে প্রচুর মাত্রায় ডিটক্স এজেন্ট বা ময়লা বের করে দেওয়ার উপাদান রয়েছে। তাই তো প্রতিদিন এই সবজিটি খেলে রক্ত ময়লা হয়ে যাওয়ার কোনো আশঙ্কাই থাকে না। প্রসঙ্গত, রক্তের কোণায় কোণায় লুকিয়ে থাকা ময়লাকে টেনে বের করতে ব্রকলি দারুন কার্যকরী, তাই তো রক্ত বিশুদ্ধ করতে ব্যবহৃত ঘরোয়া চিকিৎসাগুলির মধ্যে এটি এত জনপ্রিয়।

৮. লেবু
শরীরে ক্ষতিকর টক্সিনের মাত্রা যত বৃদ্ধি পাবে, তত রক্ত দূষিত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকবে। লেবু নানাভাবে শরীর থেকে এইসব বিষগুলিকে বের করে দেয়। ফলে রক্ত খারাপ হয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগই পায় না। এখানেই শেষ নয়, লেবুর মধ্যে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা শরীরে উপস্থিত বিশেষ কিছু এনজাইমের কর্মক্ষতা বৃদ্ধি করে। এই এনজাইমগুলি শরীরে উপস্থিত টক্সিনগুলিকে দ্রবণীয় উপাদানে পরিবর্তিত করে দেয়। ফলে সেগুলি সহজে শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। আর যেমনটা আগেই বলেছি, শরীরে টক্সিনের মাত্রা যত কমবে, তত রক্ত বিশুদ্ধ থাকবে।

৯. আদা
এই মশলাটি সেই আদি কাল থেকে নানা রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এতে কার্কিউমিন নামে এক ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট প্রচুর মাত্রায় রয়েছে, যা রক্তকে শুদ্ধ করার পাশাপাশি একাধিক রোগের প্রকোপ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো প্রতিদিন যদি অল্প করে হলুদ খাওয়া যায়, তাহলে কিডনির কর্মক্ষমতা এবং হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে, ফলে শরীর থেকে টক্সিন বেশি মাত্রায় বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দাঁতের ক্ষতি এড়াতে…

দাঁতের ক্ষতি এড়াতে…

কর্তৃক Daily Satkhira

দাঁতের জন্য কিছু খাবার ও পানীয় অত্যন্ত বিপজ্জনক। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব খাবার হয় বাদ দিতে হবে অথবা খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

মিষ্টি চা-কফি

বাড়তি দুধ ও চিনি দিয়ে যারা নিয়মিত চা বা কফি পান করেন, তাদের দাঁতের ওপর মারাত্মক চাপ পড়ে। কারণ মুখে দুধ ও চিনির অবশিষ্টাংশ দীর্ঘক্ষণ থেকে যায়, যা দাঁতের ক্যাভিটির জন্য দায়ী। তাই মিষ্টি চা-কফির পর অবশ্যই মুখ পরিষ্কার করতে হবে।

আরো পড়ুন : ইন্টারনেটের গতি কমানোর উদ্যোগ কতটা সফল হবে?

পপকর্ন

পুষ্টিগুণের দিক দিয়ে পপকর্ন খারাপ নয়। তবে এতে প্রায়ই শক্ত দানা থেকে যায়। এসব দানায় কামড় দিয়ে দাঁত ভেঙে ডেন্টিস্টের শরণাপন্ন হতে হয় অনেককে। এ কারণে পপকর্ন খেতে বাড়তি সতর্ক থাকা উচিত।

লেবুপানি

উষ্ণ লেবুপানি পান করতে অনেকেই পছন্দ করেন। তবে ডেন্টিস্টরা বলেন, এর এসিড দাঁতের এনামেল দ্রুত ক্ষয় করে।

বরফ

বরফ মুখে নেওয়া ও চিবানো দাঁতের জন্য মোটেই ভালো না। এটি দাঁত ভাঙার কিংবা দাঁতের এনামেল নষ্ট করার কারণ হতে পারে।

এনার্জি ও স্পোর্টস ড্রিংকস

এনার্জি ড্রিংকস এসিডিক। এ ছাড়া এতে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে। নিয়মিত এনার্জি ড্রিংকস পান করলে তা দাঁতে মারাত্মক ক্যাভিটির কারণ হয়।

চকোলেট ও ক্যান্ডি

চকোলেটের চিনি ও অন্যান্য উপাদান দাঁতে আটকে থাকে। এতে দাঁতে ক্যাভিটি তৈরি হয়। একই ধরনের ক্ষতি করে ক্যান্ডি এবং এ ধরনের অন্যান্য খাবার। শিশুদের দাঁতের ক্যাভিটির জন্য এসব খাবারকেই সবচেয়ে বেশি দায়ী করা হয়।

কৌটাজাত ফলমূল

নানা ধরনের ফলমূল শিল্প-কারখানায় প্রক্রিয়াজাত করে কৌটায় ভরে বিক্রি করা হয়। এ ধরনের প্রক্রিয়াজাত ও কৌটাজাত ফলমূলে প্রচুর চিনি ও নানা রাসায়নিক উপাদান ব্যবহৃত হয়, যা দাঁতের জন্য ক্ষতিকর।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest