সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরার চারটি আসনই ধানের শীষে ভোট দিয়ে বিজয়ী করতে হবে – হাবিবুল ইসলামসাতক্ষীরা সদরের দত্তবাগ টাইগার ক্লাবের নাইট ক্রিকেট টুর্ণামেন্টের উদ্বোধনজাতীয় সংহতি দিবস,এই দিনে বিভাজন নয়, ঐক্যের আহবান -কাজী আলাউদ্দিনসাতক্ষীরা-৩ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী কাজী আলাউদ্দিনকে বিজয়ী করতে গণমিছিলতরুণদের উদ্ভাবনী উদ্যোগকে উৎসাহিত সাতক্ষীরায় অনুষ্ঠিত হলো গ্রীন ইনোভেশন ফেয়ারExplorez les avis des utilisateurs sur gtbet et rejoignez la communautéΕξερευνήστε τις καλύτερες στρατηγικές καζίνο στο gtbet για μεγαλύτερα κέρδηCome registrarsi su Nixbet e iniziare a vincere in pochi passiদেবহাটায় কিশোর-কিশোরী ও যুবকদের সুরক্ষা নিশ্চিতকরণে খেলাধুলার আয়োজনগণমানুষের স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান নলতা হাসপাতাল হুমকির মুখে :রক্ষার দাবি

পহেলা বৈশাখের শোভাযাত্রায় মর্নিং সান ৩য়

নিজস্ব প্রতিবেদক : বর্ণিল আয়োজনে ব্যাপক উৎসব মুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে নানা উৎসবে পালিত হয়েছে বাঙালী জাতির পুরাতন ইতিহাস ও ঐতিহ্য বহনের ১৪২৫ পহেলা বৈশাখ। শনিবার সকালে পহেলা বৈশাখের শোভাযাত্রায় ৩য় স্থান অধিকার করেছে। শোভাযাত্রা শেষে সাতক্ষীরা সদর-২ আসনের সংসদ সদস্যসহ অতিথিবৃন্দ স্কুলের পরিচালক শেখ আমিনুর রহমান কাজলের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। এদিকে শোভাযাত্রায় মর্নিং সান প্রি ক্যাডেট স্কুল ৩য় স্থান অধিকার স্কুলের পক্ষ থেকে সকল অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন স্কুলের পরিচালক।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পাটকেলঘাটায় বৈশাখী মেলায় মিনিস্টার মাইওয়ান ফ্রিজের স্টল পরিদর্শন করলেন সাবেক এমপি ইঞ্জি: শেখ মুজিবার রহমান

পাটকেলঘাটা প্রতিনিধি : পাটকেলঘাটা কুমিরায় ৫ দিন ব্যাপী বৈশাখী মেলায় আজ প্রথম দিনে মিনিস্টার মাইওয়ান স্টল পরিদর্শন করলেন সাবেক এমপি ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবার রহমান । মেলার আয়োজক কমিটির প্রধান ও কুমিরা ইউনিয়নের আওয়ামিলীগের সেক্রেটারী মো: রফিকুল ইসলাম, ছাত্রলীগের কুমিরা ইউনিয়নের সেত্রেটারী সোহেল আহমেদ সহ সাংবাদিক ও অনেক গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ।। অতিথি বৃন্দ মেলায় মিনিস্টার মাইওয়ানের এলইডি টিভি, গ্লাসডোর ফ্রিজ, রাইচকুকার, ফ্যান , আয়রন মেশিন, বেলেন্ডার সহ সব ধরনের ইলেক্টনিক্স আইটেম ঘুরে ঘুরে দেখেন।। দেশীয় পন্যর গুনাগত মানের প্রশাংসা করেন এবং মেলার সফলতা কামনা করেন ।।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
লাল-সাদা পোশাক আর গোলাপ-গাঁদায় কলারোয়ায় পহেলা বৈশাখ উদযাপন

নিজস্ব প্রতিনিধি : লাল-সাদা পোশাক আর গোলাপ-গাঁদা ফুলে রাঙিয়ে কলারোয়ায় পহেলা বৈশাখ উদযাপন করা হয়েছে।
বর্ণিল আয়োজন আর উৎসব মুখর পরিবেশে পালিত হয়েছে বাঙালী জাতির পুরাতন ইতিহাস-ঐতিহ্যের ১৪২৫ পহেলা বৈশাখ উদযাপন।
বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনটি পহেলা বৈশাখ বাঙালী জাতির জন্য আনন্দময়, সবচেয়ে রঙিন উৎসব। তাই দিনটি ঘিরে কলারোয়া উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে গ্রহণ করা হয় নানান কর্মসূচি।
নানান বয়সী মানুষের লাল-সাদার রঙীন পোশাক আর গোলাপ-গাঁদা ফুলের সন্নিবেশ দিনভর আলাদা একটা আমেজের সৃষ্টি করে। বিশেষ করে শিশুদের প্রাণখুলে উৎসব-ইমেজ ছিলো চোখে পড়ার মতো।
কলারোয়া পাইলট হাইস্কুল ফুটবল মাঠে বর্ণাঢ্য আয়োজনে পহেলা বৈশাখ শনিবার ভোরে প্রভাতী সঙ্গীতের মাধ্যমে বর্ষবরণের উৎসবের সূচনা হয়। স্থানীয় শিল্পীরা এতে অংশ নেন।
পরে উপজেলা সদরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনের কর্মকর্তা, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সুধিজনদের অংশগ্রহণে মঙ্গল শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রায় শোভা পায় গ্রামীন বাংলার নানান ঐতিহ্যের স্মারকচিহ্ন।
এর ফুটবল মাঠে আয়োজিত বিভিন্ন শিক্ষা ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহনে মনোমুগ্ধকর গ্রামীন বাংলার ডিসপ্লে। পুরষ্কারও প্রদান করা হয় তাদের মাঝে। অনুষ্ঠিত হয় ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলাও।
প্রতিবারের মতো এবারো কলারোয়া পাবলিক ইন্সটিটিউটে আয়োজন করা হয় গ্রামীন বাংলার অন্যত ঐতিহ্য পান্তা ভোজন। দল-মত নির্বিশেষে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ পান্তা ভোজনে অংশ নেন।
ওই সকল আয়োজনে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ হাজারো আনন্দপ্রিয় মানুষের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন কলারোয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মনিরা পারভীন, কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব দেব নাথ, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আরাফাত হোসেন ও সেলিনা আনোয়ার ময়না, জেলা পরিষদের সদস্য আলহাজ্ব শেখ আমজাদ হোসেন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার গোলাম মোস্তফা, কলারোয়া সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর আবু নসর, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আলী,
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রধান শিক্ষক আমানুল্লাহ আমানসহ উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকগণ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, সুধিজন ও সর্বোপরি সাধারণ মানুষ।
ছেলেদের পাঞ্জাবি আর মেয়েদের শাড়ি পরিধান ছিল লক্ষণীয়। ছোট শিশুরা বাদ যায়নি পাঞ্জাবি-শাড়ি থেকে। যোগ হয় গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের বিভিন্ন নমুনাও।
এদিকে, দিনভর পহেলা বৈশাখ উদযাপন করেছে উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় হাজারো সাধারণ জনতা, শিক্ষার্থী ও কোমলমতি শিশুরা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
যশোরের ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ এখন সারা বাংলাদেশে

বাংলা নববর্ষের প্রথম প্রহরে ‘মঙ্গল শোভযাত্রা’ এখন বাঙালি সংস্কৃতির অনিবার্য অনুষঙ্গে পরিণত হয়েছে। মানবজীবনে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদী এ শোভাযাত্রায় শিক্ষক-ছাত্রসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। ২০১৬ সালে ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান পেয়েছে চারুকলার মঙ্গল শোভাযাত্রা। তবে বর্ষবরণের শোভাযাত্রার জন্মক্ষণ সম্পর্কে অনেকেরই অজানা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগে পড়াশোনা শেষ করে নিজ শহর যশোরে ফিরেছেন মাহবুব জামাল শামীম, হীরন্ময় চন্দ্রসহ কয়েকজন। এরই মধ্যে মাহবুব জামাল শামীম প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ হিসেবে আঁকিয়েদের নিয়ে ‘চারুপীঠ’ নামের একটি সংগঠন চালু করেন। সেই ১৯৮৫ সালে (১৩৯২ বাংলা ) যশোরের চারুপীঠ নামের প্রতিষ্ঠানটি ‘বর্ষবরণের শোভাযাত্রা’ বের করে।

পরের বছর ১৯৮৬ সালে (১৩৯৩ বাংলা) যশোরের সব সাংস্কৃতিক সংগঠন একসঙ্গে নতুন বছরকে বরণ করতে ‘যশোর বর্ষবরণ পর্ষদ’ গঠন করে। সেবছর বর্ষবরণ শোভাযাত্রাকে চারুপীঠের আয়োজন না বলে সবার সম্মিলিত আয়োজন বলা হলো। ফলে সারাদেশের প্রতিটি অঞ্চল ও প্রতিষ্ঠান এ উৎসবকে নিজের উৎসব বলে গ্রহণ করে নেয়। পরে এ শোভাযাত্রা আরও বড় পরিসরে শুরু হতে থাকে।

এরই মধ্যে ১৯৮৮ সালে যশোরের মাহবুব জামাল শামীম, হীরন্ময় চন্দ্র উচ্চতর শিক্ষাগ্রহণের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যান। সেবছর ঢাবির চারুকলার শিক্ষার্থীরা ও ডিপার্টমেন্টের ছোট-বড় ভাইয়েরা তাদের নিয়ে পরিকল্পনা করেন বর্ষবরণ শোভাযাত্রার। সে মোতাবেক সেবারই প্রথম ১৯৮৯ (১৩৯৬ বাংলা) সালে চারুকলার শিক্ষার্থীরা বর্ষবরণের শোভাযাত্রা বের করেন্। পরের বছর তা কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ ও বরিশালে এবং এরপর সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। যদিও ১৯৯০ সালে সঙ্গীতজ্ঞ ওয়াহিদুল হক ও ভাষাসৈনিক ইমদাদ হোসেনের পরামর্শে বর্ষবরণের এই শোভাযাত্রাকে ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নামকরণ করা হয়।
১৯৯৪ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বনগাঁ শহরে ও শান্তিনিকেতনে বাংলা বর্ষবরণে শোভাযাত্রা বের করা হয়। তবে বর্তমানে সব জেলা-উপজেলায় ছড়িয়ে পড়েছে।

যশোরে বর্ষবরণের শোভাযাত্রার অন্যতম উদ্যোক্তা মাহবুব জামাল শামিম বলেন, ‘১৯৮৫ বাংলা ১৩৯২ পহেলা বৈশাখ, আলো-না-ফোটা ভোর, যশোর পুরনো কলেজ প্রাঙ্গণে চারুপীঠের পলাশ মস্কন্দের আঙিনায় তিনশ’ শিশু ও একশ’ তরুণ মিলিত হয়েছে। অপরূপ রঙিন মুকুট পরেছে রাজকুমার, রাজকুমারি, পরি, ফুল, প্রজাপতি, ময়ুর, টিয়া কত না রূপ ধরেছে। বাঘ, দৈত্য, ভূতের মুখোশেরা যেন মুচকি হেসে হাঁউ মাঁউ কাঁউ বলে ভয় দেখাচ্ছে। নানা ভঙ্গিমার বিচিত্র রঙের বিস্ময় জাগানো মুখোশেরা তামাসা করছে সবার সঙ্গে। রঙিন পোশাকে রাঙিয়ে গিয়েছে সমস্ত অঙ্গন।

হঠাৎ বেজে উঠলো সানাই, বাড়ি পড়লো ঢাকঢোল, কাশি, ঝাঁঝরিতে। দুই মাসের তপস্যায় রাঙানো, সুরের তালে নৃত্যের ছন্দে সাধা সে মনেরা বেজে ওঠলো, সারিবদ্ধ হয়ে শিশুরা নেচে উঠলো রূপে অপরূপে নানা ভঙ্গিমায়। জ্বলে ওঠলো হীরন্ময় পোশাকের ঝকমারি। তখন এমন অনুভূতি হয়েছিল যেন স্বর্গ থেকে অঝোরে নামলো আনন্দ বৃষ্টিধারা।

ভোর ছয়টায় যশোরের নীরব শীতল প্রভাতে, শিশির ভেজাপথে আনন্দ কৌতুক উচ্ছ্বাসে বিস্ময়কর রং ছড়িয়ে বাদ্যের তালে তালে নৃত্যের উচ্ছ্বলতায় শোভাযাত্রা এগিয়ে চললো পথ থেকে পথে। আনন্দ বর্ষণধারা আর যেন শেষ হয় না। শহর প্রদক্ষিণ করে এসে চারুপীঠে থামার কথা, না থামলো না। চলতে থাকল ক্লান্তিহীন। পূর্ব থেকে ফিরে পশ্চিমে, উত্তর-দক্ষিণে দূর থেকে দূরে যেন ছড়িয়ে গেল দেশ থেকে দেশান্তরে এমনি অনুভূতি হয়েছিল সেদিন।

এমন সুন্দর আয়োজনে কেন সবাইকে আমন্ত্রণ করা হয়নি, এই আক্ষেপ নিয়ে আসলেন যশোর থেকে অ্যাডভোকেট কাজী আব্দুস শহীদ লাল। এরপর নানা সংগঠন থেকে অংশগ্রহণ না করতে পারার আক্ষেপ আসতে থাকে। তখন সিদ্ধান্ত হলো পরবর্তী বছর ১৯৮৬ (১৩৯৩ বাংলা) যশোরের সব সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের সম্মিলিত উদ্যোগে বর্ষবরণকে সামাজিক উৎসবে রূপদান করা হবে।

আমাদের কর্মীরা দল দল হয়ে ত্রি-সীমানার লোক-ঐতিহ্যের সম্ভ্রান্ত অঞ্চলগুলোতে ভ্রমণ করতে থাকে। শালিকার শোলার শিল্প, দৌলতপুরের মাটির পুতুল শিল্প, নড়াইলের পুতুল ও মৃৎশিল্প। সারাবছর ধরেই পরিকল্পনা চললো, উৎসবের মেনিফেস্টো লেখা হলো, ১৩৯৪ এর বৈশাখের অনেক মাস আগেই বর্ষবরণ শোভাযাত্রার কাজ শুরু করলাম।

হাজার হাজার মুকুট আঁকা, শোলার পাখায় রঙিন নকশা আঁকা মুখোশ তৈরি ও রাঙানোসহ নানা ছোট-বড় উপকরণ তৈরির রেওয়াজ শুরু হলো। শত শত শিশু-কিশোর আঁকিয়েদের নকশায় দক্ষ করার সুযোগ সৃষ্টি হলো। সব সাংস্কৃতিক সংগঠন একসঙ্গে নতুন বছরকে বরণ করতে যশোর বর্ষবরণ পর্ষদ গঠন করা হলো। বর্ষবরণ শোভাযাত্রাকে চারুপীঠের আয়োজন না বলে সবার মিলিত আয়োজন বলা হলো। যাতে করে সমস্ত দেশের প্রতিটি অঞ্চল ও প্রতিষ্ঠান এ উৎসবকে নিজের উৎসব বলে গ্রহণ করে নেয়।

যশোরের ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান যশোর ইনস্টিটিউট। এ প্রতিষ্ঠানটি যশোরের সব সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান-সংগঠনের মায়ের ভূমিকায় ছিল। চারুপীঠের অভিনব উৎসব কর্মসূচিগুলোকে সামাজিক রূপদানে সমস্ত প্রতিষ্ঠানকে মিলিয়ে দিচ্ছিল। উৎসবের সমস্ত কর্মযজ্ঞের কেন্দ্র ছিল এই প্রতিষ্ঠান।

যশোরের সব প্রতিষ্ঠান একসঙ্গে কাজ করতে এক হয়ে গিয়েছিল। এমন মাতৃক্রোড় পেয়েছিল বলেই বর্ষবরণ শোভাযাত্রা দ্বিতীয়বারেই মহামিলনের সামাজিক উৎসব হয়ে উঠতে পেরেছিল। আর তার ফলে জন্মের সঙ্গে সঙ্গে চারুপীঠ যেন বিরাট সামাজিক প্রতিষ্ঠানরূপে প্রতিভাত হলো।

সেই দিন যশোরের সব সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের সম্মিলনে সাড়ে তিন হাজার মানুষের শোভাযাত্রা এগিয়ে চলেছে। প্রতিটা দলে শিশুরা অপরূপ সাজে নৃত্যগীতের সৌন্দর্য সৃষ্টি করে নেতৃত্ব দিচ্ছে। তাদের সঙ্গে সব বয়সের মানুষ আনন্দ বিস্ময়ে উচ্ছ্বসিত উদ্বেলিত হয়ে হেঁটে চলেছে। সব দলের নিজস্ব সাজসজ্জা উপকরণ থাকলেও তিন হাজার মানুষের সবার মাথায় বর্ণাঢ্য মুকুট ও প্রতিটি দলে ৩০টি করে অলঙ্কৃত শোলার পাখা শোভাযাত্রার আগা-গোড়া দলগুলোকে যেন একই সুরে মেলানো হয়েছিল।

৪০টি মুখোশসহ প্রজাপ্রতি, পাখি, পরি, ফুল নানা উপকরণ শোভা পাচ্ছিল। একটি বড় আকৃতির হাতি শূঁর দুলিয়ে কান নাড়িয়ে গলায় ঘন্টা বাজিয়ে হেঁটে হেঁটে চলেছে। তার চার পায়ের ভেতর চারজন তরুণ হাতিকে বহন ও পারফর্ম করছিল। আরো একটি বিশাল কুমির মাপেট লাল মুখ হাঁ করে সাদা দাঁতের সারি দেখিয়ে এঁকে-বেঁকে রাস্তা দিয়ে হেঁটে চলেছে। ১৩ জন কিশোর কুমিরটাকে বহন ও পারফর্ম করেছিল। ৪০ জন ঐতিহ্যের ঢাক সানাইয়ের বাদ্যদল শোভাযাত্রার নানা অংশে ১০ জন করে বণ্টন করা হয়েছিল।

যশোরের শালিকার লোকজ ঐতিহ্যের শোলার বানর পাপেট পুতুল বৃহদাকৃতির করে ১০টি তৈরি করা হয়েছিল। উজ্জল রঙিন বানরেরা ১২ ফুট লাঠিতে লাফিয়ে উঠছিল-নামছিল সারাক্ষণ। নেতা তরিকুল ইসলাম (বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী) ও খালেদুর রহমান টিটো (আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য) মুকুট পরে সবার সঙ্গে দ্রুত পায়ে হেঁটে চলছিলেন। তারা দু’জন উচ্ছ্বাসের সঙ্গে বলছিলেন, জাতীয়ভাবে এমন উৎসব তো হওয়া প্রয়োজন।

একজন ইতালীয় চিত্রকর ফাদার মাচ্চেল্য যশোর ক্যাথলিক গির্জার পুরোহিত, তিনি বিশাল আকৃতির একটি ক্যামেরা ঘাড়ে নিয়ে সমস্ত উৎসবকে ধারণ করেছিলেন। যেন কোনো আন্তর্জাতিক উৎসবের চেহারা ফুটে উঠেছিল। শোভাযাত্রা চারুপীঠ থেকে শুরু হয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে যশোর ইনস্টিটিউটে বৈশাখী মেলার উদ্বোধনের মাধ্যমে শেষ হলো। সেখানে সাড়ে তিন হাজার মানুষকে কুলি-পাকান পিঠার প্যাকেট দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়েছিল। উৎসবের উন্মাদনায় মায়েরা ভীষণ আন্তরিকতায় সমস্ত রাত জেগে এত বিপুল সংখ্যক পিঠা তৈরি করেছিলেন।

পহেলা বৈশাখের এক ঘণ্টাই যেন সমস্ত বছরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় এমনই এক অনির্বচনীয় অনুভূতি হয়েছিল। শোভাযাত্রা শেষ করেই পরবর্তী বছরের পরিকল্পনায় বিভোর হতাম। উৎসবকেই জীবনের সর্বস্ব দিয়ে ফেলেছিলাম। এক সামাজিক উৎসবের ধারাবাহিকতা শুরু হওয়ার এটাই গল্প।
সূত্র: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোরডটকম।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মেয়ে-বাবার অশালীন সম্পর্কের মর্মান্তিক পরিণতি

গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসেই মা হয়েছিলেন ২০ বছরের কেটি পাডল। তার সন্তানের বাবা, স্টিফেন পাডল, ঘটনাচক্রে সে কেটি পাডলের নিজের পিতাও বটে।

জন্মের কয়েক বছর পর থেকেই কেটি থাকতেন তার দত্তক পিতা অ্যান্থনি ফাসকোর সঙ্গে নিউ ইয়র্কের উইংডেলে। আর স্টিফেন বসবাস করতেন নাইটডেলে।

বাবা-মেয়ের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক থাকায় আগেই পুলিশের খাতায় নাম উঠেছিল স্টিফেন ও কেটির। ২০১৭ সালের শুরুতেই কেটির মা অর্থাৎ তার স্ত্রীকে স্টিফেন জানান, তার আর কেটির সম্পর্কের কথা। সেই সঙ্গে আরও বলেন যে, মায়ের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ করার পরেই মেয়ে কেটিকে বিয়ে করবেন স্টিফেন।

প্রসঙ্গত, কেটির পরে স্টিফেনের আরও দুই সন্তান হয়। খবর অনুযায়ী, সম্প্রতি তার সেই দুই সন্তানকে স্টিফেন বলেছিলেন কেটিকে বোন নয়, মা হিসেবে দেখতে। অবৈধ এই সম্পর্কের ফলে স্টিফেনকে রীতিমতো বন্ডে সই করতে হয় যে, তিনি আর কেটির সঙ্গে কোনওরকম যোগাযোগ রাখবেন না।

কিন্তু, শেষরক্ষা হয়নি। ১৮ বছর হওয়ার পরে, কেটি নিজেই তার ‘বায়োলজিকাল’ মা-বাবার সঙ্গে থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। এবং তারপরেই গণ্ডগোলের শুরু। গত বুধবার, স্টিফেনের মা হঠাৎই একটি ফোন পান ছেলের কাছ থেকে। স্টিফেন তাকে বলেন যে, তিনি তার সাত মাসের পুত্রসন্তানকে মেরে ফেলেছেন। দ্রুত পুলিশে খবর দেন স্টিফেনের মা। উইংডেলে স্টিফেনের বাড়িতেই পাওয়া যায় শিশুর দেহটি।

খবর পেয়ে, সেখানে পুলিশ উপস্থিত হলে, একটি ট্রাকের ভিতর থেকে দু’টি মরদেহ উদ্ধার করে তারা। জানা গেছে দেহ দু’টি, কেটি ও তার দত্তক পিতা অ্যান্থনি ফাসকোর। কিছু দূরে, নিউ ইয়র্কের ডোভারে, একটি মিনি ভ্যানের ভেতরে পাওয়া যায় স্টিফেনের দেহও।

তিনজনকে হত্যা করার পরে নিজেই নিজেকে তিনি গুলি করেন বলে প্রাথমিক ধারণা পুলিশের। তবে, কারণ এখনও জানা যায়নি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
নববর্ষে সোনার বাংলা গড়ার প্রতিজ্ঞা প্রধানমন্ত্রীর
0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় ৫দিন ব্যাপী বৈশাখী মেলার উদ্বোধন

মাহফিজুল ইসলাম আককাজ: সাতক্ষীরায় ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ৫দিন ব্যাপি চৈত্র সংক্রান্তি ও বৈশাখী মেলা-১৪২৫ উদ্বোধন করা হয়েছে। শুক্রবার বিকালে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সাতক্ষীরা শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ফিতা কেটে এ মেলার উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা-০২ আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।
মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. জাকির হোসেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বির হোসেন, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তহমিনা খাতুন, জেলা শিক্ষা অফিসার এস.এম আব্দুল্লাহ আল-মামুন, জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা আবু জাফর মো. আসিফ ইকবার, এনডিসি মোশারেফ হোসাইন প্রমুখ। মেলায় বিভিন্ন অঞ্চলের হস্ত, কারুশিল্পী ও উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত পণ্যসামগ্রীর প্রায় ১০টি স্টল স্থান পেয়েছে। মেলায় ১০টি স্টলে কারুশিল্পীরা তাদের বিভিন্ন পণ্য মেলার মাঠে তৈরি করে তা প্রদর্শন ও বিক্রি করছেন। মেলা উপলক্ষে প্রতিদিন লাঠি খেলা ও বিভিন্ন অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী লোকসঙ্গীতসহ অন্যান্য গান পরিবেশিত হবে এবং শিশু-কিশোরদের জন্য নাগর-দোলাসহ বিভিন্ন বিনোদনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এমপি রবিসহ অতিথিবৃন্দ প্রথমে ফিতা কেটে এবং বেলুন -ফেস্টুন উড়িয়ে মেলার উদ্বোধন করেন। পরে অতিথিবৃন্দ মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা শিল্পকলা একাডেমির সদস্য সচিব শেখ মুশফিকুর রহমান মিল্টন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দুঃস্থ ও এতিম শিশুদের মাঝে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের বাঙালি খাবার পরিবেশন

নিজস্ব প্রতিবেদক :
পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে সাতক্ষীরায় দুঃস্থ ও এতিম শিশুদের মাঝে বাঙালি খাবার পরিবেশন করা হয়েছে। সাতক্ষীরা পুলিশের আয়োজনে শনিবার দুপুরে পুলিশ সুপারের বাসভবনে শতাধিক দুঃস্থ ও এতিম শিশুদের মাঝে এই বাঙালি খাবার পরিবেশন করা হয়। সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোঃ সাজ্জাদুর রহমান নিজ হাতে এই খাবার বিতরন করেন। এ সময় সেখানে আরো উপস্থিত ছিলেন, পুলিশ সুপার পতœী আকিদা রহমান নীলা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরিফুল হক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মেরিনা আক্তার প্রমুখ। পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান এ সময় বলেন, সমাজের একজন দায়ীত্বশীল মানুষ হিসেবে পহেলা বৈশাখের এই আনন্দ দুঃস্থ, অসহায় ও এতিম শিশুদের মাঝে ভাগা-ভাগি করে নেওয়া আমাদের অবশ্যই একটি অপরিহার্য কর্তব্য।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest