সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরার চারটি আসনই ধানের শীষে ভোট দিয়ে বিজয়ী করতে হবে – হাবিবুল ইসলামসাতক্ষীরা সদরের দত্তবাগ টাইগার ক্লাবের নাইট ক্রিকেট টুর্ণামেন্টের উদ্বোধনজাতীয় সংহতি দিবস,এই দিনে বিভাজন নয়, ঐক্যের আহবান -কাজী আলাউদ্দিনসাতক্ষীরা-৩ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী কাজী আলাউদ্দিনকে বিজয়ী করতে গণমিছিলতরুণদের উদ্ভাবনী উদ্যোগকে উৎসাহিত সাতক্ষীরায় অনুষ্ঠিত হলো গ্রীন ইনোভেশন ফেয়ারExplorez les avis des utilisateurs sur gtbet et rejoignez la communautéΕξερευνήστε τις καλύτερες στρατηγικές καζίνο στο gtbet για μεγαλύτερα κέρδηCome registrarsi su Nixbet e iniziare a vincere in pochi passiদেবহাটায় কিশোর-কিশোরী ও যুবকদের সুরক্ষা নিশ্চিতকরণে খেলাধুলার আয়োজনগণমানুষের স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান নলতা হাসপাতাল হুমকির মুখে :রক্ষার দাবি

ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় গুলিবিদ্ধ ১২২ ফিলিস্তিনি

ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় ১২২ জন ফিলিস্তিনি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এদের মধ্যে অন্তত একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এছাড়া ফিলিস্তিনের গাজা সীমান্তে ভ্রাম্যমাণ ক্লিনিকে ইসরাইলের হামলায় আহত হয়েছেন অন্তত ১০ চিকিৎসাকর্মী।

আলজাজিরা জানায়, আহত বিক্ষোভকারীদের শুশ্রুষার জন্য খান ইউনিস সীমান্তের কাছে একটি ভ্রাম্যমাণ ক্লিনিক লক্ষ্য করে টিয়ার গ্যাস ছুড়েছে ইসরাইলি সেনারা। তাতে আহত হয়েছেন অন্তত ১০ চিকিৎসাকর্মী।

এদিন গাজার ইসরায়েল সীমান্তের ছয়টি স্থানের বিক্ষোভে ইসরাইলি দখলদার বাহিনীর গুলিতে ১৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়। ‘গ্রেট মার্চ অব রিটার্ন’ নামের এ বিক্ষোভ চলাকালে ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় আরও ১৫০০ মানুষ আহত হন। জাতিসংঘের হুশিয়ারি উপেক্ষা করে পরের সপ্তাহেও গুলি চালানো অব্যাহত রাখে ইসরাইল। সেদিন নিহত হয় সাংবাদিকসহ নয় ফিলিস্তিনি। এছাড়া শুক্রবারের আগেও ইসরাইলের গুলিতে দু’জন ও পরে পাঁচ ফিলিস্তিনি নিহত হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রমনার বটমূলে মানুষের ঢল

রাজধানীর ঐতিহাসিক রমনার বটমূলে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বর্ষবরণ শুরু হয় ভোর সোয়া ৬টায়। সেখানে ঢল নেমেছে সংস্কৃতিপ্রাণ মানুষের। বরাবরের মতো এবারের আয়েজনটিও সরাসরি সম্প্রচার করছে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতার।
বটমূলের বর্ষবরণ আয়োজন সুষ্ঠু রাখতে সার্বক্ষণিক সহায়তা দিচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনীর সদস্যরা।
ছায়ানট মনে করে বিশ্বমানব হবার আগে চাই শাশ্বত বাঙালি হবার প্রত্যয়। নতুন বাংলা বছরে তাই এবারের বিষয় নির্ধারণ করা হয়েছে ‘বিশ্বায়নের বাস্তবতায় শিকড়ের সন্ধান’।
১৯৬১ সালে রবীন্দ্রজন্মশতবার্ষিকীকে কেন্দ্র করে ছায়ানটের যে যাত্রার সূচনা তা মূলত বাঙালির আপনসত্তাকে জাগিয়ে তুলবার, আপন সংস্কৃতিতে বাঁচবার অধিকার ও বিশ্বাস প্রতিষ্ঠা করবার জন্য। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে একটি অসাম্প্রদায়িক চেতনার উন্মেষ ঘটাবার জন্য ১৯৬৭ সালে রমনার বটমূলে শুরু হয় বাংলাবছরকে আবাহনের আয়োজন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আজ পবিত্র শবে মেরাজ

আজ পবিত্র শবে মেরাজ

কর্তৃক Daily Satkhira

আজ শনিবার পবিত্র শবে মেরাজ। মুসলিম বিশ্বাস মতে, ৬২০ খ্রিস্টাব্দে ২৬ রজব রাতে মহানবী (সা.) আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে বিশেষ ব্যবস্থায় ঊর্ধ্বকাশে যান। সেখান থেকে তিনি একা রফরফ নামক বিশেষ বাহনে ৭০ হাজার নূরের পর্দা পেরিয়ে আরশে আজিমে মহান আল্লাহতায়ালার সান্নিধ্য লাভ করেন। এরপর পাঁচওয়াক্ত নামাজের হুকুম নিয়ে ফিরে আসেন পৃথিবীতে। একই সময়ে মহানবী (সা.) সৃষ্টি জগতের সবকিছুর রহস্য অবলোকন করেন। আরবি ভাষায় মেরাজ অর্থ হচ্ছে সিঁড়ি। আর ফার্সি ভাষায় এর অর্থ ঊর্ধ্ব জগতে আরোহণ।

মেরাজ সম্পর্কে পবিত্র কোরআনের সূরা বনিইসরাইলে বলা হয়েছে (আয়াত ১) : ‘তিনি পরম পবিত্র ও মহিমাময়, যিনি রাতে স্বীয় বান্দাকে মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা পর্যন্ত নিয়ে গেলেন। যার চারদিকে আমি বরকতমণ্ডিত করেছি। যেন আমি আমার কিছু নিদর্শন দেখাই। নিশ্চয়ই তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা।’ ওলামারা বলে থাকেন, এটি নবীজীর একটি আধ্যাত্মিক সফর।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সিরিয়াতে হামলার নির্দেশ ট্রাম্পের

শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশটির সেনাবাহিনীকে সিরিয়াতে হামলা চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন । সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে বিদ্রোহী অধ্যুষিত এলাকায় রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করার অভিযোগের প্রেক্ষিতে এ হামলার সূচনা হলো। রয়টার্স জানিয়েছে, সিরিয়াতে বিকট শব্দে  বিস্ফোরণ হওয়ার কথা জানতে পেরেছে তারা। হোয়াইট হাউসে ধারণ করা ভিডিওচিত্রে ট্রাম্প নিজেই সিরিয়াতে হামলা চালানোর খবর জানিয়েছেন।

ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে যৌথভাবে হামলা শুরু হতে যাচ্ছে এবং হামলা ততদিন পর্যন্ত চলবে যতদিন না পর্যন্ত আসাদ বাহিনী রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার বন্ধ না করবে। তার ভাষ্য, ‘কিছুক্ষণ আগে আমি যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীকে সিরিয়ার স্বৈরশাসক বাসার আল আসাদের রাসায়নিক হামলার সঙ্গে জড়িত স্থাপনাগুলো লক্ষ্য করে হামলা চালাবার আদেশ দিয়েছি।’ রাসায়নিক হামলার জন্য আসাদকে দায়ী করে ট্রাম্প বলেছেন, ‘এগুলো কোনও মানুষের কাজ নয়, একটি অসুরের করা অপরাধ। রাসায়নিক অস্ত্রের উৎপাদন, বিস্তার এবং ব্যবহারের বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে বাধা দেওয়াই আজকে রাতে আমাদের নেওয়া সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য।’

রয়টার্স লিখেছে, ট্রাম্প যখন বক্তব্যব রাখছিলেন তখন সিরিয়াতে বিস্ফোরণের শব্দ শুরু হয়ে গেছে। শনিবার ভোরে সিরিয়ার দামেস্কে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ হওয়ার কথা রয়টার্সকে তাদের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে। সূত্রটি জানিয়েছে, রাজধানীর পূর্ব দিকে ধোয়ার কুণ্ডলীও দেখা গেছে। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে বাসার আল আসাদের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র রাশিয়া। রাসায়নিক হামলার প্রতিক্রিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করা করা হতে পারে সিরিয়ায়, এমন বক্তব্যের জবাবে রাশিয়া বলেছিল, সিরিয়াতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হলে রাশিয়া সেই ক্ষেপণাস্ত্রকে বিস্ফোরিত তো করে দেবেই, একই সঙ্গে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের স্থানেও পাল্টা হামলা চালাবে।

যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত বুধবার এক টুইটার বার্তায় লিখেছিলেন, ‘মিসাইল আসছে, তৈরি থেকো রাশিয়া।’ উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে আসাদ বাহিনীর রাসায়নিক হামলায় ৬০ জনের মৃত্যুর খবর জানা গিয়েছিল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় নাচ- গান ও বাঙালিয়ানায় জেলা প্রশাসনের পহেলা বৈশাখ

মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : সাতক্ষীরায় বর্ণিল আয়োজনে ব্যাপক উৎসব মুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে নানা উৎসবে পালিত হয়েছে বাঙালী জাতির পুরাতন ইতিহাস ও ঐতিহ্য বহনের ১৪২৫ পহেলা বৈশাখ। বাংলা নববর্ষের দিনটি বাঙালী জাতির জন্য সবচেয়ে আনন্দময়, সবচেয়ে রঙিন উৎসব। এই দিনটি ঘিরে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে গ্রহণ করা হয়েছে পাঁচ দিন ব্যাপী বর্ণাঢ্য কর্মসূচি। এ উপলক্ষে শনিবার সকাল ৭টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে একটি বর্ণাঢ্য বৈশাখী মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়। এ শোভাযাত্রা বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাঙালিয়ানা সাজ ও হারিয়ে যাওয়া গ্রামীণ ঐতিহ্য নিয়ে বিভিন্ন সংগঠন অংশ নেয়। মঙ্গল শোভা যাত্রাটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সাতক্ষীরা শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে বৈশাখী মেলা ও সাংস্কৃতি অনুষ্ঠানে মিলিত হয়। বৈশাখী মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা-০২ আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক)মো. জাকির হোসেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বির হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আব্দুল হান্নান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান বাবু, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তহমিনা খাতুন, পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর বিশ^াস সুদেব কুমার, সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আব্দুল খালেক, সাতক্ষীরা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী জি.এম আজিজুর রহমান, সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ জিয়াউল হক, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, জেলা শিক্ষা অফিসার এস.এম আব্দুল্লাহ আল-মামুন, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ কাজী আব্দুল মান্নান, এন.এস. আই’র সহকারী পরিচালক আনিসুজ্জামান, জেলা তথ্য অফিসার মোজাম্মেল হক, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কোহিনুর ইসলাম, পৌর কাউন্সিলর কাজী ফিরোজ হাসান, ফারহা দীবা খান সাথী, জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর-রশিদ, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা শেখ আবু জাফর মো. আসিফ ইকবাল প্রমুখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বিদায় ১৪২৪, নববর্ষের প্রথম প্রভাতের অপেক্ষা

বিদায় নিলো ১৪২৪। শুক্রবার (১৩ এপ্রিল) চৈত্রের শেষ সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে কালের মহাতরঙ্গে মিলিয়ে গেলো বাংলা সনটি। রাত পোহানোর পর আজ শনিবার ভোরে নতুন সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে শুরু হবে বাংলা নববর্ষ ১৪২৫। পুরনো বছরের সব হতাশা, গ্লানি আর জরাজীর্ণতা পেছনে ফেলে আগামীর পানে চোখ থাকবে সবার। বোনা হবে নতুন নতুন স্বপ্ন। নব প্রত্যাশার ডানা মেলে ঝলমলিয়ে উঠবে নতুন আলো। বিদায়ী বাংলা বর্ষের বিরহকে ছাপিয়ে সবার মনে ছড়িয়ে যাবে নববর্ষের রঙ। আনন্দ-উল্লাসে আবাহন করা হবে ১৪২৫ বঙ্গাব্দকে।

প্রতি বছরের মতো এবারও পহেলা বৈশাখকে বরণ করে নেওয়া হবে ধুমধাম আয়োজনে। নতুন বছরকে বর্ণিলভাবে বরণ করে নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের হাটেবাজারে, মাঠেঘাটে, পাড়ায়-পাড়ায় চলে বর্ষবিদায়ের অনুষ্ঠান। একইসঙ্গে গত কয়েকদিন ধরে চলছে বর্ষবরণের প্রস্তুতি। শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও স্থাপনাকে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে নতুন সাজে। সব মিলিয়ে ধুম পড়েছে উৎসব আয়োজনে।

নতুন বছরের অভ্যর্থনার আনন্দে নানা সুখ-দুঃখের সঙ্গী পুরনো বছরটিকে বিদায়লগ্নে ভুলে যায় না বাঙালিরা। বাংলায় নতুন বছরকে স্বাগতম জানানো হয় যেমন উৎসব করে, পুরানো বছরকে বিদায় দেওয়া হয় তেমনই গুরুত্ব দিয়ে। চৈত্র মাসের বিদায়ের মধ্য দিয়েই এখন দেশজুড়ে চলছে বর্ষবিদায়ের আয়োজন।

পুরনো বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নেওয়া উপলক্ষে নতুন পোশাক কেনার ধুম পড়েছে, ব্যস্ততা বেড়েছে বুটিকগুলোতে। বিপণি বিতান ও মার্কেটে চলছে কেনাবেচা। নানান ডিজাইনের পোশাক বিক্রি ও কেনায় ব্যস্ত দোকানি ও ক্রেতারা। বৈশাখী উৎসবের আগাম প্রস্তুতি চলছে জোরেশোরে।

আজ ৩০ চৈত্র বিদায়ী বাংলা সনের শেষ দিনে উদযাপন করা হচ্ছে ‘চৈত্র সংক্রান্তি’। একসময় চৈত্রসংক্রান্তি ও বাংলা নববর্ষ হিন্দুদের শাস্ত্রীয় অনুষ্ঠান হিসেবেই সীমাবদ্ধ ছিল। আজ  তা সম্প্রদায় ছাপিয়ে হয়ে উঠেছে জাতীয় ও সামাজিক উৎসব। আদিবাসীরাও বর্ষবরণ অনুষ্ঠান করে থাকে। সব মিলিয়ে বর্ষবিদায়ের আয়োজন চিরায়ত বাংলার অসাম্প্রদায়িক বাঙালির কাছে পরিণত হয়েছে বিশেষ লোকজ উৎসবে।

শহরের মতো গ্রামবাংলায়ও পালন হচ্ছে চৈত্র সংক্রান্তি উৎসব। দেশজুড়ে শহর-গ্রামে চলছে মেলা। এসব আয়োজনে উঁকি দেয় হাজারও খুশির আভা। চৈত্র মাসের শেষে চৈত্রসংক্রান্তির অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পুরনো বছরকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানানোর প্রয়াসই বাঙালিদের স্বকীয়তা। এবার বর্ষবরণে প্রস্তুত সারাদেশ। চারপাশে আনন্দমুখর পরিবেশ।

প্রসঙ্গ হালখাতা

চৈত্র সংক্রান্তিকেই ঘিরেই মূলত শুরু হয় হালখাতা। এটি হলো বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যবসায়ীদের হিসাব আনুষ্ঠানিকভাবে হালনাগাদ করার প্রক্রিয়া। এই দিনে নতুনভাবে ব্যবসা শুরুর উপলক্ষ পান তারা। গ্রাম, শহর বা বাণিজ্যিক এলাকা; সবখানেই পুরনো বছরের হিসাব বই বন্ধ করে খোলা হয় নতুন হিসাবের বই। ব্যবসায়ীরা হালখাতার দিনে ক্রেতাদের নিমন্ত্রণ পাঠান। অতিথি এলেই গোলাপজল ছিটিয়ে অভ্যর্থনা জানানো হয়। দোকানে দোকানে চলে মিষ্টি খাওয়ার ধুম। অতিথি-অভ্যাগতদের মিষ্টিমুখ করানো হয় যত্ন নিয়ে। রসে ডুবুডুবু মিষ্টির সঙ্গে থাকে মুচমুচে ভাজা কালিজিরা ছিটানো হালকা গেরুয়া রঙের নিমকি। এই প্রথা এখনও বেশ প্রচলিত।

বাংলাদেশে হালখাতার প্রচলন কবে থেকে, তা সুনির্দিষ্ট করে বলা দুষ্কর। তবে হালখাতা শব্দটির সঙ্গে মুসলিম শাসনের অনুষঙ্গ জড়িয়ে আছে। ‘হাল’ আর ‘খাতা’ দুটোই আরবি-ফারসি। এর অর্থ নতুন খাতা। ষোড়শ শতাব্দীতে এই শব্দ বাংলায় প্রচলিত হয়েছে বলে গবেষকরা অনুমান করেন।

আগে অগ্রহায়ণ মাসে বাংলা নতুন বছরের গণনা শুরু হতো। পরবর্তী সময়ে বাদশাহ আকবর খাজনা আদায়ের সুবিধার জন্য ও বাংলা মুলুকে ফসল কাটার মৌসুমের কথা মাথায় রেখে বৈশাখী মাস থেকে ফসলি সন চালু করেন। এর অংশ হিসেবে পয়লা বৈশাখ থেকে নতুন বছরের হিসাব রাখা শুরু হয়। বাংলার জমিদারদের ‘পুণ্যাহ’ অনুষ্ঠান অনুযায়ী খাজনার হিসাব করার রেওয়াজ সম্ভবত বাংলার বণিক ও ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে প্রভাবিত করেছিল। তাই জনশ্রুতি রয়েছে, জমিদারি আমলেই হালখাতার ব্যবহার তুঙ্গে উঠেছিল বাংলাদেশে।

হালখাতা আজও পয়লা বৈশাখে খোলা হয়। সুতা দিয়ে বাঁধা লাল খেরো খাতা এর প্রধান উপকরণ। এতে ব্যবসায়ীরা তাদের লেনদেন, বাকি-বকেয়া সবকিছুর হিসাব-নিকাশ লিখে রাখেন। মুসলিম ব্যবসায়ী হলে হালখাতায় ‘এলাহী ভরসা’ অথবা হিন্দু ব্যবসায়ী হলে ‘গণেশায় নমঃ’ লেখা থাকে।

নতুন বছরের প্রথম দিনটিতে যারা ব্যবসায়ীদের নিয়মিত গ্রাহক, পৃষ্ঠপোষক ও শুভার্থী, তাদের চিঠি দিয়ে বা লোক মারফত আমন্ত্রণ জানিয়ে জলযোগে আপ্যায়ন করা হয়। এই দিনে কেনাবেচার চেয়ে সামাজিকতা ও সৌজন্য বিনিময় হয় বেশি। তবে সৌজন্যমূলক হলেও অনেকে বকেয়া শোধ করে দেন। যদিও সেই রমরমা দিন এখন আর নেই। তবুও ডিজিটাল ঝাপটা সামলে হালখাতা টিকে আছে। হয়তো টিকেও থাকবে ঐতিহ্য হিসেবে।

লোকজ ঐতিহ্য

রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নানান আয়োজনে চৈত্র সংক্রান্তি উদযাপন করছে। এর মধ্যে রয়েছে ঘুড়ি উৎসবে রকমারি সব ঘুড়ির প্রদর্শনী, গ্রাম বাংলার জনপ্রিয় লাঠি খেলা, পুঁথি পাঠ, পুতুলনাট্য, পালাগান, গম্ভীরা ও গ্রামীণ মেলা, গান, আবৃত্তি, সঙযাত্রা, রায়বেশে নাচের মতো লোকসংস্কৃতি। মুড়ি-মুড়কি বিতরণ তো হচ্ছেই।

বর্ষবিদায় ও বর্ষবরণকে ঘিরে মাটির তৈরি খেলনা, ফল, ঘোড়া, হাতিসহ বিভিন্ন সামগ্রী তৈরির পর তাতে লেগেছে রঙ। নববর্ষকে ঘিরে রঙের তুলিতে মাটির সামগ্রী রাঙানোর সমারোহে প্রাণ পেয়েছে মৃৎশিল্প।

এসো হে বৈশাখ…

উৎসব-আনন্দে বাংলা নববর্ষ ১৪২৫ বরণ করে বৈশাখী উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে যাবে বাঙালিদের জীবনে। নতুন বছর সারাদেশে সবার জন্য শুভ হোক, মঙ্গল বয়ে আনুক। নতুন ভবিষ্যৎ গড়ার প্রেরণা নিয়ে আসুক নববর্ষ। সেই প্রার্থনায় এখন অপেক্ষা নতুন বছরের প্রথম প্রভাতের। পুরনো বছরকে বিদায় দিয়ে আসুন গাই রবিঠাকুরের গান, ‘এসো হে বৈশাখ, এসো এসো…’।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জম্মু ও কাশ্মীরে শিশু গণধর্ষণ ও হত্যা: বিক্ষোভে উত্তাল ভারত

ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরে আট বছরের এক শিশুকে গণধর্ষণ ও হত্যা করার ঘটনায় ভারতজুড়ে চলছে বিক্ষোভ। রাজধানী দিল্লিতে গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতের বিক্ষোভে যোগ দেন খোদ কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। শিশু ধর্ষণের ঘটনায় এ বিক্ষোভের কয়েক ঘণ্টার মাথায় আরেক ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতা কুলদীপ সিং সেঙ্গারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এদিকে গতকাল শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট জানান, জম্মু ও কাশ্মীরে শিশু ধর্ষণের ঘটনার তদন্ত করবেন তাঁরা।

২০১২ সালে দিল্লিতে চলন্ত বাসে এক তরুণী গণধর্ষণের শিকার হয়ে মারা যাওয়ায় দেশজুড়ে বিক্ষোভের যে জোয়ার সৃষ্টি হয়েছিল, এবারও তেমনটা লক্ষ করা যাচ্ছে বলে মন্তব্য করছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।

গত বৃহস্পতিবার দিল্লির ইন্ডিয়া গেটে বিক্ষোভে যোগ দেওয়া কংগ্রেস নেতা রাহুল জম্মু ও কাশ্মীরে শিশু ধর্ষণের ঘটনাকে ‘কল্পনাতীত নৃশংসতা’ অ্যাখা দেন। তিনি বলেন, ‘ভারতে নারীদের সঙ্গে যা হচ্ছে, সেটা কোনোভাবেই চলতে দেওয়া যায় না।’

রাহুলের সঙ্গে ছিলেন বোন প্রিয়াঙ্কা ও ভগ্নিপতি রবার্ট ভদ্র। এ সময় বিশৃঙ্খল জনতার প্রতি বিরক্তি প্রকাশ করে প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘আপনাদের জানা উচিত, কেন আপনারা এখানে এক হয়েছেন। যদি আচরণ ঠিক করতে না পারেন, তাহলে বাড়ি যান।’ জনতার উদ্দেশে স্পষ্ট ভাষায় তিনি বলেন, ‘কেউ ধাক্কাধাক্কি করবেন না।’

জম্মু ও কাশ্মীরের কাঠুয়া এলাকার জঙ্গলে গত ১৭ জানুয়ারি আট বছরের শিশু আসিফা বানুর মৃতদেহ পাওয়া যায়। সে যাযাবর মুসলিম সম্প্রদায়ের সদস্য। জম্মু ও কাশ্মীর মুসলিমপ্রধান অঞ্চল হলেও কাঠুয়ায় হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রাধান্য রয়েছে। স্থানীয় এক হিন্দু কিশোর আসিফাকে অপহরণের পর সেখানকার একটি মন্দিরে লুকিয়ে রাখে। ঘুমের ওষুধ দিয়ে আচ্ছন্ন করে রাখা অবস্থায় তাকে গণধর্ষণ করা হয়। অবশেষে শ্বাসরুদ্ধ করে, মাথায় পাথর দিয়ে আঘাত করে তাকে হত্যা করে ফেলে দেওয়া হয় জঙ্গলে। এ ঘটনায় অপহরণকারী কিশোর, অবসরপ্রাপ্ত এক সরকারি কর্মকর্তা ও চার পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু তাদের গ্রেপ্তার ও চার্জশিট দেওয়ার বিরুদ্ধে প্রচণ্ড প্রতিরোধ গড়ে তোলে হিন্দু সম্প্রদায়। বিষয়টি সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার জন্ম দেয়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কোনো মন্তব্য করেননি।

কাঠুয়ার ঘটনাটি শেষ পর্যন্ত আঞ্চলিক থেকে জাতীয় ইস্যু হয়ে উঠেছে। এতে সাধারণ জনতার পাশাপাশি রাজনীতিকরা, এমনকি বলিউড ও ক্রিকেট তারকারাও আওয়াজ তুলছেন।

আনুশকা শর্মা টুইট করেন, ‘যে জগতে আমরা বাস করি, সেখানে কী ঘটছে? এসব লোকজনকে অবশ্যই কঠোরতম শাস্তি দিতে হবে।’

ক্রিকেটার গৌতম গম্ভীর ভারতের বিদ্যমান ব্যবস্থার প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে টুইট বার্তায় বলেন, ‘আসুন মি. সিস্টেম, অপরাধীদের শাস্তি দেওয়ার মতো জোর যে আপনার আছে, সেটা আমাদের দেখিয়ে দিন। আমি আপনাকে চ্যালেঞ্জ করছি।’

আসিফা ধর্ষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-বিক্ষোভের মধ্যে গত বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৪টায় গ্রেপ্তার হন বিজেপির আইন প্রণেতা কুলদীপ সিং। উত্তর প্রদেশে উন্নাও জেলায় এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এদিকে আসিফা ধর্ষণের ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে তদন্ত করার কথা জানিয়েছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। সর্বোচ্চ আদালতের একদল আইনজীবী প্রধান বিচারপতি ও দুই বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে আবেদন জানালে বেঞ্চ গতকাল এ সিদ্ধান্ত নেন। আসিফা ধর্ষণের ঘটনায় চার্জশিট দাখিলে কাঠুয়ায় যেসব আইনজীবী বাধা সৃষ্টি করেছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধেও তদন্ত করা হবে বলে জানান আদালত। সূত্র : এএফপি, বিবিসি, টাইমস অব ইন্ডিয়া।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে জেলা পুলিশ সুপারের শুভেচ্ছা

আজ পহেলা বৈশাখ, ১৪২৫। বাংলা নববর্ষের এই আনন্দঘন দিনে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা। বাংলা নববর্ষ চিরায়ত বাংলার ঐতিহ্যে লালিত এক অনন্য দিন। বাংলা নববর্ষের এই দিনটি বাঙ্গালি জাতিকে এক মহামিলনে রুপান্তরিত করে। নববর্ষের উৎসবেই বাঙ্গালি খুঁজে পায় তার ঐতিহ্য, ইতিহাস এবং গৌরবগাঁথা সংস্কৃতি। এদিনটি বাঙ্গালি জীবনকে প্রবলভাবে আপ্লুত করে এবং পুরাতনকে পেছনে ফেলে সামনে চলার অফুরন্ত অনুপ্রেরণা যোগায়। আমাদের শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি, কৃষি, ব্যবসা, উৎসব-পার্বণসহ পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে বাংলা সনের ব্যবহার ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বাঙ্গালি জীবনে বাংলা নববর্ষের আবেদন তাই সার্বজনীন। অতীতের সকল বিভেদ ভুলে এবারের বাংলা নববর্ষ সকলের মধ্যে সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের বন্ধনকে আরো সুসংহত করুক- এই কামনা করি। আমাদের সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে মাদক ও জঙ্গীবাদমুক্ত সোনার বাংলা গড়ব এটাই হোক এবারের নববর্ষের শপথ। বাংলা নববর্ষ সকলের জন্য শুভ ও কল্যাণকর হোক- এই কামনায় সকলকে আবারো বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা। শুভ নববর্ষ।

 

শুভেচ্ছান্তে-

(মোঃ সাজ্জাদুর রহমান)

পুলিশ সুপার, সাতক্ষীরা।

পহেলা বৈশাখ, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest