সর্বশেষ সংবাদ-
আশাশুনিতে শহীদের স্মরণে দুঃস্থদের মাঝে জামায়াতের খাবার বিতরণদেবহাটায় বিয়ের প্রলোভনে কলেজ শিক্ষার্থীর সাথে অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগে থানায় মামলাস্বৈরাচার ঠেকিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার এনসিপিরসাতক্ষীরায় দ্রুতগামী পিকআপের চাপায় ভ্যান চালকের মৃত্যুকোন সাংবাদিক যেন হয়রানির শিকার না হয়–সাতক্ষীরায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিব দীর্ঘদিন কাজ করেও সরকারি স্বীকৃতি মেলেনি বিআরটিএ’র সীল মেকানিকদেররাষ্ট্রপতির ক্ষমার আগে ভুক্তভোগী ও পরিবারের মতামত নেওয়ার প্রস্তাবতালায় ‘পার্টনার ফিল্ড স্কুল কংগ্রেস’ অনুষ্ঠিতভোমরায় জামায়াতের হুইল চেয়ার বিতরণসাতক্ষীরায় জলাবদ্ধতা নিরসনে ইটাগাছা এলাকা পরির্দশনে সদর ইউএনও

বাংলাদেশ সম্পর্কে চমকপ্রদ কিছু তথ্য!

এক বছরে বাংলাদেশের একজন মানুষ মাত্র ৪ কেজি মাংস খেয়ে থাকে। সে হিসেবে সারা বিশ্বের মধ্যে সবচাইতে কম মাংসভোজী মানুষের দেশ বাংলাদেশ। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পৃথিবীর মধ্যে সবচাইতে কম মাংস খায় বাংলাদেশের মানুষ। সে হিসেবে বিশ্বের সবচাইতে বেশী নিরামিষভোজীর দেশও বলা যায় বাংলাদেশকে। ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বিশেষ এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে টেলিগ্রাফ। এতে বাংলাদেশের ব্যাপারে বিভিন্ন তথ্য প্রকাশ করা হয়। যেমন-

১) নাগরিকের অনুপাতে পর্যটকের সংখ্যা এদেশে সবচাইতে কম। প্রতি ১,২৭৩ জন নাগরিকের পরিপ্রেক্ষিতে পর্যটক মাত্র একজন।

২) বাংলাদেশের হোটেলে রাত্রিযাপন সবচাইতে সস্তা। উদাহরণ হিসেবে বুড়িগঙ্গার ফরিদপুর হোটেলের কথা বলা হয়েছে, যা কিনা পাঁচটি নৌকা জোড়া দিয়ে তৈরি। এতে রাত্রিযাপনের খরচ মাত্র ৩৬ টাকা।

৩) পৃথিবীর যে ৫৮ টি দেশে এখনো মৃত্যুদণ্ড বহাল আছে তার মধ্যে একটি হলো বাংলাদেশ।

৪) বাংলাদেশের রয়েছে পৃথিবীর অন্যতম দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত (৭৫ মাইল)।

৫) ইথিওপিয়ার পর সবচাইতে কম ওবেসিটি বা অতিরিক্ত ওজনের মানুষ দেখা যায় বাংলাদেশে।

৬) পৃথিবীর যে দেশগুলো কখনোই অলিম্পিক মেডেল পায়নি তাদের মাঝে সবচাইতে বেশি জনসংখ্যার দেশ হলো বাংলাদেশ।

৭) প্রাকৃতিক দুর্যোগের দিক দিয়ে বাংলাদেশ খুবই ঝুঁকির মুখে। বাংলাদেশের চাইতে বেশি ঝুঁকিতে আছে মাত্র চারটি দেশ- ভানুয়াতু, টোঙ্গা, ফিলিপাইন ও গুয়াতেমালা।

৮) পৃথিবীর সবচাইতে দূষিত শহরের তালিকায় আছে বাংলাদেশের শহরগুলো।

৯) সমুদ্রতল থেকে গড়ে মাত্র ৮৫ মিটার উঁচু বাংলাদেশের ভূখণ্ড। ফলে পৃথিবীর সবচাইতে নিচু দশটি দেশের মধ্যে আছে বাংলাদেশের স্থান।

১০) বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা পৃথিবীর সবচাইতে ঘনবসতিপূর্ণ শহর কিন্তু ঘনবসতি, দূষণ এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশের মানুষ পৃথিবীর সবচাইতে সুখী মানুষদের মধ্যে রয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মুক্তির প্রহর গুনছে চলচ্চিত্র ‘একটি সিনেমার গল্প’

বিনোদন ডেস্ক : মুক্তির প্রহর গুনছে নায়ক আলমগীর পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘একটি সিনেমার গল্প’। যে ছবিটিতে প্রথমবারের মতো জুটি বেধে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের অভিনেতা আরিফিন শুভ এবং ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। আরও রয়েছেন আলমগীর, চম্পা, সৈয়দ হাসান ইমাম ও সাদেক বাচ্চু প্রমুখ।

সম্প্রতি সেন্সর বোর্ড থেকে বিনা কর্তনে ছাড়পত্র পেয়েছে নায়ক আলমগীর পরিচালিত ‘একটি সিনেমার গল্প’। গত বছরের শেষ দিকে ছাড়পত্রের জন্য সেন্সরে জমা দেয়া হয়েছিল ছবিটি। সেন্সর সদস্যরা ছবিটি দেখে কোনো অসঙ্গতি খুঁজে না পাওয়ায় প্রদর্শনের অনুমতি দিয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে সেন্সর বোর্ড সচিব মুন্সী জালাল উদ্দিন সে সময় জানিয়েছিলেন, ‘বিনা কর্তনে ‘একটি সিনেমার গল্প’ প্রদর্শনের মৌখিক অনুমতি দেয়া হয়েছে। লিখিতভাবে ছাড়পত্র প্রদানে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে।’

গত বছরের সেপ্টেম্বরে ‘একটি সিনেমার গল্প’ ছবির শুটিং শুরু হয়। এ বছরের এপ্রিল অথবা মে মাসের দিকে ছবিটি মুক্তি দেয়া হতে পারে বলে জানান নায়ক ও পরিচালক আলমগীর। নতুন জুটি আরিফিন শুভ ও ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের এ ছবিটিকে নিয়ে বেশ আশাবাদী তিনি।

আশির দশকে অভিনয়ে আসেন নায়ক আলমগীর। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই অভিনয় করেছেন দাপটের সঙ্গে। পারিবারিক টানাপোড়ন, সামাজিক অ্যাকশন, রোমান্টিক অ্যাকশন, ফোক ফ্যান্টাসিসহ সব ধরণের চলচ্চিত্রেই তিনি সফল। অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজক, গায়ক ও পরিচালক হিসেবেও সুনাম কুড়িয়েছেন তিনি।

শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে সাত বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতেছেন নায়ক আলমগীর। দুই বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেতা বিভাগেও। তিনি পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন ১৯৮৬ সালে। তার পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘নিষ্পাপ’। এরপরও বেশ কয়েকটি ছবি তিনি পরিচালনা করেছেন। এবার অপেক্ষা তার নতুন প্রজেক্ট ‘একটি সিনেমার গল্প’র জন্য।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
‘ধর্ষণ দৃশ্যের শুটিংয়ে কোন নায়িকাকে আপনার পছন্দ’

বিনোদন ডেস্ক: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চিত্রনায়িকা পূর্ণিমাকে নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা- সমালোচনা। কারণ ‘এবং পূর্ণিমা’ নামের একটি সেলিব্রিটি শো’তে মিশাকে পূর্ণিমা জিজ্ঞেস করেছেন ‘ধর্ষণ দৃশ্যের শুটিংয়ে কোন নায়িকাকে আপনার পছন্দ’?

পূর্ণিমার এমন প্রশ্নের উত্তরে মিশা সওদাগর জানান, ‘মৌসুমী ও পূর্ণিমার সাথে’। এসময় উপস্থাপিকা পূর্ণিমা হা হা হা করে হেসে ওঠেন। অার তাদের এ আলোচনা এখন সোশ্যাল সাইটে রীতিমতো ভাইরাল। অনুষ্ঠানের এই প্রশ্নটি নিয়ে চলছে নানা ধরনের নেতিবাচক মন্তব্যও।

যদিও পূর্ণিমা বলছেন, প্রশ্নের পীঠে এমন প্রশ্নটি মূলত মজা করেই করা হয়েছে। তবে ওই অনুষ্ঠানে মিশা সওদাগরের নানা অজানা বিষয়ও উঠে এসেছে। খলনায়ক হওয়ার পর কী কী সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন সেটিও জানিয়েছেন তিনি।

https://www.youtube.com/watch?v=IDfiGZp-4Bg

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মালয়েশিয়ার জালে বাংলাদেশের ১০ গোল
0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দুর্নীতি হয়রানি বন্ধে কঠোর পুলিশ প্রশাসন; দুর্নীতিবাজ ৬২০ কর্মকর্তার তালিকা

ব্যাপক সংস্কার পরিকল্পনা

* দুর্নীতিবাজ ৬২০ কর্মকর্তার তালিকা

* থানা পর্যায়ে ট্রাফিক পুলিশের কার্যক্রম

* অনলাইন ও সিসিটিভির নিয়ন্ত্রণে সব অফিস

দুর্নীতি ও মামলা নিয়ে হয়রানিসহ নানা কারণে ইমেজ সংকটে পড়া পুলিশের ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনতে নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। নানা স্থান থেকে পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে আসা অভিযোগের ভিত্তিতে তালিকা তৈরি করে সংস্কার পরিকল্পনা করছে পুলিশ সদর দফতর।

দুর্নীতিমুক্ত পুলিশ প্রশাসন গড়তে ইতিমধ্যে দুর্নীতিবাজ ৬২০ কর্মকর্তার নামের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। জনবান্ধব ও সেবাবান্ধব পুলিশিং ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পুলিশ প্রশাসনে ব্যাপক সংস্কারের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এছাড়া সদর দফতরের কঠোর নজরদারিতে নিয়োগ, পদোন্নতি ও পোস্টিং আনা হয়েছে। থানা পর্যায়ে যানজট তৈরি হওয়ার প্রেক্ষাপটে সেখানেও ট্রাফিক পুলিশ দেয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পুলিশ বাহিনীতে সংস্কারের যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে তা কার্যকর হলে নিয়োগ-পদোন্নতি-পোস্টিংয়ে অবৈধ অর্থ লেনদেন হবে না। টিএ বিল তুলতেও কনস্টেবলদের কোনো ঘুষ দিতে হবে না। থানা ঘিরে রাজনীতিবিদ, পুলিশ ও প্রভাবশালীদের সিন্ডিকেট ভেঙে দেয়া হবে। এতে থানার সার্বিক পরিবেশ উন্নত হবে। মামলা নিয়ে কোনো পুলিশ সদস্য কাউকে হয়রানি করতে পারবে না। সারা দেশে দুর্নীতিবাজ ২০ এসপি, ১০০ ওসি এবং ৫০০ এসআইয়ের তালিকা প্রস্তুত করেছে পুলিশ সদর দফতর। বিদ্যমান পাবলিক হেয়ারিং বা ওপেন হাউস ডে কার্যকর করা হবে। পুলিশের সব অফিস থাকবে অনলাইন ও সিসিটিভির নিয়ন্ত্রণে। যাতে এসপি অফিসে বসে ওসিরা কী করছেন তা দেখতে পারেন। একইভাবে এসপি অফিসে কী হচ্ছে ডিআইজি অফিসে বসে তা দেখতে পারবেন। আবার ডিআইজি অফিসে কী হচ্ছে তা পুলিশ সদর দফতরে বসে দেখতে পারবেন পুলিশপ্রধান। সুষ্ঠু ও সুচারুভাবে কার্য সম্পাদন করার জন্য সাতজন কর্মকর্তার জন্য একজন করে কমান্ডিং অফিসার নিয়োগ দেয়া হবে। এসব ব্যাপারে পুলিশ সদর দফতর থেকে কিছু নির্দেশনা শিগগিরই সারা দেশের রেঞ্জ ডিআইজি ও এসপিদের কাছে পাঠানো হবে।

আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বুধবার দুপুরে বলেন, ‘আমি আইজিপি হিসেবে যোগ দিয়ে প্রথম সংবাদ সম্মেলনে দ্ব্যর্থহীনভাবে বলেছিলাম, কোনো ব্যক্তির অপরাধের দায় পুলিশ বাহিনী নেবে না। কেউ অপরাধ করলে তাকে অপরাধী হিসেবেই দেখা হবে। সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি। সদর দফতরের বিভিন্ন উইং প্রধানকে নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালনের নির্দেশ দিয়েছি।’ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করুন। আমি কোনো হস্তক্ষেপ করব না। কিন্তু কেউ যদি নিজের কাজ ভালোভাবে না করেন তবে অবশ্যই হস্তক্ষেপ করব।’ আইজিপি আরও বলেন, ‘পুলিশের সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। বিভিন্ন ইউনিট এ নিয়ে কাজ করছে। পুলিশের যেসব সমস্যা আছে সেসব চিহ্নিত করা হচ্ছে। এরপর কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

পুলিশ সদর দফতরের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা জানান, পুলিশ প্রশাসনে সংস্কারের অংশ হিসেবে সাতজন কর্মকর্তার জন্য একজন করে কমান্ডিং অফিসার নিয়োগের চিন্তাভাবনা চলছে। একজন এসপি সর্বোচ্চ সাতজন অতিরিক্ত এসপিকে কমান্ড দিতে পারবেন। একইভাবে একজন ডিআইজি সর্বোচ্চ সাতজন অতিরিক্ত ডিআইজিকে কমান্ড দিতে পারবেন। ওই কর্মকর্তা আরও জানান, থানাগুলোতে পুলিশ, রাজনীতিবিদ ও প্রভাবশালীদের একটি সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছে। ওই সিন্ডিকেট ভেঙে দেয়া হবে। পাশাপাশি রাজধানীসহ সারা দেশের থানাগুলোর পরিবেশ উন্নত করা হবে। যাতে মানুষ থানায় গিয়ে স্বস্তিবোধ করে।

সূত্র জানায়, থানাগুলোতে সাধারণত প্রতিদিন ৭-৮টি টহল দল কাজ করে। কিন্তু থানায় দুই বা তিনটির বেশি টহল গাড়ি নেই। এ ক্ষেত্রে ৫-৬টি গাড়ি ভাড়া বা রিকুইজিশন করতে হয়। জানা গেছে, পুলিশের যে কর্মকর্তা গাড়ি ভাড়া বা রিকুইজিশন করেন ওই কর্মকর্তাকেই গাড়ির তেল থেকে শুরু করে সব খরচ বহন করতে হয়। এখন প্রশ্ন হল- ওই কর্মকর্তা ওই টাকা পান কোথায়? তাই পুলিশ সদর দফতর পরিকল্পনা করছে, যাতে কোনো পুলিশ কর্মকর্তাকে সরকারি কাজে ব্যক্তিগতভাবে গাড়ি ভাড়া করতে না হয়।

সূত্র জানায়, আমলযোগ্য অপরাধে মামলা করতে কেউ থানায় এলে ওসি সেই মামলা নিতে বাধ্য। কিন্তু অনেক সময় সাধারণ মানুষকে হয়রানির শিকার হতে হয়। শুধু মামলা করা নয়, তদন্তের আপডেট জানতে ও চার্জশিট দেয়া পর্যন্ত মানুষকে হয়রানি করা হয়। এসব হয়রানি দূর করতে ডিজিটাল মামলার কথা ভাবা হচ্ছে।

জানতে চাইলে পুলিশ সদর দফতরের অতিরিক্ত ডিআইজি (ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড স্পেশাল অ্যাফেয়ার্স) মনিরুজ্জামান বলেন, সারা দেশে থানাগুলোতে ব্যাপক সংস্কার আনার চিন্তাভাবনা চলছে। জনবান্ধব ও সেবাবান্ধব পুলিশিং চালু করতে পুলিশ সদর দফতর থেকে অতীতে নানা ধরনের নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এসব নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা হয়নি। এগুলো যাতে যথাযথভাবে প্রতিপালন করা হয় সে বিষয়ে পুলিশ সদর দফতর এখন কঠোর অবস্থানে আছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কতিপয় দুর্নীতিবাজ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেই দুর্নীতি বন্ধ হবে না। এর জন্য সিস্টেমের পরিবর্তন করতে হবে।

পুলিশ সদর দফতরের এআইজি সহেলী ফেরদৌস জানান, পুলিশের সংস্কারের জন্য মাঠ পর্যায়ে অনেক গণমুখী উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। পুলিশ সদর দফতর থেকে সংশ্লিষ্ট জায়গাগুলোতে কিছু নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। শিগগিরই আরও কিছু নির্দেশনা দেয়া হবে।

পুলিশের এ সংস্কার উদ্যোগকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল অব বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সার্বিক বিষয়ে পুলিশের সংস্কার হওয়া উচিত। যারা বিধিমালা লংঘন করবে, অনৈতিক কাজে জড়াবে, অবৈধ লেনদেনে যুক্ত হবে তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনতে হবে। সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সুশাসন মানেই আইনের শাসন। পুলিশের পক্ষ থেকে যেসব সংস্কার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে সেগুলো কার্যকর হলে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

সূত্র: যুগান্তর

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বজ্রপাত থেকে বাঁচার উপায়

হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড় ও প্রচণ্ড শিলাবৃষ্টিতে বিভিন্ন স্থানে লণ্ডভণ্ড অবস্থা হয়েছে। রাজধানী ছাড়াও দেশের উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় গতকাল সকাল, দুপুর ও বিকালের দিকে কালবৈশাখী আঘাত হানে। এ সময় বজ্রপাত এবং শিলার আঘাত, বিদ্যুতের তার ছিড়ে ও টিনের চাল পড়ে রংপুর, দিনাজপুর, মাগুরা, পাবনা, যশোর, ভৈরব ও সিলেটে আটজন নিহত এবং অনেকে আহত হয়েছেন।

সাধারণত মার্চ থেকে মে এবং অক্টোবর থেকে নভেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি বজ্রঝড় হয়ে থাকে। বজ্রপাতের সময় বাসা-বাড়ির মধ্যে থাকলে এর প্রভাব থেকে কিছুটা বাঁচা যায়। তবে রাস্তায় কিংবা খোলা মাঠে থাকাকালীন এমন পরিস্থিতি সামনে পড়লে কীভাবে সুরক্ষিত থাকবেন তার কয়েকটি উপায় জেনে নিন।

১. বজ্রপাতের সময় উঁচু গাছপালার কাছাকাছি থাকবেন না। কারণ ফাঁকা জায়গায় কোনো যাত্রী ছাউনি বা বড় গাছ ইত্যাদিতে বজ্রপাত হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। তাই গাছ থেকে কমপক্ষে ৪ মিটার দূরত্বে অবস্থান করতে হবে।

২. ঘন ঘন বজ্রপাত হতে থাকলে কোনো অবস্থাতেই খোলা, উঁচু জায়গায় কিংবা টিনশেডের বাড়িতে না থাকাই ভালো। সবচেয়ে ভালো হয় যদি কোনো পাকা বাড়িতে আশ্রয় নেওয়া যায়।

৩. বজ্রপাতের সময় রাস্তায় গাড়িতে থাকলে যত দ্রুত সম্ভব গাড়ি থেকে বেরিয়ে পাকা কোনো বাড়ির ছাউনি কিংবা বারান্দায় অবস্থায় নেওয়া।

৪. বজ্রপাতের সময় মোবাইল ফোন, কম্পিউটার, টিভি, ফ্রিজসহ সকল বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির সুইচ বন্ধ রাখা। বজ্রপাতের আভাস পেলে আগেই এগুলোর প্লাগ খুলে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করুন।

৫. বজ্রপাত ও ঝড়ের সময় বাড়ির ধাতব কল, সিঁড়ির রেলিং, পাইপ ইত্যাদি স্পর্শ করবেন না। এমনকি ল্যান্ড লাইন টেলিফোনও স্পর্শ করবেন না। বজ্রপাতের সময় এগুলোর সংস্পর্শ এসে অনেকে আহত হন।

৬. নদীতে নৌকায় অবস্থান করলেও পানি থেকে সরে আসতে হবে এবং নৌকার ছাউনিতে ঢুকে পড়তে হবে।

৭ বিদ্যুতের খুঁটিতে বজ্রপাতের আশঙ্কা বেশি থাকে। তাই বৈদ্যুতিক খুঁটি বা তার আছে এসব জায়গায় যাবেন না বা কাছাকাছি থাকবেন না।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রাশিয়ার নতুন আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা

রাশিয়া নতুন আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র সারমাতের সফল পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে। নতুন এ ক্ষেপণাস্ত্র স্যাটান-২ নামেও পরিচিত।

নতুন ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ও। মন্ত্রণালয়ের টুইটে বলা হয়, প্লেসেটস্ক কসমোড্রোম ঘাঁটি থেকে এটির পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। সাবেক সোভিয়েত আমলের ভিওভোডা ক্ষেপণাস্ত্রের জায়গা নেবে সারমাত।

ক্ষেপণাস্ত্রটি ১০টি পারমাণবিক বোমা বহনে সক্ষম বলে জানা গেছে। এটি ২০০ টন ওজনবিশিষ্ট এবং আগের ভার্সনের তুলনায় বেশিদূর অতিক্রম করতে পারে।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণলয় দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রটির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও প্রকাশ করেছে।

ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎক্ষেপণের পর মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এটি উৎক্ষেপণের তথ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে আগেভাগে জানানো হয়নি।

ভিডিওতে দেখা যায়, মাটির নিচ থেকে উঠে এসে ক্ষেপণাস্ত্রটি অল্প সময়ের জন্য বাতাসে ভেসে থাকে। এরপর একটি ধাক্কায় ঘন ধোঁয়ার মেঘ তৈরি করে এটি দ্রুত ছুটে যায়।

এটি সারমাতের দ্বিতীয় পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ। প্রথমবার এটি পরীক্ষা করা হয়েছিল গত বছরের শেষ দিকে।

রাশিয়া দাবি করছে, সারমাত যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস রাজ্য বা ফ্রান্সের মতো দেশ সম্পূর্ণ ধুলোয় মিশিয়ে দিতে পারে।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানান, সারমাত ‘বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে গিয়ে আঘাত হানতে সক্ষম’।

রাশিয়া দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রটি এমন সময় পরীক্ষা চালাল, যখন অন্যান্য দেশের সঙ্গে রাশিয়ার কূটনীতিক সম্পর্কের দারুণ অবনতি ঘটেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে আ’লীগের আঞ্চলিক কমিটির সভা

স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশের যোগ্যতা অর্জনের স্বীকৃতি পাওয়ায় প্রধান মন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় শহরতলীর কুখরালি আমতলা ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের আঞ্চলিক কমিটির আয়োজনে আঞ্চলিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভার সভাপতিত্ব করেন ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি রবিন সরকার। প্রধান অতিথি ছিলেন পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু সাঈদ। বিষেশ অতিথি ছিলেন পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন, ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রাফিনুর আলী, সহ-সভাপতি আনসার আলী, সদস্য আঃ মজিদ। ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক নুর মনোয়ার এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদ আলী, আদম আলি, আবুল হোসেন, মুজিত, কালাম, শহিদুল, মুসা আলম, গফফার, রবিউল, ডাঃ কবির, আঃ মাজেদ, সিদ্দিক, মন্টু মিয়া প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বক্তারা বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশের যোগ্যতা অর্জনের স্বীকৃতি পাওয়ায় অভিনন্দ জানিয়ে উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখার জন্য প্রধান মন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করার আহবান জানান। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest