সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরার চারটি আসনই ধানের শীষে ভোট দিয়ে বিজয়ী করতে হবে – হাবিবুল ইসলামসাতক্ষীরা সদরের দত্তবাগ টাইগার ক্লাবের নাইট ক্রিকেট টুর্ণামেন্টের উদ্বোধনজাতীয় সংহতি দিবস,এই দিনে বিভাজন নয়, ঐক্যের আহবান -কাজী আলাউদ্দিনসাতক্ষীরা-৩ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী কাজী আলাউদ্দিনকে বিজয়ী করতে গণমিছিলতরুণদের উদ্ভাবনী উদ্যোগকে উৎসাহিত সাতক্ষীরায় অনুষ্ঠিত হলো গ্রীন ইনোভেশন ফেয়ারExplorez les avis des utilisateurs sur gtbet et rejoignez la communautéΕξερευνήστε τις καλύτερες στρατηγικές καζίνο στο gtbet για μεγαλύτερα κέρδηCome registrarsi su Nixbet e iniziare a vincere in pochi passiদেবহাটায় কিশোর-কিশোরী ও যুবকদের সুরক্ষা নিশ্চিতকরণে খেলাধুলার আয়োজনগণমানুষের স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান নলতা হাসপাতাল হুমকির মুখে :রক্ষার দাবি

শরীরের হরেক সমস্যার সমাধান করবে ডাবের পানি

খাতায়-কলমে এখন এপ্রিল মাস। আর মাত্র একটি দিন পরেই বৈশাখ এসে পড়বে। তখন তো গরমের জ্বালায় ঘরবন্দী হয়ে থাকলে চলবে না। অফিস-বাজার সবই করতে হবে। আবার মোকাবিলাও করতে হবে গরমের।

গরম মোকাবিলায় সবচেয়ে উপকারী হল পানীয়। তার মধ্যেও সবচেয়ে উপকারী কচি ডাবের পানি। গরম সংক্রান্ত বেশিরভাগ অসুখও প্রতিরোধ করতে ডাবের পানির জুরি মেলা ভার। কী কী উপকার করে ডাবের পানি, দেখে নেওয়া যাক এক নজরে-

১। গরমে শরীর ডি-হাইড্রেট হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে। এই সমস্যার সমাধান হবে ডাবের পানিতে। সোডিয়াম-পটাসিয়াম মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করে ডাবের পানি।

২। ডাবের পানিতে থাকে ভিটামিন সি, ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশায়াম। যা রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।

৩। ডায়বেটিক রোগীদর জন্য খুবই ভাল এই পানি। রক্তে চিনির পরিমাণকে নিয়ন্ত্রণে রাখে এটি।

৪। প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে ডাবের পানিতে। ফলে তা খাবার হজম করতে সাহায্য করে।

৫। ডাবের পানিতে সুগার কনটেন্ট হয় খুব কম। এছাড়াও এতে প্রচুর ফাইবার থাকে। ফলে ওজন কমাতে সাহায্য করে ডাবের পানি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আজ চৈত্র সংক্রান্তি

আজ চৈত্র সংক্রান্তি

কর্তৃক Daily Satkhira

আজ চৈত্র সংক্রান্তি। ঋতুরাজ বসন্তের বিদায়ের মধ্য দিয়েই বর্ষবিদায়ের আয়োজন শুরু হচ্ছে। চৈত্র সংক্রান্তি মানেই বাংলা বছরের বিদায়ের সুর। আর কোনও দেশে বোধহয় এত আয়োজন করে বছর বিদায় দেওয়া হয় না। গ্রাম-বাংলায় বর্ষ শুরুর মতোই গুরুত্ব দিয়ে আয়োজন করা হয় চৈত্র সংক্রান্তির। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এ উৎসবের আয়োজনের জৌলুস কমেছে। বিবর্ণ হচ্ছে ঋতুরাজ বসন্ত বিদায়ের রঙ।

লোক সংস্কৃতির গবেষকদের মতে, চৈত্র সংক্রান্তি প্রধানত হিন্দু সম্প্রদায়ের শাস্ত্রীয় উৎসব, যা ক্রমেই লোক সংস্কৃতির অংশ হয়ে উঠেছে। শাস্ত্র ও লোকাচার অনুসারে এই দিনে স্নান, দান, ব্রত, উপবাস প্রভৃতি ক্রিয়াকর্মকে পুণ্যজনক মনে করা হয়।

সংক্রান্তির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎসব চড়কপূজা ও গাজন। গাজন মূলত কৃষকদের উৎসব। চৈত্রের দাবদাহ থেকে রক্ষা পেতে বৃষ্টির জন্য চাষিরা পালার আয়োজন করে থাকেন। এটিই গাজন।

বলাই বাহুল্য, বাঙালির যে কোনও উৎসবের সঙ্গে খাওয়া দাওয়ার আচার ওতপ্রতোভাবে জড়িত। এই দিনেও তার ব্যতিক্রম হয় না। এই দিনের খাবার প্রকৃতির সঙ্গে সম্পর্কিত। ১৪ রকমের শাক ও তিতা-মিঠা দিয়ে সংক্রান্তি আয়োজন করা হয়। এই ১৪ রকম শাক হতে হবে বাড়ির আশপাশে বেড়ে ওঠা নানাপদের শাক। গ্রামাঞ্চলের গৃহস্থরা বিশ্বাস করেন, এই ১৪ রকমের শাক-পাতা পাওয়ার বিষয়টি প্রাকৃতিকভাবে শুভ। এরমধ্য থেকে কোনও শাক না পাওয়া গেলে প্রকৃতির কোনও অসঙ্গতিতেই পাওয়া যায়নি বলে ধরে নেওয়া হয়। বলা হয়, এতে বেশি রোদ পড়তে পারে, অতিবৃষ্টি হতে পারে, যা কৃষির জন্য ক্ষতিকর। শাকপাতাই জানান দেবে আসন্ন প্রকৃতির রঙ।

চৈত্র সংক্রান্তির ইতিহাস নিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন কবির বলেন, ‘ভারতবর্ষের ইতিহাসে কৃষি দেবতা হিসেবে বিবেচিত হন শিব। শিবের পূজা, শিবের অর্চনাই চৈত্র সংক্রান্তির মূল আয়োজন। ধীরে ধীরে শিব পূজা, চড়ক গাজন কমে আসছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘শুধু সামাজিকভাবে কেন, পাঠ্যক্রমে চৈত্র সংক্রান্তি ও শিবের বিষয়টি উপেক্ষিত। যেখানে নাট্যকলার ইতিহাস হিসেবে আমরা গ্রিক নাট্য শিল্পের ইতিহাস, গ্রিসের কৃষি দেবতার ইতিহাস পড়ে আসছি, অথচ তার চেয়েও বহু পুরনো কৃষি দেবতা শিব। ভারতবর্ষে চৈত্র সংক্রান্তি উৎসবই গড়ে উঠেছে এই শিবের গাজন হিসেবে। সংক্রান্তিতে যে গাজন, পালা, গীত হয়ে থাকে এটিই বাংলা নাট্যসাহিত্যের মূল ভাণ্ডার। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শহুরে কর্পোরেট সংস্কৃতির চাপে সংক্রান্তির আয়োজন রঙ হারাচ্ছে।’

তবে এখনও বিশাল আয়োজন করে পাহাড়ের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীরা পালন করেন বিজু। বৈশাখের ঝড়ের পরেই জুম চাষ শুরুর প্রত্যাশা নিয়ে চৈত্রকে বিদায় দেন তারা। পানিতে ফুল ভাসিয়ে বিদায় দেন বসন্তকে, একইসঙ্গে বিদায় দেন পুরনো বছরকে। তেমনি সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীরাও পালন করেন হুতুম পূজা, সংক্রান্তি পূজা।

সংক্রান্তির পালা, গাজন, চড়ক বা মেলাতে ঘাটতি পড়লেও তিতা-মিঠা খাওয়ার চল রয়েই গেছে। তিতকুটে নানা পদের শাকের ঝুড়ি ভাজা, সঙ্গে কাঁচা সরিষার ভর্তা, ধোয়া ওঠা লালচে আউশ  চালের ভাত আর শুকনো মরিচ ভাজা। চৈত্রের শেষদিন নাকি তিতকুটে আর ভর্তা খেতে হয়। এতে সমস্ত রোগ বালাই বৈশাখের প্রথম ঝড়ের সঙ্গে চলে যাবে–এমনটিই বিশ্বাস করা হয়। সঙ্গে থাকে কড়া আমের ডাল, কিংবা বড়ই দেওয়া ডাল।

বাংলা একাডেমির সহপরিচালক ও লোক গবেষক ড. সাইমন জাকারিয়া বলেন, ‘শহরে চৈত্র সংক্রান্তির জৌলুস না থাকলেও গ্রাম-বাংলায় এর ঘাটতি পড়েনি। যুগে যুগে বাংলার হিন্দু-মুসলমান একসঙ্গে সংক্রান্তি উৎসব পালন করে এসেছে। এখনও তাই হয়। গ্রামে গ্রামে সংক্রান্তির আয়োজন গত একমাস ধরেই শুরু হয়ে গেছে। গত একমাস ধরে ঢাকার খুব কাছের জেলা বিক্রমপুরে চৈত্র সংক্রান্তির মেলা হচ্ছে। একই জিনিস দেখা গেছে নরসিংদীতে। হচ্ছে মুখোশে ঢাকা হরগৌড়ি নাচ, বাইদান নাচের পালা। সব ধর্মের মানুষ নির্বিশেষে অংশ নিচ্ছে। হালখাতার শুরুটিও হচ্ছে এই সংক্রান্তিকেই ঘিরে। সংক্রান্তিতে হালখাতা শুরু হয়ে বৈশাখ বরণেও চলে।’

তবে আগে যেমন সংক্রান্তি ঘিরে দীর্ঘদিন মেলা হতো, ষাড়ের লড়াই, লাঠি খেলা হতো– সেসবে একটু ভাটা পড়েছে স্থানের অভাবে। এখন আর আগের মতো খোলা মাঠ পাওয়া যায় না, বা ধান কাটা শেষে ক্ষেত খালি পড়ে থাকে না। ১২ মাসই ধান চাষ হচ্ছে কিংবা ফসল বা অন্যান্য আয়োজনের ফলে সংক্রান্তি আয়োজনে একটু ঘাটতি পড়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জেলা পরিষদ সদস্যদের তোপের মুখে চাকরি থেকে ইস্তফা দিলেন দুর্নীতিবাজ মাহাবুব

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের দুর্নীতিবাজ প্রশাসনিক কর্মকর্তা এসএম মাহাবুববর রহমান অবশেষে চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। জেলা পরিষদের পুকুর ও খেয়াঘাট ডাকে অনিয়মসহ বিভিন্ন দুর্নীতির প্রতিবাদে সদস্যদের কাছে ক্ষমা চাওয়ার এক পর্যায়ে বৃহষ্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে তিনি পরিষদ চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত সহকারী শাহানা পারভিনের কাছে এ পদত্যাগপত্র জমা দেন।
সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ সদস্য অ্যাড. শাহানাজ পারভিন মিলি জানান, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে জেলা পরিষদ প্রশাসক এসএম মাহাবুবর রহমানকে বিগত জেলা পরিষদ নির্বাচনের পরদিন স্থানীয়রা অফিসে এসে লাঞ্ছিত করে। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে আব্দুর রউফ কমপ্লেক্সে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে জেলা পরিষদের টাকা খরচ করার অভিযোগে তদন্ত হয়। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্তে নেমেছ দুদক। বদলি সংক্রান্ত হাইকোর্টের খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে মাহাবুবর রহমান সুপ্রিম কোর্টে গেলে কোন সুবিধা করতে না পেরে আবারো বহাল থাকেন সাতক্ষীরা অফিসে। একপর্যায়ে বৃহষ্পতিবার দুপুর ২৯টি পুকুর ইজারা সংক্রান্ত টে-ার ও বিকেল চারটায় মাসিক মিটিং আহবান করেন মাহাববুর রহমান। শ্যামনগরের নওয়াবেকী খেয়াঘাট ইজারার নামে ছয় লাখ টাকা নেওয়াসহ বিভিন্ন খেয়াঘাট ও পুকুর ইজারা দেওয়ার নাম করে বহু টাকা নিয়ে তিনি তার ব্যক্তিগত খরচ করেছেন এমন বিষয় জানতে পেরে বৃহষ্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে সদস্যদের সঙ্গে তার বচসা হয়। এসময় তার উপর চড়াও হলে তিনি ক্ষমা চেয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে চাকরি থেকে অব্যাহতি নেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। একপর্যায়ে বিকেল ৫টার দিকে মাহাবুবর রহমান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত সহকারীর কাছে তার ইস্তফা পত্র জমা দিয়ে চলে যান। তবে আগামী মাসিক সভায় আব্দুর রউফ কমপ্লেক্সে জেলা পরিষদের টাকা বন্ধ করে দেওয়ার ব্যাপারে সদস্যরা সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানান।
জানতে চাইলে জেলা পরিষদ প্যানেল চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বাবু মোবাইল ফোনে মাহাবুবর রহমানের ইস্তফার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রসঙ্গত, সদর উপজেলার মাটিয়াডাঙা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফের ছেলে এস,এম মাহবুবুর রহমান ১৯৯০ সালের ২৯ এপ্রিল সাতক্ষীরা জেলা পরিষদে ষাটলিপিকার (টাইপিষ্ট) হিসাবে অস্থায়ী নিয়োগ পান। পরবর্তীতে অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে একই অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তার দায়িত্ব পেলে তাকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ২০০১ সালের ২৬ জুন পঞ্চগড় জেলা পরিষদে বদলী করেন। হাইকোর্টে বদলী আদেশ স্থগিত হলেও পরবর্তীতে তিনি প্রত্যাহার করে নেন।
২০০৫ সালের ১৪ জুন তাকে জামালপুর জেলা পরিষদে বদলী করলে তার যোগদানপত্র গৃহীত হয়নি। অপরদিকে গত ২০০৫ সালের ১৯ আগস্ট সাতক্ষীরা জেলার চার জন সংসদ সদস্য এস, এম মাহবুবের বিরুদ্ধে শ্যামনগর উপজেলা পরিষদের মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের ৬৪টি গৃহ বন্দোবস্ত দেওয়ার ক্ষেত্রে অর্ধ কোটি টাকা উৎকোচ গ্রহণ, জেলার বিভিন্ন খেয়াঘাট লক্ষ লক্ষ টাকা উৎকোচ গ্রহণের মাধ্যমে পূর্ববর্তী ডাকের চেয়ে কম ডাকে ইজারা দেওয়া, নিজের এলাকার ও নিজ আত্মীয় স্বজনদের জেলা পরিষদে চাকুরি দিয়ে সি-িকেটের মাধ্যমে গডফাদার হিসেবে আত্মপ্রকাশ, একজন নিম্নমানের কর্মকর্তা হয়েও প্রধান নির্বাহীর মত উচ্চ মানের কর্মকর্তাকে হয়রানি ও হেনস্তার মধ্য দিয়ে বদলী করার কথা তুলে ধরে স্থানীয় সরকার ও সমবায় মন্ত্রণালয়ে ডিও লেটার দেন।
সাংসদরা আরো উল্লেখ করেন যে, অনেকগুলো অভিযোগকারীর অভিযোগের ভিত্তিতে তৎকালীন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ জসিমউদ্দিন তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে এক প্রতিবেদন দাখিল করেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা মাহবুবর রহমানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণসহ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসক স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেন। ডিও লেটারে মাহাবুবর রহমানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ অথবা তার বিরুদ্ধে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন কমিটি গঠনের মাধ্যমে তদন্ত করার জন্য দাবি জানানো হয়। কিন্তু কোন এক অদৃশ্য কারণে তার বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। ২০০৫ সালের ১৪ জুন বদলি আদেশ চ্যালেঞ্জ ও একই বছরের ১৯ আগস্ট চার সাংসদের উদ্দেশ্য প্রণোদিত ডিও লেটারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মাহবুবর রহমান হাইকোর্টে -৬৯১৭/২০০৫ নং রিট পিটিশন দায়ের করেন। সেখানে সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী ভুইয়া মোঃ আতাউর রহমানের ২০০৩ সালের ১৭ জুনের একটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। প্রতিবেদনে সাতক্ষীরা জেলা ন্যাপ এর সাধারণ সম্পাদক কাজী সাঈদুর রহমানের অভিযোগ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ভিত্তিহীন বলে উল্লেখ করা হয়। ১২ সেপ্টেম্বর আদালত শুনানীন্তে উক্ত আদেশের উপর রুল জারী করেন এবং বদলী আদেশ স্থগিত করেন। স্থগিতাদেশ থাকা অবস্থায় পরবর্তীতে তিনি সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ থেকে তাহার বেতন ভাতা এবং রীট নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত চাকুরীতে যাহাতে স্থিতিবস্থা বজায় থাকে সে জন্য তিনি ২০০৫ সালের ৮ অক্টোবর একটি আবেদনপত্র দাখিল করেন এবং তা’ মঞ্জুর হয়। যাহা পরবর্তীতে খারিজ হয়ে যায়।
এদিকে বদলী সংক্রান্ত একটি রীট পিটিশনের কার্যক্রম চালু থাকার পরও ২০০১ সালের ৮ মে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে প্রশাসনিক কর্মকর্তা এস,এম মাহবুবুর রহমানকে বগুড়া জেলা পরিষদে বদলী করেন। একটি বদলীর আদেশের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত রিট পিটিশনের কার্যক্রম চালু থাকার পরও নতুন করে দেওয়া বদলি আদেশেকে চ্যালেঞ্জ করে এসএম মাহবুবর রহমান বিষয়টি সংশ্লিষ্ট আদালতকে অবহিত না করে পুনরায় ৭৩৩৩/২০১৬ নং রিট পিটিশন দায়ের করেন। যা’ ২০১৬ সালের ১৩ জুলাই খারিজ হয়ে যায়।
এদিকে জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এসএম মাহবুবর রহমানের বিরুদ্ধে ২০১২ সালের ১৮ আগষ্ট ‘গৃহ নির্মাণের তালিকা তৈরিতে দুর্নীতির অভিযোগ’ অনিয়ম সংক্রান্ত এক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তাতে জলবায়ু ট্রাস্ট ফা-ের আওতায় গৃহণির্মাণের তালিকা তৈরিতে প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাহবুবর রহমান ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা উৎকোচ গ্রহণ করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়।
এ ছাড়া ২০১৬ সালের ৮ আগস্ট জেলা পরিষদের আওতাধীন এডিবি ও নিজস্ব অর্থায়নে মন্দির, মাদ্রাসা, স্কল ভবনসহ জেলায় এক কোটি ৩৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৪টি প্রতিষ্ঠান তৈরির জন্য উৎকোচের মাধ্যমে দরপত্র দলিল আহবানের ক্ষেত্রে তঞ্চকতা করেছেন মাহাবুবর রহমান। ফলে হাতে গোনা কয়েকজন ছাড়া দু’ শতাধিক ঠিকাদার দরপত্র সংগ্রহ করতে পারেননি।
এ ব্যাপারে এসএম মাহাবুবর রহমানের কাছে বৃহষ্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে জানতে চাইলে তার ০১৭১১-৩৫২৭২০ মুঠো ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ঢাবির হলগুলোতে হয়রানি না করতে উপাচার্যকে অনুরোধ

হলগুলোতে কাউকে যেন হয়রানি করা না হয় সে দাবি জানিয়েছে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের কেন্দ্রীয় কমিটি বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জানের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে এ দাবি জানায় তারা।

এ সময় কোটা সংস্কারের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের নির্ভয়ে হলে থাকতে পারা, ক্যাম্পাস বহিরাগতমুক্ত করা, অতিরিক্ত যানবাহন প্রবেশ নিয়ন্ত্রণে গেট করার দাবি জানায় কমিটির সদস্যরা।

কাউকে হয়রানি করা হবে না বলে উপাচার্য তাদের আশ্বস্ত করেছেন। উপাচার্য তাদেরকে বহিরাগতমুক্ত করতে ব্যবস্থা নিবেন, ভিডিও ফুটেজ দেখে হামলাকারী শনাক্ত করবেন বলেও আশ্বস্ত করেন।

সাক্ষাৎকালে কেন্দ্রীয় কমিটি উপাচার্যের বাসায় হামলার ঘটনা তদন্তে বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠনেরও প্রস্তাব দিয়েছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক হাসান আল মামুন, যুগ্ম-আহ্বায়ক ফারুখ হাসান, নুরুল হক প্রমুখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দাঁড়িয়ে গান না গাওয়ায় অন্তঃসত্ত্বা গায়িকাকে গুলি করে হত্যা

পাকিস্তানের লারকানা অঞ্চলের কানগা গ্রামে এক স্থানীয় শিল্পীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। মঞ্চে গান গাওয়া অবস্থায় তাকে হত্যা করা হয়। তিনি অন্তঃসত্ত্বা বলে জানা গেছে।

২৪ বছর বয়সী সামিনা সামুন নামের ওই গায়িকাকে ডাকা হয়েছিল স্থানীয় একটি অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার জন্যে। তিনি সামিনা সিন্ধু নামেও পরিচিত। হত্যাকারীর নাম তারিক আহমেদ জাতোই। গায়িকার অপরাধ- বার বার অনুরোধের পরও তিনি দাঁড়িয়ে গান গাইছিলেন না। এ কারণেই তাকে গুলি করে তারিক।

ডনের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, তারিক সে সময় মাদকাসক্ত ছিলেন। তিনি গুলি করার আগে গায়িকাকে উত্যক্ত করছিলেন।

সামিনাকে দ্রুত চান্দকা হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু গুলির ক্ষত তিনি সামলে নিতে পারেননি। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পরে গায়িকার স্বামী সাংবাদিকদের বলেন, তার স্ত্রী ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। স্বামীর দাবি, এখানে খুনি জোড়া খুন করেছেন। কারণ, কেবল তার স্ত্রীকেই নয়, সঙ্গে তার গর্ভের সন্তানকেও হত্যা করা হয়েছে।

অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ঘুষসহ নৌ-পরিবহন অধিদফতরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার আটক

হাতে-নাতে পাঁচ লাখ টাকা ঘুষসহ নৌ-পরিবহন অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী এস এম নাজমুল হককে আটক করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার (১২ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় সেগুন হোটেল থেকে দুদকের উপ-পরিচালক নাসিম আনোয়ারের নেতৃত্বে একটি দল তাকে আটক করে।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা (পিআরও) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে রাজধানীর রমনা থানায় মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সিরিয়া-রাশিয়ার বিরুদ্ধে একাট্টা যুক্তরাষ্ট্র-জার্মানি-ফ্রান্স

সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলের দৌমায় রাসায়নিক হামলার জেরে বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশগুলোর মাঝে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। সিরিয়া ইস্যুতে একই সুরে কথা বলছে, জার্মানি, ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্র। দৌমায় রাসায়নিক হামলার অভিযোগ এনে যেকোনো মুহূর্তে সিরীয় ভূখণ্ডে নতুন ধরনের স্মার্ট ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর হুমকি দিয়ে রাশিয়াকে প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, যেকোনো মুহূর্তে সিরিয়ায় হামলা চালাবে যুক্তরাষ্ট্র। আর এতে সমর্থন রয়েছে ওই তিন দেশের।

এদিকে থেমে নেই রাশিয়াও। মস্কো বলছে, মিত্র বাশার আল আসাদের সমর্থনে যেকোনো ধরনের গুরুতর পরিস্থিতি মোকাবেলায় পিছপা হবে না তারা।

দৌমায় রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগে বিশ্বশক্তিগুলোর মাঝে চরম উত্তেজনা চলছে। যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়ার মাঝে চলমান এই উত্তেজনায় যোগ দিয়েছে ফ্রান্স। বৃহস্পতিবার ফরাসী প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেন, তার কাছে প্রমাণ আছে যে, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছেন।

ফরাসী এই প্রেসিডেন্ট বলেন, আমাদের উপযুক্ত সময় অনুযায়ীই এর জবাব দেয়া হবে।

সিরিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র আসছে; রাশিয়ার অন্যতম মিত্র প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে এমন হুমকি দেয়ার একদিন পর বৃহস্পতিবার সকালে আবারো টুইট করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

এতে তিনি বলেন, ‘আমি কখনোই বলি নাই, সিরিয়ায় ঠিক কখন হামলা চালানো হবে। তবে তা খুব শিগগিরই হতে পারে আবার শিগগিরই নাও হতে পারে।’

সিরিয়া শাসকের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপে সমর্থনের ব্যাপারে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক ডেকেছেন। জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মেরকেল বলেছেন, ‘তার দেশ আগে থেকেই দাবি করে আসছে যে, সিরিয়া রাসায়নিক অস্ত্রভাণ্ডার নির্মূল করেনি এবং এটাই সত্যি।’

এদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা পদক্ষেপবিরোধীরা বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রুদ্ধদ্বার জরুরি বৈঠক আহ্বান করেছে। হোয়াইট হাউস বলছে, গত শনিবার দৌমায় রাসায়নিক হামলার জন্য সিরিয়া শাসক ও তার মিত্র রাশিয়াকে দায়ী করেছেন ট্রাম্প। উদ্ধারকারী কর্মকর্তারা বলছেন, ওই হামলায় অন্তত ৪০ জন নিহত হয়েছে।

ট্রাম্পের টুইটের জবাবে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেছেন, ‘স্মার্ট ক্ষেপণাস্ত্র সন্ত্রাসীদের দিকে ছুঁড়ে মারা উচিত, বৈধ (সিরিয়ার) সরকারের দিকে নয়; যে সরকার গত কয়েকবছর ধরে সিরীয় ভূখণ্ডে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়ছে।’

তিনি বলেন, ২০১৫ সাল থেকে সিরিয়া সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছে তার দেশ এবং তারা দেশটির প্রেসিডেন্ট বাসার আল আসাদের মিত্র। সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলের ঘৌটার দৌমায় রাসায়নিক হামলার অভিযোগ মিথ্যা। এছাড়া সিরিয়ার বিরুদ্ধে যেকোনো ধরনের সামরিক পদক্ষেপের প্রেক্ষাপট হিসেবে এটিকে ব্যবহার করা যেতে পারে না।

বুধবার রাশিয়া সমর্থিত জোটের তীব্র সমালোচনা করেছিলেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, যারা মানুষকে মারছে এবং এটি উপভোগ করছে; তাদের মতো গ্যাস প্রয়োগকারী জানোয়ারদের অংশীদার হওয়া উচিত হবে না।

এদিকে, রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি সামরিক পদক্ষেপের আশঙ্কা নাকচ করে দেননি মার্কিন কর্মকর্তারা। হোয়াইট হাউস বলছে, সম্ভাব্য সব উপায় এখন টেবিলে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
গুগল-ফেসবুক-ইউটিউবকে করের আওতায় আনার নির্দেশ

জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন গুগল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক এবং ভিডিও দেখার জনপ্রিয় সাইট ইউটিউবসহ ইন্টারনেটভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে করের আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানগুলো বিগত ১০ বছরে কী পরিমাণ অর্থ আয় করেছে এবং এ বিষয়ে তদন্তের জন্য একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনেরও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এ সংক্রান্ত দায়ের করা রিটের ওপর শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশরাফুল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

রায়ের কপি হাতে পাওয়ার পর গুগল, ফেসবুক, ইউটিউবসহ ইন্টারনেটভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে করের আওতায় আনার নির্দেশ দেন আদালত।

গত সোমবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি করেন সুপ্রিম কোর্টের ছয়জন আইনজীবী। রিটে একই সঙ্গে ডোমেইন এবং লাইসেন্স ক্রয় বাবদ কত টাকা আয় করেন তারা এবং বাংলাদেশ সরকারকে কত টাকা কর দেন তাও জানতে চাওয়া হয়।

এসব প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন তৈরির নির্দেশনাও চাওয়া হয় রিটে।

রিটের বিবাদীরা হলেন- অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলদেশ ব্যাংকের গভর্নর, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রথম আলোর সম্পাদক এবং বাংলাদেশ নিউজ পেপারস ওনারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মতিউর রহমানসহ, গুগল, ফেসবুক, ইয়াহু এবং ইউটিউব কর্তৃপক্ষ।

রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবিন পল্লব জানান, জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন গুগল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও ভিডিও দেখার জনপ্রিয় সাইট ইউটিউবসহ ইন্টারনেটভিত্তিক সব ধরনের প্রতিষ্ঠানের রাজস্ব ফাঁকির বিরুদ্ধে রিট দায়ের করা হয়েছে।

রিট আবেদনে ইন্টারনেটভিত্তিক সব প্রতিষ্ঠানকে করের আওতায় আনা, প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশে পরিচালনার জন্য নীতিমালা প্রস্তুত করা, প্রতিষ্ঠানগুলো কী পরিমাণ টাকা নিচ্ছে, তা দেখার জন্য বিশেষজ্ঞ কমিটি এবং সেই কমিটি দিয়ে বিগত ১০ বছরে কী পরিমাণ অর্থ নেয়া হয়েছে তা নির্ধারণ করার নির্দেশনা চাওয়া হয়।

রিট আবেদন করা আইনজীবীরা হলেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাউসার, অ্যাডভোকেট আবু জাফর মো. সালেহ, অ্যাডভোকেট অপূর্ব কুমার বিশ্বাস, ব্যারিস্টার মোহাম্মদ সাজ্জাদুল ইসলাম ও ব্যারিস্টার মোহাম্মদ মাজেদুল কাদের।

এর আগে ৭ এপ্রিল সার্চ ইঞ্জিন গুগল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ ইন্টারনেটভিত্তিক সব ধরনের প্রতিষ্ঠানের রাজস্ব ফাঁকির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়ে একটি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, এনবিআরের চেয়ারম্যান, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সচিব, প্রথম আলোর সম্পাদক ও বাংলাদেশ নিউজ পেপারস ওনারস অ্যাসোসিয়েশন সভাপতিকে এ নোটিশ পাঠানো হয়। এছাড়া গুগল, ফেসবুক, ইয়াহু ও ইউটিউব কর্তৃপক্ষকেও নোটিশটি পাঠানো হয়। রিট সংশ্লিষ্ট ছয় আইনজীবী ওই নোটিশ পাঠান।

নোটিশে বলা হয় ‘প্রযুক্তির যুগে গুগল, ফেসবুক এখন প্রাত্যহিক জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা এখন সোশ্যাল মিডিয়ার প্ল্যাটফর্মে বিজ্ঞাপন দেখতে আগ্রহী। দিন দিন এর ব্যবহার বাড়ছে। বাড়ছে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যাও। এ সুযোগে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে দেশ থেকে কোটি কোটি ডলার নিয়ে যাচ্ছে ইন্টারনেট সংশ্লিষ্ট বিশ্বের নামিদামি প্রতিষ্ঠানগুলো। কিন্তু সরকারকে এক টাকাও রাজস্ব দিচ্ছে না। প্রতি বছর কত টাকা বিজ্ঞাপন বাবদ বিদেশে পাচার হচ্ছে, তার সঠিক কোনও হিসাব নেই সরকারের কোনও প্রতিষ্ঠানের কাছে। কারণ, বিজ্ঞাপনদাতারা তাদের অর্থ পরিশোধ করছে ক্রেডিট কার্ড ও অন্যান্য অনলাইন প্রযুক্তির মাধ্যমে।’

নোটিশপ্রাপ্তদের কয়েকটি প্রতিকারমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলা হয়েছিল। সেগুলো হলো গুগল, ইয়াহু, অ্যামাজন, ইউটিউব, ফেসবুককে দেওয়া সব বিল থেকে বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী প্রযোজ্য রাজস্ব কর কর্তন করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানকে অনুরোধ করাসহ রাজস্ব কর আদায়ের লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা জারির অনুরোধ।

এছাড়া সরকারকে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে রাজস্ব ফাঁকির বিষয়টি তদন্ত করাসহ বিগত ১০ বছরে সরকার যে পরিমাণ রাজস্ব ওই ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে পেতো সেই হিসাব করে সংশিষ্ট প্রতিষ্ঠান থেকে তা আদায়ের ব্যবস্থা করতে বলা হয় নোটিশে। পাশাপাশি গুগল, ইয়াহু, অ্যামাজন, ইউটিউব, ফেসবুককে তাদের গত ১০ বছরের বকেয়া রাজস্ব বাংলাদেশ সরকারের কোষাগারে ফেরত পাঠানোর জন্যও নোটিশে বলা হয়।

পরে ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, ‘যাদের নোটিশ পাঠানো হয়েছে তাদের নোটিশ পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এর জবাব দিতে হবে। অন্যথায় হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হবে।’

কিন্তু কোনও জবাব না পাওয়ায় আদালতে রিট দায়ের করা হলো।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest