সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে ভূমিহীন সমিতির কঠোর হুশিয়ারীসাতক্ষীরায় শিশু-যুব ও স্টেকহোল্ডারদের কর্মশালাশ্যামনগরে অস্ত্র-গুলিসহ আটক সুন্দরবনের ত্রাস সাইফুলসাতক্ষীরায় দৈনিক ভোরের চেতনা পত্রিকার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিতসাতক্ষীরায় বিএনপি নেতা চিশতি’র মনোনয়নের দাবিতে সড়ক অবরোধগ্রীন কোয়ালিশন সাতক্ষীরা জেলা ইউনিটের কমিটি গঠনগণভোটসহ ৫ দফা দাবিতে সাতক্ষীরা জামায়াতের বিক্ষোভসাতক্ষীরায় প্রকাশ্যে চেতনানাশক স্প্রে করে এক নারীর গহনা ও মোবাইল ছিনতাইসাতক্ষীরায় উপকূলীয় এলাকায় ক্রীড়া উৎসব১২ নভেম্বরকে ‘উপকূল দিবস’ ঘোষণার দাবি

অতিরিক্ত সচিব দস্তগী‌র ও তার স্ত্রী সাতক্ষীরার বিচারক হোস‌নে আরার সম্পদের হিসাব চেয়েছে দুদক

ন্যাশনাল ড‌েস্ক: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এএসএম এমদাদুদ দস্তগীর ও সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক হোসনে আরা আক্তারের কাছে সম্পদের হিসাব চেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার (৬ মার্চ) দুদকের উপ-পরিচালক ঋত্বিক সাহা স্বাক্ষরিত আদেশে তাদের সম্পদের বিবরণী জমা দিতে বলা হয়। ইতোমধ্যে এই দম্পতির বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের প্রাথমিক তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। দুদকের আদেশে উল্লেখ রয়েছে, আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে নিজের ও তাদের ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের স্থাবর ও অস্থাবর সব সম্পদের বিবরণী দুদকে জমা দিতে হবে এএসএম এমদাদুদ দস্তগীর ও হোসনে আরা আক্তারকে। নির্ধারিত সময়ে তা দিতে ব্যর্থ হলে কিংবা মিথ্যা তথ্য দিলে আইনের ধারা ২৬-এর ২ উপধারা অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুদকের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘এএসএম এমদাদুদ দস্তগীর ও হোসনে আরা আক্তারের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আসার পর প্রাথমিক তদন্ত শেষ হয়েছে। এবার তাদের সম্পদের হিসাব চাওয়া হয়েছে। হোসনে আরা আক্তার নারায়ণগঞ্জের জেলা জজ ছিলেন।’

আদেশ প্রসঙ্গে অতিরিক্ত সচিব এএসএম এমদাদুদ দস্তগীরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দুদকের নোটিশ আমি এখনও হাতে পাইনি। এটি দেখলে জানতে পারবো কী চাওয়া হয়েছে। নোটিশ হাতে না পাওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে আর কোনও কথা বলা ঠিক হবে না।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নিধন এখনো চলছে: জাতিসংঘ কর্মকর্তা

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর জাতিগত নিধনযজ্ঞ এখনো চলছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতিসংঘের এক ঊর্ধ্বতন মানবাধিকার কর্মকর্তা।

মঙ্গলবার জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সহকারী মহাসচিব অ্যান্ড্রু গিলমুর বলেন, ছয়মাস আগে রাখাইনে সেনাবাহিনীর দমনাভিযানের মুখে দলে দলে রোহিঙ্গারা গ্রামছাড়া হওয়ার পর আজো সেই ভয়াবহতায় ছেদ পড়েনি। রোহিঙ্গাদের অনাহারে রেখে মারা হচ্ছে।

কক্সবাজারের বিভিন্ন রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে টানা চারদিনের পরিদর্শন শেষে তিনি কথাগুলো বলেন।

এক বিবৃতিতে গিলমুর বলেন, ”রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমার এখনো জাতিগত নিধন ও সহিংসতা চালিয়ে যাচ্ছে। আমি নিজের চোখে যা দেখেছি এবং শরণার্থী শিবিরে আশ্রিতদের মুখ থেকে যা শুনেছি, তারপর আমার মনে হয় না যে একথা বলা ছাড়া আর কিছু বলার আছে।”

শরণার্থী শিবিরগুলোতে মিয়ানমার থেকে সদ্য পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলার পর গিলমুর বলেন, “শুধু নির্যাতনের ধরন পাল্টেছে। গত বছর রাখাইনে উন্মত্ত রক্তপাত, হত্যা ও ধর্ষণযজ্ঞ চলেছিল। আর এখন সেখানে রয়ে যাওয়া রোহিঙ্গাদের জোর করে অনাহারে রেখে, ভয়ভীতি দেখিয়ে ও ত্রাস সৃষ্টি করে মিয়ানমার তাদেরকে বাংলাদেশে পালাতে বাধ্য করার ফন্দি এঁটেছে বলেই মনে হচ্ছে।”

বাংলাদেশের সঙ্গে গতবছর নভেম্বরের একটি চুক্তি অনুযায়ী মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে প্রস্তুত বলে আসলেও রাখাইনের বর্তমান পরিস্থিতিতে তাদের খুব শিগগিরই নিরাপদে, সম্মানের সঙ্গে এবং স্থায়ীভাবে সেখানে প্রত্যাবাসন ‘অসম্ভব’ বলেই মনে করেন জাতিসংঘের এ মানবাধিকার কর্মকর্তা।

তিনি বলেন, “মিয়ানমার সরকার খুব করিৎকর্মা হয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে পালিয়ে যাওয়া রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে প্রস্তুত বলে জানাচ্ছে। অথচ,  তাদের সেনারা এখনো ঠিকই রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে পালাতে বাধ্য করে যাচ্ছে।”

মিয়ানমারে গত বছর ২৫ অগাস্ট সীমান্তের ৩০টি পুলিশ পোস্ট ও একটি সেনা ঘাঁটিতে সন্ত্রাসী হামলার পর রাখাইনের রোহিঙ্গা গ্রামগুলোতে সেনা অভিযান শুরু হয়।

মিয়ানমার সরকার একে ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অভিযান’ বললেও জাতিসংঘ এবং পশ্চিমা দেশগুলো একে ‘জাতিগত নির্মূল’ অভিযান বলে আসছে।

এ অভিযান শুরুর পর গত ছয় মাসে প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের কেউ কেউ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বা পোড়া ক্ষত শরীরে বয়ে নিয়ে এসেছে।  কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া এসব রোহিঙ্গার ভাষ্যে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ব্যাপক নির্যাতন-নিপীড়নের চিত্র উঠে আসে।

মিয়ানমারের সেনা এবং স্থানীয় বৌদ্ধরা সেখানে গণহত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট চালানোসহ বাড়িঘরে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। যা নিয়ে অং সান সু চি নেতৃত্বাধীন মিনায়মার সরকারকে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বিশ্ব ঐতিহ্যের প্রামাণ্য দলিল ঘোষণার প্রথম ৭ই মার্চ আজ

আজ ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ। বাঙালি জাতির স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা অবিস্মরণীয় গৌরবের এক অনন্য দিন। সুদীর্ঘকালের আপসহীন আন্দোলনের এক পর্যায়ে ১৯৭১ সালের এই দিনে ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক উত্তাল জনসমুদ্রে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন। ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ বঙ্গবন্ধুর এই তেজদৃপ্ত ঘোষণাই ছিল প্রকৃতপক্ষে আমাদের স্বাধীনতার ভিত্তি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে গত বছর অক্টোবরে জাতিসংঘের শিক্ষা বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো স্বীকৃতি দিয়েছে। তাই এবার অনেকটা জাঁকজমকপূর্ণভাবে দিবসটি পালনে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।

দিবসটি পালনে আজ বুধবার অপরাহ্নে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভার আয়োজন করেছে আওয়ামী লীগ। জানা গেছে, এবার ঐতিহাসিক ৭ মার্চে আরেকটি ইতিহাস গড়তে চায় আওয়ামী লীগ। ভাঙতে চায় লোক সমাগমের অতীতের সকল রেকর্ড। এজন্য ব্যাপক প্রস্তুতি ক্ষমতাসীনদের। আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে ঢাকায় আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জনসভাও এটি। এ জনসভায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে দিক-নির্দেশনামূলক বার্তা দিবেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নির্বাচনকে সামনে রেখে তৃণমূল নেতাকর্মীদের গাইডলাইনও দেওয়া হবে। জানা গেছে, এবারের জনসভায় ১৫ লাখ মানুষের উপস্থিতির টার্গেট নেওয়া হয়েছে। জনসভা সফল করতে গত তিন দিন ধরে ঢাকা মহানগরীতে লিফলেট বিতরণ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এছাড়া আওয়ামী লীগ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণের স্মৃতি-বিজড়িত ৭ই মার্চ উপলক্ষে দেশব্যাপী ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে আজ ভোর সাড়ে ৬টায় বঙ্গবন্ধু ভবন ও দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় এবং দলীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৭টায় বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ।

বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক এই ভাষণ থেকেই দেশের মুক্তিকামী মানুষ ঘরে ঘরে চূড়ান্ত লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। ১৯৬৬’র ৬-দফা, ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান, ৭০’র নির্বাচনের পর যখন বাংলার জনগণ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশনা শুনতে অধীর আগ্রহে বসেছিল, তখনই ১৯৭১ সালের এই দিনে তত্কালীন রেসকোর্স ময়দানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশকে পরাধীনতার গ্লানি থেকে মুক্ত করার জন্য দিক-নির্দেশনা প্রদান করেছিলেন। সেদিন উত্তাল জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে বাংলার মুক্তিকামী জনতার উদ্দেশে বঙ্গবন্ধু প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে বলেছিলেন, তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে এবং জীবনের তরে রাস্তাঘাট যা যা আছে সবকিছু- আমি যদি হুকুম দিবার নাও পারি, তোমরা বন্ধ করে দেবে। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সংগ্রাম পরিষদ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে ভাষণে বঙ্গবন্ধু আরো বলেন, রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরো দেবো। এই দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। বঙ্গবন্ধু ঐতিহাসিক রেসকোর্সে এ ভাষণ যখন দিচ্ছিলেন ঠিক ওইদিনই ঢাকায় এসে পৌঁছান জেনারেল টিক্কা খান ও রাও ফরমান আলী। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর আলোচনার অন্তরালে সামরিক প্রস্তুতিই বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে ত্বরান্বিত করে। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক সেই ভাষণ এ দেশের জনগণকে দারুণভাবে আন্দোলিত করে। ৭০’র ঐতিহাসিক নির্বাচনে বাংলার মানুষের ভোটে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। কিন্তু পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী আওয়ামী লীগের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরে গড়িমসি করতে থাকে। তত্কালীন পূর্ব পাকিস্তানের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে আলোচনার আড়ালে সামরিক অভিযানের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে পাকিস্তানের সামরিক জান্তা। নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের পরও পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর ক্ষমতা হস্তান্তরে অনীহার কারণে বাংলার মুক্তকামী মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর এবং সামরিক বাহিনীকে ব্যারাকে ফিরিয়ে নেওয়ার দাবিতে ৬ মার্চ পর্যন্ত ঘোষিত হরতাল, অসহযোগ আন্দোলন চলে। ৩রা মার্চ অনুষ্ঠিত পল্টনের জনসমাবেশে আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ৬ মার্চের মধ্যে যদি সরকার তার অবস্থান পরিবর্তন না করে তাহলে ৭ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানের জনসভায় আন্দোলনের পূর্ণাঙ্গ কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। পরাধীনতার দীর্ঘ প্রহর শেষে পুরো জাতি যখন স্বাধীনতার জন্য অধীর অপেক্ষায়, ঠিক তখনই ঘোষণা অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হয় ঐতিহাসিক সেই ৭ই মার্চের জনসভা। গত ৪/৫ দিনের ঘটনাবলীতে বিক্ষুব্ধ মানুষ নতুন কর্মসূচির অপেক্ষায় ছিলেন।

বঙ্গবন্ধু জনসভায় আসতে একটু বিলম্ব করেন। স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়া হবে কি হবে না, এ নিয়ে তখনো রুদ্ধদ্বার বৈঠক চলছে নেতৃবৃন্দের মধ্যে। বেলা ঠিক সোয়া ৩টায় সাদা পায়জামা-পাঞ্জাবি ও মুজিব কোট পরিহিত বঙ্গবন্ধু যখন মঞ্চে ওঠেন তখন বাংলার বীর জনতা করতালি ও স্লোগানের মধ্যে তাঁকে অভিনন্দন জানান। মঞ্চ থেকে বঙ্গবন্ধু যখন জনতার উদ্দেশে হাত নাড়েন তখন পুরো সোহরাওয়ার্দী উদ্যান লাখ লাখ বাঙালির ‘তোমার দেশ আমার দেশ বাংলাদেশ বাংলাদেশ, তোমার নেতা আমার নেতা শেখ মুজিব, শেখ মুজিব’ স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে। এরপর বঙ্গবন্ধু ২২ মিনিট তাঁর জীবনের শ্রেষ্ঠতম এবং ঐতিহাসিক ভাষণ শুরু করেন।

আজ থেকে ৪৬ বছর আগে অগ্নিঝরা একাত্তরের এইদিনে বঙ্গবন্ধুই ছিলেন একমাত্র বক্তা। বঙ্গবন্ধুর ভাষণের পূর্বে আ স ম আব্দুর রব, নুরে আলম সিদ্দিকী, শাহজাহান সিরাজ, আব্দুল কুদ্দুস মাখন, আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ নেতা মঞ্চ থেকে মাইকে নানা ধরনের স্লোগান দিয়ে উপস্থিত জনতাকে উজ্জীবিত রাখেন।

বাংলাদেশ নামক স্বাধীন রাষ্ট্রের বয়স ৪৬ বছর। সময়ের বিবর্তনে অনেক কিছুই কালের গর্ভে হারিয়ে গেছে। বিকৃতির নিকৃষ্ট ষড়যন্ত্রের আবহে বদলে ফেলার চেষ্টা হয়েছে স্বাধীনতার অনেক ইতিহাস। কিন্তু এ ৪৭ বছরে অনেক কিছুই বদলে গেলেও বদলানো যায়নি শুধু ২২ মিনিটের বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক সেই ভাষণটি। বিশ্বের অনেক মনীষী বা নেতার অমর কিছু ভাষণ আছে। বিশ্বের মধ্যে এই একটি মাত্র ভাষণ, যা যুগের পর যুগ, বছরের পর বছর, ঘণ্টার পর ঘণ্টা বেজে চলেছে কিন্তু ভাষণটির আবেদন এতটুকু আজও কমেনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ভারতকে  হারিয়ে শুরু শ্রীলঙ্কার

জয়ের জন্য লক্ষ্য ১৭৫ রান। জমজমাট লড়াইয়ের ইঙ্গিত। তবে ভারতের বিপক্ষে এই রান তাড়া করা শ্রীলঙ্কার জন্য বর্তমান সময়ে অনেকটাই অসম্ভব ব্যাপার বলে মনে হওয়ার কথা; কিন্তু চন্ডিকা হাথুরুসিংহের অধীনে যে দলটা বদলে যাচ্ছে ধীরে ধীরে, সেটা তো দেখাই যাচ্ছে। সুতরাং, লড়াই হলো এবং সেই লড়াইয়ে জিতলো স্বাগতিক শ্রীলঙ্কাই। জয়ের জন্য ১৭৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৯ বল হাতে রেখেই ৫ উইকেটের ব্যবধানে জয় তুলে নিল লঙ্কানরা।

৭০তম জাতীয় দিবসকে সামনে রেখে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড আয়োজন করেছে এই নিদাহাস ট্রফি। যেখানে স্পষ্ট ফেভারিট ভারত। বিরাট কোহলি, মহেন্দ্র সিং ধোনিসহ বেশ কয়েকজন সিনিয়র ক্রিকেটার ছাড়াও রোহিত শর্মার নেতৃত্বাধীন দলটি সত্যিই অনেক শক্তিশালী।

কিন্তু শ্রীলঙ্কাও যে কম যায় না সেটা দেখিয়ে দিল তারা। কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শিখর ধাওয়ানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ের ওপর ভর করে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রান করে ভারত। ৪৯ বলে ৯০ রানের ইনিংস খেলেন ধাওয়ান। ৬টি করে বাউন্ডারি এবং ছক্কার মার মারেন তিনি।

এছাড়া মানিস পান্ডে করেন ৩৫ বলে ৩৭ রান। ঋষাভ পান্ত করেন ২৩ বলে ২৩ রান। দিনেশ কার্তিক ৬ বলে করেন ১৩ রান। লঙ্কানদের মধ্যে দুষ্মন্তে চামিরা নেন ৩৩ রান ২ উইকেট। ১টি করে উইকেট নেন নুয়ান প্রদীপ, জীবন মেন্ডিস এবং গুনাথিলাকা।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে কুশল মেন্ডিস শুরুতেই আউট হয়ে যান। দানুসকা গুনাথিলাকা এবং কুশল পেরেরা ভালো জুটি গড়েন। যদিও ১২ বলে ১৯ রান করে আউট হন গুনাথিলাকা। ৩৭ বলে ৬৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন পেরেরা। ৬টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৪টি ছক্কার মার ছিল তার ব্যাটে।

এছাড়া চান্ডিমাল ১৪, থারাঙ্গা ১৭ রান করে আউট হন। দাসুন সানাকা ১৮ বলে ১৫ রান করে অপরাজিত থাকেন। শেষ মুহূর্তে ভারতীয় বোলারদের ওপর ঝড় তোলেন থিসারা পেরেরা। ১০ বলে তিনি করেন ২২ রান। ২টি বাউন্ডারির সঙ্গে ১টি ছক্কাও মারেন তিনি। মূলত তার এই ছোট্ট ঝড়ই শ্রীলঙ্কাকে জয় এনে দেয়। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে ওয়াশিংটন সুন্দর এবং ইউযবেন্দ্র চাহাল নেন ২টি করে উইকেট।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ড. জাফর ইকবালের ওপর হামলার প্রতিবাদে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের প্রতিবাদী মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশ বরেণ্য লেখক বুদ্ধিজীবী সিলেট শাবিপ্রবি এর শিক্ষক ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবালের ওপর জঙ্গিবাদী হামলার ঘটনায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রতিবাদী মানববন্ধন ও সাংবাদিক সমাবেশ। সমাবেশে বক্তারা, হামলাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি একই সাথে এঘটনায় প্রকাশ্যে ও নেপথ্যে জড়িতদের মুখোশ উন্মোচনের দাবি জানিয়েছেন। সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ সাংবাদিক সমাবেশ ও প্রতিবাদী মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন।
মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে সাংবাদিক নেতারা বলেন, দেশের মুক্তমনা লেখক, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালনকারী অসাম্প্রদায়িক মানুষকে জঙ্গিরা বেছে বেছে হত্যার পরিকল্পনা করেছে। ড. জাফর ইকবাল তাদেরই হামলার শিকার হয়েছেন উল্লেখ করে তারা আরও বলেন এর আগে তার ওপর আরও দুই দফায় হামলা হয়েছে। দেশ থেকে জঙ্গিবাদ এখনও নির্মুল হয়নি মন্তব্য করে তারা আরও বলেন এখনই আরও কঠোর ভূমিকা না গ্রহণ করলে বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়বে। বক্তারা আরও বলেন এই পরিকল্পিত হামলার নেপথ্যে আরও যারা রয়েছে তাদেরকে খুঁজে বের করতে হবে। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম’র শরীফুল্লাহ কায়সার সুমন।
৩ মার্চ হামলার ঘটনার পর চারদিন অতিবাহিত হলেও এর প্রকাশ্যে ও নেপথ্যে জড়িতদের সার্বিক তথ্য প্রকাশ না করায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ। বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষানীতির প্রস্তাবক ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবালের ওপর হামলাকে মুক্তিযুদ্ধকালীন ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী হত্যা, কবি শামসুর রহমান, প্রথা বিরোধী লেখক হুমায়ুন আজাদ হত্যাকান্ডের ধারাবাহিকতারই অংশ বলে মনে করেন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।
প্রতিবাদী মানববন্ধন ও সাংবাদিক সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সুভাষ চৌধুরী, সাবেক সভাপতি অধ্যক্ষ আনিসুর রহিম, সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, প্রথম আলোর কল্যাণ ব্যনার্জি, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবদুল বারী, সাবেক সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপী, সাবেক সম্পাদক এম কামরুজ্জামান, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাহিত্য সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক আমিনা বিলকিস ময়না, কার্যনির্বাহী সদস্য অসীম বরণ চক্রবর্তী, মানবজমিনের ইয়ারব হোসেন প্রমুখ সাংবাদিক।
উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি আব্দুল ওয়াজেদ কচি, যুগ্ম সম্পাদক গোলাম সরোয়ার, সাপ্তাহিক সূর্য্যরে আলো’র আব্দুল ওয়ারেশ খান চৌধুরী পল্টু, মোহনা টিভি’র আব্দুল জলিল, এসএ টিভি’র শাহীন গোলদার, দৈনিক যশোরের সেলিম রেজা মুকুল, দৈনিক সমাজের কাগজ আমিরুজ্জামান বাবু, দৈনিক তথ্য’র সৈয়দ রফিকুল ইসলাম শাওনসহ সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সদস্যবৃন্দ।
সাংবাদিক নেতারা বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করার আগে বলা হয়েছিল এ আইনের মাধ্যমে অনলাইনে জঙ্গিবাদী ও সাম্প্রদায়িক তৎপরতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেই এর প্রয়োগ করা হবে। কিন্তু দুঃখ ও পরিতাপের সাথে দেশের সচেতন সাংবাদিক সমাজ লক্ষ্য করলো ঘটনা ঘটলো উল্টো পুরো আইনটিই সাংবাদিকদের মুক্তচিন্তা ও অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা সংকুচিত করতে এই আইন প্রয়োগ করা হলো। রাষ্ট্র’র নীতি নির্ধারকরা খুনী হেফাজতদের কাছে আপত্তিকর আত্মসমর্পন করলো। যারা সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী ও ব্লগারদের বেছে বেছে হত্যা করলো তাদের কাছেই নতজানু হলো। খুনীদের খুনকে একধরণের উৎসাহ প্রদান করা হলো। সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ- দেশের মানুষ ও রাষ্ট্রকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার পথে এগিয়ে আসার আহবান জানান। #

০৬.০৩.১৮

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
প্রশ্নফাঁসে জড়িতদের ‘ফায়ারিং স্কোয়াডে’ দেয়া উচিত : রাষ্ট্রপতি

প্রশ্নফাঁসকারীদের ‘ফায়ারিং স্কোয়াডে’ দেয়া উচিত বলে মনে করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। তিনি বলেছেন, সম্প্রতি সবচেয়ে আলোচিত বিষয়ে পরিণত হয়েছে প্রশ্নফাঁস। প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে শিক্ষক-ছাত্র-অভিভাবকদের সংশ্লিষ্টতা নিয়েও বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। দেশের আগামী প্রজন্মকে ধ্বংসের এই প্রক্রিয়ায় যারা জড়িত, দেশ ও জাতির স্বার্থে দে শুড গো টু ফায়ারিং স্কোয়াড। ফায়ারিং স্কোয়াডে দেয়া উচিত।

মঙ্গলবার রাজধানীতে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন। শিক্ষাপদকের জন্য মনোনীত শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান ও আন্তঃপ্রাথমিক বিদ্যালয় সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে অনুষ্ঠানে পদক বিতরণ করেন রাষ্ট্রপতি ।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজারের সভাপতিত্বে এতে মন্ত্রণালয়েরে সচিব মোহাম্মদ আসিফ-উজ-জামান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি মো. মোতাহার হোসেন বক্তব্য দেন।

প্রশ্নপত্র ফাঁসে কোচিং সেন্টারের প্রতি ইঙ্গিত করে রাষ্ট্রপতি বলেন, যেসব শিক্ষক ছেলে-মেয়েদের শিখাইব, তারা পড়াইবার মার্কেট ভালা করার জন্য যদি প্রশ্ন কইয়া দেয়- ‘এই প্রশ্ন আইতাছে লেখ’… মার্কেট (কোচিংয়ের) ভালা হবে, বেশি বেশি (শিক্ষার্থী) পড়তে আইব, এসব চিন্তা থেকে তারা এইগুলি (প্রশ্নফাঁস) করতেছে।

শক্ত ভিত্তির শিক্ষাজীবন শুরু হলে প্রশ্নফাঁস শেষ হয়ে আসবে

শিক্ষকদের উদ্যোগী ও নিবেদিত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে রাষ্ট্রপতি বলেন, সমাজের কোন কাজটি ভালো এবং কোন কাজটি মন্দ, কোন কাজটি করলে দেশ ও জাতির উন্নয়ন ঘটবে- সে সম্পর্কে ধারণা দেয়ার পাশাপাশি শিশুদের ভালো কাজের চর্চা করাতে পারেন আপনারাই। তাদের মাঝে দেশাত্ববোধ সৃষ্টি করে দেশপ্রেমী হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন। একজন শিক্ষার্থীর শিক্ষার মূলভিত্তি রচিত হয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। তাই প্রতিটি শিক্ষার্থী যাতে শক্ত ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত হয়ে শিক্ষাজীবন শুরু করতে পারে, তা নিশ্চিত করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। আর তা করতে পারলেই পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন ও প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা শেষ হয়ে আসবে।

বাপ-মা সন্তানকে কী শিখাইতাছে?

অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে আবদুল হামিদ বলেন, এখন সব বাবা-মা চায় তার সন্তান গোল্ডেন এ প্লাস পাক, ফার্স্ট-সেকেন্ড হোক। কিন্তু যখন শোনা যায় যে বাবা-মা ছেলে-মেয়েকে নকল সরবরাহ করছে- তা কী করে সম্ভব। এর চেয়ে লজ্জাজনক, জঘন্য কাজ আর কী হতে পারে। এই বাপ-মা তার সন্তানকে কী শিখাইতাছে? তারে কী বানাইতে চাইতাছে? ভবিষ্যতে তারে দিয়া দেশের কী হবে?

শিশুরা জাতির ভবিষ্যত, তাই অভিভাবকদের প্রতি আমার অনুরোধ, জাতির উজ্জ্বল ভবিষ্যতের স্বার্থে শিশুদের নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলুন। পড়াশোনা ও বইয়ের ভারে জর্জরিত না করে তাদের খেলাধুলা ও সুস্থ বিনোদনের পর্যাপ্ত সময় দিন। আমরা যে আনন্দঘন শৈশব পেয়েছি, তাদেরকেও তার ধাদ দিতে হবে।

আমাদের বাপ-মা খবরই নিছে না

নিজের শিক্ষাজীবনের সময়ের সঙ্গে বর্তমানের তুলনা করে রাষ্ট্রপতি বলেন, আমাদের তো বাপ-মা খবরই নিছে না। স্কুলে গেছে নি? অহনতো পাছার মইধ্যে লাইগা থাকে। লাইগা থাকে ভালা কথা, অসুবিধা নাই। ভালা জিনিস শিখাক। ফার্স্ট-সেকেন্ড হইলে কী হয়? আমিতো খুব খারাপ ছাত্র আছিলাম। আমার মতো খারাপ ছাত্র যদি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হইতে পারে, তাহলে অত ভালা ছাত্র হওয়ার দরকারটা কী?

এমসিকিউ : ইট শুড বি স্টপড

রাষ্ট্রপতি বলেন, আমার মনে হয় এখন যে টিক মার্ক (এমসিকিউ) দিয়া দেয়। ইট শুড বি স্টপড। এমন সিস্টম করা দরকার প্রশ্ন আগেই চলে আসবে। এই প্রশ্ন আইব, এখন তুমি লেখ। মিনিস্ট্রি থেকে বইলা দেন- এই প্রশ্ন আইব। সব কোর্স-সিলেবাস মিলাইয়া ২০-২৫টা প্রশ্ন করেন। সব প্রশ্ন ওয়েবসাইটে দিয়া দেন। ২৫টা প্রশ্ন থাকলে পুরো সিলেবাস কাভার করবে। কিন্তু কুনডা আইবো হেইডা কইতে পারত না… এই সিস্টেম যদি হয়, তাহলে প্রশ্নফাঁসের বিষয়ে দুশ্চিন্তা করা লাগবে না।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বামেরা দলে দলে সব ‘রামের’ পতাকা তলে!

বড় কোনও নেতা না এলেও কর্মীর সংখ্যা বাড়ছে এলাকায়। বাড়ছে সংগঠন। যাঁদের নিয়ে বিজেপির ভিত মজবুত করার কাজ শুরু করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে আসা বিজেপি নেতা মুকুল রায়।

গোটা একটা বাম-দলই মিশে গিয়েছে বিজেপিতে। জনবাদী ফরওয়ার্ড ব্লকের সাধারণ সম্পাদক তাঁর পুরো দল নিয়ে বিজেপিতে মার্চ করেছেন। সাধারণ সম্পাদকের হাতে পতাকা তুলে দেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আর তারপরই সিপিএমের যুব সংগঠনেও ভাঙন ধরিয়ে দিলেন মুকুল রায়। হাওড়ার বাউড়িয়া থেকে ডিওয়াইএফআই নেতা অপূর্ব দাসের নেতৃত্বে ৩৬ জন কর্মী বিজেপিতে যোগ দিলেন।

এরই মধ্যে রবিবার পুরুলিয়া সফরে গিয়ে তৃণমূলে ভাঙন ধরিয়ে দেন মুকুল রায়।

মুকুল রায়ের হাতে ধরে দলে দলে তৃণমূলকর্মীরা যোগ দেন বিজেপিতে। বামকর্মীরাও মুকুল রায়ের সভায় এসে বিজেপির পতাকা তুলে নেন। পঞ্চায়েতের আগে জঙ্গলমহলের জেলায় এই প্রবণতায় আশার আলো দেখছে বিজেপি। বিভিন্ন জেলাতেই তৃণমূল, কংগ্রেস ও সিপিএম তথা বামফ্রন্ট ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন কর্মীরা।

মুকুল রায়ের কথায়, ‘শুধু নেতারা সাজানো থাকছে ওইসব দলে, কর্মীরা ভিড় বাড়াচ্ছেন বিজেপিতে। পঞ্চায়েত নির্বাচনেই হাড়ে হাড়ে টের পাবে তৃণমূল কংগ্রেস। মুকুল রায় বিশেষ করে নজর দিয়েছেন বীরভূম ও পুরুলিয়া জেলাকে। সেখানে যেমন বিজেপির বহর বাড়ছে, অন্য জেলাতেও একই প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ’

এদিন বাউড়িয়া থেকে ডিওয়াইএফআই-কর্মীরা যোগদান করেন বিজেপিতে। মুকুল রায়ের উপস্থিতিতে রাজ্য সম্পাদিকা দেবশ্রী চৌধুরী তাঁদের হাতে পতাকা তুলে দেন। মুকুল রায় বলেন, ‘এমন একটা দিন যাচ্ছে না তৃণমূল, কংগ্রেস, সিপিএম বা বামফ্রন্ট ছেড়ে কর্মীরা বিজেপিতে যোগ দিচ্ছে না। আগামী নির্বাচনের আগে সব দল ফাঁকা হয়ে যাবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সিরিয়ায় বিধ্বস্ত রাশিয়ার সামরিক বিমান, নিহত ৩২

সিরিয়ায় রাশিয়ার একটি সামরিক পরিবহন বিমান বিধ্বস্ত হয়ে অন্তত ৩২ জন নিহত হয়েছে। সিরিয়ার খমেইমিম বিমানঘাঁটিতে অবতরণের সময় রুশ এই বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, বিধ্বস্ত বিমানের ২৬ যাত্রী ও ৬ জন ক্রু নিহত হয়েছে। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে বলে প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে।

মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মস্কোর স্থানীয় সময় বিকেল ৩টার দিকে ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে।

সিরিয়ার স্বৈরশাসক আসাদ সরকারকে বিদ্রোহী এবং ইসলামি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তা করে আসছে রাশিয়া। আর ওই লড়াইয়ে খমেইমিম বিমানঘাঁটি একটি প্রধান ঘাঁটি।

তবে সম্প্রতি আইএস জঙ্গিদের উৎখাতের পর সিরিয়া থেকে রাশিয়ার সেনাদের দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেন পুতিন। যা গত ডিসেম্বরেই শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এরপর থেকেই রাশিয়ার সেনাদের নিহত হওযার সংখ্যা বাড়তে থাকে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest